এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  খেলা  শনিবারবেলা

  • ভারতের অপারেশন টোকিও: পর্ব ৮

    সৌরাংশু
    ধারাবাহিক | খেলা | ২৭ নভেম্বর ২০২১ | ১২৫২ বার পঠিত

  • বিন্দুতে সিন্ধু দর্শনের প্রয়াস: টেবিল টেনিস


    টেবিল টেনিস ভারতবর্ষের অন্যতম জনপ্রিয় ইন্ডোর স্পোর্টস। মোটামুটি একটু জায়গা আর মাথার উপর ছাদ থাকলেই, ক্লাব, অফিস, কলেজ, স্কুল, রিক্রিয়েশন রুম এমন কি পাড়ার ফাঁকা জায়গাতেও একটা টেবিল টেনিস বোর্ড গজিয়ে যায়। বাংলা, কেরালা, তামিল নাড়ু বা মহারাষ্ট্র হলে অবশ্য ক্যারম সে জায়গা নিয়ে নেবে। কিন্তু টেবিল টেনিসের জন্য রাজ্যের নামের দরকার পড়ে না। তবুও বিশ্বের দরবারে টেবিল টেনিসে ভারতের সেরকম সাফল্য নেই বললেই চলে।

    এই প্রশ্নটা ভারতের প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং বর্তমানে টেবিল টেনিস কোচ অরূপ বসাকের সামনে রাখা হয়েছিল। বলেছিলেন,
    “আসলে আমি যদি বিদেশে আরও একটু বেশি খেলতে পারতাম তাহলে ঐ ইউরোপীয়দের সঙ্গে খেলার জন্য যে ভয়, বা চিন, কোরিয়া, জাপানের সঙ্গে হলে যে আগে থেকেই মানসিকভাবে চাপে পড়ে যাওয়া, এগুলো কাটিয়ে ফেলতে পারতাম। চিন-কোরিয়া ওরা মেশিনের মতো প্র্যাকটিস করে। একদম ছোট থেকেই। আমিও আমার যথাসাধ্য করেছি। জয়ন্ত পুশিলাল নিজে বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেনিং-এর অনেক কিছু শিখে আসত। সেই অনুযায়ী আমরা নিজেদের তৈরি করতাম। কিন্তু ওই মানসিক দিকটার ব্যাপারে খুব পরিষ্কার ছিলাম না। সেটা হলে এক্সপোজারটা আরও বাড়লে হয়ত সাফল্য আরও আসত। আর তা ছাড়া প্র্যাকটিসের সরঞ্জামের সুবিধা। কমলা বলে খেলা হবে, গোলাপি বলে খেলা হবে ম্যাটে খেলা হবে ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডে খেলা হবে। এগুলো প্র্যাকটিসের সময় পেলে অন্য ব্যাপার দাঁড়াত। যাই হোক, যা হয়নি হয়নি। এখন হচ্ছে এটাই ভাল। কিন্তু সেক্ষেত্রেও খরচ সকলের পক্ষে করে ওঠা সম্ভব নয়”।

    এটাই আসল ব্যাপার। প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং প্র্যাকটিসের উন্নতি হচ্ছে, সুযোগ সুবিধাও বাড়ছে দেশে। কিন্তু সেটা টপ লেভেলের খেলোয়াড় না হলে পাওয়া মুশকিল। তৃণমূল স্তরে যতদিন না কর্পোরেটরা খেলাটাকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা সহ নিয়ে আসছে ততদিন অলিম্পিকে সুযোগ পেয়েই শুধু বসে থাকতে হবে।

    তবে গত কয়েক বছরে ভারতীয় টেবিল টেনিসের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটেছে।

    কমনওয়েলথ গেমস যদি ধরি, প্রথম টেবিল টেনিসের অন্তর্ভুক্তি হয় ২০০২ সালে। সে বছরই চেতন বাবুর ব্রোঞ্জ পান। এর পরে ২০০৬এ পুরুষ বিভাগে শরত কমল, সৌমদীপ রায়, শুভজিৎ সাহা এবং শিবাজী দত্তের ভারত প্রথম দলগত বিভাগে সোনা পায়। শরত কমল ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা জেতেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে সময়টা আসে আরও ১২ বছর পর। ২০১৮য় গোল্ড কোস্টে মনিকা বাত্রা ও মৌমা দাস মহিলা ভারতীয় দল দলগত সোনা জেতে। মনিকা মহিলা সিঙ্গলসের সোনা জেতেন। মৌমাকে সঙ্গে নিয়ে মহিলা ডাবলসের রুপো এবং সত্যেনের সঙ্গে মিক্সড ডাবলসের ব্রোঞ্জ জেতেন মনিকা। পুরুষদের দলগত সোনাও আসে এই বছর।

    এশিয়ান গেমসে টেবিল টেনিসে ভারতের প্রথম সাফল্যও আসে ওই ২০১৮তে। অচন্ত্য শরত কমল ও মনিকা বাত্রা মিক্সড ডাবলসে ব্রোঞ্জ জেতেন।

    শরত কমলকে নির্দ্বিধায় ভারতের সর্বকালের সেরা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় বলা চলে, জাতীয় স্তরে কমলেশ মেহতার ৮টি খেতাবের নজির ভেঙে নয়া নজির সৃষ্টি করেছেন তিনি নটি খেতাবের। এছাড়াও মিশর ওপেনের মতো বিশ্ব স্তরীয় খেতাব জিতেছেন। কমনওয়েলথ গেমসের সোনা বা এশিয়ান গেমসের মিক্সড ডাবলসের ব্রোঞ্জ তো রয়েইছে।

    একই ভাবে মহিলা বিভাগে অন্তত আন্তর্জাতিক সাফল্যের দিক থেকে দিল্লির মনিকা বাত্রার ধারে কাছে কেউ নেই। যদিও বাংলার দুই কন্যা মৌমা দাস এবং পৌলমী ঘটকও দক্ষিণ এশিয়া এবং জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে যথেষ্ট সফল।

    এবারে আসি এবারের অলিম্পিকের গল্পে। অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্টে গত মার্চে দোহায় দক্ষিণ এশিয়া জোনের ফাইনালে সুতীর্থা মনিকাকে হারান এবং শরত কমলকে হারান সত্যেন। চারজনই যোগ্যতা পান। অপর দিকে মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে কোরিয়ার শীর্ষ বাছাই জুটিকে শরত কমল ও মনিকা বাত্রা হারিয়ে অলিম্পিকের ছাড়পত্র পান।

    মূল অলিম্পিকে এক সত্যেন ছাড়া সকলেই কোনও না কোনও ম্যাচে নিজেদের থেকে উচ্চতর ক্রমাঙ্কের খেলোয়াড়দের হারিয়েছেন। সত্যেনই নিজের থেকে কম র‍্যাঙ্কিং-এর হংকং-এর লাম সিউ হাং-এর কাছে ৩-৪ গেমে হেরে বিদায় নেন। ৩৯ বছরের শরত কমল তো বিশ্বের সর্বকালের সেরা টিটি খেলোয়াড় তিনবারের বিশ্ববিজয়ী এবং গত রিও অলিম্পিকের পুরুষ বিভাগের স্বর্ণ বিজয়ী মা লং-এর সঙ্গে দ্বিতীয় গেম জিতে তৃতীয় গেম টাইব্রেকারে নিয়ে গিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়েও হারেন। প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে অলিম্পিক সিঙ্গলসের তৃতীয় রাউন্ডে উঠে অস্ট্রিয়ার সোফিয়া পোলকানোভার কাছে হারেন। বাংলার সুতীর্থাও। যদিও মিক্সড ডাবলসে তৃতীয় বাছাই তাইওয়ানের জুড়ি লীন ইউং জু এবং চেন ই চিং-এর কাছে হেরে প্রথমেই বিদায় নেন শরত কমল ও মনিকা।

    মোটের উপর যথেষ্ট ভাল গেছে টেবিল টেনিস। পদক না এলেও এই অলিম্পিকে বেশ কিছুটা এগোন গেছে। সমস্ত কিছু এখানে থেমে গেলে কথা ছিল না। কিন্তু ভারতীয় ক্রীড়া এবং বিতর্ক হাত ধরাধরি করে চলে। মনিকা বাত্রা ভারতের তর্ক-যোগ্যভাবে সর্বকালের সেরা মহিলা টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। ২০১৮র পারফরম্যান্স ধরলেই তা অবিসংবাদিত। কিন্তু তারপর থেকে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। মনিকা ২০১৯এ তার দীর্ঘদিনের কোচ সন্দীপ গুপ্তার কোচিং ছেড়ে যোগ দেন পুনের ‘ইন্ডিয়া খেলেঙ্গে’ প্রোজেক্টে। কর্পোরেট সহায়তায় সত্যিকারের কোচ ছাড়া তিনি প্র্যাকটিস করতে থাকেন দিল্লির এক নম্বর পুরুষ খেলোয়াড় সন্ময় পরাঞ্জপের সঙ্গে। অলিম্পিকের সময় জেদ ধরেন যে সন্ময়কে তাঁর কোচ হিসাবে পাঠাতে হবে।

    এদিকে ভারতীয় অলিম্পিক কমিটির কাছে ইতোমধ্যে কোচ হিসাবে নাম চলে গেছে সৌমদীপ রায়ের। সৌমদীপ দু’বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং দলগত বিভাগে কমনওয়েলথ স্বর্ণপদক বিজয়ী। সৌম্যদীপের আরেক পরিচয় তিনি পাঁচবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ও অলিম্পিয়ান পৌলমী ঘটকের জীবনসঙ্গী। এছাড়া এবারের আরেক যোগ্যতা অর্জনকারী সুতীর্থা মুখার্জী তাঁর সরাসরি ছাত্রী।

    সমস্যার শুরু এই সব নিয়েই। অনেক জেদাজেদির পর সন্ময় টোকিও তো যান কিন্তু কোভিড প্রটোকলের কারণে তাঁকে গেমস ভিলেজের বাইরে থাকতে হয়। এদিকে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই মনিকা সৌম্যদীপের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন। এবং তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের আগে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন টিটিএফআই অফিশিয়ালদের সামনেই। কর্তারা ঘটনাটিকে যথেষ্ট গুরুতর ভাবে নেন এবং ফিরে আসার বেশ কিছুদিন পরে মনিকাকে কারণ দর্শাও নোটিশ ধরানো হয়। মনিকা নোটিশের জবাবে অভিযোগ আনেন যে দোহাতে নাকি সৌম্যদীপ জোর করে তাঁকে সুতীর্থার কাছে হারতে বলেন। সৌম্যদীপের কাছ থেকে এর কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

    এরপর এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য দলগঠনের সময় বহুবার জানানো সত্ত্বেও মনিকা অনুশীলন ক্যাম্পে যেতে অস্বীকার করেন। এও জানানো হয় তাঁকে যে ক্যাম্পে যোগ না দিলে দলে নির্বাচিত করা হবে না। তাতেও কিছু হয়নি। কিন্তু তাঁকে সাসপেন্ড করার পর এবং দল থেকে বাদ পড়লে তিনি সরাসরি দিল্লি হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন। কয়েকদিন আগে আশ্চর্যজনকভাবে দিল্লি হাইকোর্ট একপেশে রায় দিয়েছে। অন্যান্য যে কোনও খেলায় এই নিয়ম রয়েছে যে যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্টে বা ক্যাম্পে যোগ না দিলে ক্রীড়াবিদের নাম গণ্য করা হয় না। কিন্তু টেবিল টেনিসের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মনিকার সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে উচ্চ আদালত মনিকার সাসপেনশন তুলে নিতে বলেছে টিটিএফআইকে। সঙ্গে ভর্ৎসনা-ও করেছে যে যে কোচ ম্যাচ ফিক্স করে তার পক্ষ কীভাবে নেয় টিটিএফআই। যদিও সৌম্যদীপের এই আপাত ম্যাচ ফিক্সিং-এর অভিযোগ কখনই প্রমাণিত হয়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উচ্চ আদালত এক তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে যাঁরা এই অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। যদিও টিটিএফআই-এর নিজস্ব তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।

    এছাড়াও মনিকা শরত কমলের মত সিনিয়র পার্টনারকে না জানিয়েই আন্তর্জাতিক সার্কিটে মিক্সড ডাবলসে তাঁর জায়গায় সত্যেনের সঙ্গে জুড়ি বাঁধা শুরু করেন। যদিও শরত এই বিষয়ে তাঁর উষ্মা প্রকাশ করেননি, তবু ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন যে তিনি এই সূত্রে মনিকার থেকে অন্তত একটি ফোন কল আশা করেছিলেন।

    যাই হোক, দেখা যাচ্ছে সবথেকে সেরা অলিম্পিক হবার পরেও ভারতীয় টেবিল টেনিস আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশ বাঁও জলেই পড়ে রয়েছে। মনিকা বাত্রা-সৌম্যদীপ রায়-টিটিএফআই এপিসোডে দোষ কার তা সময়ই বলবে কিন্তু অদ্ভুতভাবে যে সমস্ত বিতর্কের মধ্যে দিয়ে বর্তমানে ভারতীয় টেবিল টেনিস যাচ্ছে তা পরিহারযোগ্য। বরং সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এখন থেকেই পরবর্তী প্যারিস অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরু করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়োজন বললেও শুনছে কে। টিটিএফআই নিজস্ব বিশ্বাসযোগ্যতা এমনই হারিয়েছে যে হাইকোর্টে একজন সিনিয়র উকিলকেও খাড়া করতে পারছে না। না হলে কোর্টের দায় পড়েনি যে কোনও খেলার নিয়ামক সংস্থার ক্রিয়াকলাপকে ঠিক মত পরীক্ষা না করেই কড়া মন্তব্য করতে। এই নাটকের যবনিকা পড়তে এখনও বাকি, আশাই শুধু করা যায় যে ভবিষ্যতে নিজস্ব মতবিরোধ সরিয়ে রেখে ভারতীয় টেনিসের উন্নতিকল্পে খেলোয়াড়ই হোক বা কোচ বা প্রশাসকরা একযোগে কাজ করতে শুরু করবে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৭ নভেম্বর ২০২১ | ১২৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৮ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:৩৫502544
  • এই সিরিজটা আর লিখবে না সৌরাংশু?
  • সৌরাংশু | ১২ জানুয়ারি ২০২২ ২২:২৪502643
  • বইমেলাটা একটু গুছিয়ে নিই। বেশ কয়েকটা বাকি রয়ে গেছে। নীরজ চোপড়াই তো কভার করা হয়নি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন