এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অরবিন্দ কেজরিওয়ালঃ আবার আশাভঙ্গ নাকি অনেক দিনের সযত্নে লালিত স্বপ্ন কে চুঁয়ে ফেলা ?


    অন্যান্য | ১২ জানুয়ারি ২০১৪ | ১৮১৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:২৩629785
  • একক, সেই সেফটি ভালভ থিয়োরি তো ? হ্যাঁ, লোকে যখন ঐ পয়েন্টটা তোলে, তখন আমার ঐ ট্রেড ইউনিয়নের কথাই মনে হয়। সেভাবে দেখতে গেলে প্রায় সব কিছুই সেফটি ভালভ।
  • π | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:২৭629786
  • 'কংগ্রেস বললেই যেমন মধ্যপন্থী রাজনীতি, ডানদিকের অর্থনীতি, আর গান্ধী পরিবারের নেত্রৃত্বে একটি হাফ ফিউডাল খিচুড়ি মাথায় আসে। বিজেপি বললেই যেমন সঙ্ঘ পরিবার আর রামমন্দির মনে আসে। এসব ডকুমেন্টেড নয়, কিন্তু কোনটা কি, এক কথায় এই ভাবেই তো রিলেট করি আমরা। আপ বলতে কিন্তু কোনো ছবি মাথায় আসেনা। '

    মামু, আপ বলতেও তো অ্যান্টি-করাপশন ... লোকজনের কাছে এই ছবিটাই মাথায় আসে।

    তবে এই ভালো কাজ নিয়ে 'আম আদমী' র নানাবিধ ও যে যার মতন পার্সপেক্টিভ ও 'আম আদমী পার্টি' র সেই নিয়ে কোন গাইডলাইন না থাকার ব্যাপারে একমত।
  • Sibu | 118.23.96.158 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:৫৪629787
  • কল্লোল | 111.63.141.46 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১১:৩৩629788
  • অক্ষ।
    আমি ফফাওয়ালা বহু এনজিও জানি যাদের কাজ কম্মে ফান্ডাররা নাক গলায় না। বড়জোর একটা কাজ যা আগে তারা করতো না সেটা তাদের কর্মসূচীতে জায়গা করে নেয়।
    তামিলনাডুতে একটা সংগঠন (পিপলস ওয়াচ) সাধারণ মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করতো। ওরা একটা বিদেশী ফান্ড পায় ইস্কুলে (ক্লাস ৬,৭,৮)এ মানবাধিকারকে বিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা। ওরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে তামিলনাডু সরকারকে দিয়ে এই কাজটা করিয়েছে।
    আমরা মাসুম থেকে পবতে চেষ্টা করেছিলাম ২০০১ সালে। করতে পারা যায় নি।

    সেফটি ভাল্ভ? সে তো অনেক কিছুই। পাই যেমন বললো ট্রেড ইউনিয়ান?
    খারাপ ও ধান্দবাজ এনজিও। খারাপ ও ধান্দবাজ রাজনৈতিক দলেদের জন্য সব রাজনৈতিক দলকেই ওরকম ভাবতে হবে কি?
  • Ekak | 132.167.131.217 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১১:৩৫629789
  • পাই
    হ্যা , বড় ক্ষমতার কাছে ছোট ক্ষমতা তাই । সেই কারণেই অনেক এনজিও পার্পাস্ফুলি কখনো বড় অনুদানে যায়না । পাঁচ জায়গা থেকে ছোট মাঝারি নিয়ে একটু কম স্বচ্ছল ভাবে চালায় । হারিকাঠে মাথা গলিয়ে দিলে কাটা যাবেই , সে হারিকাঠের পোশাকি নাম থিওরি হোক বা থিসিস :) কতটা বড় হব এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বৈকি ।
  • Ekak | 132.167.131.217 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১১:৫৪629790
  • কল্লোল দা

    বড় হওয়া কোথাও আটকাতে হয় । আমার পরে ভুবনের ভার আছে ভেবে নিলে অন্তিমে ভুবনের মাসি হতে হয় ...........এসব তুমি আমাচ্ছে অনেক ভালো জানো :) এটা সবকিছুর ভালো-খারাপ আছে র ব্যাপার না ।
    সবচে বড় কথা মানুষকে নিয়ে যে কাজ তার সিংহভাগ ফান্ডিং যদি একাধিক মানুষের মধ্যে থেকেই না আসে কিভাবে আশা করব যে কাজটা করার জমি সমাজে তৈরী হয়েছে ? সেখানে তো ইমপ্লিমেন্ট করেই ফেইল করতে পারে । সব মানুষকে জোটানো এবং সবার কাছে হাত পাতা একটা প্রসেস যার মধ্যে দিয়ে এটাচমেন্ট আসে । এই জমি টা তৈরী না করে আকাশ থেকে ফান্ড এনে সমাজের মধ্যে কাজ করা একেবারেই ঠিক এপ্রোচ মনে হয়না । এক কোটি টাকা একটা সোর্স দিতেই পারে মাত্র ছমাস তদ্বির করে । কিন্তু ওটাই দুবছর চারবছর ধরে প্রচুর মানুষকে জুটিয়ে তুলে আনলে টাকার সঙ্গে সঙ্গে যেটা পাওয়া যায় সেটা কাজের ভিত , কমিটমেন্ট , আন্দার্স্তান্দিং ,আরও পোক্ত আইডিয়া । আলটিমেটলি তো মানুষ দরকার ,টাকা নয় । বড় ফান্ডিং এর পেছনে ছোটার এটা একটা ভীসন দুর্বল দিক বলেমনে হয়েছে ।
  • কল্লোল | 111.63.141.46 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:১০629791
  • একক।
    আমি তো বড় ছোট নিয়ে কিছু বলিনি। ফফা নিয়ে বলেছি। বড়-ছোট নিয়ে তুই আমার মত ভালোই জানিস। বিদেশী ফান্ড নিলেই সে এনজিও বড় হয়ে যায় না। যাদের "বড়" হতে ইচ্ছে, তার বড় হবে। তাদের নিয়ে তো কথা হচ্ছে না।
    বললামই তো। ভালো ও খারাপ এনজিও, রাজনৈতিক দল, মানুষ সবই আছে। তো?
    বিদেশ থেকে ফান্ড পেলেই গন্ডোগোল - এটা একটু ভূত দেখা গোছের।

    তাপস।
    আপনার ফান্ডেড এনজিও নিয়ে এপিডিআর কিস্সা পড়ে বহু পুরোনো কথা মনে পড়ে গেলো।
    যোগাযোগ করলে আড্ডা মারা যাবে। আমার ফোং ০৯৯০২৯৮৯৭৬৪।
  • Ekak | 24.99.20.51 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:২৩629792
  • কল্লোল দা
    হ্যা , পার্টিকুলারলি "বিদেশী " শব্দ টার প্রতি এলার্জি আমারও নাই । সিঙ্গল সোর্স বিগ ফান্ডিং এর প্রতি আছে । কোনো আদর্শের ব্যাপার না । মানুষকে সামাজিক কাজে ইনভলভ করা একটা লং প্রসেস ।সেটা টপকে তার "ভালো " করা সম্ভব নয় ।তাই । ওপর থেকে ভালো করায় বিশ্বাস করিনা ।
  • π | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৩:৪০629795
  • ভালো করা হিসেবে দেখব কেন ? মানুষের যা অধিকার সেটা না পাওয়াটা সিম্পলি ইনজাস্টিস, সেই পাওয়াটা এনশিওর করার জন্য কিছু কাজ করা, এভাবেই ভাবা যায়। এবার সেই এনশিওর করার জন্য নানা পথ থাকতে পারে, কখনো নির্মাণ, কখনো সংঘর্ষ।
  • jhiki | 190.214.233.91 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৩:৪৮629796
  • একককে ক।
    'লোকহিত' মনে পড়ে গেল।
  • Ekak | 24.99.97.82 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৫:৩২629797
  • মানুষের অধিকার ঠিক করছে কে ?
    ধর , ফ্রীদম অফ স্পিচ তোর অধিকার । এবার প্রতিটা অধিকারের বাউন্ডারী কন্ডিশন হয় । কতটা আমি পাবো ,কতটা অন্যকে দেব । এই কনসাসনেস যদি গ্রো না করেই জাস্ট অধিকার হিসেবে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কি হবে ? ঠিক হবে ?
    একদম পারসনাল অভিজ্ঞতা থেকে বলছি বন্যাপীড়িত অঞ্চলে খাবার দিস্ত্রিবিউত করার সবচে বড় সমস্যা ওই দিস্ত্রিবিউত করাটা । খাবারের যোগান নয় । আমার কাছে কুড়ি বস্তা চিড়ে আর দু বস্তা গুড় আছে । নিয়ে গিয়ে একটা জায়গায় রেখে বলব নাও এবার যে যার অধিকার বুঝে নাও । ফল কি হবে ? পশু সমাজের প্রতিফলন দেখা যাবে । বৃদ্ধরা কোনো খাবার পাবেনা । শিশু রা পাবে যদি বাড়ির লোক মাইক্রো ম্যানেজ করে ।নইলে সেখানেও বড় বাচ্চা তা পাবে । ছোটরা পাবে না ।

    মানুষের অধিকার একটা বিশাল এবস্ট্রাক্ট শব্দ । যে মানুষ জানেই না তার অধিকার কি এবং কতটা পূরণ করা সম্ভব লিমিটেড রিসোর্স এ দাঁড়িয়ে তার অধিকার পূরণ করা কোনদিন সম্ভব নয় । অধিকার এন্শীয়র করতে গেলে আগে যার অধিকার এন্শীয়র করা হচ্ছে তাকে জানানো দরকার তুমি কতটা পেতে পার । হাউ মাচ ইস ইউর শেয়ার । আমি একটা বস্তি তে গেলুম ।টাকা আছে তাই অসুধ খাবার ছড়িয়ে দিলুম । এদিকে সেই বস্তির পাশের বস্তি তেই আরও খারাপ কন্ডিশন । এই বস্তির লোকেরা নিজেরা জাপেলো ভোগ করলো । এটা কি অধিকার এন্শীয়র করা হলো না স্পয়েলিং ??

    সিম্পলি ইনজাস্টিস বলে কিছু হয়না । ইনজাস্টিস ইস দ্য মোস্ট কমপ্লেক্স থিং । সেই চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়ায় যখন তাকেও সামিল করা হয় । যখন দুবেলার ভাত দিয়ে বলা হয় দেখো পাশের লোকটাও না খেয়ে আছে । এবার ভাব একা দুবেলা খাবে নাকি দুজনেই কম করে । ইউ কান্ট এন্শীয়র আনলিমিটেড রিসোর্স । দ্য অনলি থিং ইউ ক্যান এন্সীয়র ইস দ্য কনশাসনেস অফ রিসোর্স দিস্ত্রিবিউশোন । এইজন্যেই যে কোনো অধিকারের লড়াই পিরামিডল ওয়ে তে করা যায়না । জমি তৈরী করতে হয় যাতে তারা নিজে অধিকার ভাগ করে নেওয়া শেখে । জাস্টিস ইনজাস্টিস সম্বন্ধে যে জানেই না বা জানার মত ম্যাচিওরিটি তে পৌছায় নি তার অধিকার বলে কিছু নেই । খিদে আছে । খিদে পারসনাল ওয়ার্ড । অধিকার সামাজিক ।
  • a x | 138.249.1.202 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২০:১৮629799
  • একক বেসিকালি আমার যা বলার ছিল সেটা বলে দিয়েছে।

    পাই, কোন পার্টিকুলার কর্মসূচী এই ডোনার বেসডের জন্য ফান্ডেড না হলে, এবং সেইভাবেই হতে থাকলে সেটা আল্টিমেটলি সেই সংস্থার সমগ্র কার্যসূচীকে প্রভাবিত করবে। ঐ পার্টিকুলার কাজটা তো ফান্ডেড হলনা, কাজেই সেক্ষেত্রে ফরেন ফান্ড নেই, প্রশ্নটা সেখানে না। আর হপকিন্স, মেরিল্যান্ড, বোস্টন এখানে এইড অনেক বেশি প্রোগ্রেসিভ কাজ কর্ম করে। ফিনিক্স, হিউস্টন, এসব জায়গায় প্রবলেম - তার মূল কারণ এই জায়গার ডোনার কারা তারা। ধরা যাক কোলকতার বস্তির বাচ্চাদের সন্ধ্যের স্কুলের কর্মসূচী ফান্ডেড হবে। কিন্তু পস্কোর আন্দোলনে যে বাচ্চারা, তাদের গ্রাউন্ডে বসে পড়াশোনা করানোর কর্মসূচী ফান্ডেড হবেনা। এইগুলো তো কোনোভাবেই রাজনীতির উর্দ্ধে যাচ্ছেনা এবং আস্তে আস্তে ডোনার বেস দ্বারা শেপড হচ্ছে।

    কল্লোলদা, এনজিও খারাপ ও ধান্দাবাজ এটা কোথায় বললাম? উইথ অল গুড ইন্টেনশন, কীভাবে প্রভাবিত হতে পারে ডোনার বেসের জন্য, আমি তো সেকথা বলছি। আর ট্রেড ইউনিয়ান কীভাবে সেফটি ভাল্ভ হয় তা পুরো মাথার উপর দিয়ে গেল। এবং ট্রেড ইউনিয়ানই কেন, অন্য ইউনিয়ান নয় কেন? প্যারামিটার্সই বুঝছিনা।
  • ঈশান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০১:৩৪629800
  • ওসব প্রেশার থাকবেই। যে ডোনেট করবে, সবসময়েই তার অ্যাজেন্ডা থাকবে। এক্সপ্লিসিট না হলেও ইমপ্লিসিট প্রেশার থাকবে। পরের বছর ফান্ডটা পাব তো? ইত্যাদি।

    কিন্তু সে শুধু বিদেশী ফান্ডের জন্য কেন, যেকোনো টাকা তোলার জন্যই প্রযোজ্য। দশটা লোক যদি টাকা দেয়, ব্যক্তিগতভাবেও দেয়, টাকা বা শ্রম যাই হোক, তারাও নিজেদের অ্যাজেন্ডা এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবে। প্রেশারও ওই একটাই। এরা কালকে আবার টাকা/শ্রম দেবে তো?

    এই সব প্রেশার নিয়ে ব্যালেন্স করে চলাটাই তো রাজনীতি। সমর্থন জোটানো, টাকা জোটানো, নিজেদের অ্যাজেন্ডার দিকে চ্যানেলাইজ করা, অন্যকে অ্যাকোমোডেট করা বা প্রয়োজনে না করা, এই সব মিলিয়েই চলা। এই চ্যালেঞ্জটা না নিলে আর রাজনীতি কেন, বাড়িতে বসে ভাট দিলেই হয়।
  • ঈশান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০১:৪৪629801
  • আর ট্রেড ইউনিয়ন তো একরকম করে সেফটি ভালভই বটে। শ্রমিকরা খুব অভাবে থাকলে বিপ্লব করত, কিংবা নিদেন পক্ষে সরকার বদলাতো। ট্রেড ইউনিয়ন দর-কষাকষি করে তাদের কিছু সুযোগ সুবিধে "পাইয়ে" দিল। ক্ষোভ প্রশমিত হল। তারা আর ব্যবস্থা/সমাজ বদলানোর জন্য ফুঁসে উঠলনা।

    চারুবাবু এরকম করেই দেখেছিলেন। উল্টো করেও দেখা যায় অবশ্যই। ট্রেড ইউনিয়নে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার লড়াই শেখা হয়। প্রশাসন চালানো অভ্যাস হয়। যেগুলো বৃহত্তর অধিকার আদায়/নতুন সরকার চালানোয় কাজে লাগে। এই ভাবে লেনিন দেখেছিলেন।

    এনজিওও তাই। একরকম করে দেখলে কল্যাণমূলক কাজ হল সেফটি ভালভ। আবার অন্যরকম করে দেখলে ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগে। টুকরো টাকরা কাজকম্মো কিছুই যায়না ফেলা।
  • Ekak | 132.166.93.230 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০১:৫০629802
  • জেনেশুনে একটা পয়েন্ট থেকে বেশি পুঁজি নেওয়া কতটা দরকারী রাজনীতি । ব্যালান্স তো নিজেই ঘাঁটছি ।উদাহরণস্বরূপ খেটেখুটে সারা কলেজের টিচার স্টুডেন্ট থেকে টাকা তুলে অনুষ্টান করা আর প্রিন্সিপালের বা সেক্রেটারির থেকে (সেউ একরকম খেতেখুতেই ) একটা মোটা চাঁদা নিয়ে কাজ নাবানো দুটো কি এক রাজনীতি । রাজনীতি তো আরও বেশি লোককে সামিল করার জন্যে । ফান্ড সার্কিটে /এইট্টি জি তে/ তদ্বির তদারক এ ডুবে যাওয়া রাজনীতি টা পিরামিড প্রসেস তো । যাদের জন্যে কাজ র্তাদের লিস্ট ইনভলভমেন্ট । করার চে বাড়িতে বসে ভাট দিলে সত্যি ভালো বলেই মনে হয় ।
  • π | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:২৪629803
  • কোনটা বেশি কোনটা কম ? সেটা কে ডিফাইন করবে ?

    আর ফাণ্ডিং যারা করছে ( যাদের থেকে কোনো এন জি ও হয়তো 'বেশি' পুঁজি পাচ্ছে) , অনেক ক্ষেত্রেই তারাও খেটেখুটে অনেক লোকের থেকে অনেক পরিশ্রম করে টাকা জোগাড় করছে। সেটাও লোককে শামিল করার একটা প্রসেস।
  • ঈশান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:২৬629804
  • একেবারেই ফান্ডিং মানে ফান্ড সার্কিটে ডুবে যাওয়া না।

    একটা ছোট্টো উদাহরণ দিই। এটা একটা এনজিওঃ http://www.pratham.org । বিপুলায়তন। বিশদ বর্ণনা দিলাম না, সাইট ঘাঁটলেই পাওয়া যাবে।

    এদের সঙ্গে অনেকের নানাপ্রকার কোলাবরেশন আছে। তার মধ্যে পুওর ইকনমিক্স খ্যাত অভিজিত বিনায়ক মজুমদারের পভার্টি ল্যাব একটি। ল্যাব এদের সাহায্যে নানা স্টাডি করেন, সেগুলো নানা জায়গায় পাবলিশড হয়, বিনিময়ে কিছু ফান্ডিং আসে। তাতে করে কাজকর্মের আরও বিস্তার এবং মার্কেটিং (হ্যাঁ মার্কেটিং হয়)। তাতে করে এদের অপারেশন ক্রমশঃ বেড়েছে এবং বাড়ছে।

    এবার কেউ বলতেই পারেন, এবং বলেনও, এসব ঝুট ঝামেলা করে সারা ভারত জুড়ে কাজকর্ম করার কি দরকার ছিল। তার চেয়ে লোকের থেকে চাঁদা তুলে তিরিশটি বাচ্চাকে পড়ালেই তো চুকে যেত। সেটা একটা ফিলসফি ঠিকই, কিন্তু ওই নিরালম্ব বায়ুভূক ফিলসফিতে কোনো জিনিস বাড়েনা। প্রচার, স্থানীয় লোকেদের জড়ানো, অন্য ফান্ড নেওয়া, প্রচার, মার্কেটিং, সব লাগে। রাজনীতিতেও লাগে, এমনকি মাওবাদী রাজনীতিতেও লাগে, এনজিওতেও লাগে।
  • Ekak | 132.166.93.230 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:৪৬629806
  • রাজনীতিতে তো আপত্তি নেই । প্রথম থেকে তো সেটাই বলছি , বড় পুঁজি দিস্ত্রিবিউত রাজনীতি ছাড়া হয়না । এবার সামিল কারা হচ্ছে ? হচ্ছে বুঝছি সয়ে সয়ে লোক । দিনের শেষে সাহায্যকারী এবং সাহায্যপ্রাপ্ত দুই ভাগ । রাজনীতি আর এনজিও কি আলাদা । আলাদা হলে নতুন করে বোঝার কিছু দেখছিনা আর এক হলে সেটা কোন লেয়ারের লোককে সামিল করছে এট্টু বুঝে নেওয়া দরকার । বাড়ানো যদি উদ্দেশ্য হয় তার মাপকাঠি উপভোক্তা নিজে সিস্টেমের নির্ণায়ক হওয়া নাকি সাহায্যপ্রাপ্ত শ্রেণীতে পরিনত হওয়া । প্রথম রাজনীতি দুহাত তুলে স্বাগত ।সেটা করুক এনজিও । কিন্তু এক শতাংশ ক্ষেত্রেও তা হয়না । আসতে আসতে বাড়বে সেক্ষেত্রে সেটাই মনে হয় সমস্যা । মানুষ দেখতে চায় এক জীবনেই বেশ একটা কিছু হলো ।
  • Sibu | 84.125.59.185 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৭:০২629807
  • এইটে কেউ ভেরিফাই/রেফিউট করতে পারেন? আআপ বা যোগেন্দ্র যাদব সম্বন্ধে আমার কোন মোহ নেই। কিন্তু ওকে রেগন স্টাইল ট্রিকল ডাউন ইকনমিতে বিশ্বাসী বলেও কখনো ভাবিনি।

    http://www.firstbiz.com/economy/yogendra-yadav-subsidies-india-highly-inefficient-expensive-must-go-76871.html

    "Food subsidies should not be provided. Giving food directly to the person concerned is the most inefficient and expensive manner of serving the poor," the AAP leader said the IIFL investor conference.

    "The way to service the disadvantaged is not to even out poverty, social justice is about uplifting everyone by unleashing growth, encouraging manufacturing, good business practices and catching hold of the corrupt," he said.
  • PT | 213.110.247.221 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:১৭629808
  • কেজরিকে পরিত্যাগ করে আন্না মমতাকে কেন তোল্লাই দিচ্ছেন এই প্রশ্নটা এখানে রাখা যাবে?

    আমি ভাবছি যে কেজরি অন্তরে ঘোর বিজেপি-বিরোধী এবং সেটাই কেজরি-আন্না সংঘাতের মূল কারণ।
  • ঈশান | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:২২629809
  • আমারও সেরকমই মনে হয়। উফ কতযুগ বাদে পিটিকে ক দিলাম। :-)
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:২৮629810
  • আন্না পাগল হয়ে গেছে মনে হয়। এছাড়া আন্নার কেডি সিং এর হাত ধরে মমতার সাথে একাত্ম হওয়ার কোনো যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা পাচ্ছিনা।

    খুব রিমোট সম্ভাবনা যে কেজরির সাফল্যে আন্নার মাথা ঘুরে গেছে। আন্নার ধারনা কেজরি কেবল আন্নার নাম ভাঙিয়ে এতো ভোট হাতিয়ে নিয়েছে। সেই হাতিয়ে নেওয়া ভোট আন্না ছিনিয়ে নিতে চাইছে। ছিনিয়ে নিয়ে কাকে দেবে? লটারীতে মমতার নাম উঠেছে।
  • Sibu | 118.23.96.158 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:৩২629811
  • কেজরি এলিট, আর মমতা/আন্না সাব-অলটার্ন। এরকম একটা ব্যাখ্যা চলবে না?
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:৩৫629812
  • সব চলবে
  • Sibu | 118.23.96.158 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:৪০629814
  • ইয়ার্কি বাদ দিলে আমারও মনে হয় আন্না কেজরির ওপর পার্সোনালি খেরে গেছে সেটাই আসল কথা। নইলে মমতা বিজেপির দিকে ঢলবেই এমন কোন গ্যারান্টি নেই। পঃ বঙ্গের সংখ্যালঘু ভোট ছেড়ে দেবার রিস্ক নেবার আগে মমতা অনেক ভাববে।
  • সিকি | 158.195.135.17 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:৪০629813
  • সাব অল্টার্নের গল্প কিছুটা হলেও আছে। আন্না সত্যাগ্রহী টহী ঠিক আছে, কিন্তু লেখাপড়া জানি না কতদূর আছে। উনি দর্শনধারীতেই কাত হয়ে যান। গুণবিচারীতে যেটুকু মগজ লাগে ততটুকু তাঁর নেই। সাদামাটা জীবনযাত্রাই দেখেছেন হীরকরানীর, আর কিছু দেখতে বা বুঝতে পারেন নি, পবঙ্গের মিডিয়াও তিনি ফলো করেন না, আন্নার মফজ ধিকাই করা খুব একটা কঠিন নয়। কদিন আগেও যে লোক বলতেন আমি সমস্ত "রাজনৈতিক সংস্রব" থেকে দূরে থাকতে ভালোবাসি, আমার মঞ্চে যেন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি না বসে, কদিন পরেই দেখা গেল তাঁর মঞ্চে বিজেপির লোক, তার কদিন পরেই তিনি রাহুল গান্ধির মাধ্যমে কংগ্রেসের লোকপাল বিলে বিপুল সমর্থন জানালেন (এর মাঝে কদিন আগেই "রাজনৈতিক দল" গড়ার জন্য কেজরির সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে গেছে) আর আপাতত দেখা যাচ্ছে হীরকরানীকে প্রোমোট করার জন্য তাঁর পেছনে আন্না আদাজল খেয়ে লেগেছেন।

    সত্যাগ্রহ টহ করে যটুকু ক্রেডিবিলিটি অর্জন করেছিলেন, এই সমস্ত কাজকম্মো করে তিনি সমস্ত ক্রেডিবিলিটি হারাচ্ছেন। মমতা কোনওভাবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবে না, ওর থার্ড ফ্রন্টও ধুয়েমুছে যাবে ভোটের পরে পরেই, আর আন্নাকে কেউ মনে রাখবে না।

    আন্না ওয়াজ আ রং পিক বাই কেজরি।
  • PT | 213.110.243.21 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১০:১৩629817
  • উফ! সোরি মমতার হাত ধরে পরিবর্তন আনবে না জেনে বেজায় নিশ্চিন্ত হলাম!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন