এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কনস্পিরেসি?

    dri
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০০৯ | ২৫০৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১১ জুন ২০০৯ ১১:২৯409157
  • দুই সংখ্যার বুবুভা বা কুক হতে পারে।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১১ জুন ২০০৯ ১১:৩৪409158
  • দুষন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, গ্রীন হাউন্স, ক্লাইমেট চেঞ্জ এসব নিয়েও প্রচুর অ্যান্টি থিওরি আছে। এবং সেই থিওরি যে সব ডাটার ওপর বেস করে তৈরী তার কোনোটাই ফেলে দেওয়ার মতন নয়।
    অনেক পেপার পড়তে পারিনি সবস্ক্রিপশান নেই বলে। সেগুলোর অ্যাবস্ট্রাক্ট ও খুব ইন্টারেস্টিং ছিলো।
  • dri | 117.194.228.233 | ১১ জুন ২০০৯ ১২:৩২409159
  • শুরুটা এক অর্থে এলসিএম করেই দিয়েছেন ম্যালথাসের লিংকটা দিয়ে। ১৭৯৮ সালে ম্যালথাস 'অ্যান এসে অন দা প্রিনসিপ্‌ল অব পপুলেশান' নামে একটি লেখা বার করেন। তিনি বলেন যে মানুষের পপুলেশান জিপিতে বাড়ে, কিন্তু রসদ বাড়ে এপিতে। তাই এই পপুলেশান বৃদ্ধি সাস্টেনেব্‌ল নয়। জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে তাই চাই পিরিয়ডিক মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ এটসেট্রা। এসব কথা উইকিতেই আছে। আমি জাস্ট রেলিভ্যান্ট কথাগুলোর একটা সামারি করে দিলাম।

    এর পাশাপাশি রাখা যাক, ম্যালথাসের আরেকটি আইডিয়া, ঐ ওনার প্রিন্সিপ্‌ল অব পপুলেশানেই লেখা।

    "It does not, however, seem impossible that by an attention to breed, a certain degree of improvement, similar to that among animals, might take place among men. Whether intellect could be communicated may be a matter of doubt: but size, strength, beauty, complexion, and perhaps even longevity are in a degree transmissible… As the human race could not be improved in this way, without condemning all the bad specimens to celibacy, it is not probable, that an attention to breed should ever become general."

    কি বলছেন এখানে ম্যালথাস? বলছেন, জন্তুজানোয়ারের বেলায় যেমন সিলেক্টিভ বৃডিং করানো হয় (তখনকার দিনে বড়লোকেরা ঘোড়া, শিকারী কুকুর ইত্যাদির সিলেক্টিভ ব্রিডিং করাতো আরো তেজী ঘোড়া, আরো দক্ষ শিকারী কুকুর বানাতে), সেরকমটা মানুষের জন্যও সম্ভব।
  • dri | 117.194.228.38 | ১১ জুন ২০০৯ ১৩:১৯409160
  • ম্যালথাসের ধারনা সমসাময়িক ও পরবর্তী এলিট ক্লাসকে খুব অনুপ্রাণিত করেছিল।

    এদের একজনের নাম ছিল ফ্রান্সিস গ্যালটন। এঁকে ইউজেনিস্কের জনক বলা হয়। ১৮৮৩ সালে গ্যালটন বলেন,

    "Eugenics is the study of the agencies under social control that may improve or impair the racial qualities of future generations either physically or mentally."

    'ইউ' এর অর্থ ভালো। আর জেনিক্স অর্থে জিন বিষয়ক। অর্থাৎ ভালো জিনের স্টাডি।

    গ্যালটন আরো বলেছেন,

    “What nature does blindly, slowly and ruthlessly, man may do providently, quickly, and kindly. As it lies within his power, so it becomes his duty to work in that direction.”

    এক কথায়, গ্যালটন বলছেন, এইসব খারাপ জিন যেগুলো নেচার এমনিতেই ন্যাচারাল সিলেকশানের পদ্ধতিতে বাদ দিয়ে দেবে, সেই একই কাজ মানুষ করতে পারে অনেক তাড়াতাড়ি, অনেক এফিশিয়েন্টলি, এবং অনেক মানবিকভাবে (!?)।
  • dri | 117.194.228.38 | ১১ জুন ২০০৯ ১৩:৩১409161
  • এবং কে ছিলেন এই গ্যালটন?

    ইনি ছিলেন চার্লস ডারউইনের হাফ-কাজিন!

    ডারউইন পরিবারের দিকে একটু তাকানো যায়, দেখা যাবে এরা সিলেক্টিভ ব্রিডিং এ বিশ্বাস করতেন। পরপর পাঁচ জেনারেশান ধরে এরা ওয়েজউড পরিবারের সাথে বিয়ে করেছেন। মানে ডারউইনের ঠাকুর্দা ওয়েজউড বাড়ির মেয়ে বিয়ে করেছেন, আবার ডারউইনের বাবাও তাই, ডারউইন নিজেও তাই, এইরকম। তো ডারউইন সেই অর্থে বিয়ে করেন এক কাজিনকে। কোন এক ডারউইন তার বউ মারা গেলে তার মাসিকে বিয়ে করেন জাস্ট এই ফ্যামিলিতে বিয়ে ব্যাপারটা মেনতেন করার জন্য। এছাড়া ডারউইন পরিবারের সাথে গ্যালটন পরিবার, হাক্সলি পরিবার ইত্যাদি হাতে গোনা কিছু বিশিষ্ট পরিবারের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল।

    এর থেকে কিছুটা আন্দাজ করা যায়, তখনকার দিনে এলিটরা তাদের জেনেটিক পিওরিটি নিয়ে খুব পিটপিটে ছিল।
  • dri | 117.194.228.38 | ১১ জুন ২০০৯ ১৩:৩২409162
  • (এরপর আগামী সংখ্যায়)
  • dd | 122.167.44.38 | ১২ জুন ২০০৯ ২২:৪৮409163
  • দৃ সাহেব, ঐ আগামী সংখ্যাটা তাড়াতাড়ি ল্যাখেন।
    ল্যাখেন, ল্যাখেন।

    নইলে, শ্যাষ ম্যাষ আমি নাক গলাইয়া দিমু গিয়া। আর সেইডা এমনই অশিক্ষিত,ডানপন্থী, পলিটিক্যালি ইনকারেকট হবে যে আমি এখন থেকেই শিউড়ে শিউড়ে উঠছি।
  • lcm | 128.48.7.177 | ১২ জুন ২০০৯ ২৩:০০409164
  • শুধু সাহেবরা কেন, আমাদের দেশেও তো জিন দেখে বিয়ে দেওয়া হত। নীল রক্ত... এসেট্রা... আজকাল অবশ্য লাল আর তেরঙা ... এসব দেখা হচ্ছে :-)
  • dri | 117.194.228.14 | ১৩ জুন ২০০৯ ১১:২৮409165
  • ১৯০৪ সালে, হিটলারের ইহুদী নিধনের অনেক আগে, আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ইউজেনিক্স সোসাইটি। পয়সা দেন স্টীল ব্যারন অ্যান্ড্রু কার্নেগি, অয়েল ব্যারন জন ডি রকাফেলার, ব্যাঙ্কার জে পি মরগ্যান। কার্নেগি প্রকাশ্যভাবে ম্যালথাসের ভক্ত ছিলেন এবং ওনার জননিয়ন্ত্রণের ধারণার সমর্থক ছিলেন। আম্রিকায় প্রথম দিকে রেল লাইন পেতে মিলিয়ানেয়ার (তখনকার দিনে মিলিয়ানের ভ্যালু ছিল, আজকের মত ট্রিলিয়ান ট্রিলিয়ান টাকা আকাশে উড়ত না) হয়েছিলেন এডওয়ার্ড হ্যারিম্যান। তাঁর মৃত্যুর পর মিসেস হ্যারিম্যান এইজেনিক্স সোসাইটিকে ৮০ একর জমি দান করেন লং আইল্যান্ডের কোল্ড স্প্রিং হারবারে।

    এখানে রিসার্চের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল উন্নততর হোয়াইট রেস গড়ে তোলা, ডিফেক্টিভ রেসগুলোকে (কালো, ও অন্যান্য রঙবেরঙের রেস) খুব বাড়তে না দেওয়া ইত্যাদি। ভুলভাল রেসকে আটকাতে মিসেস হ্যারিম্যান চেয়েছিলেন বিশ্বব্যাপী স্টেরিলাইজেশান প্রোগ্রাম। (একটু অপ্রাসঙ্গিকভাবে এখানে বলতে চাই যে রুলিং ক্লাসের মধ্যে এই মেন্টালিটি খুব কমন। অনেকে মুখ ফুটে বলেন, অনেকে চেপে যান। এইসব ঘটনার অনেক পরে, সঞ্জয় গান্ধীও ফোর্সড স্টেরিলাইজেশানের কথা বলেন।)

    মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির ট্রাস্টি, এবং টেডি রোজাভেল্টের বন্ধু, ম্যাডিসন গ্র্যান্ট বলেছেন,

    "ইন ইওরোপ টুডে, দা অ্যামাউন্ট অব নর্ডিক ব্লাড ইন ইচ নেশান ইজ আ ভেরি ফেয়ার মেজার অফ ইট্‌স স্ট্রেংথ ইন ওয়ার অ্যান্ড ইট্‌স স্ট্যান্ডিং ইন সিভিলাইজেশান। ইন দা সিটি অব নিউ ইয়র্ক অ্যান্ড এল্‌সহোয়্যার ইন দা ইউ এস দেয়ার ইজ আ নেটিভ অ্যামেরিকান অ্যারিস্টোক্র্যাসি রেস্টিং আপন লেয়ার আপন লেয়ার অফ ইমিগ্র্যান্টস অফ লোয়ার রেসেজ। ... ইট হ্যাজ টেকেন আস ৫০ ইয়ার্স টু লার্ন দ্যাট স্পিকিং ইংলিশ, ওয়্যারিং গুড ক্লোদ্‌স অ্যান্ড গোয়িং টু স্কুল অ্যান্ড চার্চ দাজ নট ট্রান্সফর্ম আ নিগ্রো ইনটু আ হোয়াইট ম্যান। ... দা ইনডিসক্রিমিনেট এফর্টস টু প্রিজার্ভ বেবিজ অ্যামং দা লোয়ার ক্লাসেস, অফেন রেজাল্টস ইন সিরিয়াস ইনজিওরি টু দা রেস।"
  • dri | 117.194.227.19 | ১৩ জুন ২০০৯ ১১:৪৩409167
  • কোল্ড স্প্রিং হার্বারের ফাইনান্সিয়ারদের মানসিকতা ইভেন টেডি রোজাভেল্টের লেখায়ও ধরা পড়েছে,

    "I wish very much that the wrong people could be prevented entirely from breeding; and when the evil nature of these people is sufficiently flagrant, this should be done. Criminals should be sterilized and feebleminded persons forbidden to leave offspring behind them… The emphasis should be laid on getting desirable people to breed…"

    ১৯১৫ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্য্যন্ত কোল্ড স্প্রিং হার্বার জার্মানীর লিডিং ইউজেনিসিস্ট সাইন্টিস্টদের সাথে কোলাবরেট করত। বিভিন্ন রেসের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা হত। রেসের মধ্যে হাইরার্কি স্থাপনের কাজ হত। কিকরে পৃথিবীকে 'আনদিজায়ারেব্‌ল' এবং 'ডিফেক্টিভ' মুক্ত করা যায় সেই নিয়ে প্রচুর রিসার্চ হত।
  • dri | 117.194.231.242 | ১৩ জুন ২০০৯ ১২:০৫409168
  • মিসেস হ্যারিম্যানের পুত্র অ্যাভারিল হ্যারিম্যান অন্যান্য অনেক কিছুর সাথে ইউনিয়ান ব্যাঙ্কিং কর্পোরেশানেরও মালিক ছিলেন। সেখানে তাঁর ডানহাত ছিলেন প্রেসকট বুশ, যিনি আর কেউ নন, আমাদের ফেভারিট জর্জ ডাব্লিউ বুশের ঠাকুর্দা। এই ইউনিয়ান ব্যাঙ্ক তাদের জার্মান অ্যালাই ফ্রিৎজ থাইসেনের মাধ্যমে হিটলারকে ফাইনান্স করেছিল, কনসা®¾ট্রশান ক্যাম্প বানাতে সাহায্য করেছিল, ক্যাম্প অব্দি রেললাইন পাতার টাকা দিয়েছিল, আই জি ফার্বেন বলে একটা কোম্পানীকে লোন দিয়েছিল যারা নাৎসী ক্যাম্পের ফ্রি লেবার ব্যবহার করে প্রচুর প্রফিট করেছিল, আবার বন্দীদের মারার জন্য নার্ভ গ্যাসও বানিয়েছিল।
  • dri | 117.194.231.242 | ১৩ জুন ২০০৯ ১২:৪৩409169
  • নাৎসীদের জিনের ভিত্তিতে হত্যা কোন আকাশ থেকে পড়া আইডিয়া নয়। এর দীর্ঘ ট্র্যাডিশান ইউরোপে এবং আমেরিকায় ছিল। যদিও ইহুদীহত্যার কাহিনী গল্পে সিনেমায় বেশী করে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণ জিপ্‌সিহত্যাও হয়েছিল। ইহুদীহত্যার মধ্যেও বাছবিচার ছিল। বড়লোক সম্ভ্রান্ত ইহুদী তত মারা হয়নি। এলেবেলে ইহুদীদেরই বেশী মারা হয়েছিল। এলেবেলে ইহুদী কারা? জেরুজালেমে আক্রমণের পর ইহুদীরা তাড়া খেয়ে পালায় এবং পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বারোটা মূল সম্ভ্রান্ত পরিবারের এই বংশধরেরা ছিল বারোটা ট্রাইব। কিন্তু পরবর্তীকালে ইহুদীরা সংখ্যায় বাড়ে। তখন এই বারোটা ট্রাইবের বাইরেও একটা থার্টিন্‌থ ট্রাইব তৈরী হয়। এরা মূলত খাজার অঞ্চলের অধিবাসী। এরাই হল এলেবেলে ইহুদী। হলোকস্টের সময় এদের বেশী করে টার্গেট করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য স্ট্যালিনও অনেক খাজার ডিসেন্টের ইহুদী নিধন করেছিলেন।

    ইহুদীদের মারার পিছনে বড় রকমের সাহায্য ছিল আমেরিকার আই বি এম কোম্পানীর। হলারিথ পাঞ্চ কার্ড মেশিন তখন পপুলেশানের (বিশেষ করে নতুন জয় করা অঞ্চলের) জেনেটিক প্রোফাইলিং চটপট করে করতে সাহায্য করেছিল। এই মেশিন না থাকলে কে কোন বংশের ইহুদী আর কে কোথাকার জিপ্‌সি আর কে ফিজিকালি হ্যান্ডিক্যাপ্‌ড সেই লিস্ট বানাতে লেগে যেত বহু সময়। পাঞ্চ কার্ড সেই কাজ অনেক সহজ, এফিশিয়েন্ট করে দেয়। আই বি এমের মালিক টমাস ওয়াটসনের পূর্ণ সমর্থন হিটলারের প্রতি ছিল। পরে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের সময় প্রেসকট বুশ, টমাস ওয়াট্‌সনের মত লোকেদের আড়াল করে নেওয়া হয়।
  • dri | 117.194.231.242 | ১৩ জুন ২০০৯ ১২:৫৬409170
  • এবং সবচেয়ে বড় কথা হিটলার চলে যাবার ইউজেনিক্স পৃথিবী থেকে ধুয়ে মুছে গিয়েছিল এমনটাও নয়।

    তবে এই হলোকস্ট ইউজেনিক্সের নাম খারাপ করেছিল। আমজনতার চোখে ইউজেনিক্স অনেক নীচে নেমে গেছিল বিশ্বযুদ্ধের পর।

    আপনারা হয়ত ভাবছেন মূল বিষয়টা ছিল পরিবেশ ও জনসংখ্যা। জনসংখ্যা তো হল, কিন্তু ইউজেনিক্সে পরিবেশ কোথায়।

    এর পর আমরা সেই আলোচনাই করব। কিন্তু তার আগে নিয়ে নেব ছোট্ট একটু বিরতি।

    এই এক দু দিন আর কি।
  • Blank | 59.93.194.94 | ১৩ জুন ২০০৯ ১৪:২৫409171
  • এই ইউজেনিক্স প্রসঙ্গে আরো কয়েকটা সুতো ছারা যায়। যেমন
    ১) USAImmigration Act of 1924 এবং Asian Exclusion Act
    ২) ম্যাডিসন গ্রান্টের The Passing of the Great Race
    ৩) Margaret Sanger যিনি মহিলাদের বার্থ ক®¾ট্রালের জন্য অনেক কিছু করেছিলেন
    ৪) জর্জ বার্নাড স নিজে ইউজেনিক্সের সমর্থক ছিলেন।
    ৫) Luther Burbank অব্দি মনে করতেন যে ক্রিমিনাল এবং দুর্বল মানুষদের বার্থ ক®¾ট্রালের আওতায় আনা উচিৎ
    ৬) কার্নেগি আর রকাফেলার ফাউন্ডেসানের কথা তো দ্রি লিখে দিয়েছেন। রকাফেলার ফাউন্ডেশান চল্লিশের দশক অব্দি জার্মানিতে ইউজেনিক্সের কাজ কর্ম স্পনসর করে গেছে
    ৭) Leland Stanford ও ছিলেন নীল রক্তের সমর্থক। Stanford, Harvard, Yale সর্বত্র এই নিয়ে প্রচুর গবেষনা (!) চলেছিল তখন।
    ৮) CSH (Cold Springs Harbor Institute বানানো হয়েছিল ইউজেনিক্স নিয়ে কাজ কর্মের জন্য।
  • d | 203.143.184.11 | ১৩ জুন ২০০৯ ১৪:৩৬409172
  • সবই বুঝলাম। ওরা চায় না আ আ আমরা জন্মাই ইই। তাইজন্যই ওরা বলে যে আমরা পৃথিবীটা নষ্ট করে ফেলছি ..... সেই রাইস দিদিমণি যেমন আমাদের ভাতের খোঁটা দিয়েছিল ----- যাতে সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের ওপরে ওদের নি:স্বপত্ন অধিকার জন্মায়। কিন্তু দাদারা ভায়েরা ফরাক্কায় বাঁধ দিয়ে আমরা নিজেদের যতটুকু সুবিধে করেছিলাম, বাংলাদেশের দিকে না তাকিয়ে ..... সেতো এখন উল্টো বাঁশ হয়ে দাঁড়াচ্ছে আমাদেরই। হিমালয়ের উঁচু উঁচু জায়গায় যথেচ্ছ কোকের ক্যান আর প্ল্যাস্টিকের ঠোঙা ফেলে এসে নিজে্‌দরই ক্ষতি করছি সবার আগে। ওদের কথায় তেমন কান দেবার দরকার নেই। কিন্তু নিজেদের ভালটুকু তো নিজেদেরই বোঝা উচিৎ নাকি?
  • bu | 218.186.12.246 | ১৪ জুন ২০০৯ ২২:৩২409173
  • http://www.indiadaily.com/editorial/20569.asp অদ্ভুত লাগল পড়ে .... মুর্শিদাবাদ আর ফ্রী মেসন এর পান্‌চ .... এটাও কি থিওরির আওতায় পরে
  • dri | 117.194.228.123 | ১৫ জুন ২০০৯ ১৩:২০409174
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউজেনিক্সের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। ইউজেনিস্টরা তখন বুঝতে পারেন খুল্লমখুল্লা 'মানুষ মারব' বললে চলবে না। ইউজেনিস্কের আইডিয়া জনমানসে পুশ করার জন্য কোন পপুলার, মানবদরদী, প্রয়োজনে লেফটিস্ট মুভমেন্টের সাহায্য নিতে হবে। এনভায়রনমেন্টালিস্ট মুভমেন্টকে এরকম একটা মুভমেন্ট বলে চিহ্নিত করা হয়।

    ১৯৬১ সালে ডাব্লু ডাব্লু এফ (ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড) প্রতিষ্ঠা করেন স্যার জুলিয়ান হাক্সলি। ইনি নামজাদা ইউজেনিসিস্ট পরিবারের একজন প্যাট্রিয়ার্ক। এঁদের পরিবার চীনে আফিমের কারবারে যেমন অনেক মুনাফা করেছিল, সিক্সটিজে আমেরিকায় ড্রাগ কালচার প্রোমোট করাতেও অগ্রণী ছিল। জুলিয়ান হাক্সলি ডাব্লু ডাব্লু এফ প্রতিষ্ঠার আগে ব্রিটিশ ইউজেনিক্স সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্টের পদে কাজ করেছিলেন। পরিবেশবাদের মোড়কে ইউজেনিক্স চালিয়ে দেবার কৌশল এইরকম। 'এ ধরণী আর মানুষের ভার বইতে পারছে না গো। তোমরা (ছোটলোকেরা) খরগোশের মত বংশবৃদ্ধি করে ডোবাবে আমাদের। গাছপালাগুলোকে একটু দয়া কর। প্রাণীকুলের কথাও একটু ভাব। ডলফিনকে একটু চুমু খাও। ...'। ইত্যাদি। জুলিয়ান হাক্সলির নিজের মুখের কথা একটু শুনে নিন --

    "Political unification in some sort of world government will be required… Even though… any radical eugenic policy will be for many years politically and psychologically impossible, it will be important for UNESCO to see that the eugenic problem is examined with the greatest care, and that the public mind is informed of the issues at stake so that much that now is unthinkable may at least become thinkable."

    দেখুন কিরকম সতর্কভাবে পা ফেলছেন তিনি। বুঝছেন, যে গা জোয়ারী করে এইসব চালানো যাবে না। একটু একটু করে সুক্ষ্মভাবে মানুষের ব্রেনওয়াশ করে তবে পরের স্টেপ নিতে হবে। আর একটা ছোট্ট ব্যাপারের দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করব। একদম শুরুতে ইনি 'পলিটিকাল ইউনিফিকেশান ইন সাম সর্ট অব ওয়ার্ল্ড গভর্মেন্টের কথা বলেছেন জুলিয়ান! শুনতে কি অনেকটা 'ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভর্মেন্তের' মত লাগছে? নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার? হাক্সলি, তুমিও? এনিওয়ে এটা একটা ডাইভার্সান। দুটো কনস্পিরেসি মিশে যাচ্ছে।

    এছাড়াও ডাব্লু ডাব্লু এফের প্রেসিডেন্ট পদে থেকেছেন ডাচ রাজবাড়ির প্রিন্স বার্নহার্ড। ইনি সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারে জার্মান অকুপেশানের সময় জার্মান প্যারামিলিটারি সিক্রেট পুলিশ শ্লুৎসস্টাফেলের (এস এস) এজেন্ট ছিলেন।

    ডাব্লু ডাব্লু এফের প্রেসিডেন্ট পদে রাজবাড়ীর মেম্বার আরো আছেন। ইংল্যান্ডের উইন্ডসর ফ্যামিলির প্রিন্স ফিলিপও ছিলেন ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের প্রেসিডেন্ট। ইনি একবার এক জার্মান কাগজের ইন্টারভিউয়ে বলেছিলেন,

    "In the event that I am reincarnated, I would like to return as a deadly virus, in order to contribute something to solve overpopulation."

    পরিবেশে এত দরদ যাঁর, তিনি কেন তাঁর ফুল লাইফ লীড করার পর ভাইরাস হতে চান, কেন তিনি এক্ষুনি সুসাইড করে ভাইরাস হয়ে যাচ্ছেন না সেটাই আশ্চর্য্য!
  • dri | 117.194.232.248 | ১৫ জুন ২০০৯ ১৩:২৯409175
  • চমক আরো আছে। ডিসকাভারি চ্যানেল এবং বৃটিশ মিডিয়ার দৌলতে আমাদের অনেকের বয়হুড/গার্লহুড হিরো জাক কুস্তো, একাধিকবার ইন্টারভিউতে বলেছেন,

    "In order to stabilize world population, we must eliminate 350,000 people per day. It is a horrible thing to say, but it is just as bad not to say it."
  • dri | 117.194.228.100 | ১৫ জুন ২০০৯ ১৩:৪৫409176
  • আজ শুরু করতে একটু দেরী হয়ে গেল। বেশী হ্যাজাব না। পরিবেশবাদ শুধু একটা। বার্থ ক®¾ট্রালের সাথেও অনেক ইউজেনিসিস্ট যুক্ত। এইটা আমি আপাতত স্কিপ করছি। পরে কখনো লেখা যাবে। উৎসাহীরা নিজেরাই খুঁজে নিতে পারবেন। পড়ুন মার্গারেট স্যাঙ্গার সম্বন্ধে।

    কনক্লুশানে একটাই কথা বলার ছিল। যে পৃথিবীটা আপাতভাবে যেমন লাগে, সবসময় তেমন নয়। টেক্সটের মধ্যে অনেক সাবটেক্সট থাকে। আজকের দিনের যে এনভায়রনমেন্টালিস্ট মুভমেন্ট আমরা দেখি সেটা কিছুটা হলেও ইউজেনিসিস্টরা হাইজ্যাক করে নিয়েছে। মিডিয়াতে পরিবেশবাদের নাম করে যত রকমের আর্টিক্‌ল বেরোয় সেগুলোতে সাট্‌লভাবে নানা রকম ইউজেনিক আইডিয়া ঢোকানো আছে। পাঠকের সে ব্যাপারে কনশান থাকা দরকার। কারো যদি ইউজেনিক আইডিয়া ভালো লেগে গিয়ে থাকে তাহলে কোন কথা নেই। কিন্তু মিডিয়া প্রপাগ্যান্ডায় মানুষের অগোচরেই নানা রকম আইডিয়া মাথায় গেঁথে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়, যাকে বলে প্রেডিক্‌টিভ প্রোগ্রামিং। এছাড়া যে দুটো আর্টিক্‌ল থেকে কথা শুরু হয়েছিল সেগুলো সম্বন্ধ স্পেসিফিকালিও কিছু বলার ছিল। কিন্তু তার মানেই আবার এক গোছা ভাট। আজ আর হবেনা।
  • r4anjan roy | 122.168.6.36 | ১৫ জুন ২০০৯ ২২:১৩409178
  • দ্রি' এর অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং তাৎপর্য্যপূর্ণ লেখার ফাঁকে আমার একটি ছ্যাবলা কমেন্ট।
    বালিকা-বধূ ফিলিম দেখে আমি ও আমার ভাই মৌসুমী চাটুজ্জের ফ্যান হয়ে পড়লাম।
    কিন্তু৬৯-৭০'র সময় স্টেটস্‌ম্যানে ওনার( তদ্দিনে উনি হেমন্তবাবুর পুত্রবধূ হয়েছেন)একটি চিঠি বেরুলো যার সারমর্ম হচ্ছে---- গরীবেরা বংশবৃদ্ধি করে বড়লোকদের ন্যায্য জায়গা কেড়ে নিচ্ছে-- তাই নকশাল থেকে শুরু করে ঊযতসব সমস্যা। সরকারবাহাদুর ও০ শিক্ষিত জনগণ কিছু করুন, নইলে দুনিয়া রসাতলে যাবে।
    ব্যাস্‌, আমার ক্রাশ্‌ কপ্পূর হয়ে গেল।
  • sayan | 115.108.25.26 | ১৫ জুন ২০০৯ ২৩:৫৪409179
  • প্যাথলজি বলে একটি সিনেমা দেখলাম। ইউজেনিক্স অফ সাম সর্ট!
  • Shuchismita | 98.228.118.141 | ১৬ জুন ২০০৯ ০৪:৩০409180
  • ইউজেনিক্সের সাথে বার্থ ক®¾ট্রাল কি ভাবে জড়িত সেটা আরেকটু জানতে পারলে ভালো লাগবে। আমার যেমন মনে হয় সন্তানের ভরনপোষনের ক্ষমতা না থাকলে সন্তানের জন্ম দেওয়া একটা অপরাধ। শিশু শ্রমিক যারা নিয়োগ করে আর যারা শিশু শ্রমিককে জেনে শুনে জন্ম দেয় তারা একই অপরাধে অপরাধী। তাই অবশাই বার্থ ক®¾ট্রালের প্রয়োজন আছে। এটা কি ইউজেনিক আইডিয়া?
  • pi | 128.231.22.89 | ১৬ জুন ২০০৯ ০৮:০৫409181
  • সন্তানের জন্ম দিয়ে, শিশু সন্তানকে শ্রমিক হিসেবে পাঠালে বাবা মা অপরাধী,
    আর যে অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে মা বাবা শিশুকে শ্রমিক করতে বাধ্য হচ্ছেন, সে অবস্থার জন্য যে ব্যবস্থা দায়ী,তা অপরাধী না ?
  • dri | 117.194.230.254 | ১৬ জুন ২০০৯ ১১:৩৪409182
  • সেই। আসলে পৃথিবীতে অপরাধের লিস্ট এত লম্বা, আর এত একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত, যে অন্যান্য রিলেটেড অপরাধের কথা বাদ দিয়ে একটি অপরাধের আলোচনা করা চলে না।

    'সন্তানের ভরনপোষনের ক্ষমতা না সন্তানের জন্ম দেওয়া অপরাধ'। খুব স্থুলভাবে বলতে গেলে, এই কথাটার ইমিডিয়েট করোলারি দাঁড়ায় যারা খুব বড়লোক তাদের অনেক বাচ্চা করার অধিকার আছে, গরীব লোকদের বাচ্চা যেন খুব কম হয়, আর খুব গরীবদের যেন বাচ্চা না হয়। এইটা অত্যন্ত প্রবলেম্যাটিক। এটা বললে প্রশ্ন ওঠে কি সেই সমাজব্যবস্থা যেটা মানুষের সামর্থ্যের এত ফারাক করে দেয় যে একটা গ্রুপ তাদের রিপ্রোডাক্টিভ রাইট হারায়।

    বার্থ ক®¾ট্রাল হয়ে মিড্‌ল ক্লাসের লাভ হয়েছে। যে ক্লাসে আমরা বিলং করি। অল্প বাচ্চা হবে। কিন্তু যারা হবে তারা দামী এডুকেশান পাবে। ভালো লাইফ স্টাইল পাবে। মিড্‌ল ক্লাস বাচ্চাকে 'লায়াবিলিটি' হিসেবে দেখে। আমার চেনাশোনা কলকাতার কিছু লোকজন একটার পর আর দ্বিতীয় বাচ্চা নিচ্ছে না। কেন? একটা বাচ্চাকে সে 'খুব ভালো স্কুলে' পড়াতে পারবে। কিন্তু দুটো হলে দুটোকেই হয়ত খুব ভালোতে পাঠাতে পারবে না। একজন মিড্‌ল ক্লাস এইভাবে ভাবে।

    কিন্তু একজন গরীব মানুষ অন্যভাবে ভাবে। বাচ্চা তাদের কাছে একটা ইনভেস্টমেন্ট। সে তো তাকে দারুন স্কুলে পাঠাবে না। তার পেছনে খরচও করবে যৎসামান্য। বরং একটু বড় হলেই সে হয়ত ঘরের কাজে সাহায্য করতে পারবে, বা বাইরে কাজ করে একটু উপার্জন করবে। আর তাছড়া ভারতের মত দেশে গরীব মানুষের তো কোন সোশান সিকিউরিটি, পেনশান, মেডিকেয়ার এইসব নেই। আছে তাদের ছেলেমেয়েরা। তারাই বুড়ো বয়েসে দেখবে। বেশী ছেলেমেয়ে হবে কোন একজন দুজনের দেখার প্রব্যাবিলিট বেশী। গরীব মানুষের রিপ্রোডাক্টিভ বিহেভিয়ারের নিজস্ব র‌্যাশানাল আছে। এভ্রিবডি হ্যাজ আ রিজ্‌ন।

    আর শিশুশ্রমের ব্যাপারটাকে একটা বড় ইস্যু করা হয়। কিন্তু অ্যাম্রিকাতেও শিশুরা শ্রম করে। হলিউডেই তো বাচ্চারা অ্যাক্টিং করে। গ্যাস স্টেশানের ধারে বাচ্চারা কার ওয়াশের সাইন নিয়ে লম্ফঝম্প করে। অনেকে বলার চেষ্টা করেন শিশুরা শ্রম করে করুক। কিন্তু সেটা যেন তার পড়াশোনায় ক্ষতি না করে। এখন, সেটা অ্যাম্রিকায় সত্যি। কারণ এখানে লোকে পড়শোনার শেষে একটা চাকরি পায় (এতদিন পেয়েছে, এবার কি হবে কে জানে)। আমাদের দেশে একটা বাচ্চাকে, যার কোন টাকার জোর নেই, কেন পাঠাবে স্কুলে? অতদিন স্কুলে গিয়ে সে চাকরি পাবে তার কোন গ্যারান্টি আছে? আর চাকরি না পেলে সে স্কুলে যাবেই বা কেন? শুধু বিদ্বান হতে? ঐ যে বলেছি ইন আইসোলেশান একটা অন্যায়ের আলোচনা হয়না। লোকে কেন পড়েও চাকরি পায় না সেই অন্যায় কে সল্‌ভ করবে?

    শিশুশ্রম ব্যাপারটা মাল্টিন্যাশানালরা যখন যেমন সুবিধে তেমন ব্যবহার করে। এই যেমন ১৯৯৮-৯৯ সাল নাগাদ আমেরিকাতে বিড়ি খুব চল হয়েছিল। ভারত থেকে ইম্পোর্ট হত। এই সস্তার নেশায় সিগারেট কোম্পানীগুলোর ক্ষতি হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তারা লবি করে বলল যে বিড়ির ইম্পোর্ট বন্ধ করতে হবে কারণ বিড়ির সাপ্লায়াররা ভারতে শিশুশ্রমিক ব্যবহার করে। অথচ সব্বাই জানে এই মাল্টিন্যাশানালরাই আফ্রিকার কফিচাষে এন্তার শিশুশ্রমিক ব্যবহার করে।
  • dri | 117.194.230.254 | ১৬ জুন ২০০৯ ১২:৪৯409183
  • বার্থ ক®¾ট্রালের আইডিয়াও ইউজেনিক আইডিয়া। ভুলভাল জিনের বৃদ্ধি ঠেকাতে কি করা যায়, সেই নিয়ে অনেক ব্রেনস্ট্রর্মিং এলিটরা করেছেন। এদের মধ্যে যারা একটু মডারেট, তত র‌্যাডিক্যাল নন, তারা বলেন যে ঐ 'মেরে ফেলো, সাবাড় করে ফেলো' ডক্ট্রিনে বেশীদূর এগোনো যাবে না। বরং গরীবদের কম রিপ্রোডাকশানে এনকারেজ করতে হবে। এর থেকেই আসে বার্থ ক®¾ট্রালের আইডিয়া। অ্যাকচুয়ালি এই আইডিয়া বেশ পুরোন। ম্যালথাসের বাবার শিক্ষক কনডোর্সেটের। বার্থ ক®¾ট্রালের প্রপোনেন্ট, বার্ট্রান্ড রাসেল এ ব্যাপারে লিখেছেন,

    "He (Condorcet) was also the inventor of Malthus's theory of population, which, however, had not for him the gloomy consequences that it had for Malthus, because he coupled it with the necessity of birth control. Malthus's father was a disciple of Condorcet, and it was in this way that Malthus came to know of the theory."

    ১৯৩৫ সালে জার্মানীতে, বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগে, ইহুদী, জিপ্‌সী, স্লাভ, মানসিক রুগী, ফিজিকালি হ্যান্ডক্যাপ্‌ড ইত্যাদি গ্রুপের মধ্যে বার্থ ক®¾ট্রাল সংক্রান্ত তথ্য ফ্রিতে বিলি করা হয়েছিল। কিন্তু যে সব মহিলাদের 'এরিয়ান' গ্রুপে ফেলা হয়েছিল তাদেরকে এই তথ্য বিলি করা নিষিদ্ধ ছিল।

    শুরুর দিকে বার্থ ক®¾ট্রাল মুভমেন্টে যারা জড়িত ছিলেন, তারা যে ইউজেনিস্ট ছিলেন সেটা সবচেয়ে বেশী স্পষ্ট মার্গারেট স্যাঙ্গারের বিভিন্ন উক্তিতে। এমনিতে ওনার একটা লেফ্‌টিস্ট ইমেজ আছে। কালোদের মধ্যে বার্থ ক®¾ট্রাল প্রোমোট করেছিলেন, ইত্যাদি। কিন্তু তিনি ওপেন্‌লি ইউজেনিস্ক, সিলেক্টিভ ব্রিডিং এবং স্টেরিলাইজেশানের সমর্থক ছিলেন। তিনি প্ল্যান্‌ড পেরেন্টহুড বলে একটি সংস্থার ফাউন্ডার ছিলেন। ওনার একটা প্রোপোজাল ছিল --

    "No woman shall have the legal right to bear a child… without a permit for parenthood."

    এই ব্যাপারটা এতই এক্সপ্লোসিভ ছিল যে ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডে এটা ইমপ্লিমেন্টেড হয় নি। চায়নাতে যেটা হচ্ছে সেটা এর খুব কাছাকাছি।

    ওনার আরো কয়েকটি কোট।

    "The most merciful thing that a family does to one of its infant members is to kill it" দা উওম্যান রেবেল, ভলিউম ১।

    "Birth control must lead ultimately to a cleaner race." উওম্যান, মরালিটি, অ্যান্ড বার্থ ক®¾ট্রাল।

    "We should hire three or four colored ministers, preferably with social-service backgrounds, and with engaging personalities. The most successful educational approach to the Negro is through a religious appeal. We don’t want the word to go out that we want to exterminate the Negro population. and the minister is the man who can straighten out that idea if it ever occurs to any of their more rebellious members." ১৯৩৯ সালে ড: ক্ল্যারেন্স গ্যাম্বলকে লেখা একটি চিঠিতে।

    "Eugenic sterilization is an urgent need … We must prevent multiplication of this bad stock." বার্থ ক®¾ট্রাল রিভিউ।

    ইত্যাদি।

    বার্থ ক®¾ট্রাল মুভমেন্টের শুরুতে ইউজেনিস্টদের ইনভলভ্‌মেন্ট খুব ক্লিয়ার। তবে, যদিও এর রুট্‌সে আছে ইউজি্‌নক্স বিভিন্ন কারণে এটা পপুলার হয়েছে, আনলাইক মাস মার্ডার।

  • Shuchismita | 98.228.118.141 | ১৭ জুন ২০০৯ ০৯:০১409184
  • যে কোন কারনেই হোক না কেন মানুষ চায় সন্তানের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকতে। এটা বেসিক রাইট। এটাকে অস্বীকার করার প্রশ্নই উঠছে না। প্রশ্ন উঠছে অতিরিক্ত এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বংশবৃদ্ধি নিয়ে।

    যে অনুভুতি দিয়ে মানুষ সন্তানের স্বপ্ন দেখে সেই অনুভুতি থেকেই সন্তানের জীবন সুরক্ষিত রাখার ভাবনাও জন্ম নেওয়া উচিত। অন্য সন্তানরা ভালো নেই এবং ভবিষ্যৎ সন্তানরা ভালো থাকবে না এটা জেনেও কেউ যখন সন্তানের জন্ম দেয় তখন সেটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। আর দ্রি বোধহয় ঠিকই ধরেছেন - সেটা তখনই হয় যখন সন্তানকে মানুষ ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে দেখে। এখন প্রশ্ন হল - একজন মানুষের কি অধিকার আছে অন্য আরেকটি মানুষের জীবনকে নিজের প্রয়োজনে ইনভেস্ট করার? সেটা কি অপরাধ নয়?

    আর অর্থনৈতিক অসাম্যের জন্য যে ব্যবস্থা দায়ী সেটা তো অবশ্যই অপরাধী। কিন্তু এই অসাম্যের একটা কারন জনসংখ্যা। আর জনংখ্যার কারন হিসেবে হয়তো সচেতনতার অভাব এবং তার কারন হিসেবে সেই অর্থনৈতিক অসাম্যকেই চিহ্নিত করবো। এভাবে ঘুরপাক খেয়ে তো কোন লাভ নেই। যেটা প্রবলেম সেটাকে প্রবলেম হিসেবে আইডেন্টিফাই করতে পারলে অন্তত কাজটা এগিয়ে থাকে। সিস্টেমের দোষ তো নিশ্চয়ই। আর সেটা সবাই বলেও। কিন্তু কোন দায় না নিয়ে বাচ্চার জন্ম দেওয়াটাও অপরাধ। সেটাকে স্বীকার করলে অন্য সমস্যাগুলোকে মোটেই ছোটো করে দেখা হয় না। শুধু প্রবলেমটার রুট বুঝতে একটু সুবিধে হয়।
  • pi | 128.231.22.89 | ১৭ জুন ২০০৯ ০৯:১৪409185
  • রুটটা কোথায় ?
  • pi | 128.231.22.89 | ১৭ জুন ২০০৯ ০৯:১৭409186
  • মানে কোনটাকে রুট বলবো ঠিক বুঝলাম না।
  • rokeyaa | 203.110.243.22 | ১৭ জুন ২০০৯ ০৯:৩৭409187
  • শুচিস্মিতাকে,
    "অসাম্যের একটা কারণ জনসংখ্যা'? একটু বুঝিয়ে বলবেন?
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৭ জুন ২০০৯ ০৯:৫১409189
  • মোট রিসোর্স/জনসংখ্যা = গড় রিসোর্স। এই হিসেবে জনসংখ্যার গড় রিসোর্সের উপর একটা প্রভাব তো আছেই। জনসংখ্যা অতি অবশ্যই একটা প্যারামিটার।

    জনসংখ্যাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা টা জরুরি। কিন্তু প্রবলেম টা হচ্ছে, যে, জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রন করতে গেলেই, এক্সিস্টিং পাওয়ার রিলেশনগুলো চলে আসে পিকচারে। দ্রি যেমন লিখেছেন। সেগুলোকে এড়িয়ে কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। আসলে, সমস্যাটা অনেক গভীরে। নিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা মানেই একটা প্ল্যানিং এর ব্যাপার। প্ল্যানড রিসোর্স, পরিকলি্‌ক্‌পত গ্রোথ এবং পরিকল্পিত সংখ্যার ভোক্তা। শুধু জনসংখ্যাটা নিয়ন্ত্রণ করব, আর বাকিগুলো ফ্রি, এটা আসলে করা যায়না। করলে জিনিসটা শেষমেষ ক্ষমতাবানদের স্বার্থেই যায়।

    একই গল্প পরিবেশেরও। পরিবেশ রক্ষা ততটাই দরকার, যতটা ক্ষমতাবানদের দরকার। তার বাইরে একচুলও এগোতে পারা যায়না পৃথিবীতে। সব মিলিয়ে খুব ঘাঁটা অবস্থা। এখানে কোনো পক্ষ নেওয়া খুব চাপ। :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন