এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পরিষ্কার ও তিরস্কার 

    Suvasri Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ জুলাই ২০২৪ | ৩১১ বার পঠিত
  • অনেকের পরিষ্কার পরিষ্কার বাতিক থাকে। সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি লোকের চোখে পড়ে যায় বৈকী! ঘরের লোকজনকে বইতে ও সইতে হয়। আর বাইরের লোকজনকে চিরাচরিত ব্যাপার, কইতে হয়। এ সব কথা ছড়াতে সময় লাগে না।

    আমার মা যখন এম এ ক্লাসের ছাত্রী তখন অদ্ভুত চরিত্রের এক বন্ধুর সংস্পর্শে এসেছিল। এই বন্ধুটা মফস্বলের মেয়ে, কলকাতায় হোস্টেলে থেকে এম এ পড়ত। বাইরের জিনিস সম্পর্কে তার মারাত্মক ছুঁচিবাই ছিল। বাড়ির থেকে চিঠি এলে কাঠি দিয়ে সেই চিঠি ধরত। কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলত, বাইরে কত লোকের হাত পেরিয়ে এসেছে, ও চিঠিতে অনেক জীবাণু। হাত দিয়ে ধরা যায় নাকি?

    আমাদের অতি পরিচিত এক ভদ্রমহিলার মারাত্মক পরিষ্কার পরিষ্কার বাই ছিল। এই কারণে আমরা তাঁদের বাড়ি যেতে চাইতাম না। খেতে খেতে ভাত-তরকারি-মাছের ঝোল এক ফোঁটাও বাঁ হাতে পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে উঠে গিয়ে ধুয়ে আসতে হবে। এই মহিলার দুই ছেলেরই কমবেশি পরিষ্কার পরিষ্কার বাতিক আছে। বড় ছেলের বৌ আসার পর তাকেও সব সময় পরিষ্কারের দিকে নজর রাখতে বলতেন। ছেলেমানুষ বৌ প্রথম প্রথম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তারপরে একটু একটু মুখ খুলেছিল কিন্তু শাশুড়ির মুখ আরো কটূ। তাছাড়া নিজের ভালোমানুষ বড় চাকুরে বরটিও মায়ের মন্ত্রে দীক্ষিত। সে ছেলে নিজেও পরিষ্কার বাতিকে আক্রান্ত তবে মায়ের মতো অতটা নয়।

    মজার কথা, বড় ছেলের বৌকে ক্রমাগত পরিষ্কার, পরিষ্কার বলতে বলতে তাকেও তিনি নিজের মতো করে ফেলেছিলেন। ব্যাস, বৌ মাঝ বয়সে পৌঁছে শাশুড়িকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তখন পরিষ্কার এবং এঁটোকাঁটা নিয়ে ক্রমাগত বৌয়ের ঝালঝাল উপদেশ শুনতে শুনতে বুড়ী শাশুড়ি অতিষ্ঠ। একেই বোধহয় "সময়ের প্রতিশোধ" বলে। ভদ্রমহিলা মাঝেমাঝে আমাদের কাছে অভিযোগ করতেন। আমরা বলতাম, ও তো এরকম ছিল না। শুদ্ধ-অশুদ্ধ নিয়ে সকাল থেকে রাত বাক্যযন্ত্রণা দিয়ে দিয়ে তুমিই এরকম বানিয়ে দিয়েছ। এখন সহ্য করো।

    এই ভদ্রমহিলার বড় ছেলের বাড়িতে যাওয়া বিপদ ! সমানে শুনতে হয়- এ দিক দিয়ে যেও না, ওই দিক দিয়ে হেঁটো না। কে বলে? বড় ছেলে নিজে। ধুলো এবং রাস্তার নোংরাকে তার বড় ভয়। তাহলে বাইরের লোককে ঘরে ঢোকানোই বা কেন বাপু? কেনই বা বাড়িতে আসতে বলা? তোমার বাড়ি এসে সে থোড়াই স্নান করবে এবং নিজের গায়ে গঙ্গাজল ছিটোবে? মনে রাখতে হবে- এ সবই করোনার বহু আগের কথা।

    নিজের চোখে একটা ব্যাপার দেখেছিলাম। এটা অতিমারী পূর্ববর্তী সময়ের অভিজ্ঞতা। অাজ থেকে কম করে বছর পাঁচেক আগে জরুরি দরকারে এক ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। পাঁচতলার ফ্ল্যাটে উঠলাম। সিঁড়ির সামনে ফাঁকা জায়গাটুকুর মুখোমুখি দুটো ফ্ল্যাট কিন্তু সেখানে যাওয়ার উপায় নেই। তালা লাগানো কোলাপসিবল গেট। তার মধ্যে দিয়ে বেল বাজালাম। ভদ্রলোক আমার সঙ্গে ভালো করে কথাবার্তা বললেন। হাতে একটা ঘটি নিয়ে তাঁর স্ত্রী সমানে পাশে দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করছিলেন। আমি কোনো কাগজ বাড়িয়ে দিইনি। কিছুই না। ওমা! কথা শেষ হওয়ার পর, আমি তখনো সেখানে দাঁড়িয়ে, দেখি ভদ্রমহিলা স্বামীর পায়ে এক ঘটি জল ঢেলে তাঁকে শুদ্ধ করে নিলেন। আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম কারণ দরজা তো খোলা। স্ত্রী পায়ে জল ঢালার পর ভদ্রলোক বিরক্ত হয়ে বললেন, তোমার বদমাইশিটা দিন দিন বাড়ছে।

    ব্যাপারস্যাপার দেখে আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম, কাছাকাছি পর্যন্ত যাইনি, কাগজপত্র-ফোন-পেন কিচ্ছু বাড়িয়ে দেওয়ার দরকারই পড়েনি, তাও এত! আসলে ছুঁচিবাই বাড়তে বাড়তে চিকিৎসার অতীত অসুখের পর্যায়ে চলে যায়। নিচে নেমে বাজার যাচ্ছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে ব্যাপারটার কথা মনে করে আমার কেমন গা ঘিনঘিন করতে লাগল। চুনীবাবুর বাজার থেকে কাঁচা আম আর তাজা সবুজ পাতিলেবু কিনে নিলাম। সেগুলো দেখে একটু ভালো লাগল। বাড়ি এসে সেগুলোর গন্ধ শুঁকতে লাগলাম। গা ঘিনঘিন ভাবটা একটু একটু করে চলে গেল।

    এরকম অনেক অভিজ্ঞতাই আছে ঝুলিতে। পরিচিতদের মুখেও অনেক ঘটনা শুনেছি। সব কথা এখনই বলছি না। তাছাড়া আমার কথা বলার ভঙ্গীও এমন কিছু ভালো নয় যে লম্বা লেখা পড়তে পড়তে পাঠকের ধৈর্য বজায় থাকবে।

    পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা একটা মস্ত বড় জিনিস। সেটা আমিও বিশ্বাস করি। তবে সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ভালো তো নয়ই, তার ওপর অন্যদের জন্যও অসুবিধাজনক। করোনা এসে আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। তবে স্বাস্থ্য নিয়ে সাময়িক সচেতনতাও এনেছিল অতিমারী। পাশাপাশি পরিষ্কার থাকার ওপর জোর দিয়েছে । বারবার হাত ধোয়ার ওপরেও জোর দিয়েছে। এগুলো নিশ্চয় ভালো। এই সব অভ্যাস অব্যাহত থাকলে শরীরে রোগজীবাণু ঢুকতে অবশ্যই বাধা পাবে। 

    নিজে আমি পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য যতটা পারি ততটা করব। কারুর অসুবিধা ঘটাব না। যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলার প্রশ্নই ওঠে না। অনেককেই দেখি, যেখানে খুশি নোংরা ফেলছেন। আরও দেখি, ছোট্ট শিশুদের ঠোঁটে চুমু খাচ্ছেন। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে এবং চুমুর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস শিশুর শরীরে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই বোধ না থাকলে মুশ্কিল। আমি বরাবর শিশুদের হাতে চুমু খাই। আর নিজে যতটা পারি পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করি। বাকিটা তো আমার হাতে নয়। কোটি কোটি জীবাণু হাওয়ায় ভাসছে, জলে খেলছে। কিন্তু আমি জেনেশুনে এমন কিছু করব না যার ফলে কোনো জায়গা বা খাবার নোংরা হয়ে পড়ে। আমার পরিষ্কার কথা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Rouhin Banerjee | ৩০ জুলাই ২০২৪ ১৪:০৫535542
  • এতটা বাড়াবাড়ি না দেখলেও আমিও দেখেছি এরকম। ছুঁচিবাই এর আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত নাম হল "ওসিডি" - যাকে সাদা বাংলায় "অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার" বলা হয়ে থাকে। এটি অবশ্যই একধরণের মানসিক সমস্যা - তবে এটা সেই ধরণের সমস্যার মধ্যে পড়ে, যেটা নিয়ে বলতে অনেকেই গর্ববোধ করেন। "আমার ওসিডি আছে" - এটা একধরণের স্ট্যাটাস স্টেটমেন্ট।
  • Suvasri Roy | ৩০ জুলাই ২০২৪ ১৪:৫৩535543
  • @Rouhin Banerjee
    মতামত রেখেছেন বলে ভালো লাগছে। OCD বোধহয় অনেক রকম, ছুঁচিবাই সেগুলোর মধ্যে একটি। বাপ রে বাপ, OCD নিয়েও গর্ব! 
  • চিত্তরঞ্জন হীরা। | 2409:4060:2e96:4ac7:2f7b:5ede:d5b7:dbb3 | ০২ আগস্ট ২০২৪ ১০:২৯535606
  • খুব সুন্দর লেখা। প্রতিটি লেখাই জীবন থেকে উঠে আসছে বলে অনেকের জীবন-অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। এখানেই এই লেখাগুলোর আকর্ষণ। খুব ভালো লাগছে।
  • Suvasri Roy | ০২ আগস্ট ২০২৪ ১৪:১৪535607
  • @চিত্তরঞ্জন হীরা
    পাঠপ্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বলে ভালো লাগছে। আপনারা আমার লেখাগুলো পড়েন বলেই তো লিখে আনন্দ পাই। গঠনমূলক সমালোচনা সব সময় কাম্য।
  • Subhas Ghosal | 2405:201:403a:4041:ed60:111d:a3cf:a87e | ১২ আগস্ট ২০২৪ ১১:১৯536222
  • বেশ অন্যরকম লেখা, পড়তে খুবই ভালো লাগল।
    এরকম লোকেদের বিশেষত মহিলাদের আমি দেখেছি, নিজের ঘরে এরকম মেম্বার থাকলে জীবন বেশ শক্ত হয়ে পড়ে, শোধরানো তো যায়ই না বরং বাড়ে। এরা কোনো যুক্তি মানে না। আরো অনেক কিছু নিজের জীবনেরই অভিজ্ঞতা আছে, বেশি ভাগই তিক্ত স্মৃতি।
    লেখো আরও এরকম সুন্দর লেখা।
  • Suvasri Roy | ১২ আগস্ট ২০২৪ ১২:৫৭536224
  • @Subhas Ghoshal
    পাঠপ্রতিক্রিয়া পেয়ে ভালো লাগল। ঠিক বলেছেন। একেবারে নিজেদের পরিবারে অতিরিক্ত ছুঁচিবাইগ্রস্ত কেউ থাকলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। অবশ্যই এরা যুক্তির ধার ধারে না। 
    শুভেচ্ছা রইল। 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন