এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমাদেরই মা বাবা

    Abhyu
    অন্যান্য | ০৫ জুলাই ২০১৫ | ৬৪৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 118.85.88.75 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ১০:০০681001
  • http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=16284&boxid=132746759

    ছুটিতেও টানে না বাড়ি, হোমই জীবন

    এই সময় : ভবানীপুরে রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি ছিল সন্ধ্যাদেবীর (নাম পরিবর্তিত)৷ এখন তাঁর ঠিকানা সল্টলেকের একটি বৃদ্ধাবাস৷ কেন এই ঠাঁইবদল ? প্রশ্নটা করতেই ডুকরে ওঠেন ৭০ ছুঁইছুঁই ওই বৃদ্ধা৷ বৃদ্ধাবাসের কর্মীদের চোখেমুখে তখন উদ্বেগ৷ একজন তো বলেই দিলেন , ‘এই কথাটা জিজ্ঞেস করা আপনার ঠিক হয়নি৷ বাড়ির কথা উঠলেই উনি অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন৷ এটা ওনার একটা মানসিক সমস্যা৷ আমরা চিকিত্সা করছি৷ ’ জল , ওষুধ খাওয়ার পর খানিকটা সম্বিত ফেরে সন্ধ্যাদেবীর৷ খুলে যাওয়া চুল বেঁধে নিয়ে নাটকীয় ভাবে নিজেই বলে ওঠেন তাঁর ঘরছাড়ার বৃত্তান্ত --- স্বামী ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার৷ ছেলে -মেয়ের বিয়ের পরই শুরু হয় সম্পত্তি নিয়ে ভাই -বোনের দুর্দান্ত ঝামেলা৷ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট জামাই চাপ বাড়াতে থাকেন সন্ধ্যাদেবীর স্বামীর উপর৷ সেই চাপের মুখে ব্যাঙ্কে জমানো ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে হয় ওই তাঁকে৷ সে খবর পেয়ে ছেলে , বউমার অত্যাচার আরও বেড়ে যায়৷ শেষে দোতলার প্রিয় ঘর ছেড়ে চিলেকোঠায় উঠে যেতে হয় বৃদ্ধ দম্পতিকে৷ এই শোকেই একদিন মৃত্যু হয় সন্ধ্যাদেবীর স্বামীর৷ রাতে হঠাত্ বুকে ব্যথা ওঠে তাঁর৷ বার বার ডাকাডাকি করার পরও ছেলে বের হননি ঘর থেকে৷ ‘ওরে তোর বাবা কেমন করছে রে ...’ বন্ধ ঘরের ওপার থেকে মায়ের এই আকুতি শুনেও বের হয়নি কেউ৷ বউমা ভিতর থেকে নির্দেশ দিয়েছিল , ‘রাতটা কাটিয়ে দিন৷ সকালে দেখা যাবে৷ এখন যান , ঘুম আসছে৷ ’ স্ত্রীর কোলে মাথা রেখেই ভোররাতে প্রাণ হারান অসুস্থ বৃদ্ধ৷ স্বামীর দেহ কোলে নিয়ে সন্ধ্যাদেবী পাথর হয়ে বসেছিলেন বেশ কয়েক ঘণ্টা৷ কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে উপরে উঠে বাড়ির পরিচারিকাই প্রথম এ দৃশ্য দেখে চিত্কার করে ওঠেন৷ স্বামীর শ্রাদ্ধ সেরে আর এক মুহূর্ত ওই বাড়িতে কাটাননি বৃদ্ধা৷ চলে এসেছিলেন সল্টলেকের ওই বৃদ্ধাবাসে৷ পুলিশে যাননি কেন ? প্রশ্নটা করতেই সন্ধ্যাদেবী বলে ওঠেন , ‘তুমি বাবা হওনি তো৷ তাই সন্তানের মায়া বুঝবে না৷ তোমাদের বয়স কম , তাই ভাবো , সবই আইন দিয়ে হয়ে যাবে৷ মা -বাবারা এ ভাবে ভাবেন না৷ তোমার মাকে গিয়ে বোলো আমার কথা৷ উনি হয়তো বুঝবেন ...৷’

    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=16313&boxid=14543223

    এয়ারপোর্টে মাকে বসিয়ে আমেরিকা পালাল ছেলে

    এই সময় : ঘটনাটা বিরলের মধ্যেও বিরলতম ! বলছিলেন প্রবীণদের হেনস্থা -বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক কর্মী৷ ঘটনাটার বর্ণনা দিতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই খেই হারিয়ে ফেলছিলেন নিজেই প্রবীণ ওই কর্মী৷ চশমা মুছতে মুছতে তিনি বললেন , ‘এই কাজটা করতে এসে এমন সব ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছি যে নিজেরই খুব ভয় হচ্ছে৷ আমারও এই পরিণতি হবে না তো !’কী এমন ঘটনা ? ঘটনাটার শুরু বছর চারেক আগে , সল্টলেকের এক বিলাসবহুল আবাসনের চারতলার এক ফ্ল্যাট থেকে৷ যেখানে ছিল বাবা -মা -ছেলের সুখের পরিবার৷ পড়া শেষে কর্পোরেট চাকরি নিয়ে দীর্ঘ দিন লন্ডনে থাকার পর আমেরিকা যান ছেলে৷ বৃদ্ধ মা -বাবা ভুগতে শুরু করেন একাকিত্বে৷ আবার অন্য দিকে নিজে মোটা মাইনের চাকরি করা সত্ত্বেও , মার্কিন মুলুকে আসার পরই নিজের কোম্পানি খুলতে চেয়ে বাবার উপর চাপ বাড়াতে থাকেন ছেলে৷ লক্ষ্য একটাই , ‘টাকা দাও ’৷ তাঁর বাবা ছিলেন এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বড়কর্তা৷ ব্যাঙ্ক -ব্যালান্সের অঙ্কটা ছিল ভালোই৷ ছেলের অনুরোধে কয়েক দফায় বেশ কয়েক লক্ষ টাকা পাঠিয়েও দেন তিনি৷ কিন্ত্ত তার পরেও টাকা চাওয়ার চাপ কমেনি৷ শেষে বাবাকে কলকাতার ফ্ল্যাট বিক্রি করার প্রস্তাবও দেন তাঁদের প্রবাসী ‘সু-পুত্তুর ’৷ এ র কিছু দিনের মধ্যেই মারা যান বৃদ্ধ বাবা৷ তাঁর পরিজনের অভিযোগ , মানসিক চাপ সহ্য করতে না -পেরেই হূদরোগে মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধের৷ বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে দেশে ফেরেন ছেলে৷ পারলৌকিক ক্রিয়া সেরে ৬৫ বছরের মাকে তিনি প্রস্তাব দেন , তাঁর সঙ্গে আমেরিকা গিয়ে থাকার জন্য৷ এমন প্রস্তাবে প্রথমটায় রাজি ছিলেন না মা৷ আত্মীয়রাই তাঁকে বোঝান , এখানে একা থাকার চেয়ে ছেলের সঙ্গে থাকাই ভালো৷ শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যাট -গয়না বেচে টাকা -পয়সা সব ছেলের হাতে তুলে দেন বৃদ্ধা৷ পেয়ে যান ভিসাও৷ ঠিক হয় এক রবিবার রাতে আমেরিকা রওনা দেবেন ছেলে আর মা৷ এয়ারপোর্টে পেঁৗছে ওই যুবক মাকে বলেন লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে৷ ‘একটু আসছি ’ বলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়৷ মালপত্র নিয়ে লাউঞ্জে বসে থাকা বৃদ্ধার কান্না দেখে এয়ারপোর্টের কর্মীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন৷ তিনি কে , কোথা থেকে এসেছেন , ঘটনার বিহ্বলতায় তা প্রাথমিক ভাবে বলতে পারেননি ওই বৃদ্ধা৷ শেষে টিকিটে ফ্লাইট নম্বর দেখে গোটা ঘটনা পরিষ্কার হয়৷ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ওই কর্মীর কথায় , ‘মাকে এয়ারপোর্টে বসিয়েই ছেলে তাঁর সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যায়৷ ফ্লাইট ছাড়া প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর যখন ওই মহিলার ঘটনা জানাজানি হয় , তখন আর কিছুই করার ছিল না৷ ’শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধাকে তুলে দেওয়া হয় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে৷ সহায় -সম্বলহীন ওই বৃদ্ধা আশ্রয় নেন একটি হোমে৷ অপত্যস্নেহ এতটাই যে , বৃদ্ধা পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি৷ ওই সংস্থাই পুলিশে অভিযোগও করে৷ তার পর ? স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বক্তব্য , ওই মহিলার ছেলে এখন আমেরিকার স্থায়ী আবাসিক হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি৷ কলকাতার আমেরিকান সেন্টার এবং বিদেশ মন্ত্রকে বার বার অভিযোগ করেও তেমন কোনও লাভ হয়নি ৷

    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=16334&boxid=133331711

    বাড়ি ফিরলেও প্রতারিত

    এই সময় : দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘটনা এটি৷ স্বামী মারা যাওয়ার পরই হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে খানিকটা অথর্ব হয়ে পড়েন বছর সত্তরের নীলিমাদেবী (নাম পরিবর্তিত )৷ ছেলে সরকারি চাকরি করতেন৷ কাজে অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়৷ এরপর থেকে মোটের উপর ছেলের শ্বশুরবাড়ির টাকাতেই সংসার চলত নীলিমাদেবীদের৷ সংসারে পুত্রবধূর দাপট শুরু সেখান থেকেই৷ অভিযোগ সংসারের খরচ কমাতে বৃদ্ধার নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ মায়ের উপর ছেলের মায়া ছিল , তাই বউকে লুকিয়ে কিছু ওষুধ এনে দিতেন৷ একদিন সেই গোপন খবর ফাঁস হয়ে যায়৷ স্বামীর সঙ্গে এ নিয়ে বিরোধ এমন জায়গায় পেঁৗছয় যে , সংসার ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যায় স্ত্রী৷ এই অবস্থায় সংসার চালানোই দায় হয়ে ওঠে ছেলের৷ ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে কড়া শর্ত দেওয়া হয় , হয় মায়ের ব্যবস্থা কর , নইলে ডিভোর্স দাও৷ এহেন পরিস্থিতিতে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন নীলিমাদেবীর ছেলে৷ একদিন সকাল বেলা উঠে মাকে সে বলে , ‘চল দক্ষিণেশ্বর থেকে ঘুরে আসি৷ ’ মা জানান , এই শরীর নিয়ে কী ভাবে যাবেন তিনি ? উত্তরটা তৈরিই ছিল৷ ছেলে বলে , ‘গাড়ি আনিয়ে নিচ্ছি৷ এই অশান্তি আর ভালো লাগছে না মা , চল দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে ঘরে শান্তি ফিরিয়ে আনি৷ ’ এরপর দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে পঞ্চবটি বনের মেলায় ঢোকেন মা আর ছেলে৷ একটি গাছের তলায় নীলিমাদেবীকে বসিয়ে ছেলে বলেন , ‘তুমি একটু বসো আমি তোমার জন্য কচুরি কিনে আনছি৷ ’ এই বলে সেই যে ছেলে পালিয়ে যায় , তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে এক সময় মন্দিরের ভিখারিদের পাশে বসে পড়েন ক্লান্ত বৃদ্ধা৷

    মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষীদেরই প্রথম সন্দেহ হয় তাঁর পোশাক দেখে৷ শেষে কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়৷ গোটা ঘটনার বৃত্তান্ত শুনে চোখ কপালে ওঠে মন্দির প্রশাসনের৷ খবর যায় পুলিশে৷ আসে উত্তর শহরতলির ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটিও৷ পুলিশের সামনে কোনও ভাবে মুখ খুলতে রাজি ছিলেন না বৃদ্ধা৷ বার বার বলে গিয়েছেন , ‘আমার ছেলে খুব ভালো , ওকে কিছু বলবেন না৷ আমি মা , আমি জানি ও কেন এটা করেছে৷ ’ যদিও অনেক বোঝানোর পর মুখ খোলেন নীলিমাদেবী৷ দেন বাড়ির ঠিকানা , ছেলের ফোন নম্বর৷ পুলিশি তত্পরতায় একদিন বাদে ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হয় নীলিমাদেবীকে৷ কোনও অভিযোগ না থাকায় আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ৷ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে এরপর যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের ঘেঁষতে দেননি ওই বৃদ্ধা৷ ফলে এখন তিনি কেমন আছেন , কোথায় আছেন , পরিবারেই আছেন কি না , তার কোনও তথ্য নেই কারও কাছে৷ পুলিশের কাছে ছেলে কেবল কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন , ‘আমি অপদার্থ সন্তান৷ এখন আপনারা মাকে আমার হাতে তুলে দিচ্ছেন বটে , আমি জানি না , মাকে আর কতদিন কাছে রাখতে পারব ...৷’

    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=16366&boxid=14433380

    ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে নিঃস্ব বাবার মৃত্যু বিনা চিকিৎসায়

    এই সময় : ঘটনা দুটি বছর তিনেকের মধ্যের৷ নিষ্ফলা লড়াইয়ের গল্প৷

    প্রথম ঘটনাটি সেন দম্পতির৷ থাকতেন দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত এলাকায়৷ ছেলে এমবিএ পড়ে বছর পাঁচেক লন্ডনে৷ মেয়ে একটি ছোট ব্যবসা করেন৷ ছেলের বিদেশযাত্রার পর বৃদ্ধ সেন দম্পতির দেখাশোনার ভার মেয়ের উপর গিয়েই পড়ে৷ কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার প্রাক্তন বড়কর্তা সেন ও তাঁর স্ত্রীর জীবনযাত্রা আগাগোড়াই উচ্চমানের৷ কিন্ত্ত অবসরের পর থেকে সেখানে কিছু পরিবর্তন আসে৷ ব্যাঙ্কে জমানো যা ছিল তা আগে ভাগেই দুই সন্তানের পড়াশোনা ও কাজের জন্য বেশির ভাগটা খরচ করে ফেলেছেন আশি ছুঁই ছুঁই সেনবাবু৷ এ দিকে ছেলে লন্ডনের স্থায়ী বাসিন্দার তকমা পেয়ে যেতেই টাকা পাঠানো ক্রমে বন্ধ করে দেন৷ কিডনির জটিল সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মানসিক ও শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েন সেনবাবু৷ মায়ের হাজার অনুরোধেও টাকা পাঠাননি ছেলে৷ শেষে প্রবীণ অধিকার নিয়ে কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য নেন এই সেন দম্পতি৷ মেন্টেন্যান্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অফ পেরেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেন আইন ২০০৭ অনুযায়ী মামলা দায়ের করেন ওই প্রবীণ দম্পতি৷ ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয় , যেহেতু সেন দম্পতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে জীবনযাত্রার মান অনুযায়ী টাকা তাঁদের কাছে নেই , তাই রোজগেরে সন্তান হিসেবে ছেলেকেই সেই দায়িত্ব নিতে হবে৷ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যোগাযোগে প্রথমে সমাজকল্যাণ দন্তরের প্রধান সচিব বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানায় , পরে ওই সচিবের হাত ধরেই বিদেশ মন্ত্রকের প্রবাসী ভারতীয় দন্তরের ভারপ্রান্ত সচিবকেও জানানো হয়৷ যদিও ছেলে লন্ডনের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় তাঁর কেশাগ্র ছুঁতে পারেনি ভারতীয় আইন৷ বছরখানেকের মধ্যে প্রায় বিনা চিকিত্সায় মারা যান সেনবাবু৷

    দ্বিতীয় ঘটনাটি দমদমের৷ বাড়ির বর্তমান কর্তা বিমানবন্দরে চাকরি করেন৷ স্ত্রী , দুই মেয়ে নিয়ে সুখী আবাস তাঁদের৷ কিন্ত্ত সেই আবাসেই ওই কর্তার জন্মদাতা প্রতিনিয়ত নিজের মৃত্যু কামনা করেন৷ এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তা বলছেন , ‘আমাদের কাছে উনি যখন অভিযোগ করেন , তা ছিল অত্যন্ত সাধারণ একটি ঘটনা৷ তাঁকে তাঁর ছেলে ফোনে কথা বলতে দিচ্ছেন না৷ অথচ বিদেশে থাকা মেয়ের সঙ্গে কথা না বলে তিনি থাকতে পারেন না৷ এমনকি বৃদ্ধের বন্ধুবান্ধব , আত্মীয়স্বজনদের আসাও বন্ধ করে দিয়েছে ছেলে -বউমা৷ ’পরে জানা যায় , মাঝেমধ্যে খাবার পেতেন না ওই বৃদ্ধ, দেওয়া হত না তাঁর প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও জিনিস৷ কিছু বললেই কটাক্ষের সুরে কখনও ছেলে কখনও বউমা বলতেন , ‘মরে যাও না৷ তুমি মরলে তোমার বিমার টাকাগুলো অন্তত জোটে৷ চিন্তা কোরো না , ওই টাকার কিছুটায় তোমার শ্রাদ্ধ করব৷ ’ একদিন খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে স্বেচ্ছসেবী সংস্থার হেল্পলাইনে ফোন করে অভিযোগ জানান বৃদ্ধ৷ ওই একই আইনে মামলা হয়৷ কোনও সুরাহা হয়নি আজ পর্যন্ত৷ মৌখিক এবং মানসিক নির্যাতনে কী ব্যবস্থা তার কোনও সংস্থান আইনে না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি৷ উপরন্ত্ত মামলার পর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়৷ সে কথাও ট্রাইব্যুনালে সঠিক ভাবে বলতে পারেননি বৃদ্ধ৷ শেষ পর্যন্ত তাঁকে একটি নিখরচার হোমে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়৷ স্মৃতিভ্রমের অসুখ নিয়ে তিনি একটি বৃদ্ধাবাসেই দিন কাটাচ্ছেন৷
  • - | 109.133.152.163 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ১০:৩৭681040
  • খুবই দুঃখের টই। প্রতিকারহীন ঃ-(
  • sm | 233.223.159.253 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ১২:০০681051
  • আমার মনে হয় বাবা মাও অনেক টা দোষী।গ্যাদ গ্যাদে অপত্য স্নেহ ঠিক নয়।
    আমি একজন রিটায়র্দ সরকারী কর্মচারী জানি,যিনি পরিহাস করে বলতেন পেনশন হচ্ছে আমার বড় ছেলে। যাদের পেনশন আছে, তাদের প্রতি এডভাইস, বিন্দাস থাকুন, ডোন্ট কেআর।
    যাদের পেনশন নেই, তারা অবিলম্বে সঞ্চয়ের বড় অংশ পেনশন ফান্ডে রাখুন, যাতে কোনো দুর্বল মুহূর্তেও, আসল ভেঙ্গে নিতে না পারেন।
    বাকি রইলো বাড়ি।শহরে এখন মূল গন্ডগোলের কারণ হলো প্রপার্টি। যেহেতু প্রপার্টির দাম বহু গুনে বেড়ে গেছে, তাই ছেলে মেয়েদের লোভ ও বেড়ে গেছে। উচিত হলো, সময় থাকতে বাড়ি বা প্রপার্টি ব্যান্ক কে বন্ধক দিয়ে দেওয়া।
    এখন এমন স্কিম বেরিয়েছে, ধরাযাক ব্যান্ক আপনার বাড়ির মূল্য ধরলো, এক কোটি টাকা। আপনি ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তি করে বাড়ি বন্ধক বা বিক্রি করতে পারেন। যাতে করে ওই এক কোটি টাকা ব্যান্ক আপনাকে আপ ফ্রন্ট দিয়ে দেবে বা ওই টাকা দিয়ে আপনি কোনো প্রকল্পে ইনভেস্ট করতে পারেন। বাড়ি নিয়ে , আপনার ও আপনার স্ত্রীর জীবদ্দশায় ব্যান্ক কিছু করবে না। স্বামী, স্ত্রী দুজনে গত হলে ব্যান্ক টেক ওভার করে নেবে ।
    আর গুরুতে অহরহ শুনি বাপ মা, সন্তানদের সঙ্গে মাঝে মাঝেই খারাপ ব্যবহার করে থাকেন।অনেকে উদাহরণ ও দিয়েছেন। সুতরাং , বাপ মা যে দেবতা নয় সেকথা ভেবেও রিপোর্ট পড়া উচিত।আমার ব্যক্তিগত মত, কোনো ব্যক্তি বৃদ্ধ ও অর্থনৈতিক ভাবে অসহায় হয়ে পড়লে, সরকারের তাঁকে দেখভাল করা উচিত।সন্তান কে দেখতেই হবে, এমনটি বাধ্য করা উচিত নয়।
  • Mandi | 88.150.175.19 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ১৫:০৩681062
  • অন্য দিক টাও দেখার প্রয়োজন আছে। নিজের বহু ই্চ্ছে বাতিল করে বিগত দুই দ্শকের বেশী বাবা মার ভরণ পোষণ কোরেলেও তারা কিন্তু আমাকে তাদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে সত্যভাষণ করেন নি । আমি পরে জানতে পারি( এক্জন আত্মীয় সঠিক ভাবে জানিয়ে ছিলেন) নিজেদের ব্যান্ক ব্যালেন্স লুকিয়ে রেখে মিথ্যা ভাষণ করে অনবরত আমাকে মানসিক চাপ দিয়ে টাকা নিয়ে দাবি করে যাওয়াই ছিল উদ্দেশ্য । আমি কিন্তু তাদের টাকা নিয়ে উচ্চ শিক্ষা নিই নি। দুঃখের হলেও এটাই সত্যি। এরপরেও কিন্তু আমি ক্রমাগত বর্ধিত হারে টাকা দিয়ে যাচ্ছি। ব্যয় বহুল চিকিত্সা খরচ সর্বদা বহন করে থাকি। আমার কোনো অসুবিধা আছে কিনা গত পচিশ বছরে আমার মা কোনোদিন জানতে চান নি। যদিও মুখে আমাকে তাদের সম্পত্তি তে ( আমি নিতে চাই না জানিয়ে দিয়েছি) আমাকে বন্চিত না করার কথা জানালেও উইল করতে চান না। আমাকে কিছু দিলেও তা দিয়ে আমি কি করবো নিয়ন্ত্রন করার চেষ্ঠা করেছেন । আমি কোনো কিছু চাই না জানতে পেরে প্রায় খুশিই হলেন। এসব বিশ্বাস করা না করা অবশ্যই আপনাদের ইচ্ছা কারণ এগুলি আপাত ভাবে স্টিরিওটাইপ ঘটনা নয়।
  • san | 113.240.239.33 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ১৫:৩৭681073
  • আমি অন্তত বিশ্বাস করলাম। এরকম অনেক ঘটনার কথা জানি যেখানে -

    ১। বাপমা অনবরত মানসিক চাপ দিয়ে চলেন ছেলে/ মেয়ের থেকে অর্থ নিষ্কাশনের জন্য, প্রয়োজনে নিজেদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে যথেষ্ট মিথ্যাভাষণ করে।

    ২। পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীলা মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ দিনের পর দিন নাকচ করে চলেছেন রীতিমত আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে।

    ৩। ছেলে/ মেয়ে এক বাড়িতে থাকলে তার উপার্জনের পুরোটাই কন্ট্রোল করে চলেছেন - বিশেষতঃ ছেলে/ মেয়ে একটু নরম স্বভাবের ও তারা জোর করে নিজেদের অ্যাসার্ট করতে পারে না বা কনফ্রন্ট করার সাহস নেই।

    এদের সম্পর্কে কোনো রিপোর্ট বেরোয় না।
  • | 212.62.77.82 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ১৭:০৯681084
  • আমি একটুও অবিশ্বাস করলাম না manDi। আমি এরকম বা আরো অনেক উল্টোদিকের গল্প জানি, চোখের সামনে দেখেছি আর নিজেও দুই একটা ফেস করেছি।
    নিজেদের মতে সন্তানের সমস্তকিছু কন্ট্রোল করার চেষ্টা, এক সন্ত্যানের প্রতি অগাধ পক্ষপাতিত্য়্ব আরেকজনের প্রতি অত্যাচার -- এ সবও দেখা।

    এই যে সিরিজটা 'এই সময়' করছে, এতে লেখা ছিল ভাল মন্দ সবরকম অভিজ্ঞতাই জানাতে। তারপর মাঝে অনেকদিন আর ফলো করা হয় নি। কেউ ভাল কিছু জানিয়েছেন কী? অভ্যু তো ফলো করছ, সেরকম কোনও অভিজ্ঞতা থাকলে একটু লিঙ্কটা তুলে দিও।

    এই যে টুকরোগুলো এখানে রয়েছে, এগুলোর ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা যদি আরেকটু পিছিয়ে এঁদের বাবা-মা শ্বশুর-শাশুড়ী সম্পর্কে খোঁজ নিতেন তাহলে হয়ত আরেকটু পূর্ণাঙ্গ ছবি পাওয়া যেত। কিছু মানুষ যারা বেসিক্যালি বদমাইশ টাইপের, তারা বাবা-মা বা ছেলে-মেয়ে সকলের সাথেই কিছু না কিছু অন্যায় করে। সেই লোকগুলো তো খারাপ লোক।

    আমাদের পাড়ায় ছিল সুনীতিপিসী আর সুশীল গুহ-গীতাজেঠি। সুনীতিপিসীর ভাইপো সুশীলজেঠু ওনার বাড়ী, জমিটুকু লিখিয়ে নিয়ে পরে চরম খারাপ অবস্থায় রেখেছিল। সুনীতিপিসীর লিটারেলি 'গুয়েমুতে মেখে পড়ে থেকে' মৃত্যু হয়। কোনও ডাক্তারও দেখানো হয় নি। সুশীলজেঠুর একমাত্র ছেলে বাবুদা। অগাধ আদরে প্রশ্রয়ে মানুষ। পড়াশোনা উচ্চমাধ্যমিকেই শেষ। টুকটাক এটা সেটা করত। এরপরে সুশীল জেঠু অবসরগ্রহণ ও আরো কিছু পরে অসুস্থ হয়ে পড়ার পরেই শুরু হয় আসল মজাটা। বাবুদা সেই বাড়ীজমি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়ে সেখানে ফ্ল্যাট বানানো শুরু করে। এবারে স্থায়ী রোজগার নেই, ব্যাঙ্ক কেন লোন দেবে? এইসময় ওরা বরিশাল কলোনীর দিকে ভাড়া উঠে যায়। জোর করে লিখিয়ে নেবার দিনেই সুশীলজেঠুর হার্ট অ্যাটাক হয়, দিন তিনেকের মধ্যে মারা যান। এরপরে গীতাজেঠিকে মাঝে মাঝে দেখা যেত একটা বেনারসীতে একটা পুঁটলি নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কথাবার্তার কোনও সাযুজ্য নেই। জানা গেল মাথাটা নাকি খারাপমত হয়ে গেছে, ঐ পুঁটলিতে সমস্ত গয়না নিয়ে ঘুরছেন। জানাজানির পর সবাই সাবধান করতে লাগল দিনকাল ভাল নয়, যে কোনও সময় খুন করে বা না করে স্রেফ মাথায় বাড়ি দিয়েই পুঁটলি কেড়ে নিয়ে যাবে। কেউ বোধহয় বাবুদাকেও জানায়।

    তারপর দিন পনেরো আর দেখা যায় নি, দিন পনেরো পরে গীতাজেঠিকে আবার আমাদের পাড়ায় দেখা গেল সম্পূর্ণ উলঙ্গ, হাতে একটা পুঁটলি, একটা রংচটা সিন্থেটিক কাপড়ের। তাড়াতাড়ি একটা চাদর দিয়ে ঢেকে টোটোনদের বাড়ীতে নিয়ে বসানো হল। টোটোনরা ওদের আত্মীয় হত। দেখা গেল পুঁটলিতে কিছু হাবিজাবি ভাঙাচোরা জিনিষ, গয়নার নামও নেই, আর সারা শরীরে মারের দাগ। অসংলগ্ন কথা থেকে অনুমান যে গয়না দিতে না চাওয়ায় মারধোর করে গয়না কেড়ে নিয়ে ঘরে বন্ধ করে রেখেছে বাবুদা আর তার বৌ। যতে রাস্তায় বেরোতে না পারে তাই পরনের কাপড় খুলে নিয়েছে। আবার বাবুদাকে খবর দেওয়া হল। এসে নিয়ে গেল আর জানিয়ে গেল মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভুলভাল কথা বলছে জেঠি।

    এরপরে জেঠিকে আর কোনোদিন বাইরে দেখা যায় নি, ফ্ল্যাট হয়ে যাওয়ার পর বাবুদারা আবার পাড়াতেই উঠে এসেছে জেঠিকে নাকি ঘরে বন্ধ করেই রাখতে হয়, মারাও গেছেন বহু বছর হল।

    পুরানো লোকরা শুধু মাঝে মাঝে দুঃখ করেন আর একই নি`ঃস্বাসে বেরিয়ে আসে 'সুনীতিপিসীর লগে অ্যারা যা করসিল ---'
  • কল্লোল | 125.242.173.60 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ১৭:৩৪681095
  • আমি একটু বলি।
    মধ্যবিত্ত বাড়িতে এসব তো হয়েই চলে। কিছু আমরা জানতে পাই কিছু পাই না। আমার বৌ কলকাতায় একটা এনজিওর সাথে জড়িত। ওরা বৃদ্ধাবাসে গিয়ে ওখানকার আবাসিকদের সঙ্গ দেয়। ওর কাছে এমন কতো ঘটনা শুনি। আবার অন্য রকমও আছে। বাবা বা মা নিজেই চলে এসেছেন, নিজের মতো থাকবেন বলে। অবশ্য এঁরা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল।
    আমরা ব্যাঙ্গালোরে একটা ছোট এনজিও থেকে সামান্য কিছু কাজ করি অবহেলিত বয়স্ক মহিলাদের নিয়ে। এঁরা থাকেন মূলত ট্যানারী রোডের বস্তিতে। এটা প্রায় ব্যাঙ্গালোরের পার্কসার্কাস বা মেটেবুরুজ। ভীষণ দারিদ্রের মধ্যে থাকেন এঁরা। এইসব মহিলাদের গড় বয়েস ৭০। এঁরা অথর্ব হয়ে পড়েছেন, ফলে কাজ করতে পারেন না। রোজগারহীন এই মহিলারা বেশীরভাগই পরিবারের সাথে থাকেন রাতে। দিনে একটা ডে কেয়ার সেন্টারেই এঁদের আশ্রয়। এদের ছেলেমেয়েরাও বেশ গরীব। সামান্য কিছু রোজগার করে, মাসে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। ফলে এদের কাছে রোজগারহীন এই মহিলারা বোঝা স্বরূপ। বড় অপমানে অবহেলায় দিন কাটান এঁরা। এঁদের নিয়ে কাজ করার এনজিও-ও খুব কম। এঁদের জন্য ফান্ড পাওয়াও বেশ মুস্কিল। সারা সমাজ এঁদের খরচের খাতায় ফেলে দিয়েছে। আমরা একতা ফন্দি করেছি, তাতে কাজ দিচ্ছে অল্প অল্প। আমরা এঁদের মাসে ৩ কিলো চাল, ২ কিলো ডাল(তুর ডাল), ১কিলো নুন আর ২০০গ্রাম হরলিক্স দেই। এতে এদের সারা মাস নিশ্চই চলে না। কিন্তু, এই চাল-ডাল-হরলিক্স-নুন ওঁরা পরিবারে কন্ট্রিবিউট করেন। ফলে অল্প অল্প করে হলেও পরিবারে এঁদের অবহেলা অপমান বন্ধ হয়েছে। এখন এঁরা "রোজগেরে", তাই। আপাততঃ আমরা এরকম ৩৫জনকে মাসে র‌্যাশন দিয়ে থাকি।
    সকল গুরু ও চন্ডালদের কাছে আমার আবেদন এই যে, আপনারা যদি এগিয়ে আসেন তো বড় ভালো হয়। এঁদের এক জনের পিছনে মাসে খরচ ৫০০টাকা। এর মধ্যে ডে কেয়ারে যিনি এঁদের দেখাশোনা করেন তাঁর সাম্মানিকও আছে।
    কেউ ইচ্ছুক হলে যোগাযোগ করুন - [email protected]এ।
  • Mandi | 88.150.175.19 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২০:০৬681106
  • আমি এইরূপ একটি প্রতিষ্ঠানে সাহায্য করি আর কিছু শিশুর লেখাপরার খরচ দিয়ে থাকি। এতেও আমার মা কটু কথা বোলেছেন " যাদের জন্য করছিস তারাই তোর খারাপ করবে"। তিনি নিজেও যে বিগত দুই যুগাধিক আমার থেকে টাকা নিয়ে আসছেন তা তিনি মনে রাখেন না।আমার বাবার অসুস্থ্তার সময় যে কিছু লোক আমাদের উপকার কোরেছেন অথবা আমাকে জয়েন্ট এনট্রান্স এর আগে বিনা পারিশ্রমিকে সাহায্য কোরতেন তা তিনি অনায়াসে ভুলে যান। নিজের অতি কাছের মানুষের এত খানি পরিবর্তন দেখে কষ্ঠ হয় কিন্তু বোধহয় শুধু সেই জন্যই কিছু করতে পারি না। অত্যধিক পক্ষপাতিত্ব ও দেখেছি ছোটো বেলায়। আমার ছোটো ভাই এর জন্ম হবার আগে আমার বাইসাইকেল আমি চাপতে পারি নি কারণ যদি ভাই হয় তবে সে চাপবে। শুধু মাত্র মেয়ে হবার কারনে আমার কোনো মতামত তাদের আর্থিক ব্যাপারে গন্য হয় নি। অথচ ভাই আমার থেকে কিছু বেশী টাকা দেয় তা আমাকে দেখানো হোয়েছে রীতিমতো ব্যান্কের বই খুলে। তাদের কোনো অর্থ সাহায্য না নেওয়া সত্বেও। আমার ভাই হয়তো এ ব্যাপারে কিছু জানেও না কারন তার সাথে আমার খুব স্বাভাবিক সম্পর্কে। এ ধরণের পিতা মাতাও কিন্তু হোয়ে থাকেন।
  • potke | 126.202.164.127 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২০:১৪681117
  • টাকা কিভাবে পাঠাব মেলে জানিও কল্লোলদা।
  • potke | 126.202.164.127 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২০:১৫681002
  • মান্ডি, আই ক্যান রিলেট টু ইউ।
  • Mandi | 88.150.175.19 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২০:৩৬681013
  • আমার মা তাদের ফ্ল্যাট বিক্রির প্রায় পনের লক্ষ্য টাকা আমার ভাই কে দিয়ে দেন। নিশ্চয়ই তার প্রয়োজন ছিল তাই সেটা কোনো ব্যাপারে নয়। আশর্য্য এই তা তিনি আমাকে লুকিয়ে গিয়ে " আমরা নিঃস্ব না খেয়ে আছি, তুই এঅখুনি টাকা দ্বিগুন করে দে" ইত্যাদি বোলতে থাকেন। আমার ভাই কিন্তু আমার বিনা জিন্গ্গাসাতেই সব কথা স্বীকার করে আর কিভাবে আমরা দুজনে বাবা মার ভরণ পোষণ ভালোভাবে করতে পারি সে ব্যাপারে আলোচনা করতে চায়। সে নিজেও অতি উচ্চ উপার্জন শীল চাকরি রত । অকারণে এই নীচতার কোনো ব্যাখ্যা করতে পারি নি। কেন মা এমন ভেদাভেদ করেন যেখানে আমরাদুই ভাই বোন বাবা মার জন্য প্রাণ দিয়ে চেষ্ঠা করতে চেয়েছি তা আমি বুঝতে পারি না। হয়তো এ আমারই অক্ষমতা।
  • Bratin | 122.79.38.125 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২০:৩৮681024
  • শুনতে খারাপ লাগলেও আমাদের প্রজন্মের বেশীর ভাগ ছেলে পিলে বড় বেশী স্বার্থপর আত্মকেন্দ্রিক আর কেরিয়ারিস্ট। কেরিয়ারিস্ট হওয়া খারাপ কিছু নয়।কিন্তু বোধহয় কোন এক জায়গায় ব্যালেন্স করা দরকার।কোন বাবা না না চান তার ছেলে মেয়ে অনেক বড় হোক।বিদেশ যাক।কিন্তু সেই বাবা না যখন বাজার,দোকান,কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী বা আত্মীয় স্বজন র কাছে নিজের ছেলে বা মেয়ের সাফল্যের কথা বলতে বলতে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন তখন মনের কোন কোণে কি মনে আসে ছেলে বা মেয়ে র থেকে লাস্ট তিন মাস কোন কল পান নি।ছেলে মেয়ে র টাকার প্রত্যাশা অনেক বাবা মাই করেন বা।কিন্তু আমরা ছেলে মেয়ে রা কি চিরকালি তাদের সাফল্যের সিড়ি হিসাবে ব্যবহার করবো।অমাদের তাদের প্রতি আরেক টু মানবিক হবার দাবি কি সত্যিই খুব বেশী চাওয়া?
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২০:৪৮681033
  • আহা বোতিন,

    আগে সব ভালো ছিল, এখন (মানে এই প্রজন্ম) খারাপ। তাইলে ভাবো, এই খারাপ প্রজন্ম যখন বুড়ো হবে তখন কি হবে - চাদ্দিকে শুধু গিজগিজ করবে খারাব, খারাব।

    আজকালকার ছেলেমেয়েগুলোর কোনো ইয়ে নেই, আমাদের সময় ইয়ে এবং ইয়ে ছিল - এমন কথার প্রমাণ আছে মিশরীয় সভ্যতায়।

    তাইলে ভাবো হাজার হাজার বছর ধরে খারাব হতে হতে কি অবোস্থাই না হয়েছে।
  • | 183.17.193.253 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২০:৫০681034
  • আমরা ভাড়া থাকতাম সিএফ ব্লকে। বাড়িওলা মেসোমশাই পুলিশের বড় চাকুরে ছিলেন( আইপিএস লেভেলের) মাসিমা বৃটিশ ন্যানির কাছে বড় হওয়া ভদ্রমহিলা। এক ছেলে বাদল।বিবাহিত,দুই ছেলের বাবা। কাজকর্ম যৎসামান্য কিছু করতো আর বাপ-মাকে চাপ দিয়ে বাকি টাকা আদায় হতো।
    মেসোমশাই ছিলেন তুলনায় শক্ত মানুষ, টাকা দিতে চাইতেন না, মাসিমা ছেলে অন্তঃপ্রাণ, ( বড় ছেলে ১৬ বছর বয়েসে মারা যাবার পর বাদল হয়েছিলো)তিনি ছেলের সমস্ত অন্যায় দাবী মেনে নিতেন,এবং কান্নাকাটি করে মেসোমশাইকে টাকা দিতে বাধ্য করতেন। দু একবার আমাকে ডেকে পাঠিয়ে হার কি বালা দেখিয়ে বলতেন,আমি ওটা নিয়ে ওকে কিছু টাকা দিতে পারি কিনাঃ(
    বাড়ির একতলায় দুটো ফ্ল্যাটের একটাতে আমরা অন্যটাতে বাদল থাকতো। মাসের মাঝামাঝি এলেই বাদল টাকার জন্যে চাপ দিতে সিঁড়ি তে দাঁড়িয়ে কাঁচা ভাষায় বাপ-মাকে খিস্তি দিত।একবার আমরা তীব্র আপত্তি করায় কিছুদিন বন্ধ ছিলো, এত অপমান করা সত্ত্বেও ছেলের বিরুদ্ধে কিছু করতে ওরা রাজি ছিলেন না। ছোট নাতি দুটো পর্যন্ত দাদু-ঠাকুমাকে বাজে কথা বলতো।

    একদিন সকালে শুনি,বাদল বলছে, আমি কিছু করতে পারবো না,পড়ে থাক, আমার অফিস আছে। ওপরে গিয়ে দেখি মেসোমশাই অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন,মাসিমা পাশে বসে কাঁদছেন। পাশের বাড়ি থেকে ডাক্তার কে ডেকে আনার পর উনি বল্লেন, কিছু করার নেই, এক্ষুণি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স ডেকে মেসোমশাইকে নিয়ে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি, হাত ধরে মাসিমার সেকি কান্না। মেসোমশাই এর আর জ্ঞান ফেরে নি। এক সপ্তাহ বাদে ওখানেই মেসোমসাই মারা যান। কদিন পরে আমরাও বাড়ি ছেড়ে দিই।
    এরপর অনেক বছর বাদে একদিন সেই পাড়ায় গিয়েছিলাম- বাবা মারা যাওয়ার পর বাদল অল্প কদিন বাড়িতে ছিলো, মাসিমাকে কোথায় পাঠিয়েছে কেউ জানে না। এক মাড়োয়ারির কাছে বাড়ি বিক্রি করে টাকা পয়সা নিয়ে সে হাওয়া হয়ে গেছেঃ((
  • Bratin | 122.79.38.125 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২০:৫৭681035
  • এল সি এম দা ঃ))))
  • a x | 60.171.26.111 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২২:১৩681036
  • প্রত্যেক প্রজন্মের কিছু ইউনিক সমস্যা থাকে, ইন জেনেরাল, আমাদের বাবা-মা একটা মধ্যবর্তি জেনেরাশেন, যাদের আগের প্রজন্মের যত্ন করে যেতে হয়েছে আজীবন, কিন্তু তাদের পরের প্রজন্ম কাছে থাকবেনা, এটার প্রস্তুতিও তাদেরকেই কিছুটা আচমকা নিতে হয়েছে। আমাদের প্রজন্মে, আমরা আশাই রাখবনা যে ছেলেমেয়ে কাছে থাকবে, বা কোনোভাবে সাহায্য করবে। এটা যত সহজে আমাদের মনে হয়, তত সহজ নিশ্চয়ই তাদের কাছে ছিলনা। তাই সেইভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন নি। অনেক সমস্যার মূল আর্থিক নিরাপত্তার অভাব বা ভয় থেকে।

    মান্ডি যেমন বললেন, সেরকমও খুবই কাছ থেকে দেখেছি।
  • তাপস | 190.215.75.144 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২২:২৫681037
  • বাবা মায়েদের খারাপ রাখতে বাধ্য করার ব্যাপারটা প্রায় সর্বজনমান্য হয়ে গেছে। তার অসত্যতা আছে এমন নয়। কিন্তু দেখার ক্ষেত্রে একদেশদর্শিতা আছে নিঃসন্দেহে। মান্ডির যে অভিজ্ঞতা, তেমন অভিজ্ঞতা কম নয়। কিন্তু এই বক্তব্যগুলো এখনও প্রকাশ্য নয় তেমন ভাবে, তার কারণ বোধহয় সংখ্যা কম বলে নয়। কারণ, ট্যাবু।
  • Bratin | 122.79.38.125 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২২:৪৫681038
  • অক্ষদা টার এই পয়েন্টে একদম একমত
  • apps | 190.215.75.144 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২৩:১০681039
  • "বাবা-মা’র মধ্যে বেশ একটা বেড়াল বেড়াল
    ব্যাপার আছে l দিনের বেশিরভাগটাই চোখ টিপে
    এককোনায় পড়ে আছে, ঘুম ভাঙলে মাছের ঝোল,
    দুধের প্যাকেট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে, পরস্পরের
    দিকে ক্রমশ বেড়ে চলা চিত্কার ছুঁড়ছে,
    থপাথপ থাবাও বসিয়ে দিচ্ছে এক-আধবার...
    কতক্ষণ মেনে নেওয়া যায়? ভাবি যাই, একদিন
    বাজার যাবার পথে দুটোর ঘাড় ধরে দূরে কোথাও
    রেখে দিয়ে আসি, বুঝবে মজা l তারপর মনে হয়
    সত্যি সত্যি তো আর বেড়াল নয় দু’জনে
    এই এত বয়সে রাস্তা চিনে হয়ত আর
    বাড়ি ফিরে আসতে পারবে না"
    (শ্রীজাত)

    আমাদেরই মা বাবা বিষয়ে আপাতত এটুকু থাক l পরে কখনও সুযোগ পেলে বাবা-মার আমি প্রসঙ্গে অন্যকিছু বলা যাবে l
  • s | 60.141.77.137 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২৩:১৪681041
  • Zee বাংলায় হ্যাপি পেরেন্ট্স ডে দেখলে অবশ্য এরকম কিছু মনে হয় না। সেখানে আদি অনন্ত কাল থেকে মা বাবার সংগে সন্তানের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন, পারস্পরিক ভালবাসা ও শ্রদ্ধা ফেভিকলের মত অটুট।
    শুধু ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, মাইক্রোয়েভের মত সামান্য জাগতিক জিনিসগুলো মা বাবাকে দেবার জন্য ইচ্ছেপূরণের খেলা খেলতে হয়।
  • সুশ্রুত সরখেল | 212.54.102.201 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২৩:৪৫681042
  • সব সমস্যার মূল হল ইচ্ছেমত সটকে পড়ার উপায় নেই।
  • সুশ্রুত সরখেল | 212.54.102.201 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২৩:৪৬681043
  • কাঁচা বাংলায় জীবনের মানে কি? মরণ অবধি বেঁচে থাকা।
  • santanu | 104.59.187.240 | ০৫ জুলাই ২০১৫ ২৩:৫৪681044
  • 'এখন এমন স্কিম বেরিয়েছে, ধরাযাক ব্যান্ক আপনার বাড়ির মূল্য ধরলো, এক কোটি টাকা। আপনি ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তি করে বাড়ি বন্ধক বা বিক্রি করতে পারেন। যাতে করে ওই এক কোটি টাকা ব্যান্ক আপনাকে আপ ফ্রন্ট দিয়ে দেবে বা ওই টাকা দিয়ে আপনি কোনো প্রকল্পে ইনভেস্ট করতে পারেন। বাড়ি নিয়ে , আপনার ও আপনার স্ত্রীর জীবদ্দশায় ব্যান্ক কিছু করবে না।'

    @ সম, কোথায় এমন স্কিম বেরিয়েছে? এটা তো রিভার্স মর্টগেজ নয়?

    @ কল্লোল, মাসে ৩ কিলো চাল, ২ কিলো ডাল, ১কিলো নুন আর তার সাথে ২০০গ্রাম হরলিক্স????

    'নিজের বহু ই্চ্ছে বাতিল করে বিগত দুই দ্শকের বেশী বাবা মার ভরণ পোষণ কোরেলেও তারা কিন্তু আমাকে তাদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে সত্যভাষণ করেন নি । আমি পরে জানতে পারি( এক্জন আত্মীয় সঠিক ভাবে জানিয়ে ছিলেন) নিজেদের ব্যান্ক ব্যালেন্স লুকিয়ে রেখে মিথ্যা ভাষণ করে অনবরত আমাকে মানসিক চাপ দিয়ে টাকা নিয়ে দাবি করে যাওয়াই ছিল উদ্দেশ্য ।'

    @ Mandi , আপনি এত নিজের পারিবারিক কথা লিখলেন বলেই জিগেস করছি, ইগনোর করতে পারেন। আপনি কি শুধু মানসিক চাপের কারণেই টাকা দিয়ে যান?
  • Abhyu | 118.85.88.75 | ০৬ জুলাই ২০১৫ ০০:৫৭681045
  • দমুদি, এই সময়ে মূলতঃ সেন্টিমেন্টাল স্টোরিগুলোই কভার করেছিল। তবে অন্ততঃ একটা চিঠি আমি পড়েছি যেখানে লেখক জানিয়েছেন যে তাঁরা নিজেরা সুখে আছেন এবং এয়ারপোর্টে মাকে বসিয়ে পালানোর ঘটনাটা জেনে খুব শকড হয়েছিলেন।

    কল্লোলদা, সত্যি এই হরলিক্সের গল্পটা কি? এতো মোটামুটি সবাই জানে যে ঐ হরলিক্স-কমপ্ল্যান জাতীয় পানীয়গুলো শুধু পয়সা নষ্ট। যাঁদের দেওয়া হয় তাঁরা পেয়ে খুশি হন বলে দেওয়া, নাকি অন্য কিছু?

    মাণ্ডি আপনার ঘটনাটি দুঃখের যদিও আনকমন নয়। আমি এমন বাবা মাও দেখেছি যে ছেলে মানেই "গোপাল" তা সে যত বদই হোক। আপনার ক্ষেত্রে হয়তো ভাইকে খোলাখুলি সব কিছু বললে ভালো হবে।
  • Mandi | 88.150.175.19 | ০৬ জুলাই ২০১৫ ০১:৩৯681046
  • না মানসিক চাপ নয় আমার মন থেকে আমি করে যেতে চাই নাহোলে কোনো অন্য প্রভাব আমার উপর আইনত চলে না। ভাই এর শিক্ষার বহু খরচ আমি বহন করেছি স্বেচ্ছায়। এর ভিতর আমি কোনো মহত্ব দেখি না কারন ভাই না হোয়ে দাদা হোলে সেও হয়তো তাইই করতো। আমার ভাই খুবই সোজা ধরণের মানুষের, কোনো ভুল বোঝাবুঝি কখোনো হয় নি। শুধু ভয় এই যে এই সব কারন থেকে না সেই ভুল সৃষ্টি হয়। কিন্তু এর উপর তো নিয়ন্ত্রন চলে না। আমি এ ব্যাপারে একমত যে আমরা আমাদের সন্ত্বানের থেকে এ আশা করবো না কারন দুনিয়ার নিয়ম আমাদের তাই শিখিয়েছে যা আমাদের বাবা মা ভাবেন নি। যেখানে প্রসন্গ্গত আমাদের কিন্তু নিউক্লিয়ার পরিবার ঈ ছিল। আমার মা কে আমার বোঝার বয়স থেকে ঠাকুমা দিদিমা নিয়ে সেভাবে থাকতে দেখিনি। অবশ্যই প্রত্যেকের নিজশ্ব অভিন্জ্গতা বিভিন্ন।
  • কল্লোল | 125.242.173.10 | ০৬ জুলাই ২০১৫ ০৬:৪৫681047
  • শান্তনু।
    প্রশ্নটা বুঝলাম না।
    চাল ডাল নুনের সাথে হরলিক্স কেন? নাকি, ২কিলো চাল আর ২ কিলো ডাল ১কিলো নুনের সাথে মাত্র ২০০গ্রাম হরলিক্স কেন?
    কোনটা প্রশ্ন?
  • Abhyu | 118.85.88.75 | ০৬ জুলাই ২০১৫ ০৯:০৬681048
  • কল্লোলদা, আমার প্রশ্ন -- হরলিক্স (বা কমপ্ল্যান বা বোর্নভিটা বা ঐ জাতীয় কিছু) কেন? এতো মোটামুটি জানা কথা যে ঐ হরলিক্স-কমপ্ল্যান জাতীয় পানীয়গুলো শুধু পয়সা নষ্ট। যাঁদের দেওয়া হয় তাঁরা পেয়ে খুশি হন বলে দেওয়া, নাকি অন্য কিছু?
  • কল্লোল | 135.16.17.194 | ০৬ জুলাই ২০১৫ ১০:৩৪681049
  • অভ্যু।
    এটা নিয়ে এতোশত ভাবা হয়নি। আমি আগেই লিখেছি এটা শুধু ঐ মহিলার জন্য নয়। এগুলো ওনার হাত দিয়ে পরিবারকে ওনার কন্ট্রিবিউশন। একটা হেলথ ড্রিংকের কথা হয়ছিলো। তো সকলে বল্লে হরলিক্স। খেলে ভয়ংকর লাভ কিছু নেই, ক্ষতিও নেই।
    কেউ কি বিকল্প কিছু বলতে পারো/পারেন, যেটা দোকানে পয়সা দিয়ে কেনা যায়, মোটামুটি ১২০টাকায়।
  • Abhyu | 118.85.88.75 | ০৬ জুলাই ২০১৫ ১১:১৩681050
  • আমি একান্তই অজ্ঞ । কিন্তু হরলিক্সের বদলে (পুরো মাস না হোক, মাসের কিছু দিন) দুধ দেওয়া যায়? মাদার ডেয়ারী?
    তবে পাঁচশ টাকার মধ্যে একশ টাকা হরলিক্সে যাওয়াটা একটু কেমন না? মানে মাসে একশ কুড়ি টাকায় কলা জাতীয় ফল তো হবে, সেটা তো বেশি পুষ্টিকর?
  • de | 69.185.236.52 | ০৬ জুলাই ২০১৫ ১১:৩২681052
  • কল্লোলদা, কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেল দেওয়া যায়? মেল করবো তার জন্য?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন