এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ট্রেকিং-এর গল্প

    RATssss
    অন্যান্য | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ | ৯০৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 59.93.196.69 | ০৩ মার্চ ২০০৮ ০০:৪৬393451
  • দারুন।
    পটকা সিঁফো এত কিছু করলো কিকরে কে জানে ..
  • RATssss | 63.192.82.30 | ০৪ মার্চ ২০০৮ ০০:১৮393452
  • সিঁফো পটকা হলে করবে না কেন? মটকুরাই বরঞ্চ কম কম করে :-)

    ভায়া সিঁফো, দুর্জনেরা যা খুশি বলুক, বলতে দাও। তুমিও পরের গল্প শুরু কর। দুর্জনদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য ভগবানকেও রেগুলার পারফর্ম করতে হয়, তুমি আমি তো কোন ... ... ....
  • sinfaut | 117.195.195.167 | ০৪ মার্চ ২০০৮ ০৭:৫০393453
  • এর পরের তো আর কোনো গল্প নেই। আমার তো এই - সান্দাকফু, দুবার গোচালা যাবার চেষ্টা, একবার তপোবন। ব্যাস। এতে আর গল্প হবে না।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ০৪ মার্চ ২০০৮ ২৩:৪৮393454
  • তবে তপোবন-ই হোক, ওটা পুরো স্বপ্ন :-)
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৫ মার্চ ২০০৮ ০৭:৪৮393455
  • র‌্যাটাসদা, তোমার সেই সাইকেলে ভ্রমণগুলো এইবেলা লিখে ফেল্লে হত না?
    দ্রিদারও অনেক কিছু লেখার কথা ছিলো। শুরু করার দাবী জানিয়ে গেলুম।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ০৬ মার্চ ২০০৮ ০৫:৪২393456
  • গত শনিবার পাহাড় বাইতে গেছলাম মালিবু ক্যানিয়ন। ছবির পাতা থেকে তুলে আনা একটা ছোট্ট সুন্দর পরিবেশনা। ছোট্ট একটা নাম না জানা নদী, পাথর জলে লাফালাফি।
    হ্যাচর প্যাচর করে একটা ছোট্ট চরাই - প্রায় ৭৫ডিগ্রী খাড়াই ঘন্টা খানেক ধরে উঠে, ঘন্টা খানেক ধরে নেমে এলাম।
    নেচারের কোলে ঘন্টা ছয়েক :-)

    টিম ভায়া, সাইকেলে ইউরোপ ভ্রমন কি ট্রেকিং সুতোয় আসবে? সাইকেল চেপে স্টেশনে পৌছানো, ট্রেনে সাইকেল চাপিয়ে গন্তব্যে পৌছানো, লোকে যেটা গাড়িতে ঘোরে, সেটাই সাইকেল চেপে ঘুরে বেড়ানো - ধুর এ দিয়ে লিখব কি? সবই তো প্রায় উইকেণ্ডে - নতুন শহর বেড়ানো দু-পা ও দু-চাকায়
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১২ মার্চ ২০০৮ ০৩:০৭393457
  • দ্রিইইইই - লেখা কই? লেখা নাই তো টেকনিক্যাল প্রশ্ন চালু কর।
    অজ্জিতেরও একটা লেখা বাকি ছিল।
  • dri | 129.46.154.111 | ১২ মার্চ ২০০৮ ০৪:৩৯393458
  • ট্রেকিংএ আমার ল্যাখা কিসের? আমি কিকরে ট্রেকিং করব এই ভুঁড়ি নিয়ে?
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১২ মার্চ ২০০৮ ০৫:০২393459
  • সে কি কথা, টিম যে বলল!!! ভুঁড়িতে ট্রেকিং হয় না কে বলল!!!
    ওহে ছিঁটে, তপোবন কই?
  • RATssss | 63.192.82.30 | ২৮ মার্চ ২০০৮ ০০:৫৮393461
  • গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন ক্যাম্পিং পারমিট হাতে এসেছে মাত্র ৭ দিন আগে। ৪ জনের ক্যাম্পিং, আমরা ২, বাকি ২ জন পাওয়া যায়নি। কেউ যেতে আগ্রহী হলে সত্বর যোগাযোগ করুন ৯৪৯ ৬৩৬ ০৫৭৩

    - ২রা এপ্রিল নিচে নামা শুরু সাউথ কাইবাব ট্রেল দিয়ে (প্রায় ৯ মাইল হাঁটা)
    - রাত্রি বাস ব্রাইট অ্যাঞ্জেল ক্যাম্প গ্রাউন্ডে।
    - ৩রা উঠে আসা ব্রাইট অ্যাঞ্জেল ট্রেল ধরে (প্রায় ১১ মাইল)
    - ৪ঠা রীমের ধারে ধারে ইতি উতি।
    - ৫ই বাড়ি ফেরা

    কি কি নিতে হবে
    - প্রায় চার লিটার জল,
    - নিজের স্লিপিং ব্যাগ
    - নিজের খাদ্য, টয়লেট সামগ্রী সহ অন্যান্য যা যা চান।

  • RATssss | 63.192.82.30 | ০৮ এপ্রিল ২০০৮ ০৫:৩৬393462
  • বহুদিন ধরে হেঁটে বেড়ানো হচ্ছে না, মনের মতন দল নেই, যাওয়ার যায়গাও নেই, ছোট খাটো হাইকিং হলেও বেশ লম্বা চ্যালেঞ্জিং কিছু করার ইচ্ছেটা লাফালাফি করতে শুরু করেছিল। ন্যাড়াদার ১৫ বছরের পুরোনো হাইকিংএর গল্প কাজ করল অনুঘটকের।
    বহুদিনের অনভ্যাসে শারীরিক ক্ষমতা কমেছে অনেক, তাই প্রথম কাজ টানা পাঁচ মাইল দৌড়ানোর ক্ষমতাটা ফিরে পাওয়া, সঙ্গে একটু ওজন কমলে ভাল।

    মাস খানেক পরেও, ওজন কতটা বইতে পারব তার কনফি কিছুতেই পাচ্ছিলাম না, তাই প্রথম চেষ্টা ফ্যান্টম র‌্যাঞ্চে হাট বা ডরমিটরি বুকিং। কিন্তু সে আগামি ৮ -১০ মাসে খালি নাই। অতএব ক্যাম্পিং একমাত্র ভরসা। চেষ্টা শুরু হল ব্যাককাϾট্র পার্মিট পাওয়ার। এটা আবার ৪ মাস আগেই লোকে বুক করে ফেলে। ওয়েব সাইট দেখাচ্ছে ৯৯% ফুল, পাবার কোন চান্স নাই, তবু কপাল ঠুকে দিলুম পাঠিয়ে। ২ দিনের জন্য ক্যাম্পিং - পেলুম না। আবার পাঠালুম ১ দিনের জন্য - যে কোন শনিবার এপ্রিল - মে তে, তাও পেলুম না। শেষ চেষ্টা - যে কোন দিন এপ্রিলে - এবার শিকে ছিড়ল, ২৭শে মার্চ পারমিট হাতে এল, এপ্রিলের ২ তারিখ ব্রাইট অ্যাঞ্জেল ক্যাম্প গ্রাউন্ডে রাত কাটানো যাবে, ৪ জনের বন্দোবস্ত। তিন দিনের ছুটি-ও জোগার হল, কিন্তু বাকি দুই সঙ্গী আর জোটে না। সঙ্গী না পাওয়া গেলে যাওয়া যাবে, কিন্তু ওজন বেশী বইতে হবে। জনে জনে জিজ্ঞাসা - কেউ আর রাজি হয় না। শেষে পুরোনো মারাঠি বন্ধু প্রশান্ত কে পাওয়া গেল যে যেতে আগ্রহী। কিন্তু সে ছুটি পাবে কি না জানা নেই। ঘন্টায় ঘন্টায় ওর বউ শর্বরি (মারাঠি উচ্চারনে শবরি) কে ভজানো, কত সুন্দর গ্র্যা ক্যা , তার থেকেও বেশী সুন্দর কলোরাডো, মরুভূমির উপর দিয়ে হাঁটা, মরুভূমি পেরিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। অবশেষে সোমবার সকালে প্রশান্ত জানালো যে ও ছুটি পেয়েছে, বুধ বৃহ: শুক্র শনি গ্র্যা ক্যাতে ওরা আমাদের সঙ্গী হচ্ছে। তবে রওনা হবার সময় ১লা বিকেল বিকেল এর পরিবর্তে রাত ৯টা নাগাদ করতে হবে।
    সারাদিন কাজিয়ে বিকেলে প্যাকিং, রাতে রওনা। দুজনে অল্টারনেট করে চালিয়ে ভোররাতে পৌছলাম গ্র্যা ক্যা। প্রবল ঠাণ্ডা, ফারেনহাইটে ৩০ এর নিচে। গাড়িতেই হিটার চালিয়ে খানিকক্ষন বিশ্রাম। সকাল ৬টা নাগাদ ঢুকে পরলাম গ্র্যাক্যার ভিতরে, মাথার পয়েন্ট থেকে সূর্যোদয় দেখার ইচ্ছে। সূর্য ওঠাটা এমন কিছু সুন্দর নয়, তবে সূর্যের আলোতে অন্ধকার ক্যানিয়নে রঙের খেলা বেশ সুন্দর। কালো থেকে লাল হয়ে সোনালী রঙের খেলা প্রবল ঠাণ্ডাতেও মনে আগুন জ্বালাতে পারে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডাও কমতে থাকল একটু একটু। শুরু হল আমাদের হাঁটবার প্রস্তুতি। Yavapai লজের সামনে জেনারেল স্টোরে চা কফি জলখাবার পেটপুরে। ব্যাগের ওজন যতটা সম্ভব ডিস্ট্রিবিউট করে গোছগাছ শেষ হতে হতে প্রায় সাড়ে আটটা। সকালের ঠাণ্ডা মনে এত ভয় ধরিয়েছে, পরের রাতে ক্যাম্পে ঠাণ্ডা লাগবার ভয়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় গরম জামা-জ্যাকেটও নিয়ে ফেল্লুম সকলে। ব্যাককাϾট্র ইন্‌ফরমেশন সেন্টারের সামনে থেকে ৯টার সময় সরাসরি বাস থাকার কথা যেটা কাইবাব ট্রেল-হেডে নিয়ে যাবে। কিন্তু বাসের দেখা নাই। ১লা এপ্রিল থেকে নাকি বাসের সময় পাল্টে গেছে - সকাল ৮টা ও ৯টার বদলে বাস এখন ৭টা ও ৮টায়। অন্য অপশন- ভিলেজ লাইনের বাসে চেপে সেন্টার ড্রাইভ, সেখান থেকে সবুজ লাইনের ইয়াকি পয়েন্টের বাসে কাইবাব ট্রেল হেড। বিনে পয়সার বাস সারা গ্র্যা ক্যা ঘুরিয়ে প্রায় হাঁপিয়ে গিয়ে আমাদের নিয়ে ট্রেলহেডে পৌছল পৌনে দশটায়। শুরু হল ট্রেল ধরে হাঁটা।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ০৮ এপ্রিল ২০০৮ ০৬:৪৪393463
  • কোথায় শুরু হল হাঁটা! প্রথমেই বাঁ পা টা অতি উৎসাহিত হয়ে একতাল শক্ত বরফের উপরে পরে, বাকি দেহের কথা মাথায় না রেখে সাঁই করে এগিয়ে গেল - হাঁটু গোড়ালি পেঁচিয়ে পুঁচিয়ে ধমাস। কপাল ভাল সাত ঘন্টার রাস্তা সাত সেকেণ্ডে পৌছলাম না। ক্রেপ ম্রেপ দিয়ে বেঁধে বুঁধে আবার রওনা হওয়া গেল। বরফের উপরে সাবধানে পা ফেলা, লাঠি দিয়ে ঠ্যাকনা দেওয়া, একটু একটু করে এগিয়ে চলা। প্রথম এক-দুই মাইল পুরো মাছের বাজার, ইয়া বড় বড় ক্যামেরা ঝুলিয়ে শয়ে শয়ে লোকজন নামছে, উঠছে, লাফাচ্ছে, চিল্লাচ্ছে, হাঁপাচ্ছে, ফুঁকছে। কাইবাব ট্রেলে কোথাও খাবার জল নেই, কিছু অতি উৎসাহি লোকের তাই জলাভাবে কষ্ট-ও হচ্ছে দেখলুম। কিন্তু আমাদের তো অনেক দুরের যাত্রা, তাই কুশল জিজ্ঞাসা আর কুশল কামনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। অজানা অচেনা লোকের সঙ্গে প্রচুর কথা বলতে বলতে চলেছি আমরা, মাঝে মধ্যেই গ্র্যানোলা বার, চকোলেট, জল আর সর্বক্ষন চ্যুইংগাম। ১৫-২০ মিনিট পরে পরেই একটু একটু দাঁড়ানো, এদিক ওদিক দেখা। রীম থেকে নিচে নেমে এসে ক্যানিয়ন কে আরো ভালো লাগছে। দেখছি আর চলছি। প্রতি দেড় মাইল অন্তর রেস্ট পয়েন্ট, মানে একটা জল ছাড়া টয়লেট আর কিছুটা খোলা জায়গা। দেখতে দেখতে দুপুর বারোটা, লাঞ্চ ব্রেক নিলুম আমরা। গাঁতিয়ে চিকেন ও পরোটা, সুইট ডিস - কুকি। আধঘন্টার ব্রেকের পরে আবার চলা শুরু। প্রথম বাঁকের মুখেই প্রথমবার কলোরাডো নদীর দেখা। পাহাড়ের ধার ধরে রাস্তাটা এদিক ওদিক করে সিধে নেমে গেছে নদীর দিকে। রাস্তায় এখন লোক জন খুবই কম, এক আধ জনের সঙ্গে মাঝে মধ্যে দেখা। দু-তিনটে মালবাহী মিউল-বাহিনী মাথা নিচু করে উপরে উঠে গেল। বদলে রাস্তাটা হাগু হিসুর গন্ধে "পুতিগন্ধময়' করে দিলে। সে গুলো বাঁচিয়ে বুঁচিয়ে এগিয়ে চলা আবার।
    চলতে চলতে একটু গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়নের ইতিহাস ভুগোল জানিয়ে রাখি। ১মিলিয়ন একরের বেশী এলাকা জুরে গ্যা ক্যা। কয়েক বিলিয়ন বছর আগে যখন ভূখন্ড গুলো আলাদা হল, সমুদ্রের তলদেশ উপরে উঠে এল, তখন কলোরাডো ছিল না গ্র্যা ক্যাও ছিল না। প্রায় দুই মিলিয়ন বছর আগে কলোরাডো নদীর যাত্রা শুরু। মরুভূমির মধ্যে দিয়ে যাবার সময় প্রবল জলস্রোত ও হাওয়া মিলে শুরু করল এক অসীম স্থাপত্য শিল্প - সেই হল গ্র্যা ক্যা। এখনের হিসাবে প্রতি ১০০ বছরে কলোরাডো মাত্র ৪ ইঞ্চি পাথর কাটে, হাওয়া কাটে আরো ১ ইঞ্চি। এমনি করে তৈরি হয়েছে ৫০০০ ফুটেরও বেশী গভীর ক্যানিয়ন। পাথরের বয়স ও তাই একএক গভীরতায় এক এক রকম। প্রথমে মাটি মিশ্রিত, পরে সাদা, তারপরে লাল, গেরুয়া, কালো - বয়সের সঙ্গে পাথর ক্ষয়ও বিভিন্ন রকম। লাল পাথরে ধুলো অনেক বেশী, গেরুয়াতে একটু কম, কালো পাথরে নুড়ি বেশি - ধুলো কম। এ যেন পৃথিবী মা'র জীবন দেখতে দেখতে, রূপ বুঝতে বুঝতে এগিয়ে চলা। হঠাৎ করে হাজার ঘোড়া দৌড়ানোর শব্দ। কি ঘটল বুঝতে চেষ্টা করছি সকলে, সামনের পাহাড়ে ধুলো ধোঁয়া। উপর থেকে নিচে পর্যন্ত। গরম ঠাণ্ডায় কিছু পাথর ভেঙ্গে গড়িয়ে পরেছে নিচে। ও পথে আমাদের যেতে হবে না, তবু যদি আমাদের উপরে ঘটত...
    ৯১১-এর রেসকিউ হেলিকপ্টার একটা চক্কর দিয়ে নিচে হেলিপ্যাডে গিয়ে নিশ্চিন্তে বসল, আমরাও আবার চলতে শুরু করলাম।
    চলতে চলতে শর্বরীর ক্লান্তি ধরল আগে, বিশ্রাম তাই মাঝে মাঝেই। বেশিক্ষন বিশ্রাম না নিয়ে উৎসাহ দেওয়া, আদতে তাড়া দেওয়া। দুপুর ২টো নাগাদ শেষ রেস্ট হাউস পেড়িয়ে গেলাম আমরা, বাঁক ঘুড়বার পরেই দেখা দিল কলোরাডোর উপরে ব্রীজ। ব্ল্যাক ব্রীজ। প্রথম দিনের গন্তব্য আমাদের কাছেই। হাঁটুর ব্যাথা, গোড়ালির যন্ত্রনা নিয়েও হাসি মুখে আড্ডা মারতে মারতে চলেছি সকলে। ব্ল্যাক ব্রীজ ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। চলতে চলতে একসময় পৌছেই গেলাম ব্ল্যাক ব্রীজের সামনে। ব্রীজে উঠতে হয় একটা ছোট্ট সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে। কলোরাডোর উপরে তারের ঝোলানো ব্রীজ। নিচে কাঠের পাটাতন, মিউলেরা কেবলমাত্র এই ব্রীজটাই ব্যবহার করে। ছোট্ট ব্রীজের নীচ থেকে কলোরাডোর ধারে সাদা বালির চরা, মনে হয় যেন সমুদ্রের ধারে। প্রবল জোরে কলোরাডো বইছে। যদিও বাঁধ দেবার পরে কলোরাডোর বেগ অনেক কম। ব্রীজ পেরোনোর পরে আর একটু - এই রাস্তাটায় যেন ফুলের হাট লেগেছে। উপর থেকে দেখা যায় না এত ফুল, হলুদ লাল গোলাপী নীল - রঙের হাট চারিদিকে। পায়ে পায়ে কলোরাডোর পার ধরে এগিয়ে চলেছি, ব্রাইট অ্যাঞ্জেল ক্যাম্প গ্রাউণ্ডের দিকে। খরশ্রোতা ব্রাইট অ্যাঞ্জেল স্প্রীংএর ধারে প্রচুর গাছের মাঝে ক্যাম্প খাটানোর ছোট্ট ছোট্ট যায়গা। জলের শব্দে বেশ কলরব - জোরে কথা বলতে হচ্ছে তাই। প্রথম ফাঁকা ক্যাম্প এরিয়াটাই দখল করলাম আমরা। নতুন টেকনোলজির টেন্ট - মাত্র ১০-১২ মিনিটে তৈরি। টেন্ট লাগিয়ে শর্বরিকে বিশ্রামে পাঠিয়ে আমাদের এদিক ওদিক দেখা শুরু। ঘড়িতে সময় তখন মাত্র ৪টে।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ০৮ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৫৫393464
  • প্রথম কাজ জল ভরা, প্রচুর ফেনা মেশানো জল বোতলে ভরে বেশ ঘাবড়ে গেলুম। পুরো সাদা বোতল, যেন কিছু একটা মেশানো আছে। ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট জলে মেশান হল। ইতিমধ্যে রেঞ্জার দিদিমনি খাতা কলম নিয়ে হাজির। নাম ধাম সহ বুকিংএর পরিচয় টুকে নিয়ে গেলেন। বলে গেলেন শর্বরিকে অন্তত ৩-৪ লিটার জল খাওয়াতে, আমাদেরও প্রচুর জল খেতে। জল টল খেয়ে প্রথমে গেলুম নদীর পারে। একটি একাকী হরিনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে খেলতে জলে পা ডোবালাম। ঠাণ্ডা জলে ব্যাথা বেদনা একটু কমাবার আশা। বেশ সুস্থ হয়ে নদীর ধারে ছোট্ট হাঁটাহাঁটি। কলোরাডোর উপরে দুটো ব্রীজ। একটা ব্ল্যাক ব্রীজ - ওটা দিয়ে আমরা পেরিয়েছি আসবার সময়। আরেকটা হল সিলভার ব্রীজ, ওটা দিয়ে কাল আমরা যাবো। দুটোই স্টিলের দড়ি দিয়ে ঝোলানো ব্রীজ। ব্ল্যাক ব্রীজের নিচেটা কাঠের বলে মিউলেরা ওটা দিয়ে যাতায়াত করে। সিলভার ব্রীজের নিচেটা স্টিলের জাল, নিচে নদীর লাফালাফি দেখতে দেখতে পেরোতে হয়। হাইট ফোবিয়া থাকলে সিলভার ব্রীজ অ্যাভয়েড করতে পারেন, দুটো ব্রীজই দুই পার দিয়ে পৌছানো যায়। কলোরাডো ভাল করে দেখার ইচ্ছে হলে ব্রাইট অ্যাঞ্জেল থেকে ব্ল্যাক ব্রীজ দিয়ে নদী পেরিয়ে ওপার দিয়ে হেঁটে সিলভার ব্রীজ দিয়ে ফিরতে পারেন। আমাদের দম ও সময়ের অভাবে এ পরিকল্পনাটা মিষ্টি করে কাটিয়ে দেওয়া গেল। বদলে স্প্রীংএর ধার দিয়ে হাঁটলাম খানিকক্ষন। একটু দুরেই ফ্যান্টম র‌্যাঞ্চ। এখান থেকে নর্থ কাইবাব ট্রেল - নর্থ রীমে যাবার রাস্তা শুরু। একটা ছোট্ট ক্যাণ্টিনও আছে, এখানকার স্টেক ডিনার নাকি "বেস্ট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড' - কিন্তু আগে বুকিং করতে হয়। আমরা আসবার আগে বুকিংএর চেষ্টা করেও পাইনি, তবে চা কফি লেমোনেড কোক নিয়ে বসলুম আমরা। এর একটা বড় সুবিধা, ডিনারের পরে ট্র্যাশ ওদের কাছে চালান করে দেওয়া গেল। ডিনার সেরে চা কফি খেয়ে দারুন সুন্দর হাটগুলো ময়না করলুম খানিকক্ষন। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় রেঞ্জার পোগ্রাম - বাদুর নিয়ে গল্প শুনতে ইচ্ছে হল না কারোরই। ধীরে ধীরে তাই আমাদের টেন্টের দিকে পা বাড়ানো গেল। কনিয়াকের সদব্যবহার করতে। গোটা বোতল চারজনে মিলে গিলে ফিরে এলাম আবার ক্যান্টিনে - পরের দিনের স্যাক লাঞ্চ নিতে। ঘুটঘুটে অন্ধকার বলতে যা বোঝায় - শুধু মাথার টর্চের আলো আর কোথাও কিছু নেই। ভালুক - ইন্দুর - কাঠবিড়ালির হাতথেকে খাবার বাঁচাতে সব বাক্স বন্দী করে নিজেদের ক্লান্ত দেহগুলোকে স্লীপিং ব্যাগ বন্দী করে ঘুমের দেশে যাত্রা।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০১:০৭393465
  • গত রাতে ঠাণ্ডায় কাঁপছিলাম, এ রাতে ঠাণ্ডা বলে কিছু নেই। ভোররাতে তাও স্লীপিং ব্যাগের ভেন্টিলেশন বন্ধ করতে হল। ইচ্ছে ছিল সূর্যোদয়ের সঙ্গে রওনা হওয়ার, কিন্তু যা ভাবা তাই কি কভু হয়! সকালে উঠে বেগ আসে না বলে মনখারাপ, তার উপরে হেবী ব্রেকফাস্ট। খাবার দাবার শেষ করে ব্যাগের ওজন একটু কম। টেন্টটা গুটিয়ে ব্যাগে ঢোকাতেই আবার যেই কে সেই। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শুরু হল আবার চলা। সিলভার ব্রীজ পেরিয়ে, নদীর সমান্তরালে অনেকক্ষন ধরে চলা। এবারে ব্রাইট অ্যাঞ্জেল ট্রেল ধরে হাঁটা। সাউথ কাইবাব ট্রেলে পুরোটাই রুক্ষ, তুলনায় ব্রাইট অ্যাঞ্জেল ট্রেল মরুভূমি ও মরূদ্যানের মিশেল। আসলে পুরো গ্র্যা ক্যা ই তো মরূভুমি, বছরে ৭ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয় মাত্র। নদীর ধারে তাই কিছুটা সবুজ, ব্রাইট অ্যাঞ্জেল ক্যাম্পগ্রাউণ্ড ও ফ্যান্টম র‌্যাঞ্চ একটা মরূদ্যান, ইন্ডিয়ান গার্ডেন আরেকটা। ফেরার পথে ইণ্ডিয়ান গার্ডেন পর্যন্ত বেশি চড়াই উৎরাই নেই, বেশ আরামে চার ঘন্টাতে ৫ মাইল চলে এলাম আমরা। একটা ঝোরাকে বারবার পেরিয়ে, অল্প জুতো ভিজিয়ে। চতুর্দিকে গাছ নিয়ে ইণ্ডিয়ান গার্ডেন দারুন সুন্দর মরূদ্যান। মরূভুমি আর মরূদ্যানের পার্থক্যটা বেশ পরিস্কার বোঝা যায়। ঘন্টা খানেকের বিশ্রাম এখানে। বেশ কয়েকটা মিউলের পিঠে আরামে চলা দলের সঙ্গে দেখা হল এখানে। গায়ে ফুরফুরে হাওয়া লাগিয়ে এনারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর মিউলেরা খেটে মরছে। এখান থেকে প্ল্যাটো পয়েন্ট যাওয়া যায় কিন্তু সেটা তিন মাইল যাওয়া ও ফেরা (রাউণ্ড ট্রিপ)। ইণ্ডিয়ান গার্ডেনে ক্যাম্প করে থাকলে যাওয়া যেত, এবারে কাটিয়ে দেওয়া গেল।
    বিশ্রামের ফাকে দেখা হল অনেক ডে হাইকার্সদের সঙ্গে। সকাল ৬টায় হাঁটা শুরু করে নদী ঘুরে ফিরে যাবে এরা। প্রায় ছুটতে ছুটতে চলেছে - তুলনায় আমরা চলেছি ধুঁকতে ধুঁকতে। এক মহিলা সামনে ঝোলায় তার ৮-৯ মাসের শিশুকে ঝুলিয়ে নেমে এসেছেন - আমরা উপরে পৌছনোর আগেই এরা পৌছে গিয়েছিলেন উপরে। আমেরিকান স্বাস্থ্য সচেতন জনতার কাছে আমরা দুগ্‌ধপোষ্য শিশু। একজন আবার আমাদের বয়স জিজ্ঞাসা করে খিল্লি করে গেলেন, খিল্লিত হয়ে তাকে প্যাদানোর বহু ইচ্ছা হলেও তাঁর সঙ্গে আমার কয়েক ফুটের ব্যবধান ঘোচাতে পারলুম না, উল্টে ব্যাটা হাসতে হাসতে চলে গেল।
    দুপুর বারোটা নাগাদ শুরু হল শেষ পর্যায়ের হাঁটা, ইণ্ডিয়ান গার্ডেন থেকে কঠিন চড়াই। ইন্ডিয়ান গার্ডেনে জলের বোতল গুলো আবার ভর্তি করে নিয়ে, নুন চিনি মিশিয়ে, এনার্জি ড্রিঙ্ক মিশিয়ে ঘামতে ঘামতে ও জল খেতে খেতে চলতে থাকা। রোদের তাপও বড্ড বেশী। তবু অল্প অল্প করে এগিয়ে চলা, প্রতি ঘন্টায় এক মাইল যাবার ইচ্ছে। মাথার উপরে শকুনের মত দেখতে কনডোর ঘুরে চলেছে। ইন্ডিয়ান গার্ডেন ছেড়ে বেড়োনো মাত্র গেরুয়া পাথর মাটি শুরু, ক্যাকটাস সহ মরূভুমির গাছপালা চারিদিকে। প্রতি পদক্ষেপে খালি উপরে ওঠা, উঠেই চলা। গরম কাল হলে দুপুর ১১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত এ রাস্তায় হাঁটা যেত না, সানস্ট্রোকে মরেই যেতাম হয়ত। গেরুয়া থেকে লাল পাথরের এলাকা এল একসময়। দমকা হাওয়ার বেগ অনেক এখানে আর লাল ধুলোতে চারদিক ঢাকা। ৩ মাইল গেস্ট হাউসের সামনে মিউলের ৩-৪টে পল্টন আমাদের পেরিয়ে চলে গেল আরো ধুলো উড়িয়ে। বেশ কষ্টকর এই অঞ্চল। আমার ইনহেলার ইন অ্যাকশন। খানিক থামা, খানিক চলা। চারজনের দল তিন ভাগে বিভক্ত, রিনি ২-৩ বাঁক আগে, শর্বরী ও প্রশান্ত ৩-৪ বাঁক পরে - মধ্যেখানে আমি চিল্লিয়ে সংযোগ রক্ষা করে চলেছি। রাস্তায় জনতা ধীরে ধীরে বাড়ছে, কচি কাঁচা ছেলেপুলের দলের দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি, ছবি তোলা, আরো কত কি। শেষ মাইল দুই তিন বাকি আর। প্রশান্তের মাঝে মাঝেই প্রেম পাচ্ছে এখন - আর শর্বরী চিল্লাচ্ছে "আরে মুর্খা - মারাঠি মাইত নাহি ক্যা' । দেড় মাইলের মাথায় শেষ রেস্ট হাউস - তার পরে রাস্তায় বরফ শুরু। গরমে গলছে বরফ, কাদা - পিছল রাস্তা এখানে। অতি সাবধানে লাঠি ঠুকে ঠুকে চলেছি আমরা। এ রাস্তায় দুজনের কথা না বললে অন্যায় হয়। প্রথম জন ৭২ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধ, প্রতি বছর একবার করে আসেন। হাটুতে অপারেশনের পরে যন্ত্র পাতি বাঁধা, তবু এবারেও ফ্যান্টম র‌্যাঞ্চে ২ রাত কাটিয়ে আজ ফিরছেন, আস্তে আস্তে চলেছেন - সকাল ৬টা থেকে হাঁটছেন - হাসি মুখে সবার সঙ্গে আড্ডা মারতে মারতে। আরেকজন হল পিঠে নিজের ওজনের প্রায় সমান ওজনের ব্যাগ নিয়ে একটি ৮-৯ বছরের পুচকি মেয়ে। মা'র সঙ্গে ক্যাম্পিং করেছে ইন্ডিয়ান গার্ডেনে। বিশাল ব্যাগপ্যাক ওর মার কাঁধে। ছোট্ট মেয়েটির মুখে হাসি নেই তবু সকলে ওর চেষ্টাকে কুর্নিশ করতে বাধ্য। ওকে অনেক উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে চললাম আমরা। উপরে ব্রাইট অ্যাঞ্জেল লজ দেখা যাচ্ছে, রীমে হাসি খুশি লোকজনেদের দেখা যাচ্ছে মাঝে মাঝে। একপা একপা করে এগোনো - one step at a time মাথায় রেখে।
  • tania | 65.115.93.98 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০১:২৯393466
  • র‌্যাট্‌স, আমার কিছু কোশ্চেন আছে। সিরিয়াস। সামনের বছর হয়ত যাবো, তাই। আমারে একখান মেইল করবে? tania90 অ্যাট জিমেইলে? থ্যাংকু।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০৫:২৬393467
  • উপরের দিকে তাকালে মনে হচ্ছে পৌছে গেছি - কিন্তু রাস্তা আর ফুরোয় না! চলেছি শুধু চলেছি। তবে এবারে চলার গতি একটু বেড়েছে, বরফের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার যায়গার বড় অভাব, গরম কমে ঠাণ্ডাও বেড়েছে একটু। প্রচুর জনতার কলরবে অবশেষে পৌছলাম আমরা - একে একে। অজানা অচেনা সকলে এসে কনগ্রাচুলেশন জানিয়ে গেল। হাসিমুখে হাত মিলিয়ে গেল অনেকে। পিঠের বোঝাটা ১০ মনি মনে হচ্ছে এখন। কোনক্রমে বোঝা নামিয়ে, লাঠি রেখে গোটা দলের সাফল্যের ট্রেকিংএ পরিতৃপ্তি পেলুম। কয়েক ফুট দুরে বাসস্ট্যাণ্ড, সেটুকু যেতেও যেন এখন পা তুলতে পারছি না। অসহ্য ব্যাথা যন্ত্রনা মনে হচ্ছে। কোনক্রমে বাসে চেপে আবার ফেরত যাওয়া ব্যাককা¾ট্রী ইনফরমেশন সেন্টারে - আমাদের গাড়ির কাছে। মৌজ করে প্রশান্ত ধরালো সিগারেট - শর্বরী যে সিগারেটের নাম শুনলেই খেপে যায় সেও মনের আনন্দে টান দিল দু-চারটে - খক খক করে কাশল ও হাসল অনেক। রিনি আমি মিলেও ফিরে আসা সেলিব্রেট করলুম একটা সিগারেট ভাগ করে খেয়ে।
    মাতালের মত টলতে টলতে ঢুকলুম বেস্ট ওয়েস্টার্ন ইনে, সঁপে দিলুম নিজেকে বাথ টাবের গরম জলের আরামে। থেকে যাওয়া পাউরুটি - পিনাটবাটার দিয়ে ডিনার করে ১০ ঘন্টার লম্বা ঘুম। পরের দিন সাউথ রীমের এদিক ওদিক ঘুরে শনিবার ফিরে এলাম বাড়ি।

    কিছু তথ্য :-
    যারা গরম কালে যাবেন তাদের জন্য বলে রাখা ভাল - সকালে ৬টার আগে হাঁটা শুরু করুন, ৯টা -১০টা পর্যন্ত হেঁটে বিশ্রাম নিন। আবার বিকেল ৩টের পরে হাঁটা শুরু করুন। ব্রাইট অ্যাঞ্জেল ট্রেলে একমাত্র জল পাওয়া যায় ইন্ডিয়ান গার্ডেনে, সাউথ কাইবাবে জল পাওয়া যায় না। নাইট হাইক করতে হলে পুর্নিমা ধরে যান। গরমে সারারাত হাইক করা যায়, মাথায় টর্চ লাগিয়ে। পূর্নিমার গ্র্যাক্যা হাইক মনে রাখার মত। সাউথ কাইবাব অনেক বেশী খাড়াই বলে ও পথে ওঠাটা বেশ চাপের। শীতের সময় রাতে হাইক করা যায় না - রীমের কাছে বরফ এত বেশী থাকে পা পিছলে "ভগবানের প্রেমে' পড়বার সমূহ সম্ভাবনা। আর শীতকালটা নভেম্বর থেকে এপ্রিল। কখনো সখনো অক্টোবর ও মে মাসেও বরফ পেতে পারেন। ট্রেক পথটাকে প্রতি দেড় মাইলে ভেঙ্গে দেওয়া যায়, প্রতি দেড়-দুই মাইল পরে রেস্ট হাউস। আগে থেকে সময়ের হিসেব করে রাখুন, নামতে যতটা সময় লাগবে - উঠতে প্রায় ততটাই সময় লাগে। ঘন্টায় ১ মাইলের বেগে আমাদের মতন সাধারন হাইকাররা চলেন। অতি অবশ্যই ভেরিএবল লেন্থ ওয়াকিং স্টিক সঙ্গে রাখুন। প্রতি চার মাইলে এক লিটার হিসাবে জল লাগার কথা, পারলে এক বোতল বেশী জল রাখুন। প্রচুর নুন চিনি মিশ্রিত জল খান, নোনতা খাবার খান, ঘামের মাধ্যমে যে নুন শরীর থেকে বের হয়ে গেছে সেটা যোগান দিন। শরীরের রেচন ও বর্জ্য পদার্থের পরিমান ও রঙের জন্য ভয় পাবেন না।
    প্রায় ৫০০০ ফুট ওঠা নামা - শরীরের পক্ষে বেশ চাপের। নাকদিয়ে রক্ত বের হতে পারে, সর্দি কাশি হতে পারে। ট্রেক চলাকালীন সিগারেট - অ্যালকোহল বর্জন করুন। লম্বা ব্রেক নিলে বেশ লম্বা ব্রেক নিন, নয়ত প্রতি মাইলে ৫-১০ মিনিটের ব্রেক নিন। প্রচুর জল খান।
    আরো টিপস পেতে দেখুন
    http://www.nps.gov/grca/planyourvisit/backcountry.htm
    http://www.nps.gov/grca/planyourvisit/hike-tips.htm

    পারমিট ডিটেল্‌স এর জন্য
    http://www.nps.gov/grca/planyourvisit/backcountry-permit.htm

    পারমিট রিকোয়েস্ট ফর্ম
    http://www.nps.gov/grca/planyourvisit/upload/permit-request.pdf
    দুই কপি বানান, একটা হিসেব করে পোস্ট করুন যাতে ঠিক চার মাস আগে পৌছায়। আর একটা কপি ১লা সকালে ফ্যাক্স করুন ৯২৮-৬৩৮-২১২৫ নম্বরে। নভেম্বর ২০০৮ এ যাবার ইচ্ছে থাকলে ১লা জুলাই ২০০৮এ বুকিং করতে হবে।

    ফ্যান্টম র‌্যাঞ্চের বুকিংএর জন্য ফোন করুন
    ৩০৩২৯৭২৭৫৭ -- ১৩ মাস আগে থেকে বুকিং চালু থাকে। জুন ২০০৯ এ যেতে চাইলে মে ২০০৮-এ ফোনাতে হবে। জানুয়ারী - ফেব্রুয়ারীর বুকিং সাধারনত পাওয়া যায় ২-৩ মাসে আগে।
    যাঁরা হাটতে অপারগ, ওই নম্বরে ফোন করে মিউল ট্যুর ও বুক করতে পারেন।
  • U | 198.169.6.69 | ১৬ এপ্রিল ২০০৮ ০০:৪৯393468
  • র‌্যাটস্‌স্‌স,
    গ্র্যা কা ট্রেকিংএর গল্প, বেশ লাগলো, আর ফোটোগুলো-ও। পপুলার গ্র্যা.ক্যা. ট্রেকিং তো করলে, এবার গ্রীষ্মে আমার এখানে এসো, কানাডিয়ান রুকিসের নাম-না-জানা পথে ট্রেকিং করে যাও, পস্তাবে না , গ্রান্টি। পাহাড়ে না চড়তে চাইলে, সমতল ট্রেকিং-ও কম নয়, প্রিন্স অ্যালবার্ট ন্যাশনাল পার্ক, বা ওয়েস্ট কানাডা।

    অবশ্য ভিসা করতে হবে, সে একদিনে-ই হয়ে যায়, সিয়াটেল-এ। বল-তো প্ল্যান করি।
  • RATssss | 24.24.228.247 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ০৮:৪১393469
  • ঊ-দা, প্রস্তাবটা ভালোই, তবে হবে কি! অনেক ইফ বাট কিন্তু আছে এবছরের গরমে, আগামি গরমের কথা ভাবছি আমি।
  • একক | 24.99.120.89 | ১৩ জুন ২০১২ ২২:২১393470
  • এইতো ! সার্চ মেরে মেরে খুঁজে পেলুম শেষ অবধি.
    দক্ষিন ভারতের ট্রেকিং রুট-গুলো নিয়ে কার কী অভিজ্ঞতা -ফান্ডা আছে এখানে উপুর করুন দেখি .

    এই দিকটায় যখন এসে পড়েছি , হাবরে ঘুরে নিতে হবে !
  • Sam | 127.192.244.184 | ১৩ জুন ২০১২ ২২:৩০393472
  • কিছুদিন আগে চিকমাগালুর গেলাম, সেখানে দাব্দাব্বা জলপ্রপাত যেতে দেড় কিমি ত্রেক্কিং করে নিচে নাবতে হয়। খাড়া নিচে নামো, ওঠার সময় প্রাণ ওষ্ঠাগত। আমি আমার ছেলে কে কোলে করে ত্রেক্কিং কল্লুম, শেষে মনে হচ্ছিল কোমায় চলে যাচ্ছি। যাই হোক, আর একটা জলপ্রপাত আছে হেব্বে নাম। সেখানে নিয়ে যাবে জিপ এ চড়িয়ে ১২ কিমি। কিন্তু যা রাস্তা, সেটা জিপ এ চরে ত্রেক্কিং এর নামান্তর। খাড়া উপরে ওঠা আর নিচে নামা আর জিপ এর রডে মাথায় গুঁত খাওয়া। সেটা হেঁটে ও মারা যায়। তিনটে ছোট পাহাড়ি নদী হেঁটে পেরোতে হয়। নদী বরাবর হাঁটা ও যায়, সুন্দর সব ভিউ পাবে। আর কর্ণাটকের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সেখানেই, নাম মুল্যানাগিরি। সেখানে ৪৮০ তা ধাপ আছে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার, পরিষ্কার দিনে পাহাড়ের চূড়া থেকে আরবসাগর দেখা যায়।
  • xi | 161.141.84.239 | ১৩ জুন ২০১২ ২৩:৩৯393473
  • দাব্দাব্বা???
    হেব্বে????

    দপদপে হেভি হেভি সব নাম। ঃ-)
  • RATssss | 73.192.82.30 | ০৮ জুন ২০১৩ ০৪:০৩393474
  • অনেক কাল পরে আবার ট্রেক বা হাইকিং
    এবারে Yeshomite ন্যাশানাল পার্কে, হাফ ডোম হাইক।

    টেকনিক্যাল ডিটেল ঃ ৪৮০০ ফুট ওঠা ও নামা এক দিনে
    মিস্ট ট্রেল দিয়ে গেলে ৮ মাইল মতন আর জন ম্যুর ট্রেলে গেলে ৯ মাইল মতন হাটতে হবে। ব্যাক কান্ট্রি কার পার্কিং থেকে ট্রেল হেড প্রায় এক মাইল। শেষ ৭০০ ফুট ওঠা প্রায় মাউন্টেনিয়ারিং গোছের ব্যাপার। ভালো রাবার গ্লাভস অত্যন্ত জরুরী।

    এবারে গল্প ঃ-
  • RATssss | 73.192.82.30 | ০৮ জুন ২০১৩ ০৫:৫৫393475
  • Yosemite National Park - half Dome Hike

    "জীবনে একটা কচি আসুক আর জীবনটা বেগুনভাজা হয়ে যাক" - চেয়েছিলাম এক, কিন্তু এলো দুই। ভাজা তো হলই, বেগুনপোড়া হয়ে থামল। ছানা সামলাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত, তাতে বেউ বেউ কি করে হবে?

    প্রায় ৫ বছরে সযত্ন লালিত অভিলাষ - হাফ ডোম হাইক। এর মাঝে বার দুই yosemite গিয়ে পাহাড় দেখেই ফিরে আসা। মনে বড় ইচ্ছে, একবার সুযোগ পাই - কিন্তু ছানাদের দেখবে কে? একদিন আমি অন্যদিন তুমি - এভাবে যাওয়া যায়, কিন্তু একা একা হাঁটা বড্ড ব্যাথা। আলাপ আলোচনাতেই দিন যায়, মাস যায়, বছরও চলে যায়। এবছরে মা'র আসবার টিকিটটি কেটেই প্রথম কথা, এবারে যাবোই। মা`'র কাছে ছানাদের রেখে সারাদিনের জন্য হাঁটতে যাওয়া।

    প্রথম কাজ হল পারমিট। সে আবার বড় জ্বালা। লটারি হবে। ৫ টা সম্ভাব্য দিন লিখে জমা দাও। যদি কপালে শিকে ছেঁড়ে। এক এক করে সবাইকে জিগালুম, কেউ যেতে রাজী নয়। শুধু আমরা দুজনে। তবু কি মনে করে ৫ জনের অপশন দিয়ে দুজনে আলাদা আলাদা লটারির কাগজ জমা করলুম। ১৫ই এপ্রিল খবর এলো আমি পেয়েছি, ৩রা জুনের জন্য। ইয়াপ্পি... তৈরি হও এবারে, জিমে গিয়ে দৌড়াও, ছোট খাটো হাইকে যাও কাছাকাছি, হাইড্রেশন প্যাক কেনো, গ্লাভস কেনো, ভালো দেখে গোড়ালি সাপোর্ট পায় মতন জুতো কেনো। ফেসবুকে ভিডিও দেখে সাহস সঞ্চয় করো। তবু মনে সন্দেহ, পারবো তো! এর মাঝে আবার রিনি জীমে পা মচকে আছাড় খেয়ে করুনভাবে ল্যঙচাচ্ছে। সপ্তা দুই আগে মাউন্ট বল্ডির ১২ মাইল হেঁটে ফেরার সময় সে আর পা ফেলতে পারে ন প্রায়। ১ সপ্তাহ আগে পর্যন্ত কোমর ব্যাথা। মারিপোসা আইল্যান্ডে প্রায় সারাক্ষন বসে শুয়ে। ২ মাইল হাঁটতে এদিক ওদিক ফেটে যাচ্ছে। এমন করে হবে তো শেষমেষ!
  • RATssss | 73.192.82.30 | ০৮ জুন ২০১৩ ০৬:৩৪393476
  • এদিকে ছানাপোনারাও জেনে গেছে বাপ-মা হাফ-ডোম যাবে। বাড়ির সিঁড়ির রেলিংএর বাইরে দিয়ে ওঠে আর হাফডোমে পৌছায় প্রতিদিন বেশ কয়েকবার করে। কেবল ধরে ওঠাটা ইউটিউবের দৌলতে বেশ পরিচিত ওদের। গোছগাছ করে রওনা হওয়া গেল ১লা জুন (২০১৩) সকাল সকাল। প্রথমে মারিপোসা গ্রোভ, সেকোয়া গাছের জঙ্গলে। ঘন্টা দুয়েক ওখানে ময়না করে লাঞ্চ ব্রেক। ফ্রায়েড রাইস - চিকেন সাঁটিয়ে পরের গন্তব্য গ্লেসিয়ার পয়েন্ট। প্রথমবার হাফডোম দেখা। Yosemite পুরোটাই গ্লেসিয়ারের ঘসটানোর ফলে তৈরী। এখানথেকে গ্লেসিয়ারের যাওয়াটা বোঝা যায়। আমাদের হাঁটার পথের অনেকটা আন্দাজ পাওয়া যায় দুটো ফলস সহ হাফডোমের ন্যাড়া গ্রানাইট পাহাড়ের মাথাটা দেখা যায় বলে। টেলিস্কোপে চোখ রেখে ডোমের মাথায় প্রচুর জনগনের হদিশ পাওয়া গেলে বিকেল ৬ টেতেও। পারমিট চালু হবার পরে লোকে এখন যে সময়ে রেঞ্জার থাকে না, তখন যায়। ইচ্ছে ছিল সানসেট দেখার। কিন্তু জীবন যে বেগুনভাজা। তাদের ক্ষিদে পাচ্ছে, ঘুম পাচ্ছে, ক্র্যাঙ্কি হচ্ছে - এসব নিয়ে ঠিক হল, সানসেট দেখা বাতিল। চলো কারী ভিলেজ। মাদাম কারীর নামে হীটার সহ টেন্ট। রাতে বেশী শীত করলে গরম চালিয়ে দাও, উপকার হলেও হতে পারে। আর নয়ত স্লীপিং ব্যাগ ভরসা।
    অবাক কাণ্ড, বেশ ভাল কাটল রাত। ঘুমালো সবাই বেশ ভাল। সবকিছু এক্কেবারে পিকচার পারফেক্ট। একটাই অসুবিধা কারী ভিলেজে রান্না করা বা আগুন জ্বালানো যায় না। তার জন্য ঠিক হল পরের রাত থেকে থাকার যায়গা চেঞ্জ। এবারে ঠিকানা হবে হাউসকিপিং ক্যাম্প। এতে ক্যাম্প ফায়ার করা যায়, রান্না করা যায়, বারবিকিউ করা যায়। ছানাদের দৌড়ে বেড়ানোর যায়গাও অনেক বেশী। আজ তাই অল্পসল্প এদিক ওদিক ময়না করার বাসনা -- আর সারাদিন ল্যাদ খাওয়ার পরিকল্পনা। একটাই কাজ সকালে, ট্রেল শুরুর যায়গাটা ভাল করে দেখে রাখা। যেহেতু অন্ধকার থাকতে হাঁটা শুরু, সকালবেলার খোঁজাখুঁজি না থাকাই শ্রেয়। সেও হয়ে গেল সময় মতন। তবে সারাদিনে ল্যাদ আর হল কই। সবাইকে ভাল করে না ঘুরিয়ে দেখালে চলে? yosemite ফলসের নিচে বড় বড় পাথর দেখে কেউ কি সেগুলো না চড়ে পারে? ফলসের নিচে জলের ছিঁটেতে না ভিজে কেউ কি ফেরত আসতে পারে? পাথর ধরেও তো একটু বাইতে ইচ্ছে করে সবারই।
  • RATssss | 73.192.82.30 | ০৮ জুন ২০১৩ ০৭:১৯393477
  • সবকিছু সেরে সন্ধে সন্ধে পৌছানো ক্যাম্প গ্রাউণ্ড। ইচ্ছে আজ রাতে জলদি শুয়ে পরা। কাল সকাল সকাল রওনা দেওয়া। কিন্তু যা ভাবে লোকে তা কি হয়। ক্যাম্পফায়ার করতেই হয়। অন্ধকারের পরে বাইরে থাকলে মশার কামড় খেতেই হয়। কালকের জন্য সব রান্না বান্না করে রেখে যেতে হয়। তবু সব সেরে প্রায় ১০টা নাগাদ স্লিপিং ব্যাগের মধ্যে ঢোকা গেল, তবে ঘুম আসে কই। রাতবিরেত অবধি জেগে থাকার অভ্যেস কাটিয়ে শোয়া যদিও গেল, মাঝরাতে ধুপধাপ ধুরধার করে কে যেন কাকে তাড়া করেছে। ভাল্লুক? কে জানে? অ্যালার্ম লাগানো হল সাড়ে তিনটেতে। ব্যাগপ্যাক জল টল সহ রেডী করে শোয়া। শুধু জুতো গলাবো আর শুরু করব - কিন্তু বেগুনভাজারা সব বোঝে। যেদিনই যাওয়ার থাকে, সকালে তাদের মাম্মা চাই নয়ত বাবা চাই। এদিনেও নো ব্যাতিক্রম। হুল্লাট চিল্লামিল্লি সকাল সকাল। ত্যানায় ছানা সামলাতে ব্যস্ত হলেন, আর আমি ঠাণ্ডায় বাইরে বসে ঠক ঠক করতে লাগলাম।
    সামলে সুমলে শেষমেষ ৫টার একটু আগে রওনা দেওয়া গেল। ৫টা থেকে হাঁটা শুরু করলে একটা সুবিধে, মিষ্ট ট্রেল ধরে যাওয়া যাবে, ১ মাইল কম হাঁটতে হবে তবে বড্ড খাড়াই এ রাস্তা। "পারমিট বিনে যেও নি, কানে ধরে নামিয়ে দেব" -এর সামনে যখন পৌছলাম, তখনও ঘোর অন্ধকার। এমন সাবধান বানী পথের অনেক জায়গায়, তবু কেউ যে কেন পারমিটটি দেখতে চাইল না কে জানে। মাথায় আলো বেঁধে চলা শুরু প্রায় ৫টায়। নদীর ঝমঝম শব্দ শুনতে শুনতে চলা। এ পুরো রাস্তায় জল পাওয়া যায় শুধু প্রথম ১ মাইল। তারপরে জল ফুরিয়ে গেলে শুধু নদীর জল ভরসা। আমাদের পিঠে প্রায় ৫ লিটার জল। হাতে লাঠি। পুরো ট্রেলটাকে ৫ ভাগে ভাগ করে নেওয়া প্রথমে। ট্রেল হেড থেকে ভারনেল ফলসের গোড়া, টপ অব ভারনেল ফলস, টপ অব নেভাদা ফলস, লিটল ইয়েসোমিটি ভ্যালি ক্যাম্প, সাবডোমের গোড়া, কেবল পয়েন্ট, টপ অব হাফ ডোম আর প্রতিটা-তে সময় লিখে কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে আছি তার হিসেব রাখা।

    টানা ৮ মাইল চড়াই চলা শুরু - ট্রেল শুরু থেকেই। ধাঁ ধাঁ করে রাস্তা খালি উপরে ওঠে। তবে নদীর পাশে রাস্তা, মার্সেড নদীর জলের শব্দ সর্বক্ষন। আকাশ পরিস্কার হতে শুরু করল ধীরে ধীরে - আমরা পৌছলাম ভার্নেল ফলসের নীচে। এখানেই শেষ কলের জল। পেট ভরে জল খেয়ে এগিয়ে চলা। ঠাণ্ডা ভালোই তবু ঘেমে নেয়ে চলেছি প্রথম ১ মাইলে। রাস্তা ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় জলপ্রপাতের পাশে। প্রায় জল ধরে উপরে ওঠা। জলের গুড়োয় প্রায় মেঘ কুয়াশা। মিষ্ট ট্রেল নাম সার্থক। ঘাম আর জলপ্রপাতের জলে জামা ভিজে একসা। পাথর বোল্ডারের উপরে এগিয়ে যাওয়া খালি। পাহাড়ে যেমন হয়, সিঁড়ি গুলো পাথর ফেলে ফেলে। সাধারন বাড়ির সিঁড়ির ৩ টে বা ৪ টে সমান একটা। চার হাতপা কাজে লাগিয়ে ওঠা অনেক সময়। তবে এমন জল কুয়াশার কখনো চলি নি আগে, বেশ মজাদার। পায়ের তলায় পাথর অনেক সময় পিচ্ছিল - এটা যা একটু চাপ। প্রায় আধ ঘন্টা খানেক জলের গুড়োয় ভিজে উঠে এলাম ভারনেল ফলসের মাথায়। এ পথে লোকে প্লাস্টিকের পঞ্চু চাপিয়ে চলে। এবারে নাকি নদীতে জল এত কম, যে মিষ্ট ভালমত হচ্ছে না - বার পনেরবার হাফডোমে ওঠা এক হাইকার জানালেন। আমরা বাপু প্রথম বার, আমাদের কাছে এটাই অনেক।
  • sosen | 125.242.157.17 | ০৮ জুন ২০১৩ ০৯:৫৯393478
  • হিংসে হিংসে ইস
    ছবি হবে নে, ইঁদুরদাদা?
  • RATssss | 86.95.25.179 | ০৮ জুন ২০১৩ ১২:৫৮393479
  • ছবি আছে তো! ফেসবুকের পাতায়
  • | 24.97.65.153 | ০৮ জুন ২০১৩ ১৩:০৯393480
  • আর কিছু না, সেরেফ ফিটনেসটাকেই হিংসে করছি, বুঝলে ইন্দুরাস।
    দীপান্বিতা আছে কেমন? কদ্দিন দেখি না এ তল্লাটে।
  • RATssss | 73.192.82.30 | ১০ জুন ২০১৩ ২৩:০২393481
  • আছে আছে সবাই আছে। নিপা হয়ে থাকলে দেখা যায় সামান্য।
    ফিটনেস নিয়ে হিংসে করে লাভ নেই, যা হামাগুড়ি দিয়ে ফেরত এসেছি সে তো শুধু আমি জানি :)
    গ্রান্টি দিচ্ছি, ঠিকঠাক প্ল্যানিং করে গেলে সব্বাই পারবে - মনের & কলজের জোরটাই আসল কথা
  • sosen | 111.63.203.94 | ১০ জুন ২০১৩ ২৩:১৫393483
  • আরে সে ফেসবুক আমি ক্যামনে দেখুম? আফনে আমার বন্দুক না কিনা! এখানে দ্যান্না!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন