এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সি।পি।ম কি? সি।পি।ম কে?

    sahana
    অন্যান্য | ২৪ এপ্রিল ২০০৯ | ৭৭১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • arjo | 168.26.215.13 | ১৫ জুন ২০০৯ ১৮:৩৫411529
  • সত্যি!!!!!!!
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ জুন ২০০৯ ১৯:৫৭411530
  • আমার মেধা তঙ্কেÄ অনেকেই বিরক্ত মনে হচ্ছে।
    আমি মূলত: নেতৃত্বের কথাই বলেছি। সাধারন সমর্থক/কর্মী নিয়ে বলিনি।
    ""সিপিএমএ পড়ে থাকলো নেতাতই মধ্যমেধার, মধ্যবিত্ত মানসিকথার লোকজন"" - এই বাক্যটিতে অবশ্য নেতৃত্বের কথা আলাদা করে বলা নেই। সেটা আমারই ভুল।
    আমি লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী যদি কাউকে এ কথা বুঝিয়ে থাকি যে তার আপানজন, সিপিএম কর্মী-সমর্থক হওয়ার কারনে মধ্যমেধার/মধ্যবিত্ত মানসিকতার মানুষ।
  • Abhyu | 80.221.25.236 | ১৫ জুন ২০০৯ ২১:১৭411531
  • হ্যাঁ ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আঘাত করা মোটেই উদ্দেশ্য নয়, কিন্তু শ্যামলবাবুর অবসার্ভেশন এক্কেবারে ঠিক। পার্টি ক্যাডার না হয়ে স্কুল (এমনকি কলেজে) চান্স পাওয়া তো প্রায় ইম্পসিবল। আমার মা সরকারি স্কুলে চাকরি করতেন। কোনো রাজনৈতিক অ্যাফিলিয়েশন ছিল না। শুধু লালপার্টি না করার কারণে অনেক হেনস্থা সইতে হয়েছে। আমি কল্যাণী ইউনিভার্সিটি এক্সপেরিমেন্টাল হাই স্কুলে পড়তাম। স্কুলটি এককালে খুব ভালো স্কুল ছিল। সেটিকে সিপেয়েম যেভাবে গোল্লায় পাঠিয়েছিল সেটা প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পড়ে।
  • kallol | 122.167.38.148 | ১৫ জুন ২০০৯ ২১:৩০411532
  • কিন্তু র, আমার একটা প্রশ্ন ছিলো।
    মাসীমা সার্ভিস কন্টিনিউইটি ফিরে পান নি কেন ? ওনার চাকরী চলে যাবার সরকারী কারন কি দেখনো হয়েছিলো?
    যদি প্রশ্নটা খুব ব্যক্তিগত/জবাব দেবার মত না মনে হয় উপেক্ষা কোরো।
  • kallol | 122.167.38.148 | ১৫ জুন ২০০৯ ২২:০২411533
  • সিপিএম নেতাদের কথা বলেছি। এবার কিছু সক্রিয় কর্মীর কথায় আসি।
    নাম করেই বলছি - ইচ্ছে হলে খতিয়ে দেখতে পরেন।
    নেতাজীনগর-রাণীকুঠী-মুর অ্যাভেনিউ-নানুবাবুর বাজার-চন্ডীতলা এলাকার তিন দাপুটে সিপিএম তপন, সুভাষ, রঙ্গ। ১৯৭২ সালে নব-যুবর তাড়ায় কেওড়াতলা অঞ্চলে আত্মগোপন করেন। সেই সময়েই ঐ কেওড়াতলা-রাসবিহারী অঞ্চলে আমাদেরও একটা ঠেক ছিলো, একটা ক্যরাম বোর্ড ঘিরে। লক্ষী বসুর চেলাদের হুড়ো খেয়ে ওরা আমাদের ঠেকে চলে আসে। সেই থেকে ৭৭ পর্যন্ত উভয়পক্ষেই খুব দহরম-মহরম।
    ৭৭-এ ওরা ফিরে গেলো ""নিজ নিজ ধামে""।
    ৭৭-এই আমি গেছিলাম ওদের কাছে ""বন্দীমুক্তি ও গণদাবী কমিটি""র হয়ে - ওদের এলাকায় যাঁরা পুলিশ/সিআরপির হাতে শহীদ হয়েছে, দলমত নির্বিশেষে তাদের তালিকা বানাতে। আমাকে ভদ্রভাবে স্রেফ কাটিয়ে দিয়েছিলো ঐ তপন-সুভাষ-রঙ্গ। বলেছিলো পার্টির সাথে কথা বলে জানাবে। সে আজও হয়ে ওঠে নি।
    এই হলো ৭৭ পরবর্তী সিপিএম।
  • Du | 65.124.26.7 | ১৫ জুন ২০০৯ ২২:৩০411534
  • কল্লোলদা, আমার মনে হয় না এটা কেউ ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছেন। এমনিতেই এটা জাস্ট হয়না এবং সুপিরিয়র রেস টাইপের বিপজ্জনক। উল্টোটা একা ঘরে বলে দেখুন আর কিছুই বলতে হবেনা।

    কলকাতায় ৬/৭ বছর থাকা এবং আত্মীয়তার সূত্রে বহুজনকে জানি যারা শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় আছেন, অনেকে আমার চেয়ে ছোটও, আমার চোখের সামনে চাকরি পাওয়া। এদের কেউই বাম তো নয়ই সাধারনভাবে (পরিবারগতভাবেও বলা যায়) সিপিএম বিরোধী। এমনকি কলকাতায় এসে আমি আশ্চর্য্য হয়ে যেতাম সিপিএম লোকজনের এত অভাব দেখে। প্রাইভেটলি এদের সকলের পেট পীভ ছিল এই সরকার ছোটলোকেদের মাথায় চড়িয়েছে।
    কেউই বলেনি যে বায়াস নেই- অবশ্যই আছে। আমার শ্বশুরমশাই স্কুলের চাকরিতে নতুন টীচার নিয়োগ করতে গিয়ে দেখেছেন এ জিনিস (প্রাক স্বাধীন বংলাদেশের জেলে থাকা বামপন্থী, সিপিএমকেই সাপোর্ট করেছেন এদেশে এসে) এবং প্রতিবাদ করেছেন প্রতি ক্ষেত্রেই। তাকে কোন হেনস্থা করা হয়নি কোনওদিন। এগুলো বেসিক লেভেলে বিরোধিতা করতে হয় কারণ এটা কোন পার্টি স্পেসিফিক ভাইস নয়।
  • shyamal | 67.60.248.108 | ১৫ জুন ২০০৯ ২২:৪৮411535
  • ""ছোটলোকদের মাথায় চড়িয়েছে"" সিপিএমের বিরুদ্ধে এই কমপ্লেন এই প্রথম শুনলাম। আমার আত্মীয়বন্ধুর মধ্যে প্রচুর সিপিএম বিরোধী আছে। কিন্তু তাদের গ্রাইপ হল অন্যত্র।
    ১) সিপিএমের তাঁবেদার হলে সহজে সরকারী চাকরী পাওয়া যায়, নচেৎ নয়।
    ২) পাড়ায় পার্টির লোকের থেকে সিমেন্ট, বালি কিনতে হবে বাড়ি বানাতে হলে
    ৩) পার্টি নিজের তাঁবেদার দিয়ে রাস্তাঘাট, ব্রীজ বানায়। তাতে হয় বহু বেশী সময় লাগে বা রাস্তা দুদিন বাদে ভেঙে যায়। ব্যতিক্রম: এ জে সি বোস রোড ফ্লাইওভার যা লার্সেন টুব্রো ডেডলাইনের আগে খুলে দিয়েছিল।
    ৪) অনেক ক্ষেত্রে ভোট দিতে গেলে দেখা যায় আগেই ভোট পড়ে গেছে
    ৫)ইউনিয়নবাজির জন্য গত চল্লিশ বছরে নতুন শিল্প আসা থেমে গেছে
    ৬) অবরোধ, ধর্মঘট, বন্ধ এগুলোর জনক সিপিএম
  • shrabani | 124.30.233.105 | ১৬ জুন ২০০৯ ০৯:১৬411536
  • লিখবনা লিখবনা করে করেও লিখে দিলাম। যদিও আমি সেই "যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ" থিওরী টাই মানি। তবু এইসব "হোলিয়ার দ্যান দাউ" অ্যাটিচিউড দেখলে.................!

    রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে বেশীরভাগ টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টেই "আমরা এখানে এস এফ আই ঢুকতে দিইনা। হুঁ হুঁ বাবা এখানে ওসব চলবেনা" টাইপের ভাব ছিল। বেশ কিছু টীচাররা প্রকাশ্যে ডি এস এফ (নাম টা ঠিক বললাম?) ও ডি এস ও স্টুডেন্ট দের প্রতি যে পরিমাণ বায়াস দেখাত, পরীক্ষার নম্বরেও তার ঝলক থাকত । মুলত এদের জন্যই এই সব জায়গায় কোনোদিন এস এফ আই জিততনা। কেউ দাঁড়াতেই রাজী হতনা স্যারেদের ভয়ে। টীচারদের রুমে আড্ডা বসত সন্ধ্যেয়, ইলেকশনের সময় পোস্টার লেখা ইত্যাদি সব টীচারদের সাহায্যে হত।

    এইসব টীচারদের চাকরি সিপিএম সরকার খায়নি বলেই জানি, উল্টে তাদের প্রোমোশন যা হবার সময়ের সাথে সবই হয়েছে।

    এরা কোনোদিন হাতে ক্ষমতা পেলে কি করবে বা করত তা এই ট্রেলর দেখেই বোঝা যায়!
  • h | 206.195.19.50 | ১৬ জুন ২০০৯ ১০:৪১411537
  • 'সিপিএম ছোটোলোকদের মাথায় উঠিয়েছে' টা বহুদিনের প্রচলিত উইসডম। এটা কল্লোলদা যদি ণা শুনে থাকেন, তাহলে কল্লোলদার কানে ন্যাবা হয়েছে।

    কল্লোলদা আর শ্যামলদার লেখা গুলো এক সঙ্গে পড়লে বেশ সুন্দর ভাবে ৭৭ পরবর্তী লিবেরেল-কংগ্রেস আঁতাতের মূল রেটোরিক গুলো উঠে আসে। মানবাধিকার প্রশ্নে সহযোগিতা চেয়ে পাওয়া যায় নি আর ইউনিয়নের জন্য শিল্প নাই, এই দুই মতের অপূর্ব সহাবস্থান ও আঁতাত এই ৭৭ এর পরেই সম্ভব হয়েছে।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১৬ জুন ২০০৯ ১০:৫৬411539
  • এটা কত সালের কথা? রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের ছাত্র রাজনীতির সম্বন্ধে কিছুটা হলেও জানি ৯৬ সাল থেকে। তখন থেকে এখন অব্দি এস এফ আই ছাড়া অন্য কোনও সংগঠন আছে বলে শুনি নি। আমরা PDSF নামের একটা সংগঠন করতাম। আমাদের দু-চারটি সদস্য ছিল ওখানে। তারা ওখানে প্রকাশ্যে কিছুই করতে পারত না এস এফ আই এর চোখ রাঙানির জন্য। 'যুদ্ধ' নামের একটা পত্রিকা বের করা হত। কাজেই আপনি যা বলছেন সেটা তার অনেককাল আগের কথা। আমার এক বন্ধুর বাবা ওখানকার প্রফেসর। তার কাছ থেকেও শুনেছি পলিটিক্যাল রিক্রুটমেন্টের গল্প। ফাঁক গলে দু চারটি অ-বাম চাকরি কি হয় না? কিন্তু তাদেরকেও সি পি এমের কোনও একটি লবিকে ধরে অন্য লবিকে নিউট্রালাইজ করে নানারকমের কাঠখড় পুড়িয়েই ঢুকতে হয়। এরকম একজন অ-বামকেও চিনি। ২০০৭ এ ঢুকেছে। কিভাবে ঢুকেছে - তাও জানি।

    আপনি যে সময়ের কথা বলছেন (মানে যখন সায়েন্স কলেজে ডি এস এফ ছিল, যদিও আমি সিওর নই আদৌ ছিল কিনা) সেটা সি পি এমের সর্বব্যাপী নেপোটিজমের যুগ নয়। তার আগের যুগ। এই সর্বব্যাপী নেপোটিজম তার শাখাপ্রশাখা বিস্তার করেছে নব্বই-এর দশকেই।

    নেপোটিজম সব রাজনৈতিক দলই করে। গণি খান মালদা কে কংগ্রেসের এরকম দুর্ভেদ্য ঘাঁটি বানানোর জন্যে কম লোককে রেলে চাকরি দিয়েছেন? তাঁর সম্বন্ধে একটা কথা চালু আছে। তিনি নাকি জোর গলায় বলতেন - ""নিজের দলের ছেলেদের চাকরি দিব দিব দিব। বেশ করব।"" কিন্তু অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেপোটিজমের সাথে সি পি এমের নেপোটিজমের একটাই তফাৎ। এক্ষেত্রে নেপোটিজমটা করা হয় বিপ্লবের স্বার্থে। তাই তার পিছনে একটা মতাদর্শের জাস্টিফিকেশন থাকে। এটা করা যে ঠিক নয় - এই বোঝাপড়াটা সব জায়গায় থাকে না। তাই এই নেপোটিজম অনেক গভীর অব্দি নিজের জাল বিস্তার করতে পারে।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১৬ জুন ২০০৯ ১০:৫৮411540
  • শ্রাবণীকে
  • bb | 69.15.164.33 | ১৬ জুন ২০০৯ ১১:৩৮411541
  • CPM যে গরিবদের মাথায় চড়িয়েছে, এই অভিযোগ বহুদিনের। এছাড়া এপার বাংলার মানুষদের আরও অভিযোগ সিপিএম বাঙ্গালদের পার্টি!!তাই ঘটি হয়ে সিপিএম এর সমর্থক হওয়ার জন্য অনেক আত্মীয়দের কাছে আওয়াজ খেতে হয়েছে।

    আর যদি বলেন পক্ষপাতিত্ব:,তাহলে জানাই এসএফ আই সমর্থক হওয়ার জন্য আশির দশকের শেষের দিকেও আমাকে অধ্যাপকদের গঞ্জনা শুনতে হয়েছে, যারা অনেকেই বাম জমানায় চাকরি পেয়েছিলেন।

  • shrabani | 124.30.233.105 | ১৬ জুন ২০০৯ ১১:৫০411542
  • পিনাকী, 89 থেকে 92-93 র কথা বলছি। ডিপার্টমেন্ট আর টীচারদের নাম গুলো এখানে বলবনা। তবে 2000 অবধি এই সব স্যারেদের হেড হতেও দেখেছি। তারপর থেকে আমি আর টাচে নেই।
    আর খেয়াল করবেন আমি শুধু কিছু টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর কথা বলেছি।
    আর "বিপ্লবের স্বার্থে নেপোটিজম"? এভাবেই বোধহয় বিপ্লবের স্বার্থেই মাওবাদীদের যথেচ্ছ মানুষ খুনেও দোষ হয়না! তাহলে সিপিএম এরও ও যদি এরকম excuse থাকে অন্যায় করার পিছনে সেটা মেনে নেবেন?
  • d | 144.160.5.25 | ১৬ জুন ২০০৯ ১২:০১411543
  • "সিপিএম ছোটলোকদের মাথায় চড়িয়েছে' -- এই কথাটা শুনেছেন কি শোনেন নি, এই সম্পর্কে তো কল্লোলদা কোন মন্তব্য করেন নি। হনু খামোখা কল্লোলদার মুখে কথা বসিয়ে দিচ্ছে কেন? শ্যামল বলেছেন উনি নাকি কখনও শোনেন নি। এই বাবদে কানে ন্যাবা হলে সেটা শ্যামলের কানেই হয়ে থাকবে, কল্লোলদার কেন???

    এই বাক্যবন্ধটা আমি শুনতাম ৮৮-৮৯ সাল পর্যন্ত। তারপরে আর বিশেষ শুনেছি বলে তো মনে পড়ছে না।
  • h | 206.195.19.43 | ১৬ জুন ২০০৯ ১২:০৪411544
  • আমার ন্যাবাওয়ালা কানে রেগুলার শুনছি।
  • d | 144.160.5.25 | ১৬ জুন ২০০৯ ১২:০৯411545
  • কল্লোলদা শোনেন নি বলে কোন পোস্টে জানিয়েছেন??
  • h | 206.195.19.43 | ১৬ জুন ২০০৯ ১২:১১411546
  • এর একটা বদ রসিকতা মূলক উত্তর আছে। কান টানলে মাথায় লাগবেই। ইত্যাদি। কংগ্রেস-লিবেরেল আতাঁতের পরিপ্রেক্ষিতে খুব আউট অফ কনটেক্সট নয়।

    তবে ইয়েস, মহা অপরাধ করেচি, শ্যামলদার কানের ন্যাবার দায় কল্লোল দারে দিয়েছি। এই নিজের কান ধরলাম।
  • h | 206.195.19.43 | ১৬ জুন ২০০৯ ১২:১৪411547
  • হ্যাঁ কল্লোলদা দেন নি। তাতে বক্তব্য খুব বদলায় কি?
  • r | 125.18.104.1 | ১৬ জুন ২০০৯ ১২:২৩411548
  • কল্লোলদা, কেন পান নি এটা আমারও প্রশ্ন। একই কারণে চাকরি যাওয়া অনেক পেয়েছেন সেটাও জানি। আবার অনেকে পান নি। যেভাবে '১১০০'-র কোনো কিনারা হয় নি। যেমনভাবে হরতোষ চক্রবর্তী কমিশন কিছুই করে নি, বা করতে পারে নি।

    সি পি এমের স্বজনপোষণের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাও কম নেই। কিন্তু সেই অজুহাতে যখন অন্যদের খালাস করা হয় তখন মেনে নিতে পারি না। বিশেষত: আমার পরিবারের অনেকেই সেই সময় চাকরি হারিয়েছেন, বা চাকরি হারানোর হুমকির মুখে পড়েছেন। বিশেষত: যখন আমার বেড়ে ওঠার সময় আমার পরিবারের অনেকে ঘরছাড়া এবং চাকরিহারা।

    পরিবর্তন চাই। কিন্তু ইতিহাসের খোলনলচের পরিবর্তন চাই না।
  • r | 125.18.104.1 | ১৬ জুন ২০০৯ ১২:৪০411550
  • এটাও কল্লোলদাকে, একটু অন্য প্রসঙ্গে: নাম্বুদিরিপাদ-সুন্দরায়া-বাসবপুন্নায়া বনাম সোমনাথ লাহিড়ী-ভবানী সেন-হীরেন মুখোপাধ্যায় আলোচনার সামর্থ্য এখনও অর্জন করি নি।
  • shrabani | 124.30.233.105 | ১৬ জুন ২০০৯ ১২:৫২411551
  • স্বজনপোষণ তো সুযোগ সুবিধা মত সবাই করে থাকে এবং সব ক্ষেত্রেই সেটা আনজাস্ট। আবার সুবিধেমত লোকে নিজেকে জাস্টিফাইও করে।
  • ranjan roy | 122.168.246.134 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৩:১৪411552
  • বিতর্কটা যেন সেই নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর সময়ের মত একটু ব্যক্তিগত আক্রমণের দিকে চলে যাচ্ছে। একটু সংযম, একটু বক্তার বায়াস ছেড়ে বক্তব্যের কাটাছেঁড়া অব্দি লক্ষণরেখা টানলে হয় না?
    রঙ্গন ঠিক বলেছেন-- প্রতিবাদের নামে ইতিহাসের খোল-নলচে বদলানো অভিপ্রেত নয়।
    আমার দু'পয়সা।
    প্রথমে শ্যামলকে,
    আপনি আসলে স্বাধীনতার পর কংগ্রেস শাসন দেখেননি। শুনুন, তখন বামপন্থী হলে খোলা খুলি চাকরি যেত।
    আমার বড়কাকা এয়ারফোর্সে ব্যারাকপুরে টেলিফোন অপারেটর ছিলেন। বাম লিটারেচার রাখার অভিযোগে চাকরি গেল। রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে লিখে কোন উত্তর পাননি।
    বাবা বোকারো (ডিভিসি)তে আর এস পি'র স্টাফ ইউনিয়নের সেক্রেটারি ছিলেন। পরে যখন ভিলাই স্টীল প্ল্যান্টে ১৯৫৯সালে অ্যাসিস্টান্ট ডিভিসনাল ইঞ্জিনিয়ার পোস্টে যোগ দিতে যান, ইন্টারভিউয়ে সিলেকশান হওয়ার পরও আটকে দেয়া হয় হয়, গোপন পুলিশ রিপোর্টে। লর্ড সিন্‌হা রোড থেকে ধমকে দেয়া ও হয়। ঘটনাচক্রে তখন রিটায়ার্ড পুলিশ কমিশনার মি: মুখর্জির বাড়িতে সেজকাকা ভাড়া থাকতেন। ওনার হস্তক্ষেপে শেষমেশ উদ্ধার হয়।
    কিন্তু হনু যেমন বলেছেন-- মাইক্রো উদাহরণ দিয়ে লাভ নেই। তখ্যন ""সোভিয়েট ল্যান্ড'' বলে রুশ সরকারের একটি নির্বিষ প্রচার-পত্রিকা ও চাকরি যাবার কারণ হয়েছে।
    সেই সময় পাবলিক সেকটরে কংগ্রেস সরকারের লালভীতি ""কারানগরী'' বলে একটি উপন্যাসে ধরা আছে। ওটি আসলে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে ইউনিয়ন গড়ে ওঠার গল্প। কিন্তু পাবলিক সেকটরে আমলাদের যে কালচার তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছবি।
    সেই সময়ের পরিচয় বা অন্য বামঘেঁষা সাহিত্যপত্রিকা দেখুন--- কমিউনিস্ট বলে গাঁয়ের টিচারদের চাকরি যাওয়া বেশ কমন।
    হ্যাঁ, এই নিয়ে পাব্লিকে ট্রামে-বাসে কথা বলতো না, কেন?
    কারণ, সেই সময়ে ইংরেজ যাবার সময় নেহরুরা দেশ-শাসন করছেন। ফলে ডিস্টার্বিং এলিমেন্ট দের এলিমিনেট করার রাইট নতুন রাজাদের আছে বলে মধ্যবিত্ত মনে করতো। তখন ভোট কিভাবে হতো কারু মনে আছে? গ্রামে প্রধানের বাড়ির একাংশে স্কুল, সেখানে পোলিং বুথ।
    লাইনটা প্রধানের বাড়ির আঙিনার ওপর দিয়ে।
    সত্তরের পরে, বিশেষ করে এমার্জেন্সির পরে অবস্থা বদলেছে। পাব্লিক অনেক মুখর।
    দুটো সময়ের ফ্রেম আলাদা।
    তবে সিপি এম এর একটানা লম্বা শাসনে ঐ যা শ্রাবণী বলেছেন-- যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ।
    হিন্দিবেল্টে দেখছি-- খোলাখুলি পয়সা আর চেনাজানার খেলা। কি বা কংগ্রেস, কি বা বিজেপি!
    কিন্তু বঙ্গের সাথে তফাৎটা হল কেউ এতে রাজনীতির রং মাখিয়ে ওরা-আমরা জাস্টিফাই করে না।
    কিন্তু আমিএকটা কথা বুঝতে পারছি না।
    আমরা যারা বাম মতাদর্শের সমর্থক তারা নিশ্চয়ই বামকে নৈতিক ভাবে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির থেকে সুপিরিয়র মনে করি। কাজেই কংগ্রেস যাই করুক, তাদিয়ে কি বামের অনৈতিক কাজ কে সমর্থন করা যাবে?
    শ্রাবণী,
    একদম ঠিক বলেছেন--- অন্যায়টা অন্যায়ই! যেই করুক, যে স্লোগানের আড়ালেই করুক, সমর্থনের প্রশ্নই ওঠে না।
    কিন্তু, ভায়োলেন্সের উদাহরণটা?
    শুধু নকশাল কেন, সমাজপরিবর্তনের জন্যে ভায়োলেন্সের ভূমিকা তো ক্লাসিক্যাল মার্কস্‌বাদেই স্বীকৃত। মার্কস্‌ বলেছেন--- মিড্‌ওয়াইফ'
    লেনিনের শ্বেতসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লাল সন্ত্রাস? ভুল বল্লাম?
    ইন ফ্যাক্ট, সমর্থন করি বা না করি-- নন্দীগ্রাম ঘটনায় বুদ্ধদেবের বক্তব্যে মনে হয়ে ছিলো যেন উনি ঐ ম্যাক্সিমের ওপর দাঁড়িয়ে নিজের সমর্থন চাইছেন।
  • r | 125.18.104.1 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৩:২৪411553
  • ও, আর একটা কথা। মায়ের চাকরি যাওয়ার কোনো সরকারী কারণ ছিল না। কারণ স্রেফ হুমকি দিয়ে স্কুলের এলাকায় পা রাখাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
  • h | 206.195.19.51 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৩:৫৯411554
  • ইতিহাসের মোটামুটি গুষ্টির তুষ্টি হতে বেশি বাকি নেই। ঐতিহাসিক রা শুধু নন, মেমোয়ার লেখক রাও পোলারাইজেশনের বাইরে বেরোতে না পারলে কোন ভবিষ্যৎ নাই। পারলেও কোন ভবিষ্যৎ নাই অবিশ্যি।
    এখন সফট এবং সেন্সিবল ন্যাশনালিস্ট কিম্বা এফিসিয়েন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলে পরিচিত কংগ্রেসীরা কেউ কংগ্রেসের সত্তর দশকীয় রূপটির রূপকার থাকার ইতিহাসে কেউ খুব নজ্জা পান তেমন নয়। এখন ওটা লেজিটিমাইজড। সত্তর দশকে ৭২ থেকে ৭৭ এর মধ্যে কি হু হু করে উন্নয়ন ও গরীবী হটাও হচ্ছিল, এবং মানুষ সুখে শান্তিতে গ্রামীন ব্যাংকে আকাউন্ট খুলে নতুন নতুন ক্যানেল থেকে জল পাচ্ছিল এবং গ্রাম বাংলায় অপরাধের হার কত কম ছিল, তার হিসেব নতুন করে বেছে বেছে হবে। আকাদেমিয়াতেও হবে। যেখানে নিরপেক্ষতা নিয়ে কারো কোন প্রশ্ন নাই :-)
  • shrabani | 124.30.233.105 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৪:২৭411555
  • রঞ্জনদা,
    সেন্টারে যেহেতু কোনোদিন বাম আসেনি (এক আধবার বন্ধু থাকলেও) এখনও সে¾ট্রাল পাবলিক সেক্টরে বাম মনোভাবাপন্ন লোকেদের তাদের ইনক্লিনেশন লুকিয়ে রাখাটাই মঙ্গল বলে মনে করা হয়। কোনোভাবে প্রকাশ হয়ে পড়লে তার কেরিয়ারের ওখানেই ইতি। জি এম লেভেল থেকেই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে শুরু হয় পলিটিক্যাল পোস্টিং অর্থাৎ নেতাদের হাত মাথায় না থাকলে প্রোমোশন হয় না।

    আর যদি কোনো সি পি এস ইউর একজিকিউটিভ ডাইরেক্টর বা ডাইরেক্টর বলে যে সে শুধু যোগ্যতায় ঐ পোস্টে এসেছে, কোটি টাকা না খরচ করে তবে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি তিনি মিথ্যেবাদী জানবেন।
  • ranjan roy | 122.168.88.111 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৪:৩৯411556
  • শ্রাবণী,
    একদম ঠিক। ১০০% ঠিক। এই কথাটাই শ্যামলকে বলতে চাইছিলাম। কোলকাতার বাইরে পাবলিক সেকটরের যে ছবি শ্রাবণী তুলে ধরেছেন তাই বঙ্গেও ছিল, সত্তরের দশকের আগে অব্দি।
    সিপিএম এমন কোন পাপ করেনি যা আগে কংগ্রেস করেনি। বেশি সময় ধরে একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে এগুলোকে হয়তো আরও ব্যাপক, আরও institutionalised করেছে। কিন্তু তাতে আমার কি এসে যায়?
    এসে যায়, কারণ সিপিএমের থেকে অনেক কিছু আশা করেছিলাম।
    প্রয়াত সমীর রায়ের পংক্তি দিয়ে বলি-
    ""দীঘির মত কালো চোখ তুলে চাষীর মেয়েরা বল্লো
    --আমরা রক্ত দিয়েছিলাম''।
  • h | 206.195.19.59 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৪:৪৪411557
  • কোনরকম অনাচার অন্যায় যাতে না থাকে এই জন্য মন্টেকের নেতৃঙ্কেÄ যে কটো পি এস ইউ আছে সেগুলো আস্তে আস্তে তুলে দেওয়ার দায়ভার নিয়েছে নবনির্বাচিত সরকার। মমতা বলেছেন, স্টার আনন্দের সাক্ষাৎকারে, তিনি পিএসইউ বিকির বিরোধী। কিন্তু সিপিএম যেরকম অত্যাচারী, তাঁর ওদিকে আর মনদেওয়ার সময় বা পার্লামেন্টারি অ্যারিথমেটিক নাও থাকতে পারে। আর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলে তো সময়ের একটা অভাব হবেই।
  • r | 198.96.180.245 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৪:৪৬411558
  • এই রে! পি এস ইউ!! আবার শ্যামলবাবুর পায়ে বল চলে গেল।
  • quark | 202.141.148.99 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৪:৪৭411559
  • এই কতাটা আম্মো বহুবার বলার চেষ্টা করিচি, অনেক জায়গায় .... বাকীরা যা যা ক'রে মানুষের সব্বোনাশ কচ্চে, সেই সব কাজ (বা তার চেয়ে সামান্য কিচু কম) কল্লে সিপিয়েম ভালো হয় ক্যামনে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন