এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বিপ্লব প্রতি-বিপ্লব: দ্বিতীয় স্বাধীণতা অথবা সাংবাদিকতার কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্যে রূপান্তর

    Kanan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ আগস্ট ২০২৪ | ১৩৪ বার পঠিত
  • শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গত দু’দিনে মাত্র ২১৫ জন মানুষ খুন হয়েছেন। ’প্রথম আলো’-র সংবাদ অনুযায়ী। কে খুন করলেন? কারা করলেন? লীগ সরকার বা ছাত্রলীগ কেউই এখন ক্ষমতায় নেই। আশপাশের থানাগুলো লুট হচ্ছে- চারপাশে ডাকাতি হচ্ছে। ভয়ে বের হতে পারছে না মানুষজন। 

    গত পরশু লাল প্রোফাইলের অধিকারী, চ‚ড়ান্ত ’তাগুদ’ সরকার বিরোধী এক যুবক ফোন করে ভয়ে কাঁপছে। মাঝখানে কয়েক মাস বেকার থেকে নতুন যে চাকরিতে ঢুকেছিল মাত্র পনেরো দিন, সেই অফিস ভবন গত তরশু কারা যেন পুড়িয়ে দিয়েছে। গতকালই জীবনে তার কাছে প্রথম শেখ হাসিনার প্রশংসা শোনা গেল। ওনার মত দেশ কি কেউ চালাতে পারবে- তাঁর ভেতর মায়ের মত একটা বিষয় ছিল- খালেদা জিয়ার চেয়ে অনেক ভাল- ইউনুস আরো করাপ্ট হবে- এই যুবকের কাছে ঘুরে-ফিরে সব দোষ ’হিন্দু/ভারত/র/মোসাদ/ইহুদি/খ্রিষ্টান’দের বলেই এত দিন জানা যেত। ভাল ছিল ’বিএনপি/জামাত/আইএসআই/আইসিস/তালিবান/আল কায়েদা/ইরাণ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।’ গতকাল তার মুখে শেখ হাসিনার প্রশংসায় বিষম খেতেই হলো 

    টুঙ্গিপাড়ায় গোটা পুলিশ ভ্যান মানুষ সমেত পুড়িয়ে দেওয়ার বাংলাদেশে, জামাত-বিএনপি-সুশীল প্রযোজিত এই 'দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে' দেশের বৃহত্তম দৈনিকটির সাংবাদিকতার একটি ছোট্ট উদাহরণ। গত রবিবার পিজি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতাল) হাসপাতালের ভেতর এ্যাম্বুলেন্সে জামাত-জেন জি-বিএনপি-সুশীল-বামাতিরা আগুন দেবার খবর ’প্রথম আলো’র ভিডিও সেকশনে প্রথমে হাসপাতালের বাইরের পথে দুই পথচারীর মুখের বয়ানে জানানো হলো যে লীগের ছেলেরাই এ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে। পরের দিন সকালে পত্রিকার মুদ্রিত মাধ্যমে জানানো হলো ’পিজি হাসপাতালের সামনে পথে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের ভেতর সঙ্ঘর্ষে ছাত্র-জনতা লীগের ক্যাডারদের ধাওয়া দিলে তারা হাসপাতালের ভেতর ঢুকে পড়লে ছাত্র-জনতাও তাদের পেছনে ঢুকে পড়ে। তখন কয়েকটি এ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়।’ কে এ্যাম্বুলেন্স পোড়ালো, কারা পোড়ালো সেসব বিষয়ে কোন কথা নেই। এ্যাক্টিভ থেকে প্যাসিভ। 

    তা’ টিএসসিতে ভাস্কর্য ভাঙচুর, বত্রিশ নম্বরে অগ্নি-সংযোগ, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাথায় মূত্রত্যাগ ও হাতুড়ির বাড়ি, আগুন ধরানো, হোটেলে মানুষ পোড়ানো, দেশের নামী ক্রিকেটারদের বাড়ি পোড়ানো, এক চলচ্চিত্র প্রযোজক ও তাঁর অভিনেতা পুত্রকে পুড়িয়ে মারা.  গণভবন লুট, ৭৬ বছর বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রীর (প্রাক্তন) অন্তর্বাস তুলে ধরা, ৩০০০ বাদ্যযন্ত্র ভাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়ায় আস্ত পুলিশ ভ্যান পুলিশ সদস্য-সদস্যাসহ পুড়িয়ে দেওয়া, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ও মি: টেন পার্সেন্ট তারেক জিয়াকে দেশে ফেরানো, সংখ্যালঘু বাড়ি-ঘর-মন্দির পোড়ানো-লুট ধর্তব্যেই না (মেয়েরা এখনো আক্রান্ত হতে শুরু করেনি এটাই অবাক করা...ওহ্- ২০০১-এ মোট ধর্ষিতার সংখ্যা ১০০০ নয়, ৮০০০ ছিল - বিচার হয়েছিল মাত্র একটি মামলা), থানার পর থানা পোড়ানো, গর্ভবতী নারী পুলিশ অফিসারকে পিটিয়ে মারা...’ তারেক জিয়ার ভিডিও বার্তায় জনতা এখন বিএনপিকে না- কেউ ওয়াজী হুজুর আজাহারী ও কেউ চরমোনাইয়ের পীরকেও চাচ্ছে। দু’দিনে যারা ২১৫ লাশ ফেলতে পারে-  জামাতের নিদ্রিত সেলই যে আগের লাশগুলো ফ্যালেনি তার কি গ্যারান্টি? শেখ হাসিনা নিজেই ত’ প্রতিটি হত্যার তদন্ত চাইছিলেন বিদেশ থেকে আনা উচ্চপ্রযুক্তির সহায়তায়- বামাতিরা তখন চেঁচাতে লাগলো যে তাহলে ইউএন-এর আওতায় করতে হবে। আসলে সেটা তারা করবে না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যেন উচ্চ প্রযুক্তির সাহায্যে তদন্ত করতে না পারেন, সেজন্যই ত’ তাঁকে এত তড়িঘড়ি ফেলতে হলো। এখন যদি ’তাগুদ’ সরকারকে ফেলতে উন্মুখ জনতা বলে: ’আমরা এটা চাইনি- আমরা ত’ বুঝিনি-’ তবে জাস্ট ন্যাকামি। অভিনেত্রী বাঁধন থেকে মোশাররফ করিম- কে নামেনি? মোশাররফ করিমের পরে উল্টে যাওয়া কি ভারতে সিনেমার রোল হাতছাড়া হবার ভয়? 

    না- ভাই/বোনেরা- আপনারা ’তাগুদ’ বা সেক্যুলার সরকারই ফেলতে চেয়েছেন। কত এনার্জি যে বিদেশে থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ঢাকায় লং মার্চের গতিবিধি মনিটর করার প্রযুক্তিও নেটে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রক্ত দান থেকে শুরু করে সব সাহায্য। সেখানে জামাত-বিএনপি-বামাত সবাই এককাট্টা। অভিভাবকরা কিশোরদের হলি আর্টিজানের নিব্রাসদের মত রাস্তায় ছুটতে বলেছে- সবটাই নিরস্ত্র নয়- অস্ত্র হাতেও। 

    তাগুদ সরকার ফেলতে চেয়েছে নিউজিল্যান্ড প্রবাসী আমার পরিচিতা আসমা হক আঞ্জুও (নাম সামান্য বদলে দিলাম- যে দেশ থাকেন সে দেশের নামও)। আসমা হক আঞ্জু নিজেই তার জীবনের গল্প একবার আমার সাথে শেয়ার করার সময় বলেছিলেন যে তার রক্ষণশীল পরিবার ষোল বছর বয়সে জামাত করা এক যুবকের সাথে বিয়ে ঠিক করলে, বোরখা পরার ভয়ে সে এক অ-জামাতী যুবকের কাছে গিয়ে তাকে বিয়ে করতে বলে। বিয়ের পর প্রগতিশীল যুবকটির মা’র নানা আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে আঠারোতে বিয়ে ভাঙ্গে। দ্বিতীয় বিয়েতে শাশুড়ি মন্দ না হলেও বরের আচরণে ছাড়াছাড়ি (এ্যাকর্ডিং টু হার)। একটি সন্তান এই ঘরে। বোধ করি বিয়ের ঘটনাই চারটির মতো- লিভ-ইন আরো কয়েকটি। শেষ নিউজিল্যান্ডে এক সাদা, ক্রিশ্চিয়ান তরুণের সাথে বছর দুয়েক লিভ-ইনের পর মনে হয় সাদা যুবকেরা টাকা-পয়সা সঞ্চয়ের চেয়ে পৃথিবী ভ্রমণে বেশি আগ্রহী। ইতোমধ্যে এক বাঙ্গালী, মুসলিম যুবকের সাথেই পরিচয় হওয়ায় তাকে শেষ বিয়ে। বছর পার না হতে সন্তান। তারপরই যুবক ও তার মা-বাবার অকথ্য ব্যবহারে আবার ডিভোর্স (এ্যাকর্ডিং টু হার)। এখন দ্বিতীয় ও পসিবলি চতুর্থ বিয়ের ঘর থেকে দুই পুত্রকে নিয়ে স্ট্রাগলিং এই সিঙ্গল মাদার। এই কাহিনীর নায়িকার বয়স ৪১/৪২-এর মতো। ফেসবুকে সুইমিং কস্টিউমের ছবিও আপলোড করেন। রিপ্লাইজ বিলিভ ইট অর নট- ’তাগুদ’ হাসিনা সরকারের পতন তিনিও চেয়েছিলেন। গত পরশু অব্দি লাল প্রোফাইলের এই মালকিন গতকালই এই অন্তর্জালেই কারো শেয়ারের এক ফেসবুক লিঙ্ক থেকে দেখা গেল হাসিনা পদত্যাগের পর ভায়োলেন্সের পোস্ট শেয়ার দিয়েছেন। প্রবাসী এমন বেশ কিছু বাংলাদেশী স্মার্ট নারীরা- সবাই ’তাগুদ’ সরকারের পতন চেয়েছেন যদিও পশ্চিম ছেড়ে তারা জীবনে আসবে না- পশ্চিমে তারা মিনি-স্কার্ট পরতে পারে- কম কথা? 
     
    ’চাড্ডি’ মনে হোক আর ট্রাম্প সমর্থক মনে হোক- ঘটনা হলো নিজ দেশে (আরবের কিছু কিছু কর্তৃত্ববাদী বা রাজতান্ত্রিক তবে রাজপথ ঝকঝকে রাখতে চায়- তাগুদ হাসিনা বিরোধী বাংলাদেশী শ্রমিকদের মিছিল করতে দেখলে জেলে পুরে দ্যায় টাইপ দেশ ছাড়া) প্রথমে সব সংখ্যালঘু বিতাড়নের পর নিজেদের ভেতর গৃহযুদ্ধে দেশ রক্তাক্ত ও পথ-ঘাট প্রস্তরাকীর্ণ হবার পর পশ্চিমে এ্যাসাইলাম এবং সেখানে গিয়ে পুনরায় শরীয়া আইন প্রচলনের দাবি এবং এই লিবার্টি না দিলে পশ্চিম উল্টে ’ইসলামোফোব’- পৃথিবী নামক গ্রহটি (মুষ্টিমেয় কিছু উদারনৈতিকও অবশ্যই আছে সব সম্প্রদায়েই- অথবা কম বা বেশি উদারনৈতিক আছে সব সম্প্রদায়েই) কিভাবে রক্ষা পাবে?

    সজীব ওয়াজেদ জয়ের মত এই দস্যুদল লুণ্ঠিত বাংলাদেশ বা বাংলাস্থানের সামনের ভবিষ্যত দেখার অপেক্ষায় আমরাও থাকলাম। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন