এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমেরিকার নির্বাচনী ফলের বিশ্লেষন-সামনে কোন আমেরিকা?

    bip
    অন্যান্য | ১০ নভেম্বর ২০১৬ | ৮৮৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 183.67.5.178 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৩:২৬723743
  • আমেরিকান নির্বাচন নিয়ে আমি যা কিছু লেখার, নিজের ওয়াল এবং ব্লগেই লিখেছি। গুরুর মেইন সাইটে একটা নির্বাচনী থ্রেড আছে-সেখানেও কিছু কিছু পোষ্ট দিয়েছি।

    (১) ভোটের দুমাস আগে থেকে আমি তিনটে প্রেডিকশন করেছিলাম
    ( আমার লাস্ট দুমাসের ফেসবুক পোষ্ট দেখতে পারেন )
    নির্বাচন খুব ক্লোজ হবে
    এই নির্বাচনে রেজিজম, সেক্সিজম ইত্যাদির ওপরে ভরসা করলে হিলারী ডুববে
    হিলারী জন বিচ্ছিন্ন -তার নির্বাচনী কৌশলে সমস্যা আছে

    (২) লোকে হিলারীকে দোষ দিচ্ছে। এটা ভুল। আমেরিকাতে প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন ৪ বছর অন্তর হয়। কিন্ত সেনেট এবং কংগ্রেস নির্বাচিত হয় দুবছর বাদে বাদে। ২০১০,১২,১৪-সব কটা বছরেই ডেমরা গোহারা হেরেছে। এবার ও তাই। ২০০৮ থেকে ২০১৬- রাজ্য সেনেটগুলিতে ডেমরা হারিয়েছে ২৫% বা ৯০০ ডেলিগেট। এগুলো হচ্ছে যখন ওবামা ডেমোক্রাটিক পার্টির মুখ। সুতরাং হিলারিকে দোষ দেওয়াটা মিজোগাইনি এবং অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই না।

    (৩) গত ৮ বছরের সংখ্যাতত্ত্ব থেকে প্রমানিত, ডেমোক্রাটিক পার্টর নীতি নির্ধারনেই ভুল আছে। নেতার অভাব আছে। এই ভুলগুলো সংক্ষেপে

    - ওবামাকেয়ার। এই ইন্সুয়ারেন্স আইনের ধাক্কায়, সব মধ্যবিত্তের প্রিমিয়াম বেড়েছে ৪০-২০০% ( আমার বেড়েছিল প্রায় ৩০০%), কভারেজ কমেছে। এটি আদর্শবাদি এজেন্ডা হিসাবে ভাল-কিন্ত পেটে টান পড়লে কে আদর্শ শোনে? ডেমোক্রাটরা সক্রিয় ভাবে ওবামার বিরোধিতা করেনি গরীব ভোটের আশায়। কারন এতে লাভবান হচ্ছিল গরীবরা। কিন্ত আমেরিকাতে গরীবদের চেয়ে মধ্যবিত্ত বেশী।

    - ক্লিন্টন ফ্রিট্রেডের পক্ষপাতি ছিলেন। ন্যাফটা এবং গ্যাট এগ্রিমেন্টের ফলে আমেরিকার ম্যানুফ্যাকচারিং চলে গেছে মেক্সিকো এবং চীনে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পেনসিল্ভেনিয়া, ওহায়ো-ইত্যাদি নর্থ ওয়েস্ট বেল্ট। চূড়ান্ত ভাবেই। আমি এই অঞ্চলে প্রচুর ঘুরি। সেই জন্য অনেক দিন আগে থেকেই লিখেছিলাম এখানে ক্লিনটন হারবে। এবং সেইগুলি সুইং স্টেট।

    -ছোট খাট বিজনেস ওনাররা রেগুলেশনের ছোটে ত্রস্থ। বড্ড বাড়াবারি রকমের রেগুলেশন বাড়িয়েছেন ওবামা সব বিজনেসে। ফলে অনেক বিজনেসে লাল বাতি জ্বলেছে। ছোট ছোট বিজনেস ক্লাস ডেমোক্রাটিক পার্টি থেকে সরে গেছে।

    (৪) এখানে বর্ণ বিদ্বেশ, মুসলিম বিদ্বেশ নিয়ে বেশী নাচানাচি হচ্ছে। ওই ধরনের কিছু ভোট থাকতে পারে, কিন্ত অধিকাংশ ভোট সেই কারনে ট্রাম্পের দিকে যায় নি। মনে রাখতে হবে এবার চারজন ভারতীয় কংগ্রেসে জিতেছেন। আগের বার ছিল মাত্র একজন। রেসিজম এত বেশী হলে এরা জিততেন না। মুসলমান বিদ্বেশ বরং তাও কাজ করতে পারে-কারন এটা সবাই জানে ইসলাম একটা রিয়াল থ্রেট। হিলারী সেটা মানতে চান নি।

    (৫) প্রশ্ন হচ্ছে আগে কি?
    আমাদের সব থেকে যেটা বেশী ক্ষতি হবে সেটা শিক্ষায়। ওবামা শিক্ষার মান উন্নয়নে নজর দিয়েছিলেন এবং আমেরিকার স্কুল শিক্ষা অনেক এগিয়েছে এই কয় বছর। ট্রাম্প আসলে এসব বাতিল করবে। আমাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের ক্ষতি হবে।

    বিজনেসের জন্য ট্রাম্প ভাল ।
    এখন বিজনেসে ৩৫% ট্যাক্স দিই-ট্রাম্প ওটা ১৬% করবে। রেগুলেশনের চাপে এই দেশে বিজনেসে ত্রাহি অবস্থা। সেটা কমলে দেশে ব্যবসা বাড়বে। ইম্পোর্ট ট্যারিফ বাড়ালে , আমেরিকাতে ম্যানুফ্যাকচারিং বাড়বে।

    বর্ণ বিদ্বেশ খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেটা হচ্ছে আস্তে আস্তে। হেট ক্রাইম বাড়বে। তবে আমেরিকাতে সব সময় হয় গাড়ি, নইলে বাড়ি, নইলে অফিস। যে যার মতন থাকে-অতটা গায়ে লাগবেনা। এখন নেক্সট চার বছর হেট ক্রাইম কোথায় যায় সেটাই দেখি।

    (৬) আই টি আউটসোর্সিং- ট্রাম্প আই টি আউটসোর্সিং এর বিরুদ্ধে। এইচ ওয়ান বি তুলে দেবে বলেছে। আউটসোর্সিং করলে আউটসোর্সিং ট্যাক্স দিতে হবে-এইসব ভুল ভাল এজেন্ডা তার আছে। কি করবে তা জানি না। তবে এসব করলে ভারতের আই টি ব্যবসার ক্ষতি হবে বই কি। এখন এইচ ওয়ান বি তুলে দিলে টিসিএস, ইনফিতে লালবাতি জ্বলবে। দেখা যাক কি হয়।
  • রোবু | 213.132.214.83 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৪:১১723823
  • একটাই প্রশ্ন। গুরু-র মেন সাইট কোনটা?
  • ছোটোলোক | 72.2.128.34 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:০৩723834
  • এইচ ওয়ান বি তুলে দেওয়া অত সোজা নয়। আর সবাইকে তো যেতে হচ্ছে না অ্যামেরিকা। অফশোর থেকেই তো ম্যাক্সিমাম কাজ হয়। কাজে কাজেই ইন্ডিয়ার আইটি বিজনেস ওভাবে ডুববে না। টিসিএস ইনফিতে লালবাতি অত সহজে জ্বলে না। ছোটোখাটো আইটি কোম্পানিতে জ্বললেও জ্বলতে পারে, তবে ঘাবড়াবার কিছু নেই। অ্যামেরিকার আইটি ব্যবসায়ীরা অফশোর থেকে কাজ করালে ট্রাম্প বকবে কেন?
    এইচ ওয়ান বি বলুন কি অফশোরিং বলুন, কোনোটাই ট্রাম্পের একার ডিসিশানে হবে না। ঠিক যেমন মেক্সিকোর পাঁচিল। কংগ্রেসের অনুমোদন চাই। দেখুন, ট্রাম্প এসেই রাতারাতি সব বদলে দেবে না, যেমন ওবামা পরপর দুবার প্রেসিডেন্ট হবার পরেও গুয়ান্টানামো বে র প্রিজন উঠে যায় নি, অ্যামেরিকায় হেট ক্রাইম কমে নি কালোদের ওপরে, মিডল ইস্টের যুদ্ধ থামে নি, ইত্যাদি ইত্যাদি। তেমনি, ট্রাম্প এসেই প্রথম চার বছরের মধ্যে গাড়ির ইন্ডাস্ট্রি কে চাগিয়ে তুলবে, মেক্সিকো বর্ডারে সত্যিকারের একটা পাঁচিল তুলবে, চায়নার সঙ্গে ব্যবসাপাতি বন্ধ করে দেবে, এলজিবিটিদের জিনা হারাম করে দেবে, তা নয়। করা অত সহজ নয়। ট্রাম্পের নিজের কোম্পানীর প্রোডাক্টই চায়নায় তৈরী হয়। ও নিজে যা বলেছে, তার সবটা ও নিজেও বিশ্বাস করে না। ব্যবসায়ী লোক। সেরকম সাধু ব্যবসায়ী বলেও সুখ্যাত নেই, নিজের এম্পলয়িদেরো ঠকায় যে লোক, বুঝতেই পারছেন সেরকম লোকের হাতে দেশের সমস্ত টাকাপয়সার ডিসিশন নেবার ক্ষমতা হলে সে নিজের আখের গোছাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়বে। চার বছরে যতটা লোটা যায়।

    আমারো একটা নিজস্ব অবজার্ভেশন আছে ইমিগ্র্যান্টদের নিয়ে। ইমিগ্র্যান্টদের রূপ পাল্টায় ন্যাচরালাইজেশনের পরে। সিটিজেনশিপ পাবার আগে তারা খুব লিবারাল থাকে। নিজের সিটিজেনশিপটুকু হয়ে গেলেই আর নতুন লোকেদের ঢুকতে দিতে চায় না। সামনা সামনি হয়ত কিছু বলবে না, না বলাটাই স্বাভাবিক, যাদের ন্যাচারালাইজেশন হয়নি তাদের সামনে তো নেভারই নয়, কিন্তু সিটিজেনশিপ পাবার পরে সেই দেশের ধনসম্পত্তিতে আর বাইরে থেকে কারুকে এসে ভাগ বসাতে দিতে চায় না। এরা মুখে যতই গুণগান করুক না কেন, ব্যালট পেপারে খুব কনজার্ভেটিভ।
  • রোবু | 213.132.214.83 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:১০723856
  • ছোড়দির লেখাটা ঠিকঠাক লাগলো।
  • Arpan | 101.214.5.87 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:১০723845
  • হেইচ ওয়ান বি তুলে দিক না। তুলে তো দেবে না একেবারে, বড়জোর ক্যাপ কমাবে।

    এমনিতেই অনেক বড় ক্লায়েন্টের ইন্ডিয়াতে ডেভ সেন্টার আছে। হেইচ ওয়ান বি তে হাত পড়লে সেই প্রবণতা আরো বাড়বে। আর তার মানে আরো বেশি করে আমেরিকা থেকে জব অফশোরড হবে। টিসিএসের এমপ্লয়ি তখন ধরা যাক বিওএ-র ডেভ সেন্টারে চাক্রি পেয়ে যাবে।

    হৌক।
  • ছোটোলোক | 72.2.128.34 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:৩৫723867
  • এই সমস্ত পাঁচশো/হাজারের নোট বাতিল করে দেবার ড্যামাডোলে আরেকটা জিনিস মাথায় এল। ঐ বোকিল নামক লোকটা, যে কিনা মোদিকে বুঝিয়ে টাকার ঝামেলাটা পাকিয়েছে, ওরকম একটা লোক চাই ট্রাম্পের জন্য, যদি সত্যিই অফশোরিং কমাতে চায়। ইলেকট্রনিক মানিট্রানজাকশানের আউটগোয়িং লিমিট মিনিমাম করে দিক ইন্টারন্যাশানাল মানি ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে। ব্যবসার হিসাব কিতাবে দেখাতে হবে যে কাজ করিয়েছে দেশের ভেতরে। তাহলে অফশোরিং কমতে পারে। কিন্তু ও সেটা করবে না।
  • Arpan | 101.214.5.87 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:৪৭723878
  • তাতে কী হবে? ভেন্ডারের অ্যাকাউন্টও তো ইউএসেতে। ঃ)
  • ছোটোলোক | 72.2.128.34 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:৫৭723889
  • একদম। তবে ভেণ্ডার টাকা দেবে কীভাবে এমপ্লয়িদের? হাওলা করে?
  • Arpan | 101.214.5.87 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:৫৯723900
  • তা কেন? ভেন্ডারের হাজরখানা অ্যাকাউন্ট থাকবে। সবই আলাদা আলাদা লিগাল এন্টিটি। তারা লিমিটের মধ্যেই মানি ট্রান্সফার করবে।
  • ছোটোলোক | 72.2.128.34 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৭:০৯723744
  • বোকিল কি সোভিয়েত ইউনিয়নে থাকত? এরকম আইডিয়া পেল কোত্থেকে? গর্বাচভের আমলে একবার রাতারাতি সমস্ত পঞ্চাশ এবং একশ রুবলের নোট বাতিল করে দেয় কালো টাকা নষ্ট করতে। একশ রুবল মানে ব্যাংক রেট প্রায় দুশো ডলারের ওপরে, ব্ল্যাক মার্কেটের রেট অনেক কম ছিলো। তখনো আমরা বুঝিনি কী হতে চলেছে। এক বছরের মধ্যে দেশটা ভেঙে গেল। আমার কাছে একটাও অত বড় নোট ছিলো না। এক, তিন, পাঁচ, দশ, বড়জোর একটা পঁচিশ রুবলের নোট থাকলেও থাকতে পারত। কিন্তু পাঁচশো/হাজারের নোট সব টেনে নেওয়াটা কিন্তু কালোটাকা পরিস্কার করবার জন্য নয়। অন্য কোনো ব্যাপার আছে। ব্ল্যাকমানি যাদের খুব বেশি তারা ক্যাশে রাখে না। মোদির মতলোবটা কী?
    দেশ ভাঙার এক বছর পরে আবার টাকা বদলেছিলো, সেবারেও তুমুল সমস্যা। প্রত্যেকবারেই হার্ট অ্যাটাক হবার মত কাণ্ড। যেদেশ কোনো ব্যাংক নেই জন সাধারনের জন্য। বারবার এরকম হতে থাকার পরে, কেসটা রাখাল বালকের পালে বাঘ পড়ার মত হয়ে যায়। পাবলিক আর ভয় পেত না। অল্টানেটিভ পদ্ধতিতে সম্পদ রেখে দিতো।
    ভারতে কালো টাকা জমিয়ে রাখতে হলে ডলারে জমিয়ে রাখুক। যে কোনো ভদ্রগোছের কারেন্সিতে। গোল্ড বার কিনে লাভ নেই, বেচবার সময় দাম ভালো পাওয়া নাও যেতে পারে।
  • ছোটোলোক | 72.2.128.34 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৭:১৯723755
  • অর্থাৎ সেখানেও রেগুলেশনের দরকার আছে। মাল্টিপল নাম্বার অফ লিগ্যাল এন্টিটি থাকলে সেগুলো ট্রেস করা। প্রত্যেকটার হিসাব কিতাব অডিট করা, ফ্রড হচ্ছে কিনা দেখা। সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকবে। এভাবে আটকানো যায় ও না। আউটসোর্সিং এবং অফশোরিং চলবেই, এতে দুদিকেই উইন উইন সিচুয়েশন। যদি কম্পিটেটিভ রেটে দেশের মধ্যেই গাড়ি বানাতে পারে, কি সফ্টওয়ার কর্মী মোতায়েন করতে পারে, তবেই এটা রোখা সম্ভব। কিন্তু অ্যামেরিকার কস্ট অফ লিভিং ভারতের চেয়ে হাই। ভারতে যে টাকায় কর্মীদের খাটিয়ে নেওয়া যায়, সেরকম মাইনে দিলে অ্যামেরিকায় কর্মী পাওয়া টাফ।
  • sm | 53.251.91.253 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৭:২১723766
  • কিন্তু রাশিয়ার আসল মতলব টা কি ছিল? ইন্ডিয়ার ই বা হটাৎ নোট তুলে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়লো কেন ?বাজারে নতুন ৫০০/টো০০ এর নোট ছেড়ে আস্তে আস্তে ১০-১৫ দিনের নোটিশে তুলতে পারতো। কিন্তু ৪ ঘন্টার নোটিশ টা কেন?
  • Rit | 213.110.242.7 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১৯:৫৩723777
  • ছোটদি,
    রাশিয়ার ঠিক কি হয়েছিল? গর্বাচভ কি স্টুজ?
  • ছোটোলোক | 72.2.128.34 | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ২০:৫৬723788
  • রাশিয়া নয় কেবল, গোটা সোভিয়েত দেশেই ওরকম করেছিলো। রাতের বেলা নিউজে অ্যানাউন্স করেছিলো কাল থেকে নোট দুটো অচল। প্রথমে এটুকুই বলেছে। আমরা তখন হাপিয়ার্লি পরীক্ষার পড়া করছি, পরীক্ষা চলছে তখন। তখন কেউ টিভি দেখে? কিন্তু ঐ খবর শব্দের বেগে ছড়িয়ে গেছে। শব্দের চেয়েও দ্রুতবেগে ঠগবাজেরা বেরিয়েছে। আমার ক্লাসে পড়ত ললিত। হ্ঠাৎ দরজা খটখটায় রাত দশটা কি এগারোটার সময়। কী চাই? পড়া বুঝতে পারছিস না? তো বলছে, তেরা পাস ছুট্টা হ্যায়? এত রাতে খুচরো দিয়ে কী করবি? তাও সন্দেহ না করে টাকা পয়সা যা আছে দেখতে বসলাম। ও বলল যে ওকে দূরের একটা হোস্টেলে যেতে হবে জরুরি দরকারে, ট্যাক্সি ভাড়া লাগবে, ছুট্টা নেই। তা ট্যাক্সি ভাড়া চাই তোর? নিয়ে নে আমার থেকে। যত দূরেই যাস না কেন তিন রুবলের বেশি লাগবে না এক পিঠের ভাড়া, এই নে ছ রুবল যাতায়াতের জন্য, নে ভাগ, আমায় পড়তে দে। তা শুনে বলে, আমি নাকি বহুত ধুরন্ধর, পৌঁছি হুই চিজ, ইত্যাদি। কিছুই বুঝলাম না। ললিত টাকা না নিয়েই চলে গেল। কয়েক মিনিট পরে আরেকজনের প্রবেশ। জুনিয়র ছেলে। তারও কী একটা অজুহাতে টাকা চাই। টাকা নয়, ডলার চাইছে। বলছে আর্জেন্ট ডলার চাই, যদি আমার কাছে থাকে, সে কিনবে। রাত দশটায় ডলার নিয়ে সে কী করবে? আমার কাছেও ডলার নেই। কাল সকালে আমার পরীক্ষা। সবারই পরীক্ষা চলছে, ত সত্ত্বেও লোকজন পড়শুনো না করে ডলার, ট্যাক্সিভাড়া এসমস্ত নিয়ে এত চিন্তিত কেন? আবার নিজের কাজে মন বসাই। এবার আরেকজন আসে। এ ও জুনিয়র। এ আসে সবধান করে দিতে। অনেক ছেলেই তাদের বড়ো বড়ো নোটগুলো গচাবার জন্য মুর্গী খুঁজছে। সে খুলে বলল ঘটনাটা। তখন পড়া মাথায় উঠেছে। পঞ্চাশ একশোর নোট নিয়ে ঘুরবার মতো পাব্লিক আমি নই। একটাও ওরকম নোট ছিলো না। চোখেও দেখিনি অত বড় নোট। পঞ্চাশ দেখেছি। একশো দেখিনি।
    পরের দিন জন গেল, টাকা যাদের কাছে আছে তাদের বদলে দেওয়া হবে, ইউনিভার্সিটির ক্যাশে। যখান থেকে স্টাইপেন্ড দেয়, সেখানে। মাথা পিছু লিমিট আছে একটা। তখন আবার ললিত এসেছে হ্যা হ্যা করে হাসতে হাসতে। বলছে, আমার কিছু নোট তুই চেঞ্জ করিয়ে দিবি? ওর কাছে এত বড় নোট অছে যে ওর একার পক্ষে সবকটা বদলানো সম্ভব নয়। আমি রাজি হলাম না। তুই আমাকে ঠকাতে এসেছিলি কাল। যদি ওটা না করতিস, তোকে হেল্প করতাম। তারপরে ও নিশ্চয় ব্যবস্থা করেছে কিছু।
    তা এরকম টাকা পাল্টানোর কেস বহুবার হয়েছে। ইয়েলৎসেনের টাইমেও হয়েছে। রুবলহীন টাইমও গেছে। সব টাকা বাতিল। তখন শুধু কুপন। তারপরে প্রত্যেকটা নতুন দেশে নতুন নতুন কারেন্সি। কারেন্সি আসবার আগে কুপন। পুরোনো হাজারের নোট ভার্সেস নতুন হাজারের নোট। রাশিয়ার রুবল ভারসেস উজবেকিস্তানের সুম। পুরো বিভীষিকাময় অধ্যায়। প্রতিদিন ইনফ্লেশন। তিনশো শতাংশ দিয়ে শুরু, সেটা বাড়তে বাড়তে হাজারে দাঁড়ায়, তারপরে দশ হাজার। তারপরে আবার নতুন কুপন। এক একটা কুপনের অঙ্ক দশ হাজার, প্ঞ্চাশ হাজার। তা দিয়ে তুমি এক কিলো মাংসও কিনতে পারবে না। তারপরে নোট এলো। তারপরে নতুন নোট। আগের নোটের থেকে অন্যরকম, শেষের দুটো শূন্য বাদ।
  • Arpan | 101.214.5.87 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৫১723799
  • এসব থাক।

    মেলানিয়া ট্রাম্প কি অল টাইম মোস্ট গ্ল্যামারাস ফার্স্ট লেডি? নাকি জ্যাকলিন কেনেডির পরে আসবেন?
  • SS | 160.148.14.2 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০১:১৪723810
  • বিপ, সবথেকে লং টার্ম ড্যামেজ কোথায় হবে জানেন? সুপ্রীম কোর্টে। এই ইলেকশনটা অত ইম্পর্ট্যান্ট ছিল - এই সুপ্রীম কোর্টের ডিসিশনের জের জেনারেশন ধরে চলবে। একটা সিট ভ্যাকেন্ট। সেখানে তো স্কালিয়ার মতন কনজার্ভেটিভ একজন কাউকে বসাবে। ডেমোক্র্যাটরা ফিলিবাস্টার করলে মিচ ম্যাকোনেল সোজা নিউক্লিয়ার অপশান। এর পর অ্যান্টনি কেনেডি প্রায় আশি আর নোটোরিয়াস RBG মানে জাস্টিস গিনসবার্গ চুরাশি। জাস্টিস ব্রায়ার ও প্রায় আশি। কে বলত পারে, নেক্স্ট চার বছরের মধ্যে যদি এতগুলো ভ্যাকেন্সি হয় ? এই সিচুয়েশনটা ভাবলে পুরো আতংক হয়।

    বুশের সেকেন্ড টার্মের সবথেকে বড় এফেক্ট হচ্ছে এই সুপ্রীম কোর্ট। সেই জন্যে জন কেরির জেতাটা অত ইম্পর্ট্যান্ট ছিল। প্রচন্ড কনজার্ভেটিভ আর ইয়ং রবার্ট্সকে চিফ বনালো, সে এখনো হেসে খেলে আরো পঁচিশ বছর তো থাকবেই। আর উপর অ্যালিটো। বুশ সেকেন্ড টার্মে ইলেক্ট না হলে সিটিজেন্স ইউনাইটেড হত না আর ভোটিং রাইট অ্যাক্টও ঠিক থাকত। এর পর চার বছর ট্রাম্প প্রেসিডেন্সির পর আর কতটা সিভিল রাইটস বাকি থাকে সেটাই দেখার বিষয়। দেখা যাবে হয় পাবলিক স্কুল সব ঊঠে গেল, যা খুশী হতে পারে।
  • revolutionary | 222.21.66.6 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:৫৯723820
  • SS এখন সুপ্রীম কোর্টের ভয় দেখাচ্ছেন। উনি মনে হয় অল্প বয়েসী। পুরোনো কথা ঠিকঠাক মনে নেই। মনে করিয়ে দেই।

    এক ছিল ক্ল্যারেন্স থমাস, আর এক ছিল অ্যানিটা হিল। থমাসের জুডিশিয়াল রেজুমে খুবই মাঝারি। বার অ্যাসোসিয়েশন থমাসকে রেট করেছিল মাঝারি গোছের জাজ বলে, বেয়ারলি চলেবল। প্রেসিডেন্ট (বাবা) বুশ থমাসকে সুপ্রীম কোর্টে নমিনেট করে। তখন সেনেটে ডেমোক্র্যাট মেজরিটি। অ্যানিটা হিল, যে কিনা এক সময়ে থমাসের অধীনে চাকরি করত, সে থমাসের বিরুদ্ধে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের চার্জ আনে। সেনেট কিন্তু থমাসকে কনফার্ম করে। থমাস অনেকগুলো ডেমোক্র্যাট ভোট পেয়েছিল, যেটা না পেলে ও কনফার্মড হত না। সেই থেকে থমাস সুপ্রীম কোর্টে বসে, প্রায় কখনোই কোন প্রশ্ন করে না। হাবার মত চেয়ে থাকে। বোঝাই যায় বার অ্যাসোসিয়েশন যে ওকে শুধুই চলেবল গ্রেড দিয়েছিল, সেটাও খুবই বেশী। লোকটা শুধু একটাই কাজ করে, সমস্ত ইস্যুতে শ্রমিক, মহিলা, মাইনরিটি, ইমিগ্র্যান্ট এদের বিরুদ্ধে ভোটটি দেয়।

    এখন আপনারা সুপ্রীম কোর্টের নাম করে ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিতে বলছেন!! নেহাত বমি পাচ্ছে, নইলে বেদম হাসতাম।

    ট্রাম্প খুবই খারাপ লোক এটা যদি সত্যি বিশ্বাস করতেন তাহলে কি হিলারির মত খারাপ ক্যান্ডিডেট দাঁড় করাতেন?
  • aka | 79.73.9.37 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:০৪723821
  • আচ্ছা হিলারী কি ট্রাম্পের থেকেও খারাপ? এইটা বহুদিন ধরে শুনছি, বুঝি নি, কেউ একটু বুঝিয়ে দিলে ভালো হয়।
  • ট্রিডিঙ্গিপিডি | 233.191.62.223 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:০৮723822
  • এইটা ফের deja vu হইলোঃ-প
  • aka | 79.73.9.37 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:১০723824
  • ব্যক্তির সাথে পার্টি গুলিয়ে গেছে।
  • একক | 53.224.129.53 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:২৪723825
  • ব্যক্তির সঙ্গে পার্টি তো ডেমোক্রাট রা গুলিয়েছে তাই না ? দিস ইলেকশন ইস আ ক্লিয়ার ডিফিট অফ সেক্সিস্ট পলিটিক্স এগেইনসট আ সেক্সিট ক্যান্ডিডেট । ট্রাম্প একটা করে সেক্সিস্ট মন্তব্য করেছে আর ডেম সব ভুলে তার পেছনেই দৌড়েছে । কবে ট্রাম্প কাকে কী বলেছে সেইসব তুলে আনায় ব্যস্ত ছিলো । ইসলামিক রাদিকালিস্ম কে কিছুতেই মুখে ইসলামিক বলবেনা এই পলিটিকাল কারেক্টনেস আঁকড়ে বসে থাকলো । কারন ট্রাম্প বলে । ট্রাম্প সেক্সিস্ট কিন্তু ডেম দের পুরো লম্ফঝম্পটাই সেক্সিস্ম কেন্দ্রিক যেটা আদৌ ইলেকশনের পয়েন্ট ছিলনা । রিপাবলিকান মানেই সেক্সিস্ট আর ডেম রা বিশাল লিবারাল এমন তো কোনকালে না ।জাস্ট একা ট্রাম্প ওদের ত্রায়্পের মধ্যে ফেলে দিলো । এভাবে লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দিতে আর কোনো ক্যান্ডিডেট পারতনা ।
  • aka | 79.73.9.37 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:৩৯723826
  • দুর মিডিয়া ওরকম করে দেখিয়েছে। ট্রাম্প রুরাল আমেরিকায় জিতেছে, হোয়াইট নন কলেজ এডুকেটেডদের মধ্যে জিতেছে।

    হোয়াইট কলেজ এডুকেটেডদের মধ্যে হেরেছে।

    হিলারী ডাইভার্স ভোট কম পেয়েছে, আর গুরুত্বপূর্ণ কাউন্টিগুলোতে মার্জিন ঠিক রাখতে পারে নি।

    তাও মিশিগানে ১২,০০০ ভোট আর ফ্লোরিডা ক্লোজ।
  • revolutionary | 79.30.215.94 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৭723827
  • আপনিই ঠিক করুন হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে খারাপ কিনা। যারা ভোট দিয়েছে তারা খারাপ ভেবেছে বলেই দিয়েছে।

    ভোটারদের চোখ রাঙিয়ে হিলারির দিকে আনতে পারবেন বলে মনে হয় না। যদি মনে করেন রিপাবলিকানরা খারাপ তো ট্রাম্প সরকারকে ইস্যু ভিত্তিক বাঁশ দিতে আরম্ভ করুন। যেই কোন খারাপ আইন পাস করার চেষ্টা করবে, প্রবল হল্লা করুন। একেবারে ক্যাপিটালের সামনে ঢাকঢোল নিয়ে চেঁচাতে লাগুন। চাই কি ওবামাকেও ধরে আনুন চিৎকার করার জন্য। ভাবতে পারেন কি ইমপ্যাক্ট হবে? প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পুলিসের লাঠি খাবার জন্য দাঁড়িয়ে গেছে।

    এক্ষুণি সাউথ ডাকোটায় একটা তেলের লাইন পাতার জন্য একটা নেটিভ ইন্ডিয়ান রিজার্ভেশনের খাবার জলের সাপ্লাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অ্যাক্টিভিস্টরা পুলিশের হাতে লাঠি খাচ্ছে, জেলে যাচ্ছে। পুরো ডিএনসি সেখানে চলে যাক। শুধু এই ক্লিন্টনকে পাঠাবেন না। ওর মুখ দেখলে দুধ ছানা কেটে যায়।

    রোজ ট্রাম্পকে প্রশ্ন করুন, আজকে চীন থেকে কটা চাকরি ফেরত এল। আজ ওয়াল স্ট্রীটের কটা ফ্যাট ক্যাট জেলে গেল। গভর্ণরদের পাঠিয়ে দিন, হোয়াইট হাউসের প্রেস ব্রিফিঙে ট্রাম্পকে হ্যারাস করার জন্য।

    আর এসব বাদ দিয়ে যদি লোককে বুলি করার চেষ্টা চালিয়ে যান তো লোকেও আপনাদের বুলি করবে।
  • সিকি | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৯723828
  • এবং সেক্সিস্ট সেইসব মন্তব্যে অডিয়েন্সের হুল্লোড়ের ঝড়, অ্যাপ্লজ, এবং কয়েক বছর আগে জনসভায় "ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে রেপ করে দেব" মন্তব্যের জবাবে সেই সমবেত উল্লাস, সিটি, হাততালি - কোথায় যেন আমেরিকা আর ভারত পাশাপাশি দাঁড়িয়ে যায়।

    আমরা এদের চিনি না। না চিনে ভাবি, এরা আসলে এক্সিস্ট করে না।
  • Ranjan Roy | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:৫১723829
  • হিলারীর জনগণের নেতা হওয়ার ভড়ং আছে, আসলে বিগ কর্পোরেট, লিবারেল স্লোগান। (যাকে বলে মিষ্টি খচ্চর!)। ওর ক্যাপিটাল লিবারেলদের স্লোগান--শোষণের ঘায়ে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানো।
    ট্রাম্প বড় হারামি , বুলি ( ভেতরে কাওয়ার্ড)!
    কিন্তু বুক চাপড়ে বলে আমি তিলে খচ্চর! আর প্লেবিয়ান জনতার ভয়কে ক্যাপিটাল করেছে।
    খানিকটা মোদী মডেল। হিলারি খানিকটা রাহুল মডেল।
    আমরা লিবারেলরা মহা জি, মনে করি হিলারি মন্দের ভাল। নেই মামার থেকে কানা মামা। অবশ্যই হিলারি জিতলে আমরা অনেকেই (আমি শুদ্ধু) নিজেদের কম্ফোর্ট জোনে থাকতাম। যেমন মমতার জায়গায় বুদ্ধবাউ হলে, দিল্লিতে সোনিয়ারা।ঃ))
  • aka | 79.73.9.37 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৬723830
  • হিলারী খারাপ, কেন?

    মিথ্যে কথা বলে, কি মিথ্যে কথা? বেঙ্গাজী, ইমেল, ওয়াল স্ট্রীট, কত কি। একটাও কিস্যু না। এফবিআই রিপাবলিকান দের হয়ে কাজ করল। অ্যাসান্জ, পুতিন ছেয়ে ফেলল কিস্যু বেরল না।

    হিলারী খারাপ, কেন?

    আর বর বিলি বাবুর পলিসি গুলোর কথা জানো? তার সাথে হিলারীর কি সম্পর্ক?

    হিলারী খারাপ, কেন?

    ওয়াল স্ট্রীটের সাথে সম্পর্ক রাখে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হবার জন্য লড়ছে কিন্তু ক্যাপিটইস্টদের সাথে সম্পর্ক রাখবে না? না রাখলে জিতবেও না।

    হিলারী খারাপ, কেন?

    লিবিয়া যুদ্ধ করেছে। ওবামা আফগান যুদ্ধু করে নোবেল পেয়ে গেল।

    এই বেসলেস হিলারী খারাপ তত্ব শুনতে শুনতে মনে হয়। হিলারী খারাপ কারণ এই সমাজ এখনও গ্লাস সিলিঙ্গ ভাঙ্গার থেকে অনেক দুরে। নইলে মিসোজিনিস্ট, পোটেন্শিয়াল রেপিস্ট - মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে, রেসিস্ট এর সাথে কমপ্যারিসনে এসব কথা উঠতই না।

    সেটা বলতে না পেরে লোকে বহু এদিক ওদিক ত্যানা প্যাচাচ্ছে (সবাই নয় অনেকে)।

    হ্যা এর সাথে আছে কিছু লোকের পরিবর্তন চাওয়া ইত্যাদি। এমন্টাই মনে হয়।
  • aka | 79.73.9.37 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৭723831
  • চোখ রাঙ্গাবো কেন? আপনি বরম একটু চোখ কচলে দেখুন হিলারীকে বেশি লোকে ভোট দিয়েছে। সেটা আপনার পছন্দ না হয় কি করা যাবে।
  • Du | 57.184.54.93 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ১০:০১723832
  • ড্যালাসের মত শহরেও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে !
  • aka | 79.73.9.37 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ১০:১২723833
  • আর একটা শুনি ডেমরা ওয়ার্কিঙ্গ ক্লাসদের পার্টি, তাদের দিকে তাকাতে হবে, ওয়াল স্ট্রীট অকুপাই করতে হবে। এটা আবার ট্রাম্পও খানিক বলে।

    হাউ? যে জবগুলো আমেরিকান ওয়ার্কিঙ্গ মিডল ক্লাস তৈরী করেছিল সেগুলো আর নেই।

    যেমন ধরুন টেলিফোন অপারেটর, বা কাস্টোমার সার্ভিস। হয় আউটসোর্স্ড নয়ত অটোমেটেড। সেই জব গুলো আসবে কি করে? আবার আমেরিকানদের দিয়ে করিয়ে। যা দাম হবে কেউ কিনবে না। চাইনীজদের ইন্জিরি শুনতে হবে তখন বাধ্য হয়ে। হোয়াইট কলার জবই এখন ওয়ার্কিঙ্গ ক্লাস জব।

    কি করে সবাই কলেজ এডুকেশন পায় দেখুক। নতুন ইনোভেশনের কথা ভাবুক। সেই শালা ২০০ বছরের পুরনো পুন্থি ছেড়ে এখনও বেরতে পারল না বাঙ্গালী বামেরা।
  • aka | 79.73.9.37 | ১১ নভেম্বর ২০১৬ ১০:১৪723835
  • আর একটা উদাহরণ হল কার ম্যানুফ্যাকচারিঙ্গ। সবটাই অটোমেটেড, অথচ এককালে সবথেকে ভালো কাজ ছিল। আর নেই মানে ডাজ নত এক্সিস্ট।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন