এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • এক্সট্রা জুডিশিয়াল ইনটারফিয়ারেন্স দিয়ে কী ভারতবর্ষ কে লাইনে আনা সম্ভব ? কী মনে হয় ?

    একক লেখকের গ্রাহক হোন
    নাটক | ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ | ১১০৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১৪:০৫658067
  • বাধ্যতামূলক সুশীলগিরি - হা হা, এটা কিন্তু ভালো টার্ম হয়েছে একটা। গুরু কি নেবে এই কয়েনটা? বাসু? কিংবা বামূসুগি?

    গল্পগুলো এভাবেই শুরু হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। একক অনেকটা ঠিক - শুধু ঐ মাইকের আজানের কেসটা, ওটা সবদিকেই সমান। দিল্লিতে এলে দেখবে সময়বিশেষে সাঁই ভজনা বা মাতা শেরাওয়ালির জাগরণ চৌকির নামে কীভাবে সারারাত মাইকের তাণ্ডব চলে। হ্যাঁ, এটা ঘটে বছরে দুত্তিনবার, আর মাইকের আজান চলে বছরভর, এটা বলা যেতেই পারে।

    বাকি বক্তব্যের সাথে একমত। আমরা একটা অদ্ভূত ভণ্ড সমাজের মধ্যে বাস করি। বাচ্চাকে শেখাই, ডাক্তার, পুলিশ এরা সমাজবন্ধু, আর বাচ্চার সামনেই তাদের উদুম খিস্তি করি, দরকার মত হেঁহেঁ-ও করি। আমরা এই জগতের বিভিন্ন রংবেরঙের সানি-র মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠি, তারপরে নিজেদের মত রং চড়িয়ে সানির প্র্যাকটিস করতে থাকি। মুসলমান মানেই বাচ্চার বইতে এক বৃন্তে দুটি কুসুম, কিন্তু মজফফরপুরের দাঙ্গার খবর পড়ে বলি, শালা লেড়ের বাচ্চাগুলোর বড্ড বাড় বেড়েছিল। বাচ্চার বইতে পুলিশ সমাজবন্ধু, কিন্তু ঠিক জানি রাস্তার মোড়ে শুয়োরের বাচ্চাটা ওঁত পেতে দাঁড়িয়ে আছে, আমার গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও বাজে বাহানা দেখিয়ে দুশো টাকা খাবে। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের নামে ঘরে এসে দেড় হাজার টাকা নিয়ে যাবে শালা সমাজবন্ধুর বাচ্চা।

    চলতা হ্যায়।
  • একক | 24.99.91.201 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১৪:০৮658068
  • :)

    ঐরকম জায়গাতেই যদি ল্য এন্ড অর্ডার আনতে না পারেন তাহলে প্রচুর বিপদ আছে । জঙ্গি তৈরীর ঘেট হচ্ছে ওটা ! ওখানে একমাত্র আরেসেস পারে প্যারেড করতে । চাপে রাখতে । জোর ক্যাচাল লাগলেই ওখানে যারা পয়সাওয়ালা তারা ব্যবসা বাঁচানোর জন্যে দলে এসে যাবে । কে চায় নিজের ব্যবসা নষ্ট করতে । তারপর তলার লেয়ার সামলানো চাপ হবেনা ।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১৪:১৫658069
  • অবজার্ভেশনটা একেবারে সঠিক। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই যে জঙ্গীবাদী ঘেটো তৈরি হয়েছে, এর মূল কারণ হল এটাই, প্রশাসনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতে এই ঘেটোগুলো তৈরি হতে দেওয়া হয়েছে, বাকিদের ভয় পেতে শেখানো হয়েছে, এই ফিয়ার সাইকোসিসটা দিনে দিনে তৈরি করা হয়েছে। উল্টোদিকে শুধুই অক্ষম ভয় আর তা থেকে ঘেন্নার জন্ম হয়ে গেছে, দশকের পর দশক ধরে। সুশীলগিরি দিয়ে এই ভয় আর ঘেন্নার পাহাড় ভাঙা জাস্ট অসম্ভব। এই ঘেটোর আশেপাশে বাস করা মানুষজন এতদিন ধরে একটা কাউন্টার জঙ্গীবাদের জন্য অপেক্ষা করছিল, যাতে ওরা সাবস্ক্রাইব করতে পারে। আরেসেস সঙ্ঘ এই সাধারণ মানুষগুলোকে সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। এখন ভয়প্রদ ঘেটোর কাউন্টারে আরও ভয়প্রদ ঘেটো তৈরি হচ্ছে।
  • কল্লোল | 125.242.215.5 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১৮:৪৩658070
  • Name: ~L~ IP Address : 118.171.159.41 (*) Date:19 Jan 2015 -- 04:52 PM
    "তাঁর নিজস্ব আদর্শ ও পছন্দের রাজনীতি হিসেবে যদি কেউ রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্য............"
    ক্যাবাৎ। রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্য - বস্তুটি কি? আমি তো রাষ্ট্রের অবলুপ্তির মধ্য দিয়ে নৈরাজ্য কায়েমের কথা বলেছিলাম। তাতে লোকে বলছে আমি "রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের" কথা বলেছি। আমি কি অ্যাতোই ক্ষ্যারেক্টার্লেস!!!!

    পিএম। নোটাকে সমাধান হিসাবে না দেখার কথাই বলেছি। নোটা রাজনৈতিক দলেদের চাপে রাখার একটা উপায় মাত্র। যেমন বিভিন্ন এনজিও, মানবাধিকার সংগঠন, পরিবেশবাদী সংগঠন সরকারকে চাপে রাখে। ঠ্কিঠাক একটা সংসদীয় বিরোধী দলই এই কাজটা করতে পারতো। কিন্তু সেরকম কিছুর অস্তিত্ব না থাকলে - নোটাই হাথিয়ার।
    এখন, এই অনুভবটা ব্যাক্তি থেকে ব্যক্তিতে আলাদা হতেই পারে। তোমার মনে হতেই পারে বামেরা এই কাজটা করবে। তো বামেদের ভোট দাও। কে আটকাচ্ছে! আমার মনে হচ্ছে কেউই নয়।

    একক। পাল্টা ভয় দেখানো কোনদিনই সমাধান নয়। সেটা বহুবার প্রমানিত। আরএসএস যত বাড়বে উল্টোদিকে ইসলামী মৌলবাদও বাড়বে। এটা শুধু দুপক্ষের ধান্দাবাজির বিষয় নয়। বহু বহু মানুষের বিশ্বাসের প্রশ্ন। কেউ যদি মনে করে তার অস্তিত্ব বিপন্ন, তখন সে চরমপন্থার দিকে ঝোঁকে। এটা মানুষের স্বাভাবিক আত্মরক্ষা কৌশল। ফলে আমার মনে হয় না ওটা আদৌ কোন সমাধান।
  • শ্রী সদা | 190.151.42.96 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১৮:৫৯658071
  • নোটা নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই কিন্তু আরেসেস প্রসঙ্গে কল্লোলদাকে ক। একটা এক্সট্রিমিজম কে আরেকটা দিয়ে থামানো যায়না।
  • সিকি | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১৯:৩২658072
  • এবং এটার সাথেও আমি একমত। পাল্টা ভয় তৈরি করে ভয়ের সমাধান হয় না। আরেসেস সেই অর্থে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
  • dd | 132.172.76.166 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১৯:৩৪658073
  • বাপ্রে। একক ক্ষী সব লিখছে দেখুন।
  • a x | 138.249.1.206 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:০১658074
  • দেখছি তো। হায়! এই গুরুতেই শ্যামল এককালে কত গালি খেতেন ঃ-)
  • Arpan | 125.118.35.185 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:৫৪658075
  • শ্যামল আরএসেসকে কোনদিন সাপোর্ট করেননি।

    হ্যাঁ, গালি খেতেন, সেটা অন্য কারণে।
  • Arpan | 125.118.35.185 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:৫৭658077
  • আর একক যেটা বলছে সেই একই পথে ইওরোপ জুড়ে অ্যান্টি-ইসলামিক অ্যান্টি-ইমিগ্রান্ট ফার রাইট পার্টি জন্ম নিচ্ছে ও পপুলার হচ্ছে। ভারতে আরএসেসের প্রতি সমর্থনও এই গ্লোবাল কনটেক্স্টে অন্য মাত্রা পাচ্ছে।
  • ranjan roy | 24.97.253.31 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ২৩:৫২658078
  • না, এককের সমাধান আমার সমাধান নয়।
    কিন্তু একককে সম্মান করি। ও সিরিয়াসলি একটা ফেনোমেনন কে বিশ্লেষণের চেষ্টা করছে।
    একক কোন সংকোচ কর না। হয়ত বলতে চাইছ 'এতদিন মাটি কামড়ে থেকে' কি ছিঁড়লেন?
    আমিও নিজেকে একই প্রশ্ন করলাম। এই ভাষাতেই। উত্তর পেলাম-- একগাছিও না। কারণ আমি মাটি কামড়ে পড়ে থাকি নি। কারণ সেই ধক, সেই টেনাসিটি বা সেই বিশ্বাস হয়ত আমার নেই।
    কিন্তু একক, এই মাটি কামড়ে পড়ে থাকার সঙ্গে সোশ্যালিজমের কোন সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক আছে কোন ভিশনের, কোন বিশ্বাসের। তা যেমন সোশ্যালিস্টদের মধ্যে থাকতে পারে, তেমনি রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীর মধ্যে বা আর এস এসের মধ্যেও থাকতে পারে।
    হ্যাঁ, আমি প্রতিকূল অবস্থায় অমন মাটি কামড়ে পড়ে থাকা মানুষ দেখেছি। কেউ কেউ বাম, কেউ অতিবাম। কেউ সামান্য স্কুল-টিচার। কেউ ক্রিশ্চান মিশনারি। কেউ ডাক্তার। হ্যাঁ, বেশ কয়েকজন আর এস এস।
    হয়ত এতদিন নিঃশব্দে বিভিন্ন গণ সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করে আজ এই ফেনমেনাল সাকসেসের ছবিতে আর এস এস আমার বক্তব্যের জন্যে ভাল উদাহরণ। যেহেতু বিলাসপুরে অনিল জোশী এবং আরও কয়েকজনকে কাছ থেকে দেখেছি।
    আর ৬০ এর দশকের কথা ধরলে তৎকালীন সিপিএমের ( প্রাক্তন অগ্নিযুগের ) গণেশ ঘোষ ও সতীশ পাকড়াশি। কুষ্ঠরোগিদের মধ্যে কাজ করা ডাক্তার বাবা আমটে। রাজনান্দ্গাওঁ জেলায় সিপিআইয়ের প্রকাশ রায় ( যিনি তেভাগার সুন্দরবনের 'বিদ্যুৎ')। বিলাসপুরের ডঃ পুর্ণেন্দু ঘোষ। ডঃ সেন কে ঠিক এই দলে ফেলতে পারছি না। কিন্তু শংকর গুহ নিয়োগী ও স্বাস্থ্য আন্দোলনের ডঃ পুণ্যব্রত গুণ।

    খুব ছড়ালাম কি?
  • aranya | 154.160.226.93 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৪৩658079
  • আর একটা পথ হয়ত ছিল - দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে অনেক মেলামেশা, কথাবার্তা। খিদিরপুর অঞ্চলের মুসলিম ঘেটোগুলোতে যদি হিন্দুরা যাওয়া আসা করতেন, ধরা যাক কোন এনজিও-র মাধ্যমে, হেলথ ক্যাম্প ইঃ - ধীরে ধীরে হয়ত একটা বিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হত ..
    মুসলিম জঙ্গিবাদের কাউন্টারে হিন্দু জঙ্গিবাদ এবং তার ফলশ্রুতিতে আরও উগ্র মুসলিম জঙ্গিবাদ - এই লুপ-টা বিপজ্জনক
  • ranjan roy | 131.245.70.131 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৫১658080
  • অরণ্য,
    আর একটা নয়, আপনি যা বল্লেন সেইটাই, অর্থাৎ একটাই পথ। পরস্পরকে চেনা, বিশ্বাস অর্জন করা। বাঙাল-ঘটি বিয়ে হচ্ছে, অবিশ্বাস অনেক কমে গেছে। আর এটা কেন একদিন হতে পারে না?
    ওরা-আমরা দুর করা।
    কিন্তু সেই কাজটা করতেই কাউকে এলিয়েন পাড়ায় গিয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। ভয় সত্ত্বেও। কঠিন কাজ।
  • a x | 138.249.1.206 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:১৯658081
  • অর্পণ, আরেসেস প্রসঙ্গে বলি নি।
  • - | 109.133.152.163 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৪০658082
  • @৬টা৫৯
    "একটা এক্সট্রিমিজম কে আরেকটা দিয়ে থামানো যায়না।"
    যায় না বুঝি? তবে যে বলে "বিষে বিষক্ষয়"
  • aranya | 154.160.226.92 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৪১658083
  • শ্যামল বোধহয় ক্যাপিটালিজম, মার্কেট ইকনমি ইঃ-কে সাপোর্ট করতেন।
    কদিন আগেই পুরনো টই-তে শ্যামলের পোস্ট দেখছিলাম। অদ্ভুত লাগল। মানুষ-টা নেই, তার লেখা রয়ে গেছে, মনে হয় যেন শীগগিরি আবার আড্ডা মারতে আসবেন
  • একক | 24.99.170.108 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৪২658084
  • সেই ঘুরে ফিরে বাঘ কে ঘাস খেতে বলা হচ্ছেনা কী ? অনেকে অনেক কাজ করার পরেও মুসলিম ঘেট তে ট্যাক্স অফিসার মার খায় কেন ? আপনি বলবেন রেভেনিউর লোক মানে নির্ঘাত বখরা নিয়ে ঝামেলা । বাট হোয়াটেভার , দেশের মধ্যে এরকম পাবলিক এরিয়া থাকবে কেন যেখানে স্টেট এর এক্সেস নেই ? আমি প্রাইভেট পোলিস চাইলে লোকজনের কানে ফোস্কা পরে যায় ঈদিকে দেশের মধ্যে পুষবে এমন জায়গা যেখানে সাধারণ নাগরিক থেকে পুলিশ সবাই ঢুকতে ভয় পায় ! আপনি বলতে পারেন ভাই এট তো অপরাধ । আলো ও অপরাধ সর্বর্ত্রগামী । কিন্তু কেস হচ্ছে নন-মুসলিম হলে একটু পাখাগজালে শুট হয়ে যায় । মুসলিম হলে এরিয়াতেই ঢুকতে পারেনা বড়সর কেস না হলে । এই করে ভেতরে অপরাধীর ডেন হচ্ছে । এটা এনজিও ঢুকে কী বোঝাবে ? আপনারা পুলিশ পাহাড়া আটকাবেন না ? ট্যাক্স এর লোককে ঢুকতে দিন ? এনজিও কে হেসে বিদায় করে দেবে :) আবার পরেরদিন নতুন এসআই ঢুকে সার্চ করলে পুরো হাতের ইশারায় দশ হাজার লোক এসে ক্যালাবে । তখন লাঠি চার্জ করলে ওই এনজিও-ই গান-কবিতার ডালা সাজিয়ে রাষ্ট্র দ্বারা উত্পীরিত মাইনরিটির পাশে দাঁড়াবে । গান ভালো না হলে এসআই সাসপেন্ড । ব্যাপক হিট হলে ডিজি সাসপেন্ড ।

    বরং আরেসেস কে এনজিও ভেবে দেখা যাক (আইনগত ভাবে রামকৃষ্ণ মিশন , শাখা সবই এনজিও ) । আরেসেস পুলিশ কে ইনফর্ম করেই এলাকায় ঢুকবে । তারপর বুঝে নেবে । পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখবে । বুঝিয়ে দেওয়া হবে ,এখানে পুলিশ না ঢুকতে দিলে আমরা আছি । রাস্তা ছাড় । সিভিল লাইফ লীড করো । এরপর আবার একদফা গান-কবিতা হবে । তখন সেটাই হওয়া দরকার । হিংসা চারপাশের মানুষের মধ্যে একটা সুদিং ওয়েতে এক্সেপ্টেন্স পায় আর্ট এর মাধ্যমে । সে নিয়ে সমস্যা নেই ।

    অপরাধী নন মুসলিম -মুসলিম সবার মধ্যে আছে । কিন্তু একটা সেক্টরে পার্টিকুলারলি অপরাধ বাড়ছে সেটা থেকেও কী বুঝতে পারছেন না , ওই একজায়গায় দলবেঁধে আইনের আওতার বাইরে থাকাটা উত্স । ফিসিকালি ,ভার্চুয়ালি । কোনো দ্বিতীয় উপায় না থাকলে কী করবেন । প্রতিদিন লোক দেখবে কোনো ধর্মের লোক পৃথিবীতে হুলিয়ে খুন খারাবি করছে । সেই ডমিনো এফেক্ট ইন্ডিয়া তে পরবে না ? আমরা আইল্যান্ডে নেই তো !

    আইসিস শুধু মানুষ মারছে ধর্মের নামে তা নয়তো । ইসলাম একটা ভয়ঙ্কর প্রিমিটিভ স্টেট সিস্টেম কে ক্যারি করে । কয়েন ছেড়েছে অলরেডি । দাস ব্যবসা করে মূলধন বাড়াচ্ছে । সেন্ট্রাল রেশনিং । এরকম চাম্পু সিস্টেম পৃথিবীতে ছড়ালে মুশকিল আছে ভেবে লোকজন ভয় পাবেনা ? একটা সোসাইটি কে পিছিয়ে স্লেভারি বেসড স্টেটাস এ নিয়ে গেলে তেলের পয়সা ছাড়াও অনেকদিন সাসটেইন করিয়ে দেওয়া সম্ভব । যদি না বাইরে থেকে বাধা গড়ে তোলা যায় । এইসব নিয়েই লোকজন ভয় পাচ্ছে এদেশে বসে ।

    হাজার উদাহরণ দিয়ে দেখানো যায় ইন্ডিয়ান নন মুসলিম রাও কত দাঙ্গা হাঙ্গামা ঐতিহাসিক টেররিসম করেছে ।কিন্তু সারা পৃথিবী জুড়ে ইসলামের হিংসার যে বাতাবরণ এই মুহুর্তে টিভি-কাগজ-ফেসবুক হয়ে ভেসে আসছে ,সমাজের সব লেভেলে ছড়িয়ে যাচ্ছে সেটার উত্কন্ঠা কে চাপা দেওয়া যায়না । পম্পেই শহরে বেড়াতে গিয়ে ধ্বংসচিহ্নের সামনে দাঁত কেলিয়ে সেলফি তোলা আর হটাত ঘুম ভেঙ্গে দেখা গাঁড় মেরেছে মশারি জ্বলছে চারপাশে ধোয়া :O .........এইদুটো না সেম না । যদিও কোথায় আগ্নেয়গিরি আর কোথায় ........
  • একক | 24.99.170.108 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫২658085
  • আমি রেগুলার শিবাজিনগরে যেতুম আগে । পায়াঅয়ালা লতিফের কাছে । আর হাঁসের মাংস কিনতে ।পাত্থর গোশত খেতে ! কিন্তু এই আমি যদি এদেন্জার্দ এনিম্যাল রেস্ক্যু টিমের সঙ্গে যাই ঘিরে ধরবে ।

    এইটাই মুশকিল । আমরা যারা গান ভালোবাসি -চাঁব -পায়া ভালোবাসি ,উর্দু বোলি ভালোবাসি তারা একটা সুরমা পরা চোখ দিয়ে পুরো সমস্যা টাকে দেখি । আমার রোম্যান্সের যোগান দিতে গিয়ে অন্য রিয়ালিটির হিসেব টাল খায় ।
  • ranjan roy | 24.97.4.229 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:০০658086
  • এককের কথা পুরো বুঝতে পারছি না।
    অথবা আমি একক-বর্ণিত " আন্তর্জাতিক ইসলামিক টেররিজম" এর স্কেলটা ঠিকমত দেখতে পাচ্ছি না।

    - কেন? ভাবার চেষ্টা করছি।
    আমার মাইন্ডসেট? আমার ব্যাগেজ?
    আর একবার এককের কথা বোঝার চেষ্টা করিঃ

    ১) ভোট ব্যাংকের রাজনীতিতে আমরা ক্রিমিনাল পকেটগুলো না দেখার ভান করে থাকি। সেখানে আইনের শাসন চলে না। চলে ডনের শাসন।
    -- তাতে কি? আমরা যদি বলি সেকুলার রাষ্ট্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুক। তার জন্যে বিভিন্ন এলাকা ডমিনেশন করুক, রুট মার্চ করুক। অ্যারেস্ট করুক, শাস্তি দিক অপরাধীকে। অপরাধীর রাজনৈতিক ও ধার্মিক অ্যাফিলিয়েশন না দেখে।
    এককের সম্ভাব্য উত্তরঃ
    ওসব কথার কথা রঞ্জনদা। ওই সেকুলার বাম শাসনের সময়েই কোলকাতার বিশেষ এরিয়াতে ডিএসপি বিনোদ খুন হয়েছিলেন না? দু'বছর আগে দিদির রাজত্বে আর একজন? তাতে কার কি ছেঁড়া গিয়েছে? বরং সেকুলার স্টেটের ব্যর্থতায় ডনদের রাজ আরও ক্ষমতাশালী হয়েছে কি না?
    --- তাহলে তোমার সল্যুশন সংগঠিত মব ভায়োলেন্স? স্টেট ব্যাকড্‌ প্রোগ্রম? পুলিশ/আধা সামরিক বাহিনী এলাকা ঘিরে রাখবে আর মোটিভেটেড আর্মড গ্রুপ এলাকায় ঢুকে একটি কম্যুনিটির লোকজনকে ব্যাপক ক্যালাবে। এরিয়াকে ঠান্ডা করে দেবে?

    এককঃ ঠিক তাই। কিন্তু শব্দ দিয়ে ব্র্যান্ডিং করবেন না। একটা উগ্র মানসিকতায় আচ্ছন্ন কমিউনিটি বৃহত্তর নাগরিক সমাজের জন্যে বিপদ। কাউন্টার-ভয় দেখানো যদি অপরাধকে আটকানোর জন্যে ডেটারেন্ট না হয় তাহলে পুলিশ-মিলিটারি-জেল সমন্বিত দাঁত-নখওলা রাষ্ট্রের দরকার পড়ত না।
    আপনাদের মত বাম-ঘেঁষা মাইন্ডসেটের মানুষদের মুশকিল হল আপনারা রাস্তায় চোখ খুলে চলেন না। আপনাদের লেনিন শ্বেতসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রেড-টেররের ওকালতি করেন নি? প্রয়োগ করেন নি? কিন্তু আপনারা মার্ক্স কথিত রাষ্ট্রের বিলুপ্তির পরে নাগরিক সমাজ দিয়ে দেশ চালানোর ইডিয়মে "আজ" কথা বলেন।
    কেন? ছোট ফর্মে বুদ্ধবাবু দক্ষিণবঙ্গের শহরতলিতে শেখ বিনোদের গুন্ডামি বন্ধ করতে ওই দাওয়াই দেন নি? পুলিশ দিয়ে এলাকা ঘিরে রেখে মাথায় লাল-ফেট্টি বাইকবাহিনী দিয়ে শেখ বিনোদের দু'নম্বর বউ শুদ্ধ সবকটা'র গুষ্টির তুষ্টি করে দেন নি? সেদিন আপনাদের সুশীল নাগরিক সমাজ মৌন সমর্থন জানায় নি? ঠিক করেছিল। TINA।

    ২--তাহলে বলছ যে মোদিজী গুজরাতে ঠিক করেছিলেন?
    এককঃ দেখুন, গুজরাতে কোথাও ধার্মিক সন্ত্রাসের এতটুকু পায়ের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন? সেই যে আফতাব আনসারি বঙ্গে এসে্ছিল (যার ছবি আপনারা ছেপে ছিলেন) সে এখন কোথায় থাকে খোঁজ নিয়েছেন? বঙ্গে নয়-এটুকু জেনে রাখুন।
    মুশকিল হচ্ছে একই কাজ বরানগরে (নকশালি সন্ত্রাস বা মুক্তাঞ্চল ঠেকাতে) ইন্দিরাজী করলে বা নন্দীগ্রামে বুদ্ধবাবু করলে (তিনো-মাও-ব্যাগড়াবাবু ঠেকাতে) আপনাদের সুশীল সমাজের তত আপত্তি নেই। আপত্তি শুধু সেই বাহিনীর মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা থাকলে! এটা আপনাদের ভন্ডামি।
  • ranjan roy | 24.97.4.229 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:২২658088
  • ৩-- আমার আপত্তি হল টেররিস্টদের সমগ্র মুসলিমদের প্রতিনিধি মনে করা, ব্র্যান্ডিং করা। ফলশ্রুতিতে ওদের আরও ঘেট্টোয় থাকতে বাধ্য করা। যেমন আম্রিকায় নিগ্রোদের।

    এককঃ ফের কুযুক্তি! আপনি চান বা না চান, একটা বিশেষ সময়ে একটা ছোট গ্রুপ ব্যাপক কমিউনিটির প্রতিনিধি হয়ে যায়। কারণ সেই গ্রুপটি কমিউনিটিকে রাষ্ট্রের বাইরে আর একটি সমান্তরাল রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখায়, ক্ষমতার, এম্পাওয়ারমেন্টের স্বপ্ন দেখায়।
    হিটলারের সময় সমগ্র জার্মান জাতি দুনিয়ায় রাজ করার স্বপ্ন দেখেছিল।নকশাল আমলে বঙ্গের বাইরের বাঙালী কমিউনিটি নকুদের নিয়ে গর্বিত ছিল। ভেতো ভীতু বাঙালীর নাম ঘুচে গেছিল বলে! সেইভাবে ব্যাপক শিখসমাজ খালিস্তানিদের সমর্থন করেছিল, কারণ ওরা শিখদের আলাদা রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখিয়েছিল । আমরা ১৯৭১ এ বাংলাদেশ আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলাম-- এইজন্যে নয় যে খানসেনারা খুব অত্যাচার করেছিল, এই জন্যে যে তাতে আমরা ভারত-পাকিস্তানের ফ্রেমের বাইরে একটি আলাদা বাঙালী রাষ্ট্রের, বাংলা জাতীয় সংগীতের স্বপ্ন দেখেছিলাম। যেমন শ্রীলংকায় তামিল ইলম।
    রাজাপক্ষে যা করেছিল তাছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল? তারপরে তামিলরা এখন এই সংবিধানের মধ্যেই বেঁচে থাকার বেড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখবে; যেমন শিখসমাজ ভারতে। বাঙালী প্রাক্তন নকুরাএখন এই সংবিধানের বা আম্রিকার সুশীল নাগরিক!
    তেমনি আজ আইসিস তালিবান ইত্যাদি বৃহত্তর মুসলিম সমাজকে "পিছিয়ে থাকা" ব্র্যান্ড এর থেকে বেরিয়ে এসে ইসলামিক স্টেটের মধ্যে ক্ষমতায়নের মোহক স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
    তাই আন্তর্জাতিক ইস্লামী সন্ত্রাস আজ আমাদের ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়া মহাবিপদ। জেগে উঠুন!
  • ... | 117.193.242.2 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:২৫658089
  • একক আর RR এর যুগলবন্দী দারুন হচ্ছে।
  • aranya | 154.160.226.93 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০৮:১৫658090
  • মুসলিম ঘেটো-গুলো অলমোস্ট মুক্তাঞ্চল - সরকারের প্রতিনিধিরা ঢুকতে পারে না, পুলিশ ঢুকতে পারে না। তাই একটা হিন্দু প্রাইভেট আর্মি (আর এস এস) দরকার, তাদের ভয় দেখিয়ে বা মেরে শায়েস্তা করার জন্য, যাতে রাষ্ট্র সেখানে আইনের শাসন লাগু করতে পারে।

    এই যুক্তিতে বিহার, ঝাড়খন্ডের নকশাল অধ্যুষিত এলাকায় রণবীর সেনার মত প্রাইভেট আর্মি দরকার। বা, ছত্তিশগড়ের মাওবাদী এলাকায় সালোয়া জুড়ুম - যেটা রাষ্ট্র অলরেডি করেছে, কিছুটা এককীয় মডেল।

    সালোয়া জুড়ুম-এর ক্ষেত্রে টাকা বা ক্ষমতার জন্য ভাড়াটে সৈন্যরা মাঠে নেমেছে, আর এস এস-এর ফুট সোলজাররা কাজ করবে একটা আদর্শের জন্য, এই তফাৎ।
  • aranya | 154.160.226.93 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০৮:৪০658091
  • রোমান্স, সুরমা - ইঃ-র কোন জায়গা আছে বলে মনে হয় না।
    আন্তর্জাতিক ইসলামিক টেররিজম যথেষ্ট ভয়াবহ এবং উদ্বেগের ব্যাপার
  • কল্লোল | 125.242.193.24 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:৫৬658092
  • শ্রীলঙ্কায় তামিলরা সুখে নেই। তারা আজও দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। সাময়িক একটা পিছুহঠা আছে। পরাজিতের নিরুপায় মেনে নেওয়া আছে। কিন্তু সময় সুযোগ পেলে আবার ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি জাগবে। ভারতে শিখেদের মনে অসন্তোষ দিকিধিকি আছেই। পাঞ্জাবে আজও আকালি দল ছড়া কিছু ভাব যায় না। শিখ দাঙ্গার বিচার চেয়ে বিজেপির দিল্লী জয় (লোকসভায়) অসন্তোষের বেঁচে থাকার প্রমান।
    ভয় দেখিয়েই যদি কাজ হতো তো প্যালেস্টাইন কবেই উড়ে যেতো। ভয় দেখিয়ে বরং মধ্যপন্থী আরাফতের বদলে উগ্রপন্থী হামাস এসেছে।
    যে নকুদের বিশ্বাসভঙ্গ হয়ছে, তারাই গণতন্ত্রে অস্থাশীল হয়ছে। সেই বর্গে আমি বা রঞ্জনও পড়ি। যাদের হয়নি, তারাই কিন্তু আজকের মাওবাদীদের মূল।
    ইসলামী মৌলবাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা জটিল, কারন এর একটা ধর্মীয় কোন আছে, যা দিয়ে মানুষ ক্ষেপানো সহজ। কিন্তু এর সমাধান হিন্দু মৌলবাদ নয়।
  • de | 69.185.236.54 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ১৩:৪১658093
  • ভালো টই - একক খুব ভ্যালিড একটা সমস্যা নিয়ে লিখছেন - যে সমস্যাটাকে সমস্যা বলেই স্বীকার না করা অভ্যেস হয়ে গেছে আমাদের!

    মৌলবাদকে মৌলবাদ দিয়ে কাউন্টার করা যায় না - এটা আমারো মনে হয়। বরং উন্নয়ন, শিক্ষা ইত্যাদীর ক্রমাগত বিকাশের মাধ্যমে যদি বদলে ফেলা যেতো দুধরণের মৌলবাদীদেরই - সেটাই ভালো হোতো।

    সেই অর্থে দেখলে মুম্বই বা মহারাষ্ট্রে তো বহুদিন ধরেই আরেসেসের মতো রেজিমেন্টেড আরেকটা পার্টি - শিবসেনার বহু সংগঠন আছে। তারা কি ভাঙ্গতে পেরেছে ডকইয়ার্ড রোড, ধারাভি, পোর্ট ইঃ এলাকার ঘেটোগুলো? জোর করে ওখানে কিস্যু হবে না। শুধু যদি পরবর্তী প্রজন্ম শিক্ষিত হয়, চারিপাশে একটু উন্নতি হয়, তাহলে ধীরে ধীরে হলেও অবস্থা বদলাবে।

    আমাদেরই দেশে দেশেরই কিছু মানুষকে কেন এখনো ঘেটো বানিয়ে বাস করতে হয়, এই প্রশ্নটার সমাধানের চেষ্টা করলেও কিছু পরিস্থিতির চেঞ্জ হবে। জোর করলে শুধু অস্থিরতা বাড়বে। ঘেটো বানানোর পিছনে একটা ইন্সিকিওরিটির ফিলিংস আছে। সেই ইন্সিকিওরিটিটাকে আরো বাড়িয়ে দিয়ে কি লাভ হবে?
  • cm | 127.247.114.4 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ১৮:০৭658094
  • ঘেটো প্রসঙ্গে একটা রসিকতা মনে পড়ে গেল। সেই যে এক গণিতজ্ঞ কতগুলো ভেড়া চড়াতে গেছেন আর ওনার কাছে একটা ছোট দড়ি দিয়ে সেই ভেড়াদের ঘিরে রাখতে হবে। উনি তখন নিজের চারিদিকে সেই দড়ি দিয়ে ঘিরে বললেন জর্ডান কার্ভ থিওরেম (http://en.wikipedia.org/wiki/Jordan_curve_theorem) দিয়ে কেল্লা ফতে।
  • ranjan roy | 24.97.18.109 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:৩৯658095
  • "ঘেটো বানানোর পিছনে একটা ইন্সিকিওরিটির ফিলিংস আছে। সেই ইন্সিকিওরিটিটাকে আরো বাড়িয়ে দিয়ে কি লাভ হবে?"
    -- দে কে ক।
    খুব ছোট উদাহরণ দিই।
    আমার বাবা ভিলাইয়ে রিটায়ারমেন্টের পর একটু বাইরে দু'একর জমি নিয়ে ৬০x.4o প্লট বানিয়ে( বন্ধুর সঙ্গে কিনে) চেষ্টা করলেন শুধু পূববাংলার, প্রেফারেবলি ময়মনদিংহের, লোকজন বসাতে।
    আমি ও ভাই প্রটেস্ট করলাম-- কেন ঘেট্টো বানাতে চাও?
    খুব রেগে গিয়ে বললেন-- বিপদের দিনে এরাই কাজে আসবে।
    বললাম-- বাজে কথা। সিকিউরিটি স্থানীয় লোকদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকায়; এলিয়েন হয়ে থাকায় নয়।

    কিন্তু ব্যাপারটা এত একমাত্রিক নয়; কালচারাল আইডেনটিটির প্রশ্নও জড়িত। খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি ধর্মীয় কারণে আমাদের দেশের বেশ বড় অংশ পাকিস্তানের প্লেয়ারদের সঙ্গে আইডেনটিটি খুঁজে পায়। তার সঙ্গে ক্রিকেট বোধের সম্পর্ক খুব কম। আমার সামনে সেবার ওয়ার্ল্ড কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পাকিস্তান জেতায় বাজি ফাটাল, তারপর পাক হারায় হিন্দুরা ফাটালো। দুপক্ষকে বলায় কোন ফল হল না।
    শেষে ভারত হারলো ইংল্যান্ডের কাছে। ভারত হারায় আবার মুসলিম পাড়ায় বাজি ফাটলো। তারপরে অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের মধ্যে ফাইনাল হল। আমি বললাম --এবার বেশ হয়েছে।
    তবে ইংল্যান্ডের মাঠে প্রবাসী হিন্দু ও মুসলিমরা ভারত ও পাক জিতলে খোলাখুলি সমর্থনে মাঠে নেমে পড়ে। কালচারাল অ্যাফিনিটি?
  • Ekak | 24.96.46.168 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ২৩:১৩658096
  • নন মুসলিম দের উদাহরণ আর মুসলিম ঘেট তে বেসিক তফাৎ আছে । আইয়ার ঘেট হয় ,আয়েঙ্গার ঘেট হয় । কিন্তু কেও তার এরিয়ায় অন্যদের ঢুকতে দেবে না , স্টেট ইন্টারফিয়ারেন্স আটকে রাখবে এরকম হয়না । কোথায় কোন মুসলমান ধর্মাবলম্বী কে ঘর ভাড়া দেওয়া হলনা তার সঙ্গে এটা আলাদা । নিজের কালচার,নিজের খাদ্যাভ্যাস ,একইরকম লোকেদের কাছেপিঠে থাকা এগুলো রাইট । তিলি রা আলাদা , পাগমারা আলাদা , মুখুটি রা আলাদা , মুসলমান আলাদা পাড়া এতে কোনো প্রবলেম নেই । লেট দেম । দেখা যাচ্ছে এদের মধ্যে থেকে মুসলিম ঘেট গুলোই স্টেট কে এক্সেস দিচ্ছেনা । সেটা আলাদা কেস না ? কেও ভারতে বসে পাকিস্তান কে ক্রিকেটে সাপোর্ট করলেও যায় আসে না । ওটাও রাইট । "আমরা সবাই ভাই ভাই " দরকার নেই তো । ল্য অফ ল্যান্ড নিয়ে ছেলেখেলা না করলেই হলো ।

    যে সমস্ত মুসলিম রা মুসলিম ঘেট তে গুদাম বানিয়ে পশ এলাকায় ফ্ল্যাট কিনে গাড়ি নিয়ে থাকেন তাঁদের কিসের ইন্সিকীয়রীটি ? জানেন ওই ঘেট টা হলো বেআইনি মাল লুকোবার জায়গা । রেইড করবে কী পা রাখতে পারবেনা । কী বোঝাবেন এদের ?
  • ranjan roy | 24.97.31.125 | ২২ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:২২658097
  • এককের অবসার্ভেশনে দম আছে। কিন্তুঃ

    ১) এই ডেন প্রথম দিনেই গড়ে ওঠে না। আগে ঘেট্টো, তার পরে অপরাধের ডেন। সম্পন্ন ব্যক্তিটির আশ্বাসন ও খুচরো আর্থিক সুবিধে। আর রাজনৈতিক ব্যক্তি ও অপরাধের হাত মেলানো। ফলে ঘেট্টোর সাধারণ লোকেরা জানে যে কোন ভয় নেই। আইন ওদের ছুঁতে পারবে না।
    ২)
    না, এককের বর্ণনা সত্ত্বেও মুসলিম ঘেট্টো ইউনিক সেট মনে হচ্ছে না। তুলনীয় আম্রিকার নিগ্রো ঘেট্টো। একক বর্ণিত সমস্ত বিভুতিমন্ডিত। পুলিশকে আক্রমণ, এলাকায় ডেন। ধার্মিক আবেগের একীকরণ শুদ্ধু। আসলে একটা সেন্স অফ এক্সক্লুসন কাজ করে। "অপর"।
    বিলাসপুরে আমার ঘনিষ্ঠ মুসলমান বন্ধুর স্ত্রী বলেছিলেন আপনাদের বেশির ভাগ ব্রাহ্মণ বন্ধু ঈদের দিনে আমাদের বাড়ি বিরিয়ানি ও ফিরনি খেতে আসেন। ( আমাদের ছোট সার্কেলের বেয়াড়া দাবি-- দুটো ঈদেই আমাদের মাংস খাওয়াতে হবে!)
    কিন্তু কোন হিন্দু পরবে তো আমাদের একবারও ডাকেন না? ছোঁয়া লাগবে? আরেক বার বাসন ধুতে হবে? বা পূজোয় আপনাদের বাড়িতে আসা অভ্যাগতরা অস্বস্তি বোধ করবেন?

    আমি জানি--তিনটে কারণই নিদারুণ ভাবে সত্যি! অন্ততঃ হিন্দি বলয়ে।
  • cm | 116.208.69.139 | ২২ জানুয়ারি ২০১৫ ০৮:১৯658099
  • এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা উল্টো। ডাকলেও আসেনা এমনকি সব্জিবিক্রেতা প্রসাদের ভয়ে কদিন ঠেলা গাড়ি নিয়ে আসতনা। সব রকমই হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন