এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  বিবিধ

  • NGO পাঁচালী ২

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৭ আগস্ট ২০২৪ | ২৫২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • ngo পাঁচালি 1 | ngo পাঁচালি 2
    NGO পাঁচালী ২

    ২.৫ ব্ল্যাকমেলার এনজিও

    এদের কথা বলতে ভুলে গেছি। এঁরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছোট শহরে ওয়ান ম্যান ইউনিট এবং এদের মূল গুরুটি কোন মফঃস্বলী ল’ কলেজ থেকে চোথা মেরে আইনের ডিগ্রি হাসিল করেছেন। আইন ভাল করে পড়েন নি, আদালতে গিয়ে প্র্যাকটিস করার মুরোদ নেই, শুরু করেছেন মানবাধিকারের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ব্ল্যাক মেলিং এর ধান্ধা। পাপী পেট কা সওয়াল হ্যায়!

    এদের হাতিয়ার রাইট টু ইনফর্মেশন অ্যাক্ট। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন — আর টি আই ২০০৫ কানুন। আগে বলেছিলাম এই আইন সাধারণ নাগরিকের হাতে মন্ত্রী শান্ত্রী এবং আমলাতন্ত্রের ‘গোপনীয়তা’র লেবেলের আড়ে করাপশন থেকে পর্দা তুলতে সহায়ক হয়েছে।

    ভুল বলিনি। একই ছুরি সার্জনের হাতে মানুষের প্রাণ বাঁচায়, খুনির হাতে পড়লে প্রাণ নেয়। এরা খেয়াল করে – তার এলাকায় কোন এনজিও বড় লেভেলে কাজ করছে। ধরে নেয়,
    নিশ্চয়ই কালো টাকা কামাচ্ছে, ছোট বড় অফিসারদের সঙ্গে সাঁট করে। (দুঃখের কথা, অনেক ক্ষেত্রেই এদের অনুমান সঠিক, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে)
    তখন এরা আরটি আইএর কোন ধারায় আবেদন পেশ করে – অমুক এনজিও, তোমরা তোমাদের গত দশবছরের খরচ এবং আমদানীর হিসেবপত্র পেশ কর।
    না না, অডিট রিপোর্ট দেখতে চাইনা, ওসব আমাদের জানা আছে। সব ভাউচার শুদ্ধ নিয়ে এস।
    এখন দশবছর পরে সব কাঁচা ভাউচার খুঁটিনাটি রাখা সম্ভব নয়। যদি অফিসে থাকেও সেগুলো তারিখ মিলিয়ে সাজিয়ে গুজিয়ে পেশ করতে গেলে আদ্দেক মাস সব কাজকম্ম বন্ধ করে এই করতে হবে। এদের কোন স্পেসিফিক অভিযোগ নেই। নেহাৎ ফিশিং এক্সপিডিশন।
    এখন আপনি যদি এদের হাঁকিয়ে দেন, তো ওরা যাবে আপনার ফান্ডিং এজেন্সির কাছে, ধরুন নাবার্ড। এখন সরকারি আমলারা আর টি আইয়ের নামে ভয় পায়। ওদের লীগ্যাল সেল পরীক্ষা করেও এই পিটিশনের যৌক্তিকতা দেখবে না। সোজা পাসিং দ্য বাক গেম খেলে আপনার কোর্টে বল পাঠাবে।
    হ্যাঁ ভাই, তোমাদের তো আলমারিতে কোন কংকাল নেই। তাহলে অসুবিধে কী? দেখিয়ে দাও।
    সেই চিঠি নিয়ে সে আপনার প্রোগ্রাম ডাইরেক্টরের কাছে এসে আলাদা করে কথা বলবে।
    -- টাকা তো তুই দিবি, নইলে তোর বাপ দেবে। সবাই দিয়েছে, তুই ক্যান বাদ? একলাখ টাকা দিইয়ে দে, সব চুকেবুকে যাবে।
    আমরা একটু ত্যাড়া। অ্যাক্টের স্পেসিফিক ধারা কোট করে নাবার্ডকেও লিখলাম এবং লোকটার হাতেও চোতা ধরিয়ে দিলাম।
    --এই আইনের উদ্দেশ্য সরকারি তন্ত্রের করাপশন আটকানো। এই আইন প্রাইভেট সেক্টরের জন্য নয়। তবে যদি কোন সংস্থা, প্রাইভেট বা এনজিও, সরকারের আর্থিক সাহায্য নিয়ে কাজ করে তারা এই আইনের আওতায় আসবে। এর জন্য সেই সংস্থার মোট ফাণ্ডের ৫০% সরকারি হতে হবে।
    আমাদের ব্যালান্স শীট দেখাচ্ছে যে সরকারি গ্র্যান্ট মাত্র ২০%, কাজেই এই আইন আমাদের জন্য খাটে না।

    ৩ এনজিও পরিচালনা

    ৩.১ ফান্ড কোথা থেকে আসে?

    মূলতঃ চার জায়গা থেকে। বিদেশি ট্রাস্ট, সরকারি প্রোজেক্ট, দেশি ফান্ডিং ট্রাস্ট এবং ব্যক্তিগত ডোনেশন। আমি উলটো দিক থেকে, সহজতম, শুরু করছি।

    এক, ব্যক্তিগত দান বা সহায়তা

    অধিকাংশ ছোট এনজিও এভাবেই শুরু হয়। সাতজন মিলে একটা কমিটি বানিয়ে নিলেন। নন-প্রফিট অরগানাইজেশন রেজিস্ট্রেশনের ফর্ম জেলা সদরে রেজিস্ট্রারের অফিস থেকে আনিয়ে নিলেন। বুকলেট দেখে সংগঠনের সংবিধান, মেমোরান্ডাম অফ আর্টিকল এসব বানিয়ে একটা মিটিং করে রেজোলুশন পাশ করে সব কাগজপত্র জমা দিয়ে ফীস পে করে রেজিস্ট্রি করে নিলেন।
    এবার আপনি একটি রেজিস্টার্ড লীগ্যাল বডি। কারও থেকে বিধিমত দান নিতে পাড়েন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আপডেট করে রাখলেন। বছরে একবার এজিএম করলেন। অডিট করে রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়ে দিলেন। কাজ এগিয়ে চলল। যেমন সুদীপ্ত মণ্ডলেরা করছেন।
    তবে দেখতে হবে দুটো জিনিস। আপনাদের সমস্ত কাজকর্ম মেমোর‍্যান্ডাম ও সংবিধানে ঘোষণা করা উদ্দেশ্যের অনুরূপ হতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করতে হবে। নাহয় একই গভর্নিং বডি রিপিট হল, সর্বসম্মতিক্রমে। রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ইন্সপেকশন করাতে হবে।
    কিন্তু কাজ বেড়ে গেলে লোক বাড়বে, ওভারহেড বাড়বে। তখন আপনাকে দেখতে হবে এই ধরণের কাজের জন্য কারা ফাণ্ড দেয় — সরকারি অথবা বেসরকারি।
    শান্তিনিকেতনের বন্ধু তপন রায় আদিবাসী মেয়েদের ফুটবল খেলা শেখানোর জন্য একটি সংস্থা খুলেছিল। বেশ কয়েকবছর চলেছিল। কোলকাতা থেকে এক কোচ সপ্তাহে একদিন আসতেন। বাকি সময় ও প্র্যাকটিস করাতো। মেয়েদের পুষ্টিকর টিফিন, ইউনিফর্ম, কোচের সম্মানরাশি এবং যাতায়াতের খরচা –এসবের জন্য ফান্ড বন্ধুবান্ধবদের সাহায্য থেকে হয়ে যেত।
    এখন ওর নিজের হাঁটুর অপারেশন হওয়ায় সংস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।

    দুই, বেসরকারি দেশি ফান্ডিং এজেন্সি

    অনেক বড় বড় বিজনেস হাউসের ফিলানথ্রপিক ইউনিট আছে। কেউ শিক্ষার জন্য টাকা দেয়—অ্যাডাল্ট এডুকেশন, স্লামের বাচ্চাদের পড়াশুনো, স্কিল শেখানো এবং রিসার্চ। কেউ জেন্ডার ইস্যূতে। কেউ রুর‍্যাল ডেভলপমেন্ট, কেউ নতুন ধরণের কৃষি, কেউ স্বাস্থ্য নিয়ে কোন টার্গেট গ্রুপে কাজ, চেতনা বাড়ানো ইত্যাদি।
    কিন্তু তাদের খুবই দক্ষ টিম আছে যারা আপনার প্রপোজাল যাচাই করে দেখবে। ওদের কষ্টিপাথরে পাশ হলে ওরা এসে ফিল্ড ভিজিট করে আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে তারপর স্যাংকশন করবে।
    প্রথমে ট্রায়াল বেসিসে কিছু অংশ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, ধরুন এক বছর, দেবে। তারপর ওদের ট্রাস্ট অর্জন করলে পরের খেপ দেবে অথবা টা-টা করে দেবে। কিন্তু ওরা নিজেদের পাইপয়সার হিসেব নেয়। ত্রৈমাসিক অডিট করে—ফিল্ড এবং খাতাপত্তর, আগেই বলেছি।
    উদাহরণস্বরূপ, ব্যাঙ্গালুরুর আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন (উইপ্রো) এবং ইউনিভার্সিটি নানা ধরণের উদ্যোগে সহায়তা করে। কোভিডের সময় আদিবাসী গ্রামে পাঁচশো লোকের তিনমাস খাবার দেয়ার প্রকল্পে সহায়তা করেছিল। উন্নত কৃষি এবং প্রশিক্ষণেও করছে।
    স্যার দোরাবজি টাটাও অনেক প্রোজেক্টে সাহায্য করে।
    এছাড়া আছে প্রায় সমস্ত কোম্পানি এবং কারখানার সি এস আর ফান্ড (করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিনিলিটি)।
    এরা ফ্যাক্টরি এলাকায় যে শ্রমিক বস্তি বা গ্রাম রয়েছে সেখানে লোকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রোজগারের এবং স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য কোন এনজিও কাজ করলে ফান্ড দেয়।

    তিন, সরকারি সহায়তা

    গ্রামীণ এলাকায় নাবার্ড ব্যাংক নানা স্কীম প্রোমোট করে। দুটো বলছি।
    স্ব-সহায়তা সমূহ (সেলফ হেল্প গ্রুপ) তৈরি করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে প্রোমোট করলে নাবার্ড থেকে ফান্ড পাওয়া যায়। এছাড়া ড্রাই ল্যান্ড ফার্মিং, ফলের বাগান, পশুপালন, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ইত্যাদি। এখন ওদের সবচেয়ে ভাল কাজ হচ্ছে ওয়াটার-শেড-ম্যানেজমেন্ট নিয়ে।
    প্রৌঢ় শিক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রোজেক্ট ছিল। এছাড়া আছে নানান ধরণের গ্রাসরুট সার্ভে।
    স্টেট গভ্ররণমেন্টেরও নানান প্রোজেক্ট আছে। সেগুলো নিয়ে কিছু বলতে চাইনে।

    চার, বিদেশি ফান্ডিং

    এনিয়ে এন আর ও কিছু বলেছেন।
    কৃষি, গ্রামোন্নয়ন এবং কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ইউরোপ এবং আমেরিকার অনেকগুলো ট্রাস্ট ফান্ডিং করে। মেয়েদের ক্ষমতায়ন, পরিষ্কার পানীয় জল, মেয়েদের স্বাস্থ্য –এসব নিয়ে ইংল্যান্ডের ওয়াটার এইড এবং আরও কিছু সংস্থা কাজ করে। ফোর্ড ফাউন্ডেশন, ইউনিসেফ (শিশুদের স্বাস্থ্য ও বিকাশ), আরও অনেকগুলো নামকরা সংস্থা এ নিয়ে কাজ করে।
    এদের মধ্যে অনেকে ধর্মীয় সংস্থা, যেমন লুথারান চার্চ। জাপান, তাইওয়ানের বুদ্ধিস্ট সংস্থা বৌদ্ধধর্মের প্রচার প্রসার এবং রিসার্চের জন্য ফান্ড দেয়।
    সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফান্ড আসে মূলতঃ মুসলিম ট্রাস্টের কাজকর্মের জন্যে।
    কিন্তু এখন এদের থেকে ফান্ড পাওয়া সহজ নয়। আগে আপনার সংস্থাকে Foreign contribution (Regulation) Act, 2010 অনুযায়ী কাগজপত্র পেশ করে ফাইনান্স মিনিস্ট্রি এবং হোম মিনিস্ট্রি থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। এর অনেক হ্যাপা। সবার হোম ডিপার্টমেন্ট এবং থানা থেকে ইন্টারভিউ নিয়ে রিপোর্ট যাবে। তাঁদের কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী হওয়া চলবে না ইত্যাদি।
    বর্তমান সরকারের সময়ে এ’নিয়ে অনেক কড়াকড়ি । অনেক নামকরা মানবাধিকার সংস্থার কাজকর্ম ভার্চুয়ালি বন্ধ, যেমন লন্ডন বেসড্‌ গ্রীনপীস, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যাকশন এইড ইত্যাদি।
    বাজ পড়েছে মিশনারি ফান্ডিং এজেন্সিদেরও। অনেকের লাইসেন্স রিনিউ করা হয়নি।

    ৩.২ কীভাবে ওভারহেড কম রাখা যায়

    অনেকে, বিশেষ করে যাঁরা সরকারি চাকরি করেছেন, রিটায়ার করে হরদম বলেন — ব্যস, এবার কোন এনজিওর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাব। বেশি কিছু চাইনা। হাজার কুড়ি-পঁচিশ এবং যাতায়াতের ভাড়া দিলেই হবে।
    - আচ্ছা, আপনি ওখানে কী করবেন? মানে কী ভ্যালু অ্যাড করবেন?
    - কেন, অফিস ম্যানেজ করব, আমার অভিজ্ঞতা ওদের কাজে লাগবে।
    এঁরা বোঝেন না যে এঁরা ডেড উড। এঁদের অভিজ্ঞতা বা স্কিল সেট এনজিওদের কোন কাজে লাগবে না।
    এনজিওদের স্টাফকে কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষ হতে হয়। ওয়ার্ড ফাইল, ই-মেইল, এক্সেল শীট এবং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন জানাটা মিনিমাম স্কিল। খুব বেশি হলে একজন অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং একজন ফাইফর্মাস খাটার ম্যানফ্রাইডে চাই, ব্যস।
    ওদের ফিল্ডের বেস লাইন সার্ভে, কমিউনিকেশন স্কিলে দক্ষ হওয়া জরুরি। আর চাই একটা মিশনারি জিল, সবচেয়ে বেশি দরকার টার্গেট গ্রুপের জন্য ভালোবাসা, তাচ্ছিল্য নয়।

    ৩.৩ ফান্ডের সমস্যা

    দীর্ঘাকালীন উদ্দেশ্য থাকলে লক্ষ্য হওয়া উচিত একটা কোর ফান্ড তৈরি করা। বলা সোজা, কাজে কঠিন। একদিনে হবে না। একটু একটু করে, পয়সা বাঁচিয়ে যাতে রেইনি ডে’র মোকাবিলা করা যায়। যেভাবে কোন কোম্পানি প্রতিবছর বার্ষিক লাভের কুড়ি বা পঁচিশ পার্সেন্ট রিজার্ভ ফান্ডে জমা রাখে।
    প্রত্যেক ফান্ডিং সংস্থার আলাদা আলাদা মাপকাঠি। কেউ প্রোজেক্ট কস্ট ছাড়া অ্যাদমিনিস্ট্রেটিভ কস্টের জন্যেও প্রভিশন রাখে। কেউ শুধু প্রোজেক্ট কস্ট দেয়, যেমন নাবার্ড।
    আরে আমার বিভিন্ন স্তরের স্টাফ, তাদের মাইনে না দিলে খাবে কী? অফিস ভাড়া, বিজলী বিল, স্টেশনারি খরচা? কোত্থকে আসবে?
    -- ন্যাকামি কোর না। এতদিন সংস্থা চলছে কী করে! অন্যদের থেকে ম্যানেজ কর।
    লে হালুয়া!
    তাছাড়া যারা রেগুলার স্টাফ, লেখাপড়া শিখে আপনার সংস্থাতেই ক্যারিয়ার করতে এসেছে তাদের ধরে রাখবেন কী করে?
    কাজের ডেডিকেশন বুঝে ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে, বাজার দরের চেয়ে খুব কম মাইনে দিলে চলবেনা। এখানে গ্রোথের সম্ভাবনা না দেখলে আপনার এখানে ট্রেনিং নিয়ে কাজ শিখে অন্য সংস্থায় চলে যাবে।
    এছাড়া কখনও কখনও হাতে প্রোজেক্ট নেই, যা আছে তা নামমাত্র। যারা রেগুলার স্টাফ তাদের বাড়ি যাও বাছা বলা যাবে না। তখন অগতির গতি কোর ফান্ড।
    এটা ভাল করে বোঝা দরকার যে এনজিও কোন বিশ্বনাথ সেবা সংস্থা নয়, প্রফেশনালি কাজ করতে হবে—উইথ মোর ডেডিকেশন! এবং এটা ডেড উডদের পার্কিং স্পেস নয়।

    ৩.৪ আমরা কী করি?

    মানে কর্মদক্ষ কী করে?

    আমরা পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ জনতার মধ্যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং সাংগঠনিক স্কিল শিখিয়ে আয়বৃদ্ধি এবং পলিসি ব্যাপারে ভয়েস নিয়ে কাজ করি। অবশ্যই হ্যান্ডহোল্ডিং। আমাদের লক্ষ্য কত তাড়াতাড়ি ওরা আত্মনির্ভর হবে, তখন আমাদের আর দরকার হবে না। আমরা নতুন এলাকায় কাজ করব।
    আমরা টার্গেট গ্রুপে স্টেকহোল্ডারদের ডিসিশন নিতে বলি, গুরুগিরি করি না। চাপিয়ে দিই না। ডেমোক্র্যাটিক এবং কলেক্টিভ ডিসিশন নিতে উৎসাহ দিই।
    সেলফ হেল্প গ্রুপকে বেসিক সামাজিক ডেমোক্র্যাটিক ইউনিট মনে করি। তাই গ্রুপের পরিচালনা ওরা বাই টার্ন করে।
    কাজের ইভ্যালুয়েশনে দুটো জিনিস দেখি — আউটপুট (কোয়ান্টিটি) এবং ইমপ্যাক্ট( কোয়ালিটি)।
    যেমন মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখি ওরা ক্রমশঃ পারিবারিক খরচাপাতি এবং অন্য ব্যাপারে ডিসিশন নেওয়ায় অংশগ্রহণ করছে কিনা। পঞ্চায়েত বা গ্রামসভায় নিজেদের কথা বলছে কিনা।

    আমরা গভর্নিং বডি মেম্বাররা সংস্থা থেকে কোন টাকা নিই না, এমনকি বোর্ড মিটিং অ্যাটেন্ড করার জন্য অনারারিয়ামও নয়। যাতায়াত ভাড়া নেওয়া হয়, শুধুমাত্র মিটিং বা ফিল্ড ভিজিটের জন্য এলে। নইলে জুমকলেই মিটিং হয়ে যায়।

    কোন শহরে মিটিং হলে সাধারণতঃ ডায়রেক্টরের বাড়িতেই থাকা-খাওয়া-মিটিং হয়। কোন পেমেন্ট হবেনা। এটা হসপিটালিটি প্রিন্সিপল। বড় গ্রুপ বা সমস্ত স্টাফ হলে খাবার আনাতে হয়।
    ভেজিটেরিয়ান খাবার, দই বা রায়তা থাকবে। কখনও কখনও আইসক্রিম।

    ফিল্ড ভিজিটে গাড়ির ভাড়া লাগে। কিছু মোটর সাইকেল কেনা আছে, স্টাফের নিয়মিত ফিল্ড ভিজিটের জন্য। তার মেইন্টেনান্স সংস্থা করে।

    স্পষ্ট ফাইনান্স এবং এইচ আর পলিসি আছে। সব স্টাফের বীমা এবং পিএফ আছে।

    আমাদের হোম মিনিস্ট্রির ক্লিয়ারেন্স আছে, তবে কালঘাম বেরিয়ে গেছে।

    ইনটেলিজেন্সকে সন্তুষ্ট করতে হয়েছে যে আমাদের সবার নিজস্ব আয় আছে—যেমন আমার পেনশন। তাই এখান থেকে কোন পয়সা নিতে হয় না।

    আগ্রহী হলে https://www.carmdaksh.org/ তে ক্লিক করে আমাদের মিশন, ভিশন, কাজকর্ম সব নিয়ে তথ্য পেয়ে যাবেন।

    (শেষ)
    ngo পাঁচালি 1 | ngo পাঁচালি 2
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৭ আগস্ট ২০২৪ ১১:০৩743607
  • খুব ভালো লাগল, ngo দের অনেক কাজকর্ম সম্বন্ধে আবছা ধারণা ছিল, অনেক স্পষ্ট হল এই লেখাটা পড়ে।
    সম্ভব হলে আরও জানতে আগ্রহী।
  • Supriyo Mondal | ২৮ আগস্ট ২০২৪ ০৬:২৯743609
  • রঞ্জনদা, আমার নাম সুপ্রিয়, সুদীপ্ত নয়। smiley
  • স্বাতী রায় | ২৮ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৩০743610
  • রঞ্জন দা, অনুমান করলাম ভাটের কোন আলোচনা থেকে হয়ত এই লেখার সূত্রপাত। সুন্দর প্রাইমার। 
     
    একটা অন্য দিক জুড়তে ইচ্ছা হল ।  সোশ্যাল ওয়ার্ক আজ একটা বিধিবদ্ধ পড়াশোনার জায়গা। বাচ্চারা গ্র্যাজুয়েশন মাস্টার্স করে পি এইচ ডি ও করছে। তাদের অনেকেই এই কাজটাকেই প্রফেসন হিসেবেই নিতে চায়। মাঠে ঘাটে নেমে কাজ করতে চায়, করছেও। এছাড়াও পুরোন জমানার কেউ কেউ আছেন যারা এই ধরনের কাজেই কর্মী হিসেবে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। তাদের এক দুজনের সঙ্গে পরিচয় সূত্রে মনে হয়েছে, এরা অবশ্যই এমএনসি তুল্য মাইনে আশা করে না। কিন্তু একটা জীবন ধারণ উপযোগী মাইনে আর একটা প্রফেসনাল পরিবেশ আশা করে। আজকের  এনজিও গুলোর অনেকেরই  ইনএফিসিয়েন্ট , ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রসেস নীরব স্ট্রাকচার সেই প্রফেসনাল স্ট্রাকচার দিতে পারে না। অনেক জায়গাতেই বেসিক empathy র ও বেশ অভাব আছে যাতে কাজের জায়গায় খামতি হয় আর সেই খামতি অনেকাংশে ঢাকা হয় ব্যক্তি পরিচিতি আর মিডিয়া ঘনিষ্ঠতা দিয়ে। কোথাও একটা এনজিও পরিচালনার বেসিক ফ্রেমওয়ার্ক আর কাজ কর্মের রেটিং এর দরকার মনে হয় অনতি  ভবিষ্যতে দরকার হবে, যদি এখনও না থেকে থাকে। নাহলে এটাও একটা কর্মী শোষণের জায়গা হয়েই দাঁড়াবে। সেই পুরোন দিনের বড়লোকের বউ এর সমাজসেবার মডেল রয়ে যাবে। 
  • Supriyo Mondal | ২৮ আগস্ট ২০২৪ ২০:২৭743615
  • স্বাতী/দি, ঠিক কথাই বলেছেন। ইনএফিসিয়েন্সি দুরকম হয়। একটা ইচ্ছাকৃত (সেটা হয়তো কাজের প্রায়োরিটি সেট করার মধ্যে থাকে মানে আসল কাজটা না সঙ্গে তামঝাম কোনটা বেশি প্রায়োরিটি পাবে)। অন্যটা ম্যানেজমেন্ট সিম্পলি জানে না কাজটা কিভাবে আরও এফিসিয়েন্টলি চালানো যায়। 
    আমাদের নিজেদের এক এক্স স্টুডেন্ট রিসেন্টলি ফিশারিজ নিয়ে পড়াশোনা করে একটি NGO জয়েন করেছে (আমাদের ইচ্ছা ছিল ও এটা নিয়ে আন্নামালাই ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করুক কিন্তু পারিবারিক পরিস্থিতির চাপে চাকরিতে ঢুকল)। ওর সাথে এর পরের বার অশোকনগর গেলে যখন বসব তখন আশা করছি NGO য় চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু জ্ঞানবর্ধন করতে পারব।
    প্রসেস, ট্র্যান্সপারেন্সি, এমপ্যাথি এগুলো NGO চালানোর বেসিক নিড। সঙ্গে কাজের ব্যাপারে দরকার মতো কিছুটা ফ্লেক্সিবিলিটি। কর্পোরেটে থাকার সময় আমরা মজা করে বলতাম আমাদের কোম্পানি রানস অন এক্সেপশনাল অ্যাপ্রুভাল। এখান NGO তেও যেগুলোর জন্য ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে যাওয়ার দরকার হয় সেগুলো জেনারেল বডিতে অ্যাপ্রুভ করিয়ে মিটিং মিনিটসে লেখা হয় & কোনও মেজর চেঞ্জ কিছু হলে সেটা ডোনার & ওয়েল উইশারদের ফোরামে লেখা হয়।
    রেটিং এর সিস্টেম চালু হলে সত্যিই খুব ভালো হয়। তবে সে সর্ষের মধ্যেও ভূত থাকলে মুশকিল।
    আর একটা চ্যালেঞ্জ রিসেন্টলি ফেস করেছি। আনন্দবাজার আমাদের পুরুলিয়ার কাজকর্ম নিয়ে কয়েকদিনের গ্যাপে দুটো খবর করেছিল। অদ্ভুত ব্যাপার তাতে আমাদের অর্গানাইজেশনের নাম কোথাও নেই। আমরা যে দুজন সেদিন কাজের জন্য গেছিলাম (সেক্রেটারি & ট্রেজারার) তাদের প্রতিষ্ঠা করা অর্গানাইজেশন বলে উল্লেখ করেছে। আমরা এমনিতেই খুব লো প্রোফাইল মেইনটেইন করে চলা লোকজন। সে এক আজব বিড়ম্বনা crying। অর্গানাইজেশনের নাম নেই কেন এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই ঘুরিয়ে উঠেছে। পরে জিজ্ঞাসা করে জানলাম ওদের পলিসি নাকি এই ধরনের খবরে অর্গানাইজেশনের নাম না দেওয়া। অদ্ভুত পলিসি।
  • NRO | 165.124.84.35 | ২৮ আগস্ট ২০২৪ ২২:১৬743616
  • রঞ্জন , অত্যন্ত ভালো লিখেছেন  অল্প কথায় খুব ভালো ভাবে বোঝানোর জন্য আপনার অনেক ধন্যবাদ প্রাপ্য। Kudos to you!!! আমি আজকালকার NGO র এসব কিছুই প্রায় জানতাম না একটু আধটু শুধু অনুমান করেছিলাম। আপনার আর সুপ্রিয়র কথা পড়ে বুঝতে পারছি আমার দ্বারা এসব সমাজ সেবা সম্ভব নয়। But I respect you guys a lot. Please continue your good work - people like you make some real positive difference for under-privileged people. . You deserve society's support. Best wishes.
     
  • Ranjan Roy | ২৯ আগস্ট ২০২৪ ০০:৪০743619
  • এন আর  ও
           অনেক ধন্যবাদ!
  • Ranjan Roy | ২৯ আগস্ট ২০২৪ ১৩:১৮743622
  • সুপ্রিয়
      আপনার নাম ভুল লেখার জন্য লজ্জিত, কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। পরের বার সতর্ক থাকব।
     
    স্বাতী  ও সুপ্রিয়
      আপনাদের তোলা পয়েন্টগুলো মূল্যবান।
    এই সমস্যাগুলো বাস্তব। অনেক এনজিও এইভাবে প্রমোটারদের পয়সা করার এবং নতুন ছেলেমেয়েদের এক্সপ্লয়েট করার ধান্দাবাজি। 
     আমি চেন্নাই ছাড়া আরও একটি ইন্সটিটিউটের কথা বলব। ইন্সটিউট অফ রুরাল ম্যানেজমেন্ট (IRMA). আনন্দ , গুজরাত। 
    এদের স্নাতকরা বড় এনজিওতে মোটামুটি ভাল মাইনের চাকরি করছেন।
    আমাদের কর্মদক্ষের তেজি এবং রানু ভোগল ওখানকার পাস আউট। 
    কিন্তু ওই ব্যাপার, ভর্তি হতে আজকাল কম্পিটিশন বেশি এবং ফীসও যাতা রকম বাড়িয়ে দিয়েছে।
     
    আমাদের মত  মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বেস্ট হচ্ছে ব্যাঙ্গালুরুতে আজিম প্রেমজি ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করা। তারপর কাজ পেতে কারও কোন অসুবিধে হয়না। আমার জানা ক'টি মেয়ে শুরুতে মাসে  ত্রিশ হাজার মাইনের চাকরি পেয়েছে। আরেকজন ক'বছর পরে পঞ্চাশ হাজার। 
     
    আজিম প্রেমজির  (উইপ্রো) নিজেরও একটা ফিলান্থ্রপিক সংস্থা আছে যারা এনজিওদের প্রজেক্ট ফান্ডিং করে। 
     
    তবে নিজেরা এনজিও শুরু করলে অন্ততঃ দশ বছর স্ট্রাগল করতে হবে। 
    ভোপালের প্রদীপ ঘোষ প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ভালো মাইনের চাকরি ছেড়ে ভোপালে নিজেদের এনজিও খুলতে গিয়ে দশ বছর কষ্ট করল।
    পরে ইনোভেটিভ আইডিয়ার জন্য তিনবছর অশোকা ইন্টারন্যাশনালের ফেলোশিপ পাওয়ায়  কাজ চলে গেল।
      তারপর স্বামী-স্ত্রী মিলে ওয়েসিস নাম দিয়ে এনজিও খুলে ভোপালে স্লাম এরিয়ায় স্কুলে না যাওয়া বাচ্চাদের  বাসে চড়িয়ে মানব সংগ্রহালয় মিউজিয়ামে নিয়ে পড়ানোর অভিনব ব্যবস্থা শুরু করলেন। পাঁচ বছর আগে ইউনেস্কোর  বেস্ট এক্সপেরিমেন্টাল স্কুলের প্রাইজ জিতে এখন ভালো অবস্থায় আছেন।
     তবু আমার ধারণা, নিজেদের খাওয়াপরার চিন্তা না থাকলে তবেই এনজিও খোলা উচিত। নইলে মানুষ মরিয়া হয়ে টাকা কামানোর জন্যে লক্ষ্য এবং আদর্শের সঙ্গে সমঝোতা করে। 
    আর এটাকে জীবিকা করতে হলে নামকরা সংস্থার ডিগ্রি চাই। নইলে পেট চালানো মুশকিল। 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন