এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  খেলা  শনিবারবেলা

  • ভারতের অপারেশন টোকিও: পর্ব ৭

    সৌরাংশু
    ধারাবাহিক | খেলা | ৩০ অক্টোবর ২০২১ | ৯৫৪ বার পঠিত

  • বিন্দুতে সিন্ধু দর্শনের প্রয়াস: ব্যাডমিন্টন


    ভারতের মহিলা ব্যাডমিন্টনে পিভি সিন্ধুর পরে কে? এই হাজার ডলারের প্রশ্নটায় পরে আসছি। তবে তার আগে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন নিয়ে একটু শিবের গীত করে যাই।

    ভারতীয় ব্যাডমিন্টন সাবালকত্ব প্রাপ্ত হয় প্রকাশ পাড়ুকোনের হাত ধরে। তবে দীনেশ খান্না প্রথম ভারতীয় হিসাবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন ১৯৬৫তে। কিন্তু এশিয়ান স্তর পেরিয়ে বিশ্বস্তরে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনকে নিয়ে আসেন পাড়ুকোনই। ১৯৮১র বিশ্বকাপে হান জিয়ানকে হারিয়ে সোনা, ১৯৮০র অল ইংল্যান্ডে লিয়াম সুই কিংকে হারিয়ে সোনা। এ ছাড়াও ৫টি গ্রাঁপি। লিয়াম সুই কিং, হান জিয়ান, মর্টেন ফ্রস্ট হ্যানসেনদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়তেন প্রকাশ, তাঁর টাচ প্লে নিয়ে। একটা অদ্ভুত সার্ভিস ছিল, শর্ট সার্ভিস স্লাইস করলেন, প্রতিপক্ষ মনে করল যে ককটা সার্ভিস কোর্টই পৌঁছবে না, কিন্তু স্লাইসের জন্য ভেসে গিয়ে ঢুকে পড়ে পয়েন্ট তুলে নিল। আর সূক্ষ্ম টাচ ছিল।

    সৈয়দ মোদি একমাত্র প্রতিযোগিতা ছিল পাড়ুকোনের। কিন্তু অদ্ভুতভাবে মৃত্যু হয় তাঁর সম্পূর্ণ বিকশিত হবার আগেই আর তার কোনও কিনারা হল না। প্রকাশ পাড়ুকোনের যোগ্য উত্তরসূরি হলেন পুল্লেলা গোপীচাঁদ।

    এই পুল্লেলা গোপীচাঁদ থেকেই আমাদের গল্প শুরু। ২০০১, প্রকাশ পাড়ুকোনের প্রাক্তন ছাত্র পুল্লেলা গোপীচাঁদ বিশ্বের এক নম্বর পিটার গেডেকে সেমিফাইনালে এবং ফাইনালে দু’বারের অল ইংল্যান্ড বিজয়ী চেন হংকে হারিয়ে, প্রকাশের পরে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে অল ইংল্যান্ড জেতেন গোপী। কুড়ি বছরের পার্থক্য হলেও, খেলায় যেন প্রকাশের ছায়া। সেই একই সূক্ষ্ম টাচ, সেই একই বুদ্ধিদীপ্ত নড়াচড়া এবং কোর্ট কভারেজ। কিন্তু হাঁটুর এসিএল ছিঁড়ে সেই স্বপ্নের অকাল সমাপ্তি ঘটে।

    কিন্তু নিজে পারিনি বলেই যে যা শিখলাম বা যে সম্ভাবনাটা দেখলাম সেটা ভবিষ্যতকে দিয়ে যাব না, এতোটা ভারতীয়ও তিনি নন। ফলস্বরূপ হায়দ্রাবাদের প্রান্তে গাচ্চিবাউলিতে রাজ্য সরকারের থেকে পাওয়া জমির উপর তৈরি হল আধুনিক ট্রেনিং-এর সমস্ত ব্যবস্থা সহ গোপীচাঁদ ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমি। আর কিছুদিনের মধ্যেই ভারতের হকির গ্রাফ গেল বদলে। এর আগে কখনও-সখনও কমনওয়েলথে মেডেল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা ভারত। এক এক করে পারুপল্লী কাশ্যপ, সাইনা নেহওয়াল, কিদম্বী শ্রীকান্ত, সাই প্রণীত, সমীর বর্মা এবং সর্বোপরি পুসারলা ভেঙ্কট সিন্ধুর মতো তারকাদের অ্যাসেম্বলি লাইন প্রোডাকশন শুরু করে দিল। ঠিক বেড়ে ওঠার বয়সে তাদের সঠিক ট্রেনিং, মাসল ডেভেলপমেন্ট এবং শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অনুশীলন। এইভাবেই অলিম্পিকের প্রথম ব্রোঞ্জ এল। এল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের রুপো।

    কিন্তু শক্তিতে কোথাও যেন সাইনা নেহওয়াল আটকে যাচ্ছিলেন। বিশ্বের এক নম্বর হবার পরেও, চিনের মেয়েদের সঙ্গে একেবারেই পেরে উঠছিলেন না তিনি। সঙ্গে চলে এলেন ক্যারোলিন মারিনের বাঁ হাতি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও।

    চাকাটা ঘোরালেন সিন্ধু। ২০১৬র রিও অলিম্পিকের ফাইনালে সিন্ধু মারিনের কাছে হারলেন বটে, কিন্তু পাওয়ার গেমটার রহস্য তদ্দিনে সমাধান করে ফেলেছেন তিনি। ৫ ফুট ১০এর গড়পড়তা ভারতীয়দের থেকে অনেকটা লম্বা এবং চওড়া খাঁচার সিন্ধুর শারীরিক শক্তি এবং কোর্টে উপস্থিতি ভারতীয় মহিলা শাটলারদের কাছে অভূতপূর্ব ব্যাপার। তার সঙ্গে যুক্ত হল, নিয়ন্ত্রণ। তবু চোট আঘাত ডিঙিয়ে তিনি তারপর জিতলেন ২০১৭র বছর শেষের বিডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ট্যুর। বেশ কিছু বছর ধরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের দুটো ব্রোঞ্জ এবং দুটো রুপো পাবার পর সুইজারল্যান্ডের বাসেলে নোজোমু ওকুহারাকে হারিয়ে জিতলেন প্রথমবারের মতো ২০১৯এ।

    অবশ্য আসল খেলাটা ছিল কোয়ার্টার ফাইনালে তাই জু-র বিরুদ্ধে। তাইওয়ানের তাই জু, সাইনার মতোই টাচ প্লেয়ার এবং শক্তিধর না হলেও বেশ আনপ্রেডিক্টেবল এবং আক্রমণাত্মক। এই ধরণের খেলার সঙ্গে সিন্ধুর ম্যানেজ করতে বেশ অসুবিধা হয়।

    কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে সিন্ধুর আঘাতজনিত কারণে একটা স্টিফনেস ছিল, কোর্ট কভারেজে অত লম্বা শরীর নিয়ে অসুবিধা হচ্ছিল, তার সঙ্গে তার পাওয়ার গেমও সঠিকভাবে খেলা সম্ভব হচ্ছিল না, কারণ তাই জু দিচ্ছিলেন না। উলটোদিকে বিশ্বের ২ নম্বর, তাই জু ইং, প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতায় কোর্ট কভার করছিলেন যেন চিতা বাঘিনী। বিশেষত ডিউস কোর্টের (বামদিকের কোর্ট) ওভার হেড ডাউন দ্য লাইন স্ম্যাশ বা ড্রপ শটে সিন্ধুকে নাজেহাল করে দিচ্ছিলেন। প্রথম গেম স্বচ্ছন্দে ২১-১২য় উড়িয়ে দেন সিন্ধুকে। দ্বিতীয় গেমের মাঝামাঝি একটা টাইম আউটের পর যেন বিশ্বাস করতে শুরু করলেন যে হারবেন না। মানে তাই জু অনেক ভালো খেলছেন। শারীরিকভাবে অনেক বেশি সক্ষম, কিন্তু সিন্ধু জানেন যে হারবেন না। হারতে পারেন না। তাহলে ভোরের সূর্য ওঠা ভুল হয়ে যাবে, নদীর জল সাগর থেকে পাহাড়ে চলে যাবে, আমাজনের আগুন নিববে না, মানুষের হানাহানি থামবে না। সিন্ধু হারবেন না, হারতে পারেন না। এইভাবেই পরের দুটো গেমে প্রায় অমানবিক জায়গায় নিজের খেলাটাকে নিয়ে গিয়ে জিতেছিলেন ২৩-২১ ও ২১-১৯।

    সেইটাই শুরু। মানুষ সিন্ধুকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কিন্তু অত বড় শরীরটায় চোট আঘাত বড্ড বেশি। পিঠের ব্যথা, হ্যামস্ট্রিং তার উপর কোভিড মহামারী। সাইনা নেই, কাশ্যপ নেই, শ্রীকান্ত সাড়া জাগিয়েও নেই। শুধু রয়েছেন সিন্ধু, সাই প্রণীত এবং ডাবলসে রাঙ্কিরেড্ডি আর চিরাগ শেট্টি। প্রণীত গত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ মেডেল প্রাপ্ত, প্রকাশের পরে প্রথম ভারতীয় পুরুষ, বিশ্বের ১৩ নম্বর। কিন্তু অলিম্পিকে সহজ গ্রুপে ইজরায়েলের মিশা জিবারম্যান এবং নেদারল্যান্ডসের মার্ক ক্যালজৌয়ের কাছে স্ট্রেট গেমে হেরে বিদায় নিলেন। অথচ প্রণীতের ব্যক্তিগত কোচ এ ডি সন্তোষার জন্য জায়গা ছাড়তেই জাতীয় কোচ গোপীচাঁদ অলিম্পিকে যাননি।
    সিন্ধুও তদ্দিনে কোরীয় কোচ তায় স্যাং পার্কের সঙ্গে ব্যক্তিগত ট্রেনিং করছেন। আর অপরিকে রাঙ্কিরেড্ডি ও চিরাগের কোচ ডেনমার্কের ম্যাথিয়াস বোয়।

    রাঙ্কিরেড্ডিরা কিন্তু বেশ ভালো লড়লেন। এই অলিম্পিকের স্বর্ণপদক বিজয়ী লি ওয়াং আর ওয়াং চি লিনকে লড়ে হারালেন। লি এবং ওয়াং এই অলিম্পিকে শুধুমাত্র এই ভারতীয় জুড়ির কাছেই হেরেছেন। কিন্তু বিশ্বের এক নম্বর ইন্দোনেশীয় সুকুমূল্য এবং গিডিওনের কাছে হারের ফলে তাঁদের গ্রুপ থেকেই বিদায় নিতে হল।

    বাকি রইল সিন্ধু। সিন্ধু এবার তেমন ফর্মে ছিলেন না। র‍্যাঙ্কিংও ছিল সাত। কিন্তু যে গতিতে শুরু করেছিলেন অলিম্পিকের গ্রুপ পর্যায় তার সঙ্গে ঝড়ের তুলনা চলে। দুটি ম্যাচে মাত্র ৪১ মিনিট খরচ করেছিলেন। মারিন এবার খেলছেন না, ফলে সবাই আশা করে বসেছিলেন। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে ডেনমার্কের মিয়া ব্লিকফেল্ড এবং কোয়ার্টারে ইয়ামাগুচিকেও উড়িয়ে দিয়ে আবার তাই জু।

    এবারে কিন্তু তাই জু প্রস্তুত ছিলেন। ১১-১১ থেকে প্রথম গেমে ১৮-১৮ হবার পরে হঠাৎ তাই জু তাঁর খেলাটিকে একটি অন্য স্তরে নিয়ে গেলেন। এমন সব দুর্ধর্ষ অ্যাঙ্গেলে এমন সব ঝুঁকিপূর্ণ শট মারতে লাগলেন এবং তা ঠিকঠাক জায়গায়ও পড়তে শুরু করল। আর কোর্ট কভারেজ তো বলার কথাই নয়। দ্বিতীয় গেমে সিন্ধু যেন একটু ধাঁধায় পড়লেন। তিনিও ঝুঁকি নিয়ে খেলতে শুরু করলেন। কিন্তু নেটের সামনে তাই জু মারাত্মক। হুড়মুড়িয়ে দশ পয়েন্টের ফারাক তৈরি করে ফেললেন। তারপর তো শুধু সময়ের অপেক্ষা। গতবারের রুপো আর এবারের সোনায় পর্যবসিত হল না। সবাই ধরে নিয়েছেন যে তাই জুই জিতবেন সোনা, সিন্ধুকে হারিয়েছেন। কিন্তু বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর চেন ইউফুই স্টেডি কিন্তু পার্সেন্টেজ ব্যাডমিন্টন খেলে এবং দুরন্ত ডিফেন্স করে তিন গেমে হারালেন তাই জুকে। আর ব্রোঞ্জ মেডেল? সেটা তো সান্ত্বনা পুরস্কার হিসাবে অপেক্ষা করছিলই সিন্ধুর। তাই জুর ম্যাচটা ছেড়েই দিলাম। যে অঞ্চলে সিন্ধু বিরাজ করছেন আজকাল তাতে হে বিনজিয়াওয়ের তাঁর সামনে দাঁড়াতে পারার কথা নয়।

    স্ট্রেট সেটে জিতে ভারতের সেরা মহিলা অলিম্পিয়ানের সিংহাসনে বসলেন। সার্বিকভাবে সর্বকালের সেরা বলতে গেলে হয়তো আরও একটু সময় লাগবে কারণ বিশ্বনাথন আনন্দের পাঁচটি বিশ্ব-মুকুট রয়েছে। বা ধ্যানচাঁদ। কিন্তু ওই তর্কটায় না গিয়ে আমরা বরং এই লেখাটার শুরুতে করা প্রশ্নটায় ফিরে যাই। সিন্ধুর পরে কে?

    একটু দেখলে বোঝা যাবে হায়দ্রাবাদ ছাড়া ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে আর কিছু নেই। কাশ্যপ, প্রণীত, শ্রীকান্ত, জ্বালা গুট্টা, অশ্বিনী পুনাপ্পা, রাঙ্কিরেড্ডি চিরাগ শেট্টি। সবাই সবাই হায়দ্রাবাদ থেকে। ঋতুপর্ণা পাণ্ডার মতো দু একজন আছেন বটে অন্যান্য রাজ্য থেকে কিন্তু আগের সেই উত্তর ভারত বা পূর্বভারতের ইকো সিস্টেমটাই অচল হয়ে গেছে। সাম্প্রতিককালে অবশ্য টাটা মিজোরামে একটা অ্যাকাডেমি খুলেছে। উত্তরপূর্বের মঙ্গোলীয় জিনের ছেলে মেয়েগুলো যদি চিন কোরিয়া জাপানের মতোই দ্রুত ফুটওয়র্ক এবং শক্তির জোরে উঠে আসতে পারে।

    পুরুষদের সিঙ্গলসে তবুও প্রণীত বা শ্রীকান্ত রয়েছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে সিন্ধুর পরে সত্যিই সেরকম বিশ্বমানের কেউই নেই। ডাবলসের জন্য বিশেষ পরিবেশ বিশেষ ট্রেনিং-এর দরকার। রাঙ্কিরেড্ডি বা চিরাগরা ভালো পারফর্ম করলেও মহিলাদের বা মিক্সড ডাবলসে টিমটিম করে জ্বলছেন জ্বালা গুট্টার পার্টনার অশ্বিনী পুনাপ্পা শুধু।

    সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। প্রফেশনাল ব্যাডমিন্টন লিগকে আবার চালু করে জুনিয়র ছেলেমেয়েগুলোকে এক্সপোজার দিতে হবে, এবং শুধু গাচ্চিবৌলি নয়, সারা ভারতেই গোপীচাঁদ অ্যাকাডেমির আদলে ট্রেনিং দিতে হবে। দিল্লিতে রেলওয়েজের নাহার সিং স্টেডিয়াম আছে, ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়াম আছে। শিক্ষার্থীরাও রয়েছে, শুধু সদিচ্ছা এবং দীর্ঘসময়ের পরিকল্পনা দিয়ে ভবিষ্যতকেও সুরক্ষিত করা সম্ভব বলেই মনে হয়। হাতের কাছেই তো সিন্ধুদের উদাহরণ রয়েছে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ৩০ অক্টোবর ২০২১ | ৯৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ৩০ অক্টোবর ২০২১ ২২:২০500466
  • গোপীচন্দের একাডেমি থেকেও কি সিন্ধুর পর তেমন বড় প্রতিভা কোনো উঠে আসছে , সাড়া জাগানোর মতো ?
  • সৌরাংশু | ১২ জানুয়ারি ২০২২ ২২:২৬502644
  • মেয়েদের মধ্যে তো নয় আসলে ক'দিন আগেই জ্বালা গুট্টাও এই অভিযোগ করেছেন যে জাতীয় কোচ শুধুমাত্র নিজের অ্যাকাডেমি নিয়েই চিন্তিত সারা দেশ থেকে প্রতিভা উঠে আসছে কি না সে নিয়ে ভাবনাচিন্তা নেই কোনও।
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন