এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জিডিপি - গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্টঃ ফর ডামিজ

    সিকি লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৪ এপ্রিল ২০১৫ | ২৩২৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 194.167.2.96 | ০৪ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:৫২674345
  • ট্রেজারি বন্ড কেনা - এর অর্থ অনেকটা হলো আমেরিকার সেন্ট্রাল ব্যান্কে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে টাকা রাখা। বা একটা বন্ডে টাকা ইনভেস্ট করে রাখা যার থেকে বছরে এখন দুই-আড়াই পার্সেন্ট (বা আরো কম) মতন রিটার্ণ আসবে।

    যেকোনও বন্ড বিক্রি মানে লোন নেওয়া (যেমন শেয়ার বিক্রি মানে ইকুইটি তোলা)। আমেরিকার সরকার যখন লোন নেয় তখন যেসব বন্ড বিক্রি করে সেটাকে বলে ট্রেজারি।

    ট্রেজারি হলো সেফেস্ট ইনভেস্টমেন্ট। তাই বেশিরভাগ দেশ তাদের সারপ্লাস ট্রেজারিতে কনভার্ট করে রাখে। তাইতো আমেরিকাও খুব সস্তায় লোন নিয়েই যাচ্ছে বিগত দুই দশক ধরে।
  • দ্রি | 202.42.116.16 | ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৩০674346
  • এবং ট্রেজারী বিক্রি হলে তার এগেনস্টে ডলার ছাপাতে পারে আম্রিকা। ইন ফ্যাক্ট, ইউএস যে মনের আনন্দে এত ডলার ছাপাতে পারে তার মূল কারণ হল ইউএস ট্রেজারী অনায়াসে বিক্রি হয়ে যায়।

    যত ট্রেজারী বিক্রি হবে, তত ডলার ছাপানো হবে, তত ডিফেন্সে বাজেট বাড়বে, তত যুদ্ধ বিগ্রহ বাড়বে, তত ধ্বংস হবে, তত রিকনস্ট্রাকশান হবে, তত স্টক মার্কেট বাড়বে ইয়াডা ইয়াডা।

    ট্রেজারী বিক্রি তাই খুব, খুব জরুরী। ওতে একটু ভাটা পড়লে ইয়াংকিদের পেট গুড়গুড় করে। চীন রিসেন্টলি একটু কেনা কমিয়েছে, তাতেই তো সাউথ চায়না সীতে টেনশান টেন টাইমস বেড়ে গেছে।

    ট্রেজারীর বড় ক্রেতা চীন, সৌদি আরব। চীন বেচে আলপিন টু এলিফ্যান্ট, আর সৌদি আরব বেচে তেল। যে ডলার কামায় তাই দিয়ে ট্রেজারী কেনে।

    কেস হল, সব কিছুরই শেষ আছে।
  • দ্রি | 202.42.116.16 | ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৩৭674347
  • পিএমের পোস্ট, এবং তার উত্তরে এসের পোস্টে যেটা রেলেভ্যান্ট সেটা হল, চীন রিসেন্টলি একটা ইউয়ান বেসড অয়েল ফিউচার খুলেছে। সেখানে চীনকে তেল বেচলে তার বদলে গোল্ড-ব্যাকড ইউয়ান পাবে। রাশিয়া, ইরান অলরেডি এই সিস্টেমে চলে। সৌদি যদি সুইচওভার করে কেলোর কীর্তি হবে। তাই সৌদির সাথে এখন ফুটসি ফেলছেন ট্রাম্প।

    কিন্তু তাও তো ৯/১১ এ সৌদিকে ইমিউনিটি দিলেন না। দেখা যাক কী হয়।
  • S | 202.156.215.1 | ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০১:২০674348
  • যদিও ট্রেজারি ডলার ছাপায় এবং ইউএস গভের ডেট ম্যানেজ করে (মানে ট্রেজারি বিক্রি করে), কিন্তু ফেডারাল রিজার্ভ মানি সাপ্লাই কন্ট্রোল করে। প্রতি বছর ফেড ট্রেজারিকে নোটের প্রিন্ট অর্ডার পাঠায় বেসড অন ডিমান্ড (বিভিন্ন পেমেন্টের জন্য সার্কুলেশন কত দরকার) আর কত নোট ডেস্ট্রাকশন হয়ে যাচ্ছে সেই অনুযায়ী।

    এই মানি সাপ্লাই সাধারণতঃ জিডিপি গ্রোথ আর ইনফ্লেশনারি ট্রেন্ড দেখে নির্ধারণ করা হয়। মানি সাপ্লাই কন্ট্রোল করে ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করা যায়। আর জিডিপি বাড়লে ফিজিকাল নোটের সার্কুলেশনও বাড়ে, তাই বেশি ছাপাতে হয়।

    এই মুহুর্তে আমেরিকার ডেট হলো ২০ ট্রিলিয়ন ডলার। অথচ মানি সার্কুলেশন দেড় ট্রিলিয়ন ডলারেরও কম/আশে পাশে। বিগত কয়েক বছর ধরে খুব বেশি ডলার ছাপানো হয়নি। বছরে ২২৫ মিলিয়ন ডলারের আশে পাশে।

    কিন্তু এতো গেলো ফিজিকাল মানি সাপ্লাই। এটাকে M0 বলে। এটা মোটেই ইম্পর্ট্যান্ট ইন্ডিকেটর নয়। আসল ইন্ডিকেটর হলো মনিটরি বেস। যেটা এই মুহুর্তে ৩ ট্রিলিয়নের একটু বেশি।
  • S | 202.156.215.1 | ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৪৪674349
  • চীন একা তো ট্রেজারি কেনে না। ট্রেজারি মুলতঃ দেশেই বিক্রি হয়। ফেডারাল রিজার্ভ কেনে। ব্যান্কগুলো কেনে। অনেক ফান্ড কেনে। এছাড়া রিটেল ইনভেস্টর আছে। এরপরে বিদেশি কোম্পানি/ব্যান্করা কেনে। তারপরে বিদেশি গভঃ। এদের মধ্যে চীন সবথেকে বেশি কিনেছে রিসেন্টলি। চীনের কেনার/বেচার অনেক কারণ থাকে। নিজেদের কারেন্সি স্টেবিলাইজ করা বা ডিভ্যালু করাও তার একটা বড় কারণ।
  • PM | 56.152.44.163 | ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ২১:১৫674350
  • S ট্রাভেল করছিলাম বলে উত্তর দিতে দেরি হল।

    " পিএম, আপনি কি এগুলো জেনে বলছেন? নাকি এমনিই নিজের মনে হলো তাই বলে দিলেন?" --- দেখুন আমি ইকোনোমিস্ট তো নই---- উৎসাহ আছে বলে পড়া। লেখাপত্র পড়ে যা ধারনা তাই ডিস্কাস করছি মাত্র। বেদবাক্য কিছু নয় ঃ)

    " গ্লোবাল ট্রেডের মাত্র দেড় পার্সেন্ট ইউয়ানে হয়েছে। এটা আগের বছরের থেকে কম। গ্লোবাল ট্রেডের প্রায় ৪০% ডলারে ট্রেড হয়।" -- আপনার ডেটা ঠিক । এটাও ঠিক যে ইউয়ান রিসার্ভ হিসেবে ডলারকে রিপ্প্লেস করার সম্ভবনা নেই। কিন্তু পলিসি কারেন্ট থ্রেট এর ওপোর বেস করে তৈরী হয় না তো, পলিসি তৈরী হয় কেপেবিলিটি বিল্ড আপ আর ফিউচার থ্রেট কে অনুমান করে করে।

    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগের ৫০ বছর পাউন্ড স্টারলিঙ্গ এ দুনিয়ার ৬০% ট্রেড হতো। বিশ্বযুদ্ধের পরের ১০ বছরে পাউন্ড শুয়ে পরে। আর ২৫ বছরের মধ্যে ডলার পাউন্ড কে রিপলেস করে রিজার্ভ হিসেবে।

    তাই এখন রেমনাবিতে ১. ৫ % ট্রেড হলেও কেপেবিলিটি তৈরী হচ্ছে কিনা সেটাই বিচার্য । আমেরিকাও সেটাই দেখছে। চীন ভবিষ্যতের কেপেবিলিটি কিভাবে বাড়াচ্ছে?

    ১। OBOR প্রজেক্ট ঃ এই ইন্ফ্রা প্রজেক্ট চীনকে মধ্য প্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, দক্ষিন এসিয়া, ইউরোপ, আফরিকার প্রায় ৫০ টা দেশের সাথে স্থল পথে যুক্ত করবে। এই পথে যে বানিজ্য হবে তাতে আমেরিকার নিয়ন্ত্রন কম থাকবে অনেক। এখন মুল বানিজ্য (তেলসহ) হয় জলপথে । সুয়েজ ক্যানাল, হার্মুজ স্ট্রেট , মালাক্কা স্ট্রেট ইত্যাদি চোকিং পয়েন্ট গুলোআমেরিকা কনট্রোল করে। OBOR এই নিয়ন্ত্রন অনেকটাই কমাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর OBOR এর স্থলবানিজ্য ডলার ছাড়াই হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। OBOR এর একটা পার্ট হলো পাকিস্থানের CPEC , এটাই সবথেকে দ্রুত তৈরী হচ্ছে টেস্ট কেস হিসেবে। আর এর মধ্যেই চীন পাক বানিজ্য নিজেদের কারেন্সি তে হচ্ছে

    ২।চীন রাশিয়া তেল আর অন্যান্য বানিজ্য এখন ডলার ছাড়াই হচ্ছে অনেকাংশে

    https://russia-insider.com/en/politics/saudi-arabia-has-lost-asia-russia-now-chinas-biggest-oil-partner/ri12611

    ৩। অদুর ভবিষ্যতে চীন -রশিয়া-ইরান-সিরিয়া-পাকিস্তান ট্রেড হবে ডলার চাঅড়াই--পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে

    ৪। সউদিকেও চীন তুমুল প্রেসার দিচ্ছে রেমনাবিতে ট্রেড করার জন্য।
    https://www.cnbc.com/2017/10/11/china-will-compel-saudi-arabia-to-trade-oil-in-yuan--and-thats-going-to-affect-the-us-dollar.html

    ভিডিও টা দেখবেন। এরা বলছে ডলারের রিজার্ভ কারেন্সি থেকে হটা এখনো ফিউচার থ্রেট কিন্তু ট্রান্স্যাকসান কারেন্সি হিসেবে হটে যাওয়া প্রেসেন্ট থ্রেট ।

    ৫। SWIFT এর সমতুল্য সিস্টেম বানিয়েছে চীন (CIFT ) বিকল্প হিসেবে। একদম ই জনপ্রিয় নয়, কিন্তু কেপেবিলিটি তৈরি হয়ে আছে

    ৬। টাটকা খবর হলো চীন তেলের ফিউচর ট্রেড ডলারে করবে না বলেছে যা নিয়ে চুড়ান্ত হইচই দুনিয়ায়

    https://www.zerohedge.com/news/2018-03-31/china-plans-pay-oil-imports-yuan-instead-dollars

    " Name: S

    IP Address : 194.167.2.96 (*) Date:04 Apr 2018 -- 10:05 PM

    "লড়াইটা ইউয়ান ভার্সেস ডলারের বাজার দখলের" এইটা পুরো যাতা।" "

    দাদা এই কথাটা আপনি আমার মুখে প্রথম শুনলেন বলে যারপরনাই আশ্চর্য্য হলাম। এই যাতা কথাটা প্রথম বলার ক্রেডিট আপনি দিলেও নিতে পারছি না।ঃ)

    কিছু আগেকার রেফারেন্স-

    https://www.theguardian.com/business/2009/oct/06/oil-us-dollar-threat-to-america

    https://www.huffingtonpost.com/alastair-crooke/petrodollar-us-saudi-policy_b_6245914.html

    https://www.telegraph.co.uk/finance/commodities/10392620/China-aiming-for-de-Americanised-world-with-renminbi-replacing-dollar.html

    ফোর্বসের খবর না বল্লে তো আবার লোকে শুনবে না। এই নিন টাটকা টাটকা--

    https://www.forbes.com/sites/sarahsu/2018/04/05/the-almighty-dollar-is-us-dominance-in-the-oil-trade-waning-as-china-begins-using-rmb-for-payment/#5de1b26bc875

    আর কেনা জানে তেলের বানিজ্য ডলারে হয় বলেই এতো ট্রেড ডেফিসিট, ধার দেনা উপেক্ষা করে ডলার এখনো ডলার আছে। সেত কাল থেকে না হলে কি হবে কে বলতে পরে।

    সব থেকে পুরোনো যে লেখাটা আমি পর্রেছিলাম সেটা ২০০৫ এর। দেখুন কতটা মিলছে

    https://books.google.com.sa/books/about/Sterling_s_Past_Dollar_s_Future.html?id=xEqyAAAAIAAJ&redir_esc=y

    https://eml.berkeley.edu/~eichengr/research/tawney_lecture2apr29-05.pdf
  • lcm | 109.0.80.158 | ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ২২:০৫674351
  • ধরুন, নাইজিরিয়া লৌহচূর্ণ (আয়রন ওর) আমদানি করবে ব্রেজিল থেকে - ট্রেডিং কারেন্সি ব্রেজিলিয়ান রিয়েল নয়, নাইজিরিয়ান নাইরা ও নয়, কারেন্সি হবে ইউএস ডলার। নিদেনপক্ষে, ইউরো।

    চাইনিজ Yuan/RMB এখনও তুলনামূলক জায়গায় আসে নি।

    সুতরাং, "লড়াইটা ইউয়ান ভার্সেস ডলারের...." --- এদ্দুর এখনও যায় নি ব্যাপারটা।
  • lcm | 109.0.80.158 | ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ২২:১৭674352
  • ট্রেজারি বন্ডে ফিরে আসা যাক।

    অন্য দেশগুলি কে কত টাকার ইউএস ট্রেজারি বন্ড কিনেছে সেই চার্টটা একবার দেখা যাক - -


    http://ticdata.treasury.gov/Publish/mfh.txt

    এখন এই সব দেশ মাঝে মাঝে বিক্রি করে টাকা তুলেও নেয়।

    প্রশ্ন হল এ জিনিস তো চলে আসছে, বন্ড কেনা বেড়েও যাচ্ছে - কিন্তু কদ্দিন এমন চলবে? কোনোদিন কি সব দেশ টাকা গুটিয়ে নিতে চাইবে? কেন চাইবে, কোন পরিস্থিতে?
  • S | 194.167.2.96 | ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:৫৯674353
  • যতক্ষন না অন্য একটা ভরসাযোগ্য সলিড অল্টার্নেটিভ কারেন্সি না তৈরী হচ্ছে, ততদিন ডলার ধুমধাম করে চলবে। ইউরোর অবস্থা ভালো নয় তেমন। পাউন্ড ভালো, তবে পুরো গ্লোবাল ট্রেড সামলানোর মতন নয় (ইউকের জিডিপি ভারতের থেকেও কম)। জাপানের ইকনমি স্ট্যাগনান্ট হয়ে আছে, নইলে ইয়েন খুব ভালো কারেন্সি। অত সোনা কেনা আর ট্রান্সফার করা মুশকিল। তাছাড়া এই ইউরো, পাউন্ড, ইয়েন এগুলো সব ডলারের বন্ধু কারেন্সি (মানে ডলারকে সাবোটেজ করে কিছু করবে না)।
  • S | 194.167.2.96 | ০৮ এপ্রিল ২০১৮ ০০:১২674355
  • @পিএম,
    "বিশ্বযুদ্ধের পরের ১০ বছরে পাউন্ড শুয়ে পরে। আর ২৫ বছরের মধ্যে ডলার পাউন্ড কে রিপলেস করে রিজার্ভ হিসেবে।"
    হ্যাঁ কিন্তু কেন হলো এটা? মাঝে একটা বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গেছিলো। ব্রিটেন তার বেশিরভাগ কলোনি হারালো। জার্মানরা লন্ডন ধসিয়ে দিয়েছিলো। আর বোমা ফেলে আমেরিকা একনম্বর শক্তি হয়ে ওঠে। তাছাড়া আমেরিকার অর্থনীতি চিরকালই ক্যাপিটালিজমের স্ট্রাকচারের মধ্যেই ছিলো।
  • S | 194.167.2.96 | ০৮ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৫৮674356
  • @PM, একটা রিকোয়েস্ট করবো? এতো খবর দেখবেন না। র ডেটা গুলো নিয়ে নিজে বিচার করুন। খবর তৈরী করার একটা ব্যবসায়িক প্রয়োজন আছে। বেশিরভাগই খাজা কথাবার্তা। অনেক সময়ই লজিকাল ফ্যালাসিও থাকে। তাইতো বিগত দুইবছরে ইউয়ানে ট্রান্জাক্শন কমলেও লোকে এইসব খবর/ডিসকাশন করে।

    বিশেষ করে আমেরিকা নিয়ে একটা অবসেষন আছে সবার, তাই এতো উত্তেজিত/প্যারানয়েড হয়ে যায়। আর আমেরিকার কিছু একটা হবে, এটা অনেককে হার্ডন দেয়। ফলে খবর/অ্যানালিসিসও ঐভাবে তৈরী করা হয়।

    ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিসের পরেও সবাই ভেবেছিলো যে আমেরিকা এবং ড্লারের দিন বোধয় শেষ ইত্যাদি। সেই নিয়ে কত্ত খবর, কত্ত অ্যানালিসিস, কত্ত আলোচনা। বেশ কিছু বইও লেখা হয়ে গেছে। কিন্তু সেতো হলোনা। দেখা গেলো বাকিদের অবস্থা আরো খারাপ। ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিসের পরে এই বিগত দশ বছরে আমেরিকা ১০ ট্রিলিয়ন ডলার লোন নিয়েছে। লোকে আনন্দের সঙ্গে নেচে নেচে দিয়েছে। ইন্টারেস্ট রেট তো এখনো বেশ কম, তখন তো আরো কম ছিলো। ২০০৭এর সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার লোন ছিলো ৯ ট্রিলিয়ন ডলার। এটা নিয়ে একটু ভাবুন। কেন হলো?

    চীন এখন ১৫ ট্রিলিয়নের ইকনমি। মধ্যপ্রাচ্য তেলের সবথেকে বড় কাস্টোমার। আর চীন সবকিছু এক্স্পোর্ট করে। তাই অনেক দেশই হয়তো ইউয়ানে কিছুটা ট্রান্জাকশন করতে রাজি হচ্ছে। স্যন্ক্শন থাকাকালীন ইন্ডিয়া ইরানের থেকে সোনা-বার্টার সিস্টেমে-এমনকি রুপিতেও তেলে কিনেছে। গ্লোবাল ট্রেডে দশ বছর পরে তেলের অবস্থান কোথায় থাকবে, সেইটাই দেখার। গ্লোবাল অয়েল ট্রেডে আম্রিকা আর ইয়োরোপের শেয়ার কমবে সেটা নিস্চিত। তেলের দামও কম। মেজর কনফ্লিক্ট না লাগলে বাড়বে না।

    কিন্তু রিজার্ভ কারেন্সি একটা আর ট্রান্জাকশন কারেন্সি আরেকটা - এটা ফাইনান্সিয়াল/ লজিস্টিকাল নাইটমেয়ার। বেশিদিন সামলানো খুব মুশকিল। আপনি ভেবে দেখুন যে আপনার ব্যান্কে সব টাকা রয়েছে ডলারে আর পেট্রোল পাম্পে নেয় ইউয়ান। চলবে?

    আর চীনের রেনমিনবি অন্য কারণে কারোর ফেবারিট নয়। সুইফ্টের মত একটা সিস্টেম আজকের যুগে বানানো কোনও ব্যাপারই নয়। সেটা আপনি আমার থেকেও ভালো জানেন। চীনের কারেন্সি ট্র্যাক রেকর্ড খুবেকটা ভালো নয় (বেশ খারাপ)। প্রচুর রেগুলেশন আছে। প্রচন্ড ইন্টার্ভেনশন করেছে, এখনো করে।

    ওয়েল ফিউচার একটা ট্রেডিঙ্গ অপুর্চুনিটি। প্রচুর লোকে কমোডিটিতে স্পেকুলেশন করে। তেলের মার্কেটে সেটা কতটা জানতে পারলে ভালো হতো। আর চীনের ঐ ফিউচার কেমন করছে। এক না দুই উইক ট্রেডিঙ্গ হয়ে গেলো তো।
  • S | 194.167.2.96 | ০৮ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:১৪674357
  • এইযে ট্রেড ডেফিসিট এক্সপ্লেইন্ডঃ
  • sm | 52.110.151.49 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১১:৪৯674358
  • আমেরিকা, চায়না থেকে ইমপোর্ট করে ৫০০০০কোটি ডলার এর সামগ্রী।
    চায়না, ইমপোর্ট করে ১৭০০০ কোটি ডলার মূল্যের সামগ্রী।চায়না মূলত আমদানি করে খাদ্য দ্রব্য। অর্থাৎ সোয়াবিন, শুওরের মাংস এসব।
    এছাড়া, চায়না কয়েকশো প্লেন এর অর্ডার দিয়েছে বোইং কোম্পানি কে। সুতরাং দু দেশ ই বিরাট কোন কড়া স্টেপ নেবেনা। ইতিমধ্যে ট্রাম্প বলেছে নেগোশিয়েশন টেবল এ বসবে। বেশ ভালো পদক্ষেপ; ট্রাম্প এর দিক থেকে।
    চায়না কে মৃদু হুমকি না দিলে আলোচনায় বসানো কঠিন হতো।
    ট্রাম্পের দিক থেকে যা, আদায় করা যায়, তাই ই লাভ।
  • sm | 52.110.151.49 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১২:০৩674359
  • এল সি এম ও S কে প্রশ্ন। চায়না গত বছর দু -এক থেকে, ট্রেজারী সিক্যুরিটি, খুব একটা কিনতে আগ্রহী নই। জাপান এর ও কেনা সিক্যুরিটি ভান্ডার যথেষ্ঠ।
    এমতবস্থায়, আগামী কয়েক বছর আমেরিকা এই বিপুল ট্রেড ডেফিসিট বহন করতে রাজি হবে কেন?
    বরঞ্চ চায়নার পরিবর্তে ভিয়েতনাম, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ;এদের থেকে বেশি আমদানি করবে।
    দুই, চায়না প্রায় পঞ্চাশ টা দেশের সঙ্গে ভালো রকম বানিজ্য করে ও ডমিন্যান্ট পার্টনার।
    এদের সঙ্গে রেমনিবি তে বানিজ্য করতেই পারে। বাঁধা কোথায়?
    এতে কি দুপক্ষের ই লাভ থাকে না ডলারে করলে বেশি লাভ? কেন?
  • S | 194.167.2.96 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১২:২০674360
  • ওরকম দুম করে একদিনে সাপ্লায়ার চেন্জ করা যায়্না। আর অন্য অনেক দেশে প্রোডাকশান কস্ট বেশি, বা কোয়ালিটি কন্ট্রোল কম এইসব অসুবিধে আছে।

    ইউয়ান একেবারেই ভালো কারেন্সি না। চীনা সরকার প্রচুর ম্যনিপুলেট করে নিজেদের সুবিধার জন্য। তাই কেউ ঐরকম কারেন্সি রাখেনা।
  • sm | 52.110.151.49 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১২:৫৮674361
  • ডলারে,বানিজ্য করলে একস্ট্রা কি লাভ?এটা কি ডলারের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে, মানসিক বল যোগায়?
    দুই, lcm এর উদা অনুযায়ী ব্রেজিল নাইজেরিয়া নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য করতে গেলে অবশ্যই ডলারে করবে। কিন্তু চিন,নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য করতে বা ভারত বাংলা দেশ এর সঙ্গে বাণিজ্য করতে কেন ডলার কে বাজি রাখবে?
  • S | 194.167.2.96 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:০৭674362
  • উফ আপনি বড্ড নভিসের মত কোস্চেন করছেন।

    ডলারের দাম বাজার ঠিক করে। আর ইউয়ানের দাম ঠিক করে চীন সরকার। ফলে মার্কেটের রেট এক হয়, আর ম্যানিপুলেটেড রেট আরেক হয়। মনে করুন আপনি চীনকে জিনিসপত্র সাপ্লাই করলেন। মার্কেট রেটের হিসাব হিসাব অনুযায়ী আপনার পাওয়া উচিত ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু চীন সরকার কারেন্সি ম্যানিপুলেট করে জে রেট দিচ্ছে, সেই অনুযায়ী আপনি পাবেন মোটে আট লক্ষ টাকা। এরকম কারেন্সিতে কেউ ট্রেড করে না।

    এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে। আমেরিকার ইকনমি বড়লোক ইকনমি, তাই অনেক বেশি ডিপেন্ডেবল। ফলে ভোলাটিলিটি কম। ডলারে বাজি রাখা ইজ মাচ বেটার দ্যান মোস্ট অব দ্য আদার কারেন্সিজ।
  • PM | 56.152.44.163 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:৩০674363
  • আগে কারেন্সির হতো গোল্দ ব্যাক্ড। দাম সেভাবেই ডিটারমাইন্ড হতোঅ বাজারে। এখনকার ডলার কিন্তু গোল্দ ব্যাক্ড নয়।

    ডলারের দাম বাজার ঠিক করে- কথা টা ঠিক। কিন্তু এই বাজারের একটা বড় অংশ তেলের বাজার।

    অন্য ভাবে বললে এখনকার ডলার হলো সোনার বদলে " কালো সোনা" ব্যাকড। তাই অধ্য প্রাচ্যে তেল ভান্ডারের কনট্রোল রাখার জন্য আমেরিকার এতো মরনপন চেষ্টা। এতো যুদ্ধ।

    কাল যদি তেল বানিজ্য অন্য কারেন্সিতে হয় -- বাজারে ডলারের এখনকার মতো জামাই আদর না পাবার ই কথা
  • sm | 52.110.151.49 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:০৭674364
  • ডলার যে, ইউয়ান এর চেয়ে স্টেবল ও লেস ম্যানিপুলেটেড কারেন্সি, এটা সবাই জানে।
    কিন্তু ভারত- বাংলাদেশ বা নেপাল -চীনের ভেতর বানিজ্য লোক্যাল কারেন্সি করলে কম্প্যারেটিভ লাভ তো বেশি বলেই মনে হয়।
  • S | 194.167.2.96 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:১০674366
  • কেন? আপনি আজকে মাল সাপ্লাই করলেন। পয়সা পাবেন ছমাস পরে। সেই সময়ে যদি বাংলাদেশ টাকা ডিভ্যালুড হয়ে যায়, আপনার চলবে?
  • sm | 52.110.148.176 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:০৭674367
  • সেতো ডলারও ডিভ্যালুড হতে পারে। পাউন্ড কে আমি কয়েক মাসের মধ্যে ৯০ থেকে ৬৫ তে নামতে দেখেছি।ডলার এর ও ভালো মতন ডিভ্যালু হয়েছিল ২০০৮ নাগাদ।ভারত বাংলা দেশ বা চীন-নেপাল বানিজ্য হলে, পেমেন্ট এর সময় ইফ্লেশন এডজাস্ট করে রেট দেবে। এমন কিছু শক্ত জিনিস তো নয়!
  • S | 194.167.2.96 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:২০674368
  • আপনিই তো লিখলেন "ডলার যে, ইউয়ান এর চেয়ে স্টেবল ও লেস ম্যানিপুলেটেড কারেন্সি, এটা সবাই জানে।" তাহলে কোনটার ভোলাটিলিটি বেশি?

    "সেতো ডলারও ডিভ্যালুড হতে পারে।"
    হতে তো সবই পারে। কিন্তু কোনটার প্রোবাবিলিটি বেশি।

    আপনি কয়েকমাসে কবে কখন কি দেখেছেন সেটা বিচার্য্য নয়। বিগত তিরিশ বছরে ডলারের দাম বেড়েছে না কমেছে? আর টাকার দাম বেড়েছে না কমেছে?

    "পেমেন্ট এর সময় ইফ্লেশন এডজাস্ট করে রেট দেবে। এমন কিছু শক্ত জিনিস তো নয়!"
    তা এই সহজ জিনিসটা বুঝিয়ে দিন একটু অন্ক কষে। আর ইনফ্লেশন আসছে কোথা থেকে সেটা বুঝলাম না।

    তাছাড়া বড় ট্রেড ভলিউম সামলানোর মতন মনিটারি বেস নেই এই কারেন্সিগুলোর।
  • sm | 52.110.148.130 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:৩০674369
  • আগের মতোই বলছি ডলার সবচে শক্তিশালী কারেন্সি। কিন্তু তা বলে দুটো দেশ নিজেদের মধ্যে স্ব স্ব করেন্সিতে বানিজ্য করতেই পারে। এর স্বপক্ষে এডভ্যান্তেজ ও প্রচুর। মানে আস্তে আস্তে শুরু হচ্ছে বা হবে।
    আর ডলার অয়েল ব্যাকড হলেও বেশি দিন থাকার সম্ভবনা কম। কারণ শেল অয়েল রিসার্ভ চায়নার প্রচুর। ভারতের ও মোটামুটি।
  • S | 194.167.2.96 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:৪১674370
  • "কিন্তু এই বাজারের একটা বড় অংশ তেলের বাজার।

    অন্য ভাবে বললে এখনকার ডলার হলো সোনার বদলে " কালো সোনা" ব্যাকড। তাই অধ্য প্রাচ্যে তেল ভান্ডারের কনট্রোল রাখার জন্য আমেরিকার এতো মরনপন চেষ্টা। এতো যুদ্ধ।"

    প্রথমতঃ বাজার বলতে ডলারের ডিমান্ডের কথাই বলা হচ্ছে। সেটা এখনো রয়েছে। ট্রেড এবং রিজার্ভের জন্য। তেলের ট্রেড একটা বড় অংশ সন্দেহ নেই।

    এটা বোধয় খুব র‌্যাপিডলি চেন্জ হতে চলেছে। ট্রাম্প এসে ব্যাপারটা কিছুটা আটকে দিয়েছে (রাশিয়াও তাই চায়)। প্রথমতঃ তেলের দাম কম থাকায় কম ভ্যালুর তেল ইম্পোর্ট করছে দেশগুলো। ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রেই বিগত পাঁচ বছরে ক্রুডের ইম্পোর্ট ভ্যালু প্রায় হাফ হয়েছে (এটার ডেট কেউ জোগার করুন)। পেট্রোডলারের ইম্পর্ট্যান্স কমছে মার্কেটে। তাছাড়া প্যারিস অ্যাকর্ড এনে ফসিল ফুয়েল ইউসেজ কার্টেইল করতে চলেছে। অন্য এনার্জি সোর্স অনেক বেশি পপুলার হতে চলেছে ইন দ্য কামিঙ্গ ইয়ার্স।
  • S | 194.167.2.96 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:৫৫674371
  • "এর স্বপক্ষে এডভ্যান্তেজ ও প্রচুর।"
    গোটা পাঁচেক দিন না। আমরাও আলোকিত হই।

    ডিস্যাডভান্টেজ গুলো আমি লিখে দেই।
    ১) বাংলাদেশের সাথে ট্রেড করতে গেলে ভারতের হাতে অনেক বাংলাদেশি টাকা রাখতে হবে। সেই টাকার দাম কমলে ভারতের ক্ষতি হতে পারে।
    ২) এতো দেশের সাথে ভারত ট্রেড করে। সবার জন্য কি আলাদা আলাদা কারেন্সি রাখবে? তাহলে কতরকমের কারেন্সি রাখতে হবে?
    ৩) একটা ব্যান্ককে যদি পন্চাশটা কারেন্সি রাখতে হয় আর সেগুলোর আলাদা সিস্টেম রেগুলেশন করতে হয় তাহলে ট্রান্জাক্শন কস্ট প্রচুর বেড়ে যাবে।
    ৪) এতো বড় ট্রেড ভলিউম সামলানোর মতন মনিতারি বেস নেই অনেক কারেন্সির। চীনেরই নেই। ঐ মনিটারি বেস তৈরী করতে গেলে যে পরিমান ইউয়ান মার্কেটে ছাড়তে হবে, তাতে ওদের কারেন্সির গুছিয়ে ডিভ্যালুয়েশন হয়ে যাবে। ফলে ১ নম্বরের সমস্যাটা হবে।
    ৫) হাতের কাছে একটা স্টেবল আর শক্তিশালী কারেন্সি (আপনার ভাষায়) যেটা উপরের সবকটা সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে, সেটা থাকতেও কেন জিনা হারাম করতে যাবো, সেটা আমার মত বোকা লোকেরা বুঝতে পারেনা।

    আমি এখানে ক্ষান্ত দিলাম।
  • sm | 52.110.144.46 | ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:৫৬674372
  • ফরেন কারেন্সি রিসার্ভ ,যে কোন কান্ট্রির হেডেক। যদি প্রচণ্ড রকম ডিভ্যালু হয়, তাহলে কপাল চাপ্রানো ছাড়া কোনো অপশন থাকবেনা। ৭০s এ বোধ হয় এমন একটা ডিপ্রেসন এসেছিল।
    চায়না, তার তিন ট্রিলিয়ন রিসার্ভ আর কতো বাড়াবে?
    দুই, ধরা যাক চায়না আর নাইজেরিয়া বানিজ্য করতে চায়।
    নাইজেরিয়ার আছে প্রচুর অয়েল রিসার্ভ কিন্তু এনাফ ডলার রিসার্ভ নেই। তেল কেনার খরিদ্দার ও বিশেষ কোনো দেশ নেই।
    চায়নার দরকার সস্থায় প্রচুর তেল। চায়না নাইজেরিয়া কে প্রচুর ধার দিলো, এক্সপোর্ট করল খাবার দাবার, পোশাক আসাক ইত্যাদি।পরিকাঠামো তে প্রচুর ইনভেস্ট করল। এমন কি নাইজেরিয়ার অয়েল রিফাইনারি গুলোর আধুনিকীকণের জন্য প্রচুর ব্যয় করলো।
    পরিবর্তে নিলো সস্থায় প্রচুর তেল।
    দু পক্ষেরই উইন উইন সিচুয়েশন।
    নাইজেরিয়ার লাভ --দেশের পরিকাঠামো, ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদিতে বিনিয়োগ হেতু; চাষ, বাস,পশুপালন, ডেয়ারি উন্নত হলো।
    চায়না, এসব জিনিষ আমদানি করলো ,নিজের চাহিদা মেটালো ও নিজের ফিনিসড প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট করলো--পুরোটাই নিজ নিজ কারেন্সি তে।
    দুপক্ষের ইকোনমি উন্নত হলো;আর চায়না একটা ট্রাস্টেড বিজনেস পার্টনার লাভ করলো।
    তিন, ডলার কে দীর্ঘদিন রিসার্ভ কারেন্সি রাখা মানে, আমেরিকার বন্ড মার্কেট এ প্রচুর ফরেন ইনভেস্টমেন্ট হবে। এতে করে, আমেরিকার ম্যানুফ্যাকচার ইন্ডাস্ট্রি মার খাবে, আর বিদেশি জিনিসের ওপর ডিপেন্ডেন্সি বাড়বে এবং সর্বোপরি আম্প্লয়মেন্ট বাড়বে।
  • দ্রি | 203.90.12.118 | ১০ এপ্রিল ২০১৮ ০৯:৪২674373
  • Moscow wants to get rid of dollar & euro payments in oil trade with Turkey and Iran

    https://www.rt.com/business/423564-russia-oil-national-currencies/

    Turkey wants trade with China, Russia and Iran in local currencies, Erdogan says

    https://www.reuters.com/article/turkey-currency-trade-erdogan/corrected-turkey-wants-trade-with-china-russia-and-iran-in-local-currencies-erdogan-says-idUSL5N1DZ0GI

    ডলারে ট্রেড যদি এতই সুখের তাহলে এরা সুইচ করতে চাইছে কেন? আর যখনই কেউ বলে আমরা সুইচ করতে চাই আম্রিকা তাদের আক্রমণ করে কেন? বললেই তো পারে, দূর হ হতভাগা, ডলারে বিজনেস না করলে তোদেরই লস।

    তবে হ্যাঁ, অসুবিধেও আছে।

    “This concerns both Turkey and Iran – we are considering an option of payment in national currencies with them. This requires certain adjustments in the financial, economic and banking sectors.”

    কিছু কিছু অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে হবে। কিন্তু সেটা করে যদি অন্য কোন বেনিফিট হয় তাতে অনেকে রাজিও হতে পারে। একটা বেনিফিট যেমন অয়েল প্রোডিউসিং কান্ট্রির ওপর আম্রিকা অনেক সহজে স্যাংশান চাপাতে পারে। লোকাল কারেন্সিতে ট্রেড করলে সেটা একটু অসুবিধে। সুইফটের থ্রু দিয়েও যেতে হয় না।

    তবে ডলার এখনও কিং। ট্রেড ভলিউমের দিক দিয়ে। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন ডলারের রিপ্লেসমেন্টের কথা ভাবাও ছিল পাপ। এবং তার শাস্তিও ছিল ভয়ঙ্কর। এখন আর তা নয়। ডিমের ভিন্ন ঝুড়ি এখন অনেকেই চায়। এই ব্যাপারটা শুরু করার জন্য সাদ্দামের একটা বাহবা প্রাপ্য।
  • S | 194.167.2.96 | ১০ এপ্রিল ২০১৮ ১০:০২674374
  • খবরটা ২০১৬র। টারকি চাইছে নিজের কারেন্সি বাঁচানোর তাগিদে। এর্ডোগান তারপরেও অনেকবার একই কথা বলেছে। কেউ পাত্তা দেয়নি। সবাই "দূর হ হতভাগা"ই বলেছে। কারণ লিরার দাম আরো পড়েছে বিগত দুবছরে। আর টার্কি ইজ নো প্লেয়ার ইন ইন্টারন্যশনাল ট্রেড। ট্রাকিশ লিরার ট্রেড বোধয় রুপির থেকে সামান্য বেশি।

    ট্রেডিঙ্গ কারেন্সির বাস্কেট অলরেডি ডাইভার্সিফাইড এনাফ। ইউরো, পাউন্ড, ইয়েন, মার্ক, ক্রোন, ক্রোনার, সুইশ ফ্র্যান্ক, অস্ট্রেলিয়ান/ কেনেডিয়ান ডলার ছাড়াও বার্টার সিস্টেম আর সোনাতেও ট্রেডিঙ্গ হয়। এছাড়া নতুন সংযোজন ইউয়ান। লোকাল কারেন্সিতেও হয় - খুব খুব কম।
  • sm | 52.110.149.250 | ১০ এপ্রিল ২০১৮ ১০:০৪674375
  • ডলার ছাড়া নিজ নিজ করেন্সিতে বানিজ্য করার তোড়জোড় বহুদিন বহুদেশে প্র্যাকটিস হয়েছে। ব্রিক চার বছর আগেই চুক্তি করেছিল। কিন্তু সফল হয়নি। অর্থাৎ এখন ও ডলার কে রিপ্লেস করার অবস্থা বা সামর্থ্য হয়ে ওঠেনি।
    কিন্তু ফিউচারে হবে না এমন নয়।
    অন্তত যাঁরা আমেরিকার দীর্ঘস্থায়ী উন্নতি চান;সেই সব ইকোনমিস্ট এর অনেকেই মনে করেন;ডলার কে হার্ড কারেন্সি বা রিসার্ভ কারেন্সি রাখার পেইন প্রচুর।
    এতে করে দেশের ধারের পরিমাণ বাড়ে।
    দুই, অর্থনীতির ন্যাচারাল মানি ফ্লো উল্টমূখী হয়। অর্থাৎ ধনী থেকে দরিদ্র দেশে ডিস্ট্রিবিউশন না হয়ে, উল্টো দিকে যায়।
    ধীরে ধীরে দেশের ধার বাড়ে ও অন্যান্য দেশ যেমন চিন -ভারত,প্রমুখের নেট সম্পদ বাড়ে।
    হয় তো, এখনই মেজর স্টেপ না
    নিলে, কয়েক বছর পর চীন জিডিপি তে প্রথম হবে।
    হলেই, ইউয়ানের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। কে না জানে, অর্থনীতিতে বিশ্বাস একটা বড় ফ্যাক্টর।
    সুতরাং, আমার মতে ট্রাম্প চায়নার ওপর ইমপোর্ট ট্যারিফ বসিয়ে ও ট্রেড ডেফিসিট কমানোর পলিসি নিয়ে খুব বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।
    একদিন না একদিন সাহস করে কাউকে এ কাজ টা করতেই হতো।
  • S | 194.167.2.96 | ১০ এপ্রিল ২০১৮ ১০:০৯674377
  • "ডলারে ট্রেড যদি এতই সুখের তাহলে এরা সুইচ করতে চাইছে কেন?"

    কেউ সুইচ করতে চাইছে নাতো। ডেটা তো তাই বলছে। ইউয়ানের শেয়ার এখনো দেড় পার্সেন্ট আর নিম্নগামী। ডলার সেখানে ৫০%। ইউয়নের শেয়ার হয়তো ভবিষ্যতে বাড়বে। কিন্তু ডলারকে সরাতে কয়েক দশক লেগে যাবে, এই শতকে নাও হতে পারে।

    বেশিরভাগ দেশ চায় অন্যরা আমার কারেন্সিতে ট্রেড করুক, কিন্তু নিজে অন্যের কারেন্সি ব্যবহার করতে চায়্না। ইন্ডিয়া বাংলাদেশ টাকা, চাইনিজ ইউয়ান, রাশিয়ান রুবল, বা টার্কিশ লিরাতে ট্রেড করতে রাজি হবে?

    আপনি আপনার সেভিঙ্গস টাকা আর ডলার ছাড়া অন্য কোনও কারেন্সিতে বদলে রাখেন না কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন