এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 73.152.99.90 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ০৫:০২615384
  • স্কোর টোরের হিসেব আপনারা রাখুন কমরেড। আমার দিক থেকে একটাই গ্যারান্টি। কাউকে "মিথ্যেবাদী" বা "পাগল-ছাগল" বলাটা অসভ্যতা। যেকোনো জায়গায় যেকোনো বিষয়ে এই অসভ্যতা দেখলে আবার অসভ্যতাই বলব।আলোচনা করতে গেলে সভ্য ভদ্র ভাষায় কথা বলাটা একটু শিখতে হবে। নইলে জয়িতা কেন কমিক্সের হাঁদা-ভোঁদা নিয়েও আলোচনা করা অসম্ভব। কাজেই আলোচনা চাইলে এগুলি বর্জন করুন।

    আমার ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব বজায় রাখার বা ইমেজ টিকিয়ে রাখার কিংবা স্কোর করে ব্রাউনি পয়েন্ট পাবার কোনো চাপ কক্ষনো ছিলনা, এখনও নেই। ফেসবুকে মেলে বা ফোনে আমড়াগাছি করারও অভ্যাস নেই। অতএব গ্যারান্টিটি সযত্নে রক্ষিত হবে, নিশ্চিন্ত থাকুন। এবং নিশ্চিন্তে জয়িতাকে নিয়ে আলোচনা করুন। খালি যেমন চলছিল তেমনটি না হলেই হল।
  • কল্লোল | 125.241.1.158 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ০৬:৫০615385
  • এই অবাঞ্ছিত ব্যাক্তিগত প্রসঙ্গ উঠে আসায় আমার নিজেকেও দায়ী বলে মনে হচ্ছে। আমি সকলকে অনুরোধ করবো, আসুন আমরা মূল আলোচনায় ফিরে আসি।
  • হিজবিজবিজ | 56.23.68.178 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ০৭:০৭615386
  • 'ন্যানো হলে সিঙ্গুরের লাভ হতনা যারা বলছেন তারা মিথ্যাবাদী। রাজনৈতিক বাধ্যবধকতার জন্য তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে লোককে ভুল বোঝাচ্ছেন - ইচ্ছুক, অনিচ্ছ্ক ভুল ভাল। ন্যানো এলে আর শিল্প আসার যে সম্ভাবনা ছিল সেগুলি ধরা পড়ে না আর তাই এই নিয়ে কাটাছেঁড়া করার কোন মানে নেই।
    যখন মোবাইল ফোন আবিষ্কার করা হয়েছিল তখনই কি তার সব ক্ষমতা আবিষ্কৃত হয়েছিল না বোঝা গিয়েছিল। ভাবের ঘরে চুরি করে তর্কে জেতা যায় কিন্তু বাস্তব বদলায় না।'

    এখানে ভুল কী বলা আছে? মিথ্যাবাদীকে মিথ্যাবাদী বলা যাবেনা, গুরুতে এরকম কোন নিয়্ম আছে নাকি? বা হীরকরানি, বা তেনার সাঙ্গপাঙ্গরা, যারা প্রতিদিন মানুষকে ভুল বুঝিয়েছেন, সিঙ্গুরের চাষীদের সাথে প্রতারণা করেছেন, তাদের মিথ্যাবাদী বলা যাবেনা, এরকম কোন নিয়্ম আছে? একটা জায়্গায় শিল্প এলে সেটা ঘিরে আরো অনুসারী শিল্প গড়ে ওঠে, নানা পরিষেবার প্রয়োজন হয়, এই স্বাভাবিক সত্যটা যারা নানান তত্ত্বকথার আড়ালে ঢাকতে চান, তাদের মিথ্যাবাদী বলা যাবেনা?
  • siki | 69.164.108.255 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৪৩615387
  • না, যাবে না। মিথ্যেবাদী কাউকে বলা যায় কোনও তথ্যের ওপর ভিত্তি করে -- যে তথ্য সর্বজনগ্রাহ্য হিসেবে বেসলেস, মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কী হইলে কী হইত, বা কী হইতে পারিত, তার ওপর ভিত্তি করে কাউকে মিথ্যেবাদী বলে দেগে দেওয়াটা ভদ্রতা নয়।

    ন্যানো হলে সিঙ্গুরের লাভ হত না, এটা বলছেন এক পক্ষ, আর ন্যানো হলে সিঙ্গুরের লাভ হত, এটা বলছেন আরেক পক্ষ। দুই পক্ষই যুক্তি দিয়ে কাটাকাটি করুন না, অসুবিধে তো নেই। কিন্তু এই পক্ষ ঐ পক্ষকে স্ট্রেটকাট মিথ্যেবাদী বলে দিলে সেটা খুব অপমানজনক হয়, সেটা আর আলোচনার রাস্তায় থাকে না। দুই তরফের হাতেই অবশ্যেই নিজেদের স্টেটমেন্টকে ডিফেন্ড করবার মত যথেষ্ট যুক্তি আছে, সেটা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলতে পারে, অ্যানেকডোটকে অ্যানেকডোট বলতে পারেন, কিন্তু ব্যক্তিবিশেষকে "মিথ্যেবাদী" বলাটা অনেক স্ট্রং ওয়ার্ড। সেটা বাঞ্ছনীয় নয়।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৪৫615388
  • সিকিকে ক। তবে এই কথাটা যে কোনোদিন এইভাবে বুঝিয়ে লিখবার দরকার হবে, সেটাই বুঝিনি।
  • T | 24.139.128.15 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৫১615389
  • মাঝখান থেকে রঞ্জনদার অবস্থা মহামান্য খাদ্যবিলাসের পি এর ন্যায় হইল, এই যে...

  • Sibu | 183.60.205.153 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৫৩615390
  • বাংলা অ্যাস্টেরিক্সের ই-বুক আছে নাকি কমরেড?
  • T | 24.139.128.15 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৫৮615391
  • সোনার কাস্তে এইমাত্র নামালাম, কিন্তু কোয়ালিটি বেশ বাজে। অন্য আর কিছু নেই।
  • Sibu | 183.60.205.153 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ১০:০৮615392
  • ঃ-(
  • সিঙ্গুর | 56.23.68.178 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ১০:১২615394
  • ঠিক বলেছেন স্যর। 'মিথ্যেবাদী কাউকে বলা যায় কোনও তথ্যের ওপর ভিত্তি করে -- যে তথ্য সর্বজনগ্রাহ্য হিসেবে বেসলেস, মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে।'

    একটা জায়্গায় শিল্প স্থাপন করতে পারলে তার পেছনে আরো অনুসারী শিল্প আসে, আরো পরিষেবার সুযোগ তৈরী হয়, এটা প্রায় সব ইকোনমিস্ট মেনে নিয়েছেন, এই কারনেই অমর্ত্য সেন মহাশয়ও সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানাতে সায় দিয়েছিলেন। এর পরেও কেউ যদি এটা সর্বজনগ্রাহ্য তথ্য হিসেবে মেনে নিতে না চান, তো হয় অভিধান থেকে এক্সটার্নালিটি কথাটা বাদ দিতে হয়, নাতো মিথ্যেবাদী কথাটা বাদ দিতে হয়।
  • siki | 69.164.108.255 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ১০:২৭615395
  • হিজিবিজবিজ বা সিঙ্গুর বা মেঘনাদ বা হোয়াটেভার,

    এটা সিঙ্গুরের টই নয়, জয়িতাকে নিয়ে লেখার টই। সিঙ্গুরের টইতে গিয়ে বক্তব্যটা আরেকবার লিখুন, জবাব দিচ্ছি। আর দয়া করে একটা কনসিস্টেন্ট নাম নিন, বক্তব্য চালাতে গেলে দশরকম নামে একজনকে অ্যাড্রেস করাটা একটু চাপ হয়ে যাচ্ছে।
  • জয়েন্ট ফেক | 56.23.68.178 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ১০:৪২615396
  • এই রে! 'জয়েন্ট ফেক' নাম নিলে চলবে? তাহলে আমাদের দ্শজনকে এক নামে অ্যাড্রেস করতে কিছু সুবিধে হতে পারে। (দশ একটা উদাহরণ মাত্র, সঠিক হতেও পারে, নাও হতে পারে)

    আর এই টইতে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ টেনে আনার জন্য দুঃখিত।
  • জয়েন্ট ফেক | 208.7.62.204 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ১০:৫০615397
  • ইয়ে, আইপিটাও কি এক রাখতে হবে? মানে যেটা এখানে দেখায়, সেইটে। মাঝেমাঝে আইপি বদলালে অসুবিধে নেইতো?
  • siki | 69.164.108.255 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ১১:০১615398
  • এখন যেটা করছেন, তাকে বলে এঁড়ে তক্কো। এঁড়ে তক্কে আমি নেই, আর খুব দরকার না পড়লে আমি আইপি দেখি না। যদিও আইপি পাল্টানোর খেলা আমিও অল্পস্বল্প জানি।

    আর কিছু বলতে চান?
  • . | 103.115.84.195 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ১১:০৫615399
  • ওমা আইপি পাল্টানোর খেলা তো সবাই জানে, এটা আবার বলার কী হলো?
  • PM | 233.223.152.13 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ১১:২০615400
  • মেল আইডি পেলে অ্যাস্টেরিক্স পাঠাতে পারি, বাংলায়।

    পাই, সুনিলদার দোকান কি উল্টোডাঙ্গায় SONY শো রুমের সামনের ফুট্পাতে? তাহলে চিনি
  • Sibu | 183.60.205.153 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৪৬615401
  • siburay জিমেল।

    থ্যাংকু পিএম।
  • pi | 118.22.232.92 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ১৬:৪২615402
  • পিএমদা, হ্যাঁ।
  • কালপুরুষ | 59.136.254.14 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ২১:২৪615403
  • নিয়ামত শেখ-এর বাড়িতে ঈদ-এর নিমন্ত্রন ছিল।পেশায় দিনমজুর এই ভদ্রলোক আমাকে এক মাঝরাতে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন।তার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।মাটির বাড়ি।সাকুল্যে দুখানা ঘর।তাঁতির বেড়া দেওয়া শৌচাগার।নিজের কল নেই।পাশের পুকুর ভরসা।তার গ্রামে ঢুকতে সরকারী প্রকল্পের পিচ রাস্তা শুরু হয়েছে।শুনলাম এটা নাকি গতবছর তৈরী হয়েছিল।তা এবছর যা দেখলাম তা হল অসংখ্য ছোট বড় গর্ত,কোথাও কোথাও হাল্কা পিচের দেখা।কতটাকা মারা হয়েছে তার আনুমানিক হিসেব করছিলাম।পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র একই নিদর্শন।সরকারী প্রকল্পের টাকা কিভাবে নয়ছয় হয়,তা দেখে খুব খারাপ লাগে।যেকোনো রাস্তা বা অন্য কোন নির্মাণে ১০% কন্ট্রাকটরের প্রফিট হিসেব করে রেখে টাকা বরাদ্দ করা হয়।এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার বলছিলেন যে বরাদ্দ টাকার ৭৫% যদি ঠিকমত ব্যয় করা যায়,তাতেই নির্মাণ খুব মজবুত হওয়া উচিত।কিন্তু,আদতে কাজ হয় ৬০-৬৫% টাকার।কোনো ক্ষেত্রে তার থেকেও কম।বাকিটা ভাগ হয়ে যায় অসাধু ইঞ্জিনিয়ার,রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে।
    নিয়ামত শেখের মেয়ে রুবিনা ক্লাস সিক্সে পড়ে।তার সাথে আড্ডা হচ্ছিল।ঈদের ছুটি মাত্র দুদিন বলে স্কুল মাস্টারদের উপর তার খুব রাগ হয়েছে।তার বক্তব্য পাঁচদিনের দূর্গা পূজোতে যদি একমাস ছুটি দেওয়া যায়,তাহলে ঈদে তো পাঁচদিন ছুটি দেওয়া যেতই।বক্তব্যটা আমার কাছে খুব একটা অযৌক্তিক লাগেনি।রুবিনা’র আরো অভিযোগ স্কুলের দিদিমণি’দের প্রতি।তারা নাকি ক্লাসে ঠিক করে পড়ান না।শুধু বকেন আর বলেন তোদের দ্বারা কিস্যু হবেনা।গ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থা অবহেলিত হওয়ার পিছনে এটা একটা বড় কারণ।এক শ্রেণি’র শহুরে শিক্ষক আছেন,যারা এই দরিদ্র অশিক্ষিত গ্রামবাসীদের খুব অবজ্ঞা করেন।এক বয়স্ক শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন যে “ক্লাসে গিয়ে কি পড়াবো?কেউ কিচ্ছু শিখে আসেনি।কমা,সেমিকোলন কি জিনিস তা জানেনা।আসলে বুঝলেন তো গার্জেন সচেতন না হলে কিছু হয়না”।
    আমি বললাম, “যার বাবা ১৩০ টাকার দিনমজুর,তার গার্জেন সচেতন হবে কি করে?তার তো দিন চালানোই দায়।আর মেনে নিলাম যে সে হয়ত প্রাইমারী থেকে কিছু শিখে আসেনি।কিন্তু সরকার থেকে তো আপনাকে মাসকাবারি তিরিশ চল্লিশ হাজার বেতন মুখ দেখে দেওয়া হয়না।আপনি এদেরকে ধরে শেখান।সব স্তরেই যদি আগের দোষ ধরে কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় তাহলে কি করে হবে?”
    শিক্ষকটি আমার সাথে আর বাক্যালাপ করেন নি।প্রান্তিক মানুষদের প্রতি একশ্রেণি’র শিক্ষিত সচ্ছলদের এই অবজ্ঞামূলক দৃষ্টিভঙ্গি বরাবর দেখে আসছি।
    দাওয়াতে মাদুর পেতে বসে ‘সিমাই’ খাচ্ছিলাম।স্বর্গীয় স্বাদ।নিয়ামত দা’র কাছে এলাকার রাজনৈতিক বর্ণনা শুনছিলাম।সিপিএম কংগ্রেস হানাহানিতে নাকি এলাকায় চায়ের দোকান,মাচা সব ভাগভাগি হয়ে গেছে।লাস্ট পঞ্চায়েত ভোটে সতেরো জন আহত,একজনের হাত কাটা গেছে।সাহিনা বৌদি দুপুরের ভাত খেয়ে যাওয়ার জন্য খুব চাপাচাপি করছিলেন।কিন্তু,কলকাতা ফেরার তাড়া ছিল,তাই,পরের বার ভাত খেয়ে যাবো কথা দিয়ে ছাড়া পেলাম।রুবিনা’কে পুতুল দিয়ে এলাম।জল-কাদা ঠেলে ফেরার পথে চোখে পড়ল হাইরোডের কাছে বিশাল ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুল।নিয়ামত দা বলছিলেন যে তার মেয়ের এই স্কুলে পড়ার খুব সখ।গাড়িতে করে স্কুলে যাবে।জুতো পরবে।আমার দিকে তাকিয়ে ম্লান হাসলেন তিনি।দৈনিক ভ্যান চালিয়ে তার রোজগার খুব বেশী হলে দুশো টাকা।তাতে আর যাই হোক,স্বপ্ন দেখা চলেনা।
    নদীয়া’র এক ছোট্ট স্টেশনে বসে হেমন্তদা’র (নাম পরিবর্তিত) কথা হচ্ছিল।যেসব মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রান্তিক মানুষদের সংগঠিত করে যাচ্ছেন,হেমন্তদা তাদের মধ্যে একজন।রোগা পাতলা মানুষটি একসময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল ছাত্র ছিলেন।দামী কেরিয়ার হেলায় ছুঁড়ে ফেলে এক স্বপ্নের পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রায় আড়াই দশক হল।
    আচ্ছা,এমন একটা দিন আসতে পারেনা যেদিন রুবিনা’র মত সবাই জামা জুতো পরে একসাথে স্কুলে যাবে।সেখানে তাদের আর্থিক নিক্তিতে মেপে কেউ অবজ্ঞা করবেনা।সবার থালায় গরম ভাত থাকবে।কেউ অনাহারে,অপুষ্টিতে,বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেনা।
    হেমন্তদা হাসলেন।স্থির চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “উত্তরটা আমিও খুঁজে ফিরছি *******”।
    আমি নিতান্তই মেঠো মানুষ।কোনো ইজম টিজমের ধার ধারিনা।ক্ষিদের কাছে কোনো ইজম চলেনা।বিহারে যারা রণবীর সেনার বিরুদ্ধে লড়েছিল,তারা বাঁচার তাগিদে অস্ত্র ধরেছিল। এই অসাম্যের দুনিয়াতে যখন কিছুতেই কিছু হয়না,তখন যুদ্ধে নামা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনা।সে যুদ্ধ কারুর কাছে সন্ত্রাসবাদ,কারুর কাছে বাঁচার আর অধিকার রক্ষার লড়াই।একদল লোক খেয়ে পরে খুব আরামে সারাজীবন কাটিয়ে যাবে।পৃথিবী’র যাবতীয় সম্পদের ভোগের-নিয়ন্ত্রণের অধিকার থাকবে তাদের উপরেই।আর বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে অনাহারে অপুষ্টিতে কাটিয়ে যাবে ।ভাগ্যের দোহাই দিয়ে তাদের বোকা বানিয়ে যাবে ক্ষমতাশালী স্বার্থান্বেষীরা।এই সরল সমীকরণটা কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা।
    আমার ট্রেনের ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল।আধ-সন্ধ্যায় মেঠো পথ ধরে হেমন্ত’দার আঁধারে হারিয়ে গেলেন।আমি চোখের সামনে শুধুই আঁধার দেখছিলাম।যদিও জানি,আগুন জ্বলছে।নিশ্চিতভাবে জ্বলছে।এই আপাত শান্ত মধ্যবিত্ত সুখের ক্ষয়াটে মায়াজালের নীচে ধিক ধিক করে জ্বলছে ক্ষোভের আগুন।
    জ্বলুক।সব পুড়ে খাক হয়ে যাক।ছাই থেকে জন্ম নিক নতুন পৃথিবী।
  • ফিনিক্স | 56.23.68.178 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ২২:৪৯615405
  • কালপুরুষদা, ধরুন কিছু মাওবাদী যুদ্ধে নেমে মাইন পেতে কয়েকটা পুলিশের জিপ ওড়ালো, কয়েক্জন কনষ্টেবলও মারা পড়্ল। ঐ কনষ্টেবলদের কারুর নাম হয়তো আসিফ, কারুর নাম হয়তো আতিফ। ওরা বেশীরভাগ কিন্তু নিম্নবিত্ত বা দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। ওরা পুলিশে চাকরী করতে এসেছে কিছু টাকা মাইনে পাবে বলে, অন্য কোন কারণে না। ওদের কারুর বাড়িতে রুবিনার মতো ছোট্ট মেয়ে আছে, অনেকেরই বাড়িতে মা-বাবা-ভাই-বোন আছে। থাকতেই হবে, কারণ পুলিশের উর্দি খুলে ফেল্লেই তো ওরাও মানুষ! তা মাওবাদীরা এই যে যুদ্ধে নেমে পুলিশ মারছে, অনেক সাধারণ লোককেও মেরে ফেলছে কারণ তারা নাকি পুলিশের চর, এতে করে কি অসাম্যের দুনিয়াতে কিছু লাভ হচ্ছে?
  • কালপুরুষ | 59.136.254.14 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ২৩:২৫615406
  • ফিনিক্স,মাওবাদী'দের লড়াই অনেক জায়গাতে পথ হারিয়েছে।আপনি যে জায়গা গুলো উল্লেখ করলেন,সেগুলো তাদেরই মধ্যে পড়ে।আমি বিশ্বাস করি যে কটা নিরীহ পুলিস মেরে বিপ্লব আনা যায়না।অনেক জায়গাতে মাওবাদীরা সন্ত্রাসের পথ বেছেছে বা বেছেছিল সাম্প্রতিক সময়ে যা আমি কোনোকালেই সমর্থন করিনি।কিষেনজী শাসক বিরোধিতা করতে গিয়ে এমন কিছু পথ নিয়েছিলেন যা তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদিত ছিল না।ক্ষমতার তত্বে বলে,যারা শাসকের অন্যায়ের বিরোধিতা করছে,তারাই যখন ক্ষুদ্র শাসকে পরিণত হয়,সেই অন্যায়ের ভাইরাস তাদের মধ্যেও প্রবেশ করে।
    অনেকে আমাকে মাওবাদী ভাবে।সেটা ভুল ধারণা। আমি কোনো বাদ-এই আস্থা রাখিনা।আমি শুধু জানতে চাই এই অসাম্যের প্রতিকার কোথায়?যেহেতু,মাঠে ঘাটে ঘুরি,তাই অনেক ঘটনা চোখে পড়ে।তখন খুব রাগ হয়।আপনাকে উদাহরণ দিলে বুঝতে পারতেন যে এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে যেখানে হাতে অস্ত্র না তুললে ন্যায় বিচার দুরস্ত,বাঁচা মুশকিল হয়ে যায়।
  • পাখি | 208.7.62.204 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৫২615407
  • কালপুরুষদা, উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। আপনার পোষ্টটা পড়তে ভীষণ ভালো লাগলো, আর প্রতিটি লাইনের সাথে একমত হলাম। আমারও মনে হয় একটা দ্ল কখনো সন্ত্রাসের পথ বেছে নিতে পারেনা, কারণ বদলার রাজনীতি কোন রাজনীতি নয়।

    কিন্তু আমাদের চারিদিকে অজস্র অন্যায়, ছোটবড়ো, প্রতিদিন ঘটছে, এই জায়্গায় আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আর এর মধ্যে অনেক ঘট্না এমনি যে হাতে অস্ত্র তুলে না নিলে সত্যিই বাঁচা দুষ্কর হয়ে ওঠে। তবুও, আমার মনে হয় বিশেষ পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তির অস্ত্রধারণ যদিও বা সমর্থ্ন করা যায়, একটি দলের অস্ত্রধারণ সমর্থন করা যায়্না। আর আমি সামগ্রিকভাবে যেকোন ম্রিত্যুদন্ডের বিরোধী। যাইহোক, বর্তমান অসাম্যের ব্যবস্থা একদিন না একদিন ভেঙ্গে পড়বেই, হার মানলে চলবেনা।
  • * | 208.7.62.204 | ১০ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৫৮615408
  • মৃত্যুদন্ডের
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.42.66 | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০০:৩৩615409
  • তা অসাম্য কি করে ভাঙ্গবে শুনি? প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ন্যূনতম আর সর্বোচ্চ আয়ের অনুপাত বেঁধে দেওয়া উচিত।
  • কাল্পুরুষ | 59.136.254.14 | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০০:৩৬615410
  • আমি সমস্যাটার গোড়াটা বুঝতে চাইছি।আমি জানতে চাইছি যে গোটা বিশ্বে যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশী খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়,তাহলে এত মানুষ না খেয়ে থাকে ক্যানো?বন্টন ব্যবস্থায় গোলমালটা কিসের?

    Socialism: An Economic and Sociological Analysis এই নামের একটা বই পড়ছিলাম।লুডউইগ ভন মিশেজ এর লেখা।ভালো আলোচনা।
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.42.66 | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০০:৪১615411
  • সবাই যদি সহজেই দুবেলা পেট ভরিয়ে ফেলে তাহলে কি তারা অন্যান্য জিনিস চাইতে আরম্ভ করবেনা?
  • Sibu | 183.60.205.153 | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০০:৪৯615412
  • ফন মিসাস মানে লিবারটারিয়ান, অস্ট্রিয়ান স্কুলের জনতা? আমাদের রিপাবলিকান লিবারটারিয়ানদের গুরু?

    শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।
  • ্কালপুরুষ | 59.136.254.14 | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০০:৫৪615413
  • আমার মনে হয়,প্রত্যেকের খাদ্য,বাসস্থান,শিক্ষা আর চিকিৎসা সংক্রান্ত নিশ্চিত সুরক্ষা থাকা উচিত।এটা অন্য তর্ক হতে পারে যে এগুলি নিশ্চিত হলে সে খাটবে ক্যানো?সেক্ষেত্রে শ্রমের অধিকার কে মান্যতা দিতে হবে।প্রত্যেককে নির্দিষ্ট সময় শ্রম দিতে হবে।সঠিক সিস্টেম টা কি হবে তা নিয়ে আরও তর্ক এবং আলোচনা দরকার।কিন্তু,মানুষের খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা আর চিকিৎসা সংক্রান্ত সুরক্ষা দরকার।
  • কালপুরুষ | 59.136.254.14 | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০১:০২615414
  • আজ্ঞে হ্যাঁ।উনি Austrian School of economic thought এর শীর্ষব্যক্তিত্ব।
  • Sibu | 183.60.205.153 | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০১:১০615416
  • দুটো উদাহরণ দেই।

    এক হল, অনেক ইউরোপীয়ান দেশেই সোশ্যাল সেফটি নেট বেশ স্ট্রং। আমি একবার সুইডেনে উমিয়ো বলে একটা ইউনিতে চাগরী পেয়েছিলাম। ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে দেখি আর্কটিক সার্কেলের কাছে ঐ রকম ছোট শহরেও অনেক লোক সেফটি নেটের ওপর নির্ভর করে থাকে। আমি যেহেতু ততদিন শুধু আমেরিকান সিস্টেমই দেখেছি, আমি ভাবলাম এরা নিশ্চয়ই শীতকালে দলে দলে মারা যায়। ডিপার্টমেন্টের এক প্রফেসর বললেন এদের মাসিক আয় (সেফটি নেট থেকে) খুব খারাপ নয়। একজন পোস্ট ডকটোরাল ফেলোর সমান, এমনকি কিছু বেশী। তাহলে ইউরোপীয়ানরা কাজ করে কেন? আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ইউরোপীয়রা আম্রিকানদের থেকে মোটেই খারাপ কাজ করে না।

    আর একটা উদাহরণ হল খুব বড়লোকেরা। তাদের তো খাদ্য ইত্যাদির অধিকার সুরক্ষিত। তারা কাজ করে কেন?

    এ নিয়ে আমার একটা ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু তার আগে আপনার কথা শুনি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন