এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • এ শুধু আমের দিন!

    Debasis Sarkar লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ জুন ২০২৪ | ২২৪ বার পঠিত
  • এ শুধু আমের দিন
    এ লগন আম কিনিবার!

    কিনবেন বই কি! তবে তার আগে একটু সতর্ক হোন! ব্যাগ ভর্তি ক’কেজি বিষাক্ত বোমা নিয়ে বাড়ি ঢোকাচ্ছেন না তো ! সে প্রসঙ্গেই এই আম-কাহন –

    ভারতে দেড় হাজারেরও বেশি ধরনের আম পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে একশোর বেশি।
    তার মধ্যে আমরা মূলত হিমসাগর ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি, চৌসা লক্ষণভোগ খেয়ে থাকি। তবে বিপদের কথা এই যে প্রত্যেকটি আমই বয়ে আনতে পারে মারাত্মক রোগ ! কেনার সময় আমরা জানতেই পারি না, যে আম আমরা কিনছি সেটা গাছে পাকা না ইথিলিন নাকি কার্বাইডে পাকানো।

    ২০১১ সালে ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অন্তর্গত Food Safety & Standards Authority of India একটি নির্দেশিকা দিয়ে বলেছে, ‘ফল পাকানোর জন্য যেন কোনোভাবেই ক্যালসিয়াম কার্বাইডের ব্যবহার না করা হয়! তাতে মানুষের শরীরের নানা রকম রোগ বাসা বাঁধতে পারে। বদহজম,জন্ডিস, গ্যাস্ট্রিক, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়াসহ ক্যানসারের মতন মারণ রোগ হতে পারে! রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারের ফলে শিশুরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’

    ফলকে কাঁচা অবস্থা থেকে পাকা অবস্থায় নিয়ে আসার কাজে কার্বাইড খুব সুন্দর কাজ করে। ফলটি কাঁচা বা আধ-পাকা যে অবস্থায় থাকুক না কেন কার্বাইডের প্রভাব এতটাই যে কিছু কিছু ফলের বাইরে এবং ভেতরের রং হুবহু পাকা ফলের মতো হয়ে যায় ! টপটপে লাল, হলুদ, গোলাপি বর্ণ মানুষকে আকৃষ্ট করে খুব। কোন কোন সময় দেখা যায়, কার্বাইডের প্রভাবে ফলের গায়ে কালো কালো দাগ আর সেখান থেকেই পচন ধরতে শুরু করে। আমরা ঐ কালো আর পচা জায়গাটুকু কেটে বাদ দিয়ে বাকি আমটা খেয়ে ফেলি। শুধু আম নয়, কলা টম্যাটো, আনারস, পেঁপের মতো ফলও এইভাবে বিষাক্ত হয়ে পড়ে।

    এক শ্রেণীর আড়তদার ক্যালসিয়াম কার্বাইড সহ বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে ফল পাকায়। মানুষ তাতে প্রতারিত হচ্ছেন, স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। গোটা রাজ্য জুড়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কলা পাকানোর ব্যবস্থা আছে যেহেতু কলা সারাবছর পাওয়া যায়। কিন্তু আম, কাঁঠাল, আনারস, টম্যাটো পাকানোর ব্যবস্থা ক’টি আছে জানা নেই। যদি ইথিলিন দিয়ে ফল পাকানো হয় তাতে হয়তো স্বাদের হেরফের হতে পারে কিন্তু স্বাস্থ্যের ঝুঁকি একটুও নেই। হ্যাঁ ! এতে খরচ ক্যালসিয়াম কার্বাইডে ফল পাকানোর চাইতে খানিকটা বেশি। মহারাষ্ট্র তামিলনাড়ু দিল্লি লখনও বেঙ্গালুরুতে পর্যাপ্ত ফল পাকানোর ব্যবস্থা আছে, ইথিলিন দিয়েই পাকানো হয়। ফলে সেইসব রাজ্যের ফল বিদেশে রপ্তানি হয় প্রচুর এবং ওখানকার মানুষরাও তুলনামূলক নিরাপদ ফল খেতে পান। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গেই প্রচুর পরিমাণে আমের ফলন হয়, পশ্চিমবঙ্গে যদি ফল পাকানোর বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা ( ইথিলিন ব্যবহার করে ) থাকত, এখানকার চাষীরা আম রপ্তানি করেই ভালো রোজগার করতে পারতেন।

    বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসনের তৎপরতার মাধ্যমে ফল, শাক, আনাজ ও খাদ্যদ্রব্যে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অসিতবরণ বিশ্বাস | 2409:4061:2cb4:2f6d::d3c9:6c07 | ২৩ জুন ২০২৪ ১২:০৬533639
  • হাঃ হাঃ হাঃ। অসুবিধা নেই। অভ্যাস হয়ে গেছে। 
    ভাগাড় সাফ করেছি আমরা।
    বিষাক্ত আম, বিষাক্ত - বিষধর মানুষ, নেতা, নেত্রী নিয়ে
    দিব্য আছি।
    এবার আমের যা‌ দাম, তাতে গরীব (উন্নয়নের ফাঁকে যদি দু'একজন থেকে থাকেন) ও প্রান্তিক মানুষের পাতে আমের চাকলা বা চোকলা কিছুই নেই।
    জয়বাংলা।
  • Debasis Sarkar | ২৩ জুন ২০২৪ ১৯:৩৫533646
  • ঠিক ! আমের চাইতে বিষাক্ত নেতা নেত্রী নিয়ে আমরা দিব্যি ঘর করছি। আর হ্যাঁ আম তো এবছর লাগামছাড়া ! কে জানে এর পেছনেও ইলেক্টোরাল বন্ডের  বিষ আছে কিনা !
  • হীরেন সিংহরায় | ০২ জুলাই ২০২৪ ১২:০১534052
  • এতো বডো দুসংবাদ। আমরা এই দূর দেশে আম পেয়েই ধন্য হয়ে যাই। ফলের রাজা আম এই জেনেই এসেছি
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৪:৫৮534327
  • উপ মহাদেশের আমের দাম আকাশছোঁয়া - আটটা আমের বাকসো ১৮০০ টাকায় বিকোচ্ছে। দক্ষিন  আমেরিকার আম এখানে তার জায়গা করে নিয়েছে 
  • গবু | 202.8.116.231 | ০৭ জুলাই ২০২৪ ২৩:৪৩534364
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৪:৫৮534327
    উপ মহাদেশের আমের দাম আকাশছোঁয়া - আটটা আমের বাকসো ১৮০০ টাকায় বিকোচ্ছে।
     
    মানে ১৮ পাউন্ড দাম ৮টি আমের ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন