এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আরেকটা বেড়াতে যাবার গপ্পো

    পু
    অন্যান্য | ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ | ৩৮১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 74.233.173.203 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:৫৪686935
  • মহাবালেশ্বর খুব ই সুন্দর। লোনাবলা খাডালা আরো। মালসেজ ঘাট আরো। আরো আরো অনেক জায়গা আছে আরো আরো ভালি।

    কিন্তু সময় বুঝে যেতে হয় আর খুন্জে নিতে হয়।
  • | 233.196.184.130 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:৫৮686936
  • বুনু কিছু বলছিস????
  • ধুর | 192.69.243.8 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:২০686937
  • মাইরি মহাবালেশ্বরে লোকে ঠিক কীজন্য যায়, আজ পজ্জন্ত মাথায় ঢোকে নি।

    এদিকে কিছু লোক আছে, পুণে যাবার প্রসঙ্গ উঠলেই প্ল্যান করে শিরডি যাবার। ওই অ্যাক জায়গা।
  • avi | 113.24.86.112 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:২৯686938
  • মহাবালেশ্বর ভুল সিজনে গিয়েছিলাম, জানুয়ারি মাসে। একটুও শীত পাইনি দিনের বেলা। কৃষ্ণা নদীর উৎস, রকমারি ভিউ পয়েন্ট, চেরী ক্ষেত নিয়ে বেশ রিচ মেনস নেতারহাট টাইপ লেগেছিল। ভালোই তো। পুনে থেকেই গিয়েছিলাম।
  • পুপে | 74.233.173.193 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৪৭686939
  • শিরডি না যান, আশেপাশে ঔরংগাবাদ অজন্তা ইলোরা দেখে এলেই পারেন। সুন্দর জায়গা।
  • TB | 118.171.130.188 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৫৬686940
  • মহাবালেশ্বর, অজন্তা-ইলোরার জন্য আরেকটিকা ভ্রমণ টই খুলিত হৌক।
  • পুপে | 131.241.184.237 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:০২686941
  • আগে এইটি শেষিকা হোক। নইলে সবাই গালিকা দেবে। :-p
  • aranya | 83.197.98.233 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:২৬686942
  • মহাবালেশ্বর তো খুবই সুন্দর লাগছে।

    পুপে-র লেখার হাত টু গুড। আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করলে গুরুর অ্যাসেট হবে
  • Manish | 127.200.88.190 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:৪২686943
  • লেখা আগে বাড়ছে না কেনো। সিকিম আমারো খুব পছন্দের জায়গা। আমি west সিকিমে Rinchenpong ঘুরে আসলাম। খুব সুন্দর আর নিরিবিলি জায়গা। হোটেলের জানালা দিয়ে Kanchanjhanga খুব ভালো ভাবে দেখা যায়। আর ভুটানে 4 বছর থাকার জন্য ভুটানের অনেকখানি ঘুরে নিয়েছি।
  • পুপে | 120.5.74.127 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৯:২৫686765
  • Part -7

    আমরা আগে থেকে হোটেল ইত্যাদি বুক করে যাইনি, যদি itinerary এদিক ওদিক হয় সেই ভেবে। তো অশোক বললো তার চেনা কোন বাঙ্গালি হোটেল আছে, আমরা চাইলে সেখানে যেতে পারি, আর সেখানে গেলে কাস্টোমার আনার বকশিস হিসেবে ডর্মিটরিতে ফ্রিতে অশোকেরও জায়গা হবে। আমার একটাই শর্ত ছিল যে ভিউ ভালো হওয়া চাই, কল্পায় চমৎকার ভিউ ওয়ালা বেশ কিছু হোটেল আছে। 'আপ চলকে দেখিয়ে না। আচ্ছা না লগে ফির ঔর কহি।' অশোকের কনফি দেখে আমরা চল্লুম।



    পাহাড়ের গা দিয়ে সরু রাস্তা, রাস্তার একপাশে হোটেলটা, আরেকপাশে লম্বা হয়ে উঠে গেছে অনেক দেবদারু গাছ, হোটেলের পিছনদিকে আরেকটা কাদের বাড়ি, তারপরেই পাহাড়ের বেড়া, যার ধাপে ধাপে আপেলের বাগান, আরো কত গাছ। আপেল গাছে সবে এখন সাদাটে গোলাপি আভা ফুল ধরেছে, দেখতে দেখতে তারা সব বড় হয়ে টুসটুসে সবুজ লাল আপেল হবে। ছাদে উঠে সোজা তাকালে কিন্নর কৈলাশ রেঞ্জ। ঝকঝকে সাদায় বেলা পেরোতে না পেরোতেই অল্প হলদে হলদে ভাব আসছে। ছাদে দুটি ঘর। সাদামাটা, কিন্তু বিছানা থেকে জানলা হয়ে দেবদারুর ফাঁক দিয়ে লাফিয়ে দৃষ্টি চলে যায় পাহাড়ের ইতিউতি, তারওপরে কোবাল্ট টারকোয়েজ ইন্ডিগো আরো সব নাম না জানা ব্লু শেডের আকাশে; পাহাড়ের খাঁজে আকাশের বুকে থোকা থোকা, কখনো হাতি কিংবা হিপ্পোগ্রিফ, কখনো পালতোলা নৌকো কিংবা ফায়ারবোল্ট ব্রুম হয়ে যাওয়া মেঘেদের গায়ে গায়ে খানিক ভেসে বেরিয়ে সে আবার ফিরে এসে মিশে যায় হাতের মুঠোয় হাত নিয়ে রাখা সেই টিন বেলার সঙ্গীটির চোখের আলোয়। এমন ঘর হলে তবে না হানিমুন স্যুইট; শুধু বিছানায় গোলাপ দিয়ে হার্টসাইন আর তোয়ালে দিয়ে রাজহাঁস করা থাকলেই বুঝি শুধু তাকে হানিমুন স্যুইট বলে!! বিনা বাক্যব্যয়ে অ ছাদের ঘরটি পছন্দ করে ফেললো।

    হোটেলমালিক ভদ্রলোক ছাদ থেকে চিনিয়ে দিলেন পীকগুলো। বাঁদিকে কিন্নর কৈলাশ, মাঝে জোরকান্দেন, ডাইনে র‍্যালডং এই তিন মূল মহারথী রেঞ্জটার অংশীদার। জোরকান্দেন (৬৪৭৩ মিটার) রেঞ্জের সবচাইতে উঁচু শিখর। বাঁদিকে কৈলাশের পাশে একটা ছোট্ট বুড়োআঙ্গুলের মতন জিনিস দেখিয়ে বল্লেন ওটা একটা ৭৯ ফুট মত উঁচু প্রস্তর, যেটাকে শিবলিঙ্গ বলে ধরা হয়। ঠাহর করে দেখলে খালি চোখেও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিলো, দূরবীন থাকলে আরো ভাল বোঝা যায়। অনেকে ঐখানে ট্রেক করতে যায়। পুরানের গল্পে বলে শিব নাকি ওখানে শীতকালে পার্বতীর সাথে দেখাসাক্ষাৎ, দেবতাদের সাথে মিটিং ইত্যাদি করেন। কথায় কথায় বললেন যে হোটেলবাড়িটা লীজ নেওয়া, পিছনের বাড়ীটা প্রপার্টির মালিকের,তিনি কিন্নরী। হিমাচলীদের নাকি সরকার থেকে জমি বাড়ি দেয়, বিপুল পরিমাণ কর ছাড় দেয়; প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে নিয়ত দিনগুজরান করতে হয় বলে এতসব ব্যবস্থা। কেমন প্রতিকূল? মার্চের গোড়াতেও নাকি এই ছাদে এক ফুট বরফ জমে ছিল!

    খাবার অর্ডার দিলাম। সকালে খাওয়া আলুপরোটা তখন বৃহদন্ত্র পার করে গেছে। চুঁইচুঁই পেটে ডাইনিং হলে বসে খিচুড়ি ডিমভাজা পকোড়া দিয়ে ভুঁড়িভোজ। এবার আমরা রোঘী ভিলেজ দেখতে যাব। রাস্তায় পড়লো সুইসাইড পয়েন্ট, সেখানে সোজাসুজি নিচে তাকালে মাথা ঘুরে যায় এমন অতলস্পর্শী খাদ। অবিশ্যি এরকম শয়ে শয়ে সুইসাইড পয়েন্টে ভর্তি রাস্তা, এমনি করে একটা আলাদা জায়গাকে ঐ নাম দেওয়া কেন কে জানে।

    এই ছবিটা গাড়ি থেকে তোলা।



    গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে ঘুরতে হয় গ্রামটা। ছোট্ট গ্রাম, পাহাড়ের গায়ে গায়ে বাড়ি, আপেল বাগিচার ছড়াছড়ি, আপেলের মত লাল গালফুলো বাচ্চারা রাস্তায় খেলছে। খানিক এগিয়ে দেখা গেল গ্রামের কিছু লোক রাস্তা সারাচ্ছে, রাস্তা বলতে সরু পাথুরে চলার পথ। তাদেরকে এই দুই মূর্তিমান আগে আর যাওয়া যাবে কিনা শুধোতে তারা নিজেদের মধ্যে হেসেই কুটোপাটি, দিয়ে একজন ফিচলেমি করে বলে যদি তোমরা এই ভারি ভারি পাথরগুলো সরিয়ে দাও তবেই আগে যাবার রাস্তা বলবো, শেষে একজন বুড়ি দিদা আমাদের সাথে করে নিয়ে চল্লেন! পথের শেষে একটা জমে থাকা ঝরনা, ঝরনার উপরের দিকটা মানে সার্ফেসটা পুরো জমা, ভিতরটা গলে গিয়ে কুলকুল করে জল বইছে। ঐ দিদার বাড়ি হয়তো ঝরনার ওপারে, দিব্বি ঐ বরফের মোটা সরের ওপর দিয়ে হেঁটে চলে গেলেন, পায়ে এমনি চটি। স্পোর্টস শু পরেও আমরা যেতে সাহস পেলাম না। তবে বরফ নিয়ে খুব একচোট খেলা হলো, ছোঁড়াছুঁড়ি, মাখা মাখি; বরফটা একদম দুধসাদা ছিলনা, একটু নোংরা মতন, হয়তো গলা জলে মিশে নোংরা নেমেছে ওপর থেকে, এইসব দেখছি ঘুরে ফিরে, হঠাত দেখি অ বাঁদরের মতো ঝরনা বেয়ে বেয়ে ওপরে উঠছে, সেদিকে নাকি পরিষ্কার বরফের সাথে সে ছবি তুলবে। আমিও খানিকটা উঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম ঐ জমা ঝরনার ওপরেই। হঠাত্‌ই আমার পা টা ভস করে ঐ বরফ ভেঙ্গে খানিকটা ঢুকে গিয়ে আমি ব্যালেন্স হারিয়ে ফেললাম, কোন কারনে লেয়ারটা ঐ জায়গায় পাতলা ছিল; আশেপাশে কেউ নেই, আমি বাদে জীবিত প্রাণী বলতে একটু দূরের গাছে বসে থাকা নীল পাখিটা, আর অনেকটা উপরে অ-বাবু। কিরম যেন মনে হল আমি এবার ঝরনা দিয়ে গড়িয়ে খাদে পড়ে যাব, আর বাঁচবো না, ভয়েতে চোখে জল, যদিও একেবারে খাদে পড়ে যাবার মত অবস্থা হয়নি, তবুও জানিনা কেন অত্ত ভয় পেয়ে গেছিলাম। আমি বরফে বসে পড়েছি, অ হাঁচোড় পাঁচোড় করে নামছে, কিন্তু ওঠা যত সহজ, নামা তত নয়! খানিকপর অ এসে পড়লো-'এই তো আমি, কাঁদছিস কেন?'। তারপর বাকি বরফ ঢাকা অংশটা ও আগে আগে পেরলো, আর আমি ঠিক বরফের সেই সেই গর্তে পা দিয়ে ওর পিছন পিছন! আজকের মতো যথেষ্ট অ্যাডভেঞ্চার হয়েছে, কটা পাইন কোন কুড়িয়ে এদিক ওদিক ছবি তুলে আমরা ফিরতি পথ ধরলাম। ওদিকে সেই বাঙ্গালি হোটেলমালিক ভদ্রলোক বলে রেখেছেন বিকেল বেলায় পিছনের পাহাড়ের জঙ্গলে বেড়াতে নিয়ে যাবেন। এখন থেকে এনাকে শ-বাবু বলবো।








    শ-বাবু সদাশয় ব্যক্তি, মধ্যবয়স্ক, প্রায় ১৫ বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করছেন, বাড়ি থেকে রাগ করে বেরিয়ে গিয়ে এই লাইনে ঢুকেছিলেন, আর ফিরে তাকাতে হয়নি। তাঁর পিছন পিছন আমরাও ধাপ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পাহাড়ে উঠছি। উনি গাছ চেনাতে চেনাতে চলেছেন। জঙ্গল বলতে সেরম ঘন কিছু নয়, হালকা, উনি বল্লেন এই জঙ্গলে নাকি অনেক রকম মশলা বাদাম এসবের গাছ আছে। আর সবথেকে বেশী আছে চিলগুজা গাছ, গোটা কল্পায় ভর্তি। একরকমের পাইন গাছ এটা, এর ফলটা খাওয়া যায়, বাজারে প্রায় ২৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কিন্তু এই গাছও নাকি লোকে কেটে কেটে প্রায় সাফ করে দিচ্ছে। আরেকটা জিনিস দেখলাম দেবদারু গাছগুলোর নিচের দিকের ডালপালা সব হাওয়া, সব নাকি আগুন জ্বালাবার জন্য কেটে নেয়, সরকারি বারণ থাকা সত্ত্বেও। আঙ্গুল তুলে দেখালেন দূরে কাঁধে কুঠার নিয়ে লোকজন ফিরছে ওপরের জঙ্গল থেকে, আগের ঘন জঙ্গল এই করে করে এখন হালকা! খানিকটা উঠে একটা ফ্ল্যাট মত জায়গা পেয়ে আমি আর শ-বাবু বসলাম, বাঁদুরে অ আরো খানিক ওপরে চড়তে গেল। বিকেল নেমে আসছে তখন, পাখিরা ঘরে ফিরছে, টুই টুই পিক পিক কিচি মিচি আওয়াজে লাল নীল হলদে ধুসর তারা ব্যস্তসমস্ত হয়ে ঘরে ফিরছে, ছোট্টগুলো খাবারের জন্য অপেক্ষা করে বসে রয়েছে যে! এই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে নাকি ঘন্টা দুই ট্রেক করে চাখা বলে একটা জায়গায় যাওয়া যায়, লেক মত আছে, ভারি সুন্দর যায়গা, ওখান থেকে কল্পার পুরো ভিউ পাওয়া যায়। অ ফিরেছে ইতিমধ্যে, সে নাকি কোন গুহায় মদেল বোতল এইসব হাবিজাবি দেখে এসেছে, যত ওঁচাটে জিনিসই তার চোখে পড়ে। কল্পায় একদিনই থাকার প্ল্যান, কিন্তু পরেরবার নিশ্চয় করে চাখার সাথে আলাপ জমানোর কথাটা 'টু ডু' লিস্টে টুকে নিয়ে হোটেল ফিরলাম।





    তখন সূর্য ডুবছে, শেষবেলার সোনালী আলোয় ভিজিয়ে খুব করে আদর করে দিয়ে যাচ্ছে কিন্নর কৈলাশকে। আদর পেয়ে তার রূপ আরো ফেটে ফেটে বেরোচ্ছে। বিদায়বেলায় মনটা খারাপ করে তার গাল গোলাপি বেগুনি হয়ে গেল, আরো খানিক পরে চারিদিক নিভে গিয়ে অন্ধকার নেমে এলো। বেশ বড়সড় চাঁদ উঠেছে, সকাল থেকে সানবাথ নিয়ে পাহাড়ের ফোস্কা পড়া জায়গাগুলোয় জোছনার মলম লাগাচ্ছে সে। নিচে দূরে মিটমিটে জোনাকিপোকার মত খুদি খুদি আলোর ফুটকি, হয়তো কোন কিন্নরীর সুখী গৃহকোণ, রান্না চেপেছে, ছানা কিন্নরী পড়তে বসেছে, পোষা লোমশ ভৌ উলোঝুলো কান নিয়ে পাশে চুপটি করে বসে আছে কখন ছানাটার পড়া শেষ হবে! ছাদে চেয়ার নিয়ে চুপটি করে বসে আছি আমি। শীত করলেও উঠছিনা, চোখ আর মনটাকে কানায় কানায় ভরে নিতে হবে তো! একটা গরম হাতের স্পর্শ পেলাম, ছোট কম্বলটা এনে মুড়ে দিচ্ছে আমাকে অ, ভারি যত্ন করে - 'টনসিলে ব্যথা হবে তো, টুপিটা পড়'।
  • san | 113.245.13.202 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৯:৪৮686766
  • কী ভালো রে ।
  • robu | 122.79.39.87 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ২০:৫২686767
  • আপনার লেখাতে প্রতিদিন উন্নতি হচ্চে।
  • পুপে | 74.233.173.198 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ২১:০৬686768
  • থ্যাংকু সানদা, রোবুদা। :)))))
  • hu | 78.63.145.192 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ২১:১৬686769
  • স্যান দাদা নয়, দিদি ঃ)

    আজকেই শুরু করলাম। ভারী সুন্দর তরতরে লেখা তো পুপের। মচৎকার!
  • শ্রী সদা | 113.16.71.15 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ২১:১৭686770
  • জমে গেছে। আমার মতো ল্যাদু জনতাও ভ্রমণকাহিনী পড়তে শুরু করে দিয়েছে। আরো হোক।
  • রোবু | 113.10.210.158 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:১৪686771
  • তুই কি ইশেনদার ভ্রকা টা পড়লি? নইলে আর কী করলি?
  • r2h | 215.174.22.27 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:০৭686772
  • বাঃ, কি সুন্দর লেখা। তাছাড়া Date:10 Dec 2015 -- 07:25 PMএর প্রথম ছবি খুবই মিঠেঃ)
  • Abhyu | 126.202.221.243 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:২৬686773
  • সব ছবিগুলো তো আসে নি, আবার দাও।
    ভালো হচ্ছে লেখা।
  • + | 175.246.93.79 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:১৬686774
  • পড়ছি, ভাল্লাগছে

    কয়েকটা ছবির নেগেটিভ এসেছেঃ) ছবি আসেনি
  • পুপে | 131.241.184.237 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:০০686776
  • বুঝেছি, পিকাসায় পারমিশনের ঘাপলার জন্য ছবিগুলো আসেনি। বাড়ি গিয়ে ঠিক করতে হবে। অফিসে পিকাসা খোলেনা। ঃ(
  • de | 69.185.236.51 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:৪৯686777
  • খুব ভালো হচ্ছে পু -

    অ পু যুগলে ছবিটা কি মিত্তি!
  • phutki | 202.193.216.147 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:১২686778
  • হেব্বি হচ্ছে কিন্তু। এটা কি প্রথম লেখা? তা হলে তো আরো বেশি হাততালি।
  • পুপে | 131.241.184.237 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:১৭686779
  • হ্যাঁগো ফুটকিদি। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা রচনার পর আবার আমার বাংলা লেখা এইটা, পড়াশোনার বাইরে প্রথম লেখা। এছাড়াও অবিশ্যি অ-কে লেখা চিঠিচাপাটি কবিতা ইত্যাদি আছে। :)
  • phutki | 209.67.131.217 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:৩০686780
  • খুব ভাল। চর্চা হোক, হাত খুলুক। আমরাও পড়ে খুশি হই।
  • phutki | 209.67.131.217 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:৩৩686781
  • খুব ভাল। চর্চা হোক, হাত খুলুক। আমরাও পড়ে খুশি হই।
  • জ্ঞান | 192.69.243.8 | ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৩:১৬686782
  • পুরো অ্যালবামটাকে পাবলিক করে দাও - আলাদা আলাদা করে ফটোতে পারমিশন দিতে হবে না।
  • পুপে | 120.5.74.135 | ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৬:০৪686783
  • জ্ঞান-দা,
    পুরো অ্যালবাম পাবলিক করা যাবেনা। :-p

    যাই হোক, আগের দিনের না আসা ছবিরা-



  • পুপে | 120.5.74.115 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৩৯686784
  • Part - 8

    ঠিক ভোর পৌনে পাঁচটায় অ্যালার্ম বাজতে শুরু করলো। কাল চোখ ভরে সূর্যাস্ত দেখেছি, আজ সূর্যোদয় দেখবো বলে এই ব্যবস্থা। গুটি গুটি গিয়ে জানলার পর্দা সরিয়ে দেখলাম সবে রাতের আঁধারটা একটু পাতলা হতে শুরু করেছে। আবার সেঁধোলাম লেপের তলায়। কিন্তু মন টিকটিক করলো- মিস্‌ হয়ে যায় যদি! উস্‌খুশ করতে করতে আবার খানিক বাদে উঠলাম, সবে আলো ফুটছে। অ-কে ঠেলা মারলাম - 'কি রে, সানরাইজ টা দেখবি তো?' কুঁই কুঁই একটা জড়ানো আওয়াজের থেকে যেটুকু উদ্ধার করলাম - 'তুই দ্যাখ, আমি ঘুমবো।' এরম সময় কি গান গাইতে হয় আমরা তো জানিই- 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে'। মোটা সোয়েটার টুপি মোজা সব চাপিয়ে কনকনে ঠান্ডায় বেরোলাম ছাদে। ছাদের এদিক থেকে ওদিক অব্ধি হেঁটে, উঁকি-ঝুঁকি মেরেও কোথাও সুয্যির টিকি দেখা গেলোনা, বরফঢাকা চূড়াগুলোতেও সেরম আহা-বাহা করার মত রঙ্-এর ঢেউ খেলছে না। অথচ ততক্ষণে বেশ ফটফটে ভোরের আলো ফুটে গেছে।


    এমনিতে ভোর ভোর এরকম ছাদে হেঁটে বেড়াতে ভালোই লাগছে, এদিকে হিমালয় তো ওদিকে আপেলবাগান, গাড়ির প্যাঁ পোঁ নেই, নিরিবিলি শান্ত, ফুসফুসে তাজা হাওয়া ঢুকছে, এরকমটা তো সচরাচর ঘটেনা। তবে ঐ মনটা খুঁতখুঁত করছে। এই করতে করতে ছটা বাজলো, এতক্ষনে এরকম একটা অবস্থা দাঁড়িয়েছে।




    বুঝলাম যে ঐসব সিঁদুরে লাল, দুধে আলতা, গেরুয়া, কমলা, আলোর ছটা রোশনাই সব পাহাড়ের উল্টোদিকে ঘটে গেছে বা ঘটছে, ঐদিকটা যেখান থেকে দেখা যায় সেখানে গিয়ে আহা-উহু করতে হবে। অগত্যা ঘরে প্রত্যাবর্তন, প্রস্তুতি সমাপন এবং নিষ্ক্রমণ। অশোকের সাথে সকালে প্রথম দেখা হলেই সে একগাল হেসে গুডমর্নিং বলে, রোজ। ব্রেকফাস্ট পর্ব মিটিয়ে শ-বাবু বিল নিয়ে এলেন। অফ সীজনের হিসেবে বিলটা বেশ বেশী। ভুরু তুলতেই শ-বাবু বলতে লাগলেন যে সবথেকে ভালো রুম দিয়েছেন ইত্যাদি। যদিও আমরাই হোটেলে সীজনের প্রথম এবং একমাত্র অতিথি, গোটা হোটেল জুড়ে ডাংগুলি খেলে বেড়ালেও কিছু এসে যায়না। বিল মিটিয়ে গাড়ি ছাড়তেই অশোক বললো যে সে আশা করেনি শ-বাবু এভাবে আমাদের গলা কাটবেন, নইলে সে নিজেই দরদাম করে রেট ঠিক করতো, সে ভেবেছিল যে বাঙ্গালি কাস্টোমারকে বাঙ্গালি বিক্রেতা স্পেশাল কনশেসন দেবে!

    আজ আমরা যাব টাবো। অশোকের এক বন্ধুও যাবে আমাদের সাথে, টাবোতে গিয়ে সে তার হোটেলের তালা খুলবে, ঝাড়পোঁচ করে রেডি করবে ট্যুরিস্ট সীজনের জন্য। টাবো কাজার হোটেলগুলো এপ্রিল-মে থেকে মোটামুটি নভেম্বর অবধি খোলা থাকে, বাকি সময় পুরু তুষারে ঢাকা। হোটেলওয়ালারা তখন সমতলে নেমে আসে, যারা ওখানকার বাসিন্দা তারা ওইসময়ের রসদ আগে থেকে জমিয়ে রাখে। রেকং পেও থেকে সেই বন্ধু উঠল, তার নামটি ভুলেই মেরে দিয়েছি, বিনোদ বা কিছু ছিল। অশোক যেমন থেকে থেকে বলে -'ট্যানশন মত লো' তেমনই আরেকটা কথা বলে থাকে - ' ক্যায়া দেখনে আতে হ্যায় সব পাহাড়িও মে, সির্ফ তো পাত্থরহি হ্যায়'!!! হতে পারে ছোট থেকে নিষ্কলুষ প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠায় এই দৃশ্য আলাদা করে তার মননে কোনো বার্তা বয়ে আনেনা, তার ওপর বছরে সে তিন-চার বার করে এসব জায়গায় এসেই থাকে। আমিও বল্লাম যে তাহলে শহরে বেড়াতে যাওয়া উচিত কিনা? অশোক - 'আরে ম্যায় গ্যায়া থা, মথুরা-বৃন্দাবন, বাপরে, ইতনি গন্দেগি, ভাগকে ওয়াপস আয়ে।' হুঁ হুঁ বাপু, তাহলেই বোঝ, ওরকম গন্দেগিতে আমরা সারা বছর কাটাই, সেজন্যই না থেকে থেকে এসব জায়গায় এসে শরীর মন সাফসুতরো করতে প্রাণ আকুলিবিকুলি করে।




    কল্পা থেকে নেমে এসে রাস্তা মিশলো সেই পুরনো NH-22 তে, সাতলুজও সুপ্রভাত জানালো, প্রভাতি সূর্যের আলোয় চিকচিক করছে তার জল। পোয়ারি হয়ে খাবের রাস্তা ধরলো গাড়ি, আজ আমাদের সবথেকে বেশী পথ চলা। প্রায় ১৭০ কিলোমিটার, আর রাস্তার অবস্থাও যাচ্ছেতাই রকমের বাজে হতে শুরু করলো একটু পরে। ল্যান্ডস্কেপও বদলাতে শুরু করেছে, পাইনবন তো নেইই প্রায়, চিলগুজা আর আপেলগাছেরও দেখা মেলেনা বললেই চলে। অল্প অল্প সবুজের প্যাচ পাহাড়ের একটু ওপরের দিকে। শুরু হলো 'ভয়ঙ্কর অথচ সুন্দর' রাস্তা। এবড়ো খেবড়ো, কোথাও কাদা কাদা, রাস্তায় ভর্তি ট্রাফিক ওয়ার্নিং, থেকে থেকে 'শুটিং স্টোন জোন', সাইনবোর্ডের সত্যতা প্রমাণ করতেই গাদা গাদা ছোট নুড়ি পাথর থেকে বিশাল বোল্ডার সবই ছড়িয়ে রয়েছে রাস্তার দু পাশে, মাঝে। একদিকে গভীর খাদ, একদিকে খাড়াই পাহাড়, পাহাড়ের গা ছালচামড়া ওঠা হাড়গোড় বার করা মত, স্তরে স্তরে খোঁচা খোঁচা পাথর বেরিয়ে। আজকের রাস্তায় নাল্লা বলে দু-তিনটে স্ট্রেচ আছে, সেগুলো অতিভঙ্গুর ধ্বসপ্রবণ এলাকা, বরফ জমে আছে এখনো, আরো গরম পড়লে গলা জল বয়ে যায়, জলে আলগা হয়ে মাটি পাথর নেমে রোড ব্লক করে দেয় যখন তখন, তখন BRO-এর রাস্তা সারানোর অপেক্ষায় বসে থাকা ছাড়া গতি নেই। তখন পাঙ্গি নাল্লা পেরোচ্ছি। হঠাত অশোক বেশ স্পিডে একটা ভাঙ্গা জায়গা পেরলো, গাড়িটা বিচ্ছিরি রকমের লাফিয়ে উঠে অ-এর মাথাটা গেলো ঠুকে। পিছনে তাকিয়ে দেখি ঝুর ঝুর করে উপর থেকে ছোট ছোট নুড়ি এসে পড়ছে, সে নাকি কিভাবে আগেই বুঝে গেছিল!




    স্পিলো পুহ্‌ ছোট ছোট জনপদ পেরিয়ে গেল, রাস্তা এবার একদম শুনশান, অন্য ট্যুরিস্ট গাড়িও নেই, একদম সীজনের শুরু এখন, মাঝেসাঝে পুলিশ ট্রাক, সরকারি বাস কি লোকাল গাড়ি যাচ্ছে দুয়েকটা। খাবের কাছে একটা ব্রিজের পাশে দাঁড়িয়েছে গাড়িটা; সবজেটে স্পিতি মিশেছে ঘোলাটে সাতলুজে। এইখান থেকে স্পিতি ভ্যালি শুরু, কিন্তু জেলা এখনো কিন্নর, লাহল-স্পিতি জেলা শুরু হবে সুমদোর পর থেকে, সে এখনো ঢের দেরি।
    এই সেই ফেমাস খাব ব্রিজ-





    ব্রিজে উঠে মোহনাটা পেরিয়ে গেলাম, সাতলুজ টা টা বাই বাই করে দিয়েছে, পথ বাতলাচ্ছে নতুন বন্ধু স্পিতি নদী। আমরা এখন যে রাস্তা দিয়ে চলেছি তার নাম লিও ভিলেজ রোড, কিছুক্ষন স্পিতির সাথে চলার পর থেকে সে রাস্তা কেবলই ওপরে উঠতে থাকে, স্পিতিও সরু সরু সরু হতে হতে সেই ওপর থেকে একটা সুতো বই আলাদা করে কিছু মনে হয়না। নাকো অবদি চড়াই উঠে (প্রায় ১১০০০ ফুট) আবার রাস্তা নামতে থাকে। মূল রোড থেকে সরু সরু অনেক রাস্তা ঢুকে গেছে এদিক ওদিক, মাইলস্টোনে লেখা কত নাম - লিও, চুল্লিং, ছাঙ্গো। এরা ছোট ছোট সব গ্রাম, কোথাও গাড়ি যায়, কোথাও বা ট্রেক করে যেতে হয়। গোটা ট্রিপের মধ্যে এইদিনের জার্নিটা স্মৃতিতে আজীবন জ্বলজ্বল করবে। এমন জায়গাও হয়! যেদিকে ঘাড় ঘোরাই শুধুই পাহাড়, চুড়োর কাছটা অল্প সাদা, বাকি বাদামি ধুসর, আলো ছায়া, হাজারো রঙ্গের আলপনা। এইসব চুড়োদের মধ্যে কোনটা নাকি রিও পারগিল, হিমাচলের সবচাইতে উঁচু শৃঙ্গ। হিমালয় এখানে ধ্যানগম্ভীর সাদা দাড়িগোঁফওয়ালা ঋষি, তিনি সম্পূর্ণ একা তপস্যায় মগ্ন, পাছে তাঁর একাকীত্বের ধ্যানের সামান্যতমও ব্যাঘাত ঘটে, তাই কোন চারাগাছও এসে তার বুকে আশ্রয় নেয়নি। শোঁ শোঁ শব্দে ছুটে চলা ঠান্ডা হাওয়া, থমথমে নির্জনতা, ছূঁচের মতন তীক্ষ্ণ বেরিয়ে থাকা পাথর যেন যে কোন জীবিত প্রানকেই সতর্ক করতে ব্যস্ত - 'এটা তোমার এলাকা নয়।' এমন পথে চলার সময় কেমন অনুভূতি হয় তা কি লিখে বোঝানো যায়! আপনারা বরং ছবি আর ভিডিও দেখুন।









    নাকো পেরিয়ে খানিক পরে এল বিখ্যাত (নাকি কুখ্যাত?) মাল্লিং নাল্লা, 'World's most treacherous road' লেখা বোর্ড পেরোলাম, শুরু হল চিলতে সরু রাস্তা, ঢিপঢিপে বুকে পেরোচ্ছি, পাশে মোটা পুরু বরফ জমে আছে, যত গরম বাড়বে, এই দেওয়াল গলে গলে জলের স্রোত বইবে রাস্তা দিয়ে, বাড়বে ধ্বস নামার সম্ভাবনা। নিজেরা এই রাস্তার ভিডিও তোলা হয়নি, ইউটিউবে খুঁজে পেলাম কৌতুহলীদের দেখানোর জন্যে।



    বিনোদ (অশোকের সেই বন্ধু) ভারি ভালো গল্প করতে পারে। সে ভীষণ অ্যাডভেঞ্চারাস, এই যে আমরা আশেপাশের পাহাড় পর্বত দেখতে দেখতে যাচ্ছি, সে সেইসব ডিঙ্গিয়ে ট্রেক করে দেখে এসেছে অপরূপ সব পার্বত্য গ্রাম; একবার তো ধকলের চোটে এক গ্রামে পৌঁছে সে দুদিন পড়ে ছিল, ওঠার শক্তি ছিলনা; যখনই কোন পর্বতারোহী দলের সাথে আলাপ হয় সুযোগ বুঝে সে তাদের সাথে জুটে যায়। তার অভিজ্ঞতার ভাঁড়ারে উত্তেজক গল্পের শেষ নেই। হিমাচলীদের সহজ সরল জীবনের কথাও সে শোনাচ্ছিল, তাদের প্রচুর উদবৃত্ত পয়সা নেই, শপিং মল নেই, ঝাঁ চকচকে গ্ল্যামার নেই, কিন্তু মূল্যবোধটুকু আছে। এখানে কেউ কখনো মেয়েদের সম্মানহানি করার কথা ভাবতেও পারেনা, তারা নাকি মেয়েদেরকে মাথায় করে রাখে, মেয়ে জন্মালে খুশির হাওয়া বয়ে যায় পাড়ায়। এই যে আমি কদিন ধরে সম্পূর্ণ অচেনা লোকার গাড়িতে শুনশান নির্জন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছি, অথচ এই আমিই শহরাঞ্চলে একটু রাতের দিকে আধ ঘন্টার জন্য ক্যাব নিলেও অ-কে গাড়ির নম্বর মেসেজ করি। পরিবেশ এর তফাতে কি মানুষের মানুষকে বিশ্বাস করার ক্ষমতা পাল্টে যায়? কি জানি! নাকি এটা এই কিন্নরীদের হিমাচলীদের মানুষকে আপন করে নেয়ার ক্ষমতা!

    কোন কারণে বিনোদ দিল্লীওয়ালাদের ওপর মহা খচা। সে একটা গল্পও শোনাল। একবার এখানেই চারজনের এক দল ট্রেকিংয়ে গেছিল, বিপদশঙ্কুল অভিযান; ভাগ্যদেবীর সহায়তা না থাকায় কিভাবে পড়ে যায় দুজন, একজন তক্ষুনি মারা যায়, আরেকজনের চলার ক্ষমতা নেই। তাদের ফেলে বাকি দুই দিল্লিওয়ালা ওখান থেকেই ফেরার চেষ্টা করে, ফেরার সময় উদ্ধারকারী দলের সাথে তাদের সাক্ষাৎ, তাদের সাহায্যে বেঁচে যায় তারা, ফিরে আসে, কিন্তু ভুলেও বাকি দুই সংগীর কথা উল্লেখ করেনা; সঙ্গীদের মৃতদেহ অনেক পরে অন্য এক দল খুঁজে পায়, না খেতে পেয়ে ঠান্ডায় আহত লোকটিও ততদিনে মারা গেছে!





    গল্পে গল্পে আমরা নেমে এসেছি আবার স্পিতির লেভেলে। গুটি গুটি ছোট ছোট গাছেরা আবার হাজির। এসে গেলো সুমদো, এখানে চীন থেকে আসা পারছু নদী মিশেছে স্পিতি তে, চীনারা নাকি ওদিকে বাঁধ দিয়ে রেখেছে তাই; সেই বাঁধের জল হুড়হুড়িয়ে ছেড়ে দিলে জেলা কে জেলা ভেসে যাবে বন্যায়। স্পেশাল পারমিট করিয়ে এনে এখানে খানিক দূরে বর্ডার এরিয়ায় ঘুরে আসা যায়, চীনের দিকে তারা ভালো রাস্তা বানিয়েছে, যুদ্ধ বাঁধলে যদি দরকার পড়ে! ভারত সরকারও এইদিকে রাস্তা চওড়া করছে, জায়গায় জায়গায় পাহাড় ফুঁটো করার মেশিন, কাজ চলছে। সুমদোয় খানিক এদিক ওদিক ঘুরতে গেলাম, ঘুরবো কি! পুলিস পোস্টের লোকজনের টয়লেট নদীর ধারটা! গাড়িতে উঠলাম, গাড়ি এবার ঢুকলো লাহল-স্পিতিতে, ভারতের জনবিরলতম জেলায়, যার গড় উচ্চতাই ১৪০০০ ফুট!
  • পুপে | 120.5.74.115 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৪৫686785
  • লেখাটায় ভিডিও টা ঠিকঠাক আসেনি। এইখানে লিঙ্ক দিলাম -
  • জিও | 132.177.250.201 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:০৯686787
  • জমে গেছে। পুপে, ফেসবুকের মেসেজ বাক্সো দেখবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন