এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • 'সেই বৃন্দাবনের লীলা অভিরাম' - আজ দিলীপকুমার রায়ের জন্মদিন

    অর্জুন অভিষেক
    অন্যান্য | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ | ৭৭২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন অভিষেক | 671212.72.123412.77 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫০380368
  • আজ থেকেই সাজসাজ রব পড়ে যাবে, রাত পোহালেই নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। রাস্তায়, পার্কে, সদনে, ভবন উৎসবে মুখরিত হবে। কিন্তু এর একদিন আগেই আজ দিলীপকুমার রায়ের জন্মদিন। দুজনের জন্মসাল ও এক ১৮৯৭। সুভাষচন্দ্রে্র সহপাঠী ও সুহৃদ। সেটাই অবশ্য একমাত্র পরিচয় নয় তাঁর। ডি এল রায়ের একমাত্র পুত্র। সেটাও তার পরিচয় নয়।

    সংগীতজ্ঞ (হিন্দুস্তানি ধ্রুপদী ও পাশ্চাত্য সঙ্গীত দুটোতেই সমান বিচরণ), সুরকার, গায়ক, কবি, লেখক ,দুই দশকের ওপর পণ্ডিচেরীতে কাটিয়েছেন অধ্যাত্ম জীবন, গণিতের কৃতী ছাত্র (প্রেসিডেন্সি ও কেমব্রিজে), অশোক মিত্র লিখেছিলেন তাঁর এতই প্রকাণ্ড প্রতিভা যে তিনি কোন বৃত্তিতে মনোনিবেশ করবেন ভেবে পাননি, 'অজাতশত্রু' সকলের প্রিয় 'মন্টু' বা ''মন্টুদা' পরে 'দাদাজী'।

    তাঁর সম্পর্কে চলুক নয় এখানে আলোচনা।
  • ন্যাড়া | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫৮380407
  • এই ভদ্রলোককে নিয়ে আমার ঠাকুমা থেকে বাবাদের প্রজন্ম যে কেন অমন নালে-ঝোলে হতেন, আজ অব্দি বুঝে উঠতে পারলাম না। এথেটিক্সের মানদন্ড পাল্টেছে, তা বুঝি, কিন্তু সে ধরলেও নালে-ঝোলেত্ব বোঝা যায়না।
  • অর্জুন অভিষেক | 671212.72.123412.77 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:০৬380418
  • প্রতিভা বসু 'জীবনের জলছবি' তে লিখেছিলেন বিশ, ত্রিশে যে তিনজন যুবা বাংলা কাঁপিয়েছিলেন এবং ছিলেন সকলের নয়নের মণি তারা হলেন সুভাষচন্দ্র বসু, দিলীপকুমার রায় ও কাজী নজরুল ইসলাম।

    এদের সমবয়সী নীরদ চৌধুরী সুভাষচন্দ্র ও দিলীপ রায়কে তুলনা করেছেন 'তুফান মেল' র সঙ্গে আর নিজেকে 'ব্যান্ডেল লোকাল'।

    @ন্যারা, অজস্র কারণ ছিল। আমার ঠাকুমারও আজীবন মুগ্ধতা এই মানুষটিকে নিয়ে।
  • b | 562312.20.2389.164 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৩২380429
  • ১। সুন্দর দেখতে।
    ২। বড়লোকের ছেলে ও ভাগ্নে।
    ৩। ফাটিয়ে গান করেন, যদিও ন্যাড়াবাবু দ্বিমত।
    ৪। বিয়ে করেন নি।

    এর পরেও যদি বলেন মহিলারা পটবেন না, তবে আমি লাচার।

    সে যাই হোক। প্রতিভা বসু, ঐ আত্মজীবনীটি পড়লেই বুঝবেন, অনেক পুরুষকেই নাকের জলে চোখের জলে করেছেন (শেষে বু ব নামক বাজে হ্যাজটিকে কেন বিয়ে করতে গেলেন সে এক মহারহস্য)।তা দিলীপকুমার ওদের বাড়িতে ঘন ঘন যান, নজরুল একটু কম। গান শেখাতে।
    ঢাকার পাড়ার ছেলেরা ঠিক করল এসব বিদেশী বহিরাগতদের (মানে আজকের আসাম পলিটিক্স আর কি) সবক শেখাতে হবে। নজরুল আসছেন, সন্ধ্যের অন্ধকারে ঘিরে ধরে চড় চাপাটি, ঘাড়ধাক্কা ইত্যাদি। নজরুল নাকি করুণ স্বরে বলেছিলেন, ওরে, আমাকে মার্চ্ছিস কেন, আমি তো দিলীপ রায় নই।

    (গল্পটা কোথায় পড়েছিলাম মনে নেই। গুরুতেই বোধ হয়। টুক করে রিসাইকল করে দিলাম)
  • | 238912.66.1290012.155 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:১০380440
  • (শেষে বু ব নামক বাজে হ্যাজটিকে কেন বিয়ে করতে গেলেন সে এক মহারহস্য)

    বু ব কেন বাজে হ্যাজ, একটু আলোকিত যদি করেন স্যার। গ্যারান্টি, রেফার করব।

    যদিও একজনের বাড়িতে তিনজনের যাতায়াত ছিল মানে সেখানে যেন রানু সোমের স্বয়ম্বর চলছিল বলে মনে হল।

    এরম হয়? মাইরি, ভাবাতেও পারেন!!
  • | 238912.66.1290012.155 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:২১380451
  • তবে ডি এল রায়ের সঙ্গে রবি ঠাকুরের এত খারাখারী সত্ত্বেও কি করে দিলীপ রায় এত রবীন্দ্র ঘনিষ্ঠ হলেন সেটা জানি না। তবে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে বই আর বিস্তর কাজ আছে।
    মার্গ সঙ্গীতের কিছু বুঝি না, ফলে টুকটাক পড়েও পুরো বুঝতে পারিনি। তবে ওই রবীন্দ্র সংগীত কি করে গাওয়া উচিত এসব ব্যাপারে বেশ মগজমারি ছিল।

    একটা জিনিস জানার আছে। ধুর্যটি মুখো র সঙ্গে দিলীপ রায়ের কিরম সম্পর্ক ছিল? ওই সঙ্গীত নিয়ে? কেউ যদি বলেন।
  • অর্জুন অভিষেক | 561212.96.672312.138 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:২৬380462
  • @b

    ১। দিলীপকুমার রায়কে সুন্দর বললে খুব কম বলা হয়, কন্দর্প ছিলেন। তার সম্পর্কে যারা লিখেছেন তারা 'অনিন্দ্যকান্তি' শব্দটা ব্যবহার করেছেন।

    ২। কৃষ্ণনগরের দেওয়ান কার্তিকেয়চন্দ্র রায়ের পৌত্র ও প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথ ডাঃ প্রতাপচন্দ্র মজুমদারের দৌহিত্র পারিবারিক সূত্রে ধনী হবেন এতে অবাক হবার কিছু নেই। বাবা দ্বিজেন্দ্রলালও উচ্চপদস্থ সরকারী চাকুরে ছিলেন। কিন্তু দিলীপকুমার ছ বছরে মা আর ষোল বছরে বাবাকে হারান। তারপর মামাবাড়ি। কেমব্রিজে ট্রাইপোজ ইউরোপে পাশ্চাত্য সংগীতচর্চা করে দেশে ফিরতে না ফিরতেই পণ্ডিচেরী আশ্রমে চলে যান এবং ওই আশ্রমে তার সমস্ত সম্পত্তি দান করেন মায় গান গেয়ে যে টাকা পেতেন তাও। তাই ২২-২৪ বছর বাদে ঐ আশ্রম থেকে বেরিয়ে আসার পরে একেবারে কদর্পক শূন্য হয়েছিলেন। বাঙালীদের দেখতে সুন্দর আর বড়লোক হলেই এত গাল ফোলে কেন জানিনা।

    ৩। দিলীপকুমারের গানের তারিফ করেছেন দেশের সব শ্রেষ্ঠ সংগীতকার ও বিশারদেরা যথা উস্তাদ ফৈয়াজ খাঁ, কেশরবাঈ কেরকর, ভাতখণ্ডের মত মানুষজন কাজেই। সুধীর চক্রবর্তীর মত সংগীত সমঝদার অ গবেষকও মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

    ৪। এমন ব্যক্তির প্রেমে তখনকার সব সুন্দরী ও প্রতিভাময়ীরা মজে থাকবেন এটা আর আশ্চর্য কি!
  • অর্জুন অভিষেক | 561212.96.672312.138 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৪১380473
  • বু ব ও রানু সোম দুজন কেই আলাদা ভাবেই দিলীপকুমার চিনতেন তাদের বিবাহের অনেক আগে থেকে। দুজনের স্মৃতিচারণেই সেটা লেখা আছে। সম্ভবত রানু সোমের সঙ্গে বুদ্ধদেবের যোগাযোগ তিনিই করিয়ে দেন। 'ঢাকায় থাক, অথচ ঢাকার সবচেয়ে ট্যালেন্টেড ছেলেটিকে চেন না?' এটা ত দিলীপকুমারই বলেছিলেন রানুকে ? নাকি সত্যেন বসু? যাইহোক, রানু সোমের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যোগাযোগ ঘটিয়েছিলেন দিলীপকুমার আবার বুদ্ধদেবের 'বন্দির বন্দনা' র প্রথম তিনজন পাঠকের একজনও তিনি।

    দিলীপকুমারের মত ইম্রেস্যারিও আর ছিল না। বুদ্ধদেবের 'আমার যৌবন' থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি

    'দিলীপকুমার পণ্ডিচেরিবাসী সন্ন্যাসী কিন্তু পত্রযোগে বিশ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত; তাঁর গুণী জ্ঞানী মনীষীর মধ্যে প্রায় কেউ নেই তাঁর অচেনা- সকলেই তাঁর প্রিয় এবং তিনিও সকলের। তাঁর উদারচরিতের আর- একটি লক্ষণ এই যে একের সঙ্গে অন্যের যোজনসাধনে তিনি তৎপর; কলকাতায় শিশির ভাদুড়ীর সঙ্গে তাঁরই সূত্রে আমি পরিচিত হয়েছিলাম'

    তবে কবিতার ছন্দ নিয়ে নিয়ে দুজনের সম্পর্ক নষ্ট হয়। দিলীপকুমারের কবিতা বুদ্ধদেবের মন ছুঁতনা কিন্তু সেটা স্পষ্ট করে বলার সাহস ছিল না। পাছে তিনি মর্মাহত হন। এটা নীরেন রায়কে কথা প্রসঙ্গে বেফাঁস বলে ফেলেন। দিলীপকুমারের কানে উঠতে সময় লাগেনা। ব্যস ওখানেই খতম।

    'রাত ভোরে বৃষ্টি' যখন অশ্লীলতার দায়ে আদালতে যায় তখন দিলীপকুমারই উকিল খাঁড়া করে বু ব কে তা থেকে মুক্ত করেছিলেন।
  • ন্যাড়া | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৫৬380484
  • ধুর্জুটিবাবুর সঙ্গে মন্টুবাবুর তো ৫-এ ৪-৪.৫ সম্পর্ক ছিল। দুজনেই বোধহয় মারিসে গানও শিখেছিলেন।

    রবিবাবুর সঙ্গে স্নেহের মন্টুর কেসটা ভিন্ন। রবিবাবু প্রচুর চিঠি লিখলেও মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়েছেন। আমার ধারণা চিঠি লেখাও সঙ্গীতচিন্তার বিষয়গুলো গুছিয়ে নেবার জন্যে। ;) আরও মনে হয় স্নেহের মন্টুর কণ্ঠবাদনের প্রতি রবিবাবুর যত ভরসা ছিল মিউজিকাল এসথেটিক্সের প্রতি তত নয়। ৫-এ বড়জোর ১.৫/২ হবে।
  • জবরখাকি | 342323.226.8989.246 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:০১380369
  • আর এই গুরুচণ্ডা৯তে রোজ দুবেলা সবাই কবিদের দুর্ছাই করে। আজ যদি থাকতেন দিলীপ কুমার রায়। হায় সেই স্পর্শকাতরতা,সেই অভিমান, স্বরচিত কবিতার প্রতি সেই তেজালো মমতা কিছুই আর নেই।
  • অর্জুন অভিষেক | 561212.96.672312.138 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:০৬380380
  • রবি ঠাকুর ও দিলীপকুমারের সম্পর্কটা ইন্টারেস্টিং ছিল। অকালে বাপ-মা হারা মন্টুকে রবীন্দ্রনাথ স্নেহই করতেন, খোঁজখবর নিতেন। মন্টুও রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখতেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে অত্যন্ত কূট ও গভীর সব প্রশ্ন করে রীতিমত নাস্তানাবুদ করে ছাড়তেন। রবীন্দ্রনাথ চিঠির উত্তর না দিয়েও রেহাই পেতেন না। আরেকটি চিঠি এসে হাজির হত। দিলীপকুমার যখন আসমুদ্র-হিমাচলের পর্যটক, সেই সময়ে ঠিক সময়ে চিঠি হয়ত দেওয়া হত না। রবি বাবু জনান্তিকে জানাতেন ' মন্টু আমায় এখন যে চিঠি দেয়না তাতে আমি স্বস্তিতে আছি। ' ঃ-) ঃ-)
  • | 238912.66.1290012.155 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:১২380391
  • সম্ভবত নজরুল প্রহৃত হওয়ার ঘটনাটা 'আমার যৌবন' এ ছিল। সবাইকে ধন্যবাদ। তবে ন্যাড়া, ধু মু এর সঙ্গে দিলীপবাবুর সম্পর্ক নিয়ে আরো কিছু তথ্য পেলে ভাল হয়।

    ধু. মু. র সঙ্গেও রবি ঠাকুরের বেশ তর্ক ও মতান্তর ছিল। কিন্তু একটা গান আছে গীতবিতানেই বোধহয়, মোরা সদাই মরি ধুর্যটি দাদার ভয়ে। সঠিক বললাম কিনা জানি না।
    ওই ১ বা ১.৫ টা কি সত্য? দিলীপের তো বেশ কিছু পয়েন্ট রবি ঠাকুর কগনিজেন্সে নিয়েছিলেন মনে হয়। কোনো একটা বই রবীন্দ্র সঙ্গীত বিষয়ক দেখেছিলাম। দুজনের আলোচনা ছিল।
  • | 238912.66.1290012.155 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:১৪380400
  • বু ব কে কাঠ গড়ায় তুলেছিলেন সায়ীদ আয়ুব। প্রবল মতান্তর। বাদানুবাদ।
    বু ব র দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। তরুণ প্রজন্ম তো বু ব র দিকেই ছিল।
  • অর্জুন অভিষেক | 561212.96.672312.138 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:২২380401
  • অশোক মিত্রের চরিত্রাবলী' র একটা অংশ

    ' দিলীপকুমারের সঙ্গে আমার একবারই সাক্ষাতের সুযোগ ঘটেছিল। ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মৃত্যুশয্যায় শায়িত। দ্বিজেন মৈত্র মশাইর বাড়ির তেতলায় হঠাৎ ঝড়ের মত দিলীপকুমারের প্রবেশ, ঘোর রক্তবর্ণ নামাবলী- কণ্টকিত গাত্রাভরণ' ------ 'অথচ অস্বীকার করতে পারিনা তাঁর কথায়- আলাপে- আকৃতিতে ধূর্জটিপ্রসাদের প্রতি তাঁর ভালবাসা- অনুরাগ চুইয়ে পড়ছিল, সেই ধূর্জটিপ্রসাদ যার সঙ্গে সংগীত, অধ্যাত্মবিশ্বাস তথা জীবনদর্শন নিয়ে আজীবন তর্ক করে গেছেন।'
  • অর্জুন অভিষেক | 561212.96.672312.138 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:২৭380402
  • দিলীপকুমারের বন্ধু ভাগ্য ঈর্ষনীয়। রোমা রলা, হার্মন হীস এবং মরিস ডব।

    সায়ীদ আয়ুব বলতে আবু সৈয়দ আইয়ুব ?
  • ন্যাড়া | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:২৮380403
  • নজরুলের "আমি দিলীপ নয়" কার লেখায় পড়েছ এখন মনে পড়ছে না। ভবতোষ দত্ত কী? অশোক মিত্রও হতে পারে। দুজনেরই খচরামি করার প্রভূত ক্ষমতা ছিল।
  • অর্জুন অভিষেক | 561212.96.672312.138 | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:৩০380404
  • নজরুলের ঢাকায় মার খাবার ঘটনাটা অনেকের স্মৃতিকথায় আছে। ওটা ওভাররেটেড স্টোরি।
  • | 238912.66.1290012.155 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০৭380405
  • হ্যাঁ আবু সাইদ আয়ুব
    চতুরঙ্গ সম্পাদক
    ওই 'রবীন্দ্রনাথ ও আধুনিকতা' ইত্যাদি
  • অর্জুন অভিষেক | 561212.96.672312.138 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০০380406
  • @ খ, আপনি কোথাও বোধহয় ভুল করছেন। 'চতুরঙ্গ' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন হুমায়ুন কবীর যিনি পরে কেন্দ্রে শিক্ষা মন্ত্রী হয়েছিলেন।

    আবু সৈয়দ আইয়ুব ছিলেন 'পরিচয়' পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত।

    দুজনেই বুদ্ধদেব বসুর বিশেষ বন্ধু স্থানীয় ছিলেন এবং এদের দুজনের সঙ্গে বু ব'র সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল বলে জানা যায়না!

    যাদবপুরে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ গড়তে বুদ্ধদেবকে সাহায্য করেছিলেন হুমায়ুন কবীর, তিনি তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও 'কবিতা' পত্রিকার সঙ্গে বিশেষ ভাবে যুক্ত।

    যে ঘটনাটা শুনেছি তা হল, ১৯৪০ সালে হীরেন মুখোপাধ্যায় ও আবু সৈয়দ আইয়ুব যুগ্মভাবে 'আধুনিক বাংলা কাব্য সংকলন' সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন। বইটি বিখ্যাত।

    এর দ্বিতীয় সংস্করণ যখন বছর পনেরো বাদে পুনঃপ্রকাশ হয় তখন তার সম্পাদনার ভার পড়ে বুদ্ধদেবের উপর। কিন্তু তাতে তিনি হীরেন বাবু ও আইয়ুব সাহেবের ভূমিকাটি সন্তর্পণে বাদ দেন। কিন্তু এই নিয়ে তাদের দুজনের সঙ্গে বুদ্ধদেবের প্রকাশ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল বলে কোথাও পড়িনি।
  • অর্জুন অভিষেক | 561212.96.672312.138 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০১380408
  • @এলেবেলে অনলাইন থাকলে এ বিষয়ে আলোকপাত করতে পারেন।
  • b | 4512.139.6790012.6 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:২৮380409
  • @ অর্জুন অভিষেক, Date:22 Jan 2019 -- 10:26 PM

    আপনার সব তথ্য সঠিক।

    @খ
    বু ব বাংলা গদ্য অসম্ভব ভালো লিখতেন। কবিতা সমালোচনা হেনা তেনা। কিন্তু ওর মধ্যে নতুন করে ভাববার কিছু পাই নি।এক জীবনানন্দের প্রথমদিকে জীবনানন্দ যদি ডারউইন, বু ব তবে হাক্সলে। আবার পরের দিকে কেন জীবনানন্দের কবিতায় সমকালীন সমাজ আসছে এসব নিয়ে বহু হা হুতাশ করেছেন। ওনার নিজের কবিতা একদমই ভালো লাগে না। মানে মাইনাস ২৭৩। বন্দীর বন্দনা সেরেফ ইয়ে লেগেছিলো এবং লাগে।

    আচ্চা, কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি। বু ব ভালো হ্যাজ।
    (এখানে যদি কম্প-লিট নিয় কথা বলেন, আমি নাচার। আমার ভালো আইডিয়া নেই)
  • PT | 340123.110.234523.10 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:১৭380410
  • b | 562312.20.2389.164 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:২৪380411
  • eTaa?
  • b | 562312.20.2389.164 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:২৮380412
  • সংস্কৃতে অ্যালার্জী না থাকলে
  • ন্যাড়া | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৪০380413
  • এই "রত্নধান্য পুষ্পিতা" গানটি আমি বাল্যে গোবিন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়ের ছাত্রের সূত্রে শিখিয়াছিলাম, মনে পড়িল।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৫৮380414
  • দিলীপবাবু খুবই গুণী মানুষ, সংগীতবোধ প্রশ্নাতীত - তবে নিজে বেশি গান না গেয়ে ভালই করেছেন।
  • San | 015612.242.7889.65 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১৭380415
  • বি কে ধন্যবাদ
    -রত্নধান্যপুষ্পিতা আমাদের ইশকুলে শেখানো হত , নস্টালজিয়া !

    দিলীপকুমার রায়ের গায়কী, কন্ঠ দুইই আমার বেশ ভাল লাগে।

    খ মনে হয় এই গানটার কথা বলছেন -

    আমরা না-গান-গাওয়ার দল রে, আমরা না-গলা-সাধার।
    মোদের ভৈঁরোরাগে প্রভাতরবি রাগে মুখ-আঁধার॥
    আমাদের এই অমিল-কণ্ঠ-সমবায়ের চোটে
    পাড়ার কুকুর সমস্বরে, ও ভাই, ভয়ে ফুক্‌রে ওঠে--
    আমরা কেবল ভয়ে মরি ধূর্জটিদাদার॥
  • San | 015612.242.7889.65 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১৮380416
  • *গীতবিতানেই আছে
  • কল্লোল | 342323.191.34.220 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:২৪380417
  • দিলীপকুমার সঙ্গীতবিষয়ে খুবই পন্ডিত ছিলেন, কিন্তু সঙ্গীতবোধ নিয়ে প্রশ্ন আছে।
    ধনধান্য শুনে প্রশ্নটা আরও বড় হলো। দ্বিজেন্দ্রলাল মশয় বিলিতি সুরের ধাঁচে ফেলে স্বদেশী গান রচনা করেছিলেন। ঠিকই করেছিলেন। জাতীয়তাবাদের জোশ ঐ মার্চিং তালে গাওয়া টানাটানা বিলিতি সুরেই ঠিকঠাক ফুটেছিলো। তাতে অমন গিটকিরি গমক দিলে চমক হয় বটে, কিন্তু গানটির নিমতলা যাত্রা ঠেকানো যায় না। মুস্কিল হলো আক্ষরিক অর্থে বাপের সম্পত্তি হলে কিছু বলাও যায় না।
    একবার মানসকর্ণে ভাবুন দিলীপকুমার দুর্গম গিরি বা উর্দ্ধ গগনে গাইছেন। রাতে একা ঘুমুতে পারবেন না।
    আবারও প্রত্যয় হলো রবীন্দ্রনাথ সঙ্গীত বোদ্ধা ছিলেন, পন্ডিত ছিলেন কি ছিলেন না সে প্রশ্ন অবান্তর।
  • ন্যাড়া | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৩৯380419
  • কল্লোলদার মতে ৫-এ ৪.৫।

    রবীন্দ্রনাথ, গানের ক্ষেত্রে অন্তত, বিশ্বাস করতেন ব্রেভিটি ইজ দা সোল অফ আর্ট। মন্টুবাবুর চিন্তা তার বিপ্রতীপে। উনি মনে করতেন যত খেলাবে তত রস। যেন মালদার আমসত্ব। গলাটি তুখোড় বশে ছিল বলে খেলাতেও পারতেন। ফলে জিমন্যাস্টিক হত, আর্ট আর হতনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন