এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দিদির বাংলা যেমন দেখলাম

    bip
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ | ৫৪৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 183.67.5.178 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১৯:৩৫726986
  • দিদির বাংলা যেমন দেখলাম
    (১)
    যদিও কোলকাতায় আসি বছরে বেশ কয়েকবার, কাজের চাপে, গ্রাম বাংলা বা কোলকাতা কোনটাই ঘোরা হয়ে ওঠে না। বহুবছর বাদে, এবার বেশ প্ল্যান করেই এসেছিলাম-ক্রিসমাসের সময়টা গ্রাম মফঃশহরে ঘুরবো। তৃনমূল জমানায়, বাংলার লোকজন কেমন আছে, জানার চেষ্টা করব।

    শীতের ওই দিনগুলো এমনিতেই উৎসবের পালা পর্বন। তারপরে দিদির নির্দেশে এই সময়টাতে ব্লকে ব্লকে উৎসব। পিঠেপুলি, ভ্রমন, চুনোমাছ। দিদি আক্ষরিক অর্থেই বাংলাকে উৎসবমুখর করেছেন। রাস্তায় যেতে যেতে কতশত উৎসবের পোষ্টার, ফেস্টুন। এর মধ্যে কালনার পর্যটন উৎসবে নিজে গেলাম একরাত। রাত বারোটার সময়ও দশহাজার ছেলেমেয়েরা নিরাপদে উৎসবের ইমেজে গানবাজনা উপভোগ করছে। মোদ্দা কথা দিদির বাংলায় ছেলেপুলেরাযে উৎসবের আমেজে আছে সেই নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্ত শব্দদূষনের সমস্যা আছে। যত্রতত্র যখনখুশি পিকনিক হচ্ছে। সেটা আনন্দের কথা। কিন্ত ইদানিং পিকনিকের সাথে জেনারেটর চালিয়ে হাজার ওয়াটের স্পিকার বসিয়ে নাচাগানা হয় সর্বত্র। এই একটা দৃশ্য কালনা, করিমপুর, ফলতা সর্বত্র চোখে এল। লোকজন বিরক্ত । রাতে শোয়া দায়। কিন্ত কারুর সাহস নেই এদের বিরুদ্ধে বলার। তৃনমূলের নেতা বিধায়কদেরএই দ্বায়িত্বটাও নিতে হবে। উৎসব অবশ্যই ভাল-কিন্ত তার জন্য হাজার ওয়াটের স্পিকার বসিয়ে লোকজনকে উত্তক্ত করার মানে হয় কি?

    পাশাপাশি সব শহরেই দেখলাম নাট্যউৎসব চলছে। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল এখন অনেক মুক্ত। সেইসব উৎসবে লোকও হচ্ছে অনেক।

    (২)

    রাস্তাঘাটের অবস্থা গ্রামের দিকে বেশ ভাল। রাজ্য সরকগুলির এখন তখন ( সিপিএম জমানা) মনে করলে, স্বর্গ নরকের তুলনা হয়। করিমপুর কৃষ্ণনগর, কৃষ্ণনগর কালনার রাস্তাগুলোতে অনায়াসে এখন একশো কিলোমিটার স্পিডে গাড়ি চালানো যায়। তবে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা এবং ট্রাকের সংখ্যা এখন অনেক অনেক বেশী। ফলে রাস্তা ভাল থাকা স্বত্বেও রাত ছাড়া স্পীডে চালানো যায় না। এবং ছোট ছোট শহরগুলোতে টোটোর এত দৌড়াত্ব, এই শহরগুলোতে বাইপাস না থাকলে, একটা ছোট শহর ক্রস করতেও গাড়ীগুলো আধঘন্টা টোটো ট্রাফিকে আটকাচ্ছে। এই সরকারের নেক্সট স্টেপ হওয়া উচিত, বড় বড় শহরগুলোতে বাইপাস বা ওভারব্রিজের ব্যবস্থা করা-যাতে এক্সপ্রেস ট্রাফিক শহরের বাইরে দিয়ে চলে যেতে পারে। আমেরিকাতে এটা বহুদিন ধরে আছে। এক্সপ্রেস ট্রাফিক শহরের বাইরে দিয়ে অর্ধচন্দ্রাকারে বার করে দেওয়া হয়। আশা করব, দিদি যখন এতটাই করেছেন, এই নেক্সট স্টেপটাও আগামী দশ বছরে আসতে চলছে।

    এবার আসি টোটোর কথায়। গ্রাম এবং জেলাশহরগুলিতে এখন টোটো হচ্ছে ডিফল্ট ট্রান্সপোর্টেশন। ব্যাটারি চালিত রিক্সা। ফলে শব্দ দূষন, বায়ুদূষন নেই। অনেক বেকাররা করে খাচ্ছে। সিম্পল টারিফ সিস্টেম-চড়লেই দশটাকা-যেকোন দুটো পয়েন্টের মধ্যে। টোটোগুলো সারাদিনে ৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করছে। ব্যাটারি মেইন্টেনেন্সের দরকার ছমাসে একবার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চালকই মালিক। মাসে দশ হাজার থেকে পনেরো হাজার টাকা রোজগার।

    কিন্ত সমস্যা হচ্ছে টোটোর সংখ্যা বেড়েছে অসম্ভব। রাস্তায় হাঁটা দায়। কোন রেগুলেটরি অথোরিটি নেই। তবে দূষনমুক্ত এই নিঃশব্দ বিপ্লবকে স্বাগত। আমি মনে করি প্রযুক্তিই মুক্তির আসল উপায়। কিন্ত রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা দরকার।

    (৩)

    সিপিমের ভবিষ্যত পশ্চিম বঙ্গে শুন্য। অধিকাংশ পার্টি অফিস খুলছেই না। তালাবন্ধ। শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ, কঅর্ডিনেশন কমিটি সব মৃত। নেতার মুখ বন্ধ করে বসে আছেন-কারন মুখ খুললেই ট্রান্সফার হবে আরামের শহর থেকে অনেক দূরে। জনগণ এদের বহুদিন আগেই রিজেক্ট করেছিল-শুধু হার্মাদদের দিয়ে ভোট করিয়ে ভাবত জনগন এদের সাথে। এখন পরিস্কার জনগন খুব পরিস্কার ভাবেই বুঝেছে, সিপিএম আদতে কর্মনন্য নেতাদের আখরা। সিপিএমের নেতারা তুলনামূলক ভাবে সৎ হতে পারে কিন্ত সিপিএমের আমলে আডমিনিস্ট্রেশনকে যেভাবে পঙ্গু করে রাখা হয়েছিল, তার ফল দেখেছে রাজ্যবাসী।

    প্রথমে স্কুলের কথা আসি। আমি দুজনের সাথে কথা বল্লাম। একজন হাইস্কুলের হেডমাস্টার, অন্যজন প্রাইমারী স্কুলের। জন্ম ইস্তক এদের দেখে আসছি। সিপিএম ফ্যামিলি। ডিএ নিয়ে খুশী না হলেও শিক্ষার জন্য, তৃনমূল যা করছে, তার জন্য তারা খুশী।

    প্রথমে প্রাইমারী স্কুলের কথায় আসি। আগে সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা বারোভূতে খেত। এখন ঠিক ঠাক খরচ হচ্ছে। আমি যে গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে পড়তাম, সেখানে ছিল তিনটে ঘর, বাকি গাছের তলায় আমাদের পড়াশোনা হত। সিপিএম আমলে শিক্ষকদের বেতন বাড়ছিল, কিন্ত স্কুলের কোন উন্নতি হয় নি। ফলে গ্রামের দিকেও প্রাইমারী স্কুলে ছেলে মেয়েদের না পাঠিয়ে প্রাইভেট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের রমরমা শুরু হয় সিপিএম জমানাতে। এখন আস্তে আস্তে সেটা বদলাচ্ছে। প্রাইমারি স্কুলগুলোতে সর্বশিক্ষা মিশনের টাকাতে টাইলস বসানো বাথরুম। পানীয় জলের ব্যবস্থা। পর্যাপ্ত ঘর, চেয়ার টেবল সব কিছুই হয়েছে। এগুলো নিজের চোখেই দেখলাম। সরকার পাঠ্যপুস্তকগুলোও অনেক ভাল করেছে। রিপোর্টিং কম্পুটারাইজড । ফলে আস্তে ইংলিশ মিডিয়াম থেকে আবার সরকারি প্রাইমারী স্কুলের ওপরে ভরসা বাড়ছে। সিপিএম সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ন ধ্বংস করে দিয়েছিল। শুধু শিক্ষকদের মাইনে বাড়িয়ে স্কুলগুলো বাঁচানো যেত না। দরকার ছিল পরিকাঠামো। সেই খাতে সিপিএম একদম খরচ করে নি। মমতা ব্যার্নার্জি আস্তে আস্তে সরকারি স্কুলগুলোকে পথে আনছেন।

    হাইস্কুলের অবস্থা এখন অনেক ভাল। সিপিএমের আমলে গ্রামের স্কুলের শহরের শিক্ষকরা সপ্তাহে দুদিনের বেশী স্কুলে যেতেন না। শিক্ষিকারা আবার আসতেনই না প্রায়! এবিটিএর কাছে নাকখঁত করা হেডমাস্টারমশাইরা কিছু বলার সাহসই পেতেন না। এখন স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সপ্তাহে ছদিনই দেখা যাচ্ছে। কারন স্কুল কমিটিগুলোই এখন স্কুল চালাচ্ছে-যেখানে অভিভাবকদের কথাই শেষ। হতে পারে তারা তৃনমূলের লোক। কিন্ত অভিভাবক ত বটে। সিপিএম আমলে পিটিএ বা স্কুল পরিচালন পর্ষদ ছিল ছুঁচোজগন্নাথ। শিক্ষকরা এবিটিএর শিল্ডিং পেত। এখন তা আর নেই। তৃনমূলের লোকজনের চাপেই এটা হয়েছে। অনেকেই বলছেন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। কিন্ত কি লাভ হত শিক্ষক নিয়ে যারা স্কুলেই আসতেন না? বা স্কুল বিল্ডিং এর এত দূরাবস্থা ছিল, সবাই ইংলিশ মিডিয়ামে পাঠাত ছাত্রদের ? স্কুল পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ না করে, শিক্ষক নিয়োগ করে কিই বা লাভ হয় জনগনের যেসব শিক্ষকরা স্কুলেই আসেন না? এছাড়া এখন সব বই সরকার দিচ্ছে। ফলে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সিপিএম আমলে যে বিশাল ব্যবসা হত, তা বন্ধ এখন।

    স্কুল ছাত্রদের সাইকেল নিয়ে অনেক কথা শুনেছিলাম ফেসবুকে। অনেক ছাত্র ছাত্রীদের সাথে দেখা হল। নাহ, সেসব সাইকেল চলে এবং ছেলেমেয়েরা সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। ভেঙে যাচ্ছে না মোটেও । স্কুল ছাত্রছাত্রীদের সাইকেলটা একটা নিঃশব্দ বিপ্লব।

    বিডিও এবং ব্লক পরিচালন অফিসারদের ও এখন চেয়ারে পাওয়া যায় ঠিক সময়ে। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটা নিয়মানুবর্তিতা এসেছে-যা আগে ছিল অনুপস্থিত। কলকাতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েও কাজ করানো কঠিন। পশ্চিম বঙ্গের ওয়ার্ক কালচার এতটাই খারাপ করে ছেড়েছিল সিপিএম। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা মমতা ব্যানার্জির সব থেকে বড় সাফল্য। কোলকাতায় লোকজনদের দিয়ে কাজ করানো কি কঠিন-সেটা আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি। সেখানে মমতা ব্যানার্জি সরকারি কর্মচারিদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন-সেটাযে কত কঠিন কাজ তা আন্দাজ করতে পারি।

    মোদ্দা কথা যা দেখলাম, তাতে পশ্চিম বঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আশা করা যায়। যা সিপিএম আমলে প্রায় সম্পূর্ন ধ্বংসের পথে ছিল।

    (৩)

    তবে বাচ্চাদের অবস্থা খারাপ। সেটা অবশ্য পরিকাঠামোর জন্য। বাচ্চদের খেলার গা ঘামানোর জায়গা নেই। খাচ্চে দাচ্ছে, মোটা হচ্ছে, পাঁচটা সাতটা করে প্রাইভেট টিঊটর। খেলাধূলা না করার জন্য সামান্য পড়াশোনার চাপও নিতে পারছে না। অনেকের সাথেই দেখা হল, মাধ্যমিক দেওয়ার আগেই নার্ভাস ব্রেকডাউনে। আগামি দিনের নাগরিকরা শৈশবেই মানসিক বৈকল্যের কবলে পড়লে, আগামী প্রজন্মের কি হবে?

    ছোটবেলায় যেখানে সেখানে একছটাক মাঠ ছিল-এখন সেখানে বহুতল। গোটা ভারত জুরেই প্রায় এক অবস্থা। একমাত্র যারা ধনী-ক্লাবের মেম্বার-তাদের জন্য টেনিস, ব্যাডমিন্টন কোর্ট আছে। জায়গার অভাবে নিদেন পক্ষে যোগ ব্যায়াম অন্তত চলুক।

    কোলকাতায় একমাত্র সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউন এরিয়া প্ল্যান্ড সিটি। সেখানে মোটামুটি ভাল পার্ক, হাঁটার জায়গা আছে। সাউথ কোলকাতায় লেকের ধারে ছাড়া হাঁটার জায়গা কোথাও নেই।

    এর সাথে জুড়ুন মাত্রারিক্ত শব্দ এবং বায়ুদূষন। উবের ওলার দৌলতে ইয়োলো টাক্সির সংখ্যা কিছু কমেছে। সেটা ভালর দিক। কোলকাতায় অটোবন্ধ করে ইলেক্টিক অটো বা টোটো চলুক। বাসগুলোও ইলেক্ট্রিকবাস হোক আস্তে আস্তে। জ্বালানী পোড়ানো বন্ধহৌক। সবার রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে নিশ্চয় হবে।

    কোলকাতা এখন রাতে অনেক সুন্দর। রাস্তার দুধারে মায়াবী নীল আলোতে সুন্দরী কলকাতা যেন সত্তরের দশকের বলিউডি হেলেন। এটলিস্ট একটা ভদ্র আধুনিক শহর বলে মনে হয়। সাথে সাথে যদি পরিবেশটাও পরিস্কার রাখা যায়, কোলকাতা এগোবে আরো বেশী।

    (৪)

    সাম্প্রদায়িকতা বিশাক্ত সাপের মতন ফনা তুলছে। প্রতিটা হিন্দু ফ্যামিলিতে ধূলাগড় নিয়ে আলোচনা। কতশত লাশ নাকি রাস্তায় পড়ে আছে। অবশ্য এক্সাক্টলি কি করে কেউ এসব জানল, সেটা নিতে প্রশ্ন করলে, উত্তর নেই। সাম্প্রদায়িক গুজবের ফানুস বাতাসে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে তীব্র আবেগে তৃণমূল সিপিএম বিজেপি ভেদাভেদ নেই। মুসলমান বিরোধিতার ভোটটা শুধু বিজেপির বাক্সে পড়ছে না-কারন বিজেপির নেতা নেই। তাছাড়া ওটা এখনো উত্তরভারতীয় গোবলয়ের পার্টি বাঙালীদের কাছে। ফলে বিজেপি এখনো মমতার কাছে সেই অর্থে কোন থ্রেট না। কিন্ত বিজেপির উত্থানের সব মশালা প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত। অপেক্ষা শুধু ভাল নেতার। "স" মার্কা দিলীপ ঘোষ মার্কা নেতা দিয়ে বঙ্গ বিজয় হবে না। অন্তত একজন ভাল বাঙালী নেতার দরকার বিজেপিতে-যা তাদের নেই এই মুহুর্তে।

    মমতা ব্যানার্জির সব ভাল কাজ জলে যাবে যদি না তিনি সাম্প্রদায়িকতাকে কড়া হাতে দমন করতে ব্যর্থ হন। অপারেশন বর্গার ফলে অনেক সম্পন্ন হিন্দু পরিবার মুসলমান ভাগচাষিদের কাছে জমি বেচতে বাধ্য হয়েছিল। সেই রাগটা ছিলই। এখন নানান গুজবে, প্রচারে সাম্প্রদায়িকতার বিশাক্ত সাপ ফোঁস ফোঁস করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার যা চিরকাল ধরেই হয়ে এসেছে-ফেসবুকের কল্যানে এখন তা ঘরে ঘরে। এর সাথে মুসলমা জঙ্গি, আইসিসিস ইত্যাদির হাত ধরে পোলারাইজেশন খুব বাজে জায়গায়। আগে হিন্দুদের একটা অংশ মুসলমানদের দেখতে পারত না। সাম্প্রদায়িকতা বিরোধি প্রচুর হিন্দু ছিল। যাদের অধিকাংশই ছিল সিপিএম। এখন প্রায় পুরো অংশটাই মুসলমান বিরোধি। এদের অনেকেই আদি সিপিএম। বিজেপির খাতায় নাম লেখাতে বাকী আছে শুধু।

    সিপিএমের ভাঙন অব্যহত থাকলে হিন্দু ভোট আস্তে আস্তে বিজেপিতে জড় হবে-যদিও সেটা কঠিন করে তুলেছে, বিজেপি নিজেই-যাদের ক্যাডাররা ভীষন ভাবেই অসন্তুষ্ট দিল্লীর ওপরে।

    এই পোলারাইজেশনটা আজ না হলে কাল হতই। এখন বেশ দাঙ্গার আবহে বিরাট আকার নিয়েছে, যদিও এই ধরনের হিন্দুরা ভোট টা এখনো মমতা ব্যানার্জিকেই দিচ্ছেন। কারন আর যাইহোক দিদি কাজ করবেন এই আস্থাটা এখনো আছে। কিন্ত সিপিএম সম্পূর্ন ধ্বংশ হলে আখেরে লাভ বেশী বিজেপির, ক্ষতি তৃনমূলের।

    সিপিএম যে সম্পূর্ন অপদার্থ ছিল, সেটা দিদি হাতে নাতে করে দেখিয়েছেন। কিন্তু সেটাই না আবার তৃণমূলের কাল হয়। কারন সিপিএম ধ্বংশ হলে, সেই ভোট টার অধিকাংশ যাবে বিজেপিতে। আমি শুনলাম সেটা নাকি তৃনমূল বুঝেছে। তাই তারাই তাগদা দিচ্ছে সিপিএমের লোকেদের পার্টি অফিস খুলতে। অহ, এই দিনটা আসতই।
  • manish | 113.242.199.162 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:২৫727044
  • বিপ,
    নিজের বিচি চুল্কুঅও অমিরিকয় বোস
  • anish | 113.242.199.162 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:২৭727055
  • ইপ,\নিজের বিচিহ চুল্কও অমেরি্কয় বসে
  • dc | 181.49.206.49 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:৩৪727066
  • খাবার টাবার কি খেলেন? আমি ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা যাব, এখ্ন থেকেই খাবারের লিস্টি বানানোর কথা ভাবতে শুরু করেছি। খাওয়াদাওয়ার ব্যপারে কলকাতা ভারতের বেস্ট ডেস্টিনেশান।
  • dc | 181.49.206.49 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:৪৩727077
  • আচ্ছা কলকাতায় নাকি ওলা আর উবেরের রাইড অন্য শহরের থেকে বেশী দামী? আমাকে একজন বললো, কেউ জানেন নাকি?
  • avi | 57.15.0.65 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:৪৫727088
  • লিস্টি শেয়ার করুন দিকি ডিসি। কাজের কাজ হবে।
  • bip | 183.67.5.178 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩:২৮727099
  • বাঙালী রেস্টুরেন্ট চারটে ট্রাই মেরেছিঃ

    ১) ফিশ ফিশ -শুধু মাছের পদ। দেশি বিদেশী। দেশিপদ্গুলো তাও ঠিক আছে-বিদেশীগুলো নেই
    ২) ভজ হরি মান্না-আমি সেক্টর ফাইভেরটাতে শুধু খেয়েছি। বাঙালী রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে এটাই নাম্বার ওয়ান।
    ৩) কশে কষা -কিছু পদ পারে, কিছু পারে না। মোচার ঘন্ট, এঁচোর পারে না। কষা মাংস ও গুলিয়েছে। বাকী সিম্পল বাংলা পদগুলো ঠিক আছে।
    ৪) ৬ বালীগঞ্জ প্লেসের থালি। খুব ভাল রান্না না।

    আমার কাছে মোচার ঘন্ট, কাঁচ কলার কোফতা, এঁচর হচ্ছে বাঞালি রেস্টুরেন্টের এসিড টেস্ট। এখনো পর্যন্ত ভজহরি মান্না সবগুলোতে পাশ করেছে। বাকীরা সবাই ফেল।

    এছারা রেকোমেন্ডেড ঃ
    ১) আই টি সি সোনার বাংলাতে বাফে লাঞ্চ
    ২) তাজ বেঙ্গলে ইলিস উৎসবের সময় ইলিসের পদ। এখন নেই। তবে ওদের কোন না কোন থিম থাকে।

    আমি ছিলাম ভারতে ৫ সপ্তাহ-তার মধ্যে দুসপ্তাহ মোটে কোলকাতায়। বাকী এক সপ্তাহ গ্রাম বাংলায় ছুটি নিয়েছিলাম। অন্য দুই সপ্তাহে ঘুরেছি, ব্যাঙ্গালোর, মাদুরাই, পুনে আর জয়পুর। জয়পুরে অথেন্টিক রাজস্থানি খাসির মাংস খেয়েছি। বাকী সব ভেজ। শহরটা ভাল, কিন্ত খাওয়ার জন্য খুব খারাপ। পুনেতে রাস্তার ধারের সব খাবারই বেশ ভাল। ব্যাঙ্গালোর মাদুরাই হাইওয়েতে অনেক ভাল দক্ষিনী দোকান আছে-ওদের থালি ও বেশ ভাল।
  • ক্যাম্পা কোলা | 131.241.218.132 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩:৩৩727110
  • মাইরি, এঁচোর, মোচা, কাঁচকলার কোফতা খেতে যদি রেস্তোরাঁয় যেতে হয়...
  • bip | 183.67.5.178 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩:৪০727121
  • না, রেস্টুরেন্টে যেতে হয় না। বাবা মা বন্ধু বান্ধব সবাই ভালোই বাংলা পদ খাইয়েছে। কিন্ত যদি কেউ বাঙালী রেস্টুরেন্ট ট্রাই মারে। কোলকাতায় বিরিয়ানির স্বাদ অসাধারন বলে আমার কখনোই মনে হয় নি। আর কোলকাতায় এসে নিশ্চয় উত্তর ভারত বা দক্ষিন ভারত বা ইটালিয়ান খাব না। ধাবার খাবার বললে, ডেফিনিটলি শের ই পাঞ্জাব, কোলাঘাটের কাছে। এবার ও দুবার খেলাম খরগপুরে যেতে যেতে।
  • বিপ | 183.67.5.178 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩:৪৭726987
  • ইনফ্যাক্ট কোলকাতায় ক্লায়েন্ট এমপ্লয়ি বন্ধু বান্ধব -সবাইকে ট্রিট দিতে হলে, বাংলা রেস্টুরেন্টেই নিয়ে যাই আমি। এবারো উত্তর ভারতের দুই ছোকরাকে শেখালাম, বাঙালী ভেজ পদ, ভারত সেরা। কারন ওদের ধারনা ছিল বাঙালী শুধু মছলি খায়। যদিও নন ভেজ পদের ক্ষেত্রে একই দাবি করব না। যেদেশে থাকব, সেই দেশের খাবার খাওয়াটাই বুদ্ধিমান। ব্যাঙ্গালোরে নিশ্চয় ওহ, ক্যালকাতাটে খাব না। ওখানে রাস্তার ধারের ধোসা ফাস্টফুড বা দক্ষিন ভারতীয় থালি বা মালাবার বিরিয়ানি-যাহা লোকাল, তাহাই টেস্ট করব। আমি টেক্সাস বা নাব্রাস্কা গেলেও এক কাজ করি। একদম ফ্রাঞ্চচাইজিতে যাই না-লোক্যাল রেস্টুরেন্ট লোকাল টেস্ট খুঁজি।
  • Arpan | 195.13.106.209 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৪:০৯726998
  • ইসে, ধোসা না, দোসা।

    গ্লোবাল লোকজন উচ্চারণটা ঠিক করে করবে না কেন?
  • h | 52.110.172.99 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৪:৪৩727009
  • --পিসি মা কাশীতে কি দেখলেন?
    --কাশীতে গিয়া জা বড় বড় বাগুন খালাম জানো মাহন খাতি সি
  • dc | 181.49.206.49 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:১৯727020
  • হ্যাঁ খাওয়ার লিস্টি একটা বানিয়ে ফেলা যাক। এবার চার দিন থাকার কথা, যাওয়া আর আসার দিন বাদ দিয়ে।

    একদিন দুপুরে শ্যামবাজারে কষা মাংস আর পরোটা খাবার ইচ্ছে আছে। আর যদি শ্যামবাজার না যাওয়া হয় তো পার্কসার্কাসে বিফ পরোটা। আগে হলে এর সাথে লস্যি বা একটু রাবড়ি খেয়ে নিতাম, কিন্তু এখন তো মিষ্টি খাওয়া মানা ঃ(

    কোন একদিন বিকেলে ফুচকা, আলুরদম আর আলুকাবলি খাবো। আরেকদিন চিকেন রোল, আরেকদিন কাঠি রোল।

    এছাড়া বেগুনি, পেঁয়াজি আর মুড়ি মাখা। ফিশ ফ্রাই আর কবিরাজি কাটলেট। আর বিরিয়ানি তো অবশ্যই।

    আর ভবানিপুরের সেই গলির ভেতরের গলি, তার ভেতরে যে ছোট্ট রেস্টুরেন্টটা সেখানে একদিন দুপুরে মোমো, চপ স্যুই আর নুডুল খাবো।

    একটা দিন আইটিসি বাংলা বা ওহ ক্যালকাটায় যেতেও পারি, দেখা যাক। একদিন ট্যাংরাতেও যাবার ইচ্ছে আছে। তবে কলকাতা গেলে আমি স্ট্রিট ফুড বা এক্কেবারে ছোট ভাতের হোটেল টাইপের জায়গাগুলোতে খাবার চেষ্টা করি।
  • dc | 181.49.206.49 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:২২727031
  • টিবেটান ডিলাইট। নামটা মনে পড়ছিল না।
  • ranjan roy | 24.99.196.103 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:২৮727039
  • বাঁশদ্রোনীর পাড়ায় চার চারটে ফুচকার কিওস্ক। বেশ ভীড়। কিন্তু সবগুলোতেই মশলা ও জলে ধনেপাতা দেওয়া। কী আপদ! সব কটাকে জিগ্যেস করে হতাশ। আমার ধনেপাতায় এলার্জি!
  • dc | 181.49.206.49 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:৩৫727040
  • নানা আমি পাতি বাঙালি ফুচকা খাবো। যাদবপুর গড়িয়াহাটে যেরকম পাওয়া যায়। আর ওনাদের কাছেই আলুর দমও পাওয়া যায়।
  • umesh | 72.254.195.217 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:৩৭727041
  • ডায়াবেটিক দের শুধু মিষ্টি নয়, যেকোনো হাই লেভেল কার্বোহাইড্রেট ফুড থেকে দুরে থাকা উচিত।
    সাথে ফ্যাটি ফুড থেকেও। ডায়াবেটিক দের জন্যে হাই কোলেস্টোরেল লেভেল একদমই ঠিক নয়।

    তবে তার সাথে একটা কথা, ডায়াবেটিক দের কোনো কিছুই পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়াটাও ঠিক নয়, এমনকি মিষ্টিও। মানসিক ভাবে রোগী রোগী মনে হতে পারে। তাই সব কিছুই খাও, সময় বুঝে আর পরিমান বুঝে। তাতে মনে দুঃখ থাকে না, আবার শরীর ঠিক থাকে।
  • dc | 181.49.206.49 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:৪০727042
  • হুঁ, মানসিক ভাবে যাতে রুগি না মনে হয় সেজন্যই কলকাতা ঘুরে যাওয়াটা জরুরি :p

    তবে উমেশ ঠিক বলেছেন। ওপরের লিস্টটা কতোটা কি পুরন করত পারবো জানিনা ঃ(
  • bip | 183.67.5.178 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৬:০৩727043
  • একদিন দুপুরে শ্যামবাজারে কষা মাংস আর পরোটা খাবার ইচ্ছে আছে। আর যদি শ্যামবাজার না যাওয়া হয় তো পার্কসার্কাসে বিফ পরোটা।
    >>
    Tried both but felt overrated.
  • @dc | 133.242.242.16 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৬:৫৬727045
  • আপনার লিপিড প্রোফাইলও খারাপ, মাংস সাবধানে খাবেন ঃ)
  • dc | 181.49.206.49 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৭:১০727046
  • কি মুশকিল মাইরি ঃ(
  • sm | 53.251.91.253 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৭:১৩727047
  • শান্তিতে খেতেও দেবেনা দেখছি!
  • cm | 127.247.96.113 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৭:৪৯727048
  • ফুলকপির সিঙারা? ফেলু মোদকের ডায়াবেটিক সন্দেশ বেশ।
  • @DC | 167.48.29.199 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:০৯727049
  • আপনি আর আমি একই পথের পথিক এই রাস্তায় তাই মনে করলাম, অন্য কোন উদ্দেশ্যে নেই।
  • dc | 181.49.206.49 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:১২727050
  • আরে বুঝতে পেরেছি, নো হার্ড ফিলিংস। আমিও একটু মজা করলাম ঃ) তাছাড়া বুঝতেই পারছেন, ওপরের লিস্টিটা একটু উইশ ফুলফিলমেন্ট টাইপের। অতো খেলে দেখতে হবে না, তাই ওগুলোর মধ্যে প্রায়োরিটি সেট করতে হবে।

    cm কে ধন্যবাদ, ফুলকপির সিঙারাও লিস্টিতে ওঠালাম।
  • ক্যাম্পা কোলা | 233.191.37.200 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:১৪727051
  • সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে "দি আই উইদিন" বলে একটি পাব আছে। তার সামনে সিঙাড়া ভাজে - ফুলকপির সাথে বাদামও। হেব্বি খেতে।
  • dc | 181.49.206.49 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:১৬727052
  • বেশ তাহলে সেটায় ট্রাই নেবো।
  • avi | 57.15.189.128 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:২৫727053
  • ডিসি, কলকাতায় থাকছেন তো? ভোর রাত্তিরে বেরোতে পারবেন? তাহলে ভোর চারটের সময় নাখোদা মসজিদের পাশে পরোটা আর নেহারি দিয়ে দিনটা শুরু করুন। প্রথম দিন শুধু উত্তর মধ্যে মন দিন, গোটা কলকাতা চরবেন না মোটেই। নেহারি খেয়ে মনের সুখে ক্যানিং স্ট্রিটে হেঁটে আসুন, ওল্ড সিনাগগ বা হাওড়া ব্রিজের নিচের ফুলের বাজার ঘুরে ব্রাবোরন রোড হয়ে পোদ্দার কোর্টের দিকে আসুন। সকাল ৬টায় সেন্ট্রাল এভিনিউএর রাণা প্রতাপের মূর্তির আগে দেখবেন রাস্তার ধারে টগবগ করে দুধ ফুটছে, এক ভাঁড় মেরে দিন। তারপর গোঁফ থেকে সর মুছে চলে আসুন কলেজ স্কোয়ার। এসময় দারুণ চন্দ্রমল্লিকার কলেকশন দেখুন, পাক খান, লাফিং ক্লাব দেখে হাসুন। ৮টা বাজলে আপনার সামনে পুঁটিরামের কচুরী আর ডাল চলে আসছে। এবার কিছুক্ষণ কলেজ স্ট্রিটে পুরোনো বই দেখতে পারেন, তেষ্টা পেলে প্যারামাউন্ট গিয়ে ডাবের শরবত চার্জ করুন। দুপুরে শ্যামবাজার যেতে পারেন, কিন্তু গোলবাড়ির কষা মাংস সত্যিই একটু নামে কাটে ইদানিং। আমি দুটো অপশন দেব। হেদোর পাশে ব্লসম আছে, ভালো কাবাব, মটন রোগন জুস আর কাশ্মীরি পোলাও খেতে পারেন, ভেটকি বেকড প্রিপারেশনটাও দিব্যি। নয়তো প্রেসির পাশে ঊড়ের হোটেলে যান, এর নাম স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল। মাছগুলোও ভালো বানায়, কিন্তু ছাগলের ঝোলটা দ্য বেস্ট, পুরো লটনের মটন। বেরিয়ে মহাত্মা গান্ধী রোডে যেখানে উঠবেন, দাঁড়িয়ে ডাব আর পান খেয়ে নিন। এবার ইচ্ছে হলে বিধান সরনী থেকে সিটি কলেজ যাওয়ার মুখে কপিলের শরবত খেতেও পারেন, বা নাও পারেন। হেদো থেকে হাতিবাগান গেলে অবিশ্যি একটা ভজহরি মান্না পাবেন, কিন্তু ওটা পরের দিন দক্ষিণের জন্য তোলা থাক। হাতিবাগান বরং বিকেলের দিকে আসুন। দুপুরের খাওয়া হজম হলে হাতিবাগানের মোড়ে লেবানিজ রোল খাবেন নাকি একটু আগে লক্ষ্মীনারায়ণ সাউ থেকে রকমারি তেলেভাজা সেটা টস করে ঠিক করুন। এবার খান্না পেরিয়ে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের দিকে গেলে বিশ্বসেরা চাট ও ফুচকা পরপর পেয়েই যাবেন, পসন্দ আপনা আপনা। বিকল্প হিসেবে গিরীশ পার্ক মেট্রোর ঠিক পাশে নিরঞ্জন আগারে ডিমের ডেভিল চার্জ করলেও চলবে অবিশ্যি, তাহলে বিডন স্ট্রীট আর সেন্ট্রাল এভিনিউ ক্রসিংএর মিষ্টির দোকানটায় একভাঁড় লাল দই খেয়ে নিন, কলকাতার সেরা। এবার বলুন, গলা ভেজাবেন? সটান চৌরঙ্গি আসুন। সাহেবপাড়ার জৌলুস আর একটুও নেই অবশ্য। তাও, এই তল্লাটে শেষ করতে চাইলে এদিকেই আসা ভালো। বাইরে একটা কাঠি রোল খেয়ে ঢুকে পড়ুন। কোনটায় যাবেন এবার আপনার দায়িত্ব ও সিদ্ধান্ত। :))
  • Rit | 57.11.83.73 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:৫৪727054
  • এটা একদিন গাইডেড ট্যুর হোক।
  • dc | 181.49.206.49 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৯:০৮727056
  • অভির অসাধারন পোস্টটা পড়ে বেশ খানিকটা নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। নাখোদা মসজিদের রুটি, পরোটা আর সিঙ্গাড়া কতোদিন খাইনি! আর মটন রোগান জুসটা ভালো সাজেশান দিয়েছেন, মাংস যদি নাও খাই তো অন্তত জুসটা একদিন মেরে দেওয়া যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন