এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর  জীবনানন্দ

  • জীবনানন্দ ও সঞ্জয় ভট্টাচার্য: ভূমেন্দ্র গুহ

    I
    বইপত্তর | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৮ | ৫৪২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:৪৯403874
  • অসাধারণ।

    নিজের জ্ঞান জাহির করা থেকে বিরত থাকতে পারছি না বলে, একটা ফুট কাটছি। সেই একটা গল্প ছিল - তাজের স্বপ্ন - যেখানে স্কুল-কলেজ-অফিস ইত্যদিকে নায়কের জেলখানা বলে মনে হত (ফুকো ???) , আর তাজমহলের ছবি আঁকবে বলে দিল্লী চলে গেল। ইন্দো যদি পরে কখনো ঐ গল্পটা বলেন।
  • dhakkhov | 75.3.201.181 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:১২403875
  • নো। নো। নো।

    এই লেখাটা থামালে তো চলবে না ইন্দুশ্‌কা।
  • I | 59.93.245.10 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:১১403876
  • সৈকত,
    গল্পটার নাম মনে পড়েছে? আমার দরকার। কিন্তু খুঁজবার সময় পাচ্ছি না।
  • saikaat | 202.54.74.119 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:৩৮403877
  • গল্পটার নাম একটু ভুল বলেছিলাম। তাজের ছবি (স্বপ্ন নয়)। এটা প্রতিক্ষনের 'সমগ্রর' কোন একট খন্ডর (সপ্তম ??) শেষ গল্প ।
  • I | 59.93.216.120 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:১০403878
  • হ্যা, দশে দশ। সপ্তম খন্ড-ই বটে।
  • I | 59.93.218.22 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:২৮403879
  • জীবনানন্দকে উত্তরাধুনিক চোখে (প্রিসাইজলি ফুকল্টিয়ান) দেখবার একটা ধারা আছে। ত্রিদিব সেনগুপ্ত এ নিয়ে লিখেছেন, ভূমেন্দ্র গুহ লিখেছেন, নিশ্চয় আরো কেউ কেউ লিখেছেন। সৈকতও কিছুদিন আগে লিখল।
    এ নিয়ে কিছু কথা লিখবার কথা ছিল; সৈকত যখন তুলেই ফেলেছে, তখন জয় মা বলে লিখে ফেলা যাক।
    জীবনানন্দ জন্মেছিলেন সেকালের বরিশাল শহরের মোটামুটি লীডিং ব্রাহ্ম পরিবারে; অর্থনৈতিক ভাবে না হলেও সাংস্কৃতিক ভাবে। বাবা হেডমাস্টার, মা সেসময়ের বাঙালী কবি,যখন মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষাই বিশাল ব্যাপার ছিল ; কুসুমকুমারী দেবীর নাম তো আমরাও জানতাম, সেই ""আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে/কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে''-র কুসুমকুমারী। বড় হয়ে জানা গেল যে ওঁরই ছেলের নাম জীবনানন্দ দাশ। কুসুমকুমারী অবশ্য নিজের বড় ছেলেকে সেই বড় ছেলে মনে করতেন না, তবে সে অন্য গল্প।
    যাহোক, যে কথা বলছিলাম। এমনিতেই তখনকার দিনে ব্রাহ্ম পরিবারগুলি সাধারনভাবে মধ্যবিত্ত বাঙালীর মধ্যে শিক্ষাদীক্ষায় তুলনামূলকভাবে এগিয়ে থাকা; জীবনানন্দের পরিবার তার মধ্যেই আরো খানিকটা সেন্টারস্টেজের কাছাকাছি। সত্যানন্দ দাশের (জীবনানন্দের বাবা) শেষ বয়সের ডায়েরীতে তাঁদের পারিবারিক বন্ধুদের নামের লিস্টি রয়েছে-অশ্বিনীকুমার দত্ত, অমৃতলাল গাঙ্গুলি, রায়বাহাদুর মথুরানাথ সেন, জমিদার রাখাল রায়চৌধুরী ইত্যাদি। কাজেই এরকম একটা পরিবারে জন্মানো মানুষের পক্ষে হায়ারার্কিজনিত অহং ও মইয়ে চড়ার সাধকে লালন করা খুব অস্বাভাবিক ছিল না মনে হয়। সত্যি কথা বলতে গেলে, জীবনানন্দের মধ্যে এই টানাপোড়েন ছিল অসম্ভব তীব্র, যে- সেন্টারস্টেজের আলো মাথা পেতে নেবো, না নিজের একলা অন্ধকারে ব্যক্তিগত (বুদ্ধদেব বসু হলে হয়তো "পবিত্র' বলতেন) ব্যথাময় জীবন কাটাবো। ১..৩৭ তারিখের ডায়েরীর একটি এ¾ট্রী উদ্ধার করা যায়-"" leisure, money & a good number of modern books[,]and I would be the topmost figure in modern bengali literature.''
  • I | 59.93.215.100 | ০১ মার্চ ২০০৯ ১৯:৫৯403880
  • কিন্তু সময়টা জীবনানন্দ দাশের পক্ষে ছিল না। বিংশ শতাব্দীর চেয়ে এক বছরের বড় জীবনানন্দ, যখন তাঁর বয়স তিরিশের এদিক-ওদিক, মোটামুটিভাবে থিতু হওয়ার সময়, তখনই এল পৃথিবীজোড়া সেই গ্রেট ডিপ্রেশন। মধ্যবিত্ত বাঙালীর সংসারে তখন জীবনানন্দের নবোদ্ভিন্ন টাকের স্পষ্ট আভাস, জেন্টিল বাঙালী নানান টোটকা-কবিরাজী-মহাভৃঙ্গরাজ করে তাকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে-সেই আদি ও অকৃত্রিম টিউশানি, বড়লোকের প্রাইভেট সেক্রেটারি, কোনোমতে ঠেলেঠুলে ক্লার্কশিপের মহত্তম স্বর্গে পৌঁছনো, না পারলে নিদেনপক্ষে পান-বিড়ির দোকান, তেমন অপারগতায় কলের মজুরী অবধি। জীবনানন্দের অন্য সতীর্থরা-বুদ্ধদেব/অচিন্ত্য/প্রেমেন্দ্র ইত্যাদি -লেগে থেকেছেন, লড়ে গেছেন। জীবনানন্দও চেষ্টা করেন নি এমন নয়, কিন্তু ওয়েজ লেবারের মহিমায় নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মত শক্ত সবল চামড়া নিয়ে তিনি জন্মান নি, জুটিয়ে উঠতেও পারেন নি। বারবার চাকরি ছেড়েছেন, ধরতেও হয়েছে যদিও আবার। পান-বিড়ির দোকান কিংবা মদ বেচার কথা ডায়েরিতে লিখেছেন বটে, কিন্তু আমার মনে হয় ওসবই নিছক কথার কথা, ম্যাসোকিস্ট জীবনানন্দের নিজেকে কষ্ট দেওয়ার একটা প্রকরণ, সেসব তিনি সিরিয়াসলি ভাবেন নি কখনো। পাক্কা শ্রমিক হয়ে ওঠার পক্ষে বড় বেশী মধ্যবিত্ত ছিলেন তিনি, আমাদের অনেকেরই মত ( এখানে মনে পড়ে গেল মেঘেঢাকা তারা-য় বিজন ভট্টাচার্যের ঐ সংলাপটা, ছোট ছেলে কলে চাকরী নিয়েছে শুনে একদা স্কুল মাস্টার বাবার প্রতিক্রিয়া-মইধ্যবিত্ত জীবনের মান কোথায় গিয়া ঠ্যাকসে !- আর এক ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে অসহায় বাঙালী মধ্যবিত্তের করুণ আত্মবিলাপ)।
  • I | 59.93.215.100 | ০১ মার্চ ২০০৯ ২১:২১403881
  • মোদ্দা কথায়, দুই বিপরীত অভিকর্ষজ টানের মাঝখানে দাঁড়িয়ে জীবনানন্দের ঘর-গেরস্থালী-কেন্দ্রাতিগ ও কেন্দ্রাভিগ। যখন যেদিকে টান বেড়েছে, সেদিকে ঝুঁকে পড়েছেন। কেন্দ্র ও পরিধির মধ্যে এই দড়ি টানাটানিতে আস্তে আস্তে সরে এসেছেন মার্জিনের দিকে, খানিকটা অসহায়ভাবে মেনেই নিয়েছেন সেই বাস্তবতা। দারিদ্রের সঙ্গে যোগ হয়েছে বাংলাসাহিত্যের টপমোস্ট ফিগার হওয়ার আকাঙ্খা ধুলোয় মিশিয়ে যাওয়ার হতাশা। টপমোস্ট ফিগার তো দূরস্থান, একটা কবিতা ছাপা হচ্ছে না কোথাও, অনেক কমবয়সী কবিদের অ্যান্থোলজি বের হচ্ছে , তাঁর কথা মনেও পড়ছে না কারো। ছাপা হলেও জুটছে অবজ্ঞা অথবা ব্যঙ্গ। রাশি রাশি গদ্য লিখছেন, ছাপতে দিচ্ছেন না কোথাও। কেন, কে জানে! গদ্যগুলির মান নিয়ে কী কোনো সংশয় ছিল তাঁর? অথবা প্রবলভাবে ব্যক্তিগত বলে , গল্পের পাতলা পর্দা ছাড়িয়ে চরিত্রগুলিকে স্ত্রী বলে, প্রেমিকা বলে, মা-বাবা বলে চেনা যাচ্ছিল বলে সংকোচ? জবাব নেই।
    যাই হোক, এভাবেই ধীরে ধীরে মার্জিনে এসে ঠেকেছেন স্পটলাইটের আলোয় থাকতে চাওয়া এবং না-চাওয়া জীবনানন্দ দাশ। এবং মার্জিনের এই আধো-অন্ধকার ধূসরতা ভালো লেগেছে তাঁর। যুদ্ধ আর বানিজ্যের বেলোয়ারি রৌদ্রের দিন কোনোকালেই নিজের ভেতরের জিনিষ ছিল না, নি:সহায় বাধ্যতায় তা তাঁকে মেনে নিতে হচ্ছিল; সময়-সুযোগ পেলেই সেসবের বিনাশের ব্যক্তিগত ঘোষণাপত্র লিখে উঠতেন তিনি।
    পুঁজির প্যান-অপ্টিকনের অনন্ত আলোর তলায় তিনি ছিলেন বস্তুত: এক বাউন্ডুলে; ক্ষমতার ব্যাকরণ যাকে ধরেবেঁধে বারবার ওয়ার্ক কালচারের, ওয়েজ লেবারের সর্বতৃষাহর নদীর কাছে নিয়ে গেছে, কিন্তু তেমন জল খাওয়াতে পারেনি , নদীমাতৃক করে তুলতে পারেনি। যুক্তির শৃঙ্খলা ভেঙ্গে তিনি বারবার নিজের জীবনযাপনে এনেছেন বিপর্যয়( স্রেফ ভালো লাগলো না বলে ঐ মন্দার দিনে , ভুখাপেটে থাকার দিনে চাকরী ছেড়ে দিচ্ছেন, যখন মাত্র দুটি ভাতের জন্য ছোট ভাইয়ের ওপর পুরো পরিবারসুদ্ধ নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে, ভাবা যায় !) এবং একই সঙ্গে বিপর্যস্ত করেছেন সামূহিক ভাষাশিল্পকে। এখন আমি বুঝতে পারি, অন্তত: কিছুটা আঁচ করতে পারি ঐ "ঘোরে লেখা' শব্দমালার সৃজনকালের প্রলয়পয়োধিজল : "বেবুনের রাত্রি নয় তার হৃদয়ের রাত্রির বেবুন' কিংবা "সাতটি তারার তিমির' অথবা "আমরা যাইনি আজো মরে/ তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়...' -এইরকম অজস্র পংক্তির অন্তর্গত অযুক্তিকে, যা লেখককে কী বিপুলটানে টানছে সর্বনাশের অতলে, সেইসঙ্গে আমাদেরও।
    এক নি:শ্বাসে বলে ফেলতে হয় তাঁর গদ্য লেখার বেপরোয়া পাগলাটে ধরণ। ফর্মের কোনো পরোয়া নেই, ফর্ম কী তা-ই তিনি জানেন বলে মনে হয় না, এবং সেই না-জানাকে কোনো পাত্তাও দেন না। এমন নয় যে এ কোনো অশিক্ষিত অহঙ্কার, জীবনানন্দের বিষয় ছিল ইংরেজী সাহিত্য এবং তাঁর গল্পের প্রোটাগোনিস্টরা যতই কেন না বই-পত্তর পড়ে না বলে মরমে মরে থাকুক, তিনি নিজে সমকালীন সাহিত্য পড়েছিলেন কম না। এবং এত পাঠের পড়েও নিজের গল্পের চরিত্রকে দিয়ে বলিয়ে নিচ্ছেন-""উপন্যাস, জীবনের কেন্দ্র থেকে যে-সব উপন্যাসের জন্ম হয়, সে-সব ভালো লাগে না আজকাল আর। বরং জীবনের কিনার ঘেঁষে মৃত্যুর অশরীর অস্পষ্ট গন্ধের ভিতর যে সমস্ত গল্পের জন্ম হয়, সেগুলি নেড়েচেড়ে হেমন্তের সন্ধ্যা ও রাত্তির বেশ কেটে যায় আমার।'' কোথাও প্রায় কোনো গল্প নেই, পরিণাম নেই, অথবা হঠাৎ করে এসে উপস্থিত হয় এক ভীষণ পরিণাম, অথচ লেখক কী অদ্ভুত নিস্পৃহ সহজ ভঙ্গিতে লিখে যচ্ছেন সে পরিণাম, যেন চায়ের পেয়ালা থেকে এইমাত্র নির্বিকার উড়িয়ে দিলেন মাছি (জীবনানন্দের একাধিক গল্পের নারীটি হঠাৎ করে মরে যায়, জলে ভাসে তার শব), ডায়েরি ও উপন্যাসের মাঝখানের করিডোর অফ আনসার্টেনটিতে ঘোরাফেরা করতে থাকে গদ্য....এবং জীবনানন্দ ঘোষণা করেন ""-regarding the complaints concerning my stories & writings that they are plotless : life is plotless... it is only some schemers that plot'', একইসঙ্গে সফলতা-নিষ্ফলতা উপন্যাসের নিখিল বলে : ""প্লট নতুন- কিংবা কোনো প্লটই থাকবে না: নতুন নভেলের মানুষদের গতিবিধির চেয়ে ভাবনাচিন্তার ওপরই জোর দেওয়া হবে বেশী..... গল্পটা তখন একটা কথার সমুদ্র হয়ে দাঁড়াবে না শেষ পর্যন্ত? দাঁড়াক-মন্দ কী?''

    তাঁর স্নেহভাজন পাঠক প্রভাকর সেন, যাঁকে তিনি সম্ভবত: তাঁর গল্প-উপন্যাস পড়তে দিয়েছিলেন, তিনি এ বিষয়ে অনুযোগ করেছেন, অন্নদাশঙ্করের মত লিখতে উপদেশ দিয়েছেন ; কিন্তু তিনি মডার্নিস্ট লেখকের যাবতীয় দায়ভার উড়িয়ে দিয়েছেন, ফর্ম ভাঙার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল এ অপবাদ অন্তত: তাঁকে দেওয়া যাবে না।
    অগত্যা যা হওয়ার তাই হয়, সু"শৃঙ্খল' যুক্তিবাদী বাঙালী লেখক ও পাঠকসমাজ গদ্যকার জীবনানন্দকে স্বভাবত:ই রিজেক্ট করে। আজ, এই এতকাল পরেও মতি নন্দী বলেন-জীবনানন্দের গদ্য আমি বুঝতে পারি না। উনি উপন্যাস লিখতে জানতেন না।
  • I | 59.93.215.100 | ০১ মার্চ ২০০৯ ২২:৪৩403882
  • জীবনানন্দের কোনো ঈশ্বর নেই। পাগলের কোনো ঈশ্বর থাকে না, তাকে ঘিরে কোলাহল করে ফেরে মহাপুরুষের উক্তিমালা; বাউন্ডুলের থাকেনা নীল সোফাসেট, জয় করবার জন্য তার থাকে বন্য পশ্চিম, আনকোরা দিগন্ত, আদি মহাদেশের ভার্জিন অন্ধকার। যদিও টাওয়ারে বসা ঈশ্বর জানেন ভার্জিনতা অতিকথা মাত্র, অজানা বলে কিছু হয় না, দিগন্ত যাকে আমরা ভাবি সে আসলে সেটে আঁকা নীল রেখা , আজানুনম্র আকাশ আর সমুদ্রস্তনিত পৃথিবী যেখানে এসে মিলেছে কারিগরের হাতের ছোঁয়ায়। কিন্তু বাউন্ডুলে তা জানে না। অন্তত: অনেকদিন অবধি জানে না।
    ক্ষমতার আলো ছাড়িয়ে তাই জীবনানন্দ পৌঁছতে চান পাড়াগাঁয়ের শীতরাতের অন্ধকারে, আলোর অধিক বলে সেই আঁধারকে নির্মাণ করেন, পুরাণপুরুষের কালো ডানার তলায় আশ্রয় নেন যেন ফাঁদে- পড়া বন্যমহিষ একজন। সেইখানে, হরীতকী শাখাদের নীচে, নরকের নবজাত মেঘের ল্যাটিসওয়ার্কের ফাঁকে যেখানে গোপন জল ম্লান হয়ে হীরা হয় ফের, সেখানে যে আমাদের রণ-রক্ত-সফলতার কোনো আওয়াজই পৌঁছয় না, তা-ও নয়, কেননা তিনি টের পান কামানের স্থবির গর্জনে বিনষ্ট হতেছে সাংহাই। এবং এক স্বপ্ন থেকে আর এক স্বপ্ন গড়ে নেবার ফাঁকে -ফোঁকরে তিনি সমনামবুলিস্টের মত ক্ষমতার সেই হুন্ডির কথা বলেন, যার বলে নারীকেও কিনে নেওয়া যায়, ""বিজ্ঞান নিজেই এসে শোকাবহ প্রতারণা করেই ক্ষমতাশালী''-জানান সেকথাও। ""সফলতা-নিষ্ফলতা'' উপন্যাসের নিখিল যে আভাস দেয়, তা আরো ৪৩ বছর পরে গুণেগেঁথে তোলেন মিশেল ফুকো নামে এক ফরাসী ভদ্রলোক তাঁর discipline & punish-বইতে : ""এই পৃথিবীতে ব্যারাকের চেয়ে বেশী ঘৃণা আমি কিছুতেই করিনি কোনও দিন, কোনও রেসিডেনশিয়াল ইউনিভার্সিটি-কনভোকেশন অ্যাড্রেস-এক্সটেনশন লেকচার বা প্রফেসরদের ইউনিয়নগুলোকেও না...''
  • saikat | 202.54.74.119 | ০২ মার্চ ২০০৯ ১০:১৭403884
  • এর পরে আমি আর লিখব না। না। :-)
  • h | 203.99.212.224 | ০২ মার্চ ২০০৯ ১৩:৪৯403885
  • ইন্দোর কলমের যাদু নিয়ে তো কিসু বলার নেই। কুছ না কয়ে পাতি চুপচাপ ভাবা এই আর কি।

    জীবনানন্দ যে জিনিসটা বলছেন, ফুকো পরে সেটা আদৌ থিয়োরাইজ যদি নাও করতেন, আমার জেনেরালি কোনো কিসু এসে যেত না। মানে দুজন বড় মাপের লোকের কাজের এবং ভাবনা চিন্তায় এই মিলটা বা এই সম্পর্কটা আমার কাছে ইন্সিডেন্টাল। এটা যদিও বাজে কমেন্ট, কারণ ইন্দো কোথাও দাবী করে নাই, দ্যাকো দ্যাকো জীবুস্যার কেমন সায়েবদের থেকে এগিয়ে। তবু আমার এইটা বাংলায় বলতে ইচ্ছে করলো। কারণ ইন্দোর লেখার এইরকম একটা মেসেজ তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেটাতে আমার আপত্তি থাকবে। জাস্ট বলে রাখলাম।

    রেজিমেন্টেশন, যে কোনো ধরণের রেজিমেন্টেশন সম্পর্কে অনেকের অনেক বক্তব্য আছে। তার মধ্যে ফুকোর এই বক্তব্য লেজেন্ডারি।
  • I | 59.93.166.219 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ১২:২৪403886
  • হনু কে ডিট্টো।
    তবে একটা ভুল মেসেজ বোধ হয় পৌঁছেই গেছে, সেটা আমার বাংলা বাক্যগঠনের গোলমালের জন্য-ঐ মন্তব্যটা ফুকোর নয়। নিখিলের। ফুকো এরকম মন্তব্য করেই থাকতে পারেন, করেওছেন নিশ্চয়ই, কিন্তু উদ্ধৃতি চিহ্নের(থ্যাংকু ডমডিডি) মধ্যে তুলে দেওয়া বাক্যটা এক্ষেত্রে নিখিল বলেছে।
  • lcm | 69.236.185.129 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ১৪:৩৭403887
  • ভুমেন্দ্র গুহ-র (বা, কে কু ডা) লেখা-র উদ্ধৃত অংশের থেকেও I-এর লেখা বেশী ভালো লাগলো।
    চারিদিকে জীবনের সফেন সমুদ্রে এক ক্লান্ত প্রাণ ছিলেন জীবনানন্দ দাশগুপ্ত (পরে গুপ্ত ত্যাগ করেন)।
    বাই দ্য ওয়ে, জীবনানন্দ সিটি কলেজের লেকচারারের চাকরি খোয়ান অশ্লীলতার অপবাদে - কবিতায়, শস্যশীর্ষে স্নতশ্যামমুখ, কল্পনা করেছিলেন বলে। (সূত্র: অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত-র বই )
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ১৪:৪৬403888
  • গুপ্ত ত্যাগ-টা মনে হয় জীবনানন্দ করেন নি। বাবা (সত্যানন্দ দাস) করেছিলেন। তার পর থেকেই ঐ পদবী হতে থাকে।

    চাকরী হারাবার ব্যাপারে একটু ভিন্ন মত আছে। দুটি ঘটনা (তার মধ্যে একটি জীবনানন্দর লেখালেখি) এক সাথে ঘটার ফল হিসেবে চাকরীটি যায়।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ১৪:৪৭403889
  • * ব্যবহার
  • lcm | 69.236.185.129 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ১৪:৫১403890
  • সৈকত,
    হতে পারে, কিন্তু অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত-কে লেখা একটা চিঠি শেষ করেছেন "ইতি - আপনার জীবনানন্দ দাশগুপ্ত' দিয়ে। আর, কল্লোল পত্রিকায় প্রথম যে কবিতা পাঠান তাতেও কবির নাম ছিল জীবনানন্দ দাশগুপ্ত।

  • saikat | 202.54.74.119 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ১৪:৫৬403891
  • তাহলে হয়ত ভুল বলছি। কোথায় পরেছিলাম সেটা ভেবে বার করে খুঁজে দেখতে হবে !!!!
  • lcm | 69.236.185.129 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ১৫:২৭403892
  • খারাপ আর্থিক অবস্থা কিন্তু অনেক বাঙালী লেখক/কবি/শিল্পীর-র ছিল। এই যেমন এখানে জগদীশ গুপ্ত-র কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি টাইপিস্ট-এর কাজ করতেন কোর্টে, বা, সুবোধ ঘোষ জীবনের প্রথম দিকে বেশ কয়েক বছর বিহার/বাংলা সীমান্তে বাস কনডাক্টারি করেছেন - তবে অনেকে নামডাক হবার পর আর্থিকভাবে ভাল অবস্থায় ছিলেন।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:৪০403893
  • lcm-এর গতকালের লেখার সুত্র ধরে -

    আমার মাথায় এই লেখাটা ছিল। লেখাটা সুচরিতা দাসের (জীবনানন্দর বোন)।

    ""... সর্বানন্দ অকার্যোপলক্ষে এই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বরিশালে এসেছিলেন। পরে ব্রাক্ষ্মধর্মে দীক্ষিত হন। এই ধর্ম গ্রহণের পর বৈদ্যত্বের চিহ্নস্বরুপ 'গুপ্ত' কথাটাকে অপ্রয়োজনীয় বোধ করেছিলেন তিনি। তারপর থেকে আমাদের পরিবার 'দাশ পরিবার' নামে পরিচিত।""

    সর্বানন্দ, জীবনানন্দর ঠাকুর্দা। যদিও এ লেখা থেকে এটা স্পষ্ট নয় কে প্রথম 'দাস' লিখতে শুরু করেন।

    এবং এটাও ঠিক যে জীবনানন্দর প্রথম দিকের বেশ কিছু কবিতার সাথে 'দাশগুপ্ত' পদবীটাই যুক্ত ছিল। প্রথম বই 'ঝরা পালক' থেকেই পদবী 'গুপ্ত' বর্জিত হয়েছিল, যদিও বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরও দু'একটি পত্রিকায় 'দাশগুপ্ত' ব্যবহৃত হয়েছিল।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:৪১403895
  • * কার্যোপলক্ষে
  • I | 59.93.209.18 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ২২:১৭403896
  • রে মামু: ,
    আমি ফুকো ধরে টানলাম কোথায়! টানল তো সৈকত !

    আমি তো এমনিই লিখছিলাম। সব অন্যের কথা। জীবনানন্দকে নারীবাদীরা কি বলছে, পোমোরা কি বলেছে, কমুনিস্টিরা কি বলেছে। সব অপরের কথা। The other। আমার কোনো কথাই নাই ;)

  • I | 59.93.209.18 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ২২:১৯403897
  • আর শেষ হয়নি তো ! সামনে পড়ে রয়েছে অনন্ত মহাকাল, ক্যালেন্ডারের খোলা পাতা। ২০০৯-এর টিন এজ এইমাত্র শুরু হল। সবাই চলে গেলেও ফরাশওলা ও মাইকের লোক বসে থাকবে । থাকবেই।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ০৯:০৯403898
  • ফুকো বোধহয় বিশ্বের প্রথম দার্শনিক যিনি এইডসে মারা যান। আর জীবনানন্দ বোধহয় একমাত্র কবি, যিনি মারা যান ট্রামে চাপা পড়ে। মিল তো আছেই। :)
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১০:৫০403899
  • কি মুস্কিল !!! আমি বা ফুকোকে আনতে বল্লাম নাকি? আমি তো ফুকো শব্দটার পরে ??? দিয়েছিলাম। মানে জানতে চাইছিলাম যে ফুকো আর জীবনানন্দে (মানে তাদের লেখায় মিল খুঁজে পাওয়া যায় কিনা)। তা দেখা গেল আনা গেল, যায়।

    আর এই সুযোগে বলে রাখি, আমি কিন্তু অন্যদের কথা ঝেড়ে এখানে লিখি। সোর্স উল্লেখ না করে।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ১২:১০403900
  • আর দূর / অদূর ভবিষ্যতে আরো কোন দার্শনিক এইডসে মারা যেতেই পারে (যদি অবশ্য দার্শনিক প্রজাতিটি টিকে থাকে সোসাল সায়েন্সের যুগে এবং কবিই তো বলে গেছেন যে 'মানুষের ইতিহাসে দর্শন অনেকদিন কাজ করে গেছে, এবার বিজ্ঞান করবে মনে হয়' বা এরকম কিছু), কিন্তু কোনো কবিই আর ট্রামে চাপা পড়বে না, কারণ কলকাতা থেকে ট্রাম উঠে যাচ্ছে এবং কে না জানে যে কবি মাত্রেই বাঙালী। :-)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ২২:২১403901
  • এডসেরও তো টীকা বেরিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে অবশ্য মশা এবং রক্ত নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন। কেননা কে না জানে, এইডস হয়, মূলত: মশার কামড়ে। :)
  • Arpan | 122.252.231.12 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ২২:৪১403902
  • সর্বনাশ! এইটি কি বুলাদি বলেছেন?
  • d | 117.195.41.171 | ০৫ মার্চ ২০০৯ ২২:৪৭403903
  • এই থ্রেডটাকে ছাড়ান দাও না বাছারা .....
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ১২:১৮403904
  • ফুকো নিয়ে পাকামি ক্ষালনের জন্য এবং আগে লিখব ভেবেও লেখা হয়নি বলে এই লেখাটি, ইন্দোর পুরোন একটা পোস্টের সুত্র ধরেই।

    জীবনানন্দের 'কল্যণী' নামে ১৯৩২ সালে লিখিত একটি উপন্যাস আছে। এই উপন্যাসটি মনে হয় প্রতিক্ষনের 'সমগ্র'-তে নেই। কু লোকে বলে, কোন ভাবে 'দেশ' পত্রিকা এটি হস্তগত করে এবং জন্মশতবর্ষের সময়ে 'জীবনানন্দ শুধু পদ্যের নয়, গদ্যেরও বিস্ময়' এই মত এবং হুসেনের ছবি সহ একটি বিশেষ সংখ্যায় ছাপে।

    যাই হোক। এই উপন্যাসটি কে আমি মনে মনে খাড়া করি যখন মনে হয় যে জীবনানন্দের গদ্যে নারীবিদ্বেষের চিহ্ন যেন অতি মাত্রায় স্পষ্ট হয়ে ফুটে আছে। (এও জানি যে সে রকম করে দাঁড় করাবার দরকারও নেই) এই মনে হওয়া এবং ইন্দোর আগের একটি পোস্টে 'পুঁজিবাদের ক্রিটিসিজম' শব্দ দুটির উল্লেখ দেখে উপন্যাসটি নিয়ে ছোট করে লেখার ইচ্ছে হয়।

    উপন্যাসটা পড়লে দূরতর ভাবে মাথায় দুটি প্রসঙ্গ এসে পড়ে। একটি ঠাকুরসাহেবের 'যোগযোগ'। অন্যটি পরে লিখছি।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৬ মার্চ ২০০৯ ১২:২০403906
  • উফ্‌ফ।

    * যোগাযোগ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন