এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভারতের ধর্ষণ সংস্কৃতি ও তার প্রতিকার

    পাগলা গণেশ লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ আগস্ট ২০২৪ | ৩৯৩ বার পঠিত
  • নমস্কার সুধীগণ,

    আজকে এই যে ধর্ষণকান্ডে সবাই এত উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন, আপনি কি নিশ্চিত, যে দোষী শাস্তি পাবে? আপনি কি নিশ্চিত করতে পারবেন, যে এর পরে এরকম ধর্ষণের ঘটনা আর ঘটবে না?

    না, আপনি তার নিশ্চয়তা দিতে পারেন না। হতে পারে আপনাদের মধ্যেই কেউ পরবর্তী ধর্ষক, কেউ পরবর্তী ধর্ষিতা। কেউ হয়তো আমার উপর রেগে যেতে পারেন। কিন্তু আমি যদি নাও বলি, সত্যিটা কি পাল্টে যাবে!

    আসল সমস্যা হচ্ছে আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায়। এখানে শেখানো হয়, পুরুষরা উন্নত, বুদ্ধিমান, শক্তিশালী। তারাই রক্ষক, তারাই বিচারকর্তা। মেয়েরা তাদের নীচে, তাদের অধীনস্ত হয়ে থাকবে। এখনো আমরা বলি, "বাইরে যাচ্ছিস, ভাইকে সাথে নিয়ে যা", "তুমি মেয়ে মানুষ হয়ে কেন সব জায়গায় মাথা গলাচ্ছ?", "মেয়েদের বুদ্ধি হাঁটুতে", "মেয়েদের বুদ্ধি তো!", "এসব কি মেয়েদের কাজ? "
    আমরা মিম বানাই, উইমেন!
    আমরা মেয়েদের বাছা বাছা বোকামির ভিডিও রিক্রিয়েট করি। মেয়েরা তাতে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে এবং তারা তাতে স্বচ্ছন্দ। এখন হয়তো সবাই জেগে উঠেছে, সবাই চায় ওই ধর্ষকের ফাঁসি হোক। কিন্তু তাতে কি কিছু লাভ হবে?
    আচ্ছা, ইন্টারনেট তো এখন সুপ্রতুল। একটা কাজ করুন, ইউটিউবে গিয়ে ধর্ষকদের ইন্টারভিউগুলো সার্চ করুন। দেখুন তো তারা আদৌ অন্যরকম কিনা? তারা আপনাদের মতোই মানুষ। আপনি বলবেন, "ওরা বিকৃত মস্তিস্ক"। আসলে কিন্তু তা নয়। ওরা আপনার আমার মতোই সাধারণ মানুষ। তার চেয়েও বড় কথা, ওরা মোটেও নিজেদের কৃতকর্মকে দোষ বলে স্বীকার করে না। ওদের কথায়, ওরা শিক্ষা দিয়েছে। উত্তেজক পোশাক পরেছিল, তাই শাস্তি দিয়েছে। ছেলেদের সাথে মিশত, কথা বলত। তাই এমনিতেই দুশ্চরিত্র।

    ব্যাপারটা আমরা যতই ভাবি না কেন কাজটা কিছু জানোয়ারের, প্রকৃতপক্ষে জানোয়ার আমরাই। যেমন আমরা নেতাদের গাল দিই, শালারা কাজ করে না, ঘুষ খায়, দুর্নীতি করে। কিন্তু একথা কেউ ভাবে না, "নেতারা কি আকাশ থেকে নেমে এসেছে? ওরা তো আমাদেরই মতো মানুষ। আমরাও কি একই মনোভাব প্রকাশ করি না? আমরাও কি বেলাইনে ঢুকে অন্যায় সুবিধা নিই না? আমরাও কি পুলিশকে ঘুষ দিয়ে আমার কাজটা আগে করিয়ে নিই না? "

    তেমনই আমরা যতক্ষণ ভাবছি, মেয়েরা আমাদের থেকে নীচে, তাদের বুদ্ধি আমাদের চেয়ে কম, তারা নিম্নশ্রেণীর;ততক্ষণ এই সমস্যার সমাধান হবে না। সবচেয়ে আশ্চর্য লাগে, যে মানুষগুলো ঝগড়ার সময় লোককে গাল দিয়ে বলে, "অমুক তোর ** করে দেব"। সেই মানুষটাও নিজেকে সামাজিকভাবে মূলস্রোতগামী প্রমাণ করার জন্য ওই শোক-প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটে, গলা মেলায়। আবার আশ্চর্য লাগে, হাসি লাগে, রাগ হয়, ঘেন্না হয়, যখন দেখি ধর্ষক, দুশ্চরিত্র নেতাটা বিচার করে প্রেম করার জন্য। মেয়েটাকে 'খা*কি মা*' বলে গালি দেয়, ছেলেটাকে রক্তাক্ত, আধমরা করে দেয়। আমরা সন্তুষ্ট গলায় বলি, "দরকার ছিল"।
    আমরা মেনেও নিই তার বিচার।

    তার উপর রাজনীতি আছে, স্বজনপোষণ আছে। সেসব নিয়ে তো সবাই বলছেন, আপনারাও দেখছেন। তাই আমি আর কিছু বলছি না। কিন্তু যতদিন না আমাদের এই মানসিকতা পাল্টায়, যে মেয়েরা নিম্নশ্রেণীর, তারাও ছেলেদের সমান, ছেলেরা যা পারে মেয়েরাও পারে। ততদিন ধর্ষণ হতে থাকবে।

    তার উপর ধর্ম তো আছেই। সব সমস্যার মূলে সেগুলো। প্রতিটা ধর্মে নারীকে পুরুষের ছায়া, অর্ধাঙ্গিনী, সহধর্মিনী বলে প্রচার করা হয়েছে। এটা মনে হতে পারে খুব নিষ্পাপ, কিউট একটা ব্যাপার, আদতে কিন্তু তা বিরাট মানসিক প্রভাব যে সমাজে ও মননে ফেলে যায়, তা আমরা বারবার দেখেছি। রাজা রামমোহন রায়কেও তার মা বলেছিলেন, "আমি আগের জন্মে কী পাপ করেছিলাম যে তোকে পেটে ধরেছি!" (কথাটা হয়তো হুবহু নয়, কিন্তু তার মানে এই)। তাই মেয়েদের এই দুর্দশার জন্য মেয়েরাও যে পুরোপুরি দায়মুক্ত তা মোটেই বলা যায় না।

    আরো মজার কথা হচ্ছে, যেসব ছেলেরা সারাবছর লিক হওয়া ওপরের গোপন ভিডিও চালাচালি করে, তারাও আজকে মিছিলে পা মেলাবে। হয়তো ওদের মোবাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, বেশিরভাগই কোনো না কোনো লিকড ভাইরাল পর্ন শেয়ার করা গ্ৰুপকে ফলো করে। ওই ভিডিও দেখে স্বমেহন করে।কিছু কাকু আছে,যারা ভিড় বাসে মেয়েদের নানা অছিলায় ছোঁয়ার চেষ্টা করে,তারাও হয়তো থাকবে মিছিলে।অফিসের যে বস অধঃস্তনকে যৌন নিপীড়ন করে,হয়রান করে,সেই মিছিলে গলা ফাটাবে।নেতাদের তো বাদই দিচ্ছি,ওরা দুকান কাটা ।যেদেশে কবীর সিং,অ্যানিম্যালের  মতো সিনেমা ব্লকবাস্টার হয়,সেদেশে মেয়েদের ধর্ষণ কে আটকাবে?

    আর আমি ছেড়ে দিচ্ছি, বাইরের লোকের কথা। নিজের বাপ, ভাই, আত্মীয়!তাদের কী অজুহাত শুনি? বাবা নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে প্রেম করার জন্য, ভাবা যায়!তাই এসব উত্তেজক পোশাক, ফ্র্যাঙ্ক আচরণ কিংবা দুশ্চরিত্র হওয়া কোনোটাই ধর্ষণের জন্য দায়ী নয়। এটা পিতৃতান্ত্রিক সমাজের দান। যতদিন সমাজের চিন্তা না পাল্টাবে, ততদিন ধর্ষণকে weaponize করা হবে, মেয়েদের ভোগ্যপণ্যে ভাবা চলতে থাকবে, ধর্ষণ হতে থাকবে, কেউ আটকাতে পারবে না।

    পুনশ্চ-আমরা বরাবর চেষ্টা করেছি শাস্তির তীব্রতা বাড়ানোর। দৃষ্টান্ত স্থাপন করার। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমরা ধরা পড়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর চেষ্টা করি না। অথচ সেটা বেশি কাজ দেয়। মানুষ শাস্তির আগে ধরা পড়ার কথা ভাবে। তাই শাস্তির আগে ধরা পড়া নিশ্চিত করতে হবে। তা নাহলে অপরাধী অপরাধ করে নিশ্চিন্তে গিয়ে পুলিশ ব্যারাকে শুয়ে থাকবে। তাই সরকার যদি সত্যিই চায় এরকম ঘটনা না ঘটুক, অন্তত কম হোক, তাহলে তার উচিত নিরাপত্তা বাহিনী (পুলিশ)-এর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো। এসব ধার করে দান দিয়ে কিছু লাভ হবে না। শুধু রাজ্যের ও দেশের ঋণ বাড়বে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অসিতবরণ বিশ্বাস | 2401:4900:382a:78a:1:1:fdaf:92c5 | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ২০:১৭536487
  • যদি আমি দেবনারায়ণ কোটেশন সরকার হতাম তাহলে শুরু করতাম, 'অলিভার গোল্ডস্মিথ বলেছিলেন, 'আমরা মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রাখতে পারব না কিন্তু কিছুদিনের জন্য হলেও পিছিয়ে দিতে পারি।'
    আপনি ঠিকই বলেছেন, ধর্ষণ একেবারে নির্মূল করা যাবে না কিন্তু ধর্ষকেকে যদি কঠিন শাস্তি দেওয়ানো যায়, ধর্ষকের সহযোগীদের যদি শাস্তি দেওয়ানো যায়, ধর্ষকের আড়ালকারীদের যদি শাস্তি দেওয়ানো যায়, তাহলে সংখ্যাটি কমবে। 
    ক্রমাগত আন্দোলন করে আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের পতন ঘটানো যায়।
  • পাগলা গণেশ | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ২০:৪২536488
  • দুর্নীতিবাজ সরকার পড়লে কাজ কিছুটা হবে।কিন্তু যদি সবচেয়ে কার্যকর পন্থা বলেন,আমি বলব,নারীদের সমানাধিকার এবং স্কুলে সেক্স এডুকেশন আবশ্যক করতে হবে।
  • . | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ২১:৪০536489
  • "নারীদের সমানাধিকার এবং স্কুলে সেক্স এডুকেশন আবশ্যক করতে হবে।"
    একদম
  • ☠️ | 2406:7400:63:5ace:7c5a:bb57:ac8f:7ffa | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ২২:৫৮536494
  • একদম দরকারি আর সত্যি কিছু কথা বলেছেন পাগলা গণেশ | তবে মনে হয় এই সব ইমপ্লিমেন্ট করার পর ও কম করে ১০ -১৫ বছর লাগবে মানসিকতা পাল্টাতে | 
    জেন্ডার ইকুয়ালিটি বোঝা আর মানা এক বিরাট মানসিক পরিবর্তন | আর এই পরিবর্তন খুব কঠিন বলেই মনে হয় | ১০-১৫ বছর পর নতুন প্রজন্ম হয়তো দিন পাল্টাবে |
  • পাগলা গণেশ | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ২৩:০৩536495
  • সে তো সময় লাগবেই।চটজলদি বলতে ওই ফাঁসি।যদিও আমার সেটাকে সাজার থেকে জনগণকে তুষ্ট করার চেষ্টা বেশি বলে মনে হয়।কিন্তু এতে লাভ কিছু নেই।আর দীর্ঘস্থায়ী,প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার থেকে বড় হাতিয়ার আর কিছুই নেই।
  • পাগলা গণেশ | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৪৭536496
  • যেদিন লোকে কবির সিং এর এনিম্যালকে ব্লকবাস্টার বানিয়েছিল,সেদিনই বোঝা গিয়েছিল,এরকম ঘটনা কেন ঘটে।
  • ☠️ | 2406:7400:63:5ace:7c5a:bb57:ac8f:7ffa | ১৭ আগস্ট ২০২৪ ০০:১৩536498
  • ভয় ,হতাশা আর দুঃখ 
  • &/ | 107.77.235.184 | ১৭ আগস্ট ২০২৪ ০০:১৮536499
  • দুনিয়ার বেশিরভাগ  বিজ্ঞাপন দেখুন , গ্লোবাল কর্পো সাহিত্য দেখুন , সব ওই কবীরসিং  এর এদিক ওদিক . মিসোজিনি টসটস করছে 
  • পাগলা গণেশ | ১৭ আগস্ট ২০২৪ ০০:৩২536501
  • পিতৃতান্ত্রিক সমাজ!!!
  • পাগলা গণেশ | ১৭ আগস্ট ২০২৪ ০০:৩৪536502
  • এতে কিন্তু পুরুষদেরও কম ক্ষতি হচ্ছে না।বলা হয়,"পুরুষদের কাঁদতে নেই,কষ্ট হয় না।"তাতে পুরুষরা আবেগ প্রকাশ করতেই পারে না।পরিসংখ্যান তুলে দেখুন,ভারতে মেয়েদের থেকে পুরুষদের আত্মহত্যার হার অনেক বেশি।
  • Kuntala | ১৭ আগস্ট ২০২৪ ০৩:৪৩536503
  • সত্যি কথা। মেয়েদের ওপরে সমাজের চাপ, ছেলেদেরও মায়েরা তৈরি করেন এক একটি রাজপুত্তুরের মত করে। ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে তারা যখন কঠোর বাস্তবের সম্মুখীন হয়, তখন ভেতরে চাপা রাগ জড়ো হয়। আর তার প্রকাশ যে অপেক্ষাকৃত দুর্বলের ওপরে হবে, তাতে আর আশ্চর্যের কি আছে।
    পাগলা গণেশ, আমার এই লেখাটি অনেক বছর আগে লেখা, কিন্ত আপনার মতের সংগে মিল আছে।
     
  • পাগলা গণেশ | ১৭ আগস্ট ২০২৪ ১২:৫৮536512
  • মানুষ যে কবে মানুষ হবে? 
    কবে সত্যিকারের সভ্য সমাজ গঠিত হবে? 
  • পাগলা গণেশ | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০১:২১536522
  • সবাইকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।আশা করি সবাই যে যার নিজের মতো চেষ্টা করব,যাতে পরবর্তীকালে কোনো মেয়ে বা ছেলে যৌন হেনস্থার স্বীকার না হয়।বাসে, ট্রামে,ট্রেনে যেখানেই দেখব প্রতিবাদ করব।অফিসে,স্কুলে,কলেজে যেখানেই দেখি না কেন প্রতিবাদ করব।আমার চাকরি,আমার রেজাল্ট ভেবে থেমে যাব না।এরকম কোনো ঘটনা হওয়ার পর মিছিল করার থেকে,এরকম ঘটনা ঘটতেই দেব না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন