এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আদর্শ নারী মাগি ও অন্যান্য

    Soumit Deb লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ মার্চ ২০১৬ | ৯১০০ বার পঠিত
  • আদর্শ নারীঃ

    ইহা তৈয়ার করিতে দশটি উপায় গ্রহণ করিতে হয়।

    ১ শাসন- ছোট থেকেই তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে তুমি মেয়ে। তুমি একটা এমন প্রানী যার সমস্ত স্বাভাবিকতা আসলে ভীষন গোপনীয় ও না হলেই ভালো হত। স্বাধীনতা মানে হলো পনেরোই আগস্ট।

    ২ আদর- অন্য কোনো অপশন না দিয়ে আগেই পুতুল, রান্নাবাটি, ইত্যাদি এনে দেওয়া। তাছাড়া সেই ছোট বয়সেই “ভালোবেসে” তাকে সংসার সংসার খেলায় অনুপ্রেরণা দেওয়া, বউ সাজিয়ে ছবি, যা মিষ্টি লাগছিলো!

    ৩ আরও শাসন- এবার একেবারে গেঁড়ে মাথার ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে, যে যেহেতু তুমি মেয়ে তাই তুমি তোমার স্বাভাবিকতা গোপন রাখবে। দাদা চিল্লিয়ে বলতেই পারে মা আমার স্যান্ডো কই, তুমি কানের আছে এসে ফিস্ফিস করে বলবে, “ব্রা” কোথায়। কারণ “ব্রা”, “প্যান্টি” ভালো শব্দ নয়।

    ৪ ভীষণ শাসন- তুমি এই ভাবে হাঁটুর ওপর ফ্রক তুলে ঘুরতে পারোনা মেয়ে, এটা বোঝার চেষ্টা করো! এরপর যখন মাসতুতো দাদা মোলেস্ট করবে তখন প্রতিবাদ করারও মুখ রাখবেনা দেখছি!

    ৫ পিরিয়েড- বৈবাহিক সম্পর্কে রেপ হয়না, হতে পারেনা, ঠিক সেই ভাবেই এটা যে তোমার হয় সেটা ভুলে থাকবে। পারলে নিজেকেও বলবেনা যে পিরিয়েড হয়েছে। কাউকে ছোঁবেনা। এ একেবারে নিঘিন্নি ব্যাপার। একদম বলবেনা, কাউকে বলবেনা। চুপ! চুপ! চুপ!

    ৬ সাবধানতা- পৃথিবীর সমস্ত ছেলে আসলে ওঁত পেতে বসে আছে শুধু রেপ করবে বলে। তোমায় বুঝতে হবে আত্মীয় ছাড়া বাকি সব্বাই তোমায় যৌনতা মেশিন বলে ভাবে। তুমি বুক পেট যোনী সমন্বীত এক জীব, আর বাকি দুনিয়া লোপুপ! সাবধান! অবিশ্বাস ঢুকিয়ে নাও দেখি নিজের ভেতর আচ্ছাসে! ঘেন্না কোরো তো পুরুষ জাতটাকে, দেখি ক্যামন পারো। ভালো করে ঘেন্না করো।

    ৭ পোষাক- নেহাত ওদের ধর্ম নাহলে বোর্খাই রেফার করা যেত। ওটা যখন হচ্ছেনা, তখন দেখো যতটা ঢেকে রাখা যায়। জিন্স কেবল ফ্যামলির সাথে পূরী গেলে তখন। যে নেকড়েদের কথা বল হলো তারা ভদ্র পোষাক দেখলে সম্ভ্রমে সরে যায়।

    ৮ বিয়ের বয়স- পিরিয়েড স্টার্ট হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিয়ে না হয়ে যাওয়া অব্দিই গোটা সময়টাই। এবার মন দিয়ে শোনো এতদিন ধরে যে ঘেন্না জমাতে শিখিয়েছি, সেটা একজন পুরুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তোমায় যারা দেখতে আসছে তাদের মধ্যে যার সাথে তোমায় ইচ্ছে না থাকলেও যৌনতা করতে হবে সে।

    ৯ দেখাশোনা- ভালো করে প্রোডাক্ট সেজে এসো দেখি মা! পড়াশুনা? আচ্ছা হাঁটো, বসো, হেসে হেসে উত্তর দাও। এই যে এতদিন পড়াশুনো করালাম, পয়সা খরচা করে নাচ গান আবৃত্তি, গলাভারী গান গাইতে শেখালাম, শুধু এইদিনটার জন্যেই কিন্তু! পাশ করতেই হবে!

    ১০ সিঁদুর- বরই তোমার ধর্ম, সে দরকার পড়লে অনিচ্ছাকৃত যৌনতা চালাবে তোমার সাথে, তুমি স্পিকটি নট। তার সম্পত্তি হওয়ার ট্রেডমার্ক হিসেবে মাথায় সিঁদুর আর বিষ্যুদ বার পাঁচালী পড়বে। পুরুষমানুষরা একটু ওরকম হয়। গয়না শাড়ি দিচ্ছে তো! আর কি চাও? এরপর তোমার দুর্ভাগ্যবশত মেয়ে হলে, তাকেও এই ভাবে তৈরী করবে।

    মাগিঃ

    এরা মদ সিগারেট খায়, ছোটোছোট পোষাক পরে, দুই বা ততোধিক প্রেম করে। মুখ খারাপ করে, ছেলেবন্ধু করে। চাকরি বাকরি শিক্ষা ইত্যাদির দিকে একটা ঝোঁক থাকে। ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রতি আকৃষ্ট। এদের সাথে প্রেম করা যায় কিন্তু জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বিয়ের জন্যে ইহারা উপযুক্ত নহে। কারণ ইহারা ও ইহাদের স্বাভাবিক মনে করা ও সমর্থন করা “ভেঁড়ুয়া” পুরুষরা বিভিন্ন অমুলক প্রশ্ন করে।

    যেমন পোষাক নিয়ে বলা হলে বলে

    একজন স্যুট পরিহিত পুরুষকে ধরে নেওয়া যাক কিছু সমকামী পুরুষ রেপ করলো, তবে এক্ষেত্রে দায়টা কার?

    আচার আচরণ নিয়ে বলা হলে বলে

    তাহলে রাস্তার পাগলীরা প্রেগনেন্ট হয় কি করে?

    সংস্কৃতি নিয়ে বলা হলে প্রশ্ন তোলে

    ক্যানো? মেয়েটাই ক্যানো সিঁদুর পরবে? তাহলে ছেলেটাও নাকছাবিটাবি পরুক নাকি? আমি যদি কারোর সম্পত্তি হই তাহলে সেও তো আমার সম্পত্তি!

    নিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলে

    ছেলেটার মা-বাবা বেশি ইম্পর্টেন্ট সেটা কে ঠিক করলো? আমি যদি বাড়ি ছেড়ে বেরোই তাহলে সেও আসুক। নাহলে দুই-জনই নিজের নিজের বাবা-মাকে নিয়ে একসাথে থাকি।

    আর তাই এদের মোলেস্ট বা রেপ করা হলে মোলেস্টার বা রেপিস্টকে সরাসরি আক্রমন করা যায়না, কারণ এরা মদ সিগারেট খায়, ছোটোছোট পোষাক পরে, দুই বা ততোধিক প্রেম করে। মুখ খারাপ করে, ছেলেবন্ধু করে…

    থিয়োরিঃ

    ছেলে-পার্সপেকটিভ

    “ও একটা মেয়ে”- ভীষন বন্ধু হলেও একটা মেয়ে। ছোটবেলা থেকে চিনলেও একটা মেয়ে! ও ব্রা পরে। ও নিচু হলে ওর বুক দেখা যায়। ওর পিরিয়েড হয়। আমায় খালি লক্ষ্য রাখতে হবে ওর গায়ে হাত দিলে যেন বুঝতে না পারে, বন্ধু বিষয়টা মন থেকে বেরিয়ে গ্যাছে, কারণ ও একটা মেয়ে। জামা উঠে গেলে না তাকিয়ে করবোটা কি? আরি আমি তো ছেলে! আর জামাটা ঠিক নিতে বলবো? ইল্লি নাকি? ও একটা মেয়ে তো রে বাবা! বেশি মর্ডান হয়ে কাজ নেই। আর অসভ্যতা তো করছিনা কোনো!

    মেয়ে পার্সপেকটিভঃ

    “আমি একটা মেয়ে”- ছেলেটা ভীষন বন্ধু হলেও আমি একটা মেয়ে। ছোটবেলা থেকে চিনলেও আমি একটা মেয়ে! আমি ব্রা পরি। নিচু হলে আমার বুক দেখা যায়। আমার পিরিয়েড হয়। আমায় খালি লক্ষ্য রাখতে হবে ও গায়ে হাত দিলে যেন বুঝতে না পারে আমি বুঝতে পারছি ওর মন থেকে বন্ধু বিষয়টা বেরিয়ে গ্যাছে, কারণ ও একটা ছেলে। জামা উঠে গেলে তো তাকায় ও। আরি আমি তো মেয়ে! আর জামাটা ঠিক নিতে বলবে? ইল্লি নাকি? ও একটা ছেলে তো রে বাবা! বেশি মর্ডান হয়ে কাজ নেই। আর অসভ্যতা তো করছেনা কোনো! পরে “পুরুষ” বলে গালাগাল করে দেওয়া যাবেক্ষন।

    কনক্লুশনঃ

    মনে রাখতে হবে...

    “মেয়ে এবং ছেলেদের ভেতর পার্থক্য কেবল চেহারাগত। আর কোনো তফাৎ নেই থাকতে পারেনা, থাকা সম্ভব নয়।

    ছেলেদের এই পৃথিবীতে যতটা অধিকার
    আছে মেয়েদেরও ঠিক ততটাই। এককণাও বেশি বা কম নয়।

    বন্ধুত্বের লিঙ্গ নির্ধারন করা আসলে এক ধরণের মানসিক সমস্যা

    একটা ছেলে যে যে কাজ করতে পারে একটা মেয়েও ঠিক সেই সেরই কাজ গুলোই করতে পারে।

    এরা দু-জনেই মানুষ!

    এদের কাউকেই আলাদা করে দুঃচ্ছাই বা পূজো করার কোনো মানে নেই শুধুমাত্র লিঙ্গ বায়াসড হয়ে।

    মেয়ে মানেই যেমন মাল নয়, পুরুষ মানেই সেরকম ঘেন্না নয়

    এইটে বিশ্বাস করতে হবে যে সমস্ত ছেলেরা মেয়েদের হয়ে কথা বলে তারা ভেঁড়ুয়া নয়। পুরুষদের সাথে এরকম কিছু হলেও তারা পুরুষদের হয়েও কথা বলতো। কিন্তু পুরুষ ভ্রুণ হত্যা হয় কি?

    সুন্দর দেখতে লাগলে মানুষ মাত্রেই তাকায়। তার মানে কনুই মারা নয়। সেটা মাসলম্যান-হৃত্বিক-লুকএলাইকদের দুপায়ের মাঝে হাঁটূ দিয়ে সপাটে তারিফ দেওয়ার চাইতে কোনো অংশে কম নয়”-

    ...এই সমস্ত আসলে আসলি দুনিয়ায় হয়না। হতে পারেনা। কারণ ছোট থেকে মানুষদের পুরুষ বা নারী হতে শেখানো হয়। মানুষ হতে নয়। যাক গে যাক আট-ই মার্চ যেন কি বার পড়েছে?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ মার্চ ২০১৬ | ৯১০০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    Lookআচুপি - Soumit Deb
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • o+ | 78.63.145.192 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৩:১৮55932
  • কে কি ভাববে তার তোয়াক্কা না করে একটা কথা লিখেই যাই। কলকাতার এক কলেজে পড়ার সময় আমি প্রথম কোএডে পড়ি। প্রথম বছরের একটি পরীক্ষা বাদ দিয়ে বাকি প্রতিটি পরীক্ষাতেই সবার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছি। কেউ আমায় বলেনি মেয়ে বলে বেশি পেয়েছি। মাস্টারমশাইরাও আমাকে দেখিয়ে ছেলেদের লজ্জা দেওয়ার চেষ্টা করেননি। ঐ তিনবছরের মধ্যেই সহপাঠীর সাথে প্রেম হয়েছে। আমার চেয়ে পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে সেই নিয়ে ইগো ছিল না। নব্বই দশকের শেষে এইসব ছেলেরাও কলকাতা শহরেই ছিল। তারা আমায় কোনদিন বৈষম্য বুঝতে দেয়নি। এত কথাই যখন হচ্ছে তাদের কথা না লিখলে অন্যায় হবে। অকৃতজ্ঞতা নয়, অন্যায়। কৃতজ্ঞ হওয়ার মত কিছু তারা করেনি, আমিও করছি না।
  • o+ | 78.63.145.192 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৩:২৩55933
  • আর হ্যাঁ, বিষয়টি ছিল অঙ্ক সম্পর্কিত।
  • o+ | 78.63.145.192 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৩:৩৮55934
  • অভ্যুকে, মারিয়মকে চেনেন বা মারিয়মের সাথে কাজ করেছেন এমন কেউ যদি এসব কথা না বলে থাকে তাহলে তো চিন্তার কারন দেখি না। স্ট্রে ডগ তো থাকবেই। সে নিয়ে ভেবে লাভ? যে মারিয়মকে কাজ করতে দেখেছে সে যদি ভাবে মেয়ে বলে প্রাইজ পেয়েছে তাহলে বিপদ। যে দেখেনি সে তার ভাবনাচিন্তা মত কথা বলেছে। তার সাথে কাজ করতে করতে যখন আরেকজন মারিয়ম বা ছোট মারিয়ম বেরিয়ে আসবে তখন সে আর বলবে না। সব কিছু তো তত্ত্ব দিয়ে হয় না। অনেকেই এক্সপেরিয়েন্স থেকে শেখে। মেয়ে ড্রাইভারদের নিয়ে ছেলেদের যে অপরিসীম তাচ্ছিল্য - বহু লিবেরাল মানুষকেও এই নিয়ে খিল্লি করতে দেখি - সে কি কটা স্ট্যাটিসটিক্স দিয়ে বদলাবে? যত মেয়ে ড্রাইভ করতে তত বদলাবে। যে বাচ্চার মা তাকে ছোট থেকে ড্রাইভ করে সব জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে সে নিশ্চয়ই বড় হয়ে এমন ভাববে না। মেয়েদের সব কিছু করার অধিকার এসেছে এখনও একশো বছরও হয়নি। এইটুকু সময়ের মধ্যেই মেয়েরা অনেকখানি এগিয়েছে, ছেলেরাও। দুটোকেই অ্যাকনলেজ করতে হবে।
  • a | 55.123.218.56 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৩:৫৩55903
  • দু একটা বিচ্ছিন উদাহরন দিয়ে যুক্তি দেখানো চলবেনা।অলিম্পিকে যে ছেলেটা লাস্ট হয় সেও ফার্স্ট মেয়েটার থেকে জোরে ছোটে। প্রকৃতি ছেলে এবং মেয়েদের নির্দিষ্ট কিছু ফিচার দিয়েছে এবং দুজনেই কিছু কিছু বিশেষ কাজে পারদর্শী।মেয়েরা কেন ছেলের কাজ করতে চাইছে ? কারন তারা যে কাজে পারদর্শী সেই কাজে উপযুক্ত সম্মান পাচ্ছে না। আপনার বাড়ীর কাজের জন্য স্ত্রী কে সম্মান দিন। এপ্রোচ টা এমন হয়া উচিৎ ছেলেরা ভারী এবং শক্ত কাজ গুলো করবে এবং মেয়েরা সূক্ষ ও ধৈর্য্যের কাজ গুলো করবে এবং দুজনেই সমান মর্যাদা পাবে। তা হলেই তো ছেলে মেয়ের মারপিট শেষ হয়ে যায়।1. An average man is taller and heavier than an average woman. 2. Men have more bodily hair than women do, especially on the chest and extremities 3. Women are more sensitive to sound than men 4. Men are over 30% stronger than women, especially in the upper body. Although many feminists cannot face this fact, females simply do not have the strength or endurance necessary to be, for example, effective combat soldiers. 5. On average, girls begin puberty changing approximately two years before boys. 6. Men have larger hearts and lungs, and their higher levels of testosterone cause them to produce greater amounts of red blood cells 7. Differences in intake and delivery of oxygen translates into some aspects of performance: when a man is jogging at about 50% of his capacity, a woman will need to work at over 70% of her capacity to keep up with him. 8. Female fertility decreases after age 35, ending with menopause, but men are capable of making children even when very old. 9. Men’s skin has more collagen and sebum, which makes it thicker and oilier than women’s skin 10. Women generally have a greater body fat percentage than men. 11. Men and women have different levels of certain hormones; for example, men have a higher concentration of androgens such as testosterone, while women have a higher concentration of estrogens. 12. An average male brain has approximately 4% more cells and 100 grams more brain tissue than an average female brain. This is not connected with intelligence! Research points to no overall difference in intelligence between males and females. However, both sexes have similar brain weight to body weight ratios. 13. In men, the second digit is often shorter than the fourth digit, while in females the second tends to be longer than the fourth 14. Men have better distance vision and depth perception, and usually better vision in lighted environments. Women have better night vision, see better at the red end of the light spectrum, and have better visual memory.
  • ranjan roy | 24.97.104.227 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৯55904
  • a,
    আপনার তৈরি করা প্রোফাইলটি নিয়ে আরও একটু এগিয়ে ভাবুন।ছেলে মেয়ের শারীরিক সীমাবদ্ধতা মেনেই।
    একটা কাজকে কেবল ছেলেদের বা মেয়েদের না ভেবে শুধু কাজ হিসেবে ভাবা যাক। যে পারবে সে করবে, যে পারবে না সে করবে না।
    তাহলে?
    ১) ঘর গেরস্থালীর কাজঃ
    ছেলে মেয়ে দুজনেই তো পারে। রান্নাবান্না, কাপড়/বাসন/ঘর ধোয়া ইত্যাদি। এটা শুধু মেয়েদের কাজ কেন হবে?
    ২) বাচ্চার দেখা শোনাঃ
    শুধু কয়েকমাস ব্রেস্ট ফিডিং ছাড়া সবগুলোই ছেলেরাও করতে পারে। তাহলে সেটা শুধু মেয়েদের দায়িত্ব কেন হবে?
    ৩) যে কোন রেজা বা ক্ষেতের কাজ করা মহিলা বা স্টেশনে মোট বওয়া মহিলা কুলি রঞ্জন রায়ের মত পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি ওজন তুলতে পারে। কাজেই শারীরিক সক্ষমতার প্রশ্নটি বোধহয় আপেক্ষিক।
    ৪) বিশেষ দক্ষতাঃ
    চিকিৎসা, অধ্যাপনা, রিসার্চ, বিজনেস ,রাষ্ট্রপরিচালন, সৈনিকের কাজ, পুলিশের কাজ, ট্রেন চালানো, প্লেন চালানো, গাড়ি চালানো, বাইক চালানো, জুডো/ক্যারাটে-- সবগুলোতেই সুযোগ পেলে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে কম নয়--দেখা গেছে।
    আসল কথা হল সুযোগ দেওয়া। পিতৃতন্ত্র কাঠামো দেবে না।
    ঈশ্বর দেশ চালানোর জন্যে শ্বেতাঙ্গদের সৃষ্টি করেছেন, কালো মানুশদের সেই স্বাভাবিক ক্ষমতা নেই--এটা যেমন কলোনিয়ল মাইন্ডসেট।
  • sm | 53.251.90.199 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৪:৪০55905
  • রঞ্জন বাবু আপুনি একটু পিছিয়ে আছেন। একটা হিসেব দেই, ডাক্তারিতে মেয়েদের সংখ্যা গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।হ্যা, ভারতেও। আর পুরুষ পেশেন্ট; মহিলাডাক্তার তো বটেই, সার্জেন দের কাছে টকাটক অপারেশন ও করিয়ে নিচ্ছে।ইউ কে র, জি এম সির একটি রিপোর্ট।
    The number of women joining UK medical schools continues to outnumber men – our figures show that in 2012, 55% of medical students were female. However, the growth in the number of female medical students is slowing, from a peak of 61% in 2003.
    দেখাযাচ্ছে গত দশকেই মেয়েদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল; এখন আবার আস্তে আস্তে সমতায় ফিরে আসছে।ইনফ্যাক্ট সব ইউনিতেই অধিকাংশ ডিসিপ্লিনে মেয়েদের সংখ্যাধিক্য।
    এবার আসি দেশের কোথায়, যশোর রোড দিয়ে; এয়ারপোর্ট থেকে বারাসত অবধি প্রচুর মহিলা ট্র্যাফিক পুলিশ চোখে পড়ল।ভালো পরিবর্তন।
    এস এস সি পরীক্ষা চালু হবার পর সফল মহিলা শিক্ষিকার সংখ্যা বোধহয় ছেলেদের চাইতে বেশি।
    এবার আসি , ক্রিয়েটিভ ক্ষেত্রে। জগতে পেন্টার হোক বা রাঁধুনি । পুরুষেরা কিন্তু কয়েক গোলে এগিয়ে।
    এক্ষেত্রে পুরুষেরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা যে বেশি; তার প্রমান, আবহমান কাল ধরেই দিয়ে চলেছে। দেখা যাক ট্রেন্ড পাল্টায় কিনা!
  • TB | 118.171.130.188 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৫:১১55935
  • মেয়েদের অঙ্ক্ঘটিত ব্যাপারটা বোধায় জিন-এ ভালভাবে ঢুকে গেছে। সক্ষমতার কথা বলছি না, হীনমন্যতার কথা।

    মার্কিন দেশে স্কুলছাত্র-ছাত্রী দের পড়া ঘটিত সেমিনারে এক পুরুষ এডুকেটর বাপ-মাদের বললেন, ভুলেও মেয়েদের বলবেন না, তোকে দিয়ে অংক হবে না। বেশির ভাগ মেয়ে ওটা দিলপে নিয়ে নেয়।
    ব্যাপারটা একটু হাল্কা করতে বলেন, আমরা ছেলেরা ইস্টুপিড, এক কান দিয়ে যা শুনি অন্য কান দিয়ে বের করে দি, কিন্তু মেয়েরা অমন নয়।

    এক ঘন্টার বক্তব্যে বেশ কিছুবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বল্লেন একই কথা।
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৫:২২55907
  • "আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল;" - আশঙ্কাজনক কেন? এগুলো তো স্পেশালাইজড স্কিল
  • dc | 132.164.16.164 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৫:২৮55908
  • এই কথাটা চমৎকার লাগলোঃ একটা কাজকে কাজ হিসেবে দেখা, এবার সেই কাজটা যে পারবে সে করবে। এরকম ভাবতে পারলে বোধায় স্টিরিওটাইপ ভাঙ্গার দিকে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া যায়।
  • sm | 53.251.88.140 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৫:৩১55909
  • যেকোনো বিষয়েই সমতা থাকা জরুরি।যখন কেরালায় পুরুষ /নারী অনুপাত ১০০০/৯০০ এর মতন হয়; সেটাকে আশঙ্কাজনক বলাহয় বৈকি।যদিও এসব ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অতটা গুরুতর নয়। আপনি "উল্লেখযোগ্য" শব্দবন্ধ টিও ইউস করতে পারেন।
  • sm | 53.251.88.140 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৫:৪২55910
  • আমাদের আমলে যদুপুরে মেকানিক্যালে, মেয়েদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে কম ছিল। একশোর ওপরে ছেলে আর মেয়ের সংখ্যা কুল্যে দুটি!
    আবার আর্টস লবি তে দেখতাম উল্টো চিত্র। যাকে বাংলায় বলে "পরিস্থিতি"।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৬:১০55936
  • আমি কোলকাতার কথা এখানে লিখিনি। এদেশের কথা লিখেছি। কোলকাতার কথা এখনকার বা নব্বইয়ের দশকের স্কুল কলেজের ব্যাপারে আমি জানি না।
    আগেও বলেছি যে মেয়েদের এই পিছিয়ে থাকবার ব্যাপারটা পৃথিবীর সব দেশে কমবেশি আছে, বিভিন্ন ফর্মে।
    আরো একটা কথা। সেটা ঠিক সমানাধিকারের ব্যাপার নয়, অন্য টপিক। সব কিছুই কে অঙ্কে কত ভাল, এই দিয়ে তার বুদ্ধি বিচার করার পদ্ধতি আমি বিশ্বাস করি না। এমন মানুষ চিনি, জানি, যে অঙ্ক তেমন পারে না, কিন্তু বুদ্ধিতে কম নয়। সেই ব্যক্তি মেয়ে কি ছেলে সেটা অপ্রাঙ্গিক।
    পুরোনো প্যাঁচাল ইত্যাদি প্রসঙ্গেও ঐ একই কথা। যেগুলো লিখলাম তা বর্তমান এবং অতীত দুটো মিলিয়েই।
    ইন্সটিটিউশনালাইজড ডিস্ক্রিমিনেশন রয়েছে, সেটা গ্রাম ও মফস্বলের স্কুলের মেয়ে ও ছেলেদের সিলেবাসের অসামঞ্জস্যই প্রমাণ। এদেশে।
    ভারতেও আছে, হোম সায়েন্স। মেয়েদের জন্য।
    অ্যামেরিকাতে প্রচুর মেয়ে হোম স্কুলিং করে। হোম স্কুলিং করে কত জন উচ্চশিক্ষায় যেতে পেরেছে বা সাকসেসফুলি শেষ করতে পেরেছে, জানতে পারলে ভাল লাগবে। তবে আমার উদাহরণগুলো ভারত ও অ্যামেরিকায় সীমাবদ্ধ ছিল না। এদুটো দেশের বাইরেও দুনিয়ায় আরো দেশ আছে। সেসব দেশেও জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন ইন্টিটিউশনালাইজড, এবং নিকট পরিবার পরিজনও সেই সিস্টেমের বাইরে নয়।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৬:১২55911
  • হ্যাঁ। কেন এমন আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি? তলিয়ে ভাববার সময় এসেছে কি আসেনি?
    আমি আমার এখানকার কথা লিখতে পারি। শুনলে অদ্ভুত লাগে।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৬:১৮55912
  • লেখাটা ক্লিশে লাগল। ভাল মন্দ কিছুই লাগল না।

    বরং নীচের মন্তব্যের আলোচনাটা ভাল লাগছে।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৬:২২55913
  • ডিসি,

    ঐ কথাটা শুনতে ভাল। মুশকিল হল বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ঐ ছুঁচের ফাঁক দিয়ে হাতি গলে যায় বা করলেও। 'আমি তো রান্না করতে পারি না' বা করলেও এমন বদখত করা, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা সব যাতে অন্যজন 'আহা ও পরে না ঐটা আমাকে করতে হবে মরি আর বাঁচি' ভেবে নিতে বাধ্য হন।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৬:৪৬55914
  • আমার এখানে ইউনিভার্সিটিতে যারা পড়তে আসে তাদের মধ্যে মফস্বল বা গ্রামের দিক থেকে আসা মেয়েদের সংখ্যা কম এবং তাদের মধ্যে অনেকেই বেশিদূর যেতে পারে না। ফেল করতে থাকে। কারণ বেস ভালো নয়। এর কারণ অনেক। তার মধ্যে মুখ্য কারণ হচ্ছে ছোট শহর গ্রাম ইত্যাদিতে মেয়েদের প্রথম থেকেই বোঝানো হয় যে তাদের পরে সংসারের কাজটাই ঠিক করে করতে হবে। শুধু বাড়িতে নয়, ইস্কুলেও। ছেলেদের সাবজেক্ট আলাদা, মেয়েদের আলাদা। মেয়েরা অঙ্ক কি বিজ্ঞানে উৎসাহ দেখালে তাকে বিদ্রূপের শিকার হতে হয়। টিনেজাররা এতে খুবই প্রভাবিত হয়। ইস্কুলে তাদের হোম সায়েন্স গোছের বিষয়ের দিকে ঠেলে দেন টিচাররাই। এগুলো সমাজের মূলে গেঁথে আছে। যে মেয়েটা রাজি হল না, তাকে রেবেল হিসেবে দাগানো। সব কিছু না মেনে যে মেয়ে শহরে চলল ইউনিভার্সিটিতে পড়তে, তার প্রতি বাড়ির লোকের অসহযোগিতা, কোনো খরচ না দেওয়া। মেয়ে গুলো চাকরি জুটিয়ে নিয়ে শহরে থাকা খাওয়া পড়াশুনোর খরচ চালায়। ফলে পিছিয়ে পড়তে পড়তে একসময় হাল ছেড়ে দেয়।
  • dc | 132.164.16.164 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫২55915
  • d এটাও ঠিক বলেছেন। তবে রঞ্জনবাবু বোধায় ঠিক এই প্রেক্ষিতে বলেননি, যারা মনে করে যে কিছু কাজ ছেলেদের আর কিছু কাজ মেয়েদের তাদের বলেছেন। কাজ কাজই, তার কোন ছেলেমেয়ে উঁচুনীচু বাছবিচার নেই সেটাই বক্তব্য।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫৬55916
  • ছেলেরা রান্না করতে পারেনা বা ভালবাসেনাটা বাজে কথা। মাইনে পেলে ঠিকই করে। নাম করা করা রাঁধুনি শেফ ঘরে বৌয়ের রান্না খায়। ঘরের কাজ করায় "সম্মান" কম, ওগুলো মেয়েলি কাজ।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫৭55917
  • আমাদের বাড়ীতে দীর্ঘকাল রান্নার ঠাকুর রান্না করত।
  • ranjan roy | 24.97.62.101 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৮:১১55918
  • d এবং dc ,
    হ্যাঁ, আমি শারীরিক ভাবে বা প্রকৃতিগত ভাবে এটা ওর কাজ নয় বা সেটা ওদের জন্যে ভাল--এই স্টিরিওটাইপ ভাঙার উদ্দেশ্যেই বলেছি।
    তবে d বোধহয় ব্যক্তিগত ভাবে আমার ফাঁকিবাজি জানে বলেই ওই কথাটা বলেছে।ঃ)))

    sm,
    আমি বোধহয় ঠিক মত বোঝাতে পারিনি।
    ব্যাপারটা আদৌ অ্যাবসলিউট টার্মসে মেয়েরা কোন পেশায় বেশি আসছে তা নয়। আমি বলতে চাইছি সামাজিক নির্মাণের কথা।
    গাঁয়ের দিকে যখন লিঙ্গ ও যৌনতার ফারাক নিয়ে ওয়ার্কশপ করি (তাতে ছেলে মেয়ে সবাই থাকে ) তাতে প্রতিভাগীদের অবচেতন থেকে এই উত্তরগুলিই আসে।
    যতই সম্পন্ন পরিবারে ঠাকুর রান্না করুক বা টিভিতে জনৈক কাপুর রান্নার রেসিপি দিতে থাকেন , গাঁয়ের মেয়েরা ( দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ) ভাবেন --রান্না/ছেলে মানুষ করা মেয়েদের কাজ।
    অফিসে চাকরি করা, ড্রাইভারি, পুলিশ/আর্মিতে চাকরি ছেলেদের।
  • S | 78.109.243.1 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৯:১০55937
  • আরে ধুর এগুলো লোকে সবসময়ই করে থাকে। আপনি মেয়ে বলে আপনাকে বলবে মেয়ে বলে পেয়েছে। অন্য কাউকে বলবে বসের বন্ধুর ছেলে বলে পেয়েছে। বা একই ইস্কুলে পড়তো বলে পেয়েছে। দেখতে ভালো বলে পেয়েছে। হেব্বি তেল মারে বলে পেয়েছে। আরো কত কি? এতো কথা মাথায় রাখতে গেলে তো পৃথিবী এগোবে না।

    কিন্তু অপুর্চুনিটির ব্যাপারটা আলাদা। কোনো মেয়ে অন্কে ভালো হলে আমি তাকে অন্ক বা ফিজিক্স বা স্ট্যাট নিয়ে পড়তে বলবো। যদি জানি কালকে বিয়ে হয়ে যাবে, তবুও তাই বলবো।

    আবার এমন কিছু মেয়ে দেখেছি পড়াশুনায় ভালো, তাদেরকে চারপাশের সক্কলে মিলে বলছে ভালো করে পড়াশুনা করতে, কিন্তু না সে বিয়ে করে সংসার করবে। কি মুশকিল? কিন্তু কিচ্ছু করার নেই, সেইটা তার নিজস্ব ইচ্ছে।
  • S | 78.109.243.1 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৯:১৩55938
  • প্রসংগত, ২০১৪ র আমেরিকার ম্যাথ অলিম্পিয়াড টিমের একজন হোম স্কুল্ড ছিলো।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৯:২০55939
  • তাহলে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত হৈল।
    অতঃপর প্রমাণিত।
    যাই, বিয়ে করে আসি এবার। থুড়ি, ঘুমোতে চল্লাম।
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ১১:২৮55919
  • মেয়েরা অঙ্ক কি বিজ্ঞানে উৎসাহ দেখালে তাকে বিদ্রূপের শিকার হতে হয়। টিনেজাররা এতে খুবই প্রভাবিত হয়। ইস্কুলে তাদের হোম সায়েন্স গোছের বিষয়ের দিকে ঠেলে দেন টিচাররাই।
    ---
    এটা একবারেই মানতে পারলাম না। আমাদের ব্যাচে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীতে; সবচেয়ে ভালো অঙ্ক পারতো একটি মেয়ে।টিচাররা তো আমাদের আওয়াজ দিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তুলেছিল।লজ্জায় ভালো করে, মেয়েটির দিকে তাকাতে পর্যন্ত্য পারতাম না। যাকে বলে একেবারে "পরিস্থিতি"।
    যাকগে,এখন তো দেশে বিদেশে ফিনান্স,হিউম্যান রিসোর্স,সফট ওয়ার ইন্দাস্ত্রী তে মেয়েদের বিশেষ রমরমা।
    উপার্জনেও সমষ্টিগত ভাবে ছেলেদের থেকে এগিয়েই থাকবে হয়তো।
    সুতরাং বাড়িতে পয়সা দিয়ে বাসন মাজা, কাপড় কাচা ইত্যাদি কাজের জন্য পুরুষ কাজের লোক রাখলেই হয়।
    কিন্তুক, মনে হয় হাজব্যান্ড বা স্বামী নামক জীবটি উক্ত কর্ম গুলি না করলে; মন শান্তি পাবেনা।
    যাকে বলে একেবারে "পরিস্থিতি"।
  • sosen | 177.96.109.223 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ১১:৩৯55940
  • ব্যাস যাও সবে নিজ নিজ কাজে।
  • S | 108.127.145.201 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ১১:৪৩55920
  • অন্কে ভালোরও আবার ছেলে-মেয়ে?
  • avi | 125.187.41.249 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ১১:৪৪55921
  • হুঁঃ, সীমান্তে সৈন্যবাহিনী প্রাণ দিচ্ছে, আর আপনারা এসব নারী পুরুষ নিয়ে মাতামাতি করছেন! মনে রাখবেন, সীমায় সেনা না থাকলে দেশে একটিও নারী থাকতো না।
  • de | 24.139.119.171 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ১১:৪৯55922
  • হ্যাঁ, সব মেয়েরা বেড়া টপকে টপকে পাল্যে যেতো ঃ))
  • robu | 213.99.211.81 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ১২:৪১55923
  • মেয়েরা অঙ্ক কি বিজ্ঞানে উৎসাহ দেখালে তাকে বিদ্রূপের শিকার হতে হয়। টিনেজাররা এতে খুবই প্রভাবিত হয়। ইস্কুলে তাদের হোম সায়েন্স গোছের বিষয়ের দিকে ঠেলে দেন টিচাররাই।
    ---
    এটা একবারেই মানতে পারলাম না। আমাদের ব্যাচে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীতে; সবচেয়ে ভালো অঙ্ক পারতো একটি মেয়ে।টিচাররা তো আমাদের আওয়াজ দিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তুলেছিল।লজ্জায় ভালো করে, মেয়েটির দিকে তাকাতে পর্যন্ত্য পারতাম না। যাকে বলে একেবারে "পরিস্থিতি"।

    ------------------------------------------------------------------------------------------

    কী লজ্জার কথা বলুন তো!! মেয়েরা ভালো অঙ্ক করছে!! এত একেবারে হওয়ায় উচিত নয়। কী করে সম্ভব! টিচাররা তো আওয়াজ দেবেনই। একটা মেয়ে! ভালো করছে! অঙ্কে। এ কী সহ্য করা যায়?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন