এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর  জীবনানন্দ

  • জীবনানন্দ ও সঞ্জয় ভট্টাচার্য: ভূমেন্দ্র গুহ

    I
    বইপত্তর | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৮ | ৫৪৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | 203.99.212.224 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৫:৫৭403841
  • না পড়িনি।
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৬:২২403842
  • h-এর সাথে অনেকটাই একমত যে সচেতন ভাবে ছাড়া লিখে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু দুটি কথা যোগ করতে চাই।

    ১। জীবনানন্দের ঘোরের মধ্যে লেখেন এবং পাঠকরা পড়ার সময়ে একরকম ঘোরের মধ্যে পড়ে যায় - এই মতটা তো তখন থেকেই প্রচলিত যখন জীবনানন্দ শুধুই 'কবি'। গদ্য তখনো বেরোয়নি। এই ব্যাপারটা ঘটে কি করে? সেটা কি লেখকের কব্জির জোরের ওপর নির্ভর করে? craft-এর ওপর তার কতখানি দখল তার ওপর নির্ভর করে? imagination আর craft-এর মিশেল?

    ২। গদ্যের ক্ষেত্রেও তো দেখা যায় যে ১৯৪৮ সালে ২-৩ মাসের মধ্যে গোটা তিনেক উপন্যাস শেষ করছেন। এবং সবগুলি finished। এই ব্যাপারটা দেখেই মনে হয়, যেন ঘোরের মধ্যে লিখেছেন। যেন মাথায় ছিল সবই, খাতায় transfer করেছেন।

    মাণিক বন্দ্যোপাধ্যয়ের ক্ষেত্রেও তো 'অশিক্ষিতপটুত্ব প্রতিভা' - এই মতটা এক সময়ে ব্যবহার করা হত।

    তাহলে 'লেখাই লেখককে দিয়ে লেখায়' - এই কথাটা সেই সব লেখার ক্ষেত্রেই হয়ত আম্রা প্রয়োগ করি, যা পড়ে মনে হয় যে লেখক লেখাটাকে control করার চেষ্টা করেননি। আদৌ এরকম ঘটে কিনা, সেটা তো লেখকেরাই বলতে পারবেন। এই নিয়ে একটা টই খুলে ইন্দো সহ অন্যদের যারা লেখালেখি করেন তাদের মতামত নেয়া যেতেই পারে । :-)
  • h | 203.99.212.224 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৬:৫০403844
  • কেসটা ডাইগ্রেস করে যাচ্ছে। তোমরা লেখ। সরি।
  • h | 203.99.212.224 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৬:৫০403843
  • এই যে গুরুতে আমরা কাটাকুটি বিহীন লিখি, সোমনাথকে বার খাওয়ালে সোমনাথ সব কটার প্রিন্ট আউট নিয়ে , ফোটোকপি করে, বাঁধিয়ে বই পজ্জন্ত করে ফেলতে পারে, তাই দিয়ে কি প্রমাণ হয় আমরা সকলেই ঘোরে আছি? বেঘোরে আছি পজ্জন্ত বলা যায় ম্যাক্স। ম্যাক্স কোনো কোনো ক্ষেত্রে;-)
    একটা জিনিস নিয়ে অনেকদিন ধরে ভাবলে, আর কোমর বেঁধে বসলে, ওরকম তাড়া তাড়ি অনেক কিসুই লেখা যায়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ঘোরে বা বেঘোরে কোনো অবস্থাতেই জীবনানন্দের আর অন্য কোন ক্যালানের আউটপুটের কোয়ালিটি আলাদা হবে।
    আর বরিশালের পোলা কাটাকুটি করতেন না, বিশ্বাস হয় না। খুঁত খুঁতস্য খুঁত খুঁতে একটা লোক, কাটা কুটি করত না, লেখার বেলায়, তাই কখনো হয়। তার মানেই চিন্তা করতো। 'ট্রান্সের' কোন ট্রান্সস্ক্রিপ্ট হয় না:-)
    আরেকটা কেস হল, মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায় কে 'অশিক্ষিত পটুত্ব' যারা বলতেন, তাঁরা একটু বেশি বেঁড়ে পাকা ছিলেন মনে হয়। হতে পারে মাণিক ফরাসী জানতেন না, বা হয়তো হীরেন বাবু/গোপালবাবুদের মত বা অন্যদিকের স্টলওয়ার্ট তারাশংকরের মত সংস্কৃতর ক্লাসিকস একেবারে সব পড়া ছিল না। পরিচয়/কবিতা ভবনে/বা বিভিন্ন আঁতেল ঠেকে বেঁড়েপাকা ছিল না একেবারে, সকলেই একেবারে ক্লাসিক কোয়ালিটি ছিলেন, এটা হয় না। প্রত্যেক ঠেকে কিচু বেঁড়ে পাকা থাকে। গুরুতে যেমন আমি;-)
    আমি আড্ডা গুলোর ইতিহাস কিছু জানি না, মেমোয়ার ও বেশি পড়ি নি। মাণিককে অশিক্ষিত পটুঙ্কÄ বলাটা জাস্ট বেঁড়ে পাকামো বলেই মনে হল।
  • . | 198.96.180.245 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৭:৩৭403845
  • জীবনানন্দ কাটাকুটি করতেন। খুব বেশিরকমই কাটাকুটি করতেন।
  • omnath | 117.194.198.19 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৯:৩০403846
  • ইয়েস। পান্ডুলিপির কপি দেখার পর থেকে এই কথাটা সবাই জানে। কথা হচ্ছে সেই লেখাগুলোকে নিয়ে, যেগুলো প্রায় প্রেসকপির মত টানা লেখা। কাটাকুটি বিহীন। হতেই পারে ওগুলো আসলে ফেয়ার কপি করে রেখে বেসিক কাটাকুটিওয়ালা পান্ডুলিপিটা নষ্ট করে ফেলেছিলেন। কিন্তু কথা হচ্ছে সেরকম গোয়েন্দাগিরি প্রচুর লোকজন করছেন। করেই চলেছেন। আরো বেশি করতে উৎসাহ দেওয়ার জন্যে এখন আবার ডায়রি গুলোকেও পান্ডুলিপি সংস্করণ করে মার্কেটে ছাড়া হচ্ছে।

    কারণটাও খুব সোজা। জীবনানন্দের লেখাপত্র মোটামুটি সবই কোয়ালিটি লেখা। তো একটা লোক কিভাবে এত ভালো লেখা লিখতে পারে, প্রায় স্বপ্নে পাওয়ার মতন, ঘোরে, নিয়তিতাড়িত ভাবে , না, একটা একটা করে শব্দ সাজিয়ে, কেটে, জুড়ে, ভেবে, এইটে জানলেই যেন ভালো লেখালেখির মূল কথাটা জানা হয়ে গেল।

    তারপর সেইভাবে লিখতে শুরু করলেই হয় আর কি। :-)

    জীবনানন্দের লেখার প্ল্যানিং পার্ট টা "দিনলিপি" পড়লেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এখনও অবধি দুটো পার্ট বেরিয়েছে। প্রতিক্ষণের। লিটেরারি নোটস বলে মার্কেটিং।
  • I | 59.93.198.7 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৫২403847
  • এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি কয়েকদিন ধরেই ওমনাথকে প্রশ্ন করব- করব ভেবে এসেছি। এই দিনলিপি জিনিষটা কি? প্রতিক্ষণ যে বলেছিল দিনলিপি বের করবে না? ছাপার অক্ষরেই তো বলেছিল !
  • I | 59.93.198.7 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৫৮403848
  • বরিশালের পোলা খুঁতখুঁতে বেশী হবে কেন? কোন যুক্তি অথবা যুক্তিহীনতায়?
    প্রসঙ্গত: , আম্মো পিতৃকুল-মাতৃকুলে বরিশাল, এবং খুঁতখুঁতে। এমনকি আমার বাবাও বরিশাল, এবং-খুঁতখুঁতে।
  • d | 117.195.40.64 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৫৯403849
  • আমি কোন কুলে কেউ বরিশালের নয়। কিন্তু আমি খুব খুঁতখুঁতে। তাহলে খাড়াইলডা কি?
  • d | 117.195.40.64 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:০০403851
  • *আমার
  • ranjan roy | 122.168.72.96 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:৪০403852
  • ঘোরের মধ্যে লেখা বনাম সচেতন লেখা: আমার দুই পয়সা
    --------------------------
    মূলত: হনু আর ঈশেনের বক্তব্য সঠিক। কিন্তু কেন কিছু লেখা পড়লে মনে হয় -- "ঘোরের মধ্যে লেখা', " লেখাই লেখককে দিয়ে লিখিয়ে নিচ্ছে' ইত্যাদি?
    আমার মতে এই ঘোর ব্যাপারটা আপেক্ষিক।
    এক, সম্পূর্ণ ঘোরের মধ্যে বা দৈবী পরাচেতনায় থেকে কোন সৃষ্টি সম্ভব নয়। কারণক লেখককে লিখতে হবে কাগজ-কলম-কালির সাহায্য ( আজকাল কম্পূ'র সাহায্য) নিয়ে। ঐ বস্তুগুলোর আবার নিজস্ব পদার্থধর্ম আছে। সেগুলোকে সচেতনভাবে ব্যবহার না করে কোন লেখকই কিছু করতে পারবেন না।
    অন্য মাধ্যমের উদাহরণ দিই।
    শিশির ভাদুড়ীকে জিগ্যেস করা হয়ে ছিল উনি রঘুবীর চরিত্রের অভিনয়কালে রামের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান কিনা? দেখলে দর্শকদের ঐ রকম মনে হোত।
    উনি জানালেন তাহলে মাপা পায়ে কি করে স্টেজের মধ্যে নিজের জোন কে ব্যবহার বা সহ অভিনেতাদের সরিয়ে স্পটলাইটের ফোকাস পুরোপুরি নিজের উপর নিতাম?

    দুই, তাহলে কেন এরকম মনে হয়? যদি লেখাটা আগেই মাথার মধ্যে লেখা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে কলম তরতর করে চলবে, মনে হবে স্বত:স্ফুর্ত:ভাবে বেশ পরিপক্ক গোছানো লেখা হচ্ছে। আসলে পাককর্মটিতো আগেই হয়ে গেছে। ভলো রিহার্সাল করা নাটকের প্রোডাকশন যেমন স্লিক হয়। বা বাঘা ওস্তাদদের তানকারি শুনে মনে হয় এক্ষুণি তৈরি করলেন! কী ক্রিয়েটিভ! আসলে হয়তো ঐ তানটি একশ' বার রেয়াজ করা হয়েছে।

    তিন, তবু কিছু লেখা , কবিতা, পেন্টিং, ফিলিম এমন হতে পারে যে স্রষ্টার নিজেরই মনে হবে তাঁকে দিয়ে কেউ এ'রকম করিয়ে নিল। বস্তুত: আগে উনি ঠিক এমনি করে ভাবেন নি।
    প্রথম মডেলের উদাহরণ দেব আমি সত্যজিৎ রায়ের ফিল্ম। চারুলতা তে চারু ও মন্দা যখন তাসের গাধাপেটানো খেলা খেলছে তখন উনি আগে থেকেই তাস গুলো ডায়লগের হিসেবে প্যাকে সাজিয়ে রেখেছিলেন যাতে অভিনেতৃরা কনশাস্‌ না হন এবং ওঁদের অভিনয়ে স্বত:স্ফুর্ততা দেখা যায়।
    দ্বিতীয় মডেলের উদাহরণ মৃণালের ফিলিম। উনি সত্যজিৎএর মতন অত আগেথেকেই প্রায় অংক কষে খুঁটিনাটি মেপেরাখা শ্যুটিংস্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করতেন না।একটা রাফ আউটলাইন নিয়ে শুরু করতেন। বাস্তবিক কাজের সময় সেটা বদলে বদলে যেত।
    তেমনি লেখার ব্যাপারেও হয়। যাঁরা আগে থেকেই মাথার মধ্যে প্রায় গোটা লেখাটা আনুপূর্বিক লিখে ফেলেছেন তাদের লেখা পাঠকের মনে হতে পারে এমন নির্ভূল সাবলীল লেখা নিঘ্‌ঘাৎদৈবী চেতনার ফসল।
    আবার যাঁরা একটা রাফ ছক মাথায় নিয়ে লিখতে শুরু করেন তাদের লেখা নানা বাঁক নেবে, শেষে কোন অকূলের কূলে পৌঁছবে নিজেও হয়তো জানেন না। তাঁর মনে হতেই পারে লেখাটা তাকে দিয়ে লিখিয়ে নিল।
    জীবনানন্দের( বা অধিকাংশ লেখকের) কিছু লেখা প্রথমগোত্রের, কিছু দ্বিতীয়ের।
    ধ্যেৎ, বকবক করে ঘেঁটে ফেললাম। সরি, আপনারা লিখুন।
  • d | 117.195.40.64 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:২২403853
  • ঈশান? কই ঈশান তো এবিষয়ে কিছু বলে নি।
  • Somnath | 117.194.201.10 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:৪০403854
  • বলে দিলে তো রহস্যই খতম। তাহলে তো আর কেউ কিনবে না!! :-)

    দিনলিপি হল ভূমেন্দ্র গুহ-র লেখা রহস্যগল্প। (ডিটেকটিভ নভেল। ইত্যদি)। তার থীম জীবনানন্দের লেখা ডায়রির এ¾ট্রী। গৌরবার্থে গবেষণা বলতে পারো, তবে, নিজ দায়িত্বে।

    দুই খণ্ডের মধ্যে ২৪.৫ পাতা জীবনানন্দের। মূলত: ইংরিজি, কিছু বাংলা শব্দসহ, ডায়রি এϾট্র। ৮৯৪ পাতার বাকিটা ভূমেন্দ্র গুহ, (প্রকাশকের ২ পাতা বাদে)।

    প্রথম সাড়ে ৫ পাতা কে সাড়ে সাত পাতা জুড়ে ব্যাখ্যা করার পর, সেগুলো টীকা বলে দাবি করা হল।

    তারপরের সাড়ে পাঁচ পাতাকে প্রায় লাইন ধরে ধরে নাম্বারিং করা হয়েছে। সেই ১৩৬ টা লাইন, বা এ¾ট্রীর মধ্যে ১০০ টার পিছনের গোয়েন্দাগিরি প্রকাশিত দুই খণ্ড জুড়ে করে ওঠা গেছে। বাকি দুখন্ডের কপালে কি নাচছে কে জানে?

    প্রকাশক বলছেন,
    ""আমরা এর আগে ঘোষণা করেছিলাম জীবনানন্দ-র দিনপঞ্জি এই প্রকাশের আওতার বাইরে থাকবে। কারণ, তাঁর ভ্রাতা ও ভ্রাতৃবধু এবং তাঁর কন্যা আমাদের সেই রকম অনুরোধই করেছিলেন। কিন্তু ইতস্তত: বিক্ষিপ্তভাবে নানা পত্র-পত্রিকায় তাঁর দিনপঞ্জি প্রকাশিত হচ্ছে - কিভাবে কেন হচ্ছে আমাদের অজান্তে - আমরা জানি না। হওয়া উচিত ছিল না। কিন্তু যেহেতু হচ্ছে - তা হলে প্রতিক্ষণই তা প্রকাশ করবে কবিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে। এরই ফলশ্রুতি বর্তমান "দিনলিপি' বা "লিটারারি নোটস'-এর প্রকাশ।''

    দু একটা উদাহরণ দিলে হয়তো বোঝা যেত ভালো। সে পরে দেখা যাবে। এখন একটা কমিক রিলিফ, ৫৭ নম্বর এ¾ট্রী :

    ""
    ৫৭ - মোষ্‌ হাম্‌সে ... -

    মোষ কে? "মোষ হামসে" কথাটার শুদ্ধ মানে হয়তো "আমাদের থেকে মোষ"। কিন্তু মোষ লেলিয়ে দেবার ক্ষমতাটা অন্তত জীবনানন্দ'র ছিল না। তা হলে, নিজেকেই তিনি মোষ-সদৃশ ভাবছেন? যখন বছরের -পর-বছর বেকার, বিশেষত পাঁচ বছর সকর্মক থাকার পরে, তখন জীবনানন্দ নিজেই অন্যের দেওয়া দানাপানিতে বেঁচে থেকে ভারবাহী মুখে-ফেনা-তোলা মোষ'এর মতন হয়ে গেছেন, তাঁর "স্ট্র্যান্ড'এ' কবিতাটায় যেমন? অথবা, তাঁর জীবনের বিরুদ্ধ শক্তিগুলি যুথবদ্ধ মোষ'এর মতন অমিত বিক্রমে তেড়ে আসছে তাঁকে? তিনি প্রতিরোধ করতে পারছেন না, এ-রকমও হতে পারে? অথবা হতশ্রদ্ধ ওই মোষ'গুলির জন্য একা ধরনের বেদনাক্ত সহানুভূতি বোধ করছেন, নিজের জন্য করেন যেমন মাঝে-মাঝে?

    ***

    বেল্টে ছাতা গুঁজে ট্র্যাফিক পুলিশ
    ব্যটন হাতে সার্জেন্ট
    .....

    ''

    (এইরকম কবিতা কোট করে এই এ¾ট্রীর আলোচনা শেষ হচ্ছে -মন্তব্য আমার ;-))

    বুলশীট।।

  • omnath | 117.194.197.128 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:৫৭403855
  • এই ঢপের ভাটের ঠেলায় ইন্দো ডাক্তার লেখা বন্ধ করে দিয়ে বাজে পোঁ ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর এক লাইন ও লিখবো না এই নিয়ে।
  • pi | 128.231.22.89 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:২৩403856
  • রঞ্জনদা, গানের বেলাতেও কিন্তু এমনি হতেই পারে। একশো বার রেওয়াজ করা হলেও কোনো আসরে বসে যে তানকারি, আলাপ, বিস্তার বেরোচ্ছে গলা থেকে, তা ঐ রেওয়াজি বাঁধা গতের পথে না ই হতে পারে। সে মুহূর্তে গানের মধ্যে সেভাবে ঢুকে পড়লে, গান গাইয়ে নেবে, ঐ লেখার নিজেকে লিখিয়ে নেবার মত। একশোবার রেওয়াজের কোনো ফল নেই এমনটি ও নয়। ঐ যে পথে গান চলতে চাইছে, সেই পথেই চলতে পারার মতন দক্ষতা, স্বচ্ছন্দ সাবলীলতা এসব রেওয়াজ ই তো এনে দ্যায়, অ-রেওয়াজী পথে চলতেও তার দরকার পড়ে। যাগ্গে, এসব বলে এই টই টা আর ঘাঁটবো না।
  • I | 59.93.216.112 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:২৯403857
  • ৬ই ফাল্গুন, ১৮ই ফেব্রুয়ারি। আজ জীবনানন্দের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে বয়স হত ১১০ বছর।
  • I | 59.93.216.112 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:৪৩403858
  • হ্যা, ব্যাপারটা একটু ভুল দিকে চলে যাচ্ছিল। মানে ঐ লেখা কাটাকুটির ব্যাপার আর কি। কাটাকুটি করে লিখলেই সে সচেতন ভাবে লিখছে, আর না করলে ঘোরে-এরকম মানে বোধ হয় করতে চাই নি, যখন বলেছি লেখক লেখার পিছন পিছন ঘুরে বেড়িয়েছেন।
    রঞ্জনদা খানিকটা পথে এনেছেন। তা-ও ঐ ঘোরের ব্যাপার থেকেই গিয়েছে। আসলে আমি খানিকটা দায়ী। প্রথম গপ্পোটা বলে ঘেঁটে দিয়ে থাকতে পারি।
    না, ঘোর নয়। কথা হচ্ছে, লেখক লেখাকে ক®¾ট্রাল করতে পারছেন কিনা। তিনি কি সমস্ত কিছু ছকে ফেলে, প্রতিটি minute details মাথায় রেখে লিখতে নামছেন,সত্যজিত যেভাবে সিনেমা বানাতেন? নাকি ইনস্পিরেশনের তাগিদে লিখতে বসেছেন, একটা ক্ষীণ গল্পরেখা মাথায় রয়েছে(কিংবা গল্পহীনতা, জীবনানন্দের কোনো কবিতার লাইন যেমন, এই ধরুন-তোমার হৃদয় আজ ঘাস); আর তারপর থেকে এই ঘাস/অথবা হৃদয় নামের কোনো ছেলে -সে লেখকের সামনেই ফনফনিয়ে গজিয়ে উঠছে, লেখক যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবে পুরোটা হয়তো নয়। যদিও খুঁটিয়ে দেখলে কোনো খুঁতখুঁতে বরিশাইল্যা বলতেই পারেন, শেষমেশ কিন্তু বাবা সেই লোকটার কলমে কিংবা কি-বোর্ডেই হৃদয়ের জন্ম, হৃদয়ের মৃত্যু। বললে আমি খুব একটা আপত্তি করবো না,কেননা ও কথাটা৯লেখার পেছন পেছন ঘোরা ইত্যাদি) খানিকটা গোলা করে বলা। সন্দীপন কি বলতেন আমি জানি না।

  • saikat | 202.54.74.119 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:৪৭403859
  • আমাদের এত সব analysis শুনে ঠোঁট টিপে মুচকি হাসি নাকি অট্টহাসি কোনটা দিতেন যানা নেই। :-)
  • I | 59.93.216.112 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:৫৬403860
  • তবে ঘোরে লেখার কথা লোকে ভাবেনি, তা তো নয় ! মারিজুয়ানা টেনে লিখতে বসা তবে আর কিজন্য !
    আর এমন অভিনেতাও জানি, যে অ্যাক্টো করতে করতে সত্যি সত্যি কেঁদে দিত /দেয়। যদিও বহুবার রিহার্সিত। তবে তাতে মালটাকে গুবলেট করে দেয় কিনা জানিনা।

    ঋত্বিক কোথায় বলেছিলেন, সিনেমা তৈরী করা এমন শারীরিক পরিশ্রমের কাজ, লোকেশনে গিয়ে অনেক কিছু মাথা থেকে বেরিয়ে যায়। এবং ঋত্বিকের কোন অভিনেতা যেন বলেছিলেন, অনেক সময়েই কোনো তৈরী করা script থাকত না ! সিচুয়েশন বুঝিয়ে দিয়ে বলতেন, ও যাহোক একটা ভেবে নিয়ে ডায়ালগ বলে দে ! অযান্ত্রিক সিনেমায় লোকেশনে গিয়ে আদিবাসীদের নাচ দেখে খুব ভালো লেগে যাওয়াতে সেটা সিনেমায় ঢুকিয়ে দিলেন, স্ক্রিপ্টে ছিল না। সত্যজিত শুনে শিউরে উঠেছিলেন নিশ্চয়। তবে তাতে ফল যে খুব খারাপ হয়েছিল মনে হয় না।
    ডি : এর সঙ্গে লেখক লেখাকে চালাবে, না উল্টো-এই টপিকের কোনো সম্পর্ক নই।

  • kc | 213.132.250.2 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:১০403862
  • ডাক্তারবাবু, লেখাটা চালিয়ে যান।
  • dhakkhov | 75.3.201.181 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৩:১০403863
  • ইন্দোবাবু, মাথা ঠান্ডা করে লিখে যান।

    আর তা না পারলে নিদেন পক্ষে মারিজুয়ানা টেনে ঘোরে লিখুন। কিন্তু দোহাই আপনার, আসামে বেড়াতে যাবার আগে লেখা থামাবেন না।
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৫:৫২403864
  • কেউই যখন কিছু লিখছেন না, আমিই বরং একটা ছোট কথা লিখি যাতে পরে লিখলে আবার না টইয়ের সুতো জড়িয়ে যায়।

    এখানে লেখা এবং পড়া করতে গিয়ে মনে হচ্ছিল যে জীবনানন্দ কি কখনো গদ্যগুলো ছাপাবার চেষ্টা করেননি? নিদেন পক্ষে পূর্বাশায়? গত কাল / পরশু একটা বইতে সঞ্জয় ভট্টাচার্য্য কে লেখা একটা চিঠি পড়লাম।(আগেও পড়েছিলাম কিন্তু ভুলে গেছিলাম) কিছু কবিতা পাঠিয়েছেন এবং সেই বাবদ অগ্রিম টাকা দাবীই করেছেন বলা যায়। এও বলে দিয়েছেন যে ক্যাশে টাকাটা ফেরত পেতে গেলে ৬-৭ মাস অপেক্ষা করতে হবে। এরই সাথে জানিয়েছেন যে একটা উপন্যাস পাঠাতে পারেন এবং সঞ্জয় বাবু চাইলে সেটি পূর্বাশায় ছাপতে পারেন। ছদ্মনামে।
  • I | 59.93.214.158 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৫৩403865
  • বাবু, সপ্তাহের মাঝে লেখালিখি করা বেশ চাপের। উইকএন্ড আসুক, তবে না !
  • I | 59.93.214.158 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৫৫403866
  • এই রাশ্যান ধাক্কভটিকে কি আমি চিনি? ও ডম, IPটা কি গুয়াহাটির?
  • I | 59.93.214.158 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:০৪403867
  • জীবনানন্দের হাসি পড়ে বু. ব-র "আমার যৌবন' মনে পড়ে গেল : ""দুহাত ছড়িয়ে প্রায় নি:শব্দে উচ্চ হেসে ওঠার একটা ধরণ আছে তাঁর-হঠাৎ যখন কৌতুকরস তাঁকে অধিকার করে, বা বিশেষ কোনো সমালোচকের কথা উঠলে ছুঁড়ে দেন কোনো তীব্র মন্তব্য-"asinine' intellect ! বা " abysmal stupidity!' -কিন্তু তার জের টেনে আর কিছু বলেন না, ঐ হাসির দমক ফুরোনোমাত্র তাঁর কথাও থেমে যায়।''
  • I | 59.93.222.252 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৩৭403868
  • বাব্বা ! এ তো ঘোড়ার মত দৌড়চ্ছে। এরি মধ্যে এই টইটা এক পাতা পিছিয়ে গেল !
  • I | 59.93.222.252 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:২৮403869
  • তোমাকে শাসন করে সংক্ষিপ্ত সময়
    ---------------------------------

    (লাইনটা বিজয়া মুখোপাধ্যায়ের একটা কবিতা থেকে নেওয়া। কোন কবিতা , নাম মনে নেই। তবে জীবনানন্দ বিষয়ক নয়।)

    জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন-পরবর্তী কবিতা মানে বেশ খাটো, বলেছেন কেউ কেউ। বুদ্ধদেব বসু তো বটেই। রুচি আপনা আপনা।
    আমার কিন্তু বেশ ফ্যাসিনেটিং লাগে জীবনানন্দের এই যাওয়াটা; ১৯২৪ থেকে ১৯৫৪-তিরিশ বছর ধরে কবিতার হাত ধরে হাঁটা। ঝরা পালক থেকে বেলা অবেলা কালবেলা। এর মধ্যে আস্ত একটা বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গেল,দেশটা স্বাধীন হয়ে দু-টুকরো হয়ে গেল; পৃথিবীজোড়া মহামন্দা এল। বিয়ে করলেন, ছেলে-মেয়ে হল। কতবার চাকরিতে ঢুকলেন, চাকরি ছাড়লেন। তবু এসবের মধ্যেও কবিতা নামের ছোট্ট মেয়েটি, সে হাত ধরেই রয়েছে অন্ধ কবির; দেখুন, ওরা ধীরে ধীরে পার হচ্ছে রাস্তা, আপনার শহরের ট্রামলাইন পাতা রাস্তা। চারিদিকে জীবন ছুটে যাচ্ছে এদিক-ওদিক-সেদিক, গ্যাস অথবা বিদ্যুতের আলো পেরিয়ে সোলার আলো জ্বলে উঠছে একটা একটা করে ;মায়াবী সন্ধ্যা নামছে কলকাতা শহরে।
  • I | 59.93.255.129 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৭:২৫403870
  • হিসেব করে দেখলাম, এই তিনটে দশক ধরে যে এত লেখালিখি করলেন, এত এত গদ্য, অজস্র কবিতা-তাতে প্রায়শ:ই ওঁর গদ্য আর ওঁর পদ্য সাথসাথ চলেনি। সৈকত যেমন বলছিল, জীবনানন্দ'র বেকার থাকার বড়সড় পর্ব হল দুটো : একটা ১৯৩০-৩৫, অন্যটা ১৯৪৬-৫০। এই দুটো সময়ের মাঝখানটা, অর্থাৎ ১৯৩৫-১৯৪৬ কিছুটা স্টেবল কেটেছে ওঁর বরিশালের বি. এম কলেজে অধ্যাপনার কাজে ; আর একদম শেষদিকে কিছুটা সুস্থিতি মিলেছিল,বোধহয় কিছু আর্থিক সাশ্রয়ও হয়েছিল, হাওড়া গার্লস কলেজে যখন চাকরি করেছিলেন, সে-ও তো মাত্র একবছরের কিছু বেশী-১৯৫৩ থেকে মরে যাওয়ার আগে অবধি।
    আসল কথায় ফেরা যাক, গদ্যের জীবনানন্দ যত তেতো, কবিতায় প্রায়শ: তা নন। কিংবা আর একটু পরিষ্কার করে বললে, অনেকদিন অবধি তা নন। যেমন ধরা যাক সফলতা-নিষ্ফলতা নামের উপন্যাসখানা, এটা ১৯৩২ সালে লেখা। মহামন্দার বছর। কবিতা লিখে সফল হতে চাওয়া একজন যুবক, সময়ের হাতে সে কী যাতনা ভোগ করছে; তার সমসময়ের কবিবন্ধুরা কবিতা ছেড়ে গল্প, গল্প ছেড়ে উপন্যাসে-উপন্যাসে বাংলার সাহিত্যজগতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে; আর বেকার নিখিলেরই কেবল দায় পড়েছে ভ্যাপসা মেসে কাঁকড়ভরা ভাতের পিন্ডি গেলবার। এই উপন্যাসে দাম্পত্যের বিষ কিম্বা বেড়ালছানার মত হাড্ডিসার মেয়ে-উদাসীন পিতা-খান্ডার মায়েরা সেন্টারস্টেজ জুড়ে বসে নেই; একেবারে যে নেই, তা নয়, তবে তারা অনেক দূরের, যেন ধূসর ব্যাবিলন থেকে টাকা পাঠানোর চিঠি লেখে অথবা লেখে না। এই গদ্যের বিটারনেস (অন্তত: উপরিতলের হিসাবে) নিখিলের কবি হিসাবে টাকা-পয়সা-নাম করতে চাওয়া/সার্থক কবিতা লিখতে চাওয়া আর তা না -পাওয়া থেকে সঞ্জাত, তিরিশের মহামন্দার মার থেকে বেশী সঞ্জাত, যতটা না সাংসারিক সম্পর্কের বেদনা থেকে (অবশ্য এসব যে ওয়াটারটাইট কম্পার্টমেন্ট তা-ই বা কে বলেছে)। অন্তত: জীবনানন্দের অন্যান্য গদ্যের তুলনায়।

    তা সে যা-ই হোক। খুবই বিটার। অথচ এই সময়ে কী কী কবিতা লিখছেন তিনি? জীবনানন্দের কাব্যসমগ্র খুঁজে দেখলাম; ১৯৩২-এ প্রকাশিত (বই অথবা পত্রিকায়) কোনো কবিতা সেখানে নেই। অগ্রন্থিত কবিতার মধ্যেও নেই। আছে, ওর কাছে-পিঠে রয়েছে। ১৯৩৩-এ লিখেছেন ""শকুন''(""...যেন কোন বৈতরণী অথবা এ জীবনের বিচ্ছেদের বিষণ্ন লেগুন/ কেঁদে ওঠে... চেয়ে দেখে কখন গভীর নীলে মিশে গেছে সেই সব হূন।'') এবং, অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ১৯৩৪-এ রূপসী বাংলার কবিতাগুচ্ছ (যাদের কোনো আলাদা পরিচয় নেই, যারা সব মিলিয়ে একটাই কবিতা, জীবনানন্দ ওদের আলাদা করে নাম-ও দিয়ে যান নি কোনো)। অগ্রন্থিত কবিতা-সেই সময়ের-সেও রূপসী বাংলার সুরে বাঁধা। একখানা কবিতা একটু আলাদা মেনশনের দাবী রাখে,অন্তত: প্রথম লাইনটা- কোথায় পেয়েছ তুমি হদয়ের স্থির আলো পৃথিবীর কবি ! (কোথায় পেয়েছ তুমি-নামকরণ অন্যের) ১৯৩৫-এ "বনলতা সেন', ১৯৩৫-এই "মৃত্যুর আগে' (আমরা হেঁটেছি যারা নির্জন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায়)-অর্পণ যে কবিতাটা প্রিয় কবিতার সুতোয় তুলে দিয়েছিল, আমারও খুব প্রিয় কবিতা।
  • I | 59.93.255.129 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৮:০০403871
  • ভাবতে বেশ আশ্চর্য লাগে, কিছুটা এক ধরনের ব্যথাভরা মজাও, যে একটা লোক ৩০-৩২-এর সেই দিনগুলোতে, চাকরি নেই, বাকরি নেই, চালচুলো নেই, গদ্যে গদ্যে সে ধরে রাখছে পুঁজিবাদের ক্রিটিক : " "একটা গাছের জীবন অব্দি আজ আর স্বাধীন নয়-নিজের ইচ্ছায় সে বাড়তে পারে না, জন্মাতেও পারে না-মানুষ এসে তার মাপ নেয়-কেটে ফেলে-টিম্বার তৈরী করে-তার অপ্রীতিকর জায়গায় চালান দিয়ে তার চাষ করে। গোরু-ঘোড়া-হাঁস-মুর্গি নিয়েও এই; একটা মাছ অব্দি নিজের খুশিতে কোনও বিশেষ জায়গায় চরতে পারেনা আজকাল আর,-মানুষ নিজের মনের সুবিধা-মত তাকে চরায়, তার ডিমের খবরও তার চেয়ে ঢের বেশী রাখে, তার মামাবাড়ির ডিমের খবরও; এই নিয়ে মানুষের ব্যবসা-বাজার, জীবন,তার মানবীয় অস্তিত্ব,সুখ,লালসা, সাধ, সম্পদ-সমস্তই। এছাড়া অন্য কোনও একাগ্রতার জিনিষ আজকের মানুষের আর নেই''; সে-ই যখন কবিতা লিখতে বসছে, তখন সময়ের এইসব মার আলগোছে পাশে ফেলে রেখে লিখছে :
    পৃথিবী রয়েছে ব্যস্ত কোনখানে সফলতা শক্তির ভিতর,
    কোনখানে আকাশের গায়ে রূঢ় মনুমেন্ট উঠিতেছে জেগে,
    কোথায় মাস্তুল তুলে জাহাজের ভিড় সব লেগে আছে মেঘে,
    জানিনাকো-আমি এই বাংলার পাড়াগাঁয়ে বাঁধিয়াছি ঘর ...

    হয়তো কবিতা তখনো জীবনানন্দের কাছে শুদ্ধতম শিল্প, হৃদয়ের গভীরতম বোধের গাঢ় নিষ্কাশন; সংক্ষিপ্ত সময় তাকে শাসন করতে পারেনা, আবহমানের কালচেতনা, মৃত্যুচেতনা, জীবনচেতনা নিয়ে সে খলবলে কালো দরিয়ার সুদূরতম কোনো এক দ্বীপের মাঝখানে সোনার শতদল পদ্ম হয়ে ফুটে থাকে, কালো জল তাকে ছুঁতেও পারেনা। রিয়েলিজমের কথা উঠলে তখনো তাঁর উপন্যাসের চরিত্র বলে : "ওরকম রিয়ালিস্ট তো আমাদের দেশের মিডওয়াইঅফগুলো পর্যন্ত'। আরো পথ হাঁটা তখনো বাকি জীবনানন্দের , ট্রামের চাকার নীচে শুয়ে পড়বার আগে, ""অপরের মুখ ম্লান করে দেওয়া ছাড়া প্রিয় সাধ নেই আর'', কিংবা ""যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে নতুন যুদ্ধের নান্দীরোল''-কবিতায় এইসব সমকালীনতা লিখে ওঠবার আগে। তখনো কবিতা তাঁর হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে নির্জন পউষের সন্ধ্যায় রামপ্রসাদের বাংলায়; যদিও বীজের মত, চোখের অন্দরে বালুকণার মত রয়ে যাচ্ছে সমকাল, তার যাতনায় লিখছেন বোধ-এর মত কবিতা, লিখছেন-""মৃত পশুদের মত আমাদের মাংস লয়ে আমরাও পড়ে থাকি ''।
  • h | 203.99.212.224 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:১৪403873
  • ব্রিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন