এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আরেকটা বেড়াতে যাবার গপ্পো

    পু
    অন্যান্য | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ | ৩৮১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পু | 120.5.74.47 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২০:২২686763
  • বেড়াতে গেছিলাম সেই এপ্রিল-মে তে। এসে বেড়ানর গল্প টা লিখব ভেবেছিলুম, কিন্তু পরীক্ষায় বানিয়ে বানিয়ে বাংলা রচনা লেখা ছাড়া কোনদিন সেরকম লেখালিখি করিনি, তার উপর কুঁড়েমি করে করে আর হয়েও ওঠেনি। ইদানীং নতুন নতুন গুরু পড়া শুরু করেছি। সিকিদার বেড়ানোর টই গুল পড়তে অসাধারণ লাগল। তারপর সর্ষের অন্য কিছু টইও পড়লাম। ভীষণ সখ হল আমার বেড়াতে যাবার গপ্পো টাও লিখি। লেখাজোকার অভিজ্ঞতার অভাবে লেখা টা "গেলাম দেখলাম খেলাম ঘুমলাম" টাইপ হয়ে যেতে পারে। নিজগুণে মার্জনা করিবেন! বেড়ানর জায়গাটা খুবি কমন হলেও এই বেড়ানোটা আমার কাছে ভীষণ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রথম আমি একা দায়িত্ব নিয়ে পুরো ট্যুর অ্যারেঞ্জ করে কেবল আমার বরটির সাথে দোকা ঘুরে এলাম। :) তাহলে এবার কথা না বাড়িয়ে গপ্পো টা লিখি।

    সেই টিন-এজ বেলায় যখন প্রেম করতে শুরু করেছিলাম তখন পড়তে বসে মাঝেসাঝেই বইয়ের পাতায় নানারকম দিবাস্বপ্ন ভিড় করে আসত। তখন নতুন নতুন প্রেম, "হম একবার জীতে হ্যায়, একবার মরতে হ্যায়, শাদী ভি একবার হোতি হ্যায়, অওর প্যায়ার, প্যায়ার ভি এক হি বার হোত হ্যায়" (কৃতজ্ঞতা স্বীকার - কুছ কুছ হোতা হ্যায়) জাতীয় ব্যাপার। তা ঐ স্বপ্ন গুলর মধ্যে আমার সবথেকে প্রিয় ছিল একটা দৃশ্য - কপোত কপোতী হাত ধরে একটা সবুজ ঘাসের গালিচায় বসে আছি, পিছনে পাইন বন, দূরে বরফ ঢাকা পাহাড়ের চূড়া, একটু দূর দিয়ে ছলছল করে বয়ে যাচ্ছে কোন পাহাড়ি নদী ইত্যাদি ইত্যাদি। যাই হোক, ক্রমশ টিন পেরলো, আশেপাশের টিনবেলার বেশ কিছু জুটি আলাদা হয়ে গেল, আরও বয়স বাড়তে বাড়তে টের পেলাম নানারকম ঝগড়া ঝাঁটি, মানভঞ্জন, গোঁসা, ভালো মন্দ সামাল দিয়ে আমার গপ্পোটিও ঐ ডায়লগের দিকে কনভার্জ করছে। তখন ২০১৪ সালের মার্চ চলছে, গাঁঠছড়া বাঁধার দিন পাকা হল ২০১৫ -এর জানুয়ারিতে আর সেই প্রিয় দিবাস্বপ্ন আবার বহাল তবিয়তে ফেরত এলো। সে তখন সবে চাকরীতে ঢুকবে আগস্ট মাসে। চাকরীতে যোগদানের পরে মনের কথাটা বলেই ফেললুম - বিয়েটা যেমন করেই হোক, হানিমুন হতে হবে ঠিক এমনি জায়গায়। সোজাসুজি বলল - "দ্যাখ, বিয়ের সময়ই আমাকে ছুটি নিতে হবে, তারপর হানিমুনে যাবার ছুটি পাব না, আর বাজেটেরও ব্যাপার আছে" ইত্যাদি। "আচ্ছা তখন নয়ত আরেকটু পরের দিকে", "খরচ দুজনে মিলে ঠিক ম্যানেজ হয়ে যাবে" জাতীয় নানারকম প্রবোধবাক্য শুনিয়ে তুতিয়ে পাতিয়ে রাখা গেল তখনকার মত। বিয়ে হল, সেটল করা হল, কিন্তু হানিমুনের বেলায় "হচ্ছে হবে" চলতেই থাকল। মান অভিমান, চোখের নকল জল, আসল জল, আপিসের ছুটির লিস্টি, খরচপাতির হিসেবনিকেশের পরে ঠিক করা গেল এপ্রিল মে নাগাদ কোথাও যাওয়া যেতে পারে। সমস্ত যোগাড়যন্ত্রের ভার পড়ল আমার ওপর। সবথেকে কঠিন কাজ দাঁড়াল "কোথায় যাব" প্রশ্নের উত্তর বের করা। সিকিম নাকি হিমাচল নাকি উত্তরাঞ্চল নাকি কাশ্মীর! প্রথমেই সিকিম বাদ গেল পুনে থেকে অদ্দুর যাতায়াতেই সময় নষ্ট হবার কারণে। এরপর অনেক কিন্তু কিন্তু করে মনের দু:খে কাশ্মীর বাদ দিলাম বাজেট এবং সময়ের অভাবে। হিমাচল না উত্তরাঞ্চল এর লড়াইতে হিমাচল জিতল, খবরকাগজে চক্রাতাগামী বাঙ্গালি যুগলের সাংঘাতিক পরিণতির কথা পড়ে। আমি আগে কখনো হিমাচল যাইনি। তবে আমার পার্টনারের কুলু মানালি রোতাংপাস ঘোরা। বিভিন্ন ব্লগ, ইন্ডিয়ামাইক, bcmtouring সব পড়ে ঠিক হল যাওয়া হবে সাংলা কল্পা চিটকুল টাবো কাজা আর ফেরত। আমরা যে সময়ে যাচ্ছি সেই সময়ে চন্দ্রতাল যাবার রাস্তা খোলেনা। কাজেই কাজা থেকে লোসার চন্দ্রতাল মানালি হয়ে ফেরত আসা হবেনা। ট্রাভেলগে চন্দ্রতালের অসামান্য ছবি দেখে, পূর্ণিমা রাতে সেই লেকের তীরে রাত কাটানোর গল্প পড়ে মনে খুব দুঃখ পেলুম।( যারা যাবেন পরবর্তীকালে তাদের বলে রাখি আগস্ট সেপ্টেম্বরে ওদিকে গেলে পুরো সার্কিট করা যাবে। লোকজন রীতিমত তিথি দেখে যায় যাতে করে পূর্ণিমার রাতটা লেকের ধারে কাটাতে পারে।)। কিন্তু জানুয়ারিতে বিয়ে করে সেই আগস্ট অব্দি হানিমুন পিছতে আমারই কেমন লাগল, এছাড়া ঐ সময়ে ছুটি ছাঁটারও সুবিধে ছিল না। তাই যেটুকু হয় সেটুকুই সই মনে করে পরের কাজে মন দিলাম।

    পরবর্তী কাজটি খুবই লজ্জার, লোকজন শুনে আওয়াজ দেবার মত, তবুও লজ্জা ঘেন্না ত্যাগ করে বলেই ফেলি। কাজটা হল - লোক জোগাড়। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন - "লোক জোগাড়"। আমরা দুই নরাধম একলা একলা বেড়াতে যাইনি এর আগে, সেফটির চিন্তায় অস্থির কর্তাটি প্রস্তাব দিল দল পাকিয়ে যাওয়া যাক। হানিমুনে দল পাকিয়ে যাওয়া! খুবি গর্হিত অপরাধ। কিন্তু ঐ উত্তরাঞ্চলের ঘটনা অনুঘটক-এর কাজ করল আর আমি, সেই এগার-বারো ক্লাস থেকে স্বপ্ন দেখা আমিও সায় দিলুম। ভেউ ভেউ! ( তখন জানতাম না, তবে আড়ালে কিউপিড দেব নিশ্চয়ই হেসেছিল ;) ) । দল পাকাতে গিয়ে পড়লাম মুস্কিলে। কাকা কাকী মামা মামী দাদু দিদা চলবে না। প্লাস মাইনাস পাঁচ বছর অব্দি অ্যালাওড। আবার এদিকে সমবয়সী কাপল ছিল একটি, তাদের বিয়ে হয়নি বলে লক্ষ্মী ছেলেমেয়ের মত তারা না বলে দিল!! মনে মনে গাল পাড়লুম , এতো ভালো সুযোগটা নিলি না ! বন্ধুমানুষ যাকেই বলি সেই হেঁ হেঁ করে হেসে বলে - আমি কাবাব মে হাড্ডি হতে চাইনা! কিন্তু কাবাব যে হাড্ডি কে নিজেই চাইছে সে আর কাকে বোঝাই। শেষমেষ দুজনকে পাওয়া গেলো, সম্পূর্ণ নি:স্বার্থ ভাবে হাঁড়িকাঠে গলা দিতে যারা প্রস্তুত। একজন আমার আপিসের, একজন কলেজের, দুই বান্ধবী। আবার ঝামেলা! "তুই তোর বন্ধু দের সাথেই বিজি হয়ে যাবি! আমি বোর হবো। তিনটে মেয়ে, আমি একা ছেলে। আমার ভাল্লাগবেনা।" হ্যানত্যান বলে প্রতিবাদ এলো! তবে অনেক খুঁজে পেতেও দলের পাঁচ নম্বর পুরুষ সদস্য জোটানো গেলনা। শেষ অব্ধি "ওরা তো তোরও চেনা। এই করে করে শেষে যাওয়া টাই না ভেস্তে যায়" এবং নানাবিধ "ইমোশনাল অত্যাচার" করে তাকে তুইয়ে বুইয়ে শান্ত করে এই পর্ব সমাপ্ত হল।
  • R | 131.241.218.132 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:১৩686856
  • বাঃ । চোখ রাখলাম। বেশ ভালো হচ্ছে।

    আগাম অনুরোধ, মোট খরচ খরচা কতো আর কোথায় কোথায় থাকা যায়, যোগাযোগের উপায়, এগুলি একটু জানাবেন।
  • Stacked auto-encoder | 117.167.108.173 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:৩৩686867
  • "খাদ" সিনেমাটা দেখেছ? আমি দেখিনি বটে, কিন্তু একটা খুব রেলিভ্যান্ট সীন আছে :-p
  • Stacked auto-encoder | 117.167.108.173 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:৩৪686878
  • অবিশ্যি খাদের সেই দৃশ্যটাই হয়তো কপি করাঃ-)))
  • Blank | 24.99.215.225 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:৪৪686889
  • হাম্পতা পাস হয়ে চন্দ্রতালে নামার রুট?
  • পু | 74.233.173.198 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:৪৫686900
  • খাদ দেখিনি। কি ছিল তাতে?
  • পু | 74.233.173.198 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:০৫686911
  • ব্ল্যাংক,
    হাম্পতা পাস হয়ে না। লোসার হয়ে কুঞ্জুম পাস দিয়ে চন্দ্রতাল এর রাস্তা আছে। গাড়ি যায়।
  • Abhyu | 208.137.20.155 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:৪২686933
  • আই মীন তোর বউ, অন্য কারো না।
  • Abhyu | 208.137.20.155 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:৪২686922
  • বুনু, তোর সঙ্গে কি বৌ থাকবে?
  • Stacked auto-encoder | 117.167.108.182 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:০৬686764
  • তাহলে তো প্রশ্ন "কোন জন" বা "ক'জন" !!!
  • Manish | 127.200.95.97 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:১১686775
  • একি এগোচ্ছে না কেনো? অফিস ফাকী মেরে ওত পেতে বসে আছি পরের পোস্ট পড়বারা জন্য।
  • পু | 131.241.184.237 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:২৩686786
  • আপিসে বসে পোস্ট করা যাবেনা। ভীষন রকম বকুনি খেতে পারি। বাড়ি ফিরে পোস্ট করব। ঃ)
  • Manish | 127.200.95.97 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:৪৫686797
  • পু, আমি নিখাদ নীপা, আপনার লেখা ভালো লাগছে তাই একটু বিরক্ত করলাম।
  • de | 24.139.119.174 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৩:১২686808
  • ভালো লাগছে পু, লিখুন আরো। একটু ডিটেলে লিখবেন - পরে বেড়াতে গেলে যাতে আপনার টই রেফার করতে পারি!
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 212.78.235.45 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৪:৩৪686819
  • পু,

    শুনুন ভাই ! ভ্রমণ কাহিনী লিখতে হলে যে অবশ্যই কোথাও যেতেই হবে - তা জরুরী নয় ! - কোথাও যাওয়ার স্বপ্নটাই জরুরী !

    আর দরকার দিক জ্ঞান ! উত্তরাঞ্চলে কোথাও যেতে হলে ঝারশুগুডা স্টেশানে নামলে হবে না ! - আমি বেশ কয়েকজনকে জানি - তারা কোথাও যেতে পারেনি । যেতে পারেনি - কারন - ঠিকমত সঙ্গী পায় নি - উদযোগ হয় নি - এইসব আরকি ! কিন্তু কেউ কোথাও গেলে খুব সুন্দর ডিরেকশান দিয়ে দিতে পারে !

    এক কালে খুব সুন্দর রসিকতা চালু ছিল প্রবোধ সান্যাল কে নিয়ে ! - মহাপ্রস্থানের পথে দ্বিতীয় সংস্করন বের হবার পর প্রকাশক প্রবোধবাবুকে বলেছিলেন - অনেক তো পয়সা হল ! এবার যান হিমালয় ঘুরে আসুন একবার !

    গেছেন বা না-গেছেন - এবার লেখাটা নামিয়ে ফেলুন ! - আমরাও পড়ে ফেলে বাঃ বাঃ করি !

    মনোজ
  • পু | 131.241.184.237 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:২৩686830
  • Part - 2

    সবদিক সামলে এবার আসল কাজ করতে হবে। ঝটপট একখান itinerary তৈরি করে ফেললাম। ২৪ শে এপ্রিল যাত্রা শুরু। ৪ এপ্রিল ফেরত। মাঝে মে দিবস আর ফ্লেক্সি ছুটি থাকায় আপিসে ছুটি নিতে হবে মোটে ৪ দিন। নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে দিলাম এই সুন্দর সমাপতনটা খুঁজে বের করায়। কর্তাও পিঠ চাপড়ে দিল। এতখানি লেখার পর বুঝতে পারছি এই লোকটার একটা নাম না দিলে গল্প এগোতে মহা অসুবিধে। কর্তা / সে / পার্টনার অমুক তমুক বলে আর কাঁহাতক চালান যায়! নাম দিলাম অ। অ ভয়ানক রকমের ডেডিকেটেড কর্মঠ এমপ্লয়ি। প্ল্যান বানানর আগে এবং বানানো চলাকালীন একশ এক বার আমাকে বলেছে "আমি কিন্তু বেশি ছুটি নিতে পারব না"। তো ৪টে ছুটি নিলেই চলবে শুনে অ যারপরনাই খুশি, তাই আমিও খুশি!

    ২৪ শে এপ্রিল শুক্কুরবার হাফবেলা আপিস করে উঠে পড়ব দিল্লির প্লেনে বিকেল ৪-৪৫এ। দিল্লি পৌছব ৬-৫৫ তে। এবার আমাদের বেড়ানোর দলের বাকি দুই সদস্য তুলি এবং অণু আসবে কলকাতা থেকে। দিল্লি থেকে আমরা সবাই একসাথে চড়ব কালকা মেলে। পরদিন ভোর ভোর কালকা পৌঁছে লাল টুকটুকে ন্যারো গেজের টয়ট্রেনে চেপে সিমলা গমন। ট্রেনের টিকিট কাটার কাজ শেষ। এবার খালি দিনগোনা আর বাকি দরকারি কাজগুলো সারা। indiamike সাইটে kshil নামের এক ভদ্রলোক খুব সুন্দর একখান ট্রিপ রিপোর্ট লিখেছেন হিমাচল নিয়ে। অগুন্তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে ভরা। সেই ট্রিপ রিপোর্ট আর আরো ব্লগ ট্রাভেলগ পড়ে পড়ে প্রায় মুখস্থ করে ফেলছি। অ-কেও পাঠালাম - "তুই ও এক্টু পড়ে দ্যাখ।" উত্তর - "ও হবেখন, তুই পড়ছিস তো? ব্যাস, আর চিন্তা কি! একজন পড়লেই হলো।" এবং আশ্চর্যভাবে বাকি তিন ভ্রমনসঙ্গির এই বিষয়ে মতের মিল অসাধারণ। ব্যাপার দেখেশুনে আমি ভাবলাম এদের সঙ্গে গিয়ে শেষ অব্দি আমিই না বোর হই। হুহ্‌।

    অনেক ব্লগ পড়ে দেখলাম অনেকেই রামচন্দ্র নামক একজন ড্রাইভারের প্রচুর সুখ্যাতি করেছেন। ফোন লাগালাম। উল্টোদিকে ভীষন বিনয়ী একজন মানুষ আশ্বস্ত করলেন - "আপ চলে আইয়ে। সব জিম্মেদারি হমারা। আপ বস্‌ আচ্ছেসে ঘুমনা।" গলা শুনেই সমস্ত দ্বিধা ভয় কপ্পুরের মত মিলিয়ে যায়! লিচুও তাঁর সাথে কথা বলে যাচ্ছেতাই রকমের কনভিন্সড। সেদিন রাতে খুব কিন্তু কিন্তু করে বল্লো - "শুধু আমরা দুজন গেলেই হতো না?"!!!!

    তখন মার্চের শেষদিক চলছে। এমন সময়ে এক উচ্ছ্বসিত অনু আমাকে ফোন করে জানাল যে সে ক্যাট পরীক্ষা আর ইন্টারভিউএর হার্ডল পেরিয়ে ২-৩ জায়গায় সীট পাকা করে ফেলেছে, ইন্সটিট্যুট বাছাই করে ভরতি হওয়াটাই খালি বাকি। চাকরি নিয়ে ক্রমশ ফ্রাস্ট্রেটেড হতে থাকা অনুর খুশি দেখে আমিও আনন্দে 'কি ভাল!' 'কংগো' এসব বলার পর সে দুঃসংবাদটি দিল। তার বাড়ি থেকে ওই বিপদসঙ্কুল জায়গায় যেতে দেবেনা। 'কি দরকার ওসব জায়গায় গিয়ে, ২ দিন বাদেই পড়তে চলে যাবি! এখন আমাদের সাথেই সময় কাটা।' ! চাপ না নেবার অনুরোধ করে, লোভনীয় ছবিটবি দেখিয়েও অনুকে টিকিট ক্যান্সেল করার সংকল্প থেকে নাড়ানো গেলনা। এদিকে তুলি বেড়াতে যাবার আশু সুযোগ খোয়াবার শঙ্কায় বিমর্ষ। সে কিছুতেই আমাদের সাথে একা যাবেনা! আমি যতই বলি "তুই চল। আমাদের কোন অসুবিধে হবেনা।" তুলি ততই বেঁকে বসে -"আর কাউকে জোগাড় কর্‌ না।" কিন্তু কিছুতেই আর কেউ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলনা। এক্ষেত্রে আবার 'আর কেউ' টা মেয়ে হয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। তুলিও নিজের টিকিট ক্যান্সেল করে দিল এবং যাবার আগের দিন অবদি শুনলাম কিভাবে বিভিন্ন সময়ে তুলির বেড়াতে যাবার সব প্রোগ্রাম কেঁচে গেছে, তাকে ছাড়াই লোকজন (এর মধ্যে মা বাবা দাদা দিদি বন্ধু বান্ধব কে নেই!) ড্যাং ড্যাং করে ঘুরে এসে গল্প করেছে। এমনকি ঠিক এরকম কেসও হয়েছিল যেখানে দল কমতে কমতে শেষে তুলি আর আরেক্টি কাপল-এ এসে ঠেকেছিল এবং যথারীতি তারা অভয় প্রদান করা সত্বেও তুলি যায়নি। শেষে ও সিদ্ধান্তে এল - "আমার বেড়ানোর কপালটাই খারাপ"। আমি যদিও মনে করিয়ে দিলুম যে সে এপ্রিলেই কোরিয়া আর সিঙ্গাপুরে আপিস ট্যুর করে এসেছে! :P ..

    এই সব ঝামেলা কাটিয়ে আমাদের বেড়ানর দিন এসে গেল ক্রমে। এবং আমি প্যাকিং-এর সময় লক্ষ্য করলাম অ বেশ খুশিমনে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে প্যাকিং করছে। দল পাকিয়ে না যেতে পারার জন্যে টেনশন কি দুঃখের কোন লেশমাত্র নেই!! ঃ))))
  • পু | 131.241.184.237 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:২৭686841
  • থ্যাঙ্কিউ মনোজবাবু। :) । বেড়াতে তো অনেকেই যায়। ধৈর্য ধরে সে গল্প লিখতে পারাই মুস্কিল। দেখা যাক কদ্দুর লিখতে পারি। আপনার চীনের গল্পও ভীষন ভাল লেগেছে।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 212.78.235.45 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:৩৫686852
  • পু,

    এই তো বেশ শুরু করে দিয়েছেন ! - আপনি যা শুরু করেছেন - ঠিক এই ঘটনাই সবার হয় । যাবার দিন ঘনিয়ে আসে - সঙ্গী কমতে থাকে। টেনশান তত বাড়তে থাকে !

    যাই হোক কোনক্রমে ট্রেনে উঠে তো পড়ুন ! সব ঠিক হয়ে যাবে !

    চীন্ দেশের লেখা পড়ছেন জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ !

    মনোজ
  • t-Rex | 24.139.222.66 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:৩৮686855
  • বুঝলি পু বাপেরটা বেড়ে নামছে ,, যদিও আমায় কেউ দল ভারী করতে ডাকেনি (দীর্ঘশ্বাস এবং ভেউ ভেউ ,,, ) ,, পরের পর্ব গুলোর অপেক্ষায় রইলাম ,,, !! দেখা যাক কোথাকার জল কোন খাদ এ গড়ায় ।।
  • পু | 131.241.184.237 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:৪০686857
  • কিসব বলছিস রে টিরেক্স। কি নামছে!!! যাইহোক , তোর হানিমুনে যাবার সময় অবশ্যই তোকে সঙ্গে নেয়া হবে। কাঁদিস না। :p
  • pi | 233.176.44.121 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:৪৩686858
  • বাঃ , পু র লেখার হাত তো বেড়ে তরতরে ! ঃ)
  • pi | 233.176.44.121 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:৪৫686859
  • বাপেরটা বেড়ে নামছেটাও বেড়ে ব্যাপার হয়েছে :P
    এরকম টাইপ ভালো ব্যাপার ;)
  • t-Rex | 24.139.222.66 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৬:০৯686860
  • প্রসঙ্গতঃ বলি মনোজদার কথাটা বেশ ভালো লাগলো ,, আমি সেই দলে জ যাব যাব করে র কোথাওই গিয়ে ওঠার সুযোগ পাই না ,, একা ঘুরতে খারাপ লাগে না কিন্তু সে নতুন কোনো এক শহর এ থাকতে গিয়ে ,,, মধ্যে সপ্তাহ দুএক পর পর কোনো এক মনখারাপ এর দিনে ,,, ক্যামেরা গলায় আর হাতে লা জবাব দেহালি নিয়ে এভাবেই দিল্লি ঘুরেছিলুম,, ইন্টার্নশীপ এর দু মাসের ফাঁকতালে ,,, দুপ্পুরবেলা বেজায় গরমএ ,,, সে এক অভিজ্ঞতা ,, সক্কালবেলা মেট্রো স্টেশন এর থেকে হেঁটে যাবার ম্যাপ মুখস্ত কততুম আর অবধারিত ভাবে রাস্তায় নেমে ডান বাম উপর নিচ গুলিয়ে কেলেঙ্কারী ,, তখন উপায় কলকাতায় ফোন করতে হত গুগল মাপ দেখে হদিস বাতলাতে ,,, বাবা মা চাপ খাবে বলে ওদের বলা যেত না ,, আমার বন্ধুভাগ্য ভালো ,,, কেউ একটা ঠিক জুটে যেত ,, "রাস্তার ডানদিকে বুঝলি একটা হোটেল আছে ,, আমি লোদী গার্ডেন থেকে ডানদিকে গেছি ,,, একটা ফ্লাইওভার ও আছে ",, "ধুস্স ডানদিকে দু মাইলের মধ্যে কোনো ফ্লাইওভার নেই ,, সোজা গেছিস ,, কোনো টার্ন নিতেই পারিসনা",, "ওহ তালে তাই হবে ,, এখানে একটা কলেজ আছে বুঝলি ,, নাম পড়তে পাচ্ছি না ,, চোখ যাচ্ছে না ",, "যা শালা কলেজ আবার কোথেকে এলো ,, সে তো অনেক এগিয়ে ,, যাবি কোন চুলোয় বলত" ইত্যাদি ইত্যাদি ,,, শেষমেষ গন্তব্যে পৌছে হাঁপ ছেড়ে বাঁচা ,, কিন্তু সে তো মাস এ দু তিনবার ,,, কথাও দিন দশের জন্য ঘুরতে গিয়ে সেসব একা একা করতে ভালো লাগে না ,,, সঙ্গী লাগে ,, খুব বেশি না ,, দু একজন ,, মনের মত ,, আমার মতই একটু পাগল গোছের ,,, তিন জায়গা ঘুরতে গিয়ে এক খানেই কাটিয়ে মেমরি কার্ড ভর্তি করে দাঁত ক্যালাতে ক্যালাতে ফিরবে ,,, !! তাদের আর ঘোরাই হয় না এই করে ।। :( (আমার গুগল লেআউট এ বানান খুব খারাপ আসে ,, এমনিতেও বানান এ দিগ্গজ ,, আর অভ্র নেই হাতের কাছে ,, ফলে ক্ষমাপ্রার্থী )
  • T-Rex | 24.139.222.66 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৬:১২686861
  • ব্যাপার লিখলুম বাপের হয়ে গেল :( আমার যে কি হবে ,,, :( কপাল ,, সব ই কপাল ,, এদিকে গাইড ঝেড়ে দিয়ে গেল পড়া ছেড়ে এদিকে উঁকি মারছি বলে ।।
  • sinfaut | 122.79.35.101 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৮:০৭686862
  • ১। পরিস্কার দেখতে পেলাম ৩৪৫ দিন ছুটি নিয়েছেন।
    ২। অ এর বদলে ৎ নাম দিন বুঝতে সুবিধে হবে।
    ৩। অ লিচু হয়ে গেল কী করে?

    সে যাই হোক পড়ছি।
  • পু | 74.233.173.203 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৮:২৮686863
  • অ আগে লিচু ছিল। অ লিচুকে পছন্দ না করায় আবার লিচু কেটে অ করার সময় একটা লিচু বাদ পড়ে যায়। কিন্তু পোস্ট হয়ে যাবার পর ব্যাপারটা চোখে পড়ে। এত খুঁটিয়ে পড়ার জন্যে থ্যানকিউ। :)))
  • পু | 120.5.74.200 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৮:৩১686864
  • তবে ৩৪৫ দিনের ব্যাপারটা বুঝলাম না।
  • পু | 120.5.74.200 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ২০:৪৪686865
  • Part - 3

    এই পর্ব শুরু করার আগে একটা ছোট্ট তথ্য। দিল্লি থেকে HRTC আর HPTDC এর হোলনাইট বাস আছে পরদিন ভোর ভোর সিমলা পৌঁছনোর। কিন্তু তাতে টয়ট্রেন বাদ যাবে বলে আমরা তা করিনি। এবার গল্পে ফিরি।

    ২৪ তারিখের দিল্লি যাবার টিকিট। তার কিছুদিন আগেই ইন্ডিগোর মেইল পাওয়া গেছিল -'অনিবার্য কারণ বশতঃ প্লেনের টাইম পিছিয়ে গেছে। সে দিল্লি পৌঁছবে রাত ৮-৫০ এ। আপনার অসুবিধের জন্য আমরা দুঃখিত।' সর্বনাশ! এরা তো দুঃখ প্রকাশ করেই খালাস। ওদিকে কালকা মেল পুরোনো দিল্লি স্টেশানে ঢোকে পউনে নটায় আর ছেড়ে বেরিয়ে যায় সাড়ে নটায়। প্লেন থেকে নেমে মালপত্র নিয়ে সে---ই পুরোন দিল্লি স্টেশন অব্দি ঠেঙ্গিয়ে গিয়ে কি করে সাড়ে নটার মধ্যে ট্রেন ধরব? অ-বাবুর একটা মারাত্মক বদগুন আছে। তা হল টেনশন করা আর ক্রমাগত তার ধারাবিবরণী দিয়ে চলা। 'এবার কি হবে' 'ধুর।বেড়াতে যাওয়াই মাটি' 'আগেই বলেছিলুম দিল্লি থেকে বাসে যাওয়া যাক' (আদ্যান্ত মিথ্যে! শুরু থেকেই সব ডিসিশন নেওয়া আর ব্যবস্থা নেওয়া পড়েছে আমার ভাগে, আর ওর ভাগে পড়েছে সোনামুখ করে বেড়িয়ে আসা!)। indiarailinfo তে হিস্ট্রি চেক করে দেখা গেল কালকা মোটামুটি তিন - চার ঘন্টা করে লেট করছে। তবে সপ্তাহে দু-এক দিন এক্টুও লেট না করেও চলে গেছে! যা আছে কপালে ভেবে যাবার আগের দিন ঘুমতে গেলাম। তার আগে দেখে নিলাম আমাদের কালকা বাবাজী ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে হাওড়া ছেড়েছে আর ধানবাদও পৌঁচে গেছে ঠিক টাইমে। এই তুচ্ছ ইনফো টা আর অ-কে না দিয়ে ঠিক করে রাখলুম ট্রেন মিস করলে ISBT থেকে কালকার বাস ধরবো। সেই বাসেরও লাস্ট ট্রিপ দশটার আশেপাশে!

    পরদিন সকালে আপিসে টাইম আর কাটেনা। বার বার রেলের সাইট চেক করছি আর মনে মনে - 'ঠাকুর ট্রেনটা লেট করিয়ে দাও'। এগারোটা নাগাদ আবিষ্কার করলাম এলাহাবাদে ট্রেন দু ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছে। জয় মা! বিকেলে একটা ওলাক্যাবে পোঁটলা চাপিয়ে আমাদের হানিমুন শুরু হল (ট্রেন ততখনে তিন ঘন্টা লেট)।

    চেক-ইন লাগেজের বেলায় আমার লাক ভীষণ খারাপ। সবাই দিব্বি গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে বাক্সপ্যাঁটরা নিয়ে হাঁটা লাগায়। চারপাশ ফাঁকা হয়ে আসে। তবে গিয়ে দেখা যায় বেল্টে চেপে সে আসছে একা একা, জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রশেসনের শেষে আসা প্রতিমার মত! প্রতিবার এক জিনিস। একবার বাদে, সেবার লাগেজে 'ফ্র্যাজাইল' ট্যাগ লাগানো ছিল। তো সেইমতো নিজেদের খুব চালাক ভেবে আমরা ব্যাগে ওই ট্যাগ লাগালাম মিথ্যে বলে। কোথায় কি! দিল্লিতে নেমে সেই প্রতিমা কেস। কেউ আমাদের 'ফ্র্যাজাইল' লাগেজকে আগে আসার সুযোগ করে দেয়নি। :( তাড়াহুড়ো করে একটা দিল্লি পুলিসের কাউন্টার থেকে ট্যাক্সি বুক করে ওল্ড দিল্লি চল্লুম। গাড়িতে উঠে দেখি অ পার্সে খুব মন দিয়ে কি খুঁজছে। 'কি হল?' 'আমি বোধ হয় ক্যাবের কাউন্টারে ৫০০ টাকা হারিয়েছি। ওরা খুচরো নেই বলতে খুচরো দিলাম। ৫০০ টাকা টা বোধহয় ফেরত নেয়া হয়নি'+ কাঁচুমাচু মুখ। কি আর করা! যাক্‌গে বাদ দে, বেড়াতে গিয়ে টুকটাক এসব হয়, মন খারাপ করিসনি এসব বলে প্রসঙ্গ ঘোরাবার চেষ্টা করলাম। অ-এর এক বিষয় নিয়ে বহুক্ষণ মন খারাপ করতে পারার অসীম ক্ষমতা আছে!

    ট্যাক্সি থেকে পুরোন দিল্লি স্টেশনের ছবি - <https://goo.gl/photos/jq6R9fHPtbEw8myZ8>

    দিল্লির চওড়া রাস্তা ফ্লাইওভার সব পেরিয়ে এসে পড়লুম পুরনো দিল্লি স্টেশনের বাইরের ঘিঞ্জি জ্যামবহুল রাস্তায়। সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে; এদের মধ্যেই কেউ কেউ বোধ হয় কালকা সিমলা যায়। চতুরদিকে ঠেলাগাড়ি লাগেজ কুলি মুটে - সে এক হুলুস্থুলু অবস্থা। সেই ভিড় পেরিয়ে আমাদের গাড়ি এসে দাঁড়াল। ঘড়িতে তখন রাত ১০-১৫। জানা গেল প্ল্যাটফর্ম নম্বর ৫-এ আসবে ট্রেন, ১১ টা নাগাদ। খাওয়া হল, দাওয়া হল। দিব্বি ফুরফুরে মেজাজ। বল্লাম - 'এবার আর টেনশন নেই। ট্রেন পেয়ে যাব।' উত্তর - 'এই যে ট্রেনটা এত লেট করছে, যদি কাল সকালের টয়ট্রেনটা মিস করি!!' ভবি ভোলবার নয়। :-p
  • sosen | 177.96.52.96 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ২০:৫২686866
  • ২৪শে এপ্রিল বেরিয়ে ৪ এপ্রিল ফিরলে.....
    দিব্য হচ্ছে
  • Stacked auto-encoder | 117.167.116.166 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ২০:৫৭686868
  • ক্ষেত্রবিশেষে অমন তারিখের গোলমাল হয় :-p
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন