এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ব্রাহ্মসমাজঃ ইতিহাস ও বর্তমান

    Atoz
    অন্যান্য | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৭৭৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.42 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৩৪377568
  • আহা @অর্জুন অভিষেক, আপনি লিখুন না আপনার মতো করে। আমার মতকে মেনে চলতেই হবে তা তো দাবি করছি না। আমার জানা ভুলও তো হতে পারে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ ছাড়ব কেন?
  • দময়ন্তী | 230123.142.90067.215 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:০৭377569
  • @অর্জুন অভিষেক

    'পুরশ্রী'-র ওই সংখ্যাটি কি আপনার ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে? এটা কোন সংখ্যা? বা আমাকে লেখাটার একটা ছবি তুলে পাঠাতে পারবেন? আমি লেডি অবলা বসুকে নিয়ে একটা গবেষণার কাজ করছি। ওই পত্রিকার লেখাতে কী কোনও রেফারেন্স আছে কোথা থেকে ওই বিষয়টি জানা গেছে। আমার মেল আই ডি - ডি ডট ডিএএমএওয়াইএএনটিআই @ জিমেল ডট কম
    ইংরেজিতে লেখা গেল না।
    লিজেল রেঁম পড়েছি। ওটা বলতে চেয়েছিলাম যে, কেদারবদরী কেন আরও বিভিন্ন জায়গাতেও ওঁরা একসঙ্গে ভ্রমণে গিয়েছেন।
    ধন্যবাদ
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.150 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:১৪377570
  • @দময়ন্তী, @অর্জুন অভিষেক এবং নিবেদিতা-লিজেল রেমঁ-১৯০৭-কেদার-বদরী সম্পর্কিত তথ্য -

    মে ১৯০৭-এ 'Electrophisiology' বইটির কাজ শেষ করার টার্গেট ঠিক করেন জগদীশচন্দ্র এবং তারপর গ্রীষ্মে জগদীশচন্দ্র, লেডি অবলা, নিবেদিতা, ক্রিস্টিন এবং মিসেস সেভিয়ার কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সে পরিকল্পনা পরিত্যক্ত হলে প্রথমে অমরনাথ এবং পরে সেটিকেও বদলে বদরীনারায়ণ যাওয়ার কথা হয়। কিন্তু শেষে সমস্ত পরিকল্পনা বাতিল করে নিবেদিতা, ক্রিস্টিন এবং বসু-দম্পতি মে-জুনে মায়াবতীতে কাটান।

    বসু-দম্পতির সাথে নিবেদিতা ১৯১০-এর গরমের ছুটিতে যান কেদার-বদরী। মে ১৯১০-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে নিবেদিতা, সস্ত্রীক জগদীশচন্দ্র এবং তাঁদের ভাগ্নে অরবিন্দমোহন হরিদ্বার যান। সেখান থেকে ১৭ মে যান হৃষিকেশ। অবশেষে ১৩ জুন তাঁরা বদরী পৌঁছন। নিবেদিতাকে অবশ্য মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ ভ্রমণ নিয়ে নিবেদিতার রচনা প্রথমে মডার্ন রিভিউ-তে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ১৯২১ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হওয়ার সময় বইটির নাম হয় 'Kedar Nath and Badri Narayan : A Pilgrim's Diary'.
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০২ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১২377571
  • কেশবচন্দ্র সেন এর ব্যাপারে একটু বিস্তারিত লিখুন কেউ। মানে ওঁর ব্রাহ্মসমাজে আসা আর ক্রমে ক্রমে প্রভাবশালী হয়ে ওঠা, এই অংশটা। পরে বিতর্ক ইত্যাদি, ব্রাহ্মসমাজ ভাগ হয়ে যাওয়া- এই অংশটাও।
    শিবনাথ শাস্ত্রীর ব্যাপারেও কিছু প্রশ্ন আছে। পরে বলছি।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:০৫377572
  • সে কী, কোথায় গেলেন আপনারা? কেশবচন্দ্র সেনকে নিয়ে লিখবেন না? অপেক্ষায় আছি যে!
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.67 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:২৮377573
  • @Atoz, লিখে কী হবে?

    @অর্জুন অভিষেককে বললাম, 'আপনি লিখুন না আপনার মতো করে'। সাড়া নেই!

    @দময়ন্তীকে 'Kedar Nath and Badri Narayan : A Pilgrim's Diary'-এর রেফারেন্স দিলাম। সাড়া নেই!

    আপনিও দেখলাম বিট-গাজরের চচ্চড়ি নিয়ে ভয়ানক মশগুল! কাজেই আমিও ভাবলাম পাঠক থাকাই ভালো!!
  • র২হ | 342323.176.5656.20 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২০:০৩377574
  • বিট গাজরের দ আর এই দময়ন্তী আলাদা লোক তো। লিখলেন যে Date:29 Sep 2018 -- 08:13 PM।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.67 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২১:২২377575
  • @র২হ, ঘেঁটে ঘন্ট করে ফেললেন তো! বিট-গাজরের ব্যাপারে বলা হয়েছে @Atozকে, দ বা দময়ন্তীকে নয়। তাঁরা এক হলেও নয়, আলাদা হলেও নয়। বিশ্বেস না হলে দেকুন না ক্যানে

    name: Atoz mail: country:

    IP Address : 125612.141.5689.8 (*) Date:01 Oct 2018 -- 12:57 AM

    আমাদের বাড়িতে বহুকাল থেকে বীট আর গাজর একসঙ্গে হত। কুচি কুচি করে কাটা হত, সরু লম্বাটে ধরনের টুকরো, অনেকটা লাউয়ের খোসা ভাজার জন্য যেরকম টুকরো করে সেরকম। তারপরে গরম তেলে বড়ি ভেজে রেখে, ওই তেলেই লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে বীটগাজর ভাজা। এক পর্যায়ে ভাজা বড়িগুলো দিয়ে দেওয়া হত, অল্প জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দেওয়া হত। ভাত, রুটি সবকিছুর সঙ্গেই চলতো।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২১:৩০377576
  • আহা এলেবেলে, শুধু তত্ত্বালোচনা দর্শণ ইতিহাস করলেই চলবে? দুটো মুখেও তো দিতে হবে, নাকি? বাঁচার জন্য রান্নাবান্না খুবই দরকারি। স্বয়ং গিরীশকে তাঁর গুরু কইতেন, "বলি, তুই খাস তো? মুখে দুটো দিস তো? " ঃ-)
  • অভি | 7845.11.344512.142 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২১:৩৪377578
  • আহা, বীটগাজর ব্রাহ্মসমাজ সবই হোক না। জব্বর এক ধর্মজিরাফ পজিশন নিয়েই তো বেঁচে থাকা।
    আচ্ছা, ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার কি এসবে কোথাও যুক্ত ছিলেন? সবার সাথেই তো ওঁর আলাপ।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২১:৩৯377579
  • সর্দার জিগ্গেস করতেন, "মহেন্দ্রলাল, সবার সঙ্গেই তোমার প্রণয়, বাছবিচার নেই?"
    মহেন্দ্র বলতেন, " এমনকি তোমার সঙ্গেও শুরু হয়েছিল, বাছবিচার করতে গিয়েই আটকে গেল।"
    ঃ-)
  • র২হ | 342323.176.4556.212 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২২:০১377580
  • ও হ্যাঁ, সরি
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.51 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:১২377581
  • ব্রাহ্মধর্ম একটু রস, কষহীন আসলে।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.51 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:১৪377582
  • বাড়ি বদল, অফিসের কাজ, সামনে পুজো (মানে মনে আনন্দ) একটু শিরে সংক্রান্তি যাচ্ছে।

    সময় মত পোস্ট করব। @Atoz
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:১৯377583
  • ব্রহ্মসঙ্গীতের আসরে একদিন গান হচ্ছিল, "প্রেম সলিলে স্নান করিলে প্রাণের জ্বালা দূরে যায়" ভক্তেরা আপ্লুত হয়ে মাথা দোলাচ্ছেন। এমন সময় লীলার ছোট্টো ভাই উঠে নাচতে নাচতে তারস্বরে গান ধরল, "প্রেমসলিলে স্নান করিলে পেটের জ্বালা দূরে যায়", সবাই হেসে গড়াগড়ি। ঃ-) লীলা লিখেছেন, সেই একেশ্বরও নিশ্চয় খুশি হয়েছিলেন, নইলে তিনি আমাদের জীবনের গুরুগম্ভীর জটাজটিল করালবদন সব ব্যাপারের মধ্যে মধ্যে এতসব ফুরফুরে হাসির ব্যাপারও দিয়ে রেখেছেন কেন?
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.51 | ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৫৫377584
  • লীলা নিজে কিন্তু কাঠখোট্টা টাইপ ভাব নিয়ে থাকতেন। আমার একবার তার হাত থেকে প্রাইজ নেবার সৌভাগ্য হয়েছিল। হাসিমুখে প্রাইজ দিয়েছিলেন। এত ছোট তখন যে সব মনে নেই।

    তবে শুনেছি, বুদ্ধদেব বসুর মেয়ে মীনাক্ষী আর অজিত দত্তের ছেলে সত্রাজিৎ ভরদুপুরে একটি নাটকের চ্যারিটি শো' র টিকিট বিক্রি করতে গেছিলেন লীলা মজুমদারের বাড়ি। দুজনের বয়েস তখন খুব অল্প। দুজনের বেজায় খিদে পেয়েছিল। ভেবেছিল লীলা মাসি বা পিসি এত ভাল রান্নার বই লেখেন (তখন প্রকাশ পেয়েছিল কিনা জানিনা, তবে সব লেখায় তার খাদ্য প্রীতির কথা থাকত )। অপূর্ব সুন্দর সাজানো, গোছানো বাড়ি, বেয়ারা কাঠের ট্রেতে সুন্দর কাঁচের গ্লাসে ফ্রিজের ঠাণ্ডা জল শুধু নিয়ে এসেছিল। টিকিট কিনে, লীলা দুজনকে পত্রপাঠ বিদায় করেন।

    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একবার প্রণাম করে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করেছিলেন। লিখেছিলেন যিনি এত মজার মজার গল্প লেখেন, তিনি একদম হাসেন না কেন!
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০০:২৮377585
  • লীলা প্রচন্ড সিরিয়াস টাইপের মহিলা ছিলেন। ভুরু কুঁচকোনো টাইপ সিরিয়াস। ছোটো থেকেই। ললিতলবঙ্গলতিকা ধরণের চেষ্টাকৃত ভিক্টোরিয়ান সুন্দরীসুলভ ব্যবহার একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। "পাকদন্ডী" পড়ে সেই ধারণা হয়েছে আমার। ঃ-)
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.51 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৪০377586
  • সে হোক, সরলা দেবীও তাই ছিলেন। ন্যাকামো সহ্য করতে পারতেন না।

    তা বলে বাড়িতে লোক গেলে খাওয়াবে না?

    সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন 'লীলু পিসি, রান্নার বই লেখে আর এদিকে ওর বাড়িতে সন্দেশের মিটিং এ শুধু ব্রিটানিয়া বিস্কুট খাওয়ায়।' ঃ-))
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৫০377587
  • সরলা দেবী এত লড়াই টড়াই করে এত সব কুসংস্কার ভেঙে ফেলে শেষে কিনা চাপাচাপিতে বিয়ে করে ফেল্লেন! এই জায়্গাটা মানতে কষ্ট হয়। জীবনের ঝরাপাতা য় লিখেছেন কিছু ঠিকভাবে জানার আগেই দেখলেন তিনি বিয়ে করছেন, না বললেই নাকি ওঁর মা খুব কষ্ট পাবেন। প্রায় হাইজ্যাক করে বিয়ে দিয়ে দিল ।

    আর, লীলা কোন্‌ দুঃখে বারোভূতভোজন করাতে যাবেন? সত্যজিৎ নিজে খাওয়ালেই পারতেন সন্দেশের মিটিং এ। ঃ-)
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.51 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৫৬377589
  • ওসব সিমপ্যাথি জোগাড় করার জন্যে এবং নিজের নারীবাদী ভাবমূর্তি রক্ষা করতে লিখেছিলেন। ওঁর বিয়ের নিশ্চয় ইচ্ছে ছিল। তার ওপর বিখ্যাত পাত্র, লাহোর নিবাসী। লাহোর তখন 'প্যারিস অব দ্য ইস্ট'। সুখী বিবাহিত জীবন সরলা দেবীর। বয়েস হলে ওইরকম অনেকে লেখে। নইলে 'আমি মহানন্দে ছাদনা তলায় গিয়াছিলাম' লিখলে আর প্রেস্টিজ থাকত না।

    খাওয়াতেন তো! 'আমাদের কথা' পড়েননি? শ্রীমতী রায় কি কি খাওয়াতেন, অলমোস্ট 'রয় হাউজহোল্ড' র রোজকার মেনুর লিস্ট থাকত। ঃ-))
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:০৮377590
  • সরলার ব্যাপার এত সরল নয়। কারণ বিয়ের পরেই তাঁর সম্পূর্ণ হারিয়ে যাওয়া। আগে যে মেয়েটি একেবারে নানারকম কাজে প্রচন্ড সক্রিয়, সে একেবারে এসব থেকে মুছে গেলই প্রায় বলা যায়। আর কোনো অ্যাকটিভিটির কথা কিছু শোনা যায় না।
    আর একটা কথা চুপি চুপি আপনাকে বলি, "জীবনের ঝরাপাতা" পড়ে আমার ধারণা হয়েছে সরলার মা ভদ্রমহিলাটি একেবারে "দহন" সিনেমার রমিতার মা টাইপ। ঃ-) ঠোঁট চারফলা করে বলছেন, "কে বলে, তোর শাশুড়ী বলে বুঝি? আমি নামকেনার জন্য এইসব করি? তা তোমার দিদি যেসব জিনিস এনেছে, সেসব বুঝেশুনে নিও, তারজন্য যদি আবার কথা শুনতে হয় ---"
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:১০377591
  • "আমাদের কথা" পড়িনি। তাতে বুঝি অনেক ভালো ভালো খাওয়ানোর ব্যাপার আছে? ঃ-) তাহলে দেখছি যোগাড় করে পড়তে হবে।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.51 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:২৬377592
  • সরলার ব্যাপার একেবারেই যেমন সরল নয় তেমনি সরলা জননী স্বর্ণকুমারীও সহজিয়া নন কোনোভাবেই। দেবেন ঠাকুরের আর কোনো কন্যের কথা জানতে পারেন! প্রতিভাবান এতগুলো দাদা, ছোট ভাইটিকে টেক্কা দেবার এলেম রাখতেন। সে যুগে এক মহিলা, চুল বাঁধলেও রাঁধতেন না, তেতলার ঘরে সারাদিন পড়াশোনা করতেন, লিখতেন। খুব সহজ ব্যাপার নয় মশাই। মেয়েদের মধ্যে প্রথম বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লেখেন যার জন্যে বাংলায় সায়েন্স ডিকশনারী পর্যন্ত লিখেছিলেন। তার অ্যাম্বিশন দেখে রবি ঠাকুরও তাকে না দাবাতে পেরে লিখেছিলেন 'She is one of those unfortunate beings who has more ambition than abilities'

    ছেলে, মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি নিয়ে ইন্টারেস্ট নেবেন স্বর্ণকুমারী?? তার ইন্টেলেকচুয়াল ইগোয় হার্ট করবে না? ঃ-))

    তবে স্বর্ণকুমারীর এক বেয়ান কোচবিহারের মহারাণী সুনীতি (কেশব সেন কন্যা)। একমাত্র পুত্র জ্যোৎস্নানাথ কুচবিহারের রাজকন্যাকে বিয়ে করেন। কাজেই।।।অবশ্য বলা যায় না!

    ফেসবুকের একটা হেরিটেজ গ্রুপে দেখলাম সে বিয়েতে নাকি একশো রকম আইটেম হয়েছিল।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.51 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩৩377593
  • বিজয়া রায়ের 'আমাদের কথা' 'দেশ' এ বেরোত তো। আনন্দ'র বই। প্রথম দিকে মন্দ নয়, পুরোটা টানতে ধৈর্য লাগে। তপন রায়চৌধুরী বইটার রিভিউ করেছিলেন, সেটাও পড়ে নিতে পারেন। ঃ-))
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩৯377594
  • কাঠে কাঠে পড়েছে। চমৎকার। বেয়ানে বেয়ানে সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি। ঃ-)
    যেমন বাঘা তেঁতুল তেমনি বুনো ওল। ঃ-)
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৫০377595
  • সহজ ব্যাপার তো নয়ই। কিন্তু স্বর্ণকুমারীর ওই বিশাল অর্থপ্রতিপতিপত্তিশালী বাপের বাড়িটি ব্যাকগ্রাউন্ড সাপোর্ট দিতে না থাকলে কী হত সেটা একটা প্রশ্ন। জামাইগুলোকে পর্যন্ত ঘরজামাই করে রাখতেন দেবেন্দ্র বাবু ! ছেলেপুলেগুলো জন্মানোমাত্র পরিচারিকা পরিচারকদের জিম্মায়। একেবারে মোগলাই কায়দা, কত বয়স পর্যন্ত কোন পরিচারকের হাতে থাকবে, তারপর কার হাতে যাবে সব একেবারে হিসেব করা প্ল্যান বাঁধা। বাপরে, অবন ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক একটা লেখায় পড়ছিলাম সেসব। একেবারে রাজরাজড়াদের মতন ব্যাপার। ঃ-)
    স্বর্ণকুমারীর কোনো লেখা কি কালের হাতে টিঁকেছে? আদৌ শোনা যায় ওঁর কোনো লেখার কথা? সে গপ্পো, প্রবন্ধ যাই হোক না কেন।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.51 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৫৬377596
  • 'বিয়ের পরেই তাঁর সম্পূর্ণ হারিয়ে যাওয়া।' সরলা দেবীর পঞ্জাব বাস পর্বটা একদম জানা যায়না। আর জানার সোর্সই বা কি আছে! সমাজসেবী মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায় একবার (খুব সম্ভবত যাদবপুরের উইম্যান্স স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে) একটা পেপার পড়েছিলেন কিছু বিখ্যাত লেখিকাদের আত্মজীবনী বিষয়ে। সেখানে লীলা মজুমদারের 'পাকদণ্ডী' নিয়েও আলোচনা ছিল। মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল এই সব লেখিকারা তাদের বিবাহিত জীবনের কথা গুছিয়ে লেখেননি বা লিখতে চাননি। লীলা মজুমদারও যেটুকু লিখেছিলেন তা কৃত্রিম ভাবে।

    আমি সেই সেমিনারে ছিলাম না অবিশ্যি তবে পেপারে ওই সেমিনারের একটা রিভিউ বেরিয়েছিল।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.51 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:০২377597
  • মূল বক্তব্য ছিল যারা তাদের ফিকশনে এত মেয়ের, এত পরিবারের কথা লিখলেন, তারা নিজেদের জীবনের কথা কতটা অকপটে লিখতে পেরেছিলেন।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:০৫377598
  • এটা বোঝা খুব কঠিন। এটা বলাও কঠিন। এটা বুঝতে গেলে তাঁর তাঁর জায়্গায় দাঁড়িয়ে ছাড়া বোঝা যাবে না। একজন স্বদেশব্রতী কাজে জড়িয়ে থাকা ভীষণ অ্যাকটিভ মেয়ে, হঠাৎ তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়ে অন্যবাড়ীতে অন্য পরিবেশে অন্য সাজপোশাকে অন্য জীবনে চলে যাওয়া- এটা বোঝা বাইরে থেকে সম্ভবই না। তার উপর "শ্বশুরবাড়ী", সোজা কথা তো নয়! আর মহান ভারত! হুঁ হুঁ বাবা, সেখানে মহিলাদের যা "পরম সম্মান", সে তো এই একশো দেড়শো বছর পরেও হাড়ে হাড়ে বোঝা যাচ্ছে। সে কথা আত্মজীবনীতে লিখতে পারা ? তাঁর নিজের মাথাই তো তাঁকে লিখতে দেবে না!

    অমন যে অমন "ন হন্যতে", সেখানেও অমৃতা নিজের বিবাহিত জীবনের কথা দায়সারা করে লেখেন।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:১৭377600
  • এ আলোচনা রামমোহন থেকে একতা কাপুরে গিয়ে পড়েছে প্রায়। ঃ-)
    তবে তাতে কী? সকলেই কেষ্টর জীব, অত তফাৎ করে কী হবে? ঃ-)
    ভালো কথা, রামমোহনের শ্বশুরশাশুড়ী কারা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন