এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:১৩673072
  • আলোচনাটা খুব ভালো লাগছে।প্লীজ কন্টিনিউ।

  • a x | 207.69.137.206 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:১৪673073
  • য একেবারে ঠিক।
    শুধু কতগুলো জিনিস যা রাতারাতি বদলানো যায় না। এদেশে মানে মার্কিন মুলুকে যা দেখি, কলেজে ভর্তি হবার আগে, বেশ কয়েকদিন ধরে বাপ-মা সহ ছেলে পুলে কলেজ ঘুরে দেখতে পারে, গাইডেড ট্যুর হয়। বাচ্চারা কোথায়ে চান্স পাবে তার অনেকটা ডিপেন্ড করে গ্রেডের বাইরে। যেমন কম্যুনিটি সার্ভিস, ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক, খেলাধুলো, নাচ গান ইত্যাদিতে কতটা পারদর্শী, কিরকম রেকমেন্ডশন লেটার পাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু ঐ নম্বরের চুলোচুলির বাইরে গিয়ে গ্রেডেশনের পদক্ষেপটাই একটা বিশাল উন্নতি বলে মনে হয় আমার।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:১৬673074
  • আর আন্ডারগ্র্যাডে ছাত্রঋণের ব্যাপারটাও বলবেন প্লীজ।
    থ্যাংকস।

  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:২০673075
  • অক্ষ - এর আগে অন্যান্য জায়গায় একই প্রশ্নের উত্তর এসেছিলো "ওসব বিদেশে হয়, আমাদের এখানে হয় না..." - আমার অতি বোর লাগে ওই উত্তরটাতে। ইংরিজী শিক্ষা থেকে শুরু করে পাশফেল/গ্রেড - সবেতেই একই উত্তর - মেরিটস/ডিমেরিটস এগুলো কেউ কোনদিন তোলেইনি। পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে মনে হত সবাই কি আবাপ-তে লেখে? ইংরিজী শিক্ষা পদ্ধতি বা গ্রেড বা পাশফেল - টেকনিক্যালি এগুলোর কোনটাইকেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না, প্রতিটাই অন্য দেশে পরীক্ষিত সফল পদ্ধতি, অথচ আমাদের দেশে চালু হলেই হাহাকার উঠে যায়। প্রশ্নগুলো সেই জন্যেই।

  • S | 141.218.68.105 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:২১673076
  • ইউরোপের কথা জানি না। কিন্তু আমেরিকায় গ্রেডেশন প্রথায় খুব উপকার কিছু হয়েছে কি? এদেশে আণ্ডারগ্র্যাড শিক্ষার হাল তো বেশ খারাপ। অবশ্য গ্রেডেশন প্রথা পুরোপুরি দায়ী নয় এজন্য। সব বিষয়কেই অতিরিক্ত সহজ করে, হাল্কা করে পড়ানোর মানসিকতা এজন্য দায়ী। স্টুডেণ্টকে এনকারেজ করা ভালো। কিন্তু সে যখন কিছুই শেখেনি সেই অবস্থায় ওহো তুমি কি প্রতিভাবান বলে A+ দেওয়াটা কোনো কাজের কথা নয়। যাকগে সে এদের সমস্যা। আমাদের গরীব দেশ। অঙ্ক-বিজ্ঞানটা মোটামুটি জানি বলে করে খাচ্ছি। আমাদের ঢিলে দেওয়ার বিলাসিতা কি পোষায়!

    তার ওপর একলাখ ছেলে একসাথে মাধ্যমিক দেবে। এদের মধ্যে কম করে ১৫% আশি শতাংশের ওপর নম্বর পাবে। ওতো কলেজ আছে আমাদের জায়গা দেওয়ার? বাস্তব হলো - আমাদের গরীব দেশ, তার ওপর জনসংখ্যার বিস্ফোরন। আমাদের মিডিয়োকার হওয়ার কোন অধিকার নেই।

    আবার পরে লিখছি ...
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:২২673077
  • অন্য সব তো জানিনা,এখানে দেখি ৯০%-১০০% হলো A,৮০%-৮৯% হলো B,৭০%-৭৯% হলোC আর ৬০%-৬৯% হলো D।এর নীচে F বা ছাত্র ভ্যালিড এক্সকিউজ দিয়ে আবেদন করলে I, মানে ইন্‌কমপ্লিট।
    নম্বর দেবার সময়ও খুবই অন্যরকমভাবে দেওয়া হয়, প্রথমে পুরো নম্বর ধরে নিয়ে একটা একটা ভুলে অল্প অল্প কেটে নিয়ে।
    বোনাস কোশ্চেন থাকলে ১০০ এর উপরেও অনেকে পায়।:-)))
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:২৪673078
  • অক্ষ - নিজস্ব স্টেটমেন্ট দিতে হয় না কলেজে ভর্তির জন্যে? এখানে হয়, তাতে "কি করিতে চাই" গোছের কিছু লিখতে হয় - ওটার ওপরেও অনেককিছু ডিপেণ্ড করে।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:২৬673080
  • এটা খুব ভ্যালিড পয়েন্ট - ৮০ থেকে ১০০ না করে, ওটাকে দু ভাগে ভেঙে দেওয়া...

    S নাম নিয়ে গুঁতোগুঁতির প্রবল সম্ভাবনা, এক যদি না বেথে স্বয়ং ওয়েস্টার্ন মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে বসে থাকে।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:২৬673079
  • আমাদের দেশের লোক যে খুব ভালো অংক বিজ্ঞান জানে বলে একটা ধারণা আছে,সেটাও মিথ।
    আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় পুরোটাই কমিট টু মেমোরি অ্যান্ড ভমিট টু পেপার ধরনের।খুব কম লোকই মৌলিক কিছু করতে পারে।
    মাধ্যমিকে ঐ মারামারি কাটাকাটি করে শেখা জিনিস কার কতটুকু কাজে লাগাবার মতন মৌলিক শিক্ষা হয়?
    একটা নতুন ইনে্‌ব্‌হনশন করে সেটাকে কমার্শিয়ালাইজ্‌ড করার কথা আমাদের বাঙালিদের কত পার্সেন্ট ভাবতে পারে?
    অথচ গ্রেড দেওয়া শিক্ষার লোকেরা অনেকেই কিন্তু পারে।
    প্রকৃত শিক্ষা অন্য ব্যাপার।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:২৭672358
  • রেক্টিফিকেশান:
    ইনভেন্‌শন।
  • J | 160.62.4.10 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:২৮672359
  • লাখে লাখে ছাত্র একই দিনে পরীক্ষা দেবে ক্যানো?
    সেদিন যদি কেউ অসুস্থ থাকে।
    কারো বাপ-মা বা নিকটজন যদি সেদিন মারা যান, বা খুব অসুস্থ? সে ছেলেটা শ্মশানে যাবে না পরীক্ষা দিতে? নাকি মৃতদেহ ওয়েট করবে ছেলের ফিরে আসা অবধি?
    ঐ একদিনে সব বিচার হয়ে যাবে কে কেমনতরো বিদ্বান?
    সারা বছর ধরে এগুলো মাপা যায় না?
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৩০672360
  • ট্যান - ঠিক। ইনফ্যাক্ট যারা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়েছে (এবং অন্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে), বিশেষ করে শিবপুর-যাদবপুরে, তারা অঙ্কে অত্যন্ত কাঁচা, এবং সেই একই কারণে থিওরেটিক্যাল কম্পিউটার সায়েন্স বা অ্যালগরিদম অ্যানালিসিসে - প্র্যাক্টিক্যালি মুখ লুকোই এখানে। প্রোগ্রাম লেখা আর ব্যাপারটা বুঝে ভালো অ্যালগরিদম লেখা একদম আলাদা।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৩৩672361
  • আর একই একটা বোর্ড বা কাউন্সিল লাখে লাখে লোকের পরীক্ষা নেবে,এই মারাত্মক চাপই বা ক্যানো?
    জেলায় জেলায় আলাদা কেন্দ্র হোক? গণতান্ত্রিক হোক।
    পরে প্রতিটা সার্টিফাইড স্কুলই অধিকার পাক ছাত্রসমাজের বড়ো পরীক্ষা নেবার ও গ্রেড দেবার।
    খুব কি গন্ডগোল হয়ে যাবে এতে?
    কিন্তু এই একটা প্রতিষ্ঠান সবাইকে চালাবে,এতো খুবই বাজে ব্যাপার।বিদ্যাশিক্ষায় ফুয়েরারি চালাতে গেলে ভালো হয় না হয়েছে?
    কিন্তু এহ বাহ্য,আসলে কেরানী তৈরীর মেশিন চালু।মেকলে কবে মরে ভুত হয়ে গেছে,আমরা তার ধ্বজা নিয়ে চলছি।:-(((
    কি দিয়ে ধোবে এই অচলায়তন?

  • J | 160.62.4.10 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৩৭672362
  • মাধ্যমিকে বেসিকালী যেটা হয়, সেটা হচ্ছে, গাদা গাদা টেস্ট পেপার সলভ করো, আর সাজেশান মুখস্ত করো। বাড়ীতে ঘড়ি ধরে লেখা প্র্যাক্টিস করে, পরীক্ষা সেন্টারে গিয়ে নামিয়ে এসো।
    কোনো প্রশ্ন নয়, কোনো প্রশ্ন নয়।
    কেন হলো, কীজন্যে হলো, গাদাগাদা ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশান ঝক্কাস সলভড হয়ে যাচ্ছে, অথচ হাল্কা করে স্ট্যান্ডার্ড লিমিট বস্তুটা বোঝাতে বলো দিকি! (এটা অবিশ্যি উচ্চমাধ্যমিকে)।
    অঙ্ক শুধু মেকানিকালি কষে যায় গাধার মতো।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৩৮672363
  • শুধু পরীক্ষা নেওয়া নয়, খাতা দেখার ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে, বিশেষ করে বাংলা-ইংরিজী ইত্যাদি বিষয়ে, কারণ এক এক পরীক্ষক এক এক রকম নম্বর দেবেন এটাই স্বাভাবিক। এটাকেও কোনভাবে ইউনিফর্ম করা প্রয়োজন।
  • J | 160.62.4.10 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৪৩672364
  • খাতাদেখার ব্যাপারে স্ট্যান্ডার্ড গাইড লাইন মানা হয়। বাড়ীতে মাধ্যমিক ও উচমাধ্যমিকের এক্‌জামিনার ছিলো, ব্যাপারটা জানি।
    কিন্তু একই দিনে একই প্রশ্ন পত্র, একসঙ্গে পৃথিবী মাথায় করে জীবন মরণ টেনশান বড্ড চাপের।
    এমনিতেই লাইফে চাপের অভাব নেই।
    মূল সমস্যা কেন জানি মনে হয়, ঐ টাকায়। চাগ্রীর জন্যে মারামারি কাটাকাটি।
    দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোহোক, সবাই খেতে পরতে পাক, মোটামুটি চাগ্রী তৈরী হোক, তখন বোধয় এগুলো আপ্‌সে গৃহীত হবে।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৪৬672365
  • গাইডলাইন তো দিলে, কিন্তু সেটা কে কতটা মানছে তা কে দেখবে? কারো রাতের খাবারটা হয়তো ভালো ছিলো, কারো উচ্ছে-চচ্চরি দিয়ে রুটি...তখন? নইলে গত কয়েক বছরে নম্বর নিয়ে এত কোর্ট কেস হয়? এবং তার মধ্যে গুচ্ছ কেসে কোর্টে খাতা যেতেই ৩১ বেড়ে ৭০...
  • J | 160.62.4.10 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৪৭672366
  • তা ঠিক
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৫১672367
  • পরীক্ষাগুলোও আরেকটু অন্যরকম করা দরকার,যাতে পরীক্ষাগুলো ঠিক শুধু খাতায় বমি করে দেওয়া টাইপ না হয়,নানাধরনের জিনিস হোক,যাতে সত্যি সত্যি কিছুটা হলেও ধরা যায় ছাত্র জিনিসটা কতটা আত্মস্থ করেছে।
    তবে তার জন্য খোলনলচে বদলে ফেলা দরকার,স্কুলগুলো প্রত্যেকে ছাত্রদের ভ্যালিড স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট দেবার অধিকার না পেলে সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রে এরা সারাবছর ধরে নানাধরনের পরীক্ষা, প্রোজেক্ট,অজানা প্রবলেমের সমাধান নিজে ভেবে বের করা, নানারকম একস্ট্রা কারিকুলার এইসব নানাকিছু অ্যারেঞ্জ করে ব্যাপারটা করতে পারবে।
    কিন্তু বর্তমান অবস্থায় এসব করার স্বপ্ন দেখাও কঠিন।পুরানো ব্যবস্থা আমাদের হাড়ে হাড়ে চলে গেছে,পুরো ব্রেনওয়াশ করে রেখেছে।
    সেই "ছিনিয়ে খায় নি কেন" গল্পের মতো অবস্থা।কিছু দাবী করতে গেলে যে জোর দরকার সেটাই তো হরণ করে নিয়েছে!
    আবার কে বল্লো আমাদের নাকি মিডিওকার হওয়া পোষায় না,আরে আমরা হাড়ে হাড়ে মিডিওকার,আমাদের হাত কচলানি গোমস্তাগিরি এর পিঠে পা রেখে পৃথিবীর জমিদারেরা জমিদারি চালায়।
    আমরা দুটি দানা পেয়ে ফরফর করি।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২০:০৪672369
  • আর আরো জটিল ব্যাপার হলো ট্যালেন্টের ডাইভার্সিটির মর্যাদা ও মূল্য দেওয়া।
    সবাইকেই ভালো অংক করতে হবে তবে সে ভালো বলে পরিচিত হবে,তা নয়।কেউ ভালো হতে পারে গাড়ী সারানোয়,কেউ ভালো হতে পারে বাগান করায়,কেউ ভালো হতে পারে গল্প কবিতায়।
    সকলেই যে যার ফিল্ডে ভালো।

  • J | 160.62.4.10 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৪১672370
  • মুশকিল তো সেখেনেই।
    যে ফিল্ডে টাকা, সেটাই ট্যালেন্টের ফিল্ড।
    কাল থেকে ঘুঁটে দেয়ার এক্সপার্টাইজে ফরেন মানি আসুক আর এইচ ওয়ান ভিসা, ওটাই সবচে জ্ঞানের ফিল্ড বলে বিবেচিত হবে।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৪২672371
  • এ কি? আলোচনা থেমে গেলো যে!
  • J | 160.62.4.10 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৪৫672372
  • সব্বাই ফরে। এগেনস্টে কেও নাই। :-)
  • a x | 192.35.79.70 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৪৬672373
  • অরিজিত, হ্যাঁ হয়। statement of purpose লিখতে হয়। কেন জানিনা মনে হয়, আমাদের দেশে যদি SOP লিখতে হয়, তাহলে আগে যেরকম রাস্তার মোড়ে মোড়ে টাইপিস্ট পাওয়া যেত সেরকম SOP লেখার লোক পাওয়া যাবে।
    "এসব আমাদের দেশে হয়না" এধরণের কথা একেবারেই বলিনি। কিন্তু সব দেশেই সব সময়েই, একই ধরনের উপায় দিয়ে সমাধান হয়, এটাও একটু অতি সরলীকরণ লাগে। ট্যান যে undergraduate loan এর কথা বলেছে, সেটাও একটা বড় রকমের বাস্তব। আমি আপনি অনেকেই মনে করতে পারি কত অল্পতে UG
    করেছি। আমি ১১ টাকা দিয়ে, তাও ল্যাব বেসড সাবজেক্ট বলে, নইলে আরো কম। এম এস সি করেছি প্রথম বছর বিনে পয়সায়ে তার পরের বছর থেকে ঐ বিনে পয়সা উঠে যাওয়াতে (প্রসঙ্গত SFIর প্রবল আপত্তির মধ্যে) ন্যূনতম ১৫ টাকা দিয়ে, আবার ল্যাব বলে ১৫, নইলে আরো কম। এদেশে প্রতি সেমিস্টার একটা fully registered student ৩০০০-৪০০০ ডলার দেয়। সমীকরণ যখন লিখব, এগুলোও মাথায়ে রাখা দরকার।

  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৪৭672374
  • য, যেই না লিখলাম আলোচনা থম মেরে গেছে,অমনি এই পোস্ট!:-))
    আসলে এই পরনির্ভর বড়োলোকীপ্রিয়তা থাকলে কোনোদিনই পরিবর্তন হবে না, দ্যাখো দুনিয়া জুড়ে এইসব উন্নত দেশ জাতি,এদের কিন্তু নিজের উপরে বিশ্বাস আছে,যত সমান্যই হোক,উদ্যোগ নেয়।
    সেকালের শিল্পবিপ্লব থেকে শুরু করে আজকের দুনিয়ার ইন্টারনেট মোবাইল ফোন সার্ভিস লেজার প্রযুক্তি--রিস্ক নিয়ে কিন্তু খেলতে নামে এরা।
    আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে না খেলতে শিখলে কিকরে হবে? আমরা ছাপোষা,আমার গরীব দেশ এইসব অজুহাত দেবো আর আমাদের ভালোটা এসে অন্যে করে দিয়ে যাবে? কোনোদিন হয়, না হয়েছে?
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৫৩672375
  • না না,টাকাকড়ি এভাবে বলবেন না অক্ষ।নর্মালাইজ না করা হলে দুই দেশে কমপেয়ার করা অসম্ভব।
    আমাদের ১৫ টাকা মাসে ওদের ৩০০০ ডলার(চারমাসে) এইভাবে কমপেয়ার করা যায় না।
    আমাদের দেশে মাসে ১০০ টাকায় বাড়ীর বাসনমাজা ঘরমোছা জল আনার লোক পাবেন, কিন্তু এখানে সামান্য বেড়া সারাইয়ের জন্য মিনিমাস ওয়েজ কত?(ঘন্টাখানেকে হয়ে যায়)
    দুইদেশ কম্পারেবল নয়।
    তার উপরে আছে আমাদের হিডেন কস্ট, প্রচুর সংখ্যক লোকে মাধ্যমিকেই সাত আটটা করে প্রাইভেট টুইশন নেয় বা নিত,সেখানে এই সাহেবেদের বারো অবধি অ্যাবসলুটলি ফ্রী।এমনকি হোম স্কুলড হলেও ভ্যালিড।

  • a x | 192.35.79.70 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৫৭672376
  • এদেশে আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে শিক্ষার হাল বেশ খারাপ, অ্যামেরিকান ছাত্র/ছাত্রীরা ইন জেনেরাল বোকা, এগুলো বেশ বড় মিথ বলে মনে করি আমি। এদেশে ৪ ইয়ার ডিগ্রী কলেজ আছে প্রচুর যেখানের মান পৃথিবীর যেকোনো প্রিমিয়ার ইন্সটিটুটের সাথে পাল্লা দিতে পারে। যেহেতু কম্পিটিশন কম, তাই অনেক অ্যাভরেজ স্টুডেন্ট দেখা যায়। যেহেতু পয়সা ঢাললে পড়া যায়, তাই অনেক বড়লোক অগা ছাত্র দেখা যায়। আমাদের দেশে কম্পিটিশন বেশি, তাই ছাঁকনি দিয়ে বেড়িয়ে আসা উপোরের স্তরটাকেই দেখি আর তার সাথে তুলনা করি।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০১672378
  • অক্ষ - গুরুতেই এইগুলো নিয়ে তাও কথা হয়, এদিক-ওদিক যেদিকেই হোক না কেন:-)

    আমরা খুবই কমে পড়েছি - এটা একদম ঠিক। যাদবপুরে দেখেছি যে ছেলেটা সাউথ পয়েন্টে মাসে চার-পাঁচশো টাকা মাইনে দিত (সাতানব্বুইয়ে মনে হয় ওইরকম মাইনে ছিলো), তার ওপর খান চারেক প্রাইভেট টিউটরকে, কলেজে আসতো লিভাইজ আর রেব্যান পরে, আর ফুঁকতো গোল্ডফেল কিংসাইজ, সেই ছেলেই "ফেটসু"-র আপিসে বসে "নিখরচায় শিক্ষা আমার অধিকার" বলে গলা ফাটাতো। তখন যাদবপুরের সিভিল বিল্ডিং স্টেট ব্যাঙ্কের কাছে বন্ধক, লাইব্রেরীতে ফাইন ছয় পয়সা, কর্মচারী/শিক্ষক কোয়ার্টারের ভাড়া মনে হয় চারশো টাকা। এবং, প্রসঙ্গত আমি তখনও ওই এসএফআইই করতুম - লাইব্রেরী ফাইন বাড়িয়ে তিরিশ পয়সা, আর কলেজের টিউশন ফী বাড়িয়ে মনে হয় মাসে শ-খানেক টাকা (কি তাও হবে না) বাড়ানোর প্রস্তাব সমর্থন করে প্রভূত খিস্তি খেয়েছিলুম ফেটসুর আপিসে বসে থাকা প্রগতিশীল বিপ্লবীদের কাছ থেকে:-)

    তবে, টিউশন ফী বেড়ে বছরে এক দু লাখও কি ঠিক? এখানে টপ-আপ ফী বাড়ানোর পরে প্রচণ্ড গোলমাল হয়েছিলো। তাও এখন বছরে হাজার তিনেক পাউন্ড, এবং লোন নেবার অনেক স্কোপ। এখানে ইউনিভার্সিটিগুলো অবশ্য সবচেয়ে বেশি আয় করে বিদেশী ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে - বছরে মিনিমাম হাজার দশেক পাউন্ড...মিডিক্যাল বা বিজনেস অ্যাডমিন কোর্সে আরো বেশি...
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০১672377
  • ঠিক অক্ষ।
    আবার আমাদের দেশেও দেখা যায় ঘাপলা করে ঢুকেছে।
    দেখা যায় বড়োলোক বাপের টাকায় মোটা ডোনেশান দিয়ে কলেজে ঢুকেছে,এমন কলেজ আগে নাকি ছিলো শুধু দক্ষিণে,এখন প ব তেও পোচ্চুর।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৩ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০৫672380
  • মুশকিল।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন