এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কনস্পিরেসি?

    dri
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০০৯ | ২৫০২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dri | 117.194.224.30 | ১৭ জুন ২০০৯ ১০:৩০409190
  • অর্থনৈতিক অসাম্যের কারণ জনসংখ্যা একেবারেই নয়। পৃথিবীতে যখন এর চেয়ে ঢের কম জনসংখ্যা ছিল, তখনও ভীষনভাবে অসাম্য ছিল।

    একজন মানুষের কি অধিকার আছে আরেকটি মানুষের জীবনকে নিজের প্রয়োজনে ইনভেস্ট করার? এটা খুবই ভালো প্রশ্ন। মরালিটিকে বড় ঘা দেয়। কিন্তু মুস্কিল হল সারা পৃথিবীটাই এইভাবে অরগানাইজ্‌ড। আমরা প্রত্যেকেই কারো না কারো প্রয়োজনে ইনভেস্টেড। যখন কোম্পানীর হয়ে চাকরী করি তখনও, যখন কম পয়সায় ইনস্টিচিউটে রিসার্চ করি তখনও। সত্যিই যদি চয়েস থাকত, তাহলে আমরা অনেকেই যা করছি সেটা ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করতে চলে যেতাম। মনিটারি সিস্টেম, প্রাইভেট প্রপার্টি, ইনসিকিউরিটি এইসব আমাদের বেঁধে রাখে। মা বা ছেলে মেয়ের সম্পর্কে স্বার্থ নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু আবার ভালোবাসাও আছে, যেটা অন্যান্য অনেক সম্পর্কের মধ্যেই নেই। আর স্বার্থপর সবাই। যিনি একটার বেশী দুটো সন্তান চান না, তিনি হয়ত মুখে বলছেন আমি আরেকজনকে পৃথিবীতে এনে বিপদে ফেলতে চাই না। কিন্তু আসল কারণ হয়ত, তিনি আরেকটি বাচ্চার হ্যাপা সামলাতে চান না, বা নিজের কেরিয়ারে ক্ষতি করতে চান না, বা সামথিং লাইক দ্যাট। পৃথিবীটা অন্যভাবে অর্গানাইজ্‌ড হলে তিনি অন্যরকম চাইতেন।

    আমি ইউ এনের খুব একটা ভক্ত নই। কিন্তু রিপ্রোডাক্টিভ রাইট এমনকি ইউ এন চার্টারে বেসিক হিউম্যান রাইট।

    গরীব পেটফোলা বাচ্চা দেখে মিড্‌ল ক্লাসের দরদ উথলে ওঠে, মাইসেল্ফ ইনক্লুডেড। এই ফিলিংটা এমনিতেই খুব একটা কাজের নয়। কিন্তু ঐ বাচ্চাটির দুর্দশার জন্য ঐ বাচ্চাটির মা বাবাকে দায়ী করা হল একটা বিরাট সমস্যার সবচেয়ে কম ইম্পর্ট্যান্ট দিকে ফোকাস করা, এবং মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি, অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক থেকে চোখ সরিয়ে আনা। বাচ্চাটির সবচেয়ে আনন্দের মুহুর্ত হয়ত ওর মায়ের বা বাবার সান্নিধ্যে।

    কেউ যদি মনে করেন পপুলেশান খুব বেড়ে যাচ্ছে, তিনি সে কথা সবাইকে বলতে পারেন, উপদেশ দিতে পারেন বার্থ ক®¾ট্রালের, নিজে বাচ্চা না করতে পারেন। কিন্তু ফাইনালি কে কটা বাচ্চা করবে সেটা তার ব্যাপার।

    আরো একটা ব্যাপার। মানুষের ওভারঅল উন্নতি সাধন করলে অটোমেটিকালি কম বাচ্চা করবে। কারণ তখন হয়ত অনেকেই মিড্‌ল ক্লাসের মত ভাববে। তখন আর কাউকে উপদেশ দিতে হবে না।
  • rokeyaa | 203.110.243.22 | ১৭ জুন ২০০৯ ১০:৫২409191
  • ঈশন দা কে,
    গড়ের হিসেবটা তো ক্লাস ফোর থেকে শেখায়, কিন্তু ডিস্ট্রিবিউশন? মানে, অসাম্যটা জেনারেট করে কোথে্‌থকে?
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৭ জুন ২০০৯ ১০:৫৮409192
  • হ্যাঁ, ডিস্ট্রিবিউশন তো খুব বড়ো ফ্যাক্টর। তোমার বা দ্রির মতের সঙ্গে আমার খুব একটা তফাতও নেই।
  • rokeyaa | 203.110.243.22 | ১৭ জুন ২০০৯ ১১:০১409193
  • আমি তো ওটাই পুছছলাম, অসাম্যের একটা কারণ জনসংখ্যা কোন যুক্তিতে?
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১৭ জুন ২০০৯ ১১:১০409194
  • আরে প্রধান কারণ না হতে পারে, কিন্তু একটা কারণ তো বটেই। লিমিটেড রিসোর্সে জনসংখ্যা বাড়লে কামড়াকামড়ি বাড়ে। আর কামড়াকামড়ি বাড়লে শক্তিশালীদের বেশি ভাগ হাতিয়ে নিতে সুবিধে বেশি হয়।

    অবশ্যই, শক্তিশালীদের উত্থানের এটাই একমাত্র বা প্রধান কারণ নয়। কিন্তু অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর।
  • ranjan roy | 122.168.19.187 | ১৭ জুন ২০০৯ ১১:১১409195
  • খুব ইম্পর্ট্যান্ট আলোচনা।
    দ্রিএর লাস্ট লাইনটা নিয়ে বলছি।
    যদ্দূর মনে পড়ছে ১৯৭৬ এ হাঙ্গেরিতে ইউ এন এর তরফ থেকে জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে অর্থশাস্ত্রীদের সম্মেলন করানো হয়েছিল।
    তাতে একটা মেজর বক্তব্য উঠে এলো যে পপুলেশন গ্রোথ ইস নট দ্য কজ বাট দ্য আউটকাম অফ পভার্টি।
    ইউরোপের ফ্রান্স, ব্রিটেন ইত্যাদির গত দুই শতকের ডাটা দিয়ে বলা হল যে দেশ যত আর্থিক ভাবে উন্নত হয়েছে তত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে, কোথাও কোথাও চিন্তাজনক ভাবে অপ্টিমাম লেভেলের নীচে নেমেছে।
    বলা হল যে গরীবদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ে আতংকিত প্রচার না করে আর্থিক সমৃদ্ধি, সোশ্যাল সিকিউরিটি, বীমা, পেন্সন এগুলিতে ইনভেস্ট করাটা দূরদর্শিতা হবে।
    তাহলে জনসংখ্যা আপনিই অপটিমাম লেভেলে নেমে আসবে।
    আমার ব্যক্তিগত মত( জোয়ান রবিন্সনের লেখা পড়ে) আর্থিক সমৃদ্ধির জন্যে প্ল্যানিং/ বিনিয়োগ এগুলো দীর্ঘকালীন পরিপ্রেক্ষিত।
    কিন্তু অল্পকালীন পরিপ্রেক্ষিতে ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর প্রয়োজন আছে।
    বেসিক্যালি, আমি দ্রি'র এই মানবিক বক্তব্যের পক্ষে যে কোন দম্পতীর জন্যে আদর্শ ফ্যামিলি সাইজ কী হবে সেটা তাদের অধিকার। তাই চীনকে আমর সমাজবাদী মনে হয় না।:))))
    অবশ্য মাও ঐ লং মার্চের জীবনমরণ সমস্যার মধ্যেও অবলীলায় দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে বেশ ক'টি সন্তানের জন্ম দিলেন, তারপর ক্ষমতায় এসে তাঁকে বিদায় দিলেন, ল্যাং পিংকেরাণী করলেন--- আমার খরাপ লেগেছে।
    পরিবার নিয়ন্ত্রণের আরেকটি মাত্রা আছে--- স্ত্রীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব। এটা পুরুষেরা ততটা গুরুত্ব দেয় না বলেই আমার মনে হয়।
  • pi | 69.143.119.233 | ১৭ জুন ২০০৯ ১১:২৩409196
  • সুচিস্মিতা,
    'অন্য সন্তানরা ভাল নেই' , 'এটা জেনেও ' যখন একজন স্বচ্ছল ব্যক্তি , যিনি নিজের 'ভবিষ্যত সন্তানেরা ভালো থাকবে' সেটা সুনিশ্চিত করতে পারবেন জেনে সন্তানের জন্ম দ্যান, সেটা অপরাধ না ?

    শুধু ''অন্য সন্তানরা ভাল নেই এবং ভবিষ্যত সন্তানেরা ভালো থাকবেনা এটা জেনেও' গরীবদের সন্তান উৎপাদন অপরাধ ?
  • ranjan roy | 122.168.19.187 | ১৭ জুন ২০০৯ ১১:৩৪409197
  • নিজের প্রয়োজনে সন্তানের জীবন ইনভেস্ট করা? বড় দুর্বল জায়গায় ঘা দিলেন।
    আমাদের বাড়ির ঝি
    ---------------------
    কমবয়েসি ভূমিহীন পরিবারের মেয়েটি বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করে। স্বামী মাঝে মাঝে মদ খেয়ে ঘরে থাকে। একফসলী এলাকা, তাই ধান কাটার সময় ওরা সপরিবার একর প্রতি দরে কনট্র্যাক্টে ধান কাটার কাজ নেয়, বদলে নগদ না নিয়ে কিছু কুইন্টাল ধান নেয়। ও বল্লো যে নগদের থেকে এটাই ওদের পক্ষে লাভজনক। ওর তিনটে বাচ্চা, অল্প বয়েস থেকেই ওরা ভাত নামাতে, কাপড় ও বাসন ধুতে বাঘর মুছতে শিখে যায়। আমার স্ত্রী শিশুশ্রম করাবেন না। কিন্তু অন্যবাড়িগুলোতে ও মেয়েকে অ্যাপ্রেন্টিস হিসেবে সঙ্গে নিয়ে কাজ করায়। বলে -- আমরাও এভাবেই কাজ শিখেছি। এর ফলে ও একসঙ্গে বেশি বাড়িতে ঠিকে কাজ করতে পারে। বাচ্চাগুলোর দেখাশুনো ও হয়। কিন্তু বাচ্চা গুলোর শৈশব?

    আমার গপ্পো
    ---------------
    ছোটো মেয়েটার ইচ্ছে ছিল হিউম্যান রাইটস্‌ এর ল'ইয়ার হওয়া। ভোপালের ন্যাশনল ল' ইউনিতে পাঁচবছর পড়ার সময় অধিকাংশ প্রজেক্ট গুলো করেছে মানবাধিকার এর ওপর। নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের হরসুদের ডুবে যাওয়া নিয়ে চিত্রোৎপলা পালিতের কন্ট্যাক্টে গিয়ে আধঘন্টার ডকু বানিয়েছিল। গোয়া ডকু ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছিল।
    কিন্তু আমি ছ'লাখ শিক্ষাঋণ নিয়ে ওকে পড়িয়েছি। সাতবছর ধরে তার ই এম আই দেয়া আমার পক্ষে বেশ কঠিন। তাই ও গেল অডিট ও ট্যাক্সেশন ফার্মে,--- ভ্যাট, কার্বন রেটিং এইসব করতে, যাতে আমার লোনটা শোধ করতে পারে।
    ইচ্ছে ছিল বন্ধুদের মত বাইরে গিয়ে ল' তে মাস্টার্স করবে। যদিও যারাকরে এসেছে তাদের পে -প্যাকেজে নমিনাল গ্রোথ হয়েছে।
    কিন্তু আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে কোন লোন নিয়ে ওকে নিজের জোরেই করতে হবে। যদিওএইসব অফিসের কালচার ও হেট্‌ করে( আমাকে বলেছিলো-- রিয়েল দুনিয়া কর্পোরেট ফিল্মের চেয়ে অনেক বেশি ক্রুয়েল), কিন্তু জানে আর বেরুতে পারবে না।
    আমি অপরাধবোধে ভুগছি।
  • ranjan roy | 122.168.19.187 | ১৭ জুন ২০০৯ ১১:৩৭409198
  • রোকেয়াকে:
    ঐ যেটা ঈশান বলেছে--- অল্পকালে রিজার্ভ আর্মি অফ লেবার বাড়লে গরীবের বার্গেনিং পাওয়ার কমে, আমীরের বাড়ে।
  • dri | 117.194.232.177 | ১৭ জুন ২০০৯ ১১:৫২409200
  • মতামতের ফাঁকে ফাঁকে ইতিহাসটাও অল্পস্বল্প দেখে নেবো আমরা। অ্যানালিসিসের গরু মাঝে মাঝে গাছে উঠে যায়। কিন্তু ইতিহাসের হার্ড ফ্যাক্টস আমাদের পা মাটিতে রাখতে সাহায্য করে।

    ১৯০৭ সালে পৃথিবীর প্রথম ফোর্সড স্টেরিলাইজেশান ল' পাস হয়েছিল আমেরিকার ইন্ডিয়ানা রাজ্যে। তার দু বছর পরই এই পাস হয় ওয়াশিংটনে, ক্যালিফোর্নিয়ায়, কানেক্টিকাটে। তার পর আরো আরো রাজ্য। ১৯৬০ এর মধ্যে ৬০,০০০ মানুষকে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্টেরিলাইজ করা হয়েছিল মোট তিরিশটা রাজ্যে। তার স্থির করা হয়েছিল কাকে স্টেরিলাইজ করা হবে? প্রায় অর্ধেককে ক্যাটেগরাইজ করা হয়েছিল 'ফিব্‌লমাইন্ডেড' বলে। ডিশিসান নিয়েছিলেন কিছু ইউজেনিস্ট বায়োলজিস্টরা। ফিব্‌লমাইন্ডেড কারা? আজকের দিনে যাদের 'মেন্টালি রিটার্ডেড' বলা হয়, তাদের চেয়েও বেশী মানুষ ইনক্লুডেড ছিল। অনেকেই লিখতে পারতেন, পড়তে পারতেন, অন্য সবার মতই কজও করতে পারতেন। কিন্তু এরা নাকি 'মেন্টালি রিটার্ডেড'দের থেকেও বেশী বিপজ্জনক। কারণ এদের মধ্যে খারাপ জিন লুকিয়ে আছে কিন্তু ওপর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই! লোকে ভুল করে এদের বিয়ে করে ফেলতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে পাবলিসাইজ্‌ড কেস ছিল কেরি বাকের কেস। এর কেস সুপ্রিম কোর্ট পর্য্যন্ত গিয়েছিল। জাস্টিস অলিভার হোমস রায় দিয়েছিলেন,

    "We have seen more than once that the public welfare may call upon the best citizens for their lives. It would be strange if it could not call upon those who already sap the strength of the State for these lesser sacrifices, often not felt to be such by those concerned, in order to prevent our being swamped with incompetence. It is better for all the world, if instead of waiting to execute degenerate offspring for crime, or to let them starve for their imbecility, society can prevent those who are manifestly unfit from continuing their kind. The principle that sustains compulsory vaccination is broad enough to cover cutting the Fallopian tubes. Jacobson v. Massachusetts, 197 U.S. 11. Three generations of imbeciles are enough."

    থ্রি জেনারেশানস অফ ইমবেসিল্‌স আর এনাফ! হ্যাঁ, এই কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবং এই কেসটাকে ইউজেনিস্টরা বড় জয় বলে ঘোষনা করেছিল। কেরি বাকের মৃত্যুর পর তার বায়োগ্রাফার লেখেন তিনি শেষ জীবন পর্য্যন্ত পড়তে ভালোবাসতেন, বুড়োদের কেয়ারগিভিংএর কাজ করতেন, চার্চে গান গাইতেন। তার এমপ্লয়ার পর্য্যন্ত বলেছেন, কেরির কোন শর্টকামিং ছিল না।

    ইউজেনিস্টদের আসল উদ্দেশ্য কখনোই ভোলা উচিত না।
  • ranjan roy | 122.168.19.187 | ১৭ জুন ২০০৯ ১২:৫৬409201
  • কি ভয়ানক!
  • Shuchismita | 98.228.118.141 | ১৮ জুন ২০০৯ ০৮:২৬409202
  • আমাকে অফিস থেকে কিছুতেই এখানে পোস্ট করতে দেয় না। তাই তো কত সময়ে ইচ্ছে হলেও লেখা হয়ে ওঠে না।

    ছোটোবেলায় আনন্দমেলা পড়ার যুগ থেকে আমার খুব ইচ্ছা ছিল আর্কিওলজিস্ট হব। কত হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা আবিষ্কার করবো। কিন্তু কি করলে আর্কিওলজিস্ট হওয়া যায় সেটা বুঝে ওঠার আগেই দেখি হরি ঘোষের গোয়ালে জুতে গেছি সহজ কেরিয়ার আর নিশ্চিত চাকরীর লোভে। গাদা গাদা বই মুখস্থ করে এমন কি একদিন নেবার্স এনভি ওনার্স প্রাইড ও হয়ে উঠেছি। কিন্তু যেটা হতে চেয়েছিলাম সেটা হতে পারিনি। রঞ্জনদার লেখাটা পড়ে আমার এইসব কথা মনে পড়ে গেল। ঠিক। ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় - জীবন নিয়ে ইনভেস্টমেন্ট আটকাচ্ছে কে! তবে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান জাতীয় গোদা জিনিষগুলোর অভাব হয় নি কখনো। আর আমার লেখায় ইঙ্গিতটা এই বেসিক নেসেসিটির দিকেই ছিল। তবে বেসিক নেসেসিটি গুলো যে ভালো থাকার একমাত্র মাপকাঠি নয় সেটা তো নিশ্চয়ই মানি।

    আর জনসংখ্যাকে তো মোটেই অসাম্যের একমাত্র কারন বলিনি। এমনকি প্রধান কারনও বলি নি। "একটা" কারন বলেছি। সেটা তো ঠিকই, নাকি?

    পাই-এর স্বচ্ছল ব্যক্তির সন্তানের জন্ম দেওয়া নিয়ে প্রশ্নটা আমি বুঝতে পারিনি। একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হয়।

    যদিও আমার অর্থনীতিতে জ্ঞান একদম শূন্য তবুও স্রেফ কৌতুহল বশে একটা জিনিস জানতে চাইছি। রঞ্জনদা লিখেছেন "গরীবদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আতংকিত প্রচার না করে আর্থিক সমৃদ্ধি, সোশ্যাল সিকিউরিটি, বীমা, পেন্সন এগুলিতে ইনভেস্ট করাটা দুরদর্শিতা হবে"। আমার প্রশ্ন - একটা ওভার পপুলেটেড গরীব দেশে সোশ্যাল সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা কতটা সম্ভব? কিভাবে সম্ভব? আমি যতদুর জানি আমেরিকাতেও এই সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রোগ্রামটা ডেফিসিটে রান করে। সেখানে ভারতে এটা ইমপ্লিমেন্ট করতে হলে কি ভাবে করা হবে? নাকি আপনি অন্য কিছু বোঝাতে চেয়েছিলেন?
  • ranjan roy | 122.168.79.145 | ১৮ জুন ২০০৯ ১৪:৪৮409203
  • উঁহু, শুচিস্মিতা, ওটা আমার বক্তব্য নয়। দেখুন, কোটেশনে দেয়া। অর্থাৎ, ওটা হাঙ্গেরি'র আন্তর্জাতিক সম্মেলনের থেকে বেরুনো একটা মেজর ওপিনিয়ন। আর তাতে ইউরোপীয় দেশের বক্তব্যই প্রাধান্য পেয়েছিলো, তাই অমনি সাজেশান।
    আপনার কথার সঙ্গে আমি সর্বাংশে একমত।
    ভারত বা থার্ড ওয়ার্ল্ড কাϾট্রগুলোর জন্যে পপুলেশন ক®¾ট্রালের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু ওটার গুরুত্ব হল টিবি রোগ( অসাম্য-দারিদ্র্য)চিকিৎসার প্রেসকৃপ্‌শানে জ্বর (ওভার পপুলেশন) কমানোর ওষুধের যতটুকু গুরুত্ব , ততটুকু।
  • Debasish | 129.32.100.45 | ১৯ জুন ২০০৯ ০২:০৬409204
  • আমাদের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অরেকটি কারণ হল high infant mortality rate। এটার কারণ আবার হল social security-র অভাব। মানে সুলভ চিকিৎসা ব্যবস্থার অভাব। china-তে যেটা আছে। তাই ওখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
  • Blank | 59.93.219.126 | ১৯ জুন ২০০৯ ১০:১৭409205
  • দেবাশিষ বাবুর হিসেব টা বুঝলাম না
  • ranjan roy | 122.168.223.169 | ১৯ জুন ২০০৯ ১৮:১৫409206
  • দেবাশিষ,
    প্লীজ পাটিগণিতটা একটু বুঝিয়ে দিন।
  • ranjan roy | 122.168.223.169 | ১৯ জুন ২০০৯ ১৮:১৯409207
  • দাঁড়ান! আপনি কি বলতে চাইছেন যে ভারতে শিশুমৃত্যুর হার বেশি হওয়ায় গরীব মানুষেরা সিওর হয় না যে বাচ্চাটা বড় হওয়া অব্দি টিঁকবে কি না, তাই চান্স না নিয়ে পরপর অনেকগুলোর জন্ম দেয়, ধানের গোছা করে চারা লাগাবার মত। একটা-দুটো তো বড় হওয়া অব্দি টিঁকে যাবে।
    এমনি কিছু বলতে চাইছেন কি?
  • Debasish | 129.32.93.69 | ১৯ জুন ২০০৯ ২১:৪১409208
  • হঁঅ। ঠিক এটাই বলে্‌ত চাইছিলাম। High infant mortality despite decline in the overall mortality is closely related to the increase of India's population. Inadequacy of health facilities discourages families from practicing birth control, thus influencing the birth of more babies to assure survival of the needed number of children.
  • MR | 72.190.83.142 | ২০ জুন ২০০৯ ০৩:১৫409209
  • High Infant Mortality Rate প্রোদুএস High Birth Rate একথা (প্রায়) পরীক্ষিত সত্য।
  • Du | 71.252.222.46 | ২০ জুন ২০০৯ ০৩:২৪409212
  • কোথাও যেন পড়েছিলাম ছেলে বেশি হোক এই চাহিদারও একটা কারণ যে ছেলেদের বেঁচে থাকার চান্স হিস্টোরিক্যালি কম।
  • dri | 117.194.225.176 | ২০ জুন ২০০৯ ১২:১৬409213
  • এ ব্যাপারটা কিন্তু ডারউইনিয়ান থিওরি বলতে যা বলা হয় তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটা পপুলেশান যদি থ্রেটেন্ড ফিল করে, তাহলে সে তার সংখ্যা বজায় রাখতে বেশী ছানা পাড়ে। একই জঙ্গলে হরিণ আর সিংহ থাকলে, হরিণরা এমন ভাবে প্রজনন করে যাতে সিংহ তার ডিনার খেয়ে ঢেকুর তোলার পরও যথেষ্ট হরিণ থাকে যারা তাদের জেনেটিক লাইনটাকে কন্টিনিউ করবে। হরিণরা এভাবে ভাবে না, 'ওরে বাবা রে, এত সিংহ! এই সিংহ অধ্যুষিত অরণ্যে কেন আমি মিছিমিছি একটি হরিণশিশুকে পৃথিবীতে এনে বিপন্ন করব।'

    সেদিনই কোথায় যেন দেখছিলাম, ৯১১ এর পর আমেরিকায় বার্থ রেটে নাকি একটা শার্প বৃদ্ধি হয়েছিল। মানুষ তো ঠিক কনশিয়াসলি এভাবে ভাবে না। কিন্তু হয়ত সাবকনশিয়াসে ব্যাপারটা কোথাও আছে। থ্রেটেন্ড ফিল করলে জীবজন্তু প্রজননের হারটা বাড়িয়ে দেয়। যাতে কেউ কেউ মরলেও অন্তত কেউ কেউ যেন বেঁচে থাকে।

    গরীব মানুষেরা, যাকে বলে পার্পেচুয়ালি থ্রেটেন্ড। তাদের মধ্যে হাই বার্থ রেট আশ্চর্য্যের কিছু নয়। একজন মিড্‌ল ক্লাস যেমন একটি বাচ্চা করলেও মোটামুটি নিশ্চিত যে আমার এই বংশধর সারভাইভ করবে এবং ইকনমিকালি সাকসেসফুল হবে। একজন গরীব লোকের ক্ষেত্রে তো তা নয়। অনেকগুলি বাচ্চা করলে তাদের মধ্যে এক আধ জনের সারভাইভ করার, ইকনমিক যুদ্ধে একেবারে হেরে না যাওয়ার প্রবাবিলিটি বাড়ে।
  • dri | 117.194.225.176 | ২০ জুন ২০০৯ ১৩:২৬409214
  • বিজ্ঞানী, চিন্তাবিদ্‌ বলে আমরা যাদের চিনি তাদের অনেকেই ইউজেনিস্ট। ইউজেনিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করলে এই ব্যাপারটা সবচেয়ে বেশী ধাক্কা দেয়। অথচ আমরা এদের সম্বন্ধে যে প্রথম পরিচয় পাই, তাতে এই ব্যাপারটার উল্লেখ থাকে না। এই ব্যাপারটা আমায় খুব অবাক করেছিল। কেন এদের ইউজেনিক্সের প্রতি ভক্তি ছোটদের বুক অফ নলেজ টাইপের বইতে গোপন করা থাকে।

    একজন খুব বড় ইউজেনিস্ট ছিলেন জেমস ওয়াটসন। মানে যার কথা শুনলেই ডি এনের ডাব্‌ল হেলিক্সের কথা মনে পড়ে, সেই ওয়াটসন অ্যান্ড ক্রিকের ওয়াটসন। ইনি দীর্ঘদিন কোল্ড স্প্রিং হার্বারের ডিরেক্টার ছিলেন। হিউম্যান জিনোম প্রোজেক্টেরও হেড ছিলেন। কালোদের সম্বন্ধে তিনি একবার বলেছিলেন,

    "all our social policies are based on the fact that their intelligence is the same as ours — whereas all the testing says not really."

    ওনার আরেকটি কমেন্ট,

    "Here we must not fall into the absurd trap of being against everything Hitler was for... Because of Hitler's use of the term Master Race, we should not feel the need to say that we never want to use genetics to make humans more capable than they are today."

    এই মানুষকে 'ইম্প্রুভ' করার নেশারই উল্টোপিঠ হল যারা তত ইম্প্রুভ্‌ড নয়, তাদের এলিমিনেট করা। বিভিন্ন কৌশলে।

    "People say it would be terrible if we made all girls pretty. I think it would be great."

    অর্থাৎ যারা ওয়াটসনের চোখে প্রিটি নয়, দে হ্যাভ টু গো।

    আরো একটি কোট,

    "The lower 10 percent who really have difficulty, even in elementary school, what's the cause of it? A lot of people would like to say, 'Well, poverty, things like that.' It probably isn't. So I'd like to get rid of that, to help the lower 10 percent."

    আরো একজন সারপ্রাইজিং এইজেনিস্টের নাম আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল! হ্যালো? ঠিকই শুনছেন। কিন্তু ইনি তো যন্ত্রপাতির আবিষ্কর্তা। বায়োলজির সাথে তো এঁর সম্পর্ক নেই। কিন্তু মজার ব্যাপার হল ইনি কোল্ড স্প্রিং হার্বারের চেয়ারম্যান ছিলেন।

    আরেকটি সারপ্রাইজ। জন মেনার্ড কেইন্স। ইউজেনিক্স রিভিউতে লিখেছিলেন,

    "Galton’s eccentric, sceptical, observing, flashing, cavalry-leader type of mind led him eventually to become the founder of the most important, significant and, I would add, genuine branch of sociology which exists, namely eugenics."

    এককথায়, এলিটদের মধ্যে ইউজেনিক্সপ্রীতি খুবই র‌্যাম্পান্ট ছিল।
  • dri | 117.194.224.228 | ২৩ জুন ২০০৯ ১১:২৫409215
  • ইরানে হচ্ছেটা কি?

    মেনস্ট্রীম মিডিয়া বলছে মৌসাভির সমর্থকরা ইলেকশানের রেজাল্ট মেনে নেয় নি। ইলেকশান রিগ্‌ড হয়েছে। তাই মৌসাভির সমর্থকরা রাস্তায় নেমেছে। খুব ঝাড়পিট হচ্ছে। এটা স্যাড। কিন্তু খুবই নক্কারজনক।

    আর নিন্দুকেরা বলছে যে এই প্রোটেস্ট ফাইনান্স করছে সি আই এ, এম আই সিক্স আর মোসাদ।
  • d | 144.160.5.25 | ২৩ জুন ২০০৯ ১১:৪৮409216
  • এমনিতে প্রতিবাদ বেশ ইমপ্রেসিভ হলেও যেটা খটকার ব্যপার সেটা হল। তেহেরানের বাইরে খুব কিছু হচ্ছে না
    NeDa দিয়ে সার্চ করে দেখুন একটা ভয়ংকর ভিডিও পাবেন। উলুখাগড়া আর কি।
  • dri | 117.194.224.228 | ২৩ জুন ২০০৯ ১২:০৪409217
  • কতগুলো পয়েন্ট নোট করতে হবে।

    মৌসাভি ইলেকশান রেজাল্ট বেরোনোর আগেই ভিকট্রি ডিক্লেয়ার করেছিল, এবং ওয়েস্টার্ন মিডিয়া সেটা খুব উৎসাহ নিয়ে কাভার করেছিল। এটা সি আই এ/এম আই সিক্সের খুব ওয়েল নোন চাল। অন্যান্য দেশেও এরা যখন প্রোটেস্টে উশকানি দিয়েছে, এই মেথড ব্যবহার করেছে। এতে গভর্মেন্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়। এবং অন্য দেশের ভিউয়ারের মধ্যে (যারা লোকাল পলিটিক্স নিয়ে নিয়মিত খবর পায় না) একটা ফেভারেব্‌ল বায়াস তৈরি করা যায়।

    ১৭ই জুন, বিবিসি একটা খবর ছেপেছিল 'ওবামা রিফিউজেস টু মেড্‌ল ইন ইরান' শিরোনামে। তাতে একটা ছবি ছাপা হয়েছিল যার টাইট্‌ল দেওয়া হয়েছিল, 'সাপোর্টার্স অফ মির হোসেন মৌসাভি এগেন ডিফায়েড আ ব্যান অন প্রোটেস্টস্‌'। ১৭ তারিখের ঐ পাতার একটা জেপেগ ইমেজ এইখানে আছে, । কিন্তু আসলে এই ছবিটা মৌসাভির প্রোটেস্ট র‌্যালি নয়। এটা আখমেদিনেজাদের র‌্যালি। এই ছবিটাই আরেকটু ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে আগের দিন এল এ টাইমস্‌এ বেরিয়েছিল। সেই নিয়ে কিছু লোক চেঁচামেচি করতে, বিবিসি একটা সংশোধন করেছে, http://news.bbc.co.uk/2/hi/middle_east/8104362.stm। ছবির ক্যাপশানের পাশে ব্র্যাকেটে লিখে রেখেছে 'সি কারেকশান বিলো'। কিন্তু যারা মন দিয়ে কারেকশানটা দেখবে না, তাদের মনে এই ইমেজটাই ঢুকে যাবে যে কাতারে কাতারে মানুষ প্রোটেস্ট করতে এসেছে।

    আরেকটা ব্যাপার দেখা যাচ্ছে, যারা প্রোটেস্ট ব্যানার লিখে বিবিসির ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছে (যেমন, 'হোয়্যার ইজ মাই ভোট?') তারা ইংরিজিতে লিখছে, পার্সিয়ানে লিখছে না। এই রকম প্রোটেস্টের মাস সাপোর্ট সম্বন্ধে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ইংলিশ স্পিকিং অডিয়েন্সের জন্য স্টেজড্‌ প্রোটেস্ট ইন ফ্রান্ট অফ দা ক্যামেরা।

    তবে আমেরিকার ইরান পলিসির সবচেয়ে চিলিং অ্যাকাউন্ট পাওয়া যাবে হেনরি কিসিঞ্জারের বিবিসিতে দেওয়া ইন্টারভিউতে,


    চাইনিজ মিডিয়া জিনহুয়া রিপোর্ট করছে যে আখমেদিনেজাদ আমেরিকা আর বৃটেনকে ইরানের ইন্টারনাল ব্যাপারে নাক গলাতে বারণ করলেন।
  • Tim | 71.62.2.93 | ২৩ জুন ২০০৯ ১২:০৬409218
  • বেশিরভাগ ভিডিও ফাইল ব্যক্তিগত মেলে আসছে ফরোয়ার্ডেড হয়ে। ফেসবুক জাতীয় নেটওয়ার্কেও প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। তুলনায় মেনস্ট্রিম মিডিয়ায় অনেক কম আসতে পারছে এইসব। প্রতিবাদ না করেও লোক মারা যাচ্ছে। এমনি সাধারণ পথচারীরা।
    তেহরানের বাইরে সত্যিই তেমন কিছু হচ্ছেনা, কেন কেউ ভালো বলতে পারলো না। এখানে কাল ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ মিছিল করবে, ওদের থেকে শুনলাম।
  • dri | 117.194.233.136 | ২৩ জুন ২০০৯ ১২:১৫409220
  • জেনারাল মারপিটের ভিডিওর সমস্যা হল কে যে মারপিটটা ইনস্টিগেট করছে সেটা বোঝা যায় না সবসময়। কিন্তু ভাষ্যকার এ ব্যাপারে নিজের ধারণাটা চাপিয়ে দেন। কিম্বা খুব সাট্‌ল ভাবে কাউকে একটা ইঙ্গিত করেন।
  • dri | 117.194.232.70 | ২৩ জুন ২০০৯ ১৩:০৪409221
  • ২০০৭ এর সামারে লন্ডন টেলিগ্রাফে দেওয়া ইন্টারভিউতে জন বোল্টন (বিশিষ্ট নিওকন) বলেছিলেন, মিলিটারি স্ট্রাইক অন ইরান উড বি আ লাস্ট অপশান আফ্‌টার ইকনমিক স্যাংশানস অ্যাটেম্‌ট্‌স টু ফোমেন্ট আ পপুলার রিভলিউশান হ্যাড ফেইল্‌ড। এর কিছুদিন পরেই বুশ অফিশিয়াল সি আই এ ডকুমেন্ট সই করেন এই মর্মে যে সি আই এ নানারকম প্রপাগ্যান্ডা এবং ডিসইনফরমেশান ক্যাম্পেন চালাবে ইরানের গম্মেন্ট ডিস্টেবিলাইজ করতে, বা ফেলে দিতে। এই খবরটা তখন এ বি সি তে বেরিয়েছিল, http://blogs.abcnews.com/theblotter/2007/05/bush_authorizes.html
  • dri | 117.194.232.70 | ২৩ জুন ২০০৯ ১৩:২৪409224
  • * রিপ্রেজেন্টটেটিভ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন