এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমি বাংলাদেশে কুলদা রায়। আর ভারতে কলিমুদ্দিন শেখ।

    Kulada Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ মে ২০১৪ | ১০৬১৪ বার পঠিত
  • মোদীকে আমি চিনি না। চেনার দরকারও নাই। পৃথিবীতে সকল মানুষকে চেনা যায় না। আর আমি বরিশালের মনু। যেখানে বরিশালের সবারেই চিনি না—সেখানে ভারত নামের একটা রাষ্ট্রের গুজরাতের নরেন্দ্র মোদিকে চিনতে যাব কোন দূঃখে।
    তবে আমার পাড়ার নরেন মুদিকে চিনতাম। বেচারা নরেন মুদি। তার মুদি খানায় বিস্তর কেনাবেচা হত। হিন্দুদের চেয়ে মুসলমান খদ্দের ছিল বেশি। তারা বিশ্বাস করেন নরেন মোদি নামের এই হিন্দু লোকটা মালে ভেজাল দেবে না। আর দাম লাগাম ছাড়া নেবে না। আমাদের পাড়ার সৈয়াদুল হক চাচা এই ব্যাপারে বড় করে ঘোষণা দিয়েছিলেন, নরেন লোকটা হিন্দু হৈলেও খারাপ না।

    নরেন মুদির মাইজা ঠাকুরদা সাত চল্লিশে ইন্ডিয়া যান নাই। তাদের প্রতিবেশী দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য চলে গিয়েছিলেন। তবে ১৯৫০ সালে খবর এসেছিল—বরিশালের ফজলুল হকে সাহেবের ভাতিজা না ভাগ্নেকে কোলকাতায় ছুরি মেরে মেরে ফেলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় মেরে ফেলা হয় ৯ দিনে দশ হাজার হিন্দুকে। বরিশালে মেরে ফেলা হয়েছিল ২৫০০ হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাড়িঘর। লুটপাট করা হয়েছিল সহায়-সম্পদ। ধর্ষণের শিকার হয়েছিল অসংখ্য নারী। দখল করা হয়েছিল অনেকের জমিজমা। তখন নরেন মুদির মূলাদীস্থ মামাবাড়ির লোকজনের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল নদী। মাধব পাশার পিসে মশাই ছিলেন জমিদার বাড়ির সরকার বাবুর ব্যাগ-টানা লোক। সে সময় মাধব পাশায় একদিনে যে ২০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল—তার মধ্যে নরেণ মুদির ব্যাগ-টানা পিসে মশাই ছিলেন। যে সরকার বাবুর ব্যাগ টানতে টানতে তিনি নিহত হলেন—সেই সরকার বাবুর সঙ্গে জীবৎকালে তার পংক্তি-ভোজনের সুযোগ ক ঘটেনি। নমোশুদ্রের সঙ্গে এক পাতে খেলে ধর্ম থাকে! পিসে মশাইয়ের যে সামান্য জমি-জমা ছিল—সেটা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় শত্রু সম্পত্তি।

    নরেন মুদীর মাসির বাড়ি মোড়েলগঞ্জে। পানগুছি নদীর পশ্চিম পাড়ে সন্যাসী গ্রামে। ১৯৬৪ সালে কাশ্মিরে হজরত বাল মসজিদ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদের চুল চুরি গেছে বলে খবর হল। মেসোমশাই গিয়েছিলেন পিরোজপুরের কদম তলার হাটে শুপারী বেঁচতে। হাঁটের মধ্যেই তাকে ধরা হল। গলায় কিরিচের পোচ দিতে দিতে জুজখোলার রহিম মাওলানা চেঁচিয়ে বললেন, নমুর পো, কাশ্মীর থেইকা আমাগো নবীকরিমের চুল চুরি করছোস। তোরে আজ রেহাই নাই।

    পিসেমশাই মরার আগে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কাশ্মীরডা আবার কোন জাগায়! এখবর পাওয়ার পরে মাসি তার ছেলেপিলে নিয়ে বর্ডার পার হয়ে গেলেন। মেসো মশায়ের বন্ধু আব্দুল করিম তাদেরকে বর্ডার পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন। হাত ধরে বলেছিলেন, বৌদি গো, আমরা সবাই রহিম মাওলানা না। দোষ নিয়েন না।

    দোষ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। মাসি ততক্ষণে শেয়ালদা স্টেশনে পৌছে গেছেন। সেখান থেকে দণ্ডকারণ্যে। এরপর খবর নাই। পৃথিবী থেকে ছাপা। এটা নিয়ে নরেণ মোদি একদিন দূঃখ করে বলেছিলেন, বুজলা বাবা, একাত্তরে বাবারে হারাইছি। দেশ ছাড়ছি। আবার স্বাধীন হইলে ফির‍্যা আইছি। ফির‍্যা না আইসা করব কী? পৃথিবীর কোনো জায়গায়ই আমাগো বাঁচন নাই।

    এই নরেন মুদিকে চিনি। খাতা-পত্রে লেখা নরেন্দ্র ওরফে নরেন মুদী। ইলেকশন আসলে নরেন মুদির পরিবার পোটলা পুটলি বেঁধে রাখতেন। আর গলায় সরিষার তেল। জানেন—আওয়ামী লীগ আর বিএনপি বা জাতীয় পার্টিই আর জামায়াত- জিতুক বা হারুক, তাতে কিছু যায় আসে না। নরেন মুদির উপর কোপ পড়বেই। চান্স পাইলে পলান মারবেন। আর পলাতে না পারলে গালটা বাড়িয়ে দেবেন। কী আর করা! মানব জীবন ধারণ করলে তার পেরসানীও সহ্য করণ ছাড়া উপায় নাই।

    ২.

    ২০০২ সালে ভারতের গোধরা নামে একটি জায়গায় ট্রেনে আগুন লেগেছে। ৫৮ জন যাত্রী মারা গেছে। সেই যাত্রীরা অযোদ্ধায় গিয়েছিল তীর্থ করতে। তারা হিন্দু। রটানো হল—মুসলমানরা হিন্দুদেরকে মেরে ফেলেছে। ফলে সেখানে দাঙ্গা লেগে গেল। এরপর সাতদিন ধরে আহমেদাবাদে। এই দাঙ্গায় মারা গেলো ৭৯০ জন মুসলমান। আর হিন্দু ২৫৪ জন। মারাত্মকভাবে আহত হল ২৫০০ জন মানুষ। ২২৩ জনের কোনো খোঁজ নেই। আরেকটি সুত্রে জানা গেলো—গুজরাতের এই দাঙ্গায় ২০০০ মুসলমান মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছিল। ধর্ষণ করা হয়েছিল অসংখ্য নারীকে। মাসুম শিশু ওরফে শিশু গোপালকে জ্যান্ত আগুনে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল।

    ঘটনাচক্রে সে সময়ে আমাদের নরেণ মুদি নেত্রকোণা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গৌরীপুর। আমাদের পাড়ার শফিদ্দিন খাঁর মরমর অবস্থা। তিনি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। তার চেয়েও বড় কথা তিনি সন্যাসী গ্রামের মেসো মশায়ের মন্ধু আব্দুল করিমের ফুফা লাগে। শেষ অবস্থায় ডাক্তার বললেন, আপনার কী খেতে ইচ্ছে করে? খাঁ সাহেবের কথা বলার বিশেষ অবস্থা ছিল না। তবুও কষ্টে—সৃষ্টে বললেন, তিনি মহাশৈল মাছের কথা শুনেছিলেন বাল্যকালে এলাকার বিশিষ্ট কবিরাজ রসরঞ্জন মিত্তিরের কাছে। এই মাছ খেলে নাকি আশা পূর্ণ হয়।

    মহাশৈল মাছ পাওয়া যায় গৌরীপুরে। শঙ্খ নদীতে মাঝে মাঝে আসে গারো পাহাড় থেকে নেমে। শুনে নরেণ মুদি রওনা হয়েছেন মহাশৈল আনতে। খাঁ সাহেবের আখেরী হাউস পূর্ণ করতে সাধ জেগেছে। মাছটি তার একাত্তরে শহীদ বাবাও খেতে ইচ্ছে করতেন। এর মধ্যে গুজরাতে কী হল তার কিছুই জানেন না নরেন মুদি। অনেক কষ্টে মহাশৈল মাছ পেলেন। ঢাকায় আসতে আসতে দেখলেন শাখারী পট্টিতে দোকান-পাটে লুটপাঠ চলছে। বেশ কয়েকজন তাকে মাছ হাতে আসতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, নাম কী?
    তিনি বললেন, নরেন মোদী।

    আর যায় কোথায়। তারা রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চেপে ধরল। কে একজন চেঁচিয়ে বলল, ওরে ইলিয়াস, গুজরাতের দাঙ্গার নেতা নরেন্দ্র মোদীকে পাওয়া গেছে। সেইদিন তারা নরেন্দ্র মোদীকে খুঁজে পেলেও আমরা বরিশালের লোকজন নরেণ মুদীকে আর খুঁজে পাইনি। তিনি নাই হয়ে গেছেন।
    খাঁ সাহেব মহাশৈল মাছ খেতে পারেননি। তবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে গলার আওয়াজ একবার ফিরে পেয়েছিলেন। চেঁচিয়ে বলেছিলেন, কন তো ডাক্তার, এই গুজরাতের নরেণ মোদীর লগে পুরাণ ঢাকায় ইলিয়াস আলীর ফারাকটা কোথায়?

    ৩.

    আমাদের নরেন মুদিকে যে ইলিয়াস আলী নাই করে দিল, আর যে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের ফতিমার দুলহাকে খুন করতে বুলন্দ আওয়াজ দিল-এরা দুজনেই কিন্তু দুটো ধর্মের লোক। দুজনই তারা তাদের ধর্মে নিষ্ঠ। শুধু নিষ্ঠ হলে বিপদ ছিল না। কিন্তু বিপদ হতে শুরু করল যখন তাদের ধর্মকেই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে মনে করল। মনে করার মধ্যেও ঝামেলা কম। শুধু এই শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার মধ্যে দিয়ে অন্য ধর্মকে শত্রু ঘোষণা করল, অন্য ধর্মের অস্তিস্ত্বকে নিজেদের ধর্মের জন্য বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করল। নিজের ধর্ম রক্ষার জন্য অন্য ধর্মের মানুষজনদের উপর ঝাপিয়ে পড়ল। হত্যা করল। ধর্ষণ করল। সহায় সম্পত্তি কেড়ে নিল। দেশ ছাড়া করল। এটাই বিপদের জায়গা। এতোকাল যাদের মধ্যে ধর্ম এই অন্ধত্ব ঢুকিয়ে দিয়েছে—তারাই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী হয়ে দাড়িয়েছে। ধর্ম মানুষের লজিক কেড়ে নেয়। বিচার-বোধ হারা করে। হিংসা আর প্রতিহিংসার বীজ মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। এই ধর্ম-অন্ধ নিয়ে আমরা কী করবো?

    মনে করুন আমার এক পিসে মশাই। বরিশালের মঠবাড়িয়ার এক গ্রামে বাড়ি। মানবেন্দ্রনাথের গান আর দিলীপকুমারের অভিনয়ের পাগল। তার দিনদুনিয়াতে আর কিছু ছিল না। একাত্তর সালে তাকে মুসলমান হতে হয়েছিল। নাম হয়েছিল শাহজাহান। আর আমার পিসিমা মমতাজ। পিসাতো ভাইগুলোর নাম দারাশুকো, সুজা, আলমগীর। বোনটির নাম জাহানারা। রেগুলার মসজিদে যেতে হত। তাদের পালের গরু জবাই করেও খেতে হয়েছে। মুখে রাখতে হয়েছে দাড়ি। কপালে দাগ পড়ে গিয়েছিল। একাত্তরের পরে আমাদের বাড়ি এসে সেই দাড়ি কেটেছিলেন। আর হাহাকার করছিলেন। সেদিনই ঢোল-করতাল সহযোগে হিন্দু হয়ে গিয়েছিলেন। তাতে তার সমস্যা হয়নি।

    কিন্তু সমস্যা হয়েছিল—এর পরে তিনি অতিরিক্ত হিন্দু হয়ে গিয়েছিলেন। সব সময় মুসলমানদের পতন দেখতে চাইতেন। আমাদের মুসলমান বন্ধুদের দেখলে আড়ালে ডেকে নিয়ে আমাদেরকে চড় থাপ্পড়ও দিতেন। বলতেন, বিধর্মী গো লগে মেসো, সাহস তো কম না! তার মেয়েটি একটি মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করলে তাকে ত্যাজ্য করেছিলেন। আছড়ে পিছড়ে কান্নাকাটি করেছিলেন—মেয়েটি তাদের অনন্ত নরকে ঠেলে দিল। অদ্ভুদ।

    আরেকজন পিসেমশাই চিরকাল শিক্ষা-দীক্ষা ছিলেন। নিজের ছেলে-সন্তানদের কেউ কেউ দেশবিদেশের শিক্ষক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তার মন খারাপ হয়ে যায়। সেই পিসে-মশাই আমাকে বলেছিলেন, বোজলা বাবা, কৃষ্ণ ঠাকুর পুরুষোত্তম। বিএনপি-জামাতকে ধ্বংস করতে শ্রীকৃষ্ণ নতুন অবতার হয়ে আসবেন। চিন্তা করবা না। গীতায় এই কথা লেখসে। যিনি রাম--তিনিই কৃষ্ণ। তাদের একজন রামায়ণের পাতা থেকে ফাল দিয়ে পড়বেন। আরেকজন মহাভারতের পাতা থেকে সুদর্শন চক্র নিয়ে আসবেন। এসে বিধর্মীদের কচু কাটা কাটা করবেন।

    নতুন অবতারের খবর নেওয়ার জন্য আমার গীতা পড়ার দরকার নাই। বাল ঠ্যাকরে নামের এক লোক যখন হুংকার দিলেন—বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হলা হবে। সেখানে আবার রামের নামের মন্দির গড়া হবে, তখনই বুঝলাম শ্রীঅবতার এসে গেছেন। তার সাঙ্গোপাঙ্গোর নাম শিবসেনা। এরা মানুষ হলেও পাছায় ল্যাজ আছে। এদের নবীন নেতা নরেন্দ্র মোদী। তিনি রামরাজ্য চান। রামরাজ্যে অন্য ধর্মের লোকের কোনো চান্স নাই। সোজা পুশব্যাক করে দাও। আফগানিস্তান-পাকিস্তানের তালিবানরা এই কাজটি করছে। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীরা এই কাজটি করে চলেছে। তাদের রাজ্যে মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মের লোকদের থাকতে দেবে না। যারা থাকতে চাইবে তাদের সোজা গুলি করে মারবে। এরা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

    এই সাম্প্রদায়িকতা একটা ছোঁয়াচে অসুখ। মানুষকে পাঠা করে তোলে। সে সব সময়ই অন্য মানুষকে শিং উচিয়ে তাড়া করে।

    কেউ ধর্ম পালন করে শান্তি লাভ করুক—আমার আপত্তি নাই। কেউ ধর্ম পালন না করেও শান্তি লাভ করুক তাতেও আমার আপত্তি নাই। তাদের ব্যক্তি জীবনে ধর্মে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করার অধিকার দুই-ই আছে। আধুনিক রাষ্ট্র তাদের সেই অধিকারকে নিশ্চিত করে। কিন্তু মওদুদীর জামায়াতে ইসলামী বা মোদীর বিজেপি সেই অধিকারকে কেড়ে নেওয়ার দুঃসাহস দেখায়। এইখানেই জামায়াতে ইসলামীর উত্থান দেখলে আমি কেঁপে উঠি। মোদীর বিজেপির উত্থানেও আতঙ্কিত হই। এরা কোনো রাষ্ট্র মানে না। নাগরিক বোঝে না। বোঝে-- জগতে মোদীর কাছে হিন্দু আছে। জামায়াতের কাছে মুসলমান আছে। আর কেউ থাকতে পারে না।

    আমরা ঠেকে শিখেছি--যে কোনো ধর্ম বা মত যখন শ্রেষ্ঠত্বের দাবী করে হুঙ্কার ছাড়ে, সেটা তখন আর মত থাকে না--হিংসার অস্ত্র হয়ে ওঠে। এই হিংসার কাছে আমি তো আসলে কেউ নই। আমি বাংলাদেশে কুলদা রায়। আর ভারতে কলিমুদ্দিন শেখ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ মে ২০১৪ | ১০৬১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৮:২৯73119
  • আবার ঘেঁটে যাচ্ছি। ঝিকি কোনটাকে রটনা বলছে? গোধরায় ট্রেন জ্বলে অতজন করসেবকের মৃত্যুর ব্যাপারটাকে? নাকি মৃত্যুর কারণ ছিল মুসলমানেরা, এই ব্যাপারটাকে?
  • - | 109.133.152.163 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৮:৩২73207
  • এতক্ষনে!
    একক একমত!
    এইটাই শুনতে চাইছিলাম। রটনা। সবটাই। আপনাদের আমাদের ওদের তাদের সবার কথাই! আগুন লাগানর ঘটনা প্রমান হয় নি তার আগেই খবর ছড়িয়েছে, তাই সেটা রটনা।
    পরবর্তী এফেক্টের ব্যাখ্যায় নানা কমিশন হলেও মোদীর দোষ প্রমানিত হয় নি, তাই এটাও রটনা।
    সব চরিত্রই কাল্পনিক।
    এই নিয়ে এত লিং আর সময় নষ্টের মানে হয় কোনও?
    যাই তবে নিজ নিজ কাজে। আমেন!!
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৮:৩৪73208
  • 'অরণ্যদা কি পৃথিবীর কোথায় কোথায় মাইনরিটি অত্যাচারিত হয়েছে সেইটা বিচার করে হিলেলেদের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে বলছে?'
    - টিম-এর এই পোস্ট-টা এখুনি দেখলাম। অবশ্যই তা বলছি না, ভোট নিয়ে কোন কথাই বলি নি এখানে। টিম-এর মাথায় এই আইডিয়াটা কিভাবে ঢুকল জানি না।
    কুলদা বাবু-র লেখায় আর এস-এর পোস্টে বাংলাদেশে মাইনরিটি হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের কথা আছে - হিলেলে-রা এ নিয়ে কতটা ভোকাল সেই ব্যাপারে আমার ধারণার কথা লিখেছি।

    মোদী-কে ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে কদিন আগে ভাটে যা লিখেছিলাম এখনও তাই মনে করি - ওনাকে পিএম-এর কুর্সিতে না দেখে জেলের গরাদের পিছনে দেখতে চাই। খুনের মামলা তামাদি হয় না। দেখা যাক, এ আশা কখনো পূর্ণ হয় কিনা। সময়-ই উত্তর দেবে
  • tapos | 233.29.202.18 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৮:৪১73121
  • জয় ভারতী ???

    জ্জয় গ্গুরু !!!

    কত্ত চিহ্ন সমাগম !!!!!!!

    ওয়াহ ওয়াহ !!!
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৮:৫০73209
  • হিলেলে-দের বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদী-দের অত্যাচারের নিন্দা না করার একটা কারণ অবশ্যই ভয় পাওয়া - সেক্ষেত্রে তাদের যদি হিন্দু মৌলবাদী বা হিন্দু মৌলবাদের সমর্থক হিসাবে দাগিয়ে দেওয়া হয় - টিম-এর পোস্ট যেদিকে ইঙ্গিত করে।

    এইটা একটা জেনুইন সমস্যা - সবকিছুকে বাইনারী ভাবে দেখা -সিপিএম নও মানে তুমি তৃণমূল, হিন্দু নিধনের প্রতিবাদ করছ, তাহলে তুমি নিশ্চয় মুসলিম নিধনের হোতা মোদীর দলকে সাপোর্ট কর - এই আমরা-ওরার বাইরেও তো জগৎ আছে, মানুষ তো অন্যভাবেও ভাবতে পারে
  • jhiki | 212.67.46.18 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৯:০৬73122
  • এখন অবধি মুসলিমদের ইনভলড থাকা 'ঘটনা'। ঐ ৩১ জন আপার কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হলে এটা যে 'রটনা' সেটা মানতে বাধ্য হব।

    আর আগেই তো লিখলাম, ঘটনাস্থলে একজনও অপরাধী কোন সিকিউরিটি ফোর্সের হাতে মারা গেলে এই মধ্যবর্তী ধুসর জায়গটা থাকতনা।
  • - | 109.133.152.163 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৯:০৭73123
  • সিকি, "রটনা"র লাইন আমি কোট করেছি মূল লেখা থেকে, আবার করছি "সেই যাত্রীরা অযোদ্ধায় গিয়েছিল তীর্থ করতে। তারা হিন্দু। রটানো হল—মুসলমানরা হিন্দুদেরকে মেরে ফেলেছে। "
    ঝিকিও এই "রটনা"র কথা বলছেন বলেই মনে হয়।
    তো, এটা "রটনা" না "ঘটনা"? আদালতের বিচারে কি সাব্যস্ত হয়েছে?
    যদি সেটা ঘটনা হয়ে থাকে, তবে লেখকের উচিত ভুল স্বীকার করে সংশোধন করা, তাই না?
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ২০ মে ২০১৪ ১০:১৪73210
  • ড্যাশকে। কিছু জিনিস কিন্তু রটনা নয়।

    ১। মোদী একজন অপদার্থ প্রশাসক। নিজের রাজ্যের রাজধানীতে অবাধে তিনদিন ধরে নরমেধ যজ্ঞ ঘটতে দেন। -- এটা কোনো রটনা নয়।

    ২। নিজের দলের প্রক্তন প্রধানমন্ত্রী এই কারণে তাঁকে রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ বলেছিলেন। সেটা রটনা নয়।

    ৩। এখন তিনি হেলে ধরা শেষ করে কেউটে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী হয়েচেন। -- এটাও কোনো রটনা নয়।
  • - | 109.133.152.163 (*) | ২০ মে ২০১৪ ১০:২৪73211
  • ঈশান,
    ১ নং আপনার মত। বুঝেছি। রটনা/ঘটনা নয়।
    ২ নং কোনও এক প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী (যিনি আপনারই মত একজন নাগরিক মাত্র) তাঁর মত। বুঝেছি। রটনা/ঘটনা নয়।
    ৩ নং আবারও আপনার মত। বুঝেছি। রটনা/ঘটনা কোনওটাই নয়।
    তিনটিই সাধারন নাগরিকের একটা ওয়েব্সাইটে লেখা (পরিবর্ত্তন সাপেক্ষ) মত মাত্র।
    আপত্তির কারণ নেই।
  • সিকি | 131.241.127.1 (*) | ২০ মে ২০১৪ ১০:৩৬73124
  • আপনারা তবু নানাবতী কমিশনের রিপোর্টটা পড়বেন না।

    দরকারই বা কী? একটা কম্যুনাল রং পাওয়া গেছে যখন, বাকি সমস্ত শেড আর মিলিয়ে দেখার দরকারটাই বা কী?
  • jhiki | 212.67.46.18 (*) | ২০ মে ২০১৪ ১০:৩৮73125
  • সিকি ও তো কোর্টের রায় পড়তে পারে। কোন কমিশনই তো আদালতের রায়ের ওপরে নয়।
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ২০ মে ২০১৪ ১০:৫৭73212
  • ঈশানের ২ আর ৩ নং পয়েন ফ্যাক্ট স্টেট করছে -সেগুলো কি করে '(পরিবর্ত্তন সাপেক্ষ) মত ' হয় বুজলাম না
    ১ নং পয়েন্ট - ২০০২ গুজরাত দাঙ্গার ক্ষেত্রে হয় মোদী অপদার্থ প্রশাসক নয় তিনি এই গন হত্যা, ধর্ষণের সমর্থক - এর বাইরে কি আর কোন পসিবিলিটি আছে?
  • Tim | 47.150.67.12 (*) | ২০ মে ২০১৪ ১১:০৩73213
  • ড্যাশকে,

    ১ নং হয়নি? নাকি মোদী প্রশাসনের অবজার্ভেশনে হয়নি? এখানে মতবাদের জায়গাটা একটু বুঝিয়ে দেবেন। সাম্প্রতিক কালের প্লেন উধাও আর ফেরি ডুবে যাওয়ার পরে প্রশাসন নৈতিক দায়িত্ব নিয়েছে, বলা ভালো নিতে বাধ্য হয়েছে। সারা পৃথিবীতে অন্তত এইটুকু করা, নর্ম। সেখানে মোদীর প্রতিক্রিয়ায় কোন দায়িত্ব নেই, ইন ফ্যাক্ট প্রতিক্রিয়াই ছিলোনা এই সেদিন পজ্জন্ত, এখন তাও কুকুরছানা দেখানো শুরু হয়েছে।

    ২ আর ৩ নং এর কাউন্টার নির্মল আনন্দ, তাই আপাতত থাক।
  • Tim | 47.150.67.12 (*) | ২০ মে ২০১৪ ১১:১০73214
  • Comment from aranya on 21 May 2014 02:20:57 IST 154.160.226.53 (*) #

    অরণ্যদা,
    একেবারেই ভুল বুঝেছো। এইরকম কোন হাস্যকর যুক্তি কি কোথাও লিখেছি? যেটা বলতে যাচ্ছিলাম সেটা তারপর একক লিখেছিলো, তাই রিপিট করি নি। ভারতে মাইনরিটি আক্রান্ত ও প্রান্তিক হলে একজন ভারতীয় হিসেবে তার প্রতিবাদ করি। বলতে পারো মাথাব্যথা কম, একেবারে ঘরের ব্যাপার নয় বলেই হয়ত। এটুকু পক্ষপাত আশাকরি ক্ষমাহীন নয়।
    ফর দ্য রেকর্ড, অন্যত্র যা যা হচ্ছে, সেগুলোও একেবারেই সমর্থন করিনা, আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া সর্বত্রই মাইনরিটি গ্রুপ ক্যাল খাচ্ছে, সেগুলোরও তীব্র নিন্দাই করি। বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন নিয়েও আপত্তি জানিয়ে রাখলাম গোটা গোটা করে। আশাকরি এই প্রশ্নটা অর উঠবেনা।
  • Du | 230.225.0.38 (*) | ২০ মে ২০১৪ ১১:২৩73126
  • ভাবি, এই লেখা পড়ার পরেও আমরা এইসব তর্ক তুলতে পারি !
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২০ মে ২০১৪ ১২:০৮73127
  • তর্ক উঠতেই থাকে। এই একই তর্ক হাজার জায়গায় আমি করেছি, আরও হাজার জায়গায় হয় তো করতে হবে।

    কোর্টের রায় পড়ে নেব না হয়। কী লেখা থাকবে সেখানে? "মুসলমানরা হিন্দুদের মেরেছে"? এতশত লেখাপড়া জানা মানুষ একটা কথা কেন বুঝতে পারে না, অপরাধী, অপরাধীই। তার কোনও "কমিউনিটি" হয় না! কিছু লোক ধর্মের জিগির তুলেও যদি অন্য ধর্মের মানুষকে মারে, তা হলেও সেই ধর্মের সব মানুষ দোষী হয়ে যায় না। ২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর নৃশংশভাবে ধর্ষণ করে খুন করেছিল একটা মেয়েকে, কয়েকটা শয়তান। ঘটনাচক্রে অপরাধীদের সবকটার নামই হিন্দুধর্মের। কেমন লাগবে যদি এটার প্রতিশোধ হিসেবে কেউ হিন্দুদের নিকেশ করতে নেমে পড়ে দিল্লির রাস্তায়? ব্যাপারটা জাস্টিফায়েড হবে কি? মাসের পর মাস, বছরের পর বছর মাওবাদীরা শয়ে শয়ে লোককে মেরে যাচ্ছে। এই খুনীদের প্রায় প্রত্যেকেই হিন্দু বা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী (মূলত আদিবাসী, এবং কিছু তাত্ত্বিক নেতা), কেমন লাগবে যদি এর প্রতিবাদে হিন্দু বা খ্রিস্টানদের মেরে একেবারে নিকেশ করে দেওয়া যায়? কখনও তো কারুর মনে এই ধরণের চিন্তা উদয় হয় না! কেন তবে গোধরার ক্ষেত্রে মনে হবে যে "মুসলমানরা" "হিন্দুদের" "মেরেছে"? কেন মনে হবে না যে একদল অপরাধী একদল নিরপরাধ(??) মানুষকে মেরেছে? (নিরপরাধে আমার কিঞ্চিত আপত্তি আছে কারণ নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে লেখা আছে, এই করসেবকরা গোধরা স্টেশনে যখন ট্রেন দাঁড়িয়ে, তখন কিছু ভেন্ডরকে তাদের ধর্ম তুলে বেশ কিছু কটূক্তি করেছিল, অনুমান করা হয়, যার রিটালিয়েশন হিসেবে ট্রেনকে ঘিরে ধরে আগুন লাগানো হয়)।

    আরও একটা কথা বোধ হয় অনেকেরই মনে থাকে না, এমনি অপরাধীর সন্ত্রাস / গণহত্যা / অপরাধ আর রাষ্ট্রের প্ররোচনায় করা সন্ত্রাস/গণহত্যা/অপরাধ, দুটোর ওজন সমান নয়। মাওবাদীরা যখন পালে পালে পুলিশ মারে, নিরপরাধ লোকজন মারে, আমরা নিন্দে করি, কিন্তু প্রতিবাদে রাস্তায় নামি না, কারণ মাওবাদীরা রাষ্ট্রের অংশ নয়। কিন্তু ছত্তিশগড়ের সরকার যখন মাওবাদী সন্দেহে আদিবাসীদের নির্বিচারে রেপ খুন জখম করে, মমতা ব্যানার্জির পুলিশ যখন কিষেণজিকে ঘিরে ধরে বুলেটে বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেয় আত্মসমর্পণের সুযোগ না দিয়েও, তখন সেই অপরাধের গুরুত্ব অপরিসীম, সে আমি যতই অপছন্দ করি না কেন কিষেণজিকে, কিষেণজি যত বড় খুনীই হোক না কেন। কিষেণজি খুনী, ওর খুন করার কাজ ঘৃণ্য হলেও অসম্ভব কিছু নয়, কিন্তু রাষ্ট্রের রোল তো খুনীর নয়, সে কেন খুন করবে খুনীকে? তা হলে দেশে বিচারব্যবস্থা আছে কেন?

    গুজরাত অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রোঅ্যাকটিভলি তিনদিন ধরে মুসলমানদের কচুকাটা করায় মদত জুগিয়েছিল, পুলিশ ডেকেও সাহায্য পায় নি ছোট ছোট বাচ্চা থেকে গর্ভবতী মা থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত, কেউই। সেটাকে সুচারুভাবে "স্পন্টানিয়াস প্রতিশোধ" বলে চালানো হয়েছে বছরের পর বছর, দুঃখপ্রকাশ হয় নি সরকারের তরফে, বরং কুকুরের বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষিত ভারত, একুশ শতকের ভারত এই অ্যাটিটিউড সগর্বে এন্ডোর্স করেছে, তাই না মোদী পর পর তিনবার জিতে আসে গুজরাতের বিধানসভায়।

    একই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। তিন দিন ধরে সমস্ত পুলিশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছিল কেমন করে এক একটা শিখকে প্রথমে চুল উপড়ে নেওয়া হচ্ছে, তারপরে চোখ উপড়ে নেওয়া হচ্ছে, তারপরে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে গলায় পেট্রলমাখা টায়ার গলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ত্রিলোকপুরী, কল্যাণপুরীর সেই দিনের বীভৎসতা দেখা বাচ্চাগুলো আজ প্রায় প্রৌঢ়, সুবিচারের আশা তারা আজ আর করে না, তবু সান্ত্বনা, দু একজন তো ধরা পড়েছে, তাদের বিচার চলছে।

    এই আর কি। শিখদের ওপর থেকে সেদিনের সেই সুবিশাল ঘৃণা লোকে ভুলে যেতে পারে, দোষীর শাস্তি হতে পারে, কিন্তু গুজরাতের কেসটা অন্যরকম হয়েই থেকে যায়।
  • PL | 103.115.84.195 (*) | ২০ মে ২০১৪ ১২:৪৭73128
  • একটু ডাউট হলো। শিখ দাঙ্গায় দোষীদের শাস্তি হয়েছে, গোধরা কান্ডেও দোষীদের সনাক্ত করা হয়েছে, কোর্ট তাদের শাস্তি দিয়েছে, তারা জেল খাটছে। কিন্তু মোদীকে কোন কোর্টই দোষী বলেনি। তাহলে কি........ সুপ্রীম কোর্ট মনে করে......উনি........দোষী না?
  • PL | 103.115.84.195 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০১:১৬73215
  • " ওনাকে পিএম-এর কুর্সিতে না দেখে জেলের গরাদের পিছনে দেখতে চাই। খুনের মামলা তামাদি হয় না। দেখা যাক, এ আশা কখনো পূর্ণ হয় কিনা। সময়-ই উত্তর দেবে"

    অরন্য খাঁটি কথা বলেছেন, খুনের মামলা তামাদি হয় না। আর এই মামলার বিচার করে কোর্ট। আমরা যারা বিজেপি কে ভোট দিয়েছি তারা দেখছি যে কোর্ট মোদীকে দোষী মনে করে না। ভবিষ্যতে মনে করবে কিনা, সেই উত্তর সময় দেবে।
  • aranya | 78.38.243.218 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০১:৫৫73216
  • ওকে, তিমি, ভুল বোঝাবুঝি খতম, নো হার্ড ফিলিংস :-)
  • Tim | 47.150.67.12 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০১:৫৮73227
  • এখুনি কেউ এসে বলবে সবই ব্যক্তিগত মত, এগুলো কিছু হয়নি।
  • a x | 138.249.1.206 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০২:১৭73228
  • আরেকটি "রটনা" থাক এখানে -
    http://indianexpress.com/article/india/gujarat/they-asked-me-to-choose-godhra-pandya-or-akshardham/

    Gujarat Police gave him the “choice” of being implicated in the Godhra train burning, Haren Pandya murder and Akshardham terror, one of the men acquitted by the Supreme Court in the temple attack case alleged on Tuesday.
    Mohammed Saleem was eventually sentenced to life under POTA for involvement in the Akshardham case.
    On May 16, the day Prime Minister designate Narendra Modi won his historic mandate, the Supreme Court set Saleem and five others free, pulling up the Gujarat Police for framing innocent people, and blaming the then home minister — Modi — for “non-application of mind”. Four of the six men had already spent over 10 years in jail.
  • Biplob Rahman | 212.164.212.61 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০২:৩৯73229
  • "এর মধ্যে গুজরাতে কী হল তার কিছুই জানেন না নরেন মুদি। অনেক কষ্টে মহাশৈল মাছ পেলেন। ঢাকায় আসতে আসতে দেখলেন শাখারী পট্টিতে দোকান-পাটে লুটপাঠ চলছে।"...

    এই অংশটিতে সত্যের লেশমাত্র নেই। অবশ্য এটি কুলদা রায়ের গল্প। ...

    বাস্তবে সাম্প্রদায়িক হামলার নৃশংসতা আরো ভয়াবহ। অধম বহু বার এর প্রত্যক্ষ দর্শন করেছে পাহাড়ে। সেটি অবশ্য জাতিগত সহিংসতা। স্রেফ চাকমা জবাই যজ্ঞ। আর আদিবাসী মেয়ে গণধর্ষণ। এই সবও এক অর্থে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা। আদিবাসী পাহাড়িরা অধিকাংশ বৌদ্ধ ধর্মালম্বী। হামলায় খুব জনপ্রিয় বাঙালি মুসলিম সেটেলার শ্লোগান: নারায়ে তাকবির! আল্লাহু আকবর!! ...
  • তাপস দাশ | 122.79.37.131 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০২:৫০73230
  • বিপ্লব কী বললেন প্রথমাংশে সেটা বুঝলাম না । মানে কী বলতে চাইলেন বুঝলাম না । ওই অংশটা তো ফিকশন । 'এই অংশটিতে সত্যের লেশমাত্র নেই। অবশ্য এটি কুলদা রায়ের গল্প' - হঠাত পড়লে মনে হচ্ছে যেন
    কুলদা রায় একটা 'ঘটনা' বর্ণনা করতে গিয়ে যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন সেটা বিপ্লব রহমান ধরে ফেলেছেন !
  • cm | 37.61.91.200 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০৩:৪৬73231
  • আচ্ছা এই ওয়ার অন টেররে সাধারণ লোক কত মরল তার কোন হিসেব আছে?
  • | 24.97.18.122 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০৩:৫৪73232
  • আমি বিপ্লব রহমানের গোটা মন্তব্যটারই মাথামুন্ডু বুঝলাম না। এক তো তাপস যেটা বললেন, 'সত্যের লেশমাত্র নাই' বলতে কী বোঝাতে চাইছেন?

    দ্বিতীয়তঃ বাস্তবে আরো ভয়ংকর বলারই বা কী তাও বুঝলাম না। কুলদাবাবুর লেখায় ভয়ংকরতা তো কিছু কম পাচ্ছি না।

    সবাই সবকিছু হাঁইমাইকাঁইকাঁই করে বর্ননা করবে এ আবার কেমন দাবী??!!
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০৪:০৪73217
  • নির্মল আনন্দ।

    আর কিছু বলার নেই।

    আমেন।
  • | 24.97.52.174 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০৪:১৩73218
  • আবার 'আমেন'!!?? ছি ছি ছি সিকি। দ্যাখো না তোমায় এবারে গ্রাহাম স্টাইনসের ভুতের কাছে পাঠাবার বেবস্তা করা হবে।
    হুমমম
  • Reshmi | 129.226.173.2 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০৬:০৪73219
  • বিচার ব্যবস্থার ওপর যাঁদের এত আস্থা তাঁরা বোধহয় মনু শর্মা কে ভুলে গেছে। মনু শর্মা অ্যান্ড কোং এর ট্রায়াল কোর্টে অ্যাকুইটাল হবার পর দেশের এক্জন প্রাক্তন চীফ জাস্টিসের বক্তব্য ছিলঃ

    Sometimes when the police, the prosecution and the lawyers all have connections with the criminals, the judge should be slightly proactive. He should try to get to the truth, and not depend totally on the evidence provided in court. In a case like this, he is not going to get proper evidence. Mostly the judiciary is depended on the evidence provided by the investigative agencies, but now when the situation is so bad, the judges have to wake up, be proactive and find the truth.

    তবে কিনা মোদী তো মনু শর্মা নয়! মোমবাতি নিয়ে হাঁটার মত আর কজনকেই বা পাওয়া যাবে। আর কোথায়ই বা পাওয়া যাবে তেমন বিচারক যে দেশের প্রধাণমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রায় দেবার মত "প্রোঅ্যাক্টিভ" হবে!
  • π | 24.139.209.3 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০৬:১৬73220
  • ১, ২, ৩ সবই নির্মল আনন্দ। কালকের ভাট পাতার মতনই ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন