এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্মৃতি মেদুরতা

    M
    অন্যান্য | ১৩ মার্চ ২০০৯ | ৩৯৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dri | 117.194.243.181 | ০৩ এপ্রিল ২০১১ ২৩:১০407302
  • বেদীর এই সবাইকে চিমটি কেটে 'কঠোর সমালোচনা' করার হ্যাবিটটা খুব ইরিটেটিং। একে যে লোকে ক্যাপ্টেন হিসেবে টলারেট করত কিকরে সেটাই আশ্চর্য্য।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৩ এপ্রিল ২০১১ ২৩:১৮407303
  • ক্যাপ্টেন হিসেবেও বাকিদের বিশেষ বলটল দিত না। নিজে ওভারের পর ওভার করে যেত।

    বেদির অ্যাকশনকে কেউ যদি মডার্ন টাইমে এমুলেট করে থাকে সে হল ওই মন্টি পানেসর।
  • aka | 24.42.203.194 | ০৩ এপ্রিল ২০১১ ২৩:২৩407304
  • বললে হবে বেদী একবার রক্ত দিয়েছিল।
  • Arpan | 112.133.206.18 | ০৩ এপ্রিল ২০১১ ২৩:৩৩407305
  • আর কুম্বলে ফাটা চোয়াল নিয়ে বল করেছিল।
  • pharida | 220.227.148.193 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১২:১৯407306
  • মনে আছে খেলা দেখতে শুরু করেছিলাম ৮২ তে। পাকিস্তানে গিয়ে ইন্ডিয়া ৬ টেস্টের সিরিজ ৩-০ তে হারল।

    ইমরান বল করতে এলে আর জাহির আব্বাস ব্যাট হাতে দাঁড়ালে হেব্বি ভয় লাগত। মুদাস্‌সর নজর আর সফররাজ নাওয়াজ এর বোলিং অ্যাকশন অন্যরক্ম ছিল বলে মনে আছে।

    তিরাশির বিশ্বকাপের শুরু নিয়ে বোধ হয় তেমন হৈ চৈ হয় নি। ক্লাস ফাইভ, সেই বছর থেকেই নিয়মিত আবাপ পড়া শুরু হয়েছে (শুধু খেলার পাতা)।

    ১৭৫ ইনিংসের পর থেকে খেলাগুলো ফলো করা শুরু করলাম মন দিয়ে।

    সেমিফাইনালে উঠে গেল ভারত। টিভিতেও খেলা দেখাবে, দেখবো সব ঠিকঠাক - তেড়ে জ্বর এলো। চাপাচুপি দিয়ে শুয়ে আছি। দু একবার টিভির ঘরে উঁকি দিতে মায়ের বকুনিতে আবার বিছানায়। ঘুমিয়েও পড়েছি। বাবা ফিরল দেরিতে, আমি জেগে, টিভির ঘর থেকে আওয়াজ আসছে ভারত চার মারলে। বাবাই পারমিশন দিল খেলা দেখার - শেষটুকু দেখতে পেয়েই দারুণ লাগল।

    ফাইনালের দিন কাগজ টাগজ পড়ে আর বড়দের কথাবার্তা শুনে ঠিক করে নিয়েছি আজ ভরত হেরে যাবে, কিন্তু বিখ্যাত রিচার্ডস, লোয়েড, গ্রিণিজ এদের দেখা যাবে। আর চার মুর্ত্তি হাড়কাঁপানো পেসার - মার্শাল, হোল্ডিং, গার্ণার আর রবার্টস। মনে আছে বলতাম, কোথাও শুনেছিলাম বোধ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমে বারোজন খেলে - দশজন আর দুজন উইকেট কীপার!!

    খেলা শুরু হতে জ্যাঠা কাকারা বলছে দেখে রাখ মাঠটা - এটা লর্ডস। আমি সাদা কালো টিভিতে দেখছি মাঠময় কার্পেটের মতো ছাঁটা ঘাসের দু-রকম শেড। কিছু বোঝার আগেই গাভাসকর আউট। সেবারে গাভাসকার মাঠে নেমে বেশির ভাগ সময়ে দশের নীচে আউট কিন্তু যে ম্যাচে টীমে নেই সেই ম্যাচ ইন্ডিয়া হেরেছে।

    গাভাসকার আউট হতে শুনলাম ব্যাস ৫০ এর নীচে অল -আউট হবে এইবার। ওদের ওপেনাররাই করে দেবে সেই রান।

    ১৮৩ হতে তো দারুণ লাগলো কারণ এতে রিচার্ডস বোধ হয় নামবে।

    সান্ধুর বলে গ্রিণিজ ফিরতেই হেব্বি চেঁচালাম - শুনলাম পুরোটাই চেঁচিয়ে নে আর তো উইকেট পড়বে না, এইসব। রিচার্ডস চুংগাম চিবোতে চিবোতে নামল আর ভারতীয় বোলিংকে চিবোতে লাগলো চুইং গাম ফেলে।

    এর খানিক পরে লিঙ্ক ফেলিওর। পাশের বাড়ির রেডিও হয়ে খবর এলো রিচার্‌ড্‌স আউট, কপিল নাকি দারুণ ক্যাচ নিয়েছে।

    যখন লিঙ্ক এল তখন ক্রিজে বোধ হয় লোয়েড আর গোমস। গোমসকে পুরো চ্যাপলিনের মাথায় কোঁকড়া চুলের মতো দেখতে - একমাত্র মাজাদার লোক ওদের টীমের।

    আর একটা একটা করে উইকেট পড়ছে আর ভাবছি ইন্ডিয়া তাহলে ছয় উইকেটে হারবে? নাকি পাঁচ? চার...? নাকি....?

    শেষ দিকে রবার্টস আর কে একজন কিছুতেই আউট হচ্চে না। তখন প্রত্যেক বলে চেঁচাচ্ছি - বাড়ির বড়রাও আর কেউ বলছে না যে ইন্ডিয়া হারবে। গলা ধরে গেছে অনেক্ষণ। সেই পার্টনারশিপটা গেলো - এইট ডাউন.. !! এইবার।

    এরপরে সেই মাঠ থেকে স্তাম্প হাতে নিয়ে ছুটে যাওয়া। আমরা চিৎকার করে যাচ্ছি। পাড়ার রাস্তা দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে বড়রা। আমি টিভির পর্দা থেকে চোখ সরাচ্ছি না.....

  • d | 14.96.78.87 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১২:৩২407307
  • হ্যাঁ অপ্পন, আমি গুলিয়েছি। ঐ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সিরিজই হবে।

    আর হ্যাঁ ৮৩ তে ও: ই:র নবম উইকেট পড়ার পর অনেকক্ষণ উইকেট পড়ে নি, সবাই রুদ্ধস্বাসে বসে ছিলাম।
  • Kaju | 121.244.209.245 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৩:১১407308
  • কপিলের সেই ১৭৫ এর ভিডিও রেকর্ডিং নেই কেন, কারো মনে আছে? স্ট্রাইক ছিল না কি যেন...
  • dd | 124.247.203.12 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৪:০৭407309
  • ক্রিকেট খেলা দেখার নিয়মাবলী

    . সবাই মিলে দেখুন। সব বাড়ীতেই টিভি। অনেকেরই একাধিক। কিন্তু খেলাটা একা একা দেখবেন্না। অনেকটা "পুজোয় ক্ষি কল্লেন?" কোশে্‌টনের মতন। যদি বলে একাই বাড়ীতে বসে আগাগোড়া দেখলাম তাইলে আপ্নি হেরে গ্যালেন। দেখতে হবে সবাই মিলে।

    বাড়ী ছোটো? বন্ধু নেই? ধুর। চলে যান রেস্তোরা বা স্পোর্টস বারে বা হোটেলে। বিশাল প্রজেকশন টি ভিতে প্রচুর অচেনা লোকেদের সাথে বসে দেখুন। গিলুন। পয়সা খচ্চা করেন।

    . মদ। খেতেই হবে। বড় ম্যাচের পরে খপরের কাগজে রিপোর্ট দেবে কোনো শহরে কতো গুন বেশী বীয়ার আর হুশকি বিক্রি হোলো। চা আর বিস্কুট খেলে রাস্টিকেট।

    . অসংখ্য কুসংষ্কারে আচ্ছন্ন হন। জোর গলায় গর্বসে বলুন ম্যাচের দিন আমি ঐ ভাঙা মোড়াটতে বসেই দেখি, কেননা.... লম্বা গপ্পো ফাঁদুন।
    টিপিক্যাল কথপোকথন : ও ক্ষি? ও ক্ষি? তুমি চ্যার ছেড়ে উঠলে যে বড়ো? আবার একটা আউট চাইছো।'
    "বাথ্‌থুম যাবো। যেত্তেই হবে। এতোটা বীয়ার খ্যালাম।"

    ঘর জুড়ে অনুনয় কাকুতি ও দারুন হিংস্র থ্রেটের বন্যা বয়ে গেলো। সেই তুমুল কোলাহলে চাপা পরে গ্যালো এক সকাতর ছ্যার ছ্যার শব্দ।

    এইবারে অভিজ্ঞতা। আমারই বাড়ীতে। এক কত্তা বীয়ারের গেলাস উল্টে দিলেন। পায়ের ধাক্কায়। বিন্দুমাত্র লজ্জিত নন। দাপটে কইলেন ম্যাচের দিন আমি বাঁ হাতেই ড্রিং করি। আর ইদিকে বামদিকে গ্যালাস রাখার জায়গা নেই। সমবেদনার ঝড় বয়ে গেলো।

    . সং সাজলেই ভালো। গালে তো অবশ্যই। সারা গায়েও মাখতে পারেন। এক রঙীন কাকতাড়ুয়া হয়ে খেলা দেখুন।

    . খেলা দেখতে দেখতে মেইল ও এস এম এসে যোগাযোগ রাখুন সবার সাথে। ব্ল্যাকবেরী থাকাটা জরুরী।

    শেষ। ক্যানো লিখলাম স্মৃতির মাদুর টইতে? ক্যানো না আমাদের আল্লি যৌবনে এই সব কিছু ই ছিলো না। আমার মাদুর শুন্য আজি।

  • kumudini | 59.178.45.172 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৪:২১407310
  • ডিডিদা,আপনি তো চিরযুবক।
  • Bratin | 122.248.182.16 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৪:২৬407312
  • ওদিকের লোকেরা দোষ নেবেন না প্লিজ।

    ------------------------------------

    প্রথম জন: (ছবি দেখিয়ে) এই দেখ, বিখ্যাত টেনিস প্লেয়ার নাসতাসে

    দ্বিতীয় জন: নাসতাসে কই, এ যে দেখি হাসতাসে!!
  • Bratin | 122.248.182.16 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৪:২৯407313
  • ১ আর ৩ জানতাম। শ্রীবৎস এবারে আমাদের নাকি?
  • nyara | 122.172.202.81 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৫:৫০407314
  • বেনসন অ্যান্ড হেজেস জেতা ১৯৮৫। রঞ্জনদা লিখছেন ভাল, তবে সন তারিখ ঘেঁটে ঘ। পতৌদির শেষ ক্যাপ্টেনসি সিরিজ ১৯৭৪-৭৫ ওয়েস্ট ইন্ডিজের এগেনস্টে। কলকাতায় প্রথম লাইভ টেলিকাস্ট। স্পেশাল টেলিকাস্ট। তখনও কলকাতায় টিভি ব্রডকাস্ট শুরু হয়নি। ঘাউড়ির ডেবিউ।

    তারপরের ইডেন টেস্ট বোধহয় ১৯৭৭ টোনি গ্রেগের এমসিসির সঙ্গে। বেদী ক্যাপ্টেন। ফার্স্ট ইনিংসে ইন্ডিয়া ১৫৫-য় বান্ডিল। কিছুটা খেলল একমাত্র ব্রিজেশ প্যাটেল। ডেনিস অ্যামিসের সঙ্গে অ্যালান নট ওপেন করে ইংল্যন্ড ১০ উইকেটে জিতল। বেদি, প্রসন্ন, চন্দ্র কেউ কোন কামড় পেল না।

    তারপরে ১৯৭৭-এ পাকিস্তান টুর বেদী ক্যাপ্টেন্সির শেষ টুর। কপিলের ডেবিউ। চন্দ্র-প্রসন্নর কেরিয়ার শেষ।

    ১৯৭৮-এ কালিচরণের ভাঙা টিম এল। গাভস্কার ক্যাপ্টেন হয়ে প্রথম টেস্ট বম্বেতে শুরু করল ডবল সেঞ্চুরি দিয়ে। কলকাতার টেস্টে আধা-অন্ধকারে শিউচরণ ম্যাচ বাঁচাল। মার্শাল সেই প্রথম ভারতে এল। বাইট নেই। মাদ্রাস টেস্ট প্রথমে বেধড়ক মার খেল গাভাসকারের হাতে। ৪০ করেছিল দশ ওভারের কমে। তারপরে আউট। বেদী একেবারে নির্বিষ। কেরিয়ার শেষ। পরের অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দোশী ডেবিউ করল।

    বেদীর শুনেছি ছিল অ্যাকিউরেসি আর ক®¾ট্রাল। যেটা পরে মনিন্দর সিং কিছুটা পেয়েছিল। বেদী মনিন্দরের বোলিং অ্যাকশন বদলে কেরিয়ার শেষ করে দিল। প্রসন্নর ফ্লাইটে ঠকাত বেশি।
  • ranjan roy | 59.93.197.177 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৬:৩২407315
  • ন্যাড়া ঠিক বলেছেন। সাল-তারিখ বুড়োদের বকবকানিতে ঘেঁটে যায়, শুধু একটু আধটু মনের অ্যালবামে ধরে রাখা ঝাপসা ছবি ফোকাস করার চেষ্টা।
    তবে পাতৌদি ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পরও বোধহয় দুটো সিরিজ খেলেছিলেন। ভাল ব্যাট করেছিলেন। ইডেনে আর চিপকে।
    আর সেই সেলিম দুরানী কে দিয়ে স্বপ্নের বল করানো? কোন সালে? ওটা বোধহয় এম সিসি টিম ছিল। দেখে একটু জানাবেন, প্লীজ।
  • Lama | 203.132.214.11 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৭:০৫407316
  • গাভাসকর (তখন আবাপও "গাভাসকার' লিখত) নতুন ক্যাপ্টেন হবার পর আনন্দমেলায় ছড়া:

    "আছেন ইনি, আছেন উনি, আছেন তিনি, আর
    সক্কলকে ছাপিয়ে আছেন সুনীল গাভাসকার।
    ইনি, উনি, তিনি যখন আসেন এবং যান
    একা সানি তখন ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান।
    ...ইত্যাদি

    ১৯৮৩ প্রুডেনশিয়াল কাপ জেতার পর আজকালের ছোটদের পাতায় ছড়:

    "আমরা বাঘ, তোমরা শিয়াল!
    প্রুডেনশিয়াল! প্রুডেনশিয়াল!!!
    কপিল, তোমায় স্বাগতম,
    লয়েড বড়ই রাগতম,
    উইলিস বলি চাগতম...'
    ইত্যাদি
  • d | 14.96.28.243 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৭:২১407317
  • লামার প্রথম ছড়ার পরেরটুকু
    'মারার বলটা মারেন সুনীল ছাড়ার বলটা ছাড়েন
    হুক, পুল, কাট, ড্রাইভের অস্ত্র ইচ্ছেমত্ন ঝাড়েন
    বোলার গলদঘর্ম। মাত্র একটি চিন্তা তাঁর
    পরের বলে সুনীল নেবেন চার, নাকি সিক্সার?'
  • kc | 194.126.37.78 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৭:৪৬407318
  • আজাহার ইডেনে সেঞ্চুরি করার পরের দিন, যুগান্তরে ছাপা হয়েছিল,

    ''ক্রিকেট আকাশে আজ ঝান্ডাটা ঊড্ডিন,
    সাবাশ সাবাস সাবাশ ভাই, আজাহারউদ্দিন।
    তাঁকে শুধু ফুল নয়, একগ্লাস দুধ দিন।''
  • nyara | 122.172.202.81 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:১৭407319
  • 'আছেন ইনি, আছেন উনি ...' যদ্দুর মনে পড়ছে আবাপ নয়, অশোক দাসগুপ্তর কাগজ 'খেলার কাগজ'-এর 'গাভাসকার সংখ্যা'য় বেরিয়েছিল। এরকমই একটা -

    'সুনীল মনোহর গাভাস কার?
    ইন্ডিয়ার? সে কি ইন্ডিয়ার?'
  • Lama | 117.194.239.42 | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ২২:১৫407320
  • ন্যাড়াদা, খেলার কাগজে যেটা বেরিয়েছিল সেটা অন্য, এখন মনে পড়ছে না। "আছেন উনি'টা আনন্দমেলায়
  • NB | 14.96.41.22 | ২৬ জুন ২০১১ ০১:১৯407321
  • ছেলেবেলা~~কোথায় গেলা?

    আমাদের ছিল কাপড়ের পুতুল -নিজে বানাতাম। পুতুল বানানোর কায়দাটিও ছিল মজার।অচারকোনা পুরণো নরম ধুতির টুকরো ,মাথাটি তুলো দিয়ে সুতো দিয়ে বেঁধে গোল করে নেয়া হতো। ঝ্যাটার কাঠি ভেঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে তৈরী হত হাত। এরপর সেই কাঠি হাত গলার সঙ্গে সুতো দিয়ে জোর জুড়ে দেয়া। এবার চুল। কাল ক্রসেটের এক গুচ্ছ সুতো কেটে অথবা মায়ের ট্যাসেল কেটে তার থেকে যতটা প্রয়োজন সেলাই করে জুড়ে দিতাম। এলো চোখ মুখের পালা । কাল সুতো দিয়ে চোখ ভুরু নাক,ঠোঁট ও টিপ লাল সুতো দিয়ে । হাতে ও গলায় ছোট ছোট পুঁতি দিয়ে মালার ও চুড়ি। কত চারুকলা। তারপর পাশের বাড়ীর বড়পিসীর কা...ছে ছুট্টে গিয়ে শাড়ী জামা বানাবার জন্যে টুকরো কাপড় চেয়ে আনতাম।অবড়পিসী সেলাইয়ের কাজ করতেন তাই তার কাছে অনেক ছিট কাপড় থাকত।অখুব সংগ্রামী জীবন ছিল তার।অআমরা কোন কিছু চাইলে খুব খুশী হতেন।অবড়পিসীর মেয়ে খুকুদির খুব অসুখ করেছিল,হাসপতালে ভর্তি। পাড়ার সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ল। মা গিয়ে রাতে থাকতেন হাসপাতালে। স্বামী পরিত্যক্তা বড়পিসীর গায়ে আঁচ লাগতে দিল না কেউ। খুকুদি সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরল।অএমনই ছিল মধুর সম্পর্ক।

    এল শীতের দিনে উল কাটা নিয়ে বসে যেতাম পুতুলের সুয়েটার বানাতে।অতারপর মেলা থেকে ছোট খাট কিনে এনে বালিস তোষক সব নিজের হাতে বানানো চলত।অসব সুঁচ সুতো নিয়ে হাতে সেলাই ।অতরপর এল সেই পরম লগন পুতুলের বিয়ে।অবন্ধু মালার ছেলে আমার মেয়ে।অবড়পিসীর কাছ থেকে বায়না করে বেনারসীর টুকরো যোগাড় করে ফেল্লাম।অচুমকী দিয়ে ব্লাউস ওড়না তৈরী হল। পাতাবাহারের পাতা দিয়ে কুঞ্জ তৈরী হল।অমা জ্যেঠিমারা লুচি বানালেন।অকি সমারোহ।১০ মত বন্ধুর নেমতন্ন।অতারপর তো চোখের জলে কনে বিদায়।অতখন হঠাৎ মনে হল আরে এ সব ই তো বন্ধুর বাড়ী চলে যাবে।অপরদিন গিয়ে কোন এক ফাঁকে পাত্র পাত্রী দুজনকে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে আসা।অবন্ধু মালা কি আর ছেড়ে দেয়?পনসামগ্রী ওপাত্র পাত্রীর দাবী নিয়ে কদিন চলে রাম রাবনের যুদ্ধ-তারপর আবার বর ও কনে যার যার মা বাবার কাছে ফেরত।

    আর একটি ভাল লাগার পর্ব ছিল রান্না বাটি খেলা। মেলা থেকে আসত ছোট ছোট হাড়ি কুরি। উঠোনের কোন এক কোনা য়ক গর্ত খুড়ে তৈরি হত উনুন । তারপর মুলতই পাতালতা দিয়ে সব রান্নার সরঞ্জাম ব্যঞ্জন বানান। অনেক সময় সত্যি সত্যি আগুন জ্বেলে অল্প জলে রান্না ও হত। এক একটি রান্নার জন্য এক রকম পাতা। কোনটি নাম জানা কোনটি অজানা ।

    মহা আনন্দের ব্যপার ছিল স্কুল থেকে ফিরে এসে খেলতে যাওয়া ।অআমরা বলতাম দাড়িয়া বান্দা খেলা। কোনমতে মুখে ভাত গুজে দৌড় মাঠে। মুখার্জী জেঠুদের মাঠ সবার মাঠ।অআমার মাঠে আমিই খেলব সেই মনভাব তখনও তৈরি হয়নি। ছেলে মেয়ে মিলে খেলা। মাঝে মাঝে ঝগড়া আবধারিত। তখন আবার ছেলের দল মেয়ের দল আলাদা ।অশুরু হত মেয়েলি খেলা- বুড়ি কুত কুত । শীতের দিনে ব্যাডমিন্টন । কারোকে বলে দিতে হত না ।অএকটার পর একটা পর পর তৈরি।অমাঝে মাঝে খেলতে খেলতে হুঁশ থাকতো না ।অসন্ধ্যে পেরিয়ে গেলে জুটত উত্তম মধ্যম ।অসন্ধ্যে ছিল একটি লক্ষন রেখা। সেটি পেরিয়ে যাওয়া মানে ই -হয়ে গেল। তবে খেলার জন্য সে টুকু আর কিছু মনে হত না। অন্ধকারে ছোড়দা ও আমাকে ঘর থেকে বের করে দিলেন বাবা। ছোড়দাও আমার খেলার সঙ্গী।অসুতরাং মারের ও সঙ্গী। কিছুক্ষন পর ঠাকুমা গিয়ে চুপি চুপি ভেতরে নিয়ে এলেন।অবললেন,"বাবার কথা শুনবে"।অহয়ে গেল শাসন। ঠাকুমার মুখের ওপরে বাবা কিছু বলবেন না জানি। সুতরাং আমাদের পায় কে।অখেলার খেলা হল বকুনি থেকে বাঁচলাম।

    আর আমরা অপেক্ষা করতাম বিহুর জন্য। কারন সেদিন কলার পাছালি ও বাঁশ দিয়ে ঘর তৈরি করে হত পিকনিক। সবচেয়ে মজা হত সেদিন পেঁয়াজ খাওয়া যাবে । বাড়ীতে পেঁয়াজ রশুন বারণ । সুতরাং সেই অমৃতের স্বাদ সেদিন পাওয়া যাবে।অভাবলে এখন হাসি পায়। নগদ টাকা পয়সার কোন ব্যপার নেই। চাল ডাল,ডিম-যা দরকার সবই চেয়ে চিন্তে সবার বড়ী থেকে যোগাড় হত।অসাররাত সেখান থাকা ।অতবে এতোটা হত না।অরাত ১২টা নাগাত ঘরে ফেরা । পরদিন ভোর বেলা চান করে ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হত। সেখানে দাড়িয়ে আগুন পোহানো ।অমা- জ্যেঠিমা -কাকিমারা রাত জেগে পিঠে বানাতেন ।অকারন সেটা ছিল পৌষ সক্রান্তির আগের রাত। পরদিন ছিল মহা খাওয়ার ধুম।

    এভাবে ই টিভি, কম্পিউটার গেম ,ফাস্ট ফুড, শপিং মল বিহনে আমাদের জীবন ছিল।

    আজকালকার বাচ্চারা কোথায় আর এত সময় পায়।অইদুর দৌড় , কোচিং ,হ্যেনা শেখা, ত্যানা শেখা ,তারপর চাঁদ ধরার প্রতিযোগিতা। টুং সোনাদা ঘুম -এর দেশ থেকে অনেক দু--র। কষ্ট পাই ওদের জন্য।অব্যবধান টা বড় বেশি হয়ে গেছে। ছুঁতে পারিনা ওদের!!

    *

    *

  • kc | 194.126.37.78 | ২৬ জুন ২০১১ ১০:৪৩407323
  • বেশী কিছু চেঞ্জ হয়নি। আজও গ্রামে, গ্রাম ঘেঁষা মফস্বলে, জীবন প্রায় ওরকমই আছে। পাতলা ঢেলা জলে ছুঁড়ে ব্যাঙাচি খেলা আজও হয়, গুলি-মার্বেল নিয়ে মারপিটও আছে। ডাঙ্গুলি আর হাফ প্যাডেলের সাইকেল আজও চলে। শুধু মোবাইল ফোনের মিসড কল ছাড়া বিশেষ কিছুই অ্যাড হয়নি। আমরাই ""নিজ দোষে আলাদা'' হয়ে গেছি।
  • Bratin | 117.194.99.197 | ২৬ জুন ২০১১ ১১:৪৯407324
  • সেদিনো কোন এক বর্ষাভেজা দুপুর। আমি আর সে।কলকাতার রাস্তায় জমা জল আর কাদা বাঁচিয়ে সন্তপর্নে পদচারণা।বয়েস কম ছিল তাই বদমাইশি বুদ্ধি বেশী।রাস্তার জমা জলে জুতো ডুবিয়ে তার সদ্দ কাচা সালোয়ার ভেজাতে চাইলাম। চোখ পাকিয়ে বললো ও ই রকম করিস না । এটা পরেই আজকে বাড়ি যাবো। ১৬ বছর হয়ে গেল। অথচ মনে হয় এই সেদিন ......
  • M | 59.93.215.53 | ২৬ জুন ২০১১ ২০:০২407325
  • ব্রতীন,
    এবার এট্টা হ্‌হ্‌পাপ্রে নামিয়েই ফেলো।:P
  • aka | 24.42.203.194 | ২৭ জুন ২০১১ ০০:১৮407326
  • বোতীন শুধু পুরুষ সিংহই নয় কলির কেষ্টও বটে। :)
  • pi | 72.83.103.17 | ২৭ জুন ২০১১ ০৫:১৭407327
  • না:, NBদির মত নিজে কখনো পুতুল বানাইনি।
    এমনকি জীবনে কখনো পুতুলদের ড্রেস বানাই ও ই নি। শাড়ি টাড়ি পরাই ও নি। পারলে তো :(
    ওসব ই আমার মা, মামাতো দিদি আর আমার খেলার সন সঙ্গিনীদের আউটসোর্স করেছিলুম।

    কিন্তু, আমার তৈরি/আমার হাতে পোশাক পরার দুর্ভাগ্য না হলেও আমার পুতুলদের কাহিনী খুব ই করুণ :(

  • MeghAudity | 61.247.176.154 | ২৭ জুন ২০১১ ১০:০৫407328
  • খেলা খেলা দিন

    ঝুল ফ্রকে ধুলো লাগে, মুখে লাগে ইঁটের লাল লাল গুঁড়ো তবু কি থামি! লজ্জাবতীর পাতা ছুঁইয়ে দিই আঙুল দিয়ে অমনি পাতা লজ্জা পেয়ে কুঁকড়ে বন্ধ হয়ে যায়। ওর পাশেই ছোট ছোট এই টুকুনি গাছ তাতে গোল গোল ছোট সবুজ বুনো ফল। আমি বলি এগুলো আমার রান্নাবাটি খেলার বেগুন। গাছ থেকে বুনো ফল ছিঁড়ে নিই টপাটপ। কোঁচড় ভর্তি করে নিই গাঁদা ফুল, গাঁদা নয় বলি গেন্দা ফুল। সেগুলোকে নিয়ে মশলা বানাতে বসি হাঁটু মুড়ে। ছোট্ট একটা কাঠের টুকরা আর একটা বড় তাতে ফুলের পাঁপড়ি আর জল দিয়ে বেশ করে পিষে হলুদ বাটা বানাই। লাল ইঁটের গুড়োতে হবে লঙ্কা বাটা। তারপর সেই বেগুন দিয়ে হবে ঝাল ঝাল ঝোল। বিনা আগুনেই হয়ে যায় রান্না। তারপর নারকেল মালার পাত পড়ে আমরা বসে খেয়ে নিই- কী সোয়াদ গো সেই মিছিমিছি রান্নার।

    তারপর সেই মিছে আগুন নিভে আসে

    পিঠে পড়ে গুম গুম গুম

    দুপুর গড়াতে চলল

    স্নান হবে কখন?

    দৌড়... দৌড়.. দৌড়.....

    খাবলা তেল শরীরে না মাথায় পড়ে,

    জল কতক গায়ে কতক মাথায়।

    মা'র হাতে ধরা পড়ে গেলে হয়ে গেল সব্বোনাশ। রগড়ে রগড়ে গায়ের চামড়া দেয় তুলে। ধুয়ে মুছে সাফ করে দেয় সব ধুলো তারপর ভাত খেতে ডাকে। পেটে তখন সাত রাক্ষুসী খিদে। সাদা সাদা জুঁইফুল ভাত থেকে ধোঁয়া বেরোয়, পাতে পড়ে এক চামচ ঘি আর কুমড়ো ফুলের বড়া সাথে কখনও এক হাতা ডাল।

    দুপুরে মা ঘুমিয়ে গেলে পুরো বাড়ি সুনসান, তখন আমি বাড়ির পিছনদিকে সুপারী গাছ তলায় সুপারী কুড়াই। আজিরন বু ভাত খেয়ে আঁচাতে আসে কলতলায়। আমাকে দেখে চোখ বড় বড় করে বলে, এয়াই এহানে কি, ঘুমাইতে যাও। গাছতলায় পড়ে থাকা সুপারী কুড়াতে আমার বেশ লাগে তারপর সেগুলো জাঁতিতে ফেলে দুভাগ করলে কচিগুলোর মধ্যে নরম সুপারী বেরিয়ে আসে যেগুলো খেতে ভালো লাগে। কলতলাতে আছে টোপাকুলের গাছ, শীত কি গরম সবসময় সেটাতে কুল হয়। ছোটো হাতে গাছ ধরে ঝাঁকাই, পড়ে না একটাও। আজিরন বু'কে বলি দ্যাও না গো কটা কুল।

    সন্ধ্যা হলে লতিফ ভাই উঠোনে বসে আমাকে গল্প শোনায়। বেশীর ভাগ সময়েই একটা সিনেমার গল্প বলে। ২০শে এপ্রিল গুড ফ্রাইডের ছুটিতে কাকে যেন যাবজ্জীবন দেওয়ার কথা বলে। লতিফ ভাইকে বলি, অন্য গপ্পো বলো না গো। লতিফ ভাই বলে, আগে আমারে চাইর আনা পয়সা দ্যাও বিড়ি খাবার জন্যি তালে কমু। আমি পয়সা কোথায় পাই! পয়সার অভাবে আর নতুন গল্প শোনা হয় না আমার।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ২৭ জুন ২০১১ ১০:২৫407329
  • আকা, বর্তমান তো আছেই। থাকবেই। কিন্তু অতীত কে অস্বীকার করা কী যায়? যদি তার সাথে মিশে থাকে অনেক ভালো লাগা আর চোখের জল। বোধহয় না।
  • pi | 72.83.103.17 | ২৭ জুন ২০১১ ১০:৩২407330
  • আমাদেরও প্রচুর গাছপত্তর ঝাঁকাতে হত। তবে একা না, দু'তিনজনে একসাথে ঝাঁকাতুম তো, তাই ফল ও পেতাম।
    না, ফল পাড়তাম না। আটকে যাওয়া ব্যাডমিন্টনের কর্ক :)

    কুড়োতাম তো বকুল আর কদম ফুল, সে তো না ঝাঁকাতেই পথ বিছিয়ে পড়ে থাকতো।
    আর শিউলি ? সে ঝাঁকানো আর এমন কি শক্ত !

  • siki | 123.242.248.130 | ২৭ জুন ২০১১ ১০:৩৪407331
  • ব্রতীন কি বোঝাতে চেয়েছে বয়েস বাড়ার সাথে সাথে বদমাইশি বুদ্ধি অনেক কমে গেছে?

    কালকের ১১:৪৯ পোস্ট পশ্য।
  • madhuchhanda paul | 59.95.218.57 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:২৮407332
  • ছোটবেলায় খুব ভূতের ভয় পেতাম । আমাদের বড় পুরনো বাড়ীতে অনেক অন্ধকার ,আধো অন্ধকার জায়গা ছিল। সেই সব জায়গা গুলো সন্ধ্যের পর ভীষণ হয়ে উঠত । সবচাইতে ভয়ের সময় ছিল রাত্তির বেলা খাবার পর ওপরে শুতে যাওয়া । বাড়ীর লোকেরা তখন সবাই নীচে ব্যস্ত খাওয়া দাওয়া নিয়ে । যারা পড়াশোনা করে তারা হয়ত যারযার ঘরে টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে পড়ছে ,সামনে পরীক্ষা । নীচের একটা লম্বা আধোঅন্ধকার প্যসেজ পেরিয়ে ওপরে ওঠার সিঁড়ি , মাঝামাঝি কুলিঙ্গিতে একটা লণ্ঠন জ্বলত । ইলেকট্রিক লাইট ছিল না সিঁড়িতে জানিনা কেন । সিঁড়ির শেষে বাঁদিকে সেজজ্যাঠাইমার এলাকা । একটা বড় একটা বড় একটা ছোট ঘর , একটা বারান্দা আর একটা মোটামুটি বড় ছাদ নিয়ে । খালি পড়ে থাকা । সেজজ্যাঠাইমারা তখন রাস্তার উল্টোদিকে বাড়ি করে চলে গেছে । ঘরের দরজা জানলা সব খোলা । জানলার রঙিন শার্সিতে আলো পড়েছে । নীচে সিঁড়ির মুখে কেউ দাঁড়াত বেশীর ভাগই ছোট কাকীমা । বলত "ওপরে পৌঁছে সাড়া দিবি ,ততক্ষন যাবনা ।" প্রায় চোখ বন্ধ করে দৌড় দিতাম , যতদূর সম্ভব দৌড়ে গিয়ে আর্তনাদের মত করে চিৎকার দিতাম " যা...............ও ঊ।" ঘরে পৌঁছেগেলে ভয় অনেকটা কেটে যেত । আমাদের শোবার ঘরের সামনে একটা ছোট ছাদ তার একপাশ দিয়ে তিনতলায় যাবার সিঁড়ি । তিনতলায় বেশীটাই ছাদ আর গোটা তিনেক ঘর ঘরের সঙ্গে বারান্দা । ছাদের ওপর এসে পড়েছে প্রতিবেশীর কাঁঠাল গাছের পাতাসুদ্ধ ডালপালা ।অসেই কাঁঠাল গাছ থেকে নাকি মাঝে মাঝে লালপাড় শাড়ী পরা কাউকে ছাদে নেমে আসতে দেখেছে কেউ । একদিন সন্ধ্যের মুখে ছাদে বেড়াতে বেড়াতে কিছু একটা দেখে দাঁতে দাঁত লেগে গেল আমাদের এক আত্মীয়ার । সে এক কাণ্ড জলরে ,পাখারে ,চামচরে ! তবে আমি কিছু দেখিনি কখনও । ছাদের একটা ছোট ঘর সবসময় তালা বন্ধ করা থাকতো ,কোনোদিনও খোলা হতনা । খুব কৌতুহল ছিল আমাদের ,মাঝে মাঝে খড়খড়ি তুলে দেখতাম ভেতরে পুরন আসবাব ভর্তি , তার মধ্যে একটা তেপায়া টেবিল । বাবাদের প্ল্যানচেট করার টেবিল । একসময় বাবারা খুব মেতেছিল প্ল্যানচেট নিয়ে ।অশুনেছি একবার নাকি একটা বড় একটা বিপদ হতে যাচ্ছিল ,তারপর আমাদের ঠাকুমা তেপায়া টেবিল ঘরে বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয় ।
    আমাদের ডিস্পেন্সারির বাইরের দিকে খানিকটা যায়গায় ব্যবস্থা ছিল রোগীদের থাকার । খানিকটা ঘেরা জায়গা আর জলকল ইত্যাদি নিয়ে । মাঝে মাঝে গ্রাম থেকে মৃতপ্রায় রোগীকে গরুর গাড়ীতে চাপিয়ে নিয়ে আসতো আত্মীয়রা । বেশীর ভাগই কলেরার সময় । একটা দুটো মরতই প্রতি বছর । যখন খালি থাকতো তখনও আমরা শুনতে পেতাম রাতের দিকে , লোহার জলের বালতি যা ওদের ব্যবহার করার জন্য থাকতো, যেন নাড়াচাড়া করছে কেউ । এর ব্যখ্যা আমার জানানেই । আরও একটা ঘটনা ঘটতো , তিন তলার বন্ধঘরের নীচের ঘরে থাকলে শোনা যেত অবিকল কেউ যেন গুলি খেলছে , গড়িয়ে দিচ্ছে গুলি । কেউ কেউ অবশ্য বলেছিল --- বন্ধ ঘরে হাওয়ার কারসাজি এটা । হতেওপারে আমাদের কিন্তু অন্যরকম ভাবতেই ভালো লাগত।

    আমার জ্যাঠতুত দিদি ছোড়দির একটা খুব সুন্দর বাগান ঘেরা বাড়ী ছিল । আমাদের মায়ের চেয়ে বয়সে বেশ বড় ছোড়দির বাড়িতে সকলের জন্যে দরজা খোলা সবসময় । অনেককটি ছেলেমেয়ে , কেউ সমবয়সী ,কেউ বড় । ঐখানে বড় দাদারা প্ল্যানচেট করত। আমারা ঘরের বাইরে থেকে বুঝতে চেষ্টা করতাম ,ভেতরে কি হচ্ছে । ওরা নাকি শরতচন্দ্র কে ডাকতো । শরতচন্দ্রের বদলে আসতেন শ্রীকান্ত ! একবার তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ,উনি কোথায় থাকেন ? উত্তর দিয়েছেলেন --"তোমাদের আতাগাছে " আতাগাছ টাকে এড়াবার উপায় নেই ,ওটার তলাদিয়ে যাওয়াআসা করতেই হবে । তাই সবার হাতেহাতে চাবি ধরিয়ে দেওয়া হল । লোহা থাকলে ভূত কিছু করতে পারেনা ।অ।

    মধুছন্দা পাল ।অ।
  • pi | 128.231.22.133 | ২৫ অক্টোবর ২০১১ ২৩:১৮407334
  • মধুছন্দাদি, এখানে লিখতে পারেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন