এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মকবুল ফিদা হুসেন - জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য

    Bishan Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১০৮৭৪ বার পঠিত
  • বিনোদবিহারী সখেদে বলেছিলেন, “শিল্পশিক্ষার প্রয়োজন সম্বন্ধে শিক্ষাব্রতীরা আজও উদাসীন। তাঁরা বোধহয় এই শিক্ষাকে সৌখিন শিক্ষারই অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছেন। শিল্পবোধ-বর্জিত শিক্ষা দ্বারা কি সমাজের পূর্ণ বিকাশ হতে পারে?” (জনশিক্ষা ও শিল্প)

    কয়েক দশক পরেও, পরিস্থিতি বদলায় নি। হয়তো, কিছুটা অধঃপতনই হয়েছে।

    শিল্প বা শিল্পীর প্রতি সাধারণ মানুষের অবজ্ঞা বা অনীহা চোখে পড়ার মতো। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও, যাঁরা এমনকি বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিষয়ের চর্চা করে থাকেন, তাঁরাও রীতিমতো গর্বের সাথে বলে থাকেন, মডার্ন আর্ট নিয়ে আমি ইন্টারেস্টেড নই। সত্যি বলতে কি, ছবিটবি আমি তেমন বুঝি না, এই কথাটা বেশ আঁতলেমি করে বলা যায়। আর এর থেকেই বোঝা যায়, চিত্রশিল্প বিষয়ে আমাদের অবজ্ঞার শিকড় ঠিক কতোখানি গভীরে।

    অথচ, শিল্পশিক্ষার প্রয়োজন শুধুমাত্র শিল্পী তৈরী করার জন্যে নয়। শিল্পরস অনুভবের জন্যেও এই শিক্ষা সমান জরুরী। আমাদের প্রাত্যহিকতার মাঝেই যে সুন্দর লুকিয়ে থাকতে পারে, তার অনুধাবনের জন্যে কিছুটা আর্ট এপ্রিসিয়েশনের দীক্ষা থাকা জরুরী। নান্দনিকতার বোধ ছাড়া মানুষ কি সম্পূর্ণ হতে পারে!!

    সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে, কোনো জায়গায় কোনো বন্ধু বেড়াতে গেলে, তার কয়েকশো ছবি আমাদের দেখা হয়ে যায়, বা বলা ভালো, দেখে ফেলতেই হয়। সেই সুন্দরের অভিঘাত কয়েক সেকেন্ড মাত্র। আমাদের মেঘ ঢেকে যায় লক্ষ জিবি ডিজিটাল জাঙ্কে। যিনি ছবি দেখলেন, আর যিনি বেড়াতে গিয়ে ছবি তুলে আনলেন, দুজনের কারোরই মনের মধ্যে, সেই সুন্দরের দীর্ঘমেয়াদী কোনো প্রভাব রইলো কি?

    তা-ই যদি থাকতো, তাহলে আমাদের পারিপার্শ্বিক কি এমন অবাধে ছেয়ে যেতে পারতো কুৎসিত অসুন্দরে?? বেমানান অট্টালিকা গজিয়ে উঠতে পারতো কি হেরিটেজ বিল্ডিং-এর পাশে? শতাব্দীপ্রাচীন সৌধের গায়ে লাগানো যেতো মন্ত্রীর পছন্দের রঙের পোঁচ?

    শিল্পকে ভালোবাসাও তো এক আজন্ম সাধনা। অবনীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “দুই ধরণের সাধনা থেকে এক দল হল আর্টিস্ট অন্য দল হল রসিক। আর্টিস্ট হবার তপস্যা এবং আর্ট বিষয়ে সমঝদার হওয়ার সাধনা - দু দিকেই রস উপভোগের সঙ্গে অনেকখানি কর্মভোগ জড়ানো রইলো তবে হল মানুষ পাকা আর্টিস্ট বা পাকা সমঝদার। এই দুই দল, আর্টিস্ট ও সমঝদার - এরা দুজনেই ক্রিয়া করছে বিভিন্ন রকম কিন্তু ফল পেতে চলেছে এক। রস পাওয়া নিয়ে কথা - খেলা করে রস, খেলা দেখে রস।” (রস ও রচনার ধারা - বাগীশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী)

    অবন ঠাকুর কথিত সাধনা যদি কিঞ্চিৎ জটিল হয়, নিদেনপক্ষে নিয়মিত শিল্পকলা দেখার অভ্যেসটুকু থাকলেও, অন্তর্নিহিত নান্দনিকতার বোধখানা জাগ্রত হয়, আশেপাশের জগৎটা দেখার নজর বদলে যায়, তার লাভও কিছু কম নয়।

    পশ্চিমী দেশে শৈশব-কৈশোর থেকেই বিভিন্ন আর্ট গ্যালারী দেখাতে নিয়ে যাওয়ার চল রয়েছে। সে দেশের ছিমছাম মনোমুগ্ধকর শহর রাস্তাঘাট ইত্যাদির পেছনে, আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি, এই অভ্যেসের ভূমিকাও কম নয়।

    দুর্ভাগ্যজনক, আমাদের দেশে, সুপ্রাচীন শিল্প-ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও, আমরা শিল্প বিষয়ে চূড়ান্ত নিস্পৃহ। আমরা একগাদা পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে তৃতীয় শ্রেণীর সিনেমা দেখতে মাল্টিপ্লেক্স যাই, আরো একগাদা পয়সা খরচ করে পপকর্ন কিনি, তবু বছরভর পসরা সাজিয়ে বসে থাকা আর্ট গ্যালারী যাওয়ার কথা ভাবি না। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে ইন্টিরিয়ার ডিজাইনার দিয়ে ড্রয়িং রুম সাজাই, তবু সামান্য কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে উঠতি প্রতিভাবান শিল্পীর ছবি সংগ্রহ করে সেই দেওয়াল আলো করি না।

    যাক গে, এতো গৌরচন্দ্রিকা যে প্রসঙ্গে, সেই কথায় আসা যাক।

    আজ হুসেন, অর্থাৎ মকবুল ফিদা হুসেনের জন্মদিন।

    স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষের সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্রকর, খুব সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও বটে, তাঁর জন্মদিনটির উল্লেখমাত্র নেই কোনো মিডিয়ায়।

    ১৯১৫ সালে, আজকের দিনটিতে জন্ম হয়েছিলো তাঁর। মহারাষ্ট্রের পান্ধারপুরে, যদিও শিকড় গুজরাটেই। শৈশবেই হারান মা-কে। মাদ্রাসায় ক্যালিগ্রাফি শেখার সময় আগ্রহ জাগে চিত্রশিল্পে। বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বাই। তাঁর আঁকা ক্যানভাসের চেয়ে কিছু কম বৈচিত্র‍্যপূর্ণ নয় তাঁর জীবন।

    শোনা যায়, বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বাইয়ের ফুটপাথে যখন থাকতেন তিনি, তার উল্টোদিকে একটা বড়ো বিলবোর্ড আঁকা হচ্ছিলো। বিলবোর্ড আঁকিয়েরা দুপুরের খাবার খেতে যান রঙ-তুলি ফেলে। ফিরে এসে দেখেন, তাঁদের কাজ শেষ করে রেখেছেন, ফুটপাথে থাকা একটি ছেলে। হ্যাঁ, কোনো গ্রিডের ব্যবহার ছাড়াই, বিলবোর্ড আঁকা শেষ।

    জানি না, এই ঘটনা সত্যি, না কি নিছকই মিথ। হুসেন মানুষটাই তো মিথে ঢাকা। লার্জার দ্যান লাইফ। জীবনের প্রতি মুহূর্তে, যিনি চমকে দেবেন আমাদের।

    শৈশবে মা-হারানো যিনি আজীবন খুঁজে যাবেন নিজের মাকে। অন্য নারীর মধ্যে। আর, যেহেতু মায়ের মুখ তাঁর মনে পড়ে না, তাই তাঁর ক্যানভাসের নারীদের মুখাবয়ব, ফেসিয়াল ফিচার্স রয়ে যাবে অনির্দিষ্ট অস্পষ্ট, আমরণ।

    রাজ্যসভার সেলিব্রিটি সাংসদ হিসেবে, যিনি মৌন থাকলেও (সব সেলিব্রিটি সাংসদই তো মুখে কুলুপ এঁটেই থাকেন), নিজের অভিজ্ঞতা ছবির ভাষায় সাজিয়ে তার নাম দেবেন সংসদ উপনিষদ।

    বলিউডি ফিল্মের বিজ্ঞাপন আর বিলবোর্ড এঁকেই তাঁর প্রথম জীবন কেটেছিলো। আর, তার প্রভাব স্পষ্ট হুসেনের বাকি জীবনের ছবিতে। বৃহদায়তন ক্যানভাসে কাজ, দ্রুত লম্বা তুলির আঁচড়, কয়েকটি তুলির টানেই ছবিকে স্পষ্ট ভাষা দেওয়া। হ্যাঁ, কোনো এক জায়গায়, হুসেন মিনিমালিস্ট, অসম্ভব নিজস্ব রঙ-আঙ্গিকের ব্যবহারের পরেও।

    দুশো বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের অনিবার্য অঙ্গ, নিজস্ব অতীত ঐতিহ্য বিষয়ে শ্রদ্ধা হারানো, বা হারাতে বাধ্য হওয়া৷ ভারতবর্ষও ব্যতিক্রম নয়। দেশজোড়া স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম অংশ হিসেবেই শুরু হয় আমাদের অতীত শিল্প-ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের শিল্প-আন্দোলনও। বেঙ্গল স্কুল অফ আর্টের এই শিল্প রেনেসাঁ-র পুরোধা ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। তাঁর ছায়া রয়ে যায় কয়েক দশক জুড়ে।

    স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাথে, দেশভাগ দাঙ্গা অনিশ্চয়তার মুহূর্তে, প্রয়োজন হয় নতুন শিল্পভাষার। আর, তাছাড়া, বেঙ্গল স্কুলের প্রাচ্য আঁকড়ে অতীতচারিতার সময় তখন বিগতপ্রায়। পশ্চিমে, ইম্প্রেসানিজম কিউবিজম মডার্নিজম সুররিয়ালিজম নিত্যনতুন পরীক্ষানিরীক্ষার স্রোত আছড়ে পড়ে এই দেশেও। প্রসঙ্গত, উল্লেখ করি, ভারতীয় ছবিতে আধুনিকতা আনার একটা বড়ো কৃতিত্ব রবীন্দ্রনাথের। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, তিনি তেমন করে আধুনিক এক শিল্প-আন্দোলনের জন্ম দিতে পারেন নি। হয়তো একেবারে শেষ বয়সে ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন, সেই জন্যেই, শিল্পের অন্যান্য ক্ষেত্রের তুলনায়, চিত্রশিল্পে রবীন্দ্রপ্রভাব বৃহত্তর ক্ষেত্রে অনুপস্থিত।

    ফ্রান্সিস নিউটন সুজা আর মকবুল ফিদা হুসেনের নেতৃত্বে সৃষ্টি হয় নতুন এক যুগের। তৈরি হয়, বোম্বে প্রোগ্রেসিভ আর্ট গ্রুপ। পরবর্তীকালে যাঁরা এই গ্রুপে যোগ দেন, তাঁরা সকলেই আধুনিক ভারতীয় চিত্রকলার কিংবদন্তী। তায়েব মেহতা, আকবর পদমসি, রামকুমার, সৈয়দ রাজা, কৃষেণ খান্না সবারই উত্থান এই প্রোগ্রেসিভ আর্ট গ্রুপ থেকেই। এঁরা প্রত্যেকেই স্বক্ষেত্রে স্বরাট, এবং ভারতীয় ছবির আন্তর্জাতিক বাজারের, অন্তত আর্থিক অঙ্কের হিসেবে, অনেকটাই এঁদের সুবাদে।

    আশ্চর্য এইটাই, যে, একই আর্ট গ্রুপের অন্তর্গত থাকলেও, এঁরা প্রত্যেকেই নিজস্বতা রাখলেন অটুট। এঁদের মধ্যেও, হুসেন অনন্য, কেননা পাশ্চাত্য চিত্রাঙ্কন রীতির সাথে দেশজ লোকশিল্পের আঙ্গিক বা দেশীয় কন্টেন্ট এমন করে মেলাতে সফল হওয়া, প্রায় নজিরবিহীন।

    বিনোদবিহারী বলেছিলেন,
    “শিল্প-সৃষ্টির মোটামুটি তিনটি পথ -
    ১. সমাজের ব্যাপক তাৎপর্য সম্বন্ধে চেতনা।
    ২. সমকালীন অবস্থা-ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত শিল্পের আঙ্গিক।
    ৩. ধ্যান-ধারণার পথে স্বতঃস্ফূর্ত জ্ঞানের সাহায্যে শিল্পসৃষ্টি।
    এই তিনটি আদর্শ একে অন্যের পরিপূরক বললে ভুল হবে না।” (শিল্প-জিজ্ঞাসা)

    এই তিনটি পথেই সিদ্ধিলাভ করার প্রায় অনন্য নজির হুসেনের। আর, তার সাথে, ছবি আঁকার সবকটি মাধ্যমেই তাঁর অনায়াস, অলৌকিক দক্ষতা।

    যাক সে কথা, হুসেনের জীবন বা তাঁর চিত্রকলা নিয়ে বিশদ আলোচনা এই শ্রদ্ধার্ঘ্যের উদ্দেশ্য নয়। সেই জ্ঞান বা পাণ্ডিত্যও আমার নেই।

    শিল্পীবন্ধু বা গ্যালারির সাথে যুক্ত মানুষ যাঁরা, তাঁদের কাছ থেকে কিছু গল্প শুনেছি। খ্যাতির শীর্ষে উঠেও, খালি পায়ে (তাঁর অন্যতম বিশেষত্ব) চাঁদনি চকের রাস্তায় হেঁটে সাবির হোটেলে চায়ে ডুবিয়ে পরোটা খাওয়ার গল্প। কিম্বা, মেট্রো রেলের সুবাদে গর্তে ভরা কলকাতায়, বহুতল বিল্ডিং-এর উঁচু তলায় কর্পোরেট বড়ো কর্তার পার্টি থেকে মুখ্য আকর্ষণ হুসেনের নিখোঁজ হয়ে, কাদায় ভরা খন্দ পার হয়ে মজুরদের ঝুপড়িতে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়ার গল্প। মিতবাক, মৃদুহাস্যময় মানুষটি, সাধারণ মানুষের সংস্পর্শচ্যুত হন নি কখনো। নতুন আঁকিয়ের প্রদর্শনীতে অনেকসময় পৌঁছে যেতেন, অপ্রত্যাশিতভাবেই। প্রশংসায়-উৎসাহে ভরিয়ে দিতেন পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের।

    বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে এক্সিবিশন করতে বলা হলে, আটচল্লিশ ঘন্টার নোটিশে, রাত জেগে, নাওয়া খাওয়া ছেড়ে, গ্যালারি ভরিয়ে তোলেন নতুন চিত্রকর্মে।

    আবার, দরাজ হৃদয় মানুষটি, স্রেফ ভালোবেসেই, গ্যালারির মালিককে দিয়ে যান তাঁর একগুচ্ছ অনবদ্য ড্রয়িং।

    দেশকে ভালোবাসতেন। খুব খুউউব গভীর আর নিবিড় সেই ভালোবাসা। ষাটের দশক থেকেই, পশ্চিমী উন্নত দেশ থেকে এসেছে নাগরিকত্ব গ্রহণের আমন্ত্রণ। নিলে, হয়তো, খ্যাতি ছড়াতে পারতো আরো বেশী দূর পর্যন্ত। সেই সত্তর দশকের শুরুতেই তো পিকাসোর সাথে যৌথ এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

    না, তিনি দেশ ছেড়ে যান নি।

    তিনি জানতেন, দেশ আর দেশের মানুষের মধ্যেই তাঁর শিকড়৷ সেই মাটির রসসিঞ্চন ব্যতিরেকে, তাঁর ছবি অসম্পূর্ণ, প্রাণহীন। দেশের সংস্কৃতি, অতীত ঐতিহ্যকে তিনি প্রকৃত অর্থেই আত্মস্থ করতে পেরেছিলেন। মিথ-পুরাণ-ইতিহাস সবকিছু থেকেই তিনি পেতেন তাঁর ছবির রসদ।

    দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া, বা তাঁকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা, ধর্মান্ধ অসহিষ্ণুতার এক অনন্য নজির। এই লজ্জা আমাদের।

    প্রবাসের নিঃসঙ্গতায়, মৃত্যুর আগের সপ্তাহেও, তিনি দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। একটি বিকেল বা সন্ধ্যের জন্যে হলেও, নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছিলেন ভারতবর্ষের বাতাসে।

    তাঁর স্বপ্নকল্পনার সেই ভারতবর্ষ তখন কী ভেবেছিলো?

    আজ, মকবুল ফিদা হুসেনের জন্মদিন।

    আসুন, তাঁর আঁকা ছবি দেখি।

    আসুন, ছবি দেখার অভ্যেস তৈরী করি। নতুন ছবি-আঁকিয়ের দিকে বাড়িয়ে দিই উৎসাহের হাত।

    এক অসহিষ্ণু অস্থির সময়ে দাঁড়িয়ে, আসুন, হুসেনকে, মনে রাখি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১০৮৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 342312.108.674523.116 (*) | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০৫61951
  • হুসেনের জন্মদিন পর্যন্ত আসার আগে লেখার নাম ভূমিকাটি কিছুটা ক্লান্তিকর। এমনিতে লেখাটি ভালই। এই গুণিজনকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য লেখককে সাধুবাদ।

    হুসেনের মাধুরী দিক্ষিত ও মীনাক্ষীকে নিয়ে মডেল কাজ বা সরস্বতী দেবীর ন্যুড স্টাডির মতো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট লেখায় যোগ করলে আরো ভাল হতো।

    শুভ জন্মদিন জাতশিল্পী হুসেন!
  • Bishan Basu | 342323.233.3467.13 (*) | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩০61953
  • খুব সুন্দর তথ্যপূর্ণ মরমী লেখা । হুসেন সাহেবের জীবনে হটেল ভাড়া করে ছবি আঁকা---আর কতো যে বিস্ময়কর ঘটনা --ওনার জীবনটাও যে বিশাল ক্যানভাসে উজ্জ্বল নানারঙের ছবি --
  • Bishan Basu | 342323.233.3467.13 (*) | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩০61952
  • খুব সুন্দর তথ্যপূর্ণ মরমী লেখা । হুসেন সাহেবের জীবনে হটেল ভাড়া করে ছবি আঁকা---আর কতো যে বিস্ময়কর ঘটনা --ওনার জীবনটাও যে বিশাল ক্যানভাসে উজ্জ্বল নানারঙের ছবি --
  • dd | 670112.51.8912.103 (*) | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০৪61954
  • বম্বে প্রগ্রেসিভ আর্ট গ্রুপের আগেই, বছর চারেক আগে, শুরু হয়েছিলো ক্যালকাটা গ্রুপ। শুভো ঠাকুর,পরিতোষ সেন, রথীন মৈত্র, নীরদ মজুমদার .... সব বাঘা বাঘা শিল্পী। এঁরাও কেউ কিন্তু কলোনিয়াল ভাবধারায় মুগ্ধ ছিলেন না। ফর্ম আর কনটেন্ট - দুটোতেই ভারতীয় ছিলেন। ক্যালকাটা গ্রুপই ভারতীয় শিল্পীদের দলের মধ্যে প্রথম ছিলো। ।

    এরা প্রথম দিকটাতে ঠাকুর দেবতার ছবি আঁকতেন না। পরে অব্শ্য সবাই এঁকেছিলেন - বিশেষতঃ নীরদ মজুমদার,সুনীল মাধব সেন। পরিতোষ সেন তো বেশ কমুনিস্ট ঘেঁষা লোক ছিলেন। যদিও শেষের দিকটাতে, ওনার কথাতেই, ওনাকে "রামকৃষ্ণে পেয়েছিলো"। সে সময়ে ঐ সিরীজে প্রচুর রামকৃষ্ণের ছবি এঁকে বাম মহলের বিরাগভাজন হয়েছিলেন।

    ঐ, কিছু পুরোনো কথা মনে পড়লো, তাই দিলাম লিখে।
  • Bishan Basu | 7845.15.894512.187 (*) | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৩61955
  • ধন্যবাদ। সবাইকে।

    মতামত দেওয়ার জন্যে।

    হ্যাঁ, হুসেনের জন্মদিনের আগে পর্যন্ত লেখাটা ক্লান্তিকর। কেননা, প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এবং, বিষয়টা নিয়ে কথাবার্তা হওয়া জরুরী, এমনই মনে হয়েছিলো।

    হুসেনের জন্মদিনকে উপলক্ষ করে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করলাম মাত্র।

    সরস্বতী দেবীর ন্যুড স্টাডি বলতে কী বোঝানো হয়েছে জানিনা, কিন্তু মাধুরী-মীনাক্ষী বা নগ্ন দেবীমূর্তির চাটনি মিডিয়া রিপ্রেজেন্টেশান যেখানে শেষ হয়, হয়তো সেইখান থেকেই মকবুল ফিদা হুসেনের শুরু।

    ইউটিউব ভিডিও বা খুচরো গল্পের বাইরে হুসেনকে দেখুন। তাঁর কাজ দেখুন। সম্ভব হলে সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর কাজ দেখুন। নিদেনপক্ষে উচ্চমানের বড়ো সাইজের প্রিন্ট দেখুন।

    বিস্ময়কর। স্তম্ভিত করে দিতে পারেন তিনি।

    ক্যালকাটা গ্রুপের কথা যিনি বলেছেন, প্রণাম তাঁকেও। কলোনিয়াল ভাবধারার বিরুদ্ধে গিয়েই বেঙ্গল স্কুল। তার পরের পর্যায়ের বিদ্রোহ ক্যালকাটা স্কুল। তাঁদের উৎকর্ষ বা গুরুত্বও প্রশ্নাতীত।

    কিন্তু, আধুনিক ভারতের শিল্পচর্চার ইতিহাসে বোম্বে প্রগ্রেসিভ গ্রুপের তুল্য দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের নজির আর দ্বিতীয়টি নেই।

    উদাহরণ হিসেবে, বিমূর্ত চিত্রধারায় গাইতোন্ডে আর তারপর রাম কুমার, ইউরোপীয় ধারার ভারতীয়করণে সুজা এবং পদমসি, পদমসির কিছু আশ্চর্য মেটাস্কেপ, বিমূর্ত ছাপিয়ে তান্ত্রিক আর্টে রাজার বিচরণ, নিজেকেই ক্রমাগত ভেঙেচুরে চলা তায়েব।

    আর, হুসেন নিয়ে না হয় আর না-ই বললাম।

    ভারতীয় চিত্রকলার ইতিহাসে এমন তারকাসম্ভারের একত্র হওয়া নজিরবিহীন।

    যা-ই হোক, হুসেনের জীবন বা তাঁর চিত্রকলা নিয়ে বিশদ আলোচনা এই লেখার উদ্দেশ্য ছিলো না। এইটা যাকে বলে, টিজার।

    সত্যি বলতে কি, সেই লেখার পাঠকও সীমিত। চিত্রকলার গুরুত্ব বা প্রাত্যহিক জীবনে তার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সাড়ে তিনশো শব্দেই ক্লান্ত বোধ করলে, হুসেনের চিত্রভাবনা নিয়ে বিশদ আলোচনা তো বিপজ্জনক হয়ে ওঠার সমূহ সম্ভাবনা। আর, সব আলোচনায় থোড়াই আইটেম নাম্বার হিসেবে মাধুরী দীক্ষিতকে ডেকে আনা সম্ভব!!

    আবারও ধন্যবাদ, আর নমস্কার সবাইকে।
  • dd | 90045.207.1256.231 (*) | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:২৩61956
  • অনেকদিন আগে অতুল বসুর একটা প্রবন্ধ পড়েছিলাম। তো সে প্রায় পাঁচ দশক আগে।

    অতুল বসু - বেংগল স্কুলের বিরোধী ছিলেন উনি। চিরকালই খুব ওয়েস্টার্ন একাডেমিক স্টাইলে আঁকতেন , বিশেষতঃ পোর্ট্রেইট। তাঁর মতে, হাভেল, আর্ট কলেজে "ভারতীয় করন" জোর করে চাপিয়ে দিয়েছিলেন - এমন কি ছাত্ররাও সেই নীতির বিরুদ্ধে স্ট্রাইক করেছিলেন।

    অতুল বাবুর মতে, অবন ঠাকুরও সেই সময় "ভারত মাতা" এঁকে কনটেম্পোরারী আর্টকে সেকুলার থেকে হিন্দু করে দিয়েছিলেন। "স্বদেশী আর্ট"এর নামে যা চালানো হয়েছিলো তাতে ছাত্রদের আর্ট না শিখিয়ে স্বদেশীয়ানা শেখানোটাই মুখ্য উদ্দেশ্য হলো।ফলে মূল লক্ষ্য আর আর্টিস্টিক স্কিল রইলো না।

    যামিনী রায়কেও ঐ কারনেই তোল্লাই দিয়ে ওঠানো হয়েছিলো - বিদেশীদের মদতে। অতুল বাবুর ধারনা।

    এইসব।
  • dd | 90045.207.90045.179 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৯61959
  • নিজের মনেই একা একা বিড় বিড় করে মাউস বাজাচ্ছি। তা হোক।

    এই ধরুন সত্তরের মাঝামাঝি। তখন নীরদ মজুমদার শুনলেই "নিত্যানন্দ আমায় ধরো ধরো" ভাব হতো। মনে হতো, একদিন না একদিন কিছু মোটা ট্যাকা কামিয়ে , ডেফিনিটলি একটা (কি দুটো) নীরদ বাবুর তন্ত্রের ছবি বসার ঘরে ঝুলিয়ে রাখবো। তো সে আর হয়ে উঠলো না।

    আর ছিলো সোসাইটি ওব কন্টেম্পোরারি আর্টিস্ট। গনেশ পাইন, গনেশ হালুই, শুভাপ্রসন্ন, বিকাশ ভট্ট।দালির ছবি তো আর সামনা সামনি দেখা হোলো না, তো বিকাশ বাবুর ছবি দেখেই মন ভরে যেতো।

    শুভা আমার থেকে অল্প বড়। বছর চার পাঁচ। সে ও তখন উঠতি শিল্পী। তার ক্যান্ভাস দেখে হাঁ হয়ে যেতাম। ৪ x ৪ ক্যান্ভাস। পুরোটা সাদা। শুধু এক যায়গায় একটি কালো কাক, ক্যানভাস ভর্তি হয়ে যেতো।

    এখন সবাই উনাকে কাগাবাবু, কাকপ্রসন্ন বলেন, কিন্তু মনে রাখবেন কনফুসিয়াস বলেছিলেন মানুষ বাঁদর হলেও তার কীর্ত্তি কিন্তু বাঘের বাচ্চা।
  • Bishan Basu | 7845.15.565612.216 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৩১61957
  • চমৎকার বলেছেন। সঙ্গত প্রশ্নও বটে।

    আমার কিছু কথা আছে, এই প্রসঙ্গে। না, আমি শিল্প ইতিহাস বা শিল্প বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই। তবুও।

    একটা জাতি যখন নিজস্ব ইতিহাস বা অতীত ঐতিহ্য বিস্মৃত হয়, সেইটা তার আত্মবিস্মরণের চূড়ান্ত পর্যায়। সেইখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই চ্যালেঞ্জ। অতীত গৌরব, নিজস্ব সংস্কৃতি ফিরে পাওয়ার পুনর্জাগরণ।

    শিল্পক্ষেত্রে, এই কাজটিই হয় বেঙ্গল স্কুলের হাত ধরে।

    অতুল বসু বা হেমেন মজুমদারেরা পাশ্চাত্য রীতিতে দক্ষ শিল্পী ছিলেন অবশ্যই। কিন্তু, সেইটা প্রায় অনুকরণ। পাশ্চাত্যের সাথে মিশেলে নিজস্ব ঘরাণার জন্ম দিতে পেরেছিলেন কি? আর, পাশ্চাত্যের অনুকরণ যেইটা, সেই ধারা থেকে পাশ্চাত্য শিল্পীরাও তখন সরে আসছেন। তার প্রভাব কি বাংলার পাশ্চাত্যানুসারীদের উপর পড়েছিলো? কিছু খুব উন্নতমানের পোর্ট্রেট বাদে তাঁদের সার্থক ছবির সংখ্যা কতো?

    সেইখানে, যামিনী রায় প্রথম দিকে ইমপ্রেসানিস্ট রীতিতে কিছু সিটিস্কেপ বা পোর্ট্রেট আঁকেন, যেগুলো রীতিমতো তাকলাগানো।

    অবনীন্দ্রনাথ প্রথমেই মুঘল বা রাজপুত মিনিয়েচারের সাথে জলরঙের মিশেলে এক নতুন শিল্পরীতি তৈরী করেন। থীম, অনেকাংশেই ইতিহাস অনুসারী। পরবর্তীতে, জাপানী জলরঙের রীতির কিছুটা উনি গ্রহণ করেন।

    তাঁর শেষ যেখানে, প্রায় সেইখান থেকে শুরু করেন নন্দলাল বসু। তাঁর মেধা-দক্ষতা দিয়ে, এই চিত্রভাবনাকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। থীম বা আঙ্গিকের মধ্যে আসে লোকশিল্প। এই ধারার সাথে পাশ্চাত্যের মিশেল করতে সক্ষম হন বিনোদবিহারী।

    অন্যদিকে, বেঙ্গল স্কুলের ধারা থেকে বেরিয়ে এসে, যামিনী রায় সম্পূর্ণ নতুন ধারা নিজের করে নিলেন। প্রথমদিকে তাঁর কাজ রীতিগতভাবে পাশ্চাত্য-আশ্রিত, কিন্তু থীম ভিন্ন। দ্বিতীয় পর্বে, তিনি দেশজ পটের ধারা অবলম্বন করলেন এবং তাকে এক ভিন্ন মাত্রা দিতে সক্ষম হলেন। আর, শেষ পর্যায়ে তাঁর কাজ রঙের বাহুল্যবর্জিত, ড্রইং-ভিত্তিক। যামিনী রায়ের শিল্পকর্মের সঠিক বিচার এখনও হয়ে ওঠেনি।

    এমনটাই আমার ধারণা। পরে বিস্তারে আলোচনা করা যাবে।
  • সৈকত | 340112.99.675612.98 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৫২61958
  • নীরদ মজুমদারের ছবি আমি কিছুই বুঝিনি। পরিতোষ সেনের ছবি তবু কিছু পছন্দের, কিন্তু নীরদ মজুমদারের ছবিতে কিছুই প্রায় পাইনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিছকই ডিজাইন মনে হয়েছে !! পশ্চিমী অঙ্কনরীতি অনেকটাই নিয়েছেন, কিন্তু তারপর মনে হয়, কি আঁকব সেটা আর খুঁজে পাননি। পুরো ক্যালকাটা গ্রুপটাই আমার কাছে , বেঙ্গল স্কুল আর পরবর্তীতে প্রকাশ কর্মকার, রবীন মণ্ডল ইত্যাদিদের মধ্যে বড়জোর একটা লিঙ্ক বলে মনে হয়, আলাদা করে কতখানি কি দিতে পেরেছেন সন্দেহ আছে।
  • dd | 670112.51.0123.133 (*) | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০২61960
  • আর সেই সময়টায় - দশক খানিক, সন্দীপ সরকার ছাড়া আর্ট জগৎ ভাবা যায় না। উনি দেশ পত্রিকার আর্ট ক্রিটিক ছিলেন। গালি দিয়ে,কাব্যি করে - উনি চিত্রসমালোচনাকে এমন উপভোগ্য করে তুলেছিলেন যে যারা কস্মিন কালেও এক্ষজিবিশন বা গ্যালারী যান নি, যাবার প্ল্যানও নেই, তারাও পড়তেন। নিয়মিত।

    যারা পুরোনোপন্থী, যেমন শোভন সোম, তারা চটে কাঁই হয়ে যেতেন। কিন্তু লোকে সন্দীপ সরকারই পড়তো।

    তারপর যা হয়, হঠাৎ করে উনি দেশ থেকে সড়ে গেলেন/সড়িয়ে দেওয়া হোল। পরে যার এসেছিলেন তারা অনুকরণ করলেও তার জনপ্রিয়তার ধারেকাছে যেতে পারেন নি।
  • দেবরাজ গোস্বামী | 785612.32.345612.241 (*) | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৮61961
  • হুসেনকে একবার একটা সাক্ষাতকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল 'আপনি ছবি ভাল আঁকেন ঠিক আছে, কিন্তু এত নাটক করেন কেন'? হুসেন বলেছিলেন 'ধরুন ঘোর গ্রীষ্মকালের দুপুর, গরমে আপনার হাঁসফাঁস অবস্থা, গলা শুকিয়ে কাঠ। আপনি ঘরের দরজা জানলা সব বন্ধ করে বসে আছেন । আর আমি বেরিয়েছি রাস্তায়, কুলফি বিক্কিরি করতে। এখন আমারও কুলফি বেচার ইচ্ছে, আর আপনারও কুলফি খেলে প্রান ঠাণ্ডা হয়। কিন্তু আপনি জানবেন কি করে যে আপনার বন্ধ জানলার পাশের রাস্তা দিয়ে আমি যাচ্ছি। সেটা জানান দেওয়ার জন্য কুলফিওয়ালাকে ঘণ্টি বাজিয়ে জানান দিতে হয় । আমি ছবি আঁকার বাইরে যেসব নাটক করি সেগুলো হচ্ছে ওই কুলফিওয়ালার ঘণ্টা বাজানোর মত ব্যাপার'। সংস্কৃতির নামে বাজারে বেচুমাস্টার হয়ে নেমে পড়া পাবলিকের অভাব কোন দেশে কোন কালেই ছিল না। কিন্তু সেটা সরাসরি এইভাবে বলবার মত সৎসাহস খুব অল্পজনেরই আছে। এইকারণেই হুসেন কে আমার পছন্দ হয়। ছবিটা ওঁর সমসাময়িকদের মধ্যে অনেকেই ওঁর চেয়ে অনেক ভাল আঁকতেন , এবং এঁকেছেন।
  • দেবরাজ গোস্বামী | 785612.32.345612.241 (*) | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৮61962
  • হুসেনকে একবার একটা সাক্ষাতকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল 'আপনি ছবি ভাল আঁকেন ঠিক আছে, কিন্তু এত নাটক করেন কেন'? হুসেন বলেছিলেন 'ধরুন ঘোর গ্রীষ্মকালের দুপুর, গরমে আপনার হাঁসফাঁস অবস্থা, গলা শুকিয়ে কাঠ। আপনি ঘরের দরজা জানলা সব বন্ধ করে বসে আছেন । আর আমি বেরিয়েছি রাস্তায়, কুলফি বিক্কিরি করতে। এখন আমারও কুলফি বেচার ইচ্ছে, আর আপনারও কুলফি খেলে প্রান ঠাণ্ডা হয়। কিন্তু আপনি জানবেন কি করে যে আপনার বন্ধ জানলার পাশের রাস্তা দিয়ে আমি যাচ্ছি। সেটা জানান দেওয়ার জন্য কুলফিওয়ালাকে ঘণ্টি বাজিয়ে জানান দিতে হয় । আমি ছবি আঁকার বাইরে যেসব নাটক করি সেগুলো হচ্ছে ওই কুলফিওয়ালার ঘণ্টা বাজানোর মত ব্যাপার'। সংস্কৃতির নামে বাজারে বেচুমাস্টার হয়ে নেমে পড়া পাবলিকের অভাব কোন দেশে কোন কালেই ছিল না। কিন্তু সেটা সরাসরি এইভাবে বলবার মত সৎসাহস খুব অল্পজনেরই আছে। এইকারণেই হুসেন কে আমার পছন্দ হয়। ছবিটা ওঁর সমসাময়িকদের মধ্যে অনেকেই ওঁর চেয়ে অনেক ভাল আঁকতেন , এবং এঁকেছেন।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.6767.230 (*) | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:১০61963
  • লেখাটা ভাল তবে একটু খাপছাড়া ও অসম্পূর্ণ। ভূমিকাটা বেশী বড় লাগছে।

    মকবুল ফিদা হুসেনের জীবনে নৃত্যশিল্পী উদয় শংকরের বিশেষ প্রভাবের কথা শিল্পী নিজেই বলে গেছেন। তিনি যখন বোম্বাই শহরের পথে শিল্পান্বেষণ করছেন তখনই হঠাৎ দেখলেন 'কল্পনা' চলচ্চিত্র।

    উদয় শংকরের জন্মশতবার্ষিকীতে (১০ জুন, ২০০০) 'দেশ' পত্রিকায় হুসেনের লেখাটি থেকে এখানে কয়েকটা অংশ তুলে দিচ্ছি।

    "উদয়শঙ্করের 'কল্পনা' তৈরি হয়েছে আমাদের দেশ যে-বছর স্বাধীন হয়, সেই বছর। ১৯৪৭। প্রথম দেখানো হয় পরের বছর। ১৯৪৮ এ। তখনই আমি 'কল্পনা' দেখেছি। আমি বরাবর সিনেমার পোকা। চিত্র পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন দেখি। সিনেমা ব্যয়বহুল মাধ্যম, কে আমাকে এত টাকা দেবে ছবি তৈরি করার জন্য। ছবি আঁকতাম। রঙ তুলি আর কাগজের খরচ সামান্য। এর জন্য কারও কাছে হাত পাততে হত না। তার ফলে সিনেমা তৈরি করার মনটা আমার ছবি আঁকার ক্ষেত্রে আমাকে প্রভাবিত করত। আমার ভাবনা বা কল্পনা সিনেমার মতো করেই ছবি আঁকাতে চলে আসত। সেটা মুভি না হয়ে হত স্থির। ছবির পর ছবি সাজালে নিজেরই মনে হয়েছে, এটা বার বার মনে হয়েছে, এটাই আমার সিনেমা। কারণ এতটাই সিনেমা আমার মাথাটা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছিল। 'কল্পনা' দেখার পর ঠিক তাই হল।

    উদয়শঙ্করের কোরিওগ্রাফি আমাকে অন্তত কয়েক রাত ঘুমোতে দেয়নি। তারপর যখন সেই ভাবনায় জারিত হয়ে ছবি আঁকতে বসলাম তখন আমার সামনে সিনেমা এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল। উদয়শঙ্করের নাচের শৈলী, মুদ্রা এবং তাঁর উপস্থাপনা- সবই টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ল আমার আঁকায়। আমি তখন বুঝলাম 'কল্পনা' আমাকে কতদূর প্রভাবিত করেছে। "
  • Tim | 2378.36.341212.193 (*) | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:২০61965
  • বিষানবাবুকে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। লেখাটা আমার ভালো লেগেছে শুরুর ঐ জায়গাটার জন্য, নান্দনিকতা বা শিল্পবোধের প্রয়োজন সম্পর্কে খুব সহজ ভাষায় আলোচনার জন্য। কমেন্টের আলোচনাও খুব ভালো হচ্ছে। চলুক। এর পাশাপাশি এই লেখার গৌরচন্দ্রিকা যে বিষয়ে, সেটা নিয়ে পৃথক ও বিস্তারিত লেখার দরকার আছে।
  • Bishan Basu | 7845.15.238912.228 (*) | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৬61964
  • সবার মতামতের জন্যেই, ধন্যবাদ।

    চমৎকার একটা আলোচনা শুরু হতে পেরেছে। অতএব, লেখাটা কিছুটা হলেও, নিজের লক্ষ্যে সফল।

    ছবি নিয়ে এতো লম্বা কথোপকথন কিন্তু আজকাল বিরল। সত্যি বলতে, ছবি নিয়ে চর্চা দূরে থাক, ছবি দেখার অভ্যেসটুকুই আজকাল উঠে যাওয়ার পথে। সেই নিয়ে আক্ষেপ করতে গিয়েই, মেনে নিচ্ছি, লেখাটার ভূমিকা অনাবশ্যক দীর্ঘ।

    হ্যাঁ, লেখাটা অসম্পূর্ণ, কিছুটা খাপছাড়াও। কেননা, লেখকের অদক্ষতা বাদ দিলেও, হুসেনের সম্পূর্ণ, এমনকি আংশিক মূল্যায়নও এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। আগেই বলেছি, লেখাটা একটা টিজার মাত্র।

    এর সুবাদে, ছবি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হতে পারলো, এইটাই পাওনা। হুসেনের উপর ভারতীয় নৃত্যশিল্পের প্রভাব, উদয়শঙ্করের প্রভাব নিয়ে অল্প হলেও আলোচনা বা এই লেখার প্রসঙ্গে অধুনাবিস্মৃত নীরদ মজুমদারের নাম উঠে আসা, চিত্রসমালোচক সন্দীপবাবুর নাম মনে পড়ে যাওয়া, এগুলোও তো বড়ো পাওয়া, তাই না?

    নীরদ মজুমদারকে এক কথায় উড়িয়ে দেওয়া মুশকিল। তাঁর প্রভাব ইমিডিয়েট উত্তরসূরিদের উপর নেই মানে, পরবর্তীতে থাকবে না, এমন নয়। বোম্বে প্রগ্রেসিভ গ্রুপের রাজা-র তান্ত্রিক আর্টের মধ্যে কি কোথাওই নীরদবাবু নেই? পুত্র চিত্রভানুর মধ্যেও?

    সম্পূর্ণ বিমূর্ত শিল্পীর বিচার করতে অনেক বেশী ছবি দেখার অভ্যেস জরুরী। আর, ছবি সামনাসামনি দেখাও জরুরী। ছবির বই বা ইন্টারনেট ঘেঁটে রিয়্যালিস্ট বা ইম্প্রেসানিস্ট ছবির চরিত্র কিছুটা আন্দাজ করা গেলেও, বিমূর্ত চিত্রের ধারণা করা মুশকিল।

    ব্যক্তি মানুষের ছায়া তাঁর চিত্রে পড়ে কিনা তর্কের বিষয়, কিন্তু, চিত্রবিচারের মুহূর্তে ব্যক্তি শিল্পীর চরিত্র বিচারের ছায়া পড়া অনুচিত বলেই মনে হয়। শুভাপ্রসন্ন নিয়েই বলছি।

    যেমন, যোগেনবাবুর রাজনীতি আমার পছন্দ না হলেও, তিনি আমার সবচেয়ে পছন্দের কয়েকজন শিল্পীর মধ্যে একজন।

    হুসেনের শোম্যানশিপ বা তাঁকে ঘিরে বিতর্ক যতোখানি মানুষের নজরে এসেছে, ততোজন কি তাঁর আঁকা ছবি দেখেছেন??

    ড্রয়িং, জলরঙ, তেল বা এক্রিলিক, সব কটি মাধ্যমে এমন অনায়াস বিচরণ, হুসেনের মতো করে খুব কম শিল্পীই পেরেছেন। হ্যাঁ, শিল্পী হিসেবে আরো বেশ কয়েকজন, হয়তো হুসেনের সমমানের, কিন্তু সমান সমাদর বা গুরুত্ব পাননি। আর, যেহেতু, ছবি দেখে মুগ্ধ হওয়াটা বেশ অনেকখানিই সাবজেকটিভ, তাই, কারোর চোখে হুসেনের চাইতে অন্যের আঁকা ছবি বেটার মনে হতে পারে। কিন্তু, হুসেনের চেয়ে “অনেক’ ভালো “অনেকেই” এঁকেছেন, এমনটা একটু বাড়াবাড়ি মনে হলো।

    আর, চিত্রসমালোচনা প্রসঙ্গে কিছু কথা মনে হয়। আমার মনে হয়, চিত্রসমালোচনার অন্যতম উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ, সাধারণ মানুষকে ছবির দেখার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলা, এক্সিবিশন বা গ্যালারীমুখী করা। অন্তত, সংবাদপত্রের চিত্রসমালোচনার উদ্দেশ্য তো তা-ই হওয়া উচিৎ।

    কিন্তু, ইদানিং, যে জটিল তাত্ত্বিক ভাষায় চিত্রসমালোচনা হচ্ছে, তাইতে বিপরীত উদ্দেশ্যই সাধিত হওয়ার সম্ভাবনা। অন্তত, আমার অভিজ্ঞতা তেমনই। ছবি দেখে যেটুকু ধরতে পারি, সমালোচনা পড়ে লেখক কী বলতে চেয়েছেন, তা-ই বুঝতে পারি না।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.36 (*) | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:৫৯61966
  • এম এফ হুসেন সম্পর্কে একটা কথা মনে এল। ঠিক গুছিয়ে হয়ত বলতে পারব না। এত রাতে মাথা খাটিয়ে লিখতেও মন চাইছে না।

    ভারতীয় চিত্রকলার একজন প্রবাদপ্রতিম শিল্পী হয়েও, হুসেন হয়ে গেলেন too expensive too afford for common Indians.

    হুসেনের ছবি মানেই সেটা একটা কোটি টাকার ব্যাপার, তার খরিদ্দাররা নিশ্চয় শিল্পপ্রেমী কিন্তু সকলেই উচ্চকোটি সমাজের সব মানুষ। হুসেন সাধারণের ড্রয়িং রুম বা দেওয়াল সজ্জার মধ্যে পড়তেই পারেন না।

    তার একটা তুলির টানের দাম লক্ষ টাকার ব্যাপার। এটাই তাকে অনেক দূরে করে নিয়ে যায়।

    যামিনী রায় বাঙালির জীবনযাত্রার পদ্ধতিতে শিল্পের ছোঁয়া আনতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন মধ্যবিত্ত মানুষ ছবি কিনুক এবং ঘরে টানাক। তার জন্যে তিনি ছবির দাম রাখতেন কম। তার ছবির দাম হত তিরিশ টাকা থেকে একশো টাকা। অর্ডার দিয়ে করালে দেড়শ, দুশো ছাড়াত না। তিনি মনে করতেন ছইর দাম যত কম হবে, মানুষের ততো ছবির প্রতি উৎসাহ বাড়বে। ছবি কিনবে।

    এর সম্পূর্ণ বিপরীত মার্গের হলেন হুসেন। কলকাতায় কে সি দাসের বাড়িতে যামিনী রায়ের 'রামায়ণ' সিরিজের আঁকাগুলো দেখতে দেখতে মনে হয়েছে, এ ছবি আমার বাড়ি থাকলেও থাকতে পারত, কিন্তু বোম্বাইয়ের NCPA দেওয়ালে হুসেন সব সময়েই গ্যালারির অ্যানটিক।
  • Bishan Basu | 7845.15.345623.56 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২২61987
  • অর্জুন অভিষেকবাবু, আমি জানি আপনি মজা করছিলেন, আর আমিও সেই ছলেই বলেছি।

    প্রিন্টের এতো হদিশ আমার জানা ছিলো না। আর, এই জন্যেই, এই আলোচনাটা এতো ভালো লাগছে। এতো কথা জানা যাচ্ছে, যেগুলো জানার সুযোগ হয়ে ওঠে না সচরাচর।

    গ্যালারী ৮৮-এর প্রদর্শনী নিয়ে এমন খবর আমার জানা ছিলো না। গ্যালারী মালিক সুপ্রিয়াদি এমন কিছু বলেন নি আমাকে। সেই সময়ে আমার ছবি দেখার অভ্যেস ছিলোও না, কেননা মফস্বলেই কেটেছিলো আমার ছেলেবেলা, যেখানে এইসব সুযোগ ছিলো না। পড়াশোনার সুবাদে কলকাতায় এসে, কিছু অভ্যেস হয়।

    (প্রসঙ্গত, ওই এক্সিবিশন উপলক্ষে একটি অসামান্য ক্যাটালগ প্রকাশিত হয়। যেটি এখনও পাওয়া যায় গ্যালারি ৮৮-তে। সংগ্রহযোগ্য। গ্যালারিতে দাম ১০,০০০/-। বিভিন্ন অনলাইন সাইটে দাম তার তিনগুণ। এমন কোয়ালিটির প্রিন্ট দেশে খুব একটা দেখি না।)

    বিকাশ ভট্টাচার্যের সাথে হুসেনের কিছু ইগোর সংঘাত ছিলো এমন শুনেছি। বিকাশবাবু মুম্বাইয়ে দাঁড়িয়ে হুসেনকে নন-পেইন্টার বলেছিলেন (তখনও বাঙালী বুদ্ধিজীবীরা মনের কথা রাখঢাক না করেই বলে বসতেন, পরিণামের কথা না ভেবে)! হুসেনও বিকাশবাবুর কথা উল্লেখমাত্র না করে, বলেন, যে দেশের সেরা শিল্পী গণেশ পাইন। শিল্পীদের দলাদলি, পারস্পরিক ঈর্ষা এইসব নিয়ে তো নতুন করে বলার কিছু নেই। মনজিত বাওয়ার সাথেও হুসেনের শীতল সম্পর্ক সুবিদিত।

    প্লীজ, ছবি নিয়ে আপনাদের শিক্ষা বা অভিজ্ঞতা আমার চাইতে অনেক বেশী। সবাই লিখতে থাকুন। প্রায় মজে আসা একটা স্রোতের পুনরুজ্জীবন জরুরী।

    ধন্যবাদ আর নমস্কার সবাইকে।
  • dd | 670112.51.0123.244 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৩61967
  • সে কলকাতা বলুন বা লুরু। চমকে যাওয়ার মতন বাড়ীতে দেওয়াল সজ্জা হিসেবে দেশ বিদেশের আর্ট ক্রাফ্ট। কেউ ভাবেই না, অ্যাতো পয়সা দিয়ে বাড়ী করলাম তো দেওয়ালে এক আধটা অরিজিনাল পেইন্টিং টানাই। টেনেটুনে বড়জোর যামিনী রায়ের ছবির প্রিন্ট। ব্যাস, ঐ পর্যন্ত্যই।

    নাটক,সিনেমা, গান - সব বিষয়েই উনি ধুরন্ধর। দেশ বিদেশের গুনীদের হাল হকিকৎ জানেন। নিয়মিত সব শো'তেই উপস্থিতি। কিন্তু কনটেম্পোরারী পাঁচটি আঁকিয়ের নাম বলতে বলে হেঁচকি ওঠে। জীবনেও কোনো আর্ট এক্ষজিবিশনে ঢুঁ মারেন নি। কিন্তু শিল্পকলাএ বাকী সব বিভাগেই কিন্তু উস্তাদ।

    না, মধ্যবিত্তদের ঘরে হাতে আঁকা ছবি ঢোকে নি। ঐ, "উটি? আমার ভাইপো। সে খুব ভালো আঁকে টাঁকে। সেই দিয়েছিলো"। তো ওরকম গিফটে পাওয়া ছবি ছাড়া দেওয়াল শোভন কোনো পেইন্টিং থাকে না।
  • dd | 670112.51.0123.244 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৮61968
  • ছবিকে জনতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন।

    অসিত পাল তো ষাঁড়ের গায়ে ছবি এঁকে "চলমান শিল্প" বলে হৈ হৈ তুলেছিলেন। ময়দানে ছবি টাঙিয়ে প্রদর্শনী। কিন্তু পথ চলতি লোকে সভয়ে এড়িয়ে যেতো।

    শানু লাহিড়ী, বেকবাগানের মোলে বিরাট ছবি আঁকলেন,প্লাইউডের কানভাসে, দেওয়াল জুড়ে। রাতারাতি সেই প্লাইউড খুলে খুলে নিয়ে চলে গেলো পাশের বস্তিবাসীরা। চোখের সামনে দেখেও প্রতিবাদ করার উপায় ছিলো না।
  • b | 4512.139.6790012.6 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৪61969
  • সব টইকে হীরাব করতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু পার্ক সার্কাস বাইপাসের মোড়ে শানু লাহিড়ীর ভাস্কর্য্য সরিয়ে ব আনা হল। আর ঐ টানা হেঁচড়ায় শানু লাহিড়ির মূর্তিটি ভেঙে গেলো।

    সমস্কৃতি মাই চপ্পল।
  • dd | 670112.51.0123.244 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৫61970
  • আর ইলাস্ট্রেসন? ও এম জি।

    আবাপ গ্রুপ খুব যত্ন নিতেন ইলাস্ট্রেশনে, এখনো নেন। দেব সাহিত্য কুটিরের বইগুলিতেও ভালো ছবি থাকতো। কিন্তু ইলাস্ট্রেশন যেন মোটামুটি ভাবে বচ্চাদের জন্যই রিজার্ভড থাকতো। যেমন হযবরল। এক্ষেপশনের মধ্যে পরশুরামের বইগুলি - যতীন সেনের আঁকা। তাতে রাজ শেখর বসু নিজেও প্রচুর যোগদান করতেন।

    ভারবির থেকে প্রকাশ করলো রামায়ণ আর মহাভারত। সেই প্রথম দেখলাম দুইজন বিখ্যাত শিল্পীর ইলাস্ট্রেশন রইলো পাতায় পাতায়। সুনীল মাধব সেন আর পরিতোষ সেন, যথাক্রমে। কিন্তু আর কোনো প্রকাশক ঐ পথে আর এগোলেন না।

    এখনো মাঝে মাঝে কিছু বাংলা বই দেখি। কী কদর্য সব ইলাস্ট্রেশন। কোনো চেষ্টাই নেই উন্নত মানের ছবি দেওয়ার। ওটা নেহাৎই ফালতু খর্চা ভাবেন বোধ্হয়।
  • dd | 670112.51.0123.244 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:২৬61971
  • ওহো। ইলাস্ট্রেশনের একেবারে মাইল্স্টোন ছিলো সমরেশ বসুর "দেখি নাই ফিরেতে" বিকাশ ভট্টাচার্য্যের আঁকা ছবি। শোরগোল তুলে দিয়েছিল।

    ঐ দেশ পত্রিকাতেই - সত্তরের দশকে, দেশের মলাটে নানান আর্টিস্টের ছবি ছাপানো হত। অনেক উঠতি আর্টিস্টএর ছবিও ছাপা হয়েছিলো।

    এখন যারা মাঝ বয়েসী বা একটু বড়, তাদের আনন্দমেলা শুনে গদগদ হওয়ার একটা বড় কারন ছিলো ইলাস্ট্রেশন। দুর্দান্ত সব ইলাস্ট্রেশন থাকতো। আমার ফেবারিট ছিলো বিমল রায়।

    জানি না, বহুদিন তো ঐ সব ম্যাগাজিন চোখেও দেখি নি, এখন কিরকম ছবি থাকে।
  • PM | 9001212.30.7845.202 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৪61972
  • ডিডি দা আমার মনে হয় বাঙালী লেখক , শিল্পি প্রকাশক দের কনফিডেন্স তলানী তে ঠেকাই এর কারন। আগেকার লেখক শিল্পী রা মনে করতেন এক্টা মহত কি কিছু সৃষ্টি করছেন। যত্ন নিতেন খুব শেষ বিন্দু পর্যন্ত। এখন নিজের প্রতি সৃষ্টির প্রতি পাঠক , দ্রষ্টার সেই বিশ্বাস টাই উঠে গেছে। Kওনো মতে বাজার জাত করে দু পয়্সা কামানো ই লক্ষ্য।

    ওপার বাঙ্লায় প্রতিভা কম কিন্তু কনফিডেন্স টা খুব দেখেছি। নিজের সৃষ্টির সুদুর প্রসারি প্রভাব সম্পর্কে স্রষ্টা খুব ওয়াকি বহাল, ভাবনা চিন্তা ওখানে, সে যত তুচ্ছো কাজ ই হোক না কেনো। Kঅখনো কখোনো হাসি ও পায় দেখে।

    Kইন্তু একটা স্বাধীন জাতি আর একটা তত স্বাধীন নয় জাতির মধ্যে তফাতটা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। ব্যক্তিগত মত যদিও।

    অময় লাগবে। কিন্তু আমার মনে হয় ভবিষ্যতের বাঙালীর ক্রিয়েটিভিটি যদি কিছু দেখ যায় সেটা ওপারেই হবে
  • PM | 9001212.30.7845.202 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০১61973
  • এই পরিতোষ বাবুই দেশে "পুনশ্চ পারী" ধারাবহিকটি লিখতেন না ?
  • r2h | 561212.187.6756.48 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০৩61974
  • আনন্দমেলার ইলাস্ট্রেশন? ডিডিদা, বিমল রায় না দাসের কথা বলছেন?

    হ্যাঁ, আবাপ ইলাস্ট্রেশন ইত্যাদির দিক দিয়ে ঐ অবিসংবাদী না কি বলে ঐরকম ছিল। আর ছাপাও যেহেতু ভালো ছিল।
    সত্তরের দশকে আনন্দমেলায় ভেতরের ইলাস্ট্রেশন করছেন শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য (তখন লাস্ট নেমও লিখতেন)।

    বিটিডাব্লু এই বইটা, ১৯৭৬এর, দাম করেছিল পঁচিশ টাকা। সুদৃশ্য জ্যাকেট ছিল, সে বহু বন্যায় ডোবা স্থানান্তর এইসব আর সামলে উঠতে পারেনি।


    ইলাস্ট্রেশন ইত্যাদির ক্ষতি করেছে ডিজিটাল টেকনোলজি, আমি মনে করি। আগে মিটিং মিছিলে যেসব প্রতিবাদী পোস্টারপত্র আঁকা হতো আজ তা ফ্লেক্সে হয়, সেসব ছেড়েই দিলাম, এইবার শুকতারার বিজ্ঞাপনে দেখলাম একটা হাতির ছবির ওপর বিচ্ছিরি করে নারায়ণ দেবনাথের কমিক্সের চরিত্রদের কেটে কেটে লাগিয়ে দিয়েছে, হয়ে গেল মলাট।

    বাড়িতে ছবি রাখার কিন্তু অন্য সমস্যাও আছে বলে মনে হয়। টিভি ফ্রিজ মাইক্রোওভেন বা কাঁচকড়ার ফুলদানি এমনি এমনি গুঁজে রেখে দেওয়া যায়, কিন্তু ছবি ঝোলাতে গেলেই মনে হয় আমার ভ্যাস্তা দেওয়াল এই শিল্পকীর্তির উপযুক্ত কি?

    বিষানবাবু একটা খুবই ভালো টই শুরু করলেন, ধন্যবাদ।
  • dd | 670112.51.3423.147 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০৫61988
  • @হুতো। আরে রাম রাম। উনি তো বিমল দাস। রায় ছিলেন একজন আমাদের ছোটোবেলাতে, আমার গুলিয়ে গেছে।

    -- যে নামগুলো দিয়েছেন সে ছাড়াও আবাপে আছেন/ছিলেন কৃষ্ণেন্দু চাকী, সুব্রত চৌধুরী, অনুপ(?), - এরা ও আরো কয়েকজন দারুন আঁকেন।

    আমাদের সময়ে প্রচ্ছদ শিল্পী বলতে সেই খালেদ চৌধুরী , কিছু কবিতার বইএর মলাটে অবশ্য পুর্ণেন্দু পত্রীও ছিলেন। এ ছাড়া প্রচ্ছদে বা বড়দের জন্য লেখার ক্ষেত্রে ভালো ইলাস্ট্রেটরের অভাব ছিলো। বিশেষতঃ কয়েকক্ষেত্রে - হয়তো "মামার জোর"এই অতি কদাকার আঁকিয়েও ঠাঁই পেয়ে যেতো।
  • dd | 670112.51.3423.147 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:১২61989
  • ৭০ থেকে ৯০,আমার আঁকিয়ে জগতে অনেক বন্ধু ছিলো। জানতাম যে কলকাতার খদ্দের অনেকাংশেই মারোয়ারীরা। বেশ কয়েকজন সংগ্রাহক ও গ্যালারী মালিকও মারোয়ারি (নামগুলো মনে পড়ছে না, লিখতে গেলে ভুলভাল লিখে দেবো)। এখনো বোধহয় তাই।

    তাই উঠতি শিল্পীদের এক্ষজিবিশনে সাফারী স্যুট পরে হৃষ্ট পুষ্ট কেউ ঢুকলেই একেবারে হৈ হল্লা পড়ে যেতো।

    এর একটা কুফল ছিলো গনেশের প্রাদুর্ভাব। ভয়ানক ভাবে গনেশ ছড়িয়ে পড়লো ক্যানভাসে ক্যানভাসে। কে কতো নতুন থিম আনতে পারেন তার কমপিটিশন। গনেশ রিক্সা টানছে, ডিস্কো নাচছে - সব চলতো। জানি না এখন ওটা কম্র্ছে/থেমেছে কি না।
  • T | 342323.176.0123.191 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:১৭61975
  • অ্যাঁ, ডিডিদা, সত্তর ক্যানো, আশি নব্বইয়ের দেশের প্রচ্ছদেও বেরিয়েচে। শারদীয়া কপিতে তো বটেই।
  • dd | 670112.51.3423.147 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:২২61990
  • যেটা আমার কখনো পছন্দ হয় নি সেটা হছে কবিতা আর ছবি'র ককটেইল। কবিতার আবার ইলাস্ট্রেশন হয় না কি? ধুর।

    আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুও একাদেমীতে শো করেছিলেন, কবিতার পাশাপাশি ক্যানভাস দিয়ে । আমার পছন্দ হয় নি। বেশ কয়েকজন তখন রবীন্দ্রনাথের কবিতার সাথে মিল দিয়ে "চিত্রগীতি" আঁকতেন। আমার বিকট লাগতো।

    আরো বিশ্রী লাগে যখন দেখি বিভিন্ন পত্রিকায় ,কবিতার পাতায় একটা কিম্ভুত আবছা ব্যাকগ্রাউন্ড করে "ছবি" ছাপা হতো। আর কবিতাগুলো সুপার ইম্পোজ করে তার উপর। অনেক ক্ষেত্রে কবিতার কিছুটা পড়াই যেতো না। এটা বন্ধ হলেই ভালো।

    গনেশ পাইন আর শক্তি চট্টোপাধ্যায় সম্পুর্ণ আলাদা ইন্টারভিউতে বলেছিলেন একে অপরের ইমেজেরীতে মুগ্ধ হয়েছেন, অনুপ্রেরিত হয়েছেন। কিন্তু গনেশ পাইন'ও শক্তির কবিতার ইলাস্ট্রেসন করেন নি আর শক্তিও গনেশ বাবুর ছবি দেখে সেইমতন কবিতা লেখেন নি। দ্যাট ইস গুড।
  • Tim | 89900.228.0167.253 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৪61991
  • দারুণ আলোচনা হচ্ছে। একটা কথা পড়তে পড়তে মনে হলো। চিত্রকলা (বা আরো ব্রডলি, শিল্প) জানতে ও বুঝতে গেলে, রসগ্রাহী হতে হলে কিনতে কেন হবে? মানে, কিনতে পারলে ভালো, কিন্তু যদি এমনকি বছরে একটা ছবিও না কিন্তে চাওয়া/পারা লোকেদের মধ্যেও শিল্পচেতনা থাকবে এটুকুই তো বাঞ্ছনীয়। তার জন্য গ্যালারিতে যাওয়া, খবরের কাগজ বা পত্রিকায় এই বিষয়ে লেখা বেরোলে পড়া এইগুলো বেশি জরুরি আমি মনে করি। মহৎ শিল্প ও শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষক চিরকালই ধনী রসগ্রাহী। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞদের কতজন নিজের বাড়িতে এনে গান শোনেন? কতজন সিডি কেনেন, আর কতজন ডোভার লেন যান, আর কতজন ইউটিউবে শোনেন এটা বিচার্য্য নয়, বিচার্য্য এটাই হওয়ার কথা যে কতজন আদৌ চেষ্টা করেন জানতে।

    ছোটবেলায় নারায়ণ সান্যালের "আবার যদি ইচ্ছা কর" পড়ে এই বিষয়ে প্রথম আগ্রহ তৈরী হয়েছিলো। তারপর থেকে খাপছাড়া জানার চেষ্টা ছাড়া কিছু হয়নি। তারপর এখন আবার অনেক সোর্স পাচ্ছি। আরো কথা হোক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন