এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ট্রেকিং-এর গল্প

    RATssss
    অন্যান্য | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ | ৯০৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ ০৬:২০393393
  • পায়ের তলায় সর্ষের থেকে একটু আলাদা, এখানে ছোট বড় সব ট্রেকিং-এর গল্প, পায়ে হেঁটে বেড়ানো, গাড়ি না চলা রাস্তায় চলতে থাকার অভিজ্ঞতা

    এ রাস্তার বড় মজা হল এমন কিছু দেখতে পাওয়া যা সাধারন গাড়ি চড়ে বেড়াতে গেলে সামনে আসে না, এ এক কষ্টার্জিত আনন্দ ... অজানারে জানা - অচেনারে চেনা ... হঠাৎ হথাৎ নিজেকে মনে হয় আবিস্কারক। এ এক অন্য রকম ভালো লাগা - যাঁরা ট্রেকিং-এ গেছেন তাঁরা বারবার যেতে চান, যাঁরা কখনো যাননি - তারা ভাবেন, এতে আর কি আনন্দ? সুস্থ শরীরকে কষ্ট দেওয়া খালি।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ ০৬:২৮393486
  • ডিসক্লেমার : বানান ঠিক রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করব, তবে ভুল বানানের জন্য সুপুরি এই টই তে দেবেন না, ভাটের পাতায় দেবেন প্লিজ :-)
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:০০393497
  • দু পয়সা - http://tinyurl.com/2fvyms
  • RATssss | 24.24.228.247 | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ ১৬:০৯393508
  • প্রথম যাত্রা -- মাঠা ও অযোধ্যা পাহাড়

    তখন সবে পার্ট টু-র রেজাল্ট বেড়িয়েছে, মনটা ফুরফুরে। হাতে প্রথম টিউশন পড়ানোর ৩মাসের মাইনেও জমেছে। বাড়িতে বললাম বন্ধুরা মিলে যাবো অযোধ্যা পাহাড়। কেউই রাজি হল না কারন ফিরেই ৩-৪ দিন পরে যাবার কথা মুম্বাই - কোঙ্কন রেলের ইন্টারভিউ দিতে। চাকরির বাজারে রেলের চাকরি কেউ এত হেলাফেলা করে নেয় নাকি! তার উপরে written পাশ করে ফেলেছে, চাকরী একপ্রকার কড়া নাড়ছে জীবনের গোড়দোড়ায়! গরম রক্ত তখন, বিভিন্ন প্রকার গম্ভীর মুখের লোকজন কে পেছনে ফেলে ৬ বন্ধুর দল রওনা হলেম অযোধ্যা পাহাড়। সম্বল একটা ছোট্ট পিঠে নেবার ব্যাগ। মামার কাছ থেকে ধার করে আনা হট-শট ক্যামেরা। বাজেট শুনলে অনেকে ভিমরি খেতে পারেন বলে সেটা চেপে যাওয়া হল। বিড়ি ও পানামা সিগারেটের অভাব নেই বটে।
    মোকামা প্যাসেঞ্জারে রাত্রিবেলা রওনা হলেম হাওড়া থেকে। ট্যুর কমিটির সে রাতের খাবার দেবার সম্ভাবনা নেই - যে যার বাড়ি থেকে যা খেয়ে এসেছে তাই। ঘ্যাটুং ঘুটুং - ধুর ধার করে ট্রেন পৌছালো পুরুলিয়া। ৬ টি অভাগা পথহারা আধো ঘুমে খোঁজে বাসস্ট্যান্ড। কিছুই পাওয়া যায় না, ট্রেকারে যাবার সামর্থ নেই। অনেক পরে একটা কি বাস মতন পাওয়া গেল যেটা মাঠা পর্যন্ত যাবে, সেখান থেকে অযোধ্যা পাহাড় নাকি দেখা যায়। চালাও পানসি...
    চড়ে বসলুম। কতক্ষন লেগেছিল মনে নেই। তবে নামার পরে একে অপরের পিঠে লাথি মেরে ব্যাথা কমাতে হয়েছিল।
    পৌছে তো গেলুম মাঠা, কিন্তু এ তো গণ্ডগ্রাম। নো হোটেল, নো থাকার জায়গা। রাত কাটবে কোথায়? উত্তাল গালিগালাজের ঝরনা বয়ে যায়। এলাকার গরিব গ্রামবাসীরা যেন আমাদের প্রতিক্ষাতেই রয়েছিলেন। একের পর এক অপশান আসতে থাকল। পছন্দ করা হল একটি পাকা বাড়ি, সিমেন্টের মেঝে, তার উপরে খড়ের বিছানা। সঙ্গে ভাত ডাল তরকারি ফ্রি। খুব ভুল না করলে পার হেড ১০ টাকা ভাড়া মাত্র।
    ব্যাগ পত্র রেখে দুর-দার করে স্নানানো হল কুয়োর জলে। মাথা মুছে ফিরতেই গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত ডাল আলুভাজা আর কি একটা যেন তরকারি, জীবন ধন্য হয়ে গেল। দশের জায়গায় ১২ নিলেও সমস্যা ছিল না।
    তরতাজা জনতা ফুলেল তেল লাগিয়ে চললে মাঠা পাহাড় দর্শনে।
    বুনো হাতির তাণ্ডবের জন্য বিখ্যাত মাঠা, মাঝে মাঝেই নাকি ঘর বাড়ি ভেঙ্গে দেয় ঐরাবতের দল। তরুন প্রানে একটু যেন ভয়ের ডাক। জঙ্গলের রাস্তা ধরে পাহাড়ি সরু পথে হেঁটে চলেছি নি:শব্দে। মাঝে মাঝে পাখির ডাক আর শুখনো পাতা মাড়ানোর শব্দ। মাঝে মধ্যে উল্টো দিক থেকে শুখনো ডাল পালার বোঝা মাথায় গ্রামবাসী মহিলা। হাঁটু অবধি তোলা কাপড়। অচেনা লোককে হঠাৎ দেখে কেমন যেন ব্যোমকে যাওয়া মুখ। আমার চোখে ছবি আঁকার নেশা - কিন্তু ছবি তোলার সাহস নেই। প্রায় দুঘন্টা চলে পৌছলাম মাঠা পাহাড়ের মাথায়,
    পশ্চিমে ঢলে পরেছে সূর্য, দুচোখে যতটা পারি ধরে রাখার চেষ্টা। হটশট ক্যামেরায় কি আসবে কে জানে! কি যে ছিল পাহাড়টার নাম? ময়ুরপুচ্ছ কি? মনে নেই এখন। তবে সামনে ছিল একের পর এক পাহাড়ের সারি, সূর্যের অস্তগামী আলোতে একএকটার একএকরকম রঙ, কেউ লাল, কেউ ধুসর। গোধুলির আলো গায়ে মেখে ফেরা শুরু... বনের পথে ফিরতে হবে যে অনেকটা। দ্রুত নামছি আমরা - অন্ধকার হবার আগে যতটা ফিরে আসা যায়। মাঝ পথে প্রবল শব্দ - খুব কাছ থেকে, ভেতরটা যেন শুকিয়ে গেল। কারো মুখে কোন কথা নেই দ্রুত পদচালনা একমাত্র সম্বল। আবার শব্দ - এটা যেন একটু দুরে। তাহলে হয়ত ওরা দুরে চলে যাচ্ছে। হঠাৎ সামনে পাহাড়ের একটা বাঁক, বেশ অনেকটা দুরে জলা মতন একটা জায়গা দেখা যাচ্ছে, সেখানেই ধুসর রঙের গাঢ় অন্ধকার, প্রায় ৮ -১০ জন তারা, বাঁশের পাতা খাচ্ছে নিজের মনে, থেমে গেছি সকলে কখন কে জানে, তাকিয়ে আছি - দেখছি জঙ্গলের সৌন্দর্য দুচোখ ভরে, হঠাৎ করে একটা আবার বজ্রনিনাদ করলে, সম্বিত ফিরল আমাদের। নিশ্বব্দে চলতে থাকলাম আবার। অন্ধকার গাঢ় হয়ে আসার মুখে দ্রুত পায়ে পৌছলাম ঝোরার গায়ে, ছোট্ট জলধারা বয়ে চলেছে। বড় বড় পাথর পরে রয়েছে তার পুরো যাত্রাপথে। সামান্য জলের কি ক্ষমতা ঐ পাথর গুলোকে নাড়ায়! তবু কেন ওগুলো মাঝপথে অমন করে পরে থাকে! উত্তর খুঁজতে খুঁজতে ফিরে এলুম আমাদের এক রাতের ঘরের দাওয়ায়। কিন্তু এই অচেনা লোকগুলো এতো উদ্বিগ্ন কেন? ওরাও যে জানত আমরা কটা বাচ্চা ছেলে পাহাড়ে গিয়েছি আর হাতি ডাক দিয়েছে কতক্ষন আগেই। এত আপন ভাবছে কি করে ওরা আমাদের? নিজের ছেলের মত চিন্তা করছিল, এখন কি শান্তি ওদের চোখে মুখে। মুখে চোখে একটু জল দিয়েই ঢুকে পরলাম খড়ের বিছানায় - দেরিতে ভাত ডাল খেয়েছি অনেক, রাতে আর কিছু নেই মেনুতে, রেস্তও নেই। টিমটিমে একটা বাল্ব জ্বলছে বটে, কিন্তু লো ভোল্টেজে দেখা দায়, এর মধ্যেই চলল কল ব্রিজ খানিকক্ষন - সঙ্গে ওল্ড মঙ্ক - একটা বোতলে জল সহযোগে, বরফ বা থামসআপ তখন বাতুলতা।
    পরের দিন ঘুম ভাঙল খুব সকালে, বাইরে তখনো অন্ধকার। প্রাতকৃত্য সারতে হবে সূর্য্য উঠবার আগে। সকাল ৬ টার মধ্যেই সেজে গুজে ব্যাগ পিঠে আমরা সবাই তৈরি। কিন্তু অযোধ্যা পাহাড়ের মোড় পর্যন্ত যাবো কি করে? বাস তো পাবার সম্ভাবনা নেই অত সকালে। রাস্তার উপরে তাই লরি দেখলেই লাফালাফি। ২-৩ বারের চেষ্টায় ধরা গেল একপিস। মালের জায়গায় আমরা ৬ জানোয়ার।
    ১৫-২০ মিনিটেই পৌছে দিলে - ৬ জনের ভাড়া নিয়েছিল, সম্ভবত ১০ টাকা.. মনে নেই।
    মোড়ের মাথায় ২-৪ টে দোকান.. তাদের জিজ্ঞাসা করে জানা গেল ঐ গলি ধরে একটু গেলেই পাহাড় শুরু। একটু বলে একটু, পাক্কা ১ ঘন্টা সমভুমিতে হেঁটে বোঝা গেল এবার ওঠা শুরু। একটা রাস্তা চলে গেছে পাহাড় বেয়ে, পীচের রাস্তা, তাতে গাড়ি চলে। কিন্তু তো আমরা ট্রেকিং করব, পীচ রাস্তায় কেন যাবো! কাকে জিগাই কাকে জিগাই করতে করতে সঙ্গী জুটে গেল। সে প্রায় পাহাড়ের মাথা অবধি যাবে কি একটা গ্রামে। হাতে তার লাঠি আর পায়ে হাওয়াই চটি। একটু এগিয়েই পীচ রাস্তা ছেড়ে পাহাড় বাওয়া শুরু। ছোট্ট ছোট্ট পাথর লাফিয়ে ওঠা, খানিক হাঁটা মোরাম বেছানো রাস্তায় - মানুষের চলার জন্য যেগুলো তৈরি হয়ে গেছে প্রকৃতির বুকে। দেখতে পেলাম কত ঝোরার জন্মমুখ, পাথরের বুক থেকে হঠাৎ করে তাদের উৎপত্তি, গ্রামের মেয়েরা কাপড় কাচে, স্নান করে, জল নিয়ে যায় খাবার।তাদের গায়ে অপুষ্টতা, মুখে হাসি, সঙ্গীর সঙ্গে চলে হালকা রসিকতা - আমরা শহুরে বাবু, আমাদের সঙ্গে কথা বলেনা তারা। কাজ করে চলে সবসময়, কাজের তালে অনাবৃত হয়ে পরে বুক অনেক সময়, দৃষ্টি সরে যায়, সঙ্গীকে জিজ্ঞাসা করে ছবিও তুলি তাদের দুর থেকে, দারিদ্রতা সঙ্গী হয়ে থাকে আমাদের।
    সঙ্গী নিয়ে যায় আমাদের পাগলা ঝোরা দেখাতে, ছোট্ট একটা ঝরনা, বর্ষায় নাকি অনেক বড় হয় , প্রথম শুনি হড়কা বানের গল্প, ভয় পাই - সরে আসি ঝোড়ার খাদ থেকে। খুব ইচ্ছে করে ঝোরার জল খেতে - পরিস্কার টলটলে জল, কিন্তু বারন করে সকলে, ও জল নাকি ভারী - খেলে পরে পেটে সইবে না। তৃষ্ণার্ত আমাদের সঙ্গী নিয়ে যায় গ্রামের মধ্যে, ২ টাকা দিয়ে সবার জন্য গরুর দুধ দিয়ে তৃষ্ণা নিবারন। আবার চলা শুরু - একটু হাঁটা একটু থামা, দুচোখ ভরে দেখা, কোথাও মাঠের মাঝে জল উঠছে, কোথাও বয়ে যাওয়া জল হারিয়ে যায় পাথরের ফাঁকে - বুঝিনা কত গভীর হবে ঐ পাথরটা, সারাদিন জল ধারন করে যে, নাকি ঐ জলটা আবার কোথায় নিয়ে পৌছে আবার কাউকে অবাক করে পাথরের থেকে বেড়িয়ে আসে - কে জানে।
    কতক্ষন লেগেছিল মনে নেই। বহুবার থেমে, প্রচুর গল্প করে, দুচোখ ভরে শরতের অযোধ্যা পাহাড় দেখে দুপুরের পরেই পৌছে গেছিলাম পাহাড়ের মাথায়। পৌছে আরো অবাক। পাহাড় শেষ, ওপরে ওঠার কোন ব্যাপার নেই, সামনে ধু ধু মাঠ। টেবিল-টপ মাউন্টেনের বিশেষত্ব, ওপরটা একদম চ্যাপ্টা। ভুগোলে পড়েছিলাম, মিলিয়ে দেখে মনটা ভরে গেল। সঙ্গী মাঠের মাঝে দেখিয়ে দিলো রাস্তা, তার গ্রাম যে অনেক আগে পেরিয়ে এসেছি আমরা, তাকে তাই ফিরতে হবে। বড্ড ভাল লেগেছিল মানুষটাকে, তার তো ঠিকানা নেই, চিঠি তাকে কখনো কেউ দেয় নি। ৫ টাকা দেওয়াতে কি খুশি হয়েছিল সে।
    ধীরে চলতে থাকলাম মাঠ ধরে, একটু পরেই আবার বিশ্বয়। এগুলো তো চেনা গাছ, আসাম,দার্জিলিংএ চাষ হয় অযোধ্যা পাহাড়ে চা চাষ হয় কে জানত আগে। অবাক হয়ে চা বাগান দেখলাম। কে জানে সে বাগানের চা কেমন
    খেতে হয়, সরকারী সে প্রচেষ্ঠা সফল হয়েছিল কি না তাও জানি নে। আরো প্রায় ঘন্টা খানেক মাঠের উপরে হেঁটে পৌছলাম গন্তব্যে।কিন্তু সেখানেও তো থাকার যায়গা নেই। অতএব দূর্গা মন্ডপ ভরসা। ক্লাবের ছেলেরা কিছু টাকার বিনিময়ে ক্লাবঘরও খুলে দিয়েছিল। বেশ তোশক বালিসের বন্দোবস্ত। এটা যে ক্লাবের একটা ভালো রোজগার বোঝা গেল। পাউরুটি জেলি ডিম দিয়ে ক্লান্ত শরীরের পথ্য হল ভালোই। এবার চলো সূর্যাস্ত দেখতে। হেঁটে পৌছতে হবে সেখানে, আবার তাই চলা শুরু। কি সে পাহাড়ের নাম মনে নেই, তার গায়ে অস্ত গেল সূর্য। ফিরে এলাম ক্লাবঘরে। রাতে আবার তাস, ওল্ড মঙ্ক আর পাউরুটি। ক্লান্ত শরীরে ঘুম নেমে আসতেও সময় বেশী নিল না।
    পরের দিন সকালে সূর্যদয় দেখতে যাবার কথা, কিন্তু ঘুম ভেঙ্গে দেখি ওমা বাইরে এত্ত আলো। সুজ্জি মামা আমাদের না ডেকে কখন থেকে উঠে বসে আছে। একে ওকে বিস্তর গালিগালাজের পরে সাব্যস্ত হল আসল দোষি - বুড়ো মুনি। তাকে বাপ বাপান্ত করতে করতে ফেরার রাস্তা ধরলাম সকাল ১০টার মধ্যেই পাইস হোটেলের ভাত মাছের ঝোল খেয়ে। নামার রাস্তা তো অনেক সোজা, হাজার বার থেমে, গরুর দুধ খাবার জন্য গ্রাম খুঁজে না পেয়ে, বেশ কয়েক বার পথ হারিয়ে বাস রাস্তায় পৌছে গেলুম বিকেলের অনেক আগেই। ঠিক সময় মতন প্রচুর মুরগী ছাগল মানুষ সহ একটা দরজা বন্ধ লজঝরে বাস এল। আমরা সেঁদিয়ে গেলুম ভেতরে। ঝাকর ঝোকর করতে করতে এক সময়ে পৌছেও গেলাম পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড। কিন্তু এ কী, আমার কানের পেছনে ফোস্কা মতন কি ওটা? মনে কেমন সন্দেহ জাগল। তবু সাহস করে বসে রইলাম। বন্ধুরা খুঁজে পেতে পেল একটা কলকাতা যাবার বাস। রাত করেই ছাড়ল কিন্তু ভোর হবার আগেই পৌছে গেলাম আমার শহরে। এবারে সূর্যদয় দেখা হল, কিন্তু এমন সূর্যতো নিশ্চই ওঠে না অযোধ্যা পাহাড়ে।
    সকাল সাতটার মধ্যেই পৌছলাম বাড়ি। সারা গায়ে জ্বর, মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে যন্ত্রনায়, বমি পাচ্ছে খালি। কেউ একটা ব্যাগ সহ আমাকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেল প্রায়। তখনো মনে জোর কিছুই হয়নি, আমি ঠিক যেতে পারবো মুম্বাই ইন্টারভিউ দিতে। কিন্তু দু-চোখ ভরে কান্না এলো জামা খোলার পরে, সারা গায়ে জল বসন্তের গুটি। আজও যেন সেই জামা খোলার পরের প্রথম গন্ধটা নাকে লেগে আছে।
  • Arijit | 128.240.229.66 | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ ১৭:০২393519
  • আহা অযোধ্যা আম্মো গেছি - কলেজের বন্ধুরা। পাহাড়ে শর্টকাট মরতে গিয়ে হারিয়ে গেসলুম।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ ১৭:০৬393530
  • প্রতিবার সুয্যোদয় দেখতে গেলেই এমন হয় আমার সাথে। আমাকে না জনিয়েই সুয্যো উঠে যায় আকাশে
  • Arijit | 128.240.229.66 | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ ১৭:১০393541
  • আমার আবার মেঘের সাথে শত্রুতা আছে কিনা...ভার্জিনিয়া বীচে দিব্যি ঘর পেলুম সমুদ্দুরের দিকে, অথচ মেঘ করে রইলো। সুর্যাস্তর ক্ষেত্রেও তাই। দুত্থু মেঘ।
  • arjo | 168.26.215.54 | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ ১৯:৪১393552
  • RATssss ভাল লাগল লেখা পড়ে। অরিজিত এর লেখাটিও সুন্দর। সুয্যোদয় ভালো করে দেখা হয় নি। কিন্তু ভাল সুর্যাস্ত দেখেছি ক্যালিফোর্নিয়ায় হান্টিঙ্গটন বিচ থেকে। RATssss আপনার বাড়ি থেকে খুব দুরে নয় যে কোনো বিকেলে গিন্নি কে নিয়ে pch দিয়ে চলতে থাকুন এই মাইল দশেক বা পনের হবে।
  • dd | 202.122.17.212 | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ ১৯:৫৪393563
  • অযোদ্ধা পাহাড় তো ? আমিও গেইসিলাম, যাবার সমায় ট্রাকিং আর ফিরবার সময় ট্রেকিং করে।
    চার বন্ধুর সাথে, সন ১৯৭৩।
    রাম ও খেইছিলাম। পোচুর।

    সেই রাম নেই, শুধু অযোদ্ধা রয়ে গ্যাছে।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০১:৫৯393394
  • ডিডিদার সঙ্গে আমার মাত্তর ২০ বছরের ফারাক :-)
    নতুন ট্রেকিং প্রেমীদের উৎসাহ দেবার জন্য পরের গল্প সান্দাকফু ও ফালুট - সাত দিনের মাঝারি ট্রেক -- আসিতেছে পরের সংখ্যায়

  • nyara | 67.88.241.3 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:০৪393405
  • সান্দকফু-ফালুট হোক। তোমার অযোধ্যা পাহাড়ের ট্রেককে আমি হাইকিং নাম দিলাম। রাতে ক্যাম্প না করলে ট্রেক বলব না।

    যদি কেউ নিউ জার্সি, পুব পেনসিলভেনিয়া, ডেলাওয়্যারের দিকে থাকেন তাহলে একবার স্প্রিং-এ ডেলাওয়্যার ওয়াটার গ্যাপে হাইক করে দেখতে পারেন। দিব্য।
  • dri | 129.46.154.111 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:০৯393416
  • গপ্পো চলুক। গপ্পের ফাঁকে প্যাকিং নিয়েও একটু আলোচনা করে নিতে পারেন ঝানু ট্রেকাররা। কি থাকে ঐ ওবেলিস্কের সাইজের ব্যাকপ্যাকে? র‌্যাটাস, রিজু, ছিটে ?
  • r | 59.162.191.115 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:১১393427
  • ইন্দুর কি মুরগুমা অবধি পৌঁছাইতে পারে নাই?
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:২৬393438
  • নর্মালি ব্যাকপ্যাকের তলায় স্লীপিং ব্যাগ, একটা রাবার ম্যাট ইত্যাদি থাকে, সাইডে ফোল্ডিং স্টিক লাগানোর জন্যে জায়গা থাকে, ভিতরে যা খুশি ভরো না, কে ঠেকাচ্ছে? আমরা তো তিনজনে পিঠে একটা করে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ইউরোপে ঘুরে বেরিয়েছি - ট্রেকিং/হাইকিং কিছুই নয় - শহরে শহরে ঘোরা। স্যুটকেস টানার চেয়ে ঢের ভালো। আর ৬৫ লিটারের ব্যাকপ্যাক কিনলে আরামসে চলে যায়। মেয়েদের জন্যে ৪০-৪৫ লিটার ভালো।
  • dri | 129.46.154.111 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৩৪393449
  • না না। আমি বলতে চাইছি হিমালয়ে সাতদিন ট্রেকিং করলে গেলে টিপিকালি ব্যাকপ্যাকে কি কি ভরবে? এত লম্বা ট্রেক ট্রিপে যা খুশি ভর না কোন কাজের কথা নয়। এসেনশিয়াল, এবং শুধু এসেনশিয়াল জিনিষই নিতে হবে। বইতে তো হবে। ইউরোপে ব্যাকপ্যাক করা অন্য জিনিস। হোটেলে থেকেছ। তারা বিছানা, গামছা সাবান সব দিয়েছে। এদেশের ক্যাম্পিং ও তুলনীয় নয়। গাড়ি করে ক্যাম্পগ্রাউন্ডে গিয়ে ক্যাম্পিং। খুশিমত জিনিস গাড়িতে ডাম্প করে দেওয়া যায়। দরকার লাগলে লাগল, না লাগলে নেই।

    ঘাড়ে যখন মাল চড়াতে হবে, ব্যাপারটা সেরকম নয়। কেয়ারফুল প্যাকিং খুব জরুরি।
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৩৯393460
  • আমরা তো ইউথ হোস্টেলে থাকতুম - তাই সব নিজেদের জিনিস - মায় স্পেয়ার বেডকভার অবধি।

    এসেনশিয়াল জিনিসের মধ্যে অল্প জামাকাপড়, ওষুধের প্যাক, শুকনো খাবার ইত্যাদি। আউটডোর শপগুলোতে গেলে দেখবে পুরো সাজিয়ে রাখা থাকে - আমি তো প্যাকেট করা চিকেন/মীটবলও দেখে এলুম - গরম জলে ডোবালে নাকি হয়ে যায়। একটা গ্যাস-স্টোভ লাগে - ছোট ছোট সিলিন্ডার আলাদা পাওয়া যায়, ডিসইনফেক্ট্যান্ট স্প্রেয় মতন বোতল।

    আমাদের মোটামুটি অনেক কিছু কেনা আছে - মায় এই স্টোভ, অ্যালুমিনিয়ামের ছোট বাসন, এমনকি টেন্ট - টেন্টটা যদিও টু-সীজন।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৪৫393471
  • থাকিতে গুগুল, অজ্ঞানতায় কি ভয়!

    http://www.backpacking.net/27-pound.html
  • dri | 129.46.154.111 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৪৬393482
  • না, কিন্তু হিমালয়ে বোধহয় আরো কিছু লাগবে।

    ভারী বলতে টেন্ট, স্লিপিং ব্যাগ। এছাড়াও মনে হয় হাতুড়ি, পাওয়ারফুল টর্চ, কম্পাস, সুইস নাইফ, এগুলো তো মিনিমাম। একটা ছোট্ট হাল্কা শর্টওয়েভ রেডিও হলেও ভালো হয়। আর কি?

    এইসব ট্রেকরুটের ম্যাপ পাওয়া যায় কি? নাকি মোস্টলি আনম্যাপ্‌ড। লোককে জিজ্ঞেস করে করে যাওয়া?
  • dri | 129.46.154.111 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৪৭393485
  • খাওয়ার জল ক্যারি করতে হয় না?
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৩393487
  • টেন্টপেগ লাগানোর জন্যে হাতুড়ি, টর্চ তো অবশ্যই, অনেকে মাথায় টর্চ লাগায়, কম্পাস, ছুরিও লাগবে। এখন ওই ওয়াকিটকিগুলো খুব কমন হয়ে গেছে - আমরা গেলবার ইউরোপ গেসলুম ওই নিয়ে, মোবাইলে ফোন করার খরচ ছিলো না:-)

    এখানে সমস্ত রুটের গ্রিডম্যাপ পাওয়া যায়, কিন্তু খুব দাম সেগুলোর। ভারতে জানি না।

    জলও লাগে - তবে সে তো একটা লিমিট আছে - মানে দশ জনের দশ দিনের জল বইতে গেলে ফেটে যাবে। কি করে কে জানে। বরফের এলাকায় বরফ গলিয়ে তাতে ওষুধ দিয়ে খাওয়া সম্ভব, কিন্তু অন্য জায়গায়?
  • nyara | 67.88.241.3 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৪393490
  • ওলমার্টের মুখপাত্র কাল বলেছেন যে মিডল ঈস্ট পীস আনার জন্যে ইজরায়েল নিজের অবলিগেশান (কিছু) ফুলফিল করবে। এর আগে ইজরায়েলের পজিশান ছিল আগে প্যালেস্টাইন নিজেদের অবলিগেশন ফুলফিল করুক তারপর আমরা দেখব। এবং ইজরায়েলের এই সত্যি-বা-মিথ্যে চেঞ্জ অফ পজিশানের পরেই বুশসাহেব এই কথা বলেছেন, আগে বলতে পারেননি।
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৪393489
  • এবার এর সাথে ফটোগ্রাফাররা কি করে কে জানে - ক্যামেরার তো আলাদা ব্যাকপ্যাক।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৪393488
  • ন্যাড়াদার হিসাবে সান্দাকফুটা বোধহয় হাইকিং, কারন নো ক্যাম্পিং, প্রচুর ট্রেকার্স হাট ও গ্রামীন লজ থাকতে ক্যাম্প খাটানোর কোন মানে হয় না।

    ব্যাগপ্যাকের একদম নীচে স্লীপিং ব্যাগ, তার উপরে জামা কাপড়, শুখনো খাবার দাবার ছাতু আচার ব্র্যাণ্ডি রাম বা মধু, সিগারেটের প্যাকেট, গরম জামা ও বর্ষাতি সবার উপরে। দুই ধারে দুটো জলের বোতল, একটা ফোল্ডিং স্টিক, ব্যাগ বন্ধকরার উপরের ফোল্ডে একটা রাবার ম্যাট রোল করা।

    রওনা হবার ৩-৪ দিন আগে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে গিয়ে একবার চেকাপ করিয়ে নেবেন। ফ্যামিলি ডাক্তার বা বন্ধু হলে দরকারী ঔষধের একটা লিস্ট বানিয়ে কিনে নিন। যাদের চশমা আছে, এক্সট্রা চশমা রাখবেন।
    আরো রাখবেন প্রত্যেকের কাছে:
    একটা বড় প্লাস্টিক শীট। ছোট টর্চ। দুটো ছোট তালা চাবি, ক্রেপ ব্যান্ডেজ,

    টিমের কাছে একটা করে থাকলেই হয়
    বড় সার্চ লাইট (৪ ব্যাটারি বা তার বড় টর্চ)
    হাতুরি, কয়েকটা পেরেক, ফাষ্ট-এইড বক্স, কম্পাস। টেন্টে থাকলে টেন্ট, কেরোসিন স্টোভ, সিগারেট লাইটার, ট্রেক রুট ডিটেল যতটা পাওয়া যায়,

    মনে রাখবেন - দলে মাত্র একজন লিডার থাকবে আর সকলে লিডারের কথা ট্রেকিংএর সময় বিনা প্রতিবাদে পালন করবে। সমালোচনা / আলোচনা আগের রাতে বা পরের রাতে বিশ্রামের সময়। সমস্ত রকম ইগো, মান অভিমান ইত্যাদি বাড়িতে রেখে হাটতে যান। কখনোই বেশি সাহসী হতে যাবেন না।
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৫393492
  • কেরোসিন স্টোভের চেয়ে ওই বিউটেনেরগুলো ভালো নয়? দিব্যি জোরে জ্বলে দেখলুম তো। অনেকগুলো বিউটেন সিলিন্ডার নেওয়া যায়।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৫393491
  • মিশটেক, মিশটেক।
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৯393494
  • আমরা অনেক কিছুই যোগাড় করে রাখছি - ফিরে গিয়ে হাইকিং/ট্রেকিং করবো বলে। ব্যাকপ্যাক আছে, থ্রী-সীজন স্লীপিং ব্যাগ আছে, টেন্ট আছে, স্টোভ আছে, কম্পাস, মাথার টর্চ, ক্যাম্পলাইট - মোটামুটি অনেক কিছুই কেনা হয়ে গেছে। সব নিয়ে যেতে পারলেই হয়:-)
  • nyara | 67.88.241.3 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৯393493
  • না, ক্যাম্পিং মানে যে টেন্ট খাটাতে হবে তার মানে নেই। কিন্তু রাত কাটাতে হবে। কাজেই সন্দকফু ইজ ট্রেকিং।

    উইকি ভি অ্যায়সাহি লিক্‌খা হ্যায় - Backpacking (also tramping or trekking or bushwalking in some countries) combines hiking and camping in a single trip. A backpacker hikes into the backcountry to spend one or more nights there, and carries supplies and equipment to satisfy sleeping and eating needs.
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:০০393495
  • ঝোরা পাওয়া যাবেই, টেন্টে থাকলে কেটলিও সঙ্গে থাকবে, জল ফুটিয়ে ওষুধ দিয়ে পরের দিনের জন্য ভরে নিতে হয়।
    ভারতে বেশির ভাগ ট্রেক রুটেই ছোট গ্রাম পরে। জল খাবার-দাবার, ডিরেকশনের অসুবিধা হয় না।

    পয়সা কড়ি খরচ হবার সম্ভাবনা নেই, তবু বেশ পরিমানে টাকা পয়সা রাখুন সঙ্গে। ভারতের পাহাড়ে চুরি ছিনতাই হয়েছে বলে কোনোদিন শুনিনি।
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:০৩393496
  • "ফর এভরিথিং এলস দেয়ার ইজ মাস্টারকার্ড' মটোয় বিশ্বাসী হলে সেটাও;-) ব্যক্তিবিশেষে ভিসা হতে পারে।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:০৭393499
  • বিউটেনও ভালো অপশন, তবে কেরোসিন আগুন জ্বালাতেও কাজে লাগে - এককাজে দুইকাজ হয় বলে কেরোসিনের প্রতি আমার একটু দুর্বলতা আছে।

    বড় ক্যামেরা একটাই রাখুন দলের সঙ্গে, বাকিরা ছোটখাটো ক্যামেরা ব্যবহার করুন, পকেট সাইজ ডিজিটাল ক্যামেরার কোন জুরি নেই, তবে দৈনিক ১০০-২০০ ছবি ধরবে এমন বড় স্টোরিংএর বন্দোবস্ত থাকলে তো পুরো জমে মাখন। আইপড থাকলে সঙ্গে নিন - মেমোরি কার্ড থেকে সরাসরি লোড করবার অ্যাড-অনটা কিনে নিন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন