এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আইটি-তে ইউনিয়ন নিয়ে কি মত?

    Arjit
    অন্যান্য | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ | ৭৪৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arjit | 128.240.229.3 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৪:৪৬695885
  • ইউনিয়নের নামে আমরা (অধিকাংশ) ভয় পাই (আমি পাই না যদিও), অথচ এর প্রয়োজনীয়তাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা অনেকের আইটি কোম্পানীতে কাজ করেছি, ভিতরের অনেক খবর রাখি, এবং আমার অন্তত মুখ ফুটে বলতে অসুবিধা নেই যে মাইনে বেশি হলেও তার জন্যে অনেক দাম দিতে হয়। অনেক বাংলা বেআইনী জিনিস চলে আইটি কোম্পানীগুলোতে - ওয়ানওয়ে বণ্ড, মার্কশীট বন্ধকি, আট ঘন্টার জায়গায় পনেরো-ষোল ঘন্টা মজুরি খাটা ইত্যাদি ইত্যাদি।

    অ্যাসোসিয়েশন তৈরী হলে ভালো হবে? না খারাপ হবে?

    আমি শুধু সুতো খুলে দিলাম, চালাও এবার।
  • J | 160.62.4.10 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:১৪695944
  • সপক্ষে।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:১৬695955
  • আইটিতে আছি পঁচিশ বছর। তবে আইটি কোম্পানিতে নয়। প্রথম ফোর্থ জেনারেশন মিনি পরিবেশে শুরু। তখন থেকে দুটো ব্যাপার খুব পীড়া দিত :
    ১) আমাদের সকলকে অফিসার করে দেওয়া হলো। ফলে ইউনিয়ানের বাইরে।
    ২) কাজের ঘন্টার কোনো মা-বাপ নেই। গ্যাসটা খাওয়ানো হতো এই বলে যে - তোমরা ভাগ্যবান, আধুনিকতম প্রযুক্তিতে কাজের সুযোগ পেলে। কজন পায় এ সুযোগ? খাটো, আরও খাটো।
    আমি চিরকালই গেঁড়ে। ফলে গ্যাস হজম হতো না। কিন্তু কীই বা করতে পারতাম, সময় মতো আসা আর মোটামুটি সময় মতো যাওয়া। অন্যদের উদ্বুদ্ধ করতে পারিনি। মাঝখান থেকে negetive বলে নাম কিনেছি। তার যা যা ফল কর্পোরেটে হতে পারে তা আজও ভুগছি। বদলি, কম ইনক্রিমেন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি.......। তবে আমি এটা উপভোগ করেছি। আমার সহকর্মীরা জানে যে তারা গুণগত মানে আমার চেয়ে কম, কিন্তু পদে উপরে। তারা এখন স্বীকার করে আমিই ঠিক।
    আর আইটি-আইটি বলে যে হাওয়াটা তোলা হচ্ছে এটা নাকি হাসপাতাল, জল, হরিণঘাটার মত ""অত্যাবশ্যকীয়"" সেক্টর!!! তা সেসব জায়গায় তো সেই লোমপাদ মুনির আমল থেকেই ইউনিয়ান বেশ জবরদস্ত। সে বেলা? আর তাছাড়া আইটি হঠাৎ ""অত্যাবশ্যকীয়"" কেনো তা বোঝা গেলো না।
    আইটির ট্রেড ইউনিয়ানের প্রথম দাবী হওয়া উচিৎ কাজের ঘন্টা কমানো।

  • dam | 202.54.214.198 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:২৩695966
  • দূর মশাই, ঘন্টা কমাবে কি? খাতায় কলমে তো ডিউটি আওয়ার্স ৮ ঘন্টা। তবে কিনা, "এক্সিকিউটিভ র‌্যাঙ্কে এরকম ঘন্টা মেপে তো আর ....." বা সমজাতীয় কিছু বলা হয়।

    লোকে যেটা বলতে পারে সেটা হল, আটঘন্টার বেশী কাজ করব না।
  • Arjit | 128.240.229.3 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:৩১695977
  • কাজের ঘন্টা নিয়ে আমার দু পয়সা দেবার আছে -

    আমার যে কাজটা ভালো লাগে তার পিছনে আমি আট কেন, দিনে কুড়ি ঘন্টাও লেগে থাকতে পারি, বেশি পয়সাও লাগবে না। এবং করেছিও। কিন্তু যখন এই সময় দেওয়াটা বাধ্যবাধকতা হয়ে ওঠে, কাজ না থাকলেও বসকে খুশি করার জন্যে রোজ রাত্তির দশটা অবধি থাকতেই হবে, অ্যাপ্রেইজাল হয় কে কতক্ষণ থাকছে তার ওপর, তখন আপত্তি ওঠে।

    সেকেণ্ডলি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে কনসালটেন্সী কোম্পানিগুলো প্রোজেক্ট পাবার জন্যে আন্ডারকাট করে কোটেশনে - এক বছরের প্রোজেক্টের জন্যে ছয় মাসের কোটেশন দেয় - ভুগতে হয় বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোকে। পরিবার বা ব্যক্তিগত সময় বলে কিছু থাকে না।
  • dam | 202.54.214.198 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:৩৭695988
  • সম্পূর্ণ একমত। তারওপর কোন কোন লোক নিজের ক্ষমতা (ট্যালেন্ট ও পাওয়ার প্রমান করার চেষ্টায়) দেখানোর জন্য ঐ ৬ মাসের কাজও ৫ বা সাড়ে ৫ মাসে শেষ করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বোঝে না যে ৩ টে সারোগেট মাদার লাগিয়ে দিলেই তো আর ৯ মাসের বদলে ৩ মাসে ডেলিভারী হয়ে যায় না।
  • J | 160.62.4.10 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:৪১695999
  • আইটির ওয়ার্ক কালচার ইউনিয়ন বিরোধী। গোড়া থেকেই তো গ্যাঁড়াকলে সায় দিয়ে চাগ্রী নিতে হয়। প্রত্যেকের এমপ্লয়মেন্ট কনট্রাক্টে গ্যাঁড়াকল। অথচ প্রত্যেকেই ভাবছে খুব ভালো অফার পেয়েছে।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:৪৪696010
  • কল্লোল - একটা সময় আসবে (আসছে) যখন গোটা মেডিক্যাল সিস্টেম, ট্রান্সপোর্ট এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যক সিস্টেমগুলো পুরোপুরি আইটির ওপর নির্ভরশীল হবে। সেটা ঠিক না ভুল সে প্রশ্ন অন্য। তবে আমরা এখন যা যা কাজ করি, সেগুলোর অধিকাংশই এই ধরণের। কাজেই এই সব ক্ষেত্রে আইটিকে অত্যাবশ্যক না বলে উপায় নেই।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:৫১696021
  • ঐ ত্তো। প্রথমেই কেস খেলে বাওয়া! মুখে বলবে না ""তোর এক্সিকিউটিভের ইয়ে তে ইয়ে"" কিন্তু কাজে করতে হবে। এটা ইউনিয়ান না থাকা অবস্থায়।
    ইউনিয়ান হলে তো বলাই যায় - এক্সিকিউটিভ তো কি? তাদের জন্য দোকানপাট কি তেরোটা অবধি খোলা থাকে? না সিনেমা হলে মিড নাইট শো দেখায়? এসব তবু ম্যানেজ হয়ে যায়। চাকরীটা করছি আমার কর্পোরেটের সাথে পেম-পিরীতির সম্পক্কো বলে নয়, পয়সা রোজগার করবো বলে। আর সেটা আমার একার জন্য নয়, আমার পরিবারের জন্য। পরিবারকে যদি সময়ই না দিতে পারি, সেটা অন্যায়। আমার মা বাবা বৌ সন্তান কেনো আমার জন্য দিনের পর দিন গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকবে? কেনো আমি প্রতিদিনের প্রয়োজন মতো অবসর পাবো না?
    তাই আমি চার ঘন্টা খাটবো, অন্য চার ঘন্টা অন্য আমি খাটবে-একই মাইনেতে।
  • J | 160.62.4.10 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:০২695886
  • আইটিতে প্রচন্ড বেশি মাইনে দেয়। টাকার লোভেই ঐ বেশি ঘন্টা গুলো কাজ করতে হয়। আর সেটাই অলিখিত আইন। ঐ এক্সট্রা ঘন্টাগুলোর মূল্য ঐ বেশি স্যালারীতেই পে করা হয়।
    আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যে যদি মাইনে কমে যায়, অনুপাতে কাজের সময়, তখন ইউনিয়ন/কর্মীরা মানতে পারবে কি?
    বেশি টাকা রোজগার করে করে, বেশি সুখে থাকা অভ্যেস হয়ে গেছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাশবইয়ে বড়ো বড়ো সংখ্যা দেখে দেখে যে তৃপ্তির অভ্যেস, দামী রেস্টুরেন্টে ডিনার করার হবি, পটাপট গাড়ী কেনা (আজকাল নাকি গাড়ী যে কেউ কিনতে পারে, খু উ উ ব সস্তা নাকি, আইটিওয়ালাদের মুখেই শোনা), দমাদ্দম রিয়েল এস্টেট কিনবার মজা, এগুলো হারিয়ে যাবে নাতো?
  • J | 160.62.4.10 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:১০695897
  • কল সেন্টার গুলোও কি আইটি? আমার ক্লীয়ার ধারণা নেই। তবে ঐ কল সেন্টারে যারা কাজ করে তাদেরো ইউনিয়ন নেই।
    দিনে (থুড়ি রাতে) ১২ ঘন্টা কাজ করে। জেনেশুনেই। চাগ্রীতে ঢুকবার সময়ে কোত্থাও তো বলে দেয়া থাকে না যে ৮ ঘন্টাই কল রিসিভ কত্তে হবে! যত বেশী খাটবে তত টাকা। স্কাই ইজ্‌ দ্য লিমিট। বায়রে কাজ কল্লে মাসে ৫ হাজার। কলসেন্টারে কল্লে ১৭ হাজার, ২০ হাজার, স্কাই অভিমুখে মাইনে বাড়ে।
    এমনও শুনেছি বলতে যে, বেশি কাজ কচ্ছে ওরা তো,কি হয়েছে। দেশ থেকে বেকারী ( পাঁউরুটি বিস্কুটের নয়) তো উঠে গেছে, মাসে ৫ হাজারী সেলস একি্‌জকিউটিভ হলে ওরা কি অতো দেল্লালী মারতে পারতো?
    এখন দামী দোকানের লেবেল মারা জামা প্যান্ট পরে। নাম পাল্টে যায় ওদের। ঐ গোরুগুলোকে ট্রেন করে ইংরিজি শেখানো, আরো কতো ট্রেনিং, এসবে খরচ কম হয় মাথা পিছু? না করলে চলে যাক। লোকের অভাব দেশে? ভাত ছড়ালে কর্মপ্রার্থীর অভাব হয় না। এসব লজিক শুনে স্তম্ভিত হয়ে যাই। হপ্তায় একটা মানুষ কতক্ষণ খাটবে তার কোনো আইন কি আছে আমাদের দেশে? নাই।
  • santanu | 80.122.170.93 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:১৫695908
  • একটা প্রশ্ন ছিল --- জানিনা যদিও যে এমন সরলীকরন করা যায় কি না ---

    দুটি Mechanical Engineer ছেলে সব এক রকম প্যরামিটার নিয়ে পাস করে একজন Production Sector এ (মানে যেখানে ১ বছরের কাজ মোটমুটি ১ বছরেই) আর অন্য জন IT Sectorjoin করলো।

    শুরু এবং শুরুর ৫ বছরের মধ্যে কি এদের Salary profile টা এক রকম হয়?? (ধরে নিলাম company টা ও এক ই পদের)

  • santanu | 80.122.170.93 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:২২695930
  • যা লেখার আগেই J সব উত্তর দিয়ে দিল। হিসেব ও বুঝিয়ে দিল। ৮ ঘন্টার মাইনে ৫০০০ টকা তার পর প্রতি ঘন্টা ৩০০০ টাকা। ১২ ঘন্টা কাজ করলে মাসে ১৭০০০ টাকা মাইনে। বল ভাই, ইউনিঅন করবি না ১২ ঘন্টা কাজ!!!
  • Arjit | 128.240.229.67 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:২২695919
  • শিবিলের উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি - সুমনা ওদের ব্যাচের একমাত্র যে শিবিলেই রয়ে গেছে, বাকি ওর বন্ধুরা সকলেই আইটিতে চলে গেছে, কেউ শুরু থেকেই, কেউ একটু পরে। সুমনা শুরু করেছিলো মনে হয় সাড়ে চার, যখন টিসিএসে (মনে রাখবে টিসিএস ভারতীয় আইটি কোম্পানীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম মাইনে দেয়) মনে হয় সাড়ে ছয়/সাত (এটা ১৯৯৭-এর কথা, এবং মাস্টার্স করার পরে)। পরে শিবিলে (বছর কয়েক পরে) দাঁড়ায় আট-দশ, টিসিএসে বিশ-বাইশ (প্লাস বাইরে গেলে সেই ডলারগুলো)।

    তোমাকে একটা আরো ক্লিয়ার উদাহরণ দিতে পারি - দিদি কম্পিউটার সায়েন্স, ম্যাঞ্চেস্টার থেকে পিএইচডি। দিদি যাদবপুরে রিডার থাকাকালীন যা মাইনে পেত, আমি টিসিএসে চার বছরের চাকরিতে তার দ্বিগুণ পেতুম (তখনো শুধু মাস্টার্স আমার)। এখন ফিরে কি হবে তা অবিশ্যি জানি না - ইনফ্যাক্ট সামনের বছর চাকরি খুঁজতে শুরু করবো যখন তখন আগে বাজারের খোঁজ নিতে হবে - বিক্কিরি করতে হবে তো, দর-কষাকষি আছে:-)
  • J | 160.62.4.10 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:২৩695939
  • শুধু বেশি ঘন্টা নয়। বছরে কদিন ছুটি নিতে পারে এরা? ছুটি নেবার কোনো আইন আছে? চাগ্রীতে প্রথম ছমাস (নাকি তিনমাস?), মানে যতদিন পার্মানেন্ট (এটাও বিতর্কিত শব্দ) হচ্ছে, কোনো ছুটি পায় না কর্মচারী।
    কোলকাতার সেক্টর ফাইভে একটা ছেলেকে নিজের বিয়ের জন্যে ছুটি চাইতে গিয়ে বিরস বদনে ফিরতে দেখেছি।
    আইটিতেতো খুব "দাদা" কালচার, খুব নাম ধরে ধরে ডাকা, খুব "তুমি তুমি" সম্বোধন সিনিয়রদের।
    তো ডিরেক্টার বলছে ছেলেটাকে,
    -এখনই বিয়ে করবি?
    তখন ছেলেটালজ্জায় পড়ে বলছে,
    - ইয়ে মানে, দাদা, মা বাবাকে আর কিছুতেই ম্যানেজ করতে পারছি না, খুব চাপ দিচ্ছে। বাবার শরীরটাও ভালো নেই, সেকেন্ড অ্যাটাক হয়ে গেছে, বিয়েটা দিয়ে দিতে চাইছেন ঐজন্যেই।
    - বুঝেছি। বিপদে ফেল্লি তো। আমার ভয় হচ্ছে তোকে যদি নেক্সট টু উইকসের মধ্যে জার্মানী যেতে হয়, মানে ক্লায়েন্ট যদি কনফার্ম করে ফ্যালে।

    ব্যাস লোভ ঢুকিয়ে দিলো মনে। বিদেশ যাত্রার লোভ।

    ছেলেটা হ্যাঁ বলবে না, না বলবে বুঝতে না পেরে বেরিয়ে এলো ঘর থেকে।

    এইসব টোপ তো থাকেই।
    সেই ছেলের বিয়ে পিছিলো অল্প। কিন্তু জার্মানীর লোভ দেখিয়ে তাকে দিয়ে বহুবহুঘন্টা এক্সট্রা খাটানো হয়েছিলো। পরে জার্মানী গ্যালো ওর ম্যানেজার। প্রজেক্টে খুব সাকসেস হয়েছে কিনা!
  • Arjit | 128.240.229.67 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:২৪695940
  • একটা কথা - এই অত্যধিক কাজের ঘন্টা কিন্তু শুধু ভারতীয় আইটি কোম্পানীতে - যথা টিসিএস, উইপ্রো...এখানে আইবিএমে আদৌ এরকম নয়, তবে আইবিএম ভারতে কি হয় আমার কোন ধারণা নেই।
  • J | 160.62.4.10 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:২৭695941
  • আইবিএম এরই গপ্পো, তবে তখন অন্য নাম ছিলো।
  • santanu | 80.122.170.93 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:২৮695942
  • তাহলে --- যে ছেলেপুলে গুলো স্রিফ বেশি খেটে বেশি কামাচ্চে, তাদের খামোকা ইউনিয়ন এর বাঁশ দিয়ে কি হবে!!

    আর অরিজিত তো IIT (আমি আশা ছাড়িনি) বা BE College এর Prof হবে, তোমার তো এই দর কষাকষি দরকার নাই।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:২৯695943
  • তাইলে এরাও ওখেনে গিয়ে একই রকম হয়ে যায়। নিশ্চয় লেবার ল-তে ফাঁক আছে, বা নেইই। আমার কোন আইনী ধারণা নেই, কাজেই বলতে পারছি না। শুধু ওই বণ্ডটা বেআইনী এটা আমাকে একজন আইনজ্ঞ বলেছিলেন।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:৩৩695945
  • এখান থেকে কি অ্যাকাডেমিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট হয় রে ভাই? ওটা মনে হয় (যতদূর বুঝলুম) গিয়ে খুঁজতে হবে। কিসব নিয়ম আছে - পোস্ট খালি হবে, বিজ্ঞাপন বেরোবে, তাপ্পর তার এগেনস্টে অ্যাপ্লি নেবে - সেখানে একজিস্টিং লেকচারার/রিডার সকলেই অ্যাপ্লাই করতে পারে...তার আগে খেয়েপরে থাকতে হলে একটা স্টপগ্যাপ কিছু চাই।
  • J | 160.62.4.10 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:৪৬695946
  • এক ডিরেক্টার ছিলো। নামটা বলব না, সারা ভারতে আইটি সেক্টরে তার নাম জানে লোকে। ধরা যাক ড্যাশ তার নাম। তো সেই ড্যাশদার অফিসে কোনো হায়ারার্খি নেই। ড্যাশদা ইজ অলওয়েজ অ্যাপ্রোচেবল। যে কেউ নাকি হুট করে ড্যাশদার ঘরে ঢুকে যেতে পারে। খুব ভালো কথা।
    একদল ছেলেকে পাঠানো হয়েছে মধ্যপ্রদেশ(কিম্বা ছত্তিসগড়ে)। এ রিমোট ফ্যাক্টরীতে। কয়েকশো মাইলের মধ্যে আমিষ খায় না কেউ। টানা তিনমাস। কোনো এন্টারটেনমেন্ট নেই। ফলে ছেলেগুলো শনি রবি, দিনে রাতে শুধু খাটে , শুধুই প্লান্ট সংলগ্ন অফিসে বসে বসে কোডিং করে, কনফিগারেশান করে, হাল্কা হাল্কা ইন্টারনেটও করে। তবে কানেকশান খুব স্লো।
    তিনমাস পরে প্রথম যে ছেলেটা ফিরেছে, .. বলা হয় নি প্রোজেক্ট হাইলি সাকসেসফুল, ক্লায়েন্ট খুব খুশী, বাকি ছেলেগুলো আরো কদিন থাকবে, তো ছেলেটা যেই অফিসে ঢুকে সেই বিরাট হলঘরের মতো কাজের জায়গাটায় এসেছে, আমার পাশ দিয়ে হন্‌হন্‌ করে ড্যাশ দা এগিয়ে গিয়ে ছেলেটাকে চেঁচিয়ে বললেন, - দূর হ! এক্ষুনি দূর হ!

    সবাই হতবাক! কেউ কেসটা ধরতে পারছে না। সরাসরি তাকিয়ে দেখবার সাহস অনেকেরই নেই, কিন্তু কম্প্যুটারের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে সবার কান চতুষ্পদদের মতো বেঁকে যাচ্ছে ব্যাপারটা শুনবার জন্যে।
    ছেলেটা থতোমতো। কী ভুল করলাম রে বাবা!

    ড্যাশদা - তোর লজ্জা করে না! এখন অফিসে এসেছিস!

    ছেলেটা - (মুখের হাসি শুকিয়ে)ইয়ে মানে ড্যাশদা, প্রোজেক্ট শেষ হয়ে গেল পরশু। পরশু রাতেই রওনা হয়েছি। তারপরে কালকের রাতের ফ্লাইটে.....

    ড্যাশদা - দূর হ! টানা তিনমাস এত খেটে, আবার আজই এসেছিস? এক্ষুনি তোকে বের করে দেবো!

    ছেলেটা কৃতজ্ঞতায় কেন্দে ফ্যালে।

    ড্যাশদা - এক্ষুনি বাড়ী যা। আজ রেস্ট নে। কাল আসবি।

    ছেলেটা নীচে নেমে এসে সবাইকে বলে বেড়ায়, ড্যাশদা কী ভালো! ড্যাশদা কী ভালো! কি কি কথা হলো, পুরো ডায়ালগ সহ।

    আমি নাটকটা গোড়া থেকেই দেখেছিলাম।

    এরা কোনোদিন ছুটি নিত না। সবাই ছিলো ড্যাশদার একান্ত অনুগত।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:৫৮695947
  • অর্থাৎ যারা হাসপাতাল, জল, হরিণঘাটার সাথে যুক্ত আইটিতে কাজ করবে - তারা "অত্যাবশ্যকীয়""। বাদ বাকিরা? যারা ট্রান্সপোর্ট, জুতো তৈরী, ইস্পাত তৈরী ................র আইটিতে তারা কোন যুক্তিতে "অত্যাবশ্যকীয়"" হবেন??

    আর, "পুরোপুরি আইটির উপর নির্ভরশীল" মানে ? হয় প্রত্যেক কর্পোরেটের নিজের আইটি ডিভিশন/ডিপার্টমেন্ট আছে, অথবা তার কিছু/অনেক/সব কাজ outsourced হয়ে একটা/কয়েকটা/অনেক shared service-এ ভাগ করা। কিন্তু কাজটা অত্যাবশ্যক কি না তা ঠিক হয় যে কাজ করা হচ্ছে তার ওপর। সে তো চিরকালই আছে - হাসপাতাল, জল, হরিণঘাটা, বিদ্যুত.....। তাতেও তো ইউনিয়ান সেই কবে-এ-এ-এ-এ-এ থেকে। সেখানে ইউনিয়ান বন্ধ হচ্ছে কি? নাআআআ বোধহয়।

    জ-এর পরের পোস্টটায় একপিস কোচ্চেন অব দ্য কোচ্চেন করেছে - কল সেন্টার, শেয়ার্ড সার্ভিস সেন্টারগুলো কি আদৌ আইটি? ওরা তো মূলত: স্টোর করা ইনে্‌ফা খুঁজে দেয় (কল সেন্টার) যা আগে পি এ রা করতো। ওরা ডেটা স্টোর করে না, মেন্টেন করে না, রিপোর্ট তৈরীও করে না। রিপোর্ট-টা ভিয়ু করে মাত্র। এইডা আইটি? তবে যে শুধু ওয়ার্ডে চিঠি টাইপ করে সেও আইটি।
    আর, শেয়ার্ড সার্ভিস? সে তো প্রাচীন যুগের ডেটা এϾট্র-প্রসেসিং সেন্টার। তার অত্যাবশ্যকীয়তা নির্ভর করে সে কার কাজ করছে তার উপর।

    জ-এর আগের পোস্টটা মাইনে নিয়ে। পাগোল, মাইনে কি কেউ মুখ দেখে দেয়? না তোর থেকে যে কাজ পাবে তার চেয়ে বেশী দেয়? ঐ সব পাসবইতে সংখ্যা দেখা, দর্জির লেবেলটা জামা বা প্যান্টের বাইরের দিকে লাগানো পোষাক, ঝাঁ চকচকে রেস্টুরেন্টে খাওয়া ও সব ওব্যেশ। পাল্টানো যায়। বেশ সহজেই যায়, শুধু কিসের জন্য পাল্টাবো সেটার জোর থাকলেই হয়। আমাদের প্রিয়জনেদের জন্য।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:১২695948
  • উদাহরণ দিই -

    আপনার বুকে পেসমেকার আছে। আপনি পার্কে হাওয়া খেতে গেছেন, আপনার বাড়ি থেকে একটু দূরে। হঠাৎ আপনার হার্ট অ্যাটাক হল। আপনার পেসমেকার সেটা ডিটেক্ট করলো, আপনার পকেটের মোবাইল পেসমেকার থেকে সিগন্যাল রিসিভ করলো, এবং একটা এমার্জেন্সী সিগন্যাল ট্রান্সমিট করলো। আপনার সবচেয়ে কাছের হাসপাতাল বা এমার্জেন্সী সার্ভিস সেই সিগন্যাল পেয়ে তুরন্ত একটা অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দিলো, যারা আপনার মোবাইলের RFID দিয়ে আপনাকে খুঁজে বের করে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। আপনি কিন্তু আগে এই হাসপাতালে কখনো যাননি, সদ্যই ওই এলাকায় 'মুভ' করেছেন। কিন্তু সেই আপনার মোবাইলের RFID থেকে আপনার ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন (LSID জাতীয় কিছু) বের করে সেটা ব্যবহার করে আপনার মেডিকেল ডেটা কোথায় আছে তা হাসপাতাল জেনে, সেখান থেকে আপনার মেডিকেল রেকর্ড বের করে দেখে ফেলেছে যে আপনার ডায়াবিটিস আছে, সালফারে অ্যালার্জী আছে - আপনার পুরো মেডিকেল হিস্টরি তাদের হাতে - সেই মতন তারা ব্যবস্থা নেবে...

    শুনতে সায়েন্সফিকশন - কিন্তু eScience রিসার্চ অলরেডি অনেকদূর এগিয়ে গেছে এতে। পুরো ব্যাপারটা করতে এবং চালু রাখতে যে আইটি সাপোর্ট সিস্টেম - সেটা অত্যাবশ্যক নয়?

    আমি কিন্তু অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষেই - এবং এতে ধর্মঘট হবে না এরকম নিয়মের কোন যুক্তি দেখি না। ইংল্যাণ্ডে তো ফায়ারব্রিগেডেরও স্ট্রাইক হয়। শুধু বলছিলুম অত্যাবশ্যক কি না।
  • J | 160.62.4.10 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:১৭695949
  • আরো দুটো অপ্রিয় কথা বলি।

    আইটিতে কাজ করতে কোনো আহামরি প্রতিভা বা জ্ঞানের দরকার হয় না। মোটামুটি বিএসসি বা বিএ পাশ থাকলে, বা হায়ার সেকেন্ডারী পাশ করা থাকলেও আইটিতে কাজ করা যায়। ইঞ্জিনীয়ারীং পড়বার দরকার নেই। দু একটা ট্রেনিং লাগে। কাজ কত্তে কত্তে আরো কাজ শেখা হয়।
    কিন্তু আমাদের কিনা প্রচুর শিক্ষিত জনসংখ্যার চাগ্রী চাই, তাই বেশি টাকার লোভে আইটিতে হুড়হুড়িয়ে লোক ঢোকে।
    কাল যদি মুচির কাজে সবচেয়ে বেশী স্যালারী থাকে, তাহলে ক্লাস টেন এর ফার্স্ট বয় নিজের ইন্টারভিউতে বলবে- বড়ো হয়ে মুচি হতে চাই।

    এখানেও তাই। অ্যাটলিস্ট গত ১৫-২০ বছর ধরে এই সেক্টরে খুব ভালো মাইনে। টপাটপ বিদেশ যাওয়া যায়। স্মার্টনেস ও বাড়ে। দামী ড্রেস পরে আর দামী হোটেলে কোম্পানীর পয়সায় থাকতে পেরে অ্যাটিটিউড ও বাড়ে। তখন ঘন্টার পর ঘন্টা কেন, সমস্ত দিনটাই আগে কেবা প্রাণ করিবেক দান স্টাইলে কোম্পানীতে উৎসর্গীকৃত থাকে।
    আরেক জিনিস তৈরী হয়, কর্মীরা অনেকেই ওয়ার্কোহলিক হয়ে পড়ে। এতে প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে না। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা কাজের অ্যাটমসফেয়ারে থাকাটা অভ্যেশ তথা ওয়ার্ক কালচারে ঢুকে পরে। ১০ ঘন্টার কম অফিসে থাকলে তার দুর্নাম হতে পারে। অথচ, কোনো কাজ না করেও জাস্ট থেকে যাওয়াটা মোর অ্যাপ্রিশিয়েটেড।
    আবার খুব বেশি রাত করে অফিস থেকে ফিরলে, ফিরবার আগে টুক করে একটা মেল করে দিয়ে, সেই মেলের টাইমস্ট্যাম্পটাকে নিজের টাইম স্ট্যাম্পিং এর সাক্ষী স্বরূপ রেখে দেয় অনেকে। একটাই আশা। আরো টাকা। আরো টাকা। ওভারটিমের কনসেপ্ট নেই, তাই ঐ সব দেখিয়ে আনুগত্য ভক্তি ইত্যাদির দ্বারা প্রভাবিত করে, "দাদা" কে খুশী করে যদি আরেকটু মাইনে বাড়ে, শুধু সেই লোভে ঐ নির্লজ্জের মতো মেল গুলো করা হয়।
    "দাদা" ও বোঝে, সবায় বোঝে।
    ১৭ হাজারের চাকরি যদি দুজনকে ভাগ করে সাড়ে আট সাড়ে আট করে মাইনে দিয়ে ১২ ঘন্টার বদলে ৮+৮=১৬ ঘন্টা দুজনকে দিয়ে কাজ করানো হয় তাতে ক্ষতো কোথায়?
    একটা ছেলে ১২ ঘন্টা ফ্রুটফুল কাজ করতে পারে না। তার ফেটিগ আসবেই। সে অন্যমনস্ক হবেই। সে ভান করে যাবে। তার প্রোডাক্টিভিটির অবনয়ন হতে বাধ্য। তার বিশ্রামের দরকার। শারিরীক ও মানসিক।
    কিন্তু সে ইউনিয়নে জয়েন করতে চাইবে না।
    ধরে নিচ্ছি টাকার পরিমানটা অপরিবর্তিত।
    দুজনে কাজ করলে, মাইনে হাফ হয়ে যাচ্ছে।
    এখানেই আপত্তি তুলবে ঐ কর্মীটি।
    সে টাকার স্বাদ পেয়ে গেছে। বেশী টাকার স্বাদ। এখন সে পড়িমরি করেও ঐ টাকার অঙ্কটা খোয়াতে চাইবে না। চাইকি তাতে তার সমস্ত ছুটি উচ্ছন্নে যাক।
    ৮হাজারী কেরানী হয়ে গেলে তার আর তেমন দেল্লালী দেখাবার সে্‌ক্‌পা থাকবে না।
    গ্যাঁড়া কলটা এখানেও।
    কোম্পানীর কর্মকর্তারা হিউম্যান রিসোর্স এরা এসব জানে।
    পাশের বাড়ীর নন আইটি সেক্টরের ছেলেটির তুলনায়, এবাড়ীর আইটি কর্মরত ছেলেটির যেন ফিল গুড অ্যাটিটিড থাকে।
    ড্যাশদারা সবস্তরেই আছে। সেন্টিমেন্ট বুঝে খেলবার জন্যে।

  • J | 160.62.4.10 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:২১695950
  • কল্লোলদার লাস্ট প্যারাগ্রাফটা আমি নিজে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।
  • r | 61.95.167.91 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:২৯695951
  • ইউনিয়ন ইউনিয়ন করে হেদিয়ে মল্লেই কি হবে? সিটুর নেতারা ইউনিয়ন বানিয়েছেন যাদের নিজেদের এই শিল্প সম্পোক্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। নিজে জানি বলে বলছি। ইউনিয়ন তো হয় সেই শিল্পের শ্রমিকদের নিয়ে। সেই সব আই টি শ্রমিকেরা কি আদৌ ইউনিয়ন চায়? যতক্ষণ সেই শ্রমিকেরা নিজের থেকে না চাইবে, ততক্ষণ সবই হাইপোথেটিকাল। য ঠিক কথা বলেছে। মুদ্রারাক্ষস সবাইরে নাচায়। "আমাদের প্রিয়জনদের" সাথে দেনাপাওনার হিসেবটাও যে এখন ঠি সেইরকম নেই রে দাদা! গড়পড়তা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তাই দেখছি। কাজেই পয়সা নেবে, মুখ বুঁজে খাটবে, না পোষলে চাকরি ছেড়ে দেবে। এই হল গে আজকের গপ্পো। আজকের বাজার যা তাতে একটা মিনিমাম দেড়গুনা চাকরি জোগাড় করতে একমাসও লাগে না। এই সব ছেড়ে কে ইউনিয়নের হুজ্জতিতে যাবে রে ভাই? কে আর "সহজে পাল্টালো"? এক শতাংশ? তাই দিয়ে ইউনিয়ন? ঘুড়াতেও হাসব।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:৩৭695952
  • কিন্তু তাহলে টিসিএস জাতীয় কোম্পানিগুলোতে যে এক্সপ্লয়েটেশন চলে সেগুলো থেকেই যাবে। তবে এটাও ঠিক - আইটিতে চাকরি-করা অধিকাংশ লোকের কিসু যায় আসে না। আবার জনতার চাপে পড়লে মার্কশিট বন্ধকির মতন দাবীও পাল্টে যায় সেটা আমার নিজে চোখে দেখা - সেই টিসিএসেই।
  • r | 61.95.167.91 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:৪৫695953
  • যে এক্সপ্লয়টেড হয় তাকে বোঝালেও কি বুঝবে এইটা এক্সপ্লয়েটেশন? যদি মেজরিটি ভাবে যে তারা সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে আছে, তাহলে উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া ইউনিয়নের কি অর্থ আমি বুঝি না। আরও একটা ব্যাপার আছে। আই টি সেক্টরে নেগোসিয়েশনের জায়গাটা অনেক বেশি খোলা অন্য যে কোনো শিল্পের থেকে। কাজেই দশটা ছেলের মধ্যে সাতটা ছেলে যদি নেগোশিয়েট করে নিজের প্রাপ্য পেয়ে যায়, বাকি তিনজনকে নিয়ে কোম্পানীর ছেঁড়া গেছে। এই বাকি তিনজন আবার অন্য কোম্পানীতে ঢুকে নেগোসিয়েশন শুরু করবে। পুরো বাজারে যোগানের থেকে চাহিদা অনেক অনেক বেশি। কাজেই সেলার্স মার্কেটে কিসের শোষণ, কিসের কি?
  • Arjit | 128.240.229.67 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:৫১695954
  • বোঝে না - এটা ঠিক, এবং এটাই সমস্যা। তবে ইউনিয়ন হোক না - অ্যাসোসিয়েশন তৈরী একটা রাইট - যার ইচ্ছে সে করবে, যার ইচ্ছে নয় সে করবে না - মিটে গেলো। তবে, আস্তে আস্তে চোখ খুলবে আশা করি।
  • J | 160.62.4.10 | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:৫৭695956
  • ইউনিয়ন হয়ত আসবে। তবে এখন নয়। তার ঢের দেরী। ঢের ঢের দেরী। অপ্রয়োজনে কিছু আসে না।
    স্পন্ডিলোসিস ( ভুল লিখলাম বোধয়)হওয়ার পরেই সেই বেঁটে মিনিবাস গুলো উঠিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
    আইটি সেভাবে এসেছে বড়োজোর ১৫ বছর। কর্মীদের উপযুক্ত বিশ্রামের অধিকার ইত্যাদি না দেবার কুফলগুলো টের পেতে পেতে আরো ১০ বছর লাগবে। জমির দাম আরো বাড়বে। হুট বলতেই ফ্ল্যাট কিনে ফেলতে যখন ঐ উঁচু স্যালারীতেও কুলোবে না, অথচ সংসারে অসন্তোষের দানা বেড়ে বেড়ে ইঁটের সাইজের হবে।
    পশ্চিমে দেখেছি বেশী কেজো লোকেরা সংসার করে না। অফিস বাড়ী ঘুম অফিস রস্টুরেন্ট বাড়ী। মধ্যের ঐ বাড়ীটা জাস্ট ঘুমোনোর জন্যে বা তরচেয়ে একটু বেশী। তাই সিঙ্গলদের চাকরীর বাজারে দর বেশী। কোনো কমিটমেন্ট টু ফ্যামিলি লাইফ নেই। বৌএর সঙ্গে রন্দেভ্যু নেই, মেটারনিটি লীভ নেই, স্কুল ভেকেশানের টাইমে ছুটি নেয়া নেই, এরা অনেক বেশি "ফ্লেক্সিবিল"। এখন দেশেও আস্তে আস্তে সেই ঢেউ আসছে।
    টাকা কামাবো। এনজয় করবো। আরেকটু এনজয় করব। সংসার করতেও পারি। তবে বাচ্চাকাচ্চা আরেকটু দেরীতে। ফলে ওয়ার্কিং আওয়ার্স আরো ফ্লেক্সিবিল। আরো বেশী কম্প্রোমাইজ।
    অসন্তোষ যদি না থাকে, তবে ইউনিয়ন কেন?
    আবার স্বাধীনতা যে দেখেনি, সে স্বাধীনতার অভাব বুঝবে কেমন করে?
    সে জানে ১৪ঘন্টাই খাটতে হয় দিনে। শনিবারও আসতে হয়। রবিবার এলেও ড্যাশদা খুশী হতে পারে।
    সপ্তাহে ৪০ ঘন্টার বেশী কাজ করা তো বে আইনী নয়!
    সন্ধ্যে আটটার পরে কাজ করালে যে ওভারটাইম হয়, সেটাও তো দেশের আইন নয়।
    সপ্তাহে ৫০ ঘন্টার বেশী কাজ ও ওভারটাইম মিলিয়ে যে করা বেআইনী, সেটা? সেরম আইন আছে কি আদৌ?
    টানা দশদিন যে কাউকে কাজ করানো যায় না? প্রতি ৫ ঘন্টা কাজের পর যে অন্তত: ৩০ মিনিটের ব্রেক চাইই চাই।
    এসব আইনই নেই তো আইনকে ফাঁকি দিচ্ছে কে?
    আমার ধারণা, আজ বেশী টাকা ফাঁকগুলোকে কম্পেনসেট কলে দিচ্ছে। যেদিন টাকা আর ঐ ফাঁঅকগুলোকে কম্পেনসেট করতে পারবে না। সেদিন আইটি জনতা ইউনিয়ন চাইবে নিজেদের তাগিদে।
    তার আগে জোর করে চাপাতে চাইলে আরো বেশী দলাদলি ভাগাভাগি হবে। তারপরে সেই রিডাকশিও অ্যাড্যাবসার্ডম করে প্রমাণ হয়ে যাবে, ইউনিয়নটাই ভুল ছিলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন