এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কনস্পিরেসি?

    dri
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০০৯ | ২৫০৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dri | 117.194.232.70 | ২৩ জুন ২০০৯ ১৩:২৪409223
  • আমেরিকান থিংকট্যাঙ্কের আরেকজন রিপ্রেজেনিভ। জ্বিগ্‌নিউ ব্রেজিন্‌স্কি। ইনি নিওকন নন। বরং এনার অন্যদেশে ইন্টারফিয়ারেন্সের তত্বে একটু বাম বাম গন্ধ আছে। কথিত আছে ইনি ওবামার ধর্মগুরু। শুনুন এনার ইন্টারভিউ (ইরান ইলেকশানের কিছুদিন আগের)। আছে ইস্টার্ন ইওরোপে প্রোটেস্টের কথা, আছে পোল্যান্ডে সলিডারিটির মুভমেন্টের কথা। এগুলো সবই সি আই এ ইনস্টিগেটেড। এগুলোর সাফল্যের কথা উঠে এসেছে। আবার তিয়েনানমেনে ব্যর্থতার কথাও আছে। কোনদিকে যাবে ইরান? আসবে কি হাতের মুঠোয়? কি করা উচিত? রেজিম চেঞ্জ? যুদ্ধ? আখ্‌মেদিনেজাদের সাথে নেগোশিয়েশান? এই নিয়েই সাক্ষাৎকার।


  • dri | 117.194.232.70 | ২৩ জুন ২০০৯ ১৩:২৭409225
  • * সলিডারিটি মুভমেন্ট
  • dri | 117.194.226.148 | ২৪ জুন ২০০৯ ১১:১২409226
  • একটা অদ্ভুত খবর পেলাম। টুইটার বলে একটা সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নাকি ইরানের ইলেকশান ফ্রড নিয়ে অনেক পোস্ট পড়েছে। দেখা গেছে তাদের মধ্যে যারা বেশী পোস্ট করছে তাদের সংখ্যাখুব একটা বেশী নয়, একটা ছোট্ট গ্রুপ। তাদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েটেড হয়েছে ১৩ই জুন (ইলেকশানের রেজাল্ট বেরোনোর দিন)। প্রত্যেকেই প্রচুর পোস্ট করছে। প্রত্যেকেরই মোস্ট পপুলার কিওয়ার্ড IranElection। অধিকাংশই ইংরিজিতে পোস্ট। এদের অনেকেরই প্রোফাইল ফোটো সেম। এদের প্রত্যেকেরই অনেক ফলোয়ার, কিন্তু অল্প কিছু ফ্রেন্ড। এবং ফ্রেন্ডরা মোস্টলি নিজেরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ ইলেকশানের রেজাল্ট বেরোনোর আগে থেকেই প্রায় স্প্যামের মত বার বার বলে গেছে যে ইলেকশানে ফ্রড হয়েছে। এবং সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হল, এই প্রোফাইলগুলো ক্রিয়েট হবার কয়েক ঘন্টা পরেই, ১৪ই জুন, ইজরায়েলের জেরুজালেম পোস্ট এদের নিয়ে একটা আর্টিক্‌ল ছাপে, http://cgis.jpost.com/Blogs/persianabyss/entry/iranian_reactions_from_across_social

    এইটা যদি সত্যি হয়, তাহলে এতে মোসাদের ইনভল্‌ভমেন্ট মোটামুটি ক্লিয়ার। আমার টুইটারে অ্যাকাউন্ট নেই। আর শুধু এইটা চেক করার জন্য টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলতে ইচ্ছে করছে না। তবে কারো যদি টুইটারে অ্যাকাউন্ট থাকে, সময় এবং ইচ্ছে থাকে তাহলে কেসটা ভেরিফাই করতে পারেন।

    ওয়াশিংটন পোস্টও টুইটার রিভলিউশানের কাভারেজ দিয়েছে, http://www.washingtonpost.com/wp-dyn/content/discussion/2009/06/17/DI2009061702232.html। আর এই লেখক এভগেনি মোরোজভ, যাকে ব্লগার বলা হয়েছে -- ইনি একেবারেই নিউট্রাল কোন ব্লগার নন। ইনি জর্জ সোরোসের ডানহাত, ওপেন সোসাইটি ইনস্টিচিউট অ্যান্ড সোরোস ফাউন্ডেশান নেটওয়ার্কের ফেলো, http://www.soros.org/initiatives/fellowship/focus_areas/grantees। সে¾ট্রাল এশিয়া ডিস্টেবিলাইজ করার উদ্যোগের অন্যতম ফাইন্যান্সার এই সোরোস।
  • dipu | 207.179.11.216 | ২৪ জুন ২০০৯ ১১:২১409227
  • তবে ইরান সরকার এই টুইটার কে ব্লক করেনি কেন? ওদের তো হামেশাই এরকম অপছন্দের সাইট ব্লক করে দেওয়ার অভ্যেস আছে।
  • dri | 117.194.227.50 | ২৪ জুন ২০০৯ ১১:৩১409228
  • আমার ঠিক জানা নেই ইরান টুইটার ব্লক করেছে না করেনি। কিন্তু এক্ষেত্রে ইরানের টুইটার ব্লক করাটা খুব একটা এফেক্টিভ নয়। কারণ, ইরান তো আর আমেরিকায় টুইটার আটকাতে পারবে না। এই ক্যাম্পেনের মূল পারপাস হল পৃথিবীর চোখে ইরানকে খাটো করা। এবং সেটা মোটামুটি সাকসেসফুলই হয়েছে।

    কিন্তু শুধু এর ভিত্তিতে ইরানকে আক্রমণ করার মত জনমত গড়ে তোলা যাবে কিনা সেটা ক্লিয়ার নয়।
  • dri | 117.194.227.50 | ২৪ জুন ২০০৯ ১১:৩২409229
  • কিন্তু দিপু তুমি যদি টুইটারের মেম্বার হও, ব্যাপারটা একবার ভেরিফাই করার কথা ভাবতে পারো। অবশ্যই টাইম পেলে এবং এনথু থাকলে।
  • dipu | 207.179.11.216 | ২৪ জুন ২০০৯ ১১:৪১409230
  • ইরানের ভেতর থেকে টুইটারে যেসব পোস্ট হচ্ছে সেগুলো তো আটকাতে পারে। মানে আমেরিকার রাস্তায় চেঁচামেচি করে এবং সেই ছবি পোস্ট করে নিশ্চয় কেউ দাবি করছেনা এই দেখুন ইরানে কত ক্ষোভ।

    আমি টুইটারের মেম্বার নই। আরো একটা আপদ বাড়াতে ইচ্ছে হচ্ছে না। গুচতে টুইটারের মেম্বার কেউ না কেউ নিশ্চই আছে। পিলিজ ভেরিফাই করুন।
  • dri | 117.194.227.50 | ২৪ জুন ২০০৯ ১১:৪৭409231
  • এছাড়াও নোট করার মত ব্যাপার, ইউটিউবের হোমপেজের মাথায়ও একটা ইরানের ভিডিওর লিংক আছে। এরকম প্রেফারেন্সিয়াল ট্রিটমেন্ট দিতে ইউটিউবকে আগে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। ইম্পর্ট্যান্ট খবর তো জীবনে এই প্রথম না। কিন্তু এর মধ্যে একটু অর্গ্যানাইজ্‌ড প্রপাগ্যান্ডার গন্ধ পাচ্ছি। মে বি ইট্‌স মাই নাক দ্যাট্‌স টু ব্লেম।

    এছাড়াও, ইরান দুজন বৃটিশ ডিপ্লোম্যাটকে বার করে দিয়েছে। সবাই জানে কনসুলেটগুলো সব এস্পোনাজের আখড়া। বৃটেনও টিট ফর ট্যাটের খাতিরে দুজন ইরানী ডিপ্লোম্যাটকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এটা মেনস্ট্রিম নিউজ। কিন্তু ডটগুলো নিজেকে কানেক্ট করে নিতে হবে।
  • dri | 117.194.227.50 | ২৪ জুন ২০০৯ ১২:০১409232
  • সরি দিপু। ইরানে ক্ষোভ নিশ্চয়ই আছে। যেমন ভারতেও আছে। যেমন পশ্চিম বঙ্গে এতদিন মমতার ছিল, এবার সি পি এমের হবে। এত মানুষ কি এক সাথে একমত হতে পারে? দুটো বিরোধী পক্ষ। তাদের নিশ্চয় মতের অমিল আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে হয়ত খুব তীব্রও। কিন্তু ইলেকশান তো একটা প্রসেস। সেটার ফেয়ারনেস নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে আবার গুনে দেখুক। গোনার সময় মৌসাভি নিজে থাকুক। রাস্তায় নেমে মারপিটটা কি ব্যাপার? মৌসাভির পক্ষে ৩৪% ভোট পড়েছে। নেহাত কম নয়। কিন্তু সি পি এম এবার হেরে যাবার পরও ৪২% ভোট পেয়েছে। অতয়েব মৌসাভির হারকে খুব ক্লোজ হারও বলা যায় না। ইয়েট, ঐ ৩৪% মানুষের নিশ্চয় অনেক ক্ষোভ আছে। যেমন পৃথিবীর যে কোন ডেমোক্রেসিতে, যে কোন রুল অফ মেজরিটিতে থাকে।

    ক্ষোভ থাকা, আর রাস্তায় নেমে পড়া এক জিনিষ নয়। বিশেষ করে ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর আগে থেকেই যেভাবে চিৎকার শুরু হয়েছে তার থেকে এটাই মনে হয় এই গোলমাল প্রিমেডিটেটেড।

    আর সি আই এ/এম আই সিক্স পৃথিবীতে এই প্রথম গোলমাল বাধাচ্ছে না। ১৯৫৩ তে ইরানে বাধিয়েছে, ১৯৫৪ তে গুয়াতেমালায়, আশির দশকে আফগানিস্তানে, নব্বইয়ের দশকে সার্বিয়ায়, ইউক্রেনে, জর্জিয়ায়, কিরগিজ্‌স্তানে। এটা মনে করার কারণ নেই যে দেশে গোলমাল বাধানো এন্ড অফ হিস্ট্রিতে এসে ঠেকেছে।
  • dri | 117.194.227.50 | ২৪ জুন ২০০৯ ১২:০৪409234
  • ওহো তোমার যে লজিস্টিকাল প্রশ্ন ছিল। ইরানের মারপিটের ভিডিও টুইটার বন্ধ করে দিলে ভিডিওগুলো মেল করে ইজরায়েল বা ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে টুইটারে তোলা খুব একটা শক্ত কিছু নয়। বিশেষ করে কনসুলেট যদি এব্যাপারে সাহায্য করে, অনায়াসে হতে পারে। তুমি প্রযুক্তিবিদ, তোমায় আর কি বোঝাব?
  • dipu | 207.179.11.216 | ২৪ জুন ২০০৯ ১২:১৭409235
  • হুঁ, বুঝলাম।

    আর ইরানে ক্ষোভ স্বত:স্ফূর্ত না সাজানো তাই নিয়ে আমার কোন আইডিয়া নেই। এদিক-ওদিক চোখ বুলিয়ে যা বুঝছি তা হল তেহরানের বড়লোক আর কমবয়সী ছেলেমেয়েরা চেঁচামেছি করছে। কারণ আহমেদিনেজাদ লোকটা গরিবদরদী ও গোঁড়া। সবরকম আহ্লাদের সব্বোনাশ করে রেখেছে।
  • vikram | 193.120.76.238 | ২৪ জুন ২০০৯ ১৫:১৫409236
  • কমবয়েসী ছেলেমেয়েরা চেঁচামেচি করছে আহ্লাদের সর্বনাশ হয়েছে বলে নয়, সর্ব - নাশ হয়েছে বলে। একটা গোটা কমবয়েসী জেনারেশান কতদিন আটকে থাকবে?

  • h | 206.195.19.59 | ২৪ জুন ২০০৯ ১৬:০৪409237
  • লেবাননের সেদার রিভোল্যুশনের মত খানিকটা, তবে লেবাননে এথনিক ডাইমেনশন্টা বেশি। কোবার্ন লিখেছে একখানা প্রবন্ধ। সে নাকি ৭৯ তেও ওখানে ছিল।
  • a x | 143.111.22.23 | ২৪ জুন ২০০৯ ২০:০৪409238
  • টুইটার ব্লক করা টাফ। ইন্টার্নেট লাগেনা টুইটারে পোস্ট করতে। সেলফোন থাকলেই হয়। মানে প্রযুক্তিগত ব্যাপারে একেবারেই নাদান হয়েই বলছি। ডিরেক্ট ফোন থেকে টেক্সট মেসেজ করলে টুইটারে উঠে যায়। এটার জন্যই টুইটারের রমরমা ফেসবুক ইত্যাদির থেকে বেশি।
  • dri | 117.194.225.106 | ২৪ জুন ২০০৯ ২০:৫৫409239
  • সেডার রিভলিউশানটা সবচেয়ে ট্রিকি। যদিও এটে ইজরায়েলের হাত থাকার খুব চান্স, বিশেষ করে হারিরিকে যেভাবে মারা হল তাতে অলমোস্ট শিওরলি কোন দক্ষ গোয়েন্দাবিভাগের হাত ছিল। কিন্তু লিংকটা এস্ট্যাব্লিশ করা খুব শক্ত। এটা প্রবাবলি সবচেয়ে নিখুঁত অপারেশান।

    কিন্তু রিলেটেড রিভলিউশানগুলো, যাদের কালার রিভলিউশান বলা হয় (http://en.wikipedia.org/wiki/Color_revolution) -- সার্বিয়ার বুলডোজার রিভলিউশান, জর্জিয়ার রোজ রিভলিউশান, ইউক্রেনের অরেঞ্জ রিভলিউশান এবং কিরগিজ্‌স্তানের টিউলিপ রিভলিউশান, এগুলোর সবগুলোতেই সোরোসের হাত দেখতে পান দুর্জনেরা। ইন ফ্যাক্ট ইরানের এই রিভলিউশানকেও এরা কালার রিভলিউশানের আওতায় আনবে প্ল্যান করেছিল। শোনা যাচ্ছে নাম দিত গ্রিন রিভলিউশান (ইসলামের পতাকায় সবুজ রং থেকে)। কিন্তু এটা মোস্ট প্রবাব্‌লি সাকসেসফুল হবে না। এটাতে সোরোসের হাত আছে মোটামুটি ক্লিয়ার।
  • dri | 117.194.227.176 | ২৫ জুন ২০০৯ ১১:৩৪409240
  • আমেরিকা সরকার যে বহুদিন আগে থেকেই ইরানে বিরোধীদের উশকানি দিচ্ছে সেটা সেমুর হার্শের ২০০৮ এর সামারে লেখা এই রিপোর্টেও ধরা আছে, http://www.newyorker.com/reporting/2008/07/07/080707fa_fact_hersh। এখানে ডিস্টেবিলাইজ করার জন্য ৪০০ মিলিয়ান ডলারের বাজেটে সই করার কথা আছে। বালোচ গ্রুপ, সুন্নি গ্রুপ, কুর্দ গ্রুপদের ফাইনান্স করার কথা আছে। এমনকি একটা ছোট কমিউনিস্ট পার্টিকেও এরা পয়সা দেয়, তাতায়। অল বিকজ এই আখমেদিনেজাদ আম্রিকার সুরে সুর মেলায় না।

    একটা ছোট্ট খবর ওয়েস্টার্ন মিডিয়া সেভাবে কাভার করেনি, http://www.reuters.com/article/gc08/idUSTRE55N27920090624। ইরানের ইন্টিরিয়ার মিনিস্টার বলেছেন যে সি আই এ রায়টারদের পয়সা দিচ্ছে।

    সেমুর হার্শের ২০০৮ এর লেখায় যে কথা ছিল তারই কনফার্মেশান আমরা পাচ্ছি পাকিস্তানের আর্মি জেনারাল মির্জা আসলাম বেগের রিসেন্ট স্টেটমেন্টে। তিনিও বলেছেন সি আই এ ৪০০ মিলিয়ান ডলার দিয়েছে ইরান ডিস্টেবিলাইজ করার জন্য, http://pakalert.wordpress.com/2009/06/18/cia-has-distributed-400-million-dollars-inside-iran-to-evoke-a-revolution/

    তার মানে ২০০৭ এর এ বি সি রিপোর্টে যা ছিল, তার কনফার্মেশান আমরা পাচ্চি ২০০৮ এ সেমুর হার্শের লেখায়, যার কনফার্মেশান আমরা পাচ্ছি হেনরি কিসিঞ্জার, জ্‌বিগনিউ ব্রেজিনস্কি, আসলাম বেগ, ইরানী ইন্টিরিয়ার মিনিস্টার প্রমুখদের কথায়। শুধু ওয়েস্টার্ন মিডিয়ার মূলধারা জোরে জোরে অন্য বাজনা বাজিয়ে চলেছে।
  • dri | 117.194.225.225 | ২৬ জুন ২০০৯ ১০:১৮409241
  • ইরানের বিপ্লব যদি সফল হত তাহলেও কি আমেরিকা মৌসাভিকে বেশীদিন ক্ষমতায় রাখত? ইরাক যুদ্ধের সময় আখমেদ চালাবি বলে একজনকে খুব হাইপ দিয়ে তুলেছিল ইউ এস। কিন্তু যুদ্ধের পর বাধ্য ছেলের রোল প্লে করতে পারেনি, তাই প্রায় নি:শব্দেই সাইডলাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে।

    কে এই মৌসাভি? ইনি ইরানী পলিটিক্সে নতুন নন। আশির দশকে দীর্ঘদিন ইরানের প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন। যখন ক্ষমতায় ছিলেন, যথেষ্ট হার্ডলাইনার ছিলেন, আখমেদিনেজাদের থেকে কিছু কম যান নি। পলিটিকাল ডিসিডেন্ট খুন করার রেকর্ড কিছু কম নয়, প্রায় হাজার পাঁচেক। অবশ্য তাতে আমেরিকার কিছু যায় আসে না। মৌসাভির বড় 'গুণ', ইনি ইন্টারন্যাশানাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিচিউশানগুলো থেকে লোন নিতেন হাত খুলে। তাঁর সময় ইরানের প্রায় ৫০ বিলিয়ান ডলার ফরেন ডেট হয়েছিল। এটাই আমেরিকার চাই। বেশী ইন্ডিপেন্ডেন্ট দেশ আমেরিকার চাই না।

    কিন্তু একটা হিচ আছে। আমেরিকান ইন্টালিজেন্সের মতে এই মৌসাভিই নাকি ১৯৮৩ সালে লেবাননে আমেরিকান মেরিনদের ওপর হামলা মাস্টারমাইন্ড করেছিলেন যাতে ২৪০ জন মেরিন মারা গেছিল। মৌসাভিকে বলা হত 'বুচার অফ বেইরুট'। এরকম লোককে কি আমেরিকা বেশীদিন রাখত?

    আরেকজনকে একটু একটু করে হাওয়া দিয়ে তুলছে মিডিয়া। তিনি আর কেউ নন, এক্সাইলে থাকা শা'য়ের (যাকে সরিয়ে ইসলামিক রিভলিউশান শুরু হয়েছিল) ছেলে রেজা পাহ্‌লভি। তিনি অলরেডি সি এন এনে চোখের জল ফেলেছেন, http://edition.cnn.com/2009/WORLD/meast/06/22/iran.crown.prince/index.html। তবে সবচেয়ে ডেঞ্জারাস কথা যেটা বলেছেন সেটা হল, এই টুইটার রিভলিউশান যদি সফল না হয় তবে নিউক্লিয়ার যুদ্ধের সম্ভাবনা আছে! http://noiri.blogspot.com/2009/06/prince-reza-pahlavi-warns-of-nuclear.html। এছাড়াও তিনি ইজরায়েলকে আহ্বান করেছেন রায়টারদের সাহায্য করতে! http://www.presstv.ir/detail.aspx?id=98844§ionid=351020101। বলা যায় না, ফাইনালি একেই হয়ত সিংহাসনে বসানোর প্ল্যান করছে আমেরিকা।
  • dri | 117.194.230.122 | ২৬ জুন ২০০৯ ১৩:১৩409242
  • (ভেবে দেখলাম, এটা কনস্পিরেসি থ্রেডেই থাকা উচিত। ভাট থেকে কপি পেস্ট ...)

    কিন্তু আমার অন্য একটা পয়েন্ট করার ছিল। সেটা হল ঐ সারা ভারতে ইউনিক আইডি চালু করার উদ্যোগ। এটা ঐ সারা পৃথিবীতে চিপ্‌ড পপুলেশান বানানোর পথে একটি স্টেপ। অর্জিত আগেই বলেছে, এটা সারা পৃথিবীতেই চালু হয়েছে। ইউ কে তে নতুন একটা মাইক্রোচিপ্‌ড আই ডি কার্ড চালু করা নিয়ে খুব ডিবেট হচ্ছে। শুরুতে এটা ই®¾ট্রাডিউস করার চেষ্টা হবে এই করে কত সুবিধে হবে সেই গান গেয়ে। কিন্তু রিয়েলি আমি মনে করি এগুলো হল অ্যারন রুসো বর্ণিত সে¾ট্রালাইজ ক®¾ট্রাল্‌ড ওয়ান ওয়ার্ল্ডের দিকে একটি ছোট স্টেপ। যেসব দেশে আই ডি চালু নেই সে দেশে আই ডি বানানো। তারপর আসবে মাইক্রোচিপ, তাতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হেল্‌থ ইনফো সব থাকবে।

    এবং এর অন্য সাইডটা হল মানুষকে ক্যাশ ব্যবহার করতে ডিসকারেজ করা। এটা হতে এখনও অনেক সময় লাগবে। কিন্তু অলরেডি এই নিয়ে পুশ আমরা দেখতে পাচ্ছি। জাপানে ক্যাশ অ্যাবলিশ করার প্রপোজাল উঠল। http://business.timesonline.co.uk/tol/business/economics/article6531299.ece। ডাচ সুপারমার্কেটেও ক্যাশ তুলে দেবার পরিকল্পনা হচ্ছে। http://www.dutchnews.nl/news/archives/2009/06/supermarkets_set_to_refuse_cas.php। ইলেকট্রনিক ট্র্যানজ্যাকশানের দিকে এগোচ্ছি আমরা। এবং এর শেষে আছে টোটাল ক®¾ট্রাল অফ দা পপুলেশান।
  • dri | 117.194.228.7 | ২৯ জুন ২০০৯ ১০:১০409243
  • হন্ডুরাসে মিলিটারি ক্যু হল। প্রেসিডেন্ট মানুয়েল সেলায়াকে বন্দী করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কোস্টা রিকায়। ক্যু'র নেতৃত্ব দিয়েছেন আর্মি জেনারেল রোমিও ভাসকেস। আশ্চর্য্য ব্যাপার হল এর নিন্দা আমেরিকাও করেছে, আবার ভেনেজুয়েলাও করেছে। কিন্তু কে এর পেছনে আছে আন্দাজ করতে গেলে চোখ রাখতে হবে রিলেটেড একটা খবরে, যেটা অন্যান্য খবরে প্রায় চাপা পড়ে গেছে। এই ক্যুর সময় হন্ডুরাসের ভেনেজুয়েলান অ্যাম্বাস্যাডার এবং কিউবান অ্যাম্বাস্যাডারের ওপর হামলা হয়। কিউবান অ্যাম্বাস্যাডারকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং ভেনেজুয়েলান অ্যাম্বাস্যাডারকে মেরে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়। পড়ুন,

    http://www.irishtimes.com/newspaper/breaking/2009/0628/breaking31.htm, এবং
    http://www.southernstudies.org/2009/06/key-leaders-of-honduras-military-coup-trained-in-us.html

    ক্যু লিডার রোমিও ভাসকেস নাকি স্কুল অফ অ্যামেরিকাজ'এর গ্র্যাজুয়েট। জর্জিয়ায় হেড কোয়ার্টার্ড এই স্কুল অফ অ্যামেরিকাজ হল ল্যাটিন অ্যামেরিকার ডিক্টেটারদের ট্রেনিং গ্রাউন্ড, যেখানে খুন, টর্চার, মাস মার্ডার, হিউম্যান রাইট্‌স ভায়োলেশান ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শেখানো হয়। মাঝে এই ইনস্টিচিউটের এত বদনাম হয়েছিল যে নামটা বদলে করা হয়েছিল ওয়েস্টার্ন হেমিস্ফিয়ার ইনস্টিচিউট ফর সিকিউরিটি কোয়াপরেশান। কিন্তু গোলাপের গন্ধ তো আর সহজে যায় না। এই ইনস্টিচিউটের কার্য্যকলাপের ওপর নজর রাখতে গড়ে উঠেছিল একটি সংস্থা, তার নাম স্কুল অফ অ্যামেরিকাজ ওয়াচ। এই এস ও এ ওয়াচের ওয়েবসাইটেও বেরিয়েছে হন্ডুরাসের ক্যু'র কাভারেজ, যাতে আছে আরো অন্যান্য ইন্টারেস্টিং তথ্য, http://www.soaw.org/

    দুটো ব্যাপার ইন্টারেস্টিং। এক, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে সৈন্য ঢোকার ছবি। সৈন্য ঢোকার সময় প্রেসিডেন্টের লোকেরা খবর পেল না, কিন্তু রয়টার্সের ফোটোগ্রাফার একদম ঠিক জায়গায় পৌঁছে গেল। দুই, আমেরিকান ক্যু'গুলো এখন অনেক সফিস্টিকেটেড হয়ে গেছে। মিলিটারি দিয়ে ক্যু করিয়ে কিন্তু নতুন ইন্টেরিম প্রেসিডেন্ট করিয়েছে একজন সিভিলিয়ানকে যাতে ছিছিক্কার একটু কম হয়। আর গুজব ছড়ানো হয়েছে যে সেলায়া নাকি রেজিগ্‌নেশান দিয়েছেন!
  • dri | 117.194.224.170 | ৩০ জুন ২০০৯ ১০:০০409245
  • তেহেরান থেকে রবার্ট ফিস্কের রিপোর্ট। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভিউ। ক্রাইসিসের সময় ফ্যাক্ট আর ফিকশানগুলো কিভাবে মিশে যায় তার একটা আন্দাজ পাওয়া যাবে। http://www.independent.co.uk/opinion/commentators/fisk/robert-fiskrsquos-world-in-tehran-fantasy-and-reality-make-uneasy-bedfellows-1710762.html

    কেনেথ টিমারম্যান ভয়েস অফ অ্যামেরিকার পার্শিয়ান সার্ভিসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টার। তাঁর লেখা রিপোর্টে (http://www.newsmax.com/timmerman/Iran_election_Reformists/2009/06/11/224025.html) আমরা একটা অদ্ভুত কনফেশান পাচ্ছি।

    "And then, there’s the talk of a 'green revolution' in Tehran, named for the omnipresent green scarves and banners that fill the air at Mousavi campaign events.

    The National Endowment for Democracy has spent millions of dollars during the past decade promoting “color” revolutions in places such as Ukraine and Serbia, training political workers in modern communications and organizational techniques.

    Some of that money appears to have made it into the hands of pro-Mousavi groups, who have ties to non-governmental organizations outside Iran that the National Endowment for Democracy funds."

    হম্‌ম্‌! কিন্তু এই ন্যাশানাল এন্ডাওমেন্ট অফ ডেমোক্রেসি কারা?

    লেট সেভেন্টিজে সি আই এর খুব নাম খারাপ হয়েছিল। যেখানেই কোভার্ট অপারেশান হয় সবাই সি আই এ কে দোষ দেয়। আর পারা যাচ্ছিল না। সি আই এর নন্দ-ঘোষ- দশা কাটাতে রেগান ন্যাশানাল এন্ডাওমেন্ট অফ ডেমোক্রেসির প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর থেকেই কোভার্ট অপারেশানগুলো একটা হিউম্যান ফেস পায়। আমেরিকান পলিসিমেকাররাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। সি আই এ একটা কাজ করলে যতটা খারাপ লাগে একটা প্রাইভেট এন জি ও একই কাজ করলেও অতটা খারাপ লাগে না। নোট করুন, ন্যাশানাল এন্ডাওমেন্ট অফ ডেমোক্রেসি যদিও প্রাইভেট, এদের ফান্ডিংএর মূল সোর্স আম্রিকান ট্যাক্সপেয়ার।
  • dri | 117.194.230.138 | ৩০ জুন ২০০৯ ১০:৪৩409246
  • ব্রুকিংস ইনস্টিচিউট হল আমেরিকান ফরেন পলিসি রিসার্চের থিংকট্যাকদের মিলনক্ষেত্র। তাই এদের কথা, কিসিঞ্জারের কথা, ব্রেজিনস্কির কথা সাধারণভাবে রিপোর্টারদের স্পেকিউলেটিভ অ্যানালিসিসের চেয়ে একটু বেশী সিরিয়াসলি নেওয়া উচিত। রিপোর্টাররা ঘটনা ঘটার পর কাভার করেন, ফ্যাক্ট দেন (অনেক সময় ফিকশানও দেন), কেন সেগুলো ঘটল তার সম্ভাব্য কারণ দেন যার মধ্যে অনেকটা 'আন্দাজ' আছে। থিংকট্যাঙ্করা, অন দা আদার হ্যান্ড, ঘটনা ঘটার আগে প্ল্যান করেন, ছক কষেন এবং ঘটনা ঘটান। এদের পেটে কি আছে জানতে পারলে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বুঝতে সুবিধে হয়।

    তো এই ব্রুকিংস ইনস্টিচিউটের একটা পেপার আছে যার নাম 'হুইচ পাথ টু পার্সিয়া? অপশানস্‌ ফর আ নিউ অ্যামেরিকান স্ট্র্যাটেজি টুয়ার্ড ইরান'। http://tinyurl.com/mycvwk। এতে অনেক অপশানের কথা আছে। তার মধ্যে চ্যাপটার সেভেন হল 'ইনস্পায়ারিং অ্যান ইন্সার্জেন্সি সাপোর্টিং ইরানিয়ান মাইনরিটি অ্যান্ড অপোজিশান গ্রুপ্‌স'। তাতে খুব রিভিলিং কিছু কথা আছে।

    "The core concept lying at the heart of this option would be for the United States to identify one or more Iranian opposition groups and support them as it did other insurgencies in Afghanistan, Nicaragua, Kurdistan, Angola, and dozens of other locales since the Second World War. The United States would provide arms, money, training, and organizational assistance to help the groups develop and extend their reach. U.S. media and propaganda outlets could highlight group grievances and showcase rival leaders. The United States would help the groups identify a base in a neighboring country, secure the host nation's support for the groups, and help them develop an infrastructure to support operations in Iran."

    বিরাট ডকুমেন্ট। পুরোটা একটানে পড়া খুব মুস্কিল। তবে ইন্টারেস্ট থাকলে চোখ বোলাতে পারেন। খাপছাড়া ভাবে পড়তে পারেন। অনেক মনিমুক্তো লুকিয়ে আছে আনাচে কানাচে।

    যেমন আরেকটা জায়গায়, ইরান আক্রমণের স্ট্র্যাটেজির ভালো মন্দ বিচার করতে গিয়ে বলা আছে,

    "With provocation, the international diplomatic and domestic political requirements of an invasion would be mitigated, and the more outrageous the Iranian provocation (and the less that the United States is seen to be goading Iran), the more these challenges would be diminished. In the absence of a sufficiently horrific provocation, meeting these requirements would be daunting.

    ...

    Something on the order of an Iranian-backed 9/11, in which the plane wore Iranian markings and Tehran boasted about its sponsorship.(…). Indeed, the entire question of “options” become irrelevant at that point: what American president could refrain from an invasion after the Iranians had just killed several thousand American civilians in an attack in the United States itself?"


    ভেতরে ভতরে ইরানের সাথে একটা গোলমাল বাধাতে সব্বাই চায়। শুধু একটা ট্রিগারের অপেক্ষা। আমি তো ফলস ফ্ল্যাগ ট্রিগার হলেও আশ্চর্য্য হব না।
  • dri | 117.194.230.58 | ৩০ জুন ২০০৯ ১১:২৫409247
  • নিউ ইয়র্ক টাইম্‌সে এতদিনে ইরাক যুদ্ধের সময় অপপ্রচারের জন্য দু:খপ্রকাশ করে একটি রচনা বেরিয়েছে। http://www.nytimes.com/2004/05/26/international/middleeast/26FTE_NOTE.html। তাতে এই স্বীকারোক্তি আছে

    "But we have found a number of instances of coverage that was not as rigorous as it should have been. In some cases, information that was controversial then, and seems questionable now, was insufficiently qualified or allowed to stand unchallenged. Looking back, we wish we had been more aggressive in re-examining the claims as new evidence emerged ? or failed to emerge."

    যাই হোক, এখন যতই নাকে কাঁদুন, কাজ এতদিনে হাসিল হয়ে গেছে। তখন আক্রমণের জন্য দরকার ছিল পাবলিক সিমপ্যাথি। এখন সে সিমপ্যাথিও নাই, আর সেই জর্জ বুশও নাই। আছে শুধু অ্যাপোলজি। যাগ্‌ বাবা, দেরসে আয়ে, পর দুরস্ত আয়ে!
  • nyara | 64.105.168.210 | ৩০ জুন ২০০৯ ১১:৩৭409248
  • এগুলোর মধ্যে কোন কনস্পিরেসি নেই। অ্যামেরিকার এই বজ্জাতির প্যাটার্ণ খুব চেনা, বহুদিন ধরে সাক্সেসফুলি ইমপ্লিমেন্টেড। হাফিংটন পোস্টের মতন প্রায় মেনস্ট্রিম মিডিয়ায় দুদিন আগে ইরানকে প্রোভোক করার ডকুমেন্ট ফাঁস হয়ে যাবার খবর বেরিয়েছে। স্কুল অফ অ্যামেরিকাজ নিয়ে আমাদের লোকাল পাব্লিক রেডিওয় টক শো-ফো-ও হয়। এগুলোর মধ্যে কনস্পিরেসি ততটা নেই যতটা খুল্লাম-খুল্লা মস্তানি আছে।
  • dri | 117.194.230.58 | ৩০ জুন ২০০৯ ১১:৪২409249
  • ও বাওয়া! বলেন কি? এই কিছুদিন আগেই যখন নেডার ভিডিও চারদিকে চক্কর খাচ্ছিল প্রচুর লোক জক খেয়ে গিয়েছিল, যায়নি?

    কনস্পিরেসি আর কিছুই নয়, এমন কিছু কথা যেগুলো পাবলিকলি স্বীকার করা হয়না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে সেটাই রিয়েলিটি।

    এইতো সেদিনও ওবামা বলেছে ইরানে সি আই এর কোন ইন্টারভেনশান নেই।

    অফিশিয়াল স্ট্যান্ডের বাইরে যা সেটাই কনস্পিরেসি থিওরি। তবে বলতে পারেন, এগুলো অনেক পাতি কনস্পিরেসি, কম্পেয়ার্ড টু মেনি আদার্স।
  • dri | 117.194.230.58 | ৩০ জুন ২০০৯ ১১:৫০409250
  • আর স্কুল অফ অ্যামেরিকাজের কথা অনেকে জানলেও এর সাথে হন্ডুরাসের ক্যু'র রিলেশান অনেকেই জানেন না। এখনও।

    যাই হোক, এবার একটু হার্ডকোর কনস্পিরেসি হবে নাকি? :-)।
  • dri | 117.194.224.205 | ০৩ জুলাই ২০০৯ ০৮:৩৩409251
  • ক্যাশ অ্যাবলিশানের গল্প এবার অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়াতেও। http://www.news.com.au/story/0,27574,25637102-5014239,00.html। ক্যাশ তুলে দেওয়া, ইভেন ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়া এসবের দিকে একটা পুশ আছেই। বিশ্বব্যাপী। তার বদলে বলা হচ্ছে ছোট্ট চিপের কথা। আপাতত সেটা থাকবে নাকি সেলফোনে, ঘড়িতে। শরীরের কথা এখনও বলা হয়নি। বলতে কতক্ষণ? যুক্তির তো অভার নেই। সেলফোন, ঘড়ি তো হারিয়ে যেতে পারে। মাইক্রোচিপটি হাতে লাগিয়ে তার চারপাশে ট্যাটু করিয়ে নিন।

    ওয়ান ওয়ার্ল্ড কারেন্সির দিকে যে আমরা এগোচ্ছি, সেটা মানতে যাদের অসুবিধে হচ্ছে তাদের সুবিধার্থে নিউজউইকের এই আর্টিক্‌লটা (গত বছর অক্টোবরে বেরিয়েছিল), http://www.newsweek.com/id/165772। এই ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিসকে ব্যবহার করে একটা ওয়ান ওয়ার্ল্ড কারেন্সির প্রস্তাব আনা হবে। বলা হবে ঐটা হলে ক্রাইসিস কেটে যাবে। ওয়ান ওয়ার্ল্ড কারেন্সি এক্ষুনি না হলেও এমন একটা ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কিং স্ট্রাকচার আনা হবে যাতে দেশের সে¾ট্রাল ব্যাঙ্কের সভার্নিটি খর্ব হয়। ওয়ার্ল্ড সে¾ট্রাল ব্যাঙ্কের পাওয়ার বাড়ে।
  • dri | 117.194.226.181 | ০৬ জুলাই ২০০৯ ২১:৫১409252
  • ইরানে বিপ্লবের দৃশ্য আমরা অনেক দেখেছি। সেজন্য ওয়েস্টার্ন মিডিয়ার কাছে আমরা ধন্য। কি দারুণ দারুণ সব ক্যামেরা অ্যাঙ্গল। রাস্তা দিয়ে এলোপাথাড়ি ছুটের বার্ড্‌স আই ভিউ। ডাউনটাউন তেহেরানের মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিংএর কত তলায় বসে ছিল বিবিসির ভিডিওগ্রাফাররা? ঘটনা ঘটার কতক্ষণ আগে থেকে? এসব হয়ত আমরা কোনদিনই জানব না, আখমেদিনেজাদের ভোটে জলের পার্সেন্টেজের মত, কিম্বা জর্জ বুশের। তবু, বিবিসি, সি এন এন তো আমাদের দেখিয়েছিল।

    কিন্তু এইটা কেন জানি বাদ পড়ে গেছে। ইটালীতে আমেরিকান সেনাবাহিনীর ঘাঁটি বাড়িয়ে তোলার প্রতিবাদে বিদ্রোহ।
    । কেন আমরা জানতে পারি না এইসব নন-কনস্পিরেসির কথা?

    বাদ পড়ে গেছে এইটাও। হন্ডুরাসের রাস্তায় বিদ্রোহর ছবি দেখতে তাই আমাদের শরণাপন্ন হতে হয় আল-জাজিরার।


    তৃতীয়টা তো রিপোর্টের যোগ্যই নয়। তাই কোন প্রতিষ্ঠিত নিউজ চ্যানেল এটা কাভার করে নি। আছে শুধু একটি অ্যামেচার ভিডিও। যেমন বিশ্রি ক্যামেরা হ্যান্ডলিং, তেমন জঘন্য ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। তাছাড়া, অযথা লম্বাও। প্লেজেন্ট ভিউয়িং নয় একেবারেই। তবু দেখুন। জাস্ট প্রতিবাদে পার্টিসিপেশানের বহরটা দেখবার জন্য। সে¾ট্রাল ক্যালিফোর্নিয়ার ছোট্ট কৃষকপ্রধান শহরে। আর্টিফিশিয়াল জলের আক্রা তৈরী করার প্রতিবাদে।


    বিবিসি আমাদের এত দেখায়। কিন্তু এইগুলো ভুলে যায়। কেন? উত্তরটা আমি জানি। পেটে আসছে, কিন্তু মুখে আসছে না।
  • dri | 117.194.228.78 | ১০ জুলাই ২০০৯ ২২:১৬409253
  • ইউজেনিক্সের ধারণা এখনও আমেরিকান এলিটদের মনস্তঙ্কেÄ কতটা পার্ভেসিভ তার একটা রিসেন্ট নমুনা পাওয়া গেল।

    রুথ গিন্সবার্গ ইউ এস সুপ্রীম কোর্টের জাস্টিস। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পোজিশান। মাত্র ন'টি সুপ্রীম কোর্ট জাস্টিসের পোজিশান থাকে। সোজা কথা দেশের টপ নজন জাজের একজন।

    তিনি একটি রিসেন্ট ইন্টারভিউতে কথাপ্রসঙ্গে এই কথা বলেছেন,

    " ... Frankly I had thought that at the time Roe was decided, there was concern about population growth and particularly growth in populations that we don't want to have too many of. So that Roe was going to be then set up for Medicaid funding for abortion. Which some people felt would risk coercing women into having abortions when they didn't really want them..."

    Roe ব্যাপারটা সেভেন্টিজ এইট্টিজের ব্যাপার। তখন ইউজেনিস্টরা অ্যাবর্শান ব্যাপারটা মেডিকেডের মধ্যে ঢোকানোর বিল আনার চেষ্টা করছিল। যাই হোক, যেটা নোট করার মত সেটা হল এই সেন্টেন্স কনস্ট্রাকশান, there was concern about population growth and particularly growth in populations that we don't want to have too many of.
  • dri | 117.194.230.198 | ১২ জুলাই ২০০৯ ২২:০০409254
  • একটু একটু করে আর এফ আই ডি ই®¾ট্রাডিউস করা হচ্ছে। আমেরিকার পাসপোর্টে আর এফ আই ডি এল। এবং আগে আমেরিকানরা ক্যানাডা মেক্সিকো ইত্যাদি কাছেপিঠে কোথাও গেলে ড্রাইভার্স লাইসেন্সেই কাজ চলে যেত। সেই নিয়ম উঠে গেল। এখন পাসপোর্ট লাগবেই। http://apnews.myway.com/article/20090712/D99CRDAG0.html
  • d | 117.195.34.110 | ১২ জুলাই ২০০৯ ২২:০২409256
  • ভুল থ্রেডে লিখে ফেলেছি।
    চিন নিয়ে কিছু বলবেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন