এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আইটি-তে ইউনিয়ন নিয়ে কি মত?

    Arjit
    অন্যান্য | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ | ৭৪৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 89.168.18.114 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০০:৩১695990
  • সায়ন্তন, ঋজু, ব এবং আরও যারা যারা ভারতীয় ইটশিল্পে কাজ করো পটাপট্‌ ব্যালটপেপার ফেলে দাও। গরমাগরম হাইপোথেসিস টেস্টিং হয়ে যাক।
  • Samik | 125.23.114.146 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০০:৩৪695991
  • ছ বছরের অনেক গল্প। সব লিখলে আত্মজীবনীতে কী লিখব?

    তবে স্লো ডাউনের মার্কেটে কাজ করেছি বলেই ব্যাপারটাকে একটু অন্যভাবে দেখি। সব সময়ে বড় গাছেই নৌকো বাঁধি। বড় গাছে কিছু পরজীবী কিছু শুঁয়োপোকা থাকবেই। তাই বলে ইউনিয়ন করতে হবে? কোনও দরকার নেই। এই বেশ ভাল আছি। ইউনিয়ন বিনা মনে কোনও অভাববোধ কোনও দূ:খ নেই।
  • dam | 61.246.18.121 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০০:৩৭695992
  • ICICI ব্যাঙ্ক আইটির লোকেদের হোম লোনের জন্য কি যেন একটা স্কীম করেছে। তাতে ক্রেতার ক্যাপাবিলিতির থেকেও ঢের বেশী লোন দেওয়া হয় এই ধরে নিয়ে যে আগামী দুই বছরে তার মাইনে বেড়ে সেই ক্ষমতায় পৌঁছে যাবে। এই প্রথম দুই বছর তার EMI অনেক কম থাকে।

    তবে মাইনেবৃদ্ধি আস্তে আস্তে স্যাচুরেটেড হয়ে আসছে। আর পেনশান নেই বলে এবং রিয়েল এস্টেটের মার নেই বলে বুদ্ধিমান ছেলেপুলেরা এখন সব রিয়েল এস্টেটে ইনভেস্ট করে। pre-sell launching এর সময় কিনে sell এর সময় বেচে দিয়ে দিব্বি ৪-১০ লাখ পর্যন্ত রোজগার করে। পারফরমেন্স বোনাসটা পেলেই চটপট জমি বা ফ্ল্যাট কিছু একটা বুক করে ফ্যালে, তারপর পরের বছর বিক্রি করে সেবারের বোনাসের সাথে যোগ করে আরো দামী একটা বুক করে।
  • Ishan | 130.36.62.140 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০১:১২695993
  • আমার একটা বেসিক কোচ্চেন আছে, আইটি তে ইউনিয়ন হলে কাদের নিয়ে ইউইয়ন হবে? মানে শ্রমিক কে আর ম্যানেজমেন্টই বা কে? কাদের নিয়ে সংগঠন আর কি তার অ্যাজেন্ডা?
  • Samik | 125.23.114.146 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০১:১৫695994
  • এ বড় কঠিন পিরামিড। টেবিলটাই পষ্ট নয় তো টেবিলের এ পার আর ওপার।
  • J | 84.73.112.225 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০১:৩০695995
  • একটা জিনিস ক্লীয়ার হলো না। সপ্তাহে গড়ে কতঘন্টা কাজ করতে হবে, বা বেশী ঘন্টা কাজ করতে হলে যদি সেটা কম্পেনসেট করার কিছু না থেকে থাকে, সে নিয়ে কি কোনো আইন আছে?
    কাজের চাপ মানে প্রোজেক্ট ডেলিভারীর চাপ, এসব তো বোঝা গেল, কিন্তু তার জন্যে ওভারটাইম মারা যাবে কেন?
    গড়পরতা স্বাভাবিক জীবন যাপন বলতে যা বোঝা যেত (পাস্টটেন্সে লিখছি, এখন জীবন যাপন অন্যরকম হয়েছে নিশ্চয়ই) তাতে তো একটা লোক দিনেরবেলা কাজে যায়, আর সন্ধ্যেবেলা সংসারে বা নিজের ঘরে ফিরে আসে, বিশ্রাম করে, পরিবারের সকলের সঙ্গে কাটায়, বাড়ীর কাজ করে, বিনোদনও করে, এরকমটাই জানতাম। সেটা কি উঠে গেছে?
    মানে উঠে গেলেও কারোর কিছু এসে যাচ্ছে না?
    তবে এত রোজগারের দরকার কী? যদি জেগে থাকবার পুরো সময়টাই অফিসে কাটাতে হয়?
    মানুষের লাইফস্প্যান আগের তুলনায় হয়ত বেড়েছে কিছুটা। তবে কি এই সময়গুলো রিটায়ারমেন্টের পরের জন্যে তুলে রাখতে হবে?
    বাচ্চাকাচ্চারা সারাদিন ক্রেশ বা ইস্কুল থেকে ফিরে এসে বাপ মা এর সঙ্গ পাবে না। তারা ঘুমিয়ে পড়বে তারপরে বাপমা রোজগার করে ফিরবে?
    নি:সন্দেহে লাইফস্টাইলের আমূল পরিবর্তন। হয়ত জমানা এটাতেই বিশ্বাসী।
    নন আইটি ফিল্ডেও এই একই ঘটনা, ঐজন্যেই কলসেন্টারের উপমা দিয়েছিলাম। নন আইটিতে আবার আয় ও কম। আইটির তুলনায় খুবই কম। তাই সেটাকে এক্সপ্লয়টেশান বলতে বাধবে না।
    কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, টাকাই কি সব?
    উত্তর হচ্ছে টাকা খুব দরকারী জিনিস।
    মানলাম।
    কিন্তু কতটা টাকা খুব দরকারী? কোনো আপার লিমিট তো নেই।
    ঠিক কতটুকু রোজগার করলে অফিস ও সংসারের মধ্যে সময়ের ভারসাম্য থাকবে সে নিয়ে কজন ভাবে? বা তার প্রয়োজনীয়তা কজনের আছে?
    যা বুঝলাম আইটির চাকরী বাজারে অঢেল। তবু দেশে বেকার টেকার ও একেবারে নেই সেটা ঠিক নয়। নাহয় একটু কম শিক্ষিত ঐ বেকারদের আইটিতে অল্প কম মাইনেয় ঢোকানো হোলো। সবই হাইপোথেসিস। কিন্তু তাতে তো কিছু চাপ কমে কাজের। মোটামুটি ওয়ার্কিং আওয়ারের একটা ব্যালেন্স থাকে। নাহয় সেই কম শিক্ষিতদের বিদেশ যাবার অপশান থাকবে না। চাগ্রী তো পাবে। করে তো খাবে। আর উচ্চশিক্ষিতদের মাইনে যদি সামান্য কমিয়ে একটু আগে আগে বাড়ী ফিরতে দেওয়া হয়, এই চিন্তাকি খুবই অমূলক?
    কেউই নিজের স্যালারী বা জমি ছেড়ে দিতে চায় না। কিন্তু ওয়ার্কিং আওয়ারের একটা ন্যূনতম আইনও যদি থাকে তবে এটা বাস্তবায়িত করা হয়ত অসম্ভব নয়।
    আইটির টাকা আসে বিদেশ থেকে। কাঁচা ফরেন কারেন্সী। অন্য সেক্টরে সেটা নেই, তাই খেটে খুটেও মাইনে কম।
    কিন্তু অকটা বাঁধাধরা ওয়ার্কিং আওয়ারের কনসেপ্ট কি খুব অন্যায়?
    সমস্ত উন্নত দেশে কিন্তু এই কনসেপ্টটা আছে।
    এই অনুভূতিগুলো যতক্ষণ ভেতর থেকে না আসছে, ইউনিয়ন কী করবে?
    এখানে যারা অনসাইট কাজের জন্যে এসেছে, রবিবারেও অফিস আসতে চায়। কিন্তু ঢুকতে পারে না, তখন অ্যাক্সেস কার্ড কাজ করে না। কোম্পানী থেকে বলে দিয়েছে, রবিবারে আসবে না। এলে কোম্পানীকে জবাবদিহি করতে হবে সরকারের কাছে, কারণ রবিবারে কাউকে খাটাতে হলে স্পেশাল পার্মিশান লাগে।
    তবু এরা আসতে চায়।
    কারণ ছুটির দিনগুলোয় এদের প্রায় কিছুই করবার নেই। যেকোনো এন্টারটেনমেন্টের জন্যে পয়সা খরচ করতে হয়। আর এরা এই কষ্টোপার্জিত ফরেন কারেন্সী ওভাবে ওড়াতে চায় না, সঙ্গত কারণেই, হয়ত দেশে গিয়ে বাড়ী বা গাড়ী এসব কিনবে। বা মেয়েরা হয়ত বিয়ের জন্যে পয়সা সংগ্রহ করে এভাবে। সঠিক জানিনা। না জেনে মতব্য করব না। তবে খরচ করে চোখে পড়বার মতো গুণে গুণে।
    অনসাইটে কাজ করতে আসবার জন্যে যে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়, সেরকম বর্ণনাও পেয়েছি কয়েকজনের মুখে। অনসাইটে আসার জন্যে কি পরিমান পলিটিক্স, কম্পিটিশান, সেটা অনুমেয়।
    ইউনিয়ন হলে কীকী কুফল দেখা দেবে সেটা যদি জানিই আগেভাগে, তবে গোড়াথেকেই আঁটঘাট বেঁধে আইটি ইউনিয়ন হোক। আর কিছু না হোক, লেবার প্রোটেক্‌শান অ্যাক্ট বানাতে সমস্যা কোথায়?
    ইউনিয়ন খুব খারাপ জিনিস- এটা ধরে নিয়েই যদি এহে্‌গাই তাহলেও শ্রম আইন ঠিকমতো করে প্রবর্তন করতে গেলে ইউনিয়ন লাগবেই। সংগঠন ছড়া এগোনো যায় না।
    বাংলা আর সারাভারত এখন আলাদা করে দেখে লাভ নেই। গ্লোবালাইজেজন সব আস্তে আস্তে ধুয়ে সমান করে দিচ্ছে।
    প্রাইভেট সেক্টর বা এম.এন.সি. ইত্যাদিতে প্রথমেই প্রতিটি লোকের জন্যে আলাদা আলাদা জব কন্ডিশন এবং এম্‌প্লয়মেন্ট কনট্রাক্ট বানানো হয়। প্রত্যেককে আলাদা করে দেওয়া হয়, চাকরীর প্রথম দিন থেকেই।
    হিউম্যান রিসোর্স বা পার্সোনাল ডিপার্টমেন্ট বলে যে ডিপার্টমেন্টা চালু হয়েছে, তাদের কাজই এই। কোনো জোট যাতে দানা বাধতে না পারে।
    এরা মালিকের স্বাথবুঝে হয়ারিং ও ফায়ারিং এর লাজে লিপ্ত।
    এই হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টটাকেই তো অল্প রদবদল করে ইউনিয়নে রূপান্তরিত করা যায় , নাকি? নাকি এটা খুবই অলীক স্বপ্ন?
    বাইরে থেকে পোলিট্‌কাল পার্টি না এনে ঢোকালেই হলো।
    তাহলেই তো ভয়, আর ঐ কোম্পানী লাটে উঠবার রিস্ক ফ্যাক্টর কমে যাচ্ছে, নাকি?
    জানিনা। কিছুই জানিনা।
    তবে আমরা যখন রিটায়ার করে যাবো, ততদিনেও যদি এই আফশোর-অনসাইট-আউটসোর্সিং এর কাঁচা ফরেন কারেন্সীর খেলাটা চলতে থাকে, রান্নাবান্নর পাট যদি বাড়ী থেকে একেবারেই উঠে যায়, শুশুরা যদি শুধু বেঞ্চে বসাকালীন বাবামায়েদের মুখ চিনে রাখতে শিখে নেয়, তবে আর ইউনিয়ন টিউনিয়ন ই®¾ট্রাডিউস করে লাভ নেই।
    হয়ত পপুলেশন গ্রোথও দুড়দাড় নেমে যাবে। এটাও বিরাট সুফল।

  • J | 84.73.112.225 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০১:৪১695996
  • লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট না কি যেন বলে, সেটা হচ্ছে, অনটাইম ডেলেভারী দিয়ে বা ভালো পারফর্মেন্স দেখিয়ে ফরেণ প্রোজেক্ট হাসিল করার গল্পটা শিশুরাও হজম করবে না। ওটা ওপর মহল থেকে হয়। ব্রাইবিং। যে বেশী ঘুষ দেয়, সে প্রোজেক্ট পায়। আর গত হপ্তায় এখানে কাগজে বেরিয়েছে, ইন্ডিয়ান কোম্পানীগুলো ব্রাইবিং এ নাম্বার ওয়ান। নাম্বার টু হচ্ছে চীন। ব্রাইবিং নিয়েও এদের মধ্যে কম্পিটিশান।
    তাই ঐ কম মার্জিনে কে কত কোট করল, ঐ গল্পগুলো এখন অবসোলিট।
  • J | 84.73.112.225 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০২:০৫695997
  • আরো কিছু তথ্য জানি। হয়ত আরো অনেকেই জানে তবু না বলার লোভ সামলাতে পারছি না।
    এই আউটসোর্সিং এ ফায়দা হচ্ছে টপ বসেদের। লোকাল লোক রিক্রুট করলেও ওরা ঘুষ নেয়, হায়ারিং এজেন্সী থেকে পার পার্সন কিছু একটা রেট আছে। তাতে খুচরো লাভ।
    বিদেশে আউটসোর্স করলে একটা লাম্পসাম অ্যামাউন্ট ওদের নাম্বার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যায়। ক্লীন ট্রান্‌জাকশান। ট্যাক্স ফ্রী।
    তারপরে কোম্পানীকে বলল, এই এই কাজ এই এই প্রোজেক্ট এত টাকার কাজ তোমরা যেরকম পারো লোক লাগিয়ে শুরু করে দাও।
    তখন ঐ ব্লুপ্রিন্ট টিন্ট দেখানো হয়। প্রোজেক্ট ম্যানেজারেরা ডিরেক্টরেরা ইনভলভড হয়। এক এক ডিপার্টমেন্টের জন্যে টাকা অ্যালট করা হয়। তারাও নিজেদের লেভেলে লুটতে থাকে।
    আগে অন সাইট লোক আনাতো, এখন ভিসা রেস্ট্রিকশান বেড়ে গেছে, ইমিগ্রেশন ল টাইট হয়েছে। এখন লিমিটেড ভিসা L পারমিট বা লিমিটেডB পারমিটে লোক আনায়। তবে বেশী আনতে পারে না। বাচ্চারা অফশোরে বসে কাজ করে। এদের ডে টাইমে, মানে ইন্ডিয়ায় সন্ধ্যে ও রাতে।
    সেখানে কম্যুনিকেশনে বহুত গোলমাল। এক বললে অন্য বোঝে। সবই ভালো বোঝেও না, ভুল ও করে প্রচুর। সেগুলো কারেক্ট করতেও সময় কেটে যায়। কোয়ালিটি ভালো নয়।
    তার পরে হয়ত দেখা গেল প্রোজেক্টটাই দরকারী ছিলো না।
    তখন অন্য প্রোজেক্ট শুরু হয়। এদিকে ঐ ছুঁচ হয়ে ঢিকে ফাল হয়ে বেরোনোর কেস হয়ে যায়।
    তখন হয়ত এক্সটার্নাল অডিট কিছু আঁচ করছে, তখন দেখা গেল, টপ বসেরা কোম্পানী চেঞ্জ করে ফেলছে।
    কাকে ধরবে?
    আবার তখন অন্য বস, অন্য কোম্পানীর থেকে টাকা খাওয়া, নতুন কোম্পানীর কাছে আউটসোর্সিং।
    এ ই তো চলছে।
  • Arjit | 82.39.106.176 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০২:১০695998
  • লোকের প্রধানত আপত্তি দুটো কারণে - এক) ইউনিয়ন/অ্যাসোসিয়েশনের নামে লোকে ভয় খায়, এবং দুই) দায়িত্ব এড়ায়, পিঠ বাঁচায়।

    আইটি শিল্পও শ্রম আইনের আওতার বাইরে হতে পারে না, এবং সেই শ্রম আইনের স্বার্থেই ইউনিয়ন দরকার। শুধু শ্রম আইন নয়, আরো নানা রকম আইন আছে - তোমার আপিস 'হেলথ অ্যাণ্ড সেফটি" রেগুলেশন মানছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্বও ইউনিয়নের, এবং না মানলে সেটা হেলথ অ্যাণ্ড সেফটি এগজিকিউটিভের কাছে রিপোর্ট করার দায়িত্বও তাদের। এবং বাংলা কথা হল এটা আমার অধিকার। কলকাতা বলেই চেঁচামেচিটা বেশি, অথচ বাইরে দেখাও তো - সব জায়গায় কোন না কোন ভাবে একটা না একটা ট্রেড ইউনিয়ন আছে, লেজিটিমেট, এবং দায়িত্বশীল। কলকাতা বলে চেঁচামেচিটার কারণটা বুঝি, কিন্তু শুরু না হতেই গেল-গেল বলে চেঁচাও কেন?
  • J | 84.73.112.225 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০২:১৪696000
  • ডিট্টো
  • Arjit | 82.39.106.176 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০২:১৬696001
  • শুধু ওয়ার্কিং হাওয়ার্স নয়, এই যে অনসাইটে পাঠায় - কোনক্রমে মিনিমাম ওয়েজ দেয়, ছুটি বলে কিছু নেই, ইনকামট্যাক্সে দুনম্বরী চলে - সেগুলোও এক্সপ্লয়টেশন। টিসিএস তো করেই, বাকিরা ধোয়া তুলসীপাতা সেটা আমি মানতে পারলাম না। প্রতিটা কোম্পানীতে কোন না কোন ভাবে কিছু না কিছু বণ্ড আছে (টিসিএস দুকান কাটা বলে একটা অবভিয়াস বণ্ড, অন্যগুলোতে ফাইন প্রিন্ট) - সেটাও যে কোন সভ্য দেশের শ্রম আইনের বিরোধী।
  • J | 84.73.112.225 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০২:২৩696002
  • সোভিয়েত ইউনিয়নের যতই নিন্দে করা হোক না কেন, ওখানে হায়ার এডুকেশনে আখ্রানা ত্রুদা (লেবার প্রোটেকশান) বলে একাঅ বিষয় দু সেমিস্টার পড়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হতো।
    সেখানে, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ, বেতন, সময়সীমা এসব ছিলো।
    পরিবেশ বলতে, একটা ঘরে কজন বসবে, কতটা ধুলো থাকলে সে ঘর কাজের অযোগ্য, ঘরের তাপমাত্রা, কীরকম আলো আসে, আওয়াজ কতটা, সব এই আইনের আওতায় পড়ে। নিয়মিত সেসব চেক করবার জন্যে সংস্থা আছে।
    আজ বেশী প্রাচুর্যের লোভে দেশটা ভেঙ্গে টুকরো হয়ে অরাজকতার শিকার, এখন সে আইন আর মানা হয় না সেটা স্পষ্ট।
    এখানেও আইন কড়া। কপক্ষে কত বর্গমিটারে কতজন লোক বসবে তার হিসেব আছে। ধুলো টুলো তো প্রায় নেইই।
    আর আমাদের কোম্পানী যেহেতু কেমিক্যাল প্লান্ট গোত্রীয় তাই অজস্র নিয়ম, এবং তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা হয়।
  • r | 89.168.18.114 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০২:২৭696003
  • "সংশোধিত শপ অ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্ট আইন অনুযায়ী তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মীদের যে-সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা, মালিকেরা তা মেনে চলতে রাজি আছেন। তাই অসুবিধার আর কি আছে?"- শ্যামল চক্রবর্তী

    মানে বুঝলাম না।
  • J | 84.73.112.225 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০২:২৯696004
  • পুরোটাই টাকার খেলা। টপ বস থেকে কনিষ্ঠ কেরাণী। চোখের সামনে মুঠো মুঠো টাকার অফার দেখলে মথা ঠিক রাখা শক্ত। তখন সব মেনে নিতে রাজী থাকে লোকে। ডিপেন্ড করে, কার মুঠোর সাইজ কতো বড়ো।
  • J | 84.73.112.225 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০২:৩১696005
  • শ্যামলবাবু,
    এই সংশোধিত আইনটি কী? তথ্য প্রযুক্তি শ্রমিকরা কি আইনটি সম্পর্কে অবহিত? কোম্পানীর দেয়ালে কি আইনটির প্রতিলিপি সেঁটে দেওয়া হবে?
  • Ishan | 130.36.62.140 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০৪:২১696006
  • পশ্চিমবঙ্গের আইটি পলিসি তে যা লেখা আছে: "Under section 13 of the West Bengal Shops and Commercial Establishment Act, 1963 the IT companies will now have an option of giving compensatory day off to an employee if the quantum of work exceeds 48 hours a week. '

    সূত্র : West Bengal IT Policy 2003 , সেকশন ১.৪, পাতা: ১২
  • dri | 199.106.103.254 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ০৪:৩৫696007
  • অ্যাই তো! source এর মধ্যে ভুত। ... will now have an option of ...! সত্যিকারের লেবার ফ্রেন্ডলি গাইডলাইন হলে হত ... IT companies must give compensatory ...। কিন্তু অত বুকের পাটা হয়নি। এইসব পলিসিগুলো এমন ভাবে করা যাতে ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্মেন্টেরও নাম ভালো হল (বা বা কি মানবদরদী!) আবার কোম্পানীদেরও কোন সত্যিকারের প্রাইস পে করতে হল না। অপশান ছিল, কিন্তু কোম্পানী অপ্ট করেনি। এতে স্টেটেরও লাভ, কোম্পানীরও লাভ।
  • Riju | 203.197.96.50 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১০:৩৮696008
  • পোচোন্ডো ব্যস্ত তাই সব টা পড়া হয় নি।বড় করে লিখবো পরে।দুটো ছোট্ট কথা -
    ১। ITতে ইউনিয়ন হলে আপত্তি নেই তবে সেখানে যেন শুধু ITর কর্মচারীরাই থাকে।পার্টির তকমা থাকতে হবে এমন টা তো অযৌক্তিক। কালী ঘোষ আর চিত্তব্রত মজুমদার দের ছড়ি ঘোরানো জাস্ট পোষাবে না।পাল্টাতে গেলে আমাদের ই পাল্টাতে হবে।বাইরের ইউনিয়নের গুন্ডা রা ট্রেস পাসার।
    ২। যেকোন ইউনিয়নের সদস্য দের ই প্রফেশনের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা উচিত - কালিদাস এর মত যে গাছে বসেছি অন্তত সেই গাছের ডাল কাটা বোকামি।(এই করে অনেক চট্‌কল লক আউট হয়েছে।) ইউনিয়নের মাথাদের কত কষ্ট করে প্রজেক্ট উইন করতে হয় সেটাও মাথায় রাখা উচিত।আর বিদেশী ক্লায়েন্ট দের কাছে ভাবমূর্তি একবার গেলে ফেরানো খুব মুশকিল।
    সবচেয়ে বড় কথা প্রজেক্ট প্ল্যানিং।ওটা ঠিক থাকলে কর্মীদের ওপর অহেতুক চাপ পড়ে না।
    পয়সা বেশী দিচ্ছে বলে কোম্পানি কিনে নিয়েছে তা বলব না কিন্তু একটা দায়বদ্ধতা থেকে যায়।
  • b | 59.145.136.1 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১১:৫২696009
  • অন্য একটা ইউনিয়ন খুললেই হয়। সবাই কে এক ইউনিয়ন এ থাকতে হবে এরকম কোন কথা নেই।
  • Samik | 61.95.167.91 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১১:৫৬696011
  • ১) হ্যাঁ, আমি ভয় পাই ইউনিয়ন অ্যাসোশিয়েশনে। ২) দায়িত্বের দরকারই নেই তো দায়িত্ব এড়াবার প্রশ্নও আসে না।

    ঘুষের ব্যাপারটা জানতাম না, তবে প্রজেক্ট পাবার ব্যাপারে ম্যানিপুলেশন তো চলেই। ওয়ালগ্রিন্‌সের প্রজেক্ট টিসিএসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল ইনফোসিস, আবার আরেক ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট ইনফি পেল না, টিসিএস পেল। কোনও ক্লায়েন্ট দ্যাখে টিসিএস কম পয়সা নিচ্ছে, কোনও ক্লায়েন্ট দ্যাখে ইনফোসিস কোয়ালিটি প্রজেক্ট ডেলিভারি দিচ্ছে, টিসিএসের সেই কোয়ালিটি নেই।

    বাজারে টিকে থাকার জন্য কে ঘুষ দেয় না? এই অফার সেই স্কিম, মোবাইল থেকে টিভি থেকে সব কিছু এই অফারে বিকোচ্ছে। তারা কোয়ালিটির সাথে কম্প্রোমাইজ করে কম দামে লো এন্ড কাস্টমারকে শস্তার মাল গছাচ্ছে। কিন্তু সোনি কোয়ালিটির সাথে কম্প্রোমাইজ করে না। তার টিভির দাম কিন্তু বেশি। কিনতে হলে কেনো, না হলে ফোটো। লোকে কিন্তু বেশি দাম দিয়ে সোনির টিভিও কেনে। কারণ, কোয়ালিটি। ব্রান্ড ইমেজ।

    যো-দি, সেই সকালে অফিস করব, আর সন্ধ্যেবেলায় বাড়ি ফিরব, জব-এর সেই কনসেপ্ট এখন আর কাজ করে না। বাচ্চাকে বঞ্চিত না করেও দিন রাতের জব করা যায়।

    infosys-এ বেশি রাত পর্যন্ত অফিসে থাকাটা একতা কমন ব্যাপার ছিল, না থাকলেই তুমি এনাফ কমপিটেন্ট নও। দিল্লি টিসিএসে এসে দেখলাম এখানে সাধারণত সন্ধ্যের পর কেউ থাকে না, খুব দরকার না পড়লে। আমাকে তিন বছরে খুব কম দিনই থাকতে হয়েছে ছটার পর, যেখানে তিন বছরের মধ্যে আড়াই বছরই ইনফিতে রাত আটটা নটায় বাড়ি ফিরেছি।

    সেটার জন্য ইনফোসিস যত না দায়ি ছিল, তার থেকেও বেশি দায়ি ছিল ভূবনেশ্বর জায়গাটা, আর স্লোডাউনের মরশুম।

    NIITতে দেখলাম সন্ধ্যে আটটার পর থাকার দরকার হলে ম্যানেজারের প্রায়র অ্যাপ্রুভাল লাগত, শনি রবিবার হলেও তাই। না হলে সিকিওরিটি ঢুকতে দিত না। জন্মদিনে কম্পালসারি ছুটি, ম্যারেজ অ্যানিভার্সারিতে ছুটি সাথে ২০০০ টাকার গিফট কার্ড।

    IBM-এ বিকেল পৌনে ছটার পরে কোনও বাস বা ক্যাব সার্ভিস নেই, তাই এখানে পারতপক্ষে কেউ সন্ধ্যের পরে থাকে না, এমনকি যারা নিজেদের গাড়িতে আসে, তারাও। কোনও কারণে রাত আটটা বেজে গেলে IBM থেকে বাড়ি পর্যন্ত যাবার ট্যাক্সি ফেয়ার দেয়, যেটা দিল্লি শহরে খুব বেশি। যেহেতু বেশি পরিমাণ এমপ্লয়ীর পেছনে IBM এই খরচ নিয়মিত করতে চায় না, তাই সন্ধ্যের পরে কাউকে আটকে রাখা হয় না এখানে। আটকানো হয় অন্য ভাবে। ল্যাপটপ দিয়ে, মোবাইল দিয়ে, ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে। তুমি চাইলে বাড়িতেই থাকো, স্ত্রী অসুস্থ, বাচ্চার শরীর খারাপ, তাকে সঙ্গ দাও, ঘরের কাজ করো, ল্যাপটপটা অন রাখো, মোবাইল অন রাখো, বাড়ির কাজ সারতে সারতেই তুমি অফিসের কাজ করতে পারো, তোমাকে সেই ধরণের অ্যাসাইনমেন্টই দেওয়া হবে।

    এটা সত্যিই হয়। আমি এখানে কোনও রকমের এক্সপ্লয়ীশনের গন্ধ পাচ্ছি না। কেবল কোম্পানি টু কোম্পানি পলিসি আলাদা। ভালো খারাপ নিয়েই তো কোম্পানি। না পোষালে ছেড়ে দাও, অন্য গাছে নৌকো বাঁধো!

    পরের পোস্টে আমি দুটো নন আইটি ফিল্ড নিয়ে কথা বলব, ইউনিয়নবিহীন কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস, স্বর্ণালীর পাওয়ার এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় মিনিস্ট্রির ওয়ার্ক কালচার, আর সর্বত্র এটিএমের সামনে দেখতে পাওয়া DSA-র দল, করুণ সুরে যারা আমাদের ক্রেডিট কার্ড গছাতে চায়। প্লাস ইউরেকা ফোর্বসের সার্ভিস এজেন্ট এবং ফিল্ড ম্যানেজারের গল্প।
  • ® | 203.197.96.50 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১২:৪৯696012
  • বিদেশী কোম্পানির ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্ট তো আছেই।ওখানে ওরা সকাল ৮ টা থেকে ৫ টা আপিসে থাকে (দুপুরে খাবার টাও ওয়ার্কিং লাঞ্চ ) তারপর বাড়ী থেকে ল্যাপটপে কানেক্টেড করে থাকে।এমপ্লয়িদের বাড়ীতে ভিপিএন কানেক্সন , ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সব আপিসের পয়সায়। একমাত্র স্যাবাটিকাল ছাড়া কাজ থেকে পুরো বিচ্ছিন্ন থাকতে কাউকে দেখিনি।
  • Samik | 61.95.167.91 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৩:১১696013
  • এঁজ্ঞে। আমরা যেমন কথায় কথায় ডাক্তার দেখানো, ইলেক্ট্রিকের বিল জমা দেওয়া, গ্যাস বুকিং করা, মেয়ের জন্য ইস্কুলের ফর্ম তোলা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে হামেশাই অফিসে লেট করে আসি, বিদেশে তেমনটি হয় না। ওখেনে ছুটি আরও কম। আমার লেভেলে ইনফিতে ২৪ দিন ছুটি, নো CL, TCS সরকারি কোং, তাতে ২৭টা EL, ১০টা CL আর কতগুলো যেন মেডিকেল।

    IBM-এর বইতে পষ্ট লেখা আছে ২২টা লিভ। ব্যস। কোনও CL নেই, কিন্তু মানুষের দরকার হতেই পারে, ম্যানেজারকে জানিয়ে হাফ ডে মেরে কাজ সেরে এসো, কোনও ছুটি কাটা যাবে না। পুরো দিনও ছুটি নিতে পারো, ম্যানেজারের অনুমতি নিয়ে। কিন্তু একটানা একদিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে EL কাটা যাবে। অন্যথায় কোনও ছুটি মার যাবে না।
  • dam | 202.54.214.198 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৩:৫৪696014
  • ঘুষের গল্পটা মোটামুতি যে কোন ধরণের বিজনেসেই সত্যি। তবে শুধু ঘুষ, শুধু কোয়ালিটি বা শুধু সবচেয়ে সস্তা কোটেশান ই নয়, এইসব গুলো এবং আরো কিছু প্যারামিটার মিলিয়েই প্রোজেক্ট দেওয়া হয় একটা কোম্পানিকে। এ তো গেল পাইলেট প্রোজেক্ট বা প্রথম পাবার সময়। তারপর মেনটেনান্স প্রোজেক্টের ক্ষেত্রে কিন্তু ছোট ছোট ডেলিভারী গুলো রীতিমত ম্যাটার করে। মানে আগে করে দিয়ে ভাল পার্ফর্মার হিসাবে পরিচিত হওয়া।

    কম্পেন্সেটরি অফ নিয়ে কথা হল, এটা অনেক জায়গায়ই থাকে কিন্তু খুড়োর কল এর মত। আছে কিন্তু বেশীরভাগ সময় ই নিয়মিত নেওয়া যায় না। NIIT তেও তাই ছিল। অনেকে নিত, অনেকে নিত না।

    কাজের পরিবেশ পরিকাঠামো -- RS Software এ থাকতে দেখেছি যেই P-CMM drive শুরু হল, অনেক কিছুরই হাল বদলে গেল। যেমন ডেস্ক এর সাইজ, ক্যান্টিনের সাইজ এবং খাবারদাবারের মান। আজকাল যে কোন মাঝারী ধরণের কোম্পানিও CMMI, P-CMM ইত্যাদি সার্টিফিকেশান করায়, বলা ভাল করাতে বাধ্য হয় নিজেদের ক্রেডিবিলিটি বাড়ানোর জন্য। সেক্ষেত্রে এইসব দিকে নজর দিতেই হয়।

    ঈশানের প্রশ্নটা আমারও প্রশ্ন। এখানে শ্রমিক কে বা কারা?

    ইউনিয়ন প্রোটেকশান দেয়, খুব ভাল কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং কর্মচারীরা তাদের পি এফ আদৌ পায় নি। ইউনিয়ন ছিল এবং কিচ্ছু করে নি -- পি এফ অফিসে গেলেই এরকম বহু কেস দেখা যায়। কাজেই ইউনিয়ন এর প্রোটেকশান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

    ওয়ার্কিঙ ফ্রম হোম অত্যন্ত ভাল জিনিষ। তবে কিছু আইন বদলাতে হবে আগে। শুধু IBM নয়, EDS ও ল্যাপী দেয়। তো সেই নিয়ে আলোচনা চলছিল আমাদের কোম্পানিতেও। ইতিমধ্যেই কাগজে দেখা গেল, দিল্লীতে বাড়ী থেকে কাজ করতে পারে শুধুমাত্র ডক্টর, সি এ, আর্কিটেক্ট আর লইয়ার। বাকীদের বাড়ী থেকে কাজ করা নাকি বেআইনী। তাই নিয়ে প্রবল কনফিউশান চতুর্দিকে। এই আইন স্পষ্টতই মান্ধাতা আমলের। সেটা আগে বদলান দরকার। নাহলে যে কেউ খার মেটাতে কমপ্লেন করে দিয়ে ঝামেলায় ফেলতে পারে।

    HR এর লোকেরা ইন জেনেরালি খুব একটা এমপ্লয়ী ফ্রেন্ডলী হয় না, তার কারণ একদম টপ ম্যানেজার ২-৪ জন বাদ দিয়ে এমনিয়ে এই ডিপার্টমেন্টের লোকেদের মায়না টেকনিক্যাল লোকেদের থেকে কম। আর এরা এত সহজে ছেড়ে যেতেও পারে না। ফলে এরা একধরণের ইনসিকিউরিটিতে ভোগে এবং কেবলই চেষ্টা করে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী উইঙ টাকে খুশী করে চলতে। অ্যাকচুয়ালি HR, Admin, Finance এর জুনিয়ার লেভেলের জন্যই কিছু সুরক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার।

    এখনও পর্যন্ত আমরা কেবল বড় ও মাঝারী কোম্পানীগুলো নিয়েই কথা বলে চলেছি। এর বাইরে আছে একটা বিশাল ক্ষেত্র, যেখানে ছোটখাট ডিটিপি কোম্পানি থেকে, চিটিঙ , থুড়ি টীচিঙ ইনস্টিটুটগুলি, ফক্স-প্রো বা ডিবেসে কাজ করা ছোট ছোট কোম্পানিগুলি আছে। সেখানে এক্‌স্‌প্‌লয়টেশানের চেহারা সত্যিই ভয়ঙ্কর। সেগুলো নিয়ে পরে কখনও চাট্টি কথা বলা যাবেখন।
  • b | 59.145.136.1 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৪:২২696015
  • ইশেন এর বেসিক কোচ্চেন যেটা সেটা এক দিক থেকে কোন কোচ্চেন নয়।অন্য দিক থেকে বড় কোচ্চেন।

    কোন দিক থেকে নয় সেটা আগে বলি:

    ইউনিয়ন জিনিস টা শুধু কলি ঝুলি মাখা শ্রমিক রা করবে এ কথার কোন অর্থ নাই। হোআইট কলার দের ইউনিয়ন সারা পথিবী তে বহু দিন ধরে আছে। তাদের পলিটিকাল আউট লুক বিভিন্ন প্রকারের। fascist থেকে trot সব আছে। কিছু নাই, তাও আছে। পেচনে হাতা হলে আউটলুক বেরোয় তাও আছে। manufacturing industry তেও skilled foreman জাতীয় দের ইউনিয়ন ও বহুদিনের।

    কোন দিকে থেকে ইশান এর পোস্নো গুরুঙ্কÄ পূর্ণ:

    সে টা হোলো আমাদের দেশের নব কম্প্রেডর দের বাজারে যে যার উচ্চাভিলাষের স্বপ্নে বিভোর। তাতে জোট বাঁধা টা শুধু কোন একদিন chamber of commerce গিয়ে হবে এই স্বপ্ন। (আমিও এই দৌড়ের বাইরে নই।ইচ্ছুক/অনিচ্ছুক অবান্তর প্রশ্ন)।

    অন্য অনেক দেশে, IT , industrial automation এর প্রয়োজনে এসেছে। তারপরে দিগন্ত বিস্তৃত হয়েছে, তাই সব অর্থের practice ই বিভিন্ন industrial revolution গুলোর সংগে আষ্টেপৃষ্টে জড়িত। অমাদের দেশে it র মূল impetus এসেছে, client/franchisee economy গড়ে তোলার প্রক্‌ক্‌র্‌য়ার হাত ধরে। এর সংগে জড়িত সব কিছু তেই প্রচুর ঝাড় রয়েছে। এ সম্পর্কে ডিটেলে কোনদিন ফান্ডা দোবো;-)

    (যদি র সং জ্ঞা জিগেস করে চোট পাট না করে;-))

    অবশ্য এই দুটোর কোন মানেতেই কথা টা না বলে থাকতে পারে। টেকস্ট আনালিসিসের এই ঝাড়। বিশেষ করে একটি বাক্যের।

    এছাড়া অবশ্য একটা পোমো রচনা লিখেছিল প্রথম দিকের কোনো একটা গুরুতে। সেই টার রেফারেন্স নিয়ে পরে কথা হবে। ওটাতে আমর পোচুর আপত্তি সঙ্কেÄও মজা লেগেছিল পড়ে।
  • Lyadosh Chandra Mitra | 24.5.216.83 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৪:৩৯696016
  • INTUC-ও খুলে ফেলছে http://economictimes.indiatimes.com/articleshow/172146.cms ...

    এবার মিছিল বেরোবে, দলবদ্ধ সারি সারি white collar-এর জামা, এক হাতে মাউস, অন্য হাতে প্ল্যাকার্ড, কান আর ঘাড়ের মধ্যিখানে চেপে ধরে সেল ফোন (সবাই যে যার বস-কে connect করে) -
    * আমাদের দাবি মানতে হবে, ষোলো ঘন্টা ঘুমোবো, আট ঘন্টা খাটব
    * আমাদের দাবি মানতে হবে, আর মারুতি চড়ছি না, চড়ব না, সুমো চাই, করোলা চাই
    * ...
  • ® | 203.197.96.50 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৪:৫৫696017
  • আবার বলব ৮ ঘন্টার কাজ ৮ঘন্টাতেই শেষ করা যায় প্রোভাইডেড প্ল্যানিং ভালো হয়ে থাকে। WFH খুব ভালো কিন্তু সেটার অপব্যবহার হওয়ার চান্স আমাদের দেশে প্রবল কারন এদেশের বস রা সাব অর্ডিনেট দের পার্সোনাল লাইফ বলে কিছু থাকতে পারে মনেই করে না। আর রইলো পরে কিছু কর্মীর ল্যাদ মনোভাব সে তো ইলেকট্রিক/গ্যাস/কেবল বিল জমা,ট্যাক্স রিটার্ন,ব্যাংকের কাজ অনেকাংশেই অনলাইন করে নেওয়া যায়,কিন্তু কেন করে না জানিনা।
  • Samik | 61.95.167.91 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৪:৫৮696018
  • জনৈক রাজপুত্তুর আমাকে এইমাত্তর ফরোয়ার্ড করেছে:

    ভয়েস অফ আইটি ইন্ডাস্ট্রি ওয়ার্কার্স: http://www.orkut.com/Community.aspx?cmm=22580376

    আমি এখনও খুলে দেখি নি। তোমরা দ্যাখো।
  • Samik | 61.95.167.91 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:০৪696019
  • ওরে না। দময়ন্তী, বাড়িতে বসে ল্যাপি নিয়ে আপিসের কাজ করা নিয়ে কোনও কনফিউশন নেই। দিল্লি সরকারের দাবিটা কী? না, রেসিডেন্সিয়াল প্রপার্টি কমার্শিয়াল পারপাসে ব্যবহার করা যাবে না, কিছু ক্ষেত্র ছাড়া। তুমি ল্যাপি নিয়ে বাড়িতে বসে ডিটিপি সেন্টার কি জেরক্স সেন্টার খুললে, মানে যা থেকে পয়সা রোজগার হয়, সেটা বেআইনী, ঘরে বসে ল্যাপি নিয়ে অফিসের কোডিং বা ডকুমেন্টেশন করলে সেটা তোমার ব্যবসা নয়, তখন তুমি তোমার রেসিডেন্সকে কমার্শিয়ালি ইউজ করছো না, সেটাতে কারুর কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। আমি আমার অফিসের কাজ ঘরে করি কি ইন্ডিয়া গেটে করি কি অফিসে করি, তাতে সরকারের কিছু এসে যায় না। আমি ঘর থেকে কোনও ব্যবসা চালাতে পারব না। ব্যস।

    HRরা দিব্যি এমপ্লয়ী ফ্রেন্ডলি হয়। ইনফি বিবিএসআর আর টিসিএস নয়ডার HRরা আমার বেশ ভালো বন্ধু ছিল, এখনও যোগাযোগ রাখি। তবে সব মানুষ তো সমান হয় না। সেটা মানুষের দোষ, কম্পানির পলিসির দোষ নয়।
  • b | 59.145.136.1 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:২০696020
  • আরেকটা কোচ্চেন করেছে র। সেইটা individualism এর সংগে organisation এর লড়াই। অনেক পুরোনো লড়াই। ঐ তক্ক যারে কয় চলছে চলবে।
  • r | 61.95.167.91 | ২৭ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:২৭696022
  • একটি মৌলিক প্রশ্ন আছে: এখনও আমি শোষণ এবং বঞ্চনার সংজ্ঞাটা বুঝি নি। শোষণের একধরনের ক্লাসিকাল সংজ্ঞা আছে। যাতে বলে, তুমি একশ টাকার ফসল ফলালে। একজন এসে সেই পুরোটাই কেড়ে নিয়ে তোমাকে শুধু বাঁচবার জন্য যেটুকু দরকার সেইটুকু দিল। এইবারে এই সংজ্ঞাকে আরও একটু রিফাইন্‌ড্‌ করা যায়। তুমি একশ টাকার ফসল ফলালে। একজন এসে তোমায় দশ টাকা দিল আর নব্বই টাকা নিয়ে নিল। এইবার তুমি বললে যে আমার একশ টাকাই চাই। তখন সেই শক্তিশালী লোকটি বলল, ছেঁড়ো গিয়ে, তোমায় আর ফসল ফলাতে হবে না। তখন তুমি আঙুল চুষলে আর সেই অত্যাচারী লোকটি অন্য কাউকে দিয়ে ফসল ফলাতে লাগল। কিন্তু এই সমস্ত ঘটনা ঘটে তখনই যখন বহু লোক অল্পসংখ্যক চাকরির জন্য হাহাকার করছে, যা আমাদের দেশে বেশির ভাগ শিল্পের গল্প। কিংবা যেখানে পুরো শিল্পটাই পুঁজিনির্ভর এবং পুঁজির মালিকানা অল্প কিছু লোকের হাতে। কিন্তু যেখানে শিল্প ঠিকঠাক লোক পাচ্ছে না বলে হাহাকার করছে, সেইখানে তো যৌক্তিকভাবে শ্রমিকশোষণের কোনো গল্প আসাই উচিত নয়। এবং যেখানে পুরো উৎপাদনই সম্পূর্ণ শ্রমনির্ভর। তাহলে কি আমরা ধরে নিতে বাধ্য হচ্ছি, যে আমাদের মতো হোয়াইট কলার মজুরদের শোষিত হবার এবং পশ্চাদ্দেশ পেতে দেবার একধরনের মর্ষকামিতা রয়েছে? অরিজিৎ শোষণের কতগুলো উদাহরণ দেখিয়েছে যা মূলত: সরকারী আইনভঙ্গের তালিকায় পড়ে। শ্রমিক ইউনিয়ন যদি স্রেফ সরকারী ইনস্পেক্টর হয়ে বসে, তাহলে শ্রমিক ইউনিয়নের মনে হয় না দরকার আছে। কারণ, ইউনিয়নের বিকল্প অনেক ব্যবস্থা আছে যা প্রতিনিয়ত সরকারী আইনরক্ষার দায়িত্ব নিতে পারে। যেহেতু ভারতে এই ব্যবস্থাগুলো ঠিকঠাক কাজ করে না, তার উত্তর হতে পারে সেই ব্যবস্থাগুলো আরও জোরদার করা। কিন্তু ইউনিয়নের ঐতিহাসিক যুক্তি সমর্থন করি বলে কখনই চাইব না একটা শ্রমিক ইউনিয়নের মূল কাজ হবে সরকারী আইনপালনের দেখভাল করা। কাজেই দাবী রাখছি শোষণ বা বঞ্চনার একটা শক্তপোক্ত সংজ্ঞা দেওয়া হোক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন