এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • র‌্যাগিং নয়, র‌্যাগিং এর শাস্তি বিষয়ক দু চার কথা আমরা জানি (বা জানি না)

    pinaki
    অন্যান্য | ১০ এপ্রিল ২০০৯ | ৯১৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:৫১413061
  • ভাগে ভাগে লিখছি। একবারে লিখতে পারবো না।

    এক -

    পঞ্চাশ পাতা ভাটের পর টই দেখে লোকজন বোর হলেও কিছু করার নেই। এই র‌্যাগিং এর জন্য আগাম ক্ষমা চেয়ে নিলাম। কিন্তু কিছু কথা পেটের মধ্যে গুজগুজ করে উঠছে। শিবুদা রাগ করবেন বলে প্রথমেই নিজের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে রাখি। এজ্ঞে এই অধম ডি এস এফ বা মতান্তরে নক্সাল করত। সকলের অবগতির জন্যে কিছু তথ্য এ প্রসঙ্গে দিয়ে নিই। ডি এস এফ কোনোকালেই নিজেকে নক্সাল বলে দাবী করে নি। জরুরী অবস্থা উঠে যাওয়ার পর বিভিন্ন কলেজে এরকম ডি এস এফ জাতীয় কলেজভিত্তিক গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম তৈরী হয়। কলেজের ব্যাপক সংখ্যক ছাত্রছাত্রী তাতে যোগ দেয়। যাদবপুরের ডি এস এফ এর মধ্যে এস এফ আই-ও ছিল। পরে মরিচঝাঁপিতে 'বাম' সরকারের গুলিচালনার পরে নক্সালদের সাথে ক্যাচাল পাকে। ইতিমধ্যে বাম সরকারকে চোখের মণির মত রক্ষা করার লাইন বাজারে নেমে গ্যাছে। সেই মোতাবেক এস এফ আই ডি এস এফ থেকে বেরিয়ে আসে। তখন থেকে ডি এস এফ মোদ্দাভাবে নক্সালদের দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম চরিত্র বজায় রাখার জন্য সেই অর্থে নক্সাল নয়। কারণ বরাবরই "মাস" অর্থাৎ আমজনতার একটা ভাল পর্টিসিপেশন ডি এস এফ এ থেকেছে এবং যে কারণে ডি এস এফ এর মধ্যের নক্সাল বা অ-নক্সাল বামপন্থী গ্রুপগুলোকে প্রতি মুহুর্তে একটা কঠিন আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক লড়াই এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আজও হচ্ছে। যেমন ধরুণ সংরক্ষণ এর ইস্যু। র‌্যাগিং। ফেস্ট এ এম এন সি র স্পনসরশিপ নেওয়া হবে কি না। ইত্যাদি। কখনও সেই যুদ্ধে ডি এস এফ জিতেছে, কখনও হেরেছে। কিন্তু যুদ্ধটা জারি রয়েছে। থাকবেও। এখন কথা হল এস এফ আই বা সি পি এম কি জানে না ডি এস এফ এর এই চরিত্রের কথা? খুব জানে। কিন্তু তবু ডি এস এফ কে নক্সাল বলে স্ট্যাম্প মারা অব্যহত। এবং উল্লেখ করার মত বিষয় হল - এখানে আবার এ বি পি ও সি পি এমের খুব মিল। বহুবার এরকম হয়েছে - কোনো অন্দোলনের সময় এ বি পি র কোনো সাংবাদিক এসেছেন খবর নিতে। পই পই করে তাঁকে বোঝানো হয়েছে যে "নক্সাল" বলে লিখবেন না। কারণ ডি এস এফ এ এমন অনেক গ্রুপ বা ইন্ডিভিজুয়াল আছেন যাঁরা নিজেদের নক্সাল বলে মনে করেন না। কিন্তু কোথায় কি? ঠিক তার পরের দিনের কাগজে "নক্সাল ছাত্র সংগঠন ডি এস এফ"। আমরা বুঝি এটা ওরা হারামীগিরি করে করে, নিউজ ভ্যালু বাড়ে নিশ্চয়ই। আর সিপিএমেরও নক্সাল তকমা লাগালে যে কোনো অন্দোলোনকে "হঠকারী" ইত্যাদি বলতে সুবিধে হয়। বাবা মা রা JU তে ঢোকার আগে পাখী পড়ার মত শিখিয়ে দেবেন "নক্সালদের থেকে সাবধান"। সুবিধে তো বটেই। যাই হোক।

  • Blank | 59.93.254.14 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:০৪413100
  • বুঝলাম যে ইহারা নক্সাল নয়। তাপ্পর ....

    (ডি এস এফ নক্সাল হলেও তো তক্ক করতে অসুবিধে ছিলো না।)
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:১৫413111
  • দুই -

    এবার র‌্যাগিং প্রসঙ্গে আসি। প্রথম কথাটা হল এখানে র‌্যাগিং যদি অবস্থানগত হায়ারার্কির সুযোগ নিয়ে কাউকে শারীরিক বা মানসিকভাবে হ্যারাস করা বোঝায়, কম হোক বা বেশী - সেটা যে ভালো নয়, এই ধরণের প্রথা যে না থাকাই কাম্য - সে নিয়ে কাউকে এখনও দ্বিমত পোষণ করতে দেখি নি। এই নিয়েও কেউ দ্বিমত পোষণ করেন নি যে এই হ্যারাসমেন্ট যে হয়েছে সেটা ডিসাইডেড হবে প্রাথমিকভাবে যে হ্যারাসড হল তার অনুভূতি দিয়ে। তাহলে পঞ্চাশ পাতা ভাট হল কিভাবে? তার কারণ মূল তফাৎটা আমার মনে হয়েছে একটা অপরাধকে কিভাবে কমানো যায় - সেই বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ। এই প্রসঙ্গেই পুলিশ, উল্টো করে ঝোলানো, গুছিয়ে ক্যালানো - ইত্যদি বিষয় এসেছে। তাই আলোচনাটা আমার মনে হয় ফোকাস করা উচিৎ যে কোনো অপরাধ প্রসঙ্গেই শাস্তি কেমন হওয়া উচিৎ সেই নিয়ে। বা ইন জেনারেল শাস্তির ফিলজফি নিয়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই স্পেশাল কেস হিসেবে র‌্যাগিং এর শস্তির প্রসঙ্গ আলোচনা হোক। আমার মনে হয় তাহলে এ নিয়ে একটা ইন্টারেস্টিং বিতর্ক হওয়া সম্ভব।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:৪১413122
  • তিন -

    ধরুন, আমরা যখন বলি - ব্যাটাকে গুছিয়ে ক্যালানো হোক - কি মানাসিকতা ডমিনেট করে তার পিছনে? প্রথমত: প্রতিশোধপরায়নতা। তার পরে আসে অপরাধকে কমানোর দায়বদ্ধতা, অপরাধীর সংশোধন - ইত্যাদি। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় যদি আমাকে বা আপনাকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে দু চার কথা বলতে বলা হয়, আপনি বা আমি কিন্তু প্রতিশোধপরায়নতার কথাটি বাদ দিয়ে আর সমস্ত কারণ দেবো। কারণ, আমরা যারা সুস্থ বুদ্ধির মানুষ বলে নিজেদের দাবী করি, গণধোলাই ইত্যাদির প্রতিবাদ করি - তারা সবাই এটা মানি যে প্রতিশোধপরায়ণতা একটা সমাজের ভিত্তি হতে পারে না। কিন্তু গুছিয়ে ক্যালানো-ই বলুন, বা অন্য কোনো উপায়ে অপরাধীর চরম ক্ষতিসাধন করার মধ্যে দিয়ে শাস্তি দেওয়া - তার মধ্যে দিয়ে না অপরাধের কারণটি দূর করা যায়, না অপরাধীর চিন্তায় ভাবনায় কোনো পরিবর্তন আনা যায়। একমাত্র যেটি হয় (কোনো কোনো ক্ষেত্রে, সব ক্ষেত্রে নয়) সেটি হোলো মনে সেই অপরধটি সম্পর্কে একটা ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া। যে ভয় থেকে ( কোনো সচেতনতা থেকে নয়) সে বা অন্যেরা এই অপরাধ করতে ভয় পাবে। এবং এটাকেই আমরা "দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি" বলে থাকি।

    তাহলে অপরাধীর ক্ষতিসাধনের মধ্যে দিয়ে যে "শাস্তি" - ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলে দেখা যাবে "দৃষ্টান্ত তৈরী করা" ছাড়া তার কার্যত: অন্য কোনো ভূমিকা নেই। তাহলে আমাদের আসলে আলোচনা করা উচিৎ "দৃষ্টান্ত তৈরী করা" ব্যাপারটা ভালো না খারাপ, উচিৎ না অনুচিৎ - সেই নিয়ে।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৫:৩৮413133
  • এখানে একটু নিউরাল নেটওয়ার্কের জ্ঞান দিয়ে নেওয়া দরকার। মানুষের লার্নিং মূলত: তিন প্রকার। ১) সুপারভইজড - অর্থাৎ একজন শিক্ষক থাকবেন। যিনি ঠিক ভুল সব জানেন। কেউ ভুল করলে তিনি ঠিকটা কি সেটা বলে দেবেন। ঠিক করলে তাঁর কিছু বলার নেই। ২) আনসুপারভাইজড - কোনো শিক্ষক থাকবে না। নানাবিধ অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে দিয়ে লোকে বুঝে নেবে কোনটা কি? পাভলভের কুকুরের লার্নিং এর উদাহরণ। ৩) রি-ইনফোর্সমেন্ট লার্নিং। এখানে শিক্ষক থাকবেন। কিন্তু তিনি ঠিক কি করণীয় সেটা বলবেন না। লোকে কোনো একশন নিলে তিনি ঠিক একশন হলে রিওয়ার্ড দেবেন। ভুল হলে পেনাল্টি। এই পেনাল্টি বা নেগেটিভ রি-ইনফোর্সমেন্ট-ই হোলো "শাস্তি"। এছাড়া এইগুলোর হাইব্রিডও হয়। যেমন ১ আর ৩ এর হাইব্রিড। অর্থাৎ শিক্ষক ঠিক ভুল বলেও দিলেন আবার ঠিকের জন্যে রিওয়ার্ড আর ভুলের জন্যে পেনাল্টিও দিলেন। এতগুলো কথা বলার কারনগুলো এবার বলি। খেয়াল করে দেখুন, লার্নিং এর এই যে গোটা সেট - নেগেটিভ রি ইনফোর্সমেন্ট তার মধ্যে একটা সাবসেট হিসেবে অবস্থান করে। অর্থাৎ মানুষের "ঠিক" কাজ করতে শেখা তার বাইরেও অনেক কিছু দিয়ে হয়। দ্বিতীয়ত: এই রি ইনফোর্সমেন্ট ব্যাপারটির উদ্দেশ্য কনসার্নড ইন্ডিভিজুয়ালটিকে ঠিক একশনটি শেখানোর জন্য রিওয়ার্ড বা পেনাল্টি দেওয়া। example তৈরি করার জন্য নয়। তার ক্ষতিসাধনের জন্যেও নয়।

    example তৈরী করাকে লার্নিং এর উপায় হিসেবে দেখার মধ্যে অনেক সমস্যা অছে। প্রথমে ধরা যাক পজিটিভ রি-ইনফোর্সমেন্টের কথা। ক্লাসে ফার্স্ট বয়ের example দিয়ে আপনার বাবা মা ছোটোবেলায় যখন বলত যে অমুকের মত হতে পারিস না? কেমন লাগতো আপনার? অমুকের মত হওয়ার দারুণ আগ্রহ তৈরী হত কি? নাকি "আমাকে নিজের মত হতে দাও" - এরকম একটা বিদ্রোহ মাথা চাড়া দিত? আরো উদাহরণ দেওয়া যায়। সব্বাই জানে। নতুন করে বলার মানে হয় না। এবার নেগেটিভ রি-ইনফোর্সমেন্টের কথায় আসুন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আচ্ছা বলুন তো একটা রেপের বা খুনের অপরাধীকে ঠিক কতটা শাস্তি দিলে সেটা দৃষ্টান্তমূলক হবে? মানুষের মনে যত বেশী ভয় ধরবে অপরাধটির প্রতি তত বেশী দৃষ্টান্ত তৈরী করার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে ধরা যাবে তো, নাকি? তাহলে কেন জনগণকে ডেকে সল্টলেক স্টেডিয়ামে জড় করে সবার সামনে খুঁচিয়ে খুঁচিতে একটু একটু করে কষ্ট দেওয়া হবে না? লোকটি কাতরাবে, জল খেতে চাইবে, জলও দেওয়া হবে না। আবার পুরোপুরি মেরেও ফেলা হবে না। কষ্ট দেওয়া হবে খালি। দৃষ্টন্তমূলক কষ্ট। তারপর ধরুন যে রেপ করেছে তার যৌনাঙ্গটি কেটে নেওয়া যেতে পারে, যে মিথ্যে কথা বলেছে তার জিভটি ছিড়ে নেওয়া হতে পারে। হ্যাঁ। পুলিশ-ই করবে সব কিছু। জনতাকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেওয়া হবে না মোটেই। এবং এই বিষয় নিয়ে ইউনিভার্সিটিগুলোতে রিসার্চও চালু করা যেতে পারে - যে দৃষ্টান্ত হিসেবে কোন শাস্তি কত এফেক্টিভ?

    কেন হয় না বলুন তো এগুলো? ইউ এস আর্মিতে শোনা যায় মানুষের পেট থেকে কথা বের করার বিভিন্ন টেকনিক নিয়ে রিসার্চ হয়ে থাকে। আমরা যারা "দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি"র দাবী করে থাকি সময়ি্‌বশেষে - তারা এতোটা এক্সটেন্টে গিয়ে ব্যাপারটা ভাবি না কেন?
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৬:০৮413144
  • তার কারণ আমরা তথাকথিত সচেতন লোকেরা যখন "দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির" দাবীতে গলা মেলাই মূলত: তাৎক্ষণিক ওভার রিএকশন থেকে বা একটা হতাশার বোধ থেকে সেটা করি। যার যতটা ওভার রিএকশন সে ততটা এক্সটেন্টে গিয়ে শাস্তির পদ্ধতি সাজেস্ট করে। স্যানের যাদবপুর বা শিবপুর নিয়ে ওভার রিএকশন আছে। তাই উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখার দাওয়াই বেরোয়। কেউ কেউ আবার "গুছিয়ে ক্যালানো" অব্দি কেবল ভেবে উঠতে পারেন। কিন্তু তর্কের খাতিরে যে যতই ডিফেন্ড করুন না কেন - এগুলো সাজেস্ট করার সময় তার ফলাফল, ইমপ্লিকেশন নিয়ে ভেবে এগুলো সাজেস্ট করেন না। তাই সচেতন ভাবে দৃষ্টান্ত তৈরী করার আরো ব্রুটাল এবং আরো এফেক্টিভ পদ্ধতির কথা তাঁরা ভাবেন না বা সে নিয়ে তাঁদের ক্রিয়েটিভিটি ব্যয় করেন না।

    কাজেই শাস্তি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আগে মাথা ঠান্ডা করুন। তারপর আসুন, যে শাস্তি সাজেস্ট করছেন কোনো অপরাধ কমানোর জন্য - তার ফলাফল নিয়ে ভাবি। দুটো পয়েন্টে যুক্তি দিন। ১) আপনার প্রস্তাবে সেই অপরাধী ঠিক কে ঠিক আর ভুল কে ভুল বুঝতে শিখবে কি? ২) অপরাধের প্রবণতা সাধারনভাবে এর ফলে কমবে কি?

    আর এসবের চেয়েও আপনার কাছে যদি "ভয় ধরানো" বা দৃষ্টান্ত তৈরী করাটাই মূল উদ্দেশ্য হয় - তাহলে প্রমাণ করুন ভয় ধরিয়ে আজ অব্দি কটা অপরাধপ্রবণতা দূর করা গেছে। এবং পাশাপশি বলুন কেন আমরা ভয় ধরানোর জন্য আরো ব্রুটাল উপায়গুলোর সাহায্য নেবো না?
  • kallol | 220.226.209.2 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৬:১৫413155
  • ডিএসএফ-এর গড়ে ওঠা নিয়ে যতটুকু জানি। যদিও এই টইয়ে খুব প্রাসঙ্গিক নয়। তবু পিণাকী একটু উল্লেখ করেছে তাই......
    ১৯৭৬-এর শেষের দিকে, জরুরী অবস্থা চলাকালীন, বামপন্থী (নকশাল, এসএফ আই, ডিএসও) এবং বহু ছাত্র যারা বামপন্থী নন কিন্তু জরুরী অবস্থার বিরোধী(একজন বিবেকানন্দ পন্থীও ছিলেন - বিবেকানন্দ পন্থা কি আমায় জিজ্ঞাসা করো না) ছাত্ররা ""গণতান্ত্রিক ছাত্ররা"" নামে একটা মঞ্চ গড়ে কলা বিভাগে নির্বাচন লড়েন এবং ছাত্র পরিষদকে হারিয়ে দেন। এর নেতৃত্বে ছিলেন আজকের এপিডিআর-এর সম্পাদক সুজাত ভদ্র আর সিপিএমের প্রক্তন রাজ্যসভা সদস্য নিলোৎপল বসু। ১৯৭৭-এ জরুরী অবস্থা উঠে যাবার পর এবং প:ব:তে বামফ্রন্ট আসার পর এসএফ আই, গণতান্ত্রিক ছাত্ররা থেকে বের হয়ে আসে। এসএফ আই-এর যুক্তি ছিলো - যে পরিস্থিতির প্রয়োজনে ""গণতান্ত্রিক ছাত্ররা"" তৈরী হয়েছিলো তা আর নেই। তাই ""গণতান্ত্রিক ছাত্ররা""র প্রয়োজনও আর নেই। ডিএসও কিন্তু তখন বেরিয়ে আসে নি। তখন অনেকেরই মত ছিলো এসএফ আই কে ছাড়াই ""গণতান্ত্রিক ছাত্ররা""কে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু ""গণতান্ত্রিক ছাত্ররা""র মধ্যে থাকা একটি নকশাল গোষ্ঠীর চাপে আলাদা সংগঠন ডিএসএফ তৈরী হয় সে¾ট্রাল লাইব্রেরীর পিছনের লেকচার থিয়েটারে ""গণতান্ত্রিক ছাত্ররা""র শেষ সভায়।
  • h | 61.95.144.10 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৬:২১413166
  • পিনাকি বিতর্কটা কে একটা সুবিধে মত জায়্‌গায় নিয়ে গেছে, যাতে পানিশমেন্ট আর পেডাগজি, ক্রিমিনালোলোজি র সঙ্গে স্টেট রিপ্রেশন ইত্যাদি জুড়ে দিয়ে অনেক কথা বলা যায়, যে গুলো কোনোটাই অন্তত নতুন নয়। একটা কলেজের র‌্যাগিং এর সঙ্গে এসবের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই, না থাকাই মঙ্গল। পুলিশ আর প্রিজন রিফর্মের সঙ্গে কতগুলো ছেলে ত্যাঁদড়ামো করলে তাদের কান মুলে দেওয়ার খুব স্বাভাবিক ভাবেই কোন সম্পর্ক নেই। না থাকাই মঙ্গল।

    আর পিনাকি এস এফ আই আর ডি এস এফ সম্পর্কে যেটা বলেছে, সেটা তো কমপ্লিটলি অবান্তর। এলিট ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ছাত্রীদের বাবা মায়েরা ছেলে মেয়েদের কোন রাজনীতি করতেই উৎসাহ দেন বলে মনে হয় না। (আর এস এফ আই - ডি এস এফ ঝগড়া নিয়ে পোবোন্ধো লেখার কি আছে। দু ধরণের ছাগলের দুটো দল!! )

    তাও লোকে রাজনীতি করে। সেই রাজনীতি কোন জায়্‌গা থেকে র‌্যাগিং কে সমর্থন করে , সেটা জানতে পারলে সুবিধে হত।

    আমার অভিজ্ঞতা হল যে সব জায়্‌গায় র‌্যাগিং আছে, সেগুলো মূলত: এলিট ইনি্‌স্‌টটিউশন ছেলে মেয়েরা নিজেদের বিরাট হনু মনে করে। আর যে খানে য ছাত্র সংগঠন পাওয়ারে আছে বা তাড়া তাড়ি পৌঁছতে চায়, বা কোনো পোলিটিকাল চ্যালেঞ্জকে ভয় পায়, তারা হোস্টেলের এই জনপ্রিয় অ্যাডাল্ট খেলার চক্র টিকে না ভেঙে আরামে থাকতে চায়। এটা আমি ছাপ কে , নকুদের, এস এফ আই কে করতে দেখেছি। যে যেখানে ক্ষমতায় আছে। এবিভিপি, আমরা ৯২ র আগের ছাত্র, দেখিনি। থ্যাংক গড।

    তিনটে জায়্‌গারি কম ফিচার হল, পাওয়ারে যারা থাকে বা পাওয়ারে যারা যেতে চায়, সকলেই সিমপ্লি পোলিটিকাল ডিবেট কে, এমনকি পোলিটিকাল এনগেজমেন্ট কে ভয় পায়। এবং এই ভয় থেকেই তারা র‌্যাগিং এর মত কয়েকজন মিলে কনসে®¾ট্রশন ক্যাম্পের প্রহরীর মানসিকতা নিয়ে অন্য কয়েকজনের উপরে অত্যাচার করে, যে বদ্ধ পৃথিবীতে তারা বেশি ক্ষমতাধর। এবং বেশির ভাগ সময়েই ইন্সটিটিউশন অথরিটির ট্যাসিট সাপোর্ট থাকে।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে, বিভিন্ন জায়্‌গায় বিভিন্ন ধরণের পানিশমেন্ট স্কেল তৈরী হবে, সেটা যতক্ষন মূলত: ইউনি অথরিটি হ্যান্ডল করছে ঠিকাছে। ইন্ডিভিজুআল কেসে পুলিশ ছাড়া গতি নেই ঠিকাছে। তবু আমার ধারণা, ত্যাঁদড়ামোর বদলে কানমোলা বা দুই চড়, সাসপেন্‌শন বা ক্রিমিনাল প্রসিকিউশনের থেকে বেটার। আফটার অল ছেলে মেয়ে গুলো তো ছোটো। একটা ড্রাগ লর্ড বা রেপিস্ট ক্রিমিনালের সঙ্গে একটা অতি পাকা আঁতেল যে অন্যকে পাব্লিকলি নোংরা প্রশ্ন করছে তার ট্রিটমেন্টে পার্থক্য থাকা উচিত।
    সিভিল সোসাইটির লোকদের পুলিশকে যত পারা যায় ক্রিটিসাইজ করা উচিত।

  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৬:৫৫413177
  • চার -

    এরপর একটা কথা থেকে যায়। কেউ কেউ আমার বক্তব্যের এই মানে করতে পারেন - ব্যাস। তাহলে আর কি? শাস্তি টাস্তি সব তুলে দাও। না। আমি এরকম মানে করি নি। সামাজিক লার্নিং এ নেগেটিভ রিইনফোর্সমেন্টের ভূমিকা আছে। কিন্তু কেমন ভাবে? প্রথমত: শাস্তি = জেলে পোরা যাঁরা ভাবেন, তাঁদের সাথে আমি একমত নই। সামাজিক অবমাননা একটা বড় শাস্তি। অর্থাৎ যে ছেলেটি যাদবপুরে চান্স পাওয়ার জন্যে পাড়ায় হিরো ছিল, এখন তাকে দেখে লোকে ছি ছি করে - দেখেছো ও না র‌্যাগিং করেছে। এটা অত্যন্ত বড় শাস্তি - যা আমাদের অনেক অপরাধপ্রবণতাকে রোধ করে। আমাদের অনেক ভালো কাজ করতেও বাধা দেয় এই সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা হারানোর বোধ। যেমন অনেকেই যথেষ্ট সচেতনতা নিয়েও কলেজ জীবনে রাজনীতি করেন না / নি। একটা বড় কারন ইউনিভার্সাল গ্রহণযোগ্যতা হারানোর ভয়। ভালো ছাত্রের সামাজিক তকমাটি হারানোর ভয়। কাজেই সমাজের মর‌্যাল ভ্যালুর মধ্যের ঠিক ভুল গুলোকে বদলাতে পারা আগে দরকার। দরকার এই বোধ তৈরী করা যে র‌্যাগিং একটি অতি ঘৃণ্য ব্যাপার। সেটা যে যে মাত্রায় হবে সেই সেই মাত্রায় সেটা একটা চেক হিসেবে কাজ করবে।

    এখানে একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম ভাটের পাতায়। অনেকে মনে করেন যারা র‌্যাগিং করে তারা যথেষ্ট সচেতন হয়ে জেনে বুঝে সেটা করে। অর্থাৎ যারা করে তারা আসলে ক্রিমিনাল মাইন্ডেড। আমি একমত নই। ডি এস এফের পক্ষ থেকে অ্যান্টি র‌্যাগিং টীমের হয়ে হোস্টেলে আমি নিজে কাজ করেছি দুবছর। আমার অভিজ্ঞতা হল লোকে বোঝেই না মৌখিক খোরাক করার মধ্যে দোষের কি আছে। সেখানে বহু ক্ষেত্রে আমাদের কর্নারড হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে র‌্যাগিং আটকাতে হয়েছে। অনেক সময় যেখানে র‌্যাগিং হচ্ছে সেখানে উপস্থিত থেকে যে র‌্যাগড হচ্ছে তাকে প্রোটেক্ট করতে হয়েছে। আর প্যারালালি তর্ক চালাতে হয়েছে জনগণের সাথে। আমি এই মুহুর্তে দুটো extreme example দিতে পারি। একটা ইউ এস এ তে। ভাবতে পারেন, আমাদের স্কুলের ইন্ডিয়ান কমিউনিটির যে ফ্রেশারস ওয়েলকাম হয় সেখানেও হাল্কা চাটাচাটি হয়? অর্থাৎ এটা যেন ইন্টেলিজেন্সের একটা অপরিহার্য অঙ্গ - এভাবেই এই সো কলড ইনটেলিজেন্টরা ভেবে থাকেন। দ্বিতীয়টা আমার দিদির স্কুলে। নিউ ব্যারাকপুরে। সেখানে ক্লাস XII এর মেয়েরা XI এর মেয়েদের ফ্রেশারস এর দিন চাটে। তারা জুনিয়রদের সেই প্রশ্নগুলো-ই করে যেগুলো JU এর মত জায়গা থেকে ফিল্টার্ড হয়ে এসে পৌছয় মফ:স্বলে এবং যেহেতু ঐ প্রশ্নগুলোর সাথে একটা আপাত: ইন্টেলিজেন্স জড়িয়ে আছে তাই স্কুলের মেয়েরা সেই আপাত: ইন্টেলিজেন্সের এবং তার সাথে যুক্ত পাওয়ারের মিমিক্রি করে একদিনের জন্যে হলেও নিজেদের "পাওয়ারফুল" ভাবার স্বাদ পায়।

    কি বলবেন? এদের জেলে দেওয়া উচিত? তাহলেই র‌্যাগিং কমে যাবে? প্রথম কাজ কি এইটা নয় যে র‌্যাগিং এর সাথে ইন্টেলিজেন্সের এই যে ওতোপ্রোত সম্পর্ক তৈরী হয়েছে সেটাকে ভাঙ্গা?

    যাই হোক র‌্যাগিং পরে হবে। আবার জেনারেল কথায় ফেরা যাক।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:০৯413062
  • চড়টা কে মারবে? অথরিটি? অথরিটির চড় মানে তো একাডেমিক কেরিয়ার নষ্ট করা। সেটা একটা ছাত্রের প্রত্যক্ষ ক্ষতিসাধন বা দৃষ্টান্ত তৈরী করার জন্য। সে তো অথরিটি কলেজে বসে গাঁজা খেলেও করবে। সেই জেনে কে কবে গাঁজা খাওয়া কমিয়েছে?

    আর এখানে র‌্যাগিং কে সাপোর্ট কোথায় করা হল? এরম করলে মাইরি খেলবো না। শালা এতোগুলো শব্দ খরচ করলাম - সব মায়া?

    আমার যদি জেনারালইজ করলে সুবিধে হয়, হনুদার তাহলে ট্রিভিয়ালাইজ করলে সুবিধে হয় বলতে হচ্চে।
  • bb | 125.16.17.152 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:২২413073
  • pinaki সরি, কিন্তু এই খেলাটা ভীষণ পুরনো। সমস্ত জিনিষটাকে গুলিয়ে দাও DSO, SFI ইত্যাদি আর তার সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে এনে। তাহলে মূল বিষয় চাপা পড়ে যাবে।
    মূল প্রতিপাদ্য বিষয় - র‌্যাগিং এর শাস্তি হওয়া উচিত কিনা? যদি উত্তর হাঁ হয় তাহলে কি রকম - কমুনিটি সার্ভিস না সাসপেন্ড না পুলিশ দিয়ে মারা।

  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:২৯413084
  • পুলিশ দিয়ে মারা টা কোনো অবস্থায় সমাধান নয়। জেল অব্দিও মানতে রাজী আছি। অপরাধের গুরুঙ্কÄ অনুযায়ী। এক্ষেত্রে ছেলেটি খিস্তি করেছে। এক্ষেত্রে কমিউনিটি সার্ভিসেই কাজ চলতে পারে। গায়ে হাত তুল্লে তার চেয়ে বেশী কিছু করা যেত। আরো বড় অপরাধ হলে জেল। ইত্যাদি। এ নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে। তাই আলোচনা হওয়া উচিৎ। কেস টু কেস বিচার করা উচিৎ।

    কিন্তু কোনো অবস্থাতেই শাস্তি নিয়ে বার্গেনিং করা যাবে না - এই যুক্তি মানতে রাজী নই। বার্গেনিং করলেই সেটা র‌্যাগিংকে সাপোর্ট করা হবে - এই যুক্তিও মানা গেল না। এবং সেটা কেন মানা গেল না তা বোঝাতেই এই হাজার হাজার শব্দ খরচ করা।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৭:৩৫413093
  • শাস্তি ব্যাপারটাকে অপরাধ কমানো এবং অপরাধীকে সংশোধনের মাধ্যম হিসেবে দেখুন এবং সেই উদ্দেশ্যে কোনো শাস্তি কতটা এফেক্টিভ তাই নিয়ে তর্ক করুন। তাতে যদি কমিউনিটি সার্ভিসকে খিল্লি মনে হয় - বলুন। কিন্তু প্লিজ, শাস্তিকে "দৃষ্টান্ত" তৈরীর কাজে ব্যবহার করবেন না। ওতে আজ অব্দি কিছু হয় নি। হবেও না।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:১১413094
  • আর হনুদাকে -

    ডি এস এফ সম্পর্কে ভূমিকাটা দিয়েছিলাম তার কারণ ডি এস এফের মধ্যে একটা ফাইট চলে এই ধরণের ইস্যুগুলোতে - সেটা বোঝাতে। অর্থাৎ অনেকের-ই ধারণা এই ধরণের ইস্যুগুলোকে ডি এস এফ নক্সাল হওয়া সঙ্কেÄও তোল্লাই দেয়। সুবিধাবাদ করে। ধারণাটা ঠিক নয়। প্ল্যাটফর্ম সংগঠন হওয়ার কারণে জেনারেল ছেলেমেয়েরে একটা অংশ "নক্সাল" না হয়েও ডি এস এফের ঘনিষ্ঠ হয়। তারা ডি এস এফ কে নিজের সংগঠন ভাবে। এটা ডি এস এফের শক্তি। আবার এটাই তার দুর্বলতা। একমাত্রিক ভাবে দেখলে এটাকেই সুবিধাবাদ মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ইনার স্ট্রাগল টা সম্বন্ধে ধারণা থাকলে একটা অন্য ভিউ তৈরী হতে পারে। সংরক্ষণ নিয়ে জেনেরাল ছাত্রদের মতের একদম বিপরীতে দাঁড়িয়ে ডি এস এফ কে নিজের স্ট্যান্ড রাখতে হয়েছে। আজও অনেক সমর্থকের খিস্তি আমরা খাই। প্রথম যেবার ভিপি ওটি চালু করেন জনতার মনে আছে কি ন জানা নেই JU Engg এর ছাত্ররা তার প্রতিবাদে রাস্তায় জুতো পালিশ করতে নেমেছিল। তো সেই তুমুল চাপের মুখেও ডি এস এফ তার স্ট্যান্ড লঘু করে নি। র‌্যাগিং নিয়ে এর অগের কেসটির সময় ফেটসুর একাংশর সুবিধাবাদী ভূমিকার প্রতিবাদ করে ডি এস এফের দুই অফিস বিয়ারার পদত্যাগ করে। আমাদের সময় সংস্কৃতি (ফেস্টের নাম) তে এম এন সির স্পন্সরশিপের বিরোধিতা করায় সংস্কৃতি কমিটির মিটিং কান্নাকাটি অব্দি গড়ায়। এবং সেটা সেই সময় প্রতিবারেরই ফীচার ছিল। তো এই ইতিহাসগুলো-ও আছে। তাই হনুদার ঐ মুড়ি মিছরি এক দর মার্কা জেনেরালাইজেশনের তীব্র পোতিবাদ করলাম।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:৩১413095
  • আরো উদাহরণ দেওয়া যায়। ১৯৯৪ এর সংস্কৃতিতে জনগণের মতের সাথে তুমুল লড়াই করে, ক্যাল খাওয়ার রিস্ক নিয়ে ডি এস এফের লোকজনের উদ্যোগে ও এ টি তে একটি অনুষ্ঠান হয়। সামনে গান চলে। পেছনে হিরণ মিত্র ছবি আঁকেন। তার পরের গল্পটা আজ ইতিহাস। হ্যাঁ। কুড়ি বছর পরে মহীনের ঘোড়াগুলির পুনরুত্থান হয়। আর সেই রিস্কটা নিতে পারার জন্যে আজও আমরা গর্ব বোধ করি।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৮:৪৬413096
  • ৯৪ না, ৯৫।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:১০413097
  • হ্যাঁ। আমাদের সেকেন্ড সংস্কৃতি। '৯৩ তে ঢুকেছি। সেইজন্যে ভুল করে '৯৪ লিখে দিয়েছি। '৯৪ তে ফার্স্ট সংস্কৃতি।
  • d | 117.195.40.99 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:২১413098
  • এখানে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ... কিন্তু ঐ জুতো পালিশ করাটা এমন জঘন্য অসভ্যতা!!! কি অবলীলায় একটা পেশা ও সেই পেশাজীবিদের অপমান করেছিল!
  • h | 61.95.144.10 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:৪২413099
  • মুড়ি মিছরির এক দর তো বলিনি। শুধু বলেছি, মুড়ির তুলনায় মিছরির দর বেশি হওয়া সম্ভব নয়। এটা মনে করার কোন কারণ নেই, বাই দ্য ওয়ে, এস এফ আই এর মধ্যে ইন্টার্নাল ডিবেট হয় না। প্রচুর হয়। আমি নিজেই করেছি। অন্য অনেকে আরো বড় করে করেছে। আরে ডিবেট করে করেই তো পার্টি ভাগ হল এত বার করে। বিজেপিতেও তো ইন্টার্ন্যাল ডে্‌বট হয়, তো তাএত কি কালেক্টইভ দায় কমে নাকি? কোথয় তিয়েন আমেনে গুলি চালানো চীনে সরকার, আমার ইউনিটে গোটা বারো রেসিগনেশন পড়ে গেল। ভিপি কে সমর্থন করছি বলে ভোট কমে গোহারা হারলাম, উচ্চবর্ণ হিন্দুর হেজেমোনিক পাঠকেন্দ্রে। তো কি হয়েছে। এই অ্যানেকডোটাল মহঙ্কেÄর প্রতিযোগিতাতে কিসুই যায় আসে না। ইন্টারনাল ডিবেটে কে এগিয়ে কে পেছিয়ে তার সঙ্গে র‌্যাগিং এর কি সম্পর্ক? বড় মিডিয়া যেটা করে, সেটা হল, দুটো, সিপিআই এম অন্তর্দ্বন্দে এবং ডিবেটে জেরবার এই প্রচারটা আর সিপিআইএম মোনোলিথিক এবং সিপিআইএম এর রাজ্যনেতারা ক্রমশ: দিল্লী বা কেরালা নেতাদের কাছে পিছু হটছেন বা বাঙালী পিছু হটছে এই সব প্রচার এক সঙ্গে করে। তো করে। যতই ইন্টার্নাল ডিবেট একটা অর্গানাইজেশনে থাকুক, সুস্থ পোলিটিকাল ন্যারেটিভ তৈরী না করতে পারার দায় সকলকেই নিতে হবে। এলিট ইনস্টিটিউশন গুলোতে, ধরে নাও সমস্ত ইউনি গুলোতেই, বড় অসংখ্য কলেজে অন্যান্য সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে, র‌্যাগিং এর বিরুদ্ধে কনসিস্টেন্ট মতামত তৈরী করতে আমাদের চেনা সংগঠনেরা সকলেই ব্যর্থ। র‌্যাগিং ব্যাপারটা কিরকম রিডিকিউলাস সেটা সম্পর্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যেই কনসেনশাস তৈরী হয় নি, হতে পারে, তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক দের দায় আছে, হতে পারে, তাতে কোরাপ্ট ইন্ডিভিজুআল দের দায় আছে, কিন্তু এটা ঘটনা, প্রগতিশীল বলে বিখ্যাত পসি্‌চমবঙ্গ সহ, মুর্খ ফিউডাল বলে বিখ্যাত সর্বত্রই জায়গাতেই র‌্যাগিং চলছে। এবং আমরা ডিবেট করছি এটা ভালো না খারাপ বা নরম করে বললে এটার কতটা গ্রহণযোগ্য কতটা নয়।

    এইবার শাস্তির প্রশ্ন, এটাতে আমার স্ট্যান্ড খুব পরিষ্কার। পুলিশের থেকে, এমনকি সাসপেন্সনের থেকেও, এক বা দু বছর জুনিয়রের হাতে একটা থাপ্পড় অনেক বেটার। র‌্যাগিং এ অভিযুক্ত দের পক্ষে। র‌্যাগিং যারা করে, তারা বেসিকালি আল্ফা মেল সিন্ড্রোমে ভোগে বোধহয়। এটা সকলের বড় হয়ে থাকেনা , পরে কেটেও যায়, কত খাটের স্ট্যান্ড হাতে হস্টেল ঐক্য রক্ষাকর্তা কে বা গালাগালের বন্যা ছুটিয়ে দেওয়া মস্তানকে কেরানী হয়ে যেতে দেখলাম!

    রাজনীতির অন্য বিষয়ের মতই, জুডিশিয়াল অ্যাকটিভিজম এর একটা নতুন জনপ্রিয়তা হয়েছে, গত বছর দশেক এ। এটা কনভিনিয়েন্টলি ভুলে গেলে চলবেনা, নির্বাচিত সরকার, আর জুডিশিয়ারি প্রত্যেকের কাছে শাস্‌ন্‌তন্ত্রের হাতিয়ার কিন্তু এক্টাঅই, পুলিশ। অতএব জুডিশিয়াল অ্যাকটিভিজম কে ইমি্‌প্‌লমেন্টেশনের ক্ষেত্রে আলাদা করে দেখার কিছু নেই তদুপরি, ক্লাস বা আইডেন্টিটি ইন্টারেস্টের দিক থেকেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, শাসক দের মনোভাব বা প্রায়োরিটি, জুডিশিয়ারির থেকে আলাদা কিসু নয়। বড় বড় বিষয়ে প্রচুর কনসেনশাস রয়েছে।

    র‌্যাগিং এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলায় হয়তো সুপ্রিম কোর্টের রায় সাহায্য করবে। কিন্তু এর একস্ট্রিম ব্যবহার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হতেই পারে। এটা হতে পারে, যে রেগুলার হোস্টেলে পুলিশ পাহারা শুরু হল, সেটা কি খুব কাম্য হবে? তাছাড়া আমি ছাত্র দের কেরিয়ারের ক্ষতি করার বিপক্ষে। খুব বেহি্‌স বেগড় বাই করলে, সংবাদপত্রে যে খবর গুলো আসে, সেগুলো আসে বাড়াবাড়ি হলেই আসে, যেমন আমার আত্মীয় র ক্ষেত্রেও হয়েছিল, তখন পুলিশ আইন ইত্যাদি ছাড়া গতি থাকে না। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি হোক, কিন্তু সেটার প্রাথমিক নিয়ন্ত্রন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাতেই থাকুক। আর র‌্যাগিং বিরোধী আন্দোলন শক্তিশালী হোক। এবং সবচেয়ে বড় কথা হোস্টেলে হোস্টেলে, র‌্যাগিং সমর্থক দের সঙ্গে ছাত্রদের রাজনৈতিক সংগঠনের অশুভ আঁতাতের বারোটা বাজুক।

    আর সিফো বা আর্জো যারা আমারে ভাটে প্যাঁক দিছে তাদের অসুবিধেটা বুঝতে পারছি, পার্টিজান বক্তব্য না হলে ম্যাপ করে করেও করা যায় না। তো এই অসুবিধেটা আমার লেখাঅ পড়ার ক্ষেত্রে হবে।

    পাই এর কম্যুনিটি সার্ভিসের অ্যাডভোকেসির মূল জোর টা হল অপরাধীর মানসিকতা পরিবর্তনে সাহায্য করা। খানিকটা খানিকটা তিহার জেলের বাগান করার মত। এটা বাজে উদা হল, তবু বলবো 'কারেকশন প্রোগ্রাম' এর ইতিহাস গৌরবজনক কিসু নয়। আরেকটা দিক থেকে যায়, সেটা হল কম্পার্টমেন্টাল বিহেভিয়রের দিক। সেটা র কথা পাই কি অলরেডি বলে দিয়েছে। পাইএর লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছে পাই সাইকোলোজি টা জানে বা অন্তত: আমার থেকে বেশি জানে। একটাঅ লোক এন জিও গিয়ে গরীবদের পড়ালেই, সে কি শিক্ষার পাবলিক সেকটর বাজেট বাড়ানোর পক্ষে হয়? হয় না। একটা র‌্যাগিং এর নেতাকে আমার আত্মীয়র মানসিক অবসাদ কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দিলেই কি সে পরের বার গিয়ে র‌্যাগিং বিরোধী কমিটির সদস্য হবে? এই এভিডেন্স আছে পইয়ের কাছে? আমি দৃষ্টান্তমূল শাস্তির পক্ষে নই, ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের ও পক্ষে নই, কিন্তু ওয়েল, চিল্ড্রেন নিড আ বিট অফ স্প্যাংকিং অর আ কোয়াএট ওয়ার্ড। এতে নজ্জা পাওয়ার কি হল??

  • Du | 71.123.206.135 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:৫০413101
  • তাহলে তো কম্যুনিটি সার্ভিস করালে এদের খারাপ লাগাই সম্ভব - সার্ভিস গুলোকে যদি হীন চোখে দেখে। অবশ্য কম্যুনিটি সার্ভিস বলতে কি সার্ভিস বোঝানো হয় তা জানি না।

    কম্যুনিটি সার্ভিস একা অপরাধীর পক্ষে কার্য্যকর হতে পারে - কিন্তু র‌্যাগিং একটা গ্যাং হয়ে করা অপরাধ। এখানে পীয়ার গ্রুপের 'সাথ' আছে। তা না হলে এই ছেলে এ জিনিস করতোও না। কাজেই কম্যুনিটি সার্ভিস কতটা হাম্বলি হবে ডাউট রইলো।

    যারা শাস্তি কমানোর কথা বলছেন - এই স্টেজে - তাদেরকে শুধু আমরা নই - স্বয়ং দোষীও ভুল বোঝে। সমস্ত অয়াক্টিভিটি যা র‌্যাগিং করবো বলে করা হয় তার একটা মিনিমাম শাস্তি থাকা উচিত যা সাবস্ট্যানশিয়াল ( এর মধ্যে কান টানলো কি গালাগাল দিলো সেগুলো আলাদা হবে না- পেছনের মানসিকতাটা দেখতে হবে) এবং সেই মিনিমাম শাস্তি ফিক্সড হবে - ছাত্রদের জানা থাকবে সেটা এবং তারা সেটা মাথা পেতে নিতে তৈরী থাকবে - অথবা তার জন্য যে লেভেলের অথরিটিই হোক তাকে কাজ করতে কোন বাধা দেওয়া হবে না। স্টুডেন্ট অর্গ সেটা বললেই সামাজিক চাপ সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়।
  • arjo | 168.26.215.13 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:৫৬413102
  • প্যাঁক দিলাম কই। ব্রডলি তোমার সাথে ""ক"" :))। কাল থেকে তো এই কথাই বলে আসছি যে পুলিশ টুলিশ করে কিছু হবে না। চার নং প্যারার সাথে একমত, দুই নং প্যারার সাথে নই।

    ফার্স্ট ইয়ারে ঢোকা ছেলের পক্ষে সেকেন্ড বা থার্ড ইয়ারের ছেলেদের কেলানোটা যাস্ট অসম্ভব। এখানেই অনেকে ফার্স্ট ইয়ারের ছেলেদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে মূলত রাজনৈতিক লাভের জন্য। কেলাতে সাহায্য করবে। ফুল ক্যাওস। পিনাকী 4:55 র পোস্টে যা বলেছে সেটাই আমিও কাল সকাল থেকে বলে আসছি। র‌্যাগিংয়ের থেকে ম্যাচোইজম আর ইন্টেলিজেন্স না আলাদা করতে পারলে এ চলবেই চলবে। আর এক্ষেত্রে প্রাক্তনীদেরও অনেক দায়িত্ব আছে। স্লো প্রসেস, এতদিন ধরে যা চলে এসেছে তা দুই একদিনে উঠে যাবে? সময় লাগবে।
  • h | 61.95.144.10 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ১৯:৫৭413103
  • ডিগনিটি অফ লেবার সংক্রান্ত বাজে ধারণা কে কাজে লাগিয়ে, কারেকটিভ কম্যুনিটি সার্ভিস হলে, সেটা একটি হিলারিয়াস সোশাল এক্সপেরিমেন্ট হবে অবশ্য, লাইক দ্য মরাল হাই গ্রাউন্ড অফ জুডিশিয়ারি :-)
  • h | 61.95.144.10 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ২০:০৩413104
  • আলাদা করার কোন কারণ আমার অভিজ্ঞতায় নেই। আমার পরিবারের অনেকে র‌্যাগিং এর শিকার। তার মধ্যে দুই একজন দৈহিক নির্যাতনের শিকার। মানসিক হেকলিং এ আর সো কল্ড ইন্টেলিজেন্ট কনভার্সেশন এর উদ্দেশ্য একটাই, হিউমিলিয়েশন অফ অ্যান ইন্ডিভিজুআল। এটাকে সূক্ষ্ম করে পার্থক্য করতে জাস্ট লাইরলাম।
  • arjo | 168.26.215.13 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ২০:১২413105
  • ওহ একটু আনক্লিয়ার ছিল। চাপ দাও কেনে পিনাকীর 4:55 র পোস্টটা পড়ে নাও। আমি ঐ। সেটা যাস্ট কেলিয়ে করে দেব আর একধরণের ম্যাচোইজম, শুনতে গুরু গুরু লাগে কিন্তু কাজের কাজ হবে বলে কি সত্যি মনে করো?

    (লাইরলাম মানে কি?)
  • h | 61.95.144.10 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ২০:১৫413106
  • বীরভূমি - পারলাম না।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ২০:২৮413107
  • হনুদা,

    তোমার বক্তব্য চড়টা র‌্যাগড হওয়া ছেলেটির মারা উচিৎ। একশোবার। এখানে চড়টাকে প্রতিবাদের একটা প্রতীক হিসেবে ধরছি। কিন্তু এটা কি অবাস্তব প্রত্যাশা হল না? ক্ষমতার দিক থেকে সে সমান লেভেলে থাকলে তো সমাধান নিয়ে আমাদের এতো না ভাবলেও চলত। গুরুর পাতায় কে কাকে হিউমিলিয়েট করল আর তার সমাধান কি হবে তাই নিয়ে কি আমরা এত তর্ক করি? আর এখানে বিতর্কটা এসেছে অথরিটি ছেলেটিকে একাডেমিক সাসপেন্‌শনের শাস্তি দিয়েছে (যেটার তুমি বিরুদ্ধে, অলরেডি বলেছো), ডি এস এফ তার বদলে কমিউনিটি সার্ভিসের শাস্তি প্রস্তাব দিয়েছে। তোমার তাহলে এ প্রশ্নে কংক্রীট সাজেশন কি? ডি এস এফের উচিৎ ভিকটিম ছাত্রটিকে দিয়ে যে র‌্যাগ করেছে তাকে চড় মারানো? আমি ইয়ার্কি মারছি না। কারণ চড় মারানো না হলেও পাড়ার বাওয়ালে এরকম সমাধান আমরা করে থাকি। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যেটা করানো হয় সেটা হল অভিযুক্তকে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তর কাছে ক্ষমা চাওয়ানো। একটু বেশী অপরাধ হলে টোকেন গালে থাপ্পড় বা জুতোটি খুলে বুলিয়ে দেওয়া - এসব সমাধান আমাদের ছোটোবেলায় আমরা দিয়েছি বলে মনে পড়ে। এইটা যদি তোমার বক্তব্য হয় সেটা অনেক বেশী র‌্যাডিকাল। কারণ এই ধরণের সমাধানের প্রথম অনুল্লেখিত কথাটি হল - ছাত্রদের সমস্যা ছাত্ররাই মেটাবে। অথরিটির মোড়োলগিরি না করলেও চলবে। কিন্তু এই স্টান্সটা তখনি কার্যকর যখন ভালো খারাপের বোধটা ইউনিফর্ম। গোটা সেকেন্ড ইয়ারের কাছে যদি হয় র‌্যাগিং মানে ভালো, আর ফার্স্ট ইয়ারের কাছে খারাপ, তাহলে অনপনেয় দ্বন্দ্ব ইত্যাদি হবে এবং "আমরা মেটাবো" বল্লে শুধু হবে না। এবং ডি এস এফ ইত্যাদিরা তাদের হাজার সদিচ্ছা নিয়েও সেটা আটকাতে পারবে না। আমাদের সময় হোস্টেলে দেখেছি যারা র‌্যাগ করত তারা র‌্যাগ শুরু করার আগে আমাদের ঘরে ইনফর্মার পাঠাতো। আমরা ঘরে আছি কি না দেখার জন্যে। রীতিমতো লুকোচুরি চলত আমাদের সাথে। সেইজন্যে তার পরের বছর আমরা যেটা করি - বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে যারা দক্ষ র‌্যাগার, তাদের বেছে বেছে আমরা ডি এস এফের অ্যান্টি র‌্যাগিং টীমের সদস্য করে দিই। এতে দারুণ কাজ হয়। তবু বন্ধ করা যায় নি। কারণ এরা সুযোগ পেলেই আমাদের লুকিয়ে ব্যাজ ইত্যাদি খুলে রেখে র‌্যাগ করত। তো এই যেখানে অবস্থা সেখানে তোমার প্রোপোজাল যত র‌্যাডিকাল-ই হোক না কেন, কিছু "শাস্তি" বা সেফগার্ডের ব্যবস্থা থাকা উচিৎ। কমিউনিটি সার্ভিস নিয়ে তোমার দ্বিমত থাকতেই পারে। আলোচনা চলতে পারে সে নিয়ে। যেমন আমার মনে হয় বাধ্যতামূলক কাউন্সেলিং ক্লাসের ব্যবস্থা করা উচিৎ। এ নিয়েও নানা বক্তব্য থাকতে পারে। কিন্তু কোনো অবোস্থাতেই এই আলোচনার জায়গাটা বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিৎ নয়। ""র‌্যাগিং এর শাস্তি নিয়ে আবার ছাত্রদের মত নেওয়া কিসের?"" এ প্রশ্নও যেমন ওঠা উচিৎ নয়, ""শাস্তি আর একটু কমানো হোক"" বল্লে ""গেল গেল"" বলারও কোনো মানে নেই।
  • Du | 71.123.206.135 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ২০:৩৭413108
  • মিনিমাম শাস্তিটা ফিক্সড রাখা এবং পরে দর কষাকষি না করা সম্বন্ধে কি বলেন?
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ২১:০৭413109
  • মিনিমাম শাস্তিটা কিসের বেসিসে ইউনিফর্ম রাখবেন বলুন? ধরুণ খিস্তি করাটাকে আমরা ঠিক করলাম মিনিমাম অপরাধ। তাই মিনিমাম শাস্তি। ধরুণ সেটা হল এক সেমেস্টার জুড়ে রোজ সকাল সাড়ে ছটায় উঠে ৫ মাইল দৌড়ানো (ম:)। এবার কেউ যদি ভয় দেখায় - কি করা হবে? আমার এক বন্ধু ছিল। সে র‌্যাগ করার সময় প্রথমেই খুব গম্ভীর ভাবে নাম জিজ্ঞেস করত। ধরুন ছেলেটি বল্ল আমার নাম কমল দাস। আমার বন্ধুটি একটু উঁচু সুরে বলত ""আমি তোর নাম জিজ্ঞেস করেছি""। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেটি ঘাবড়ে যেত খুব। সে হয়তো এবার নিজের নাম বলার আগে একটা "শ্রী" লাগালো। আমার বন্ধুটির সুর এবার আরো চড়ল। "কি ব্যাপার, আমি তোর নাম জিজ্ঞেস করেছি, শুনতে পাচ্ছিস না?" এই করে চলতে থাকলো। জাস্ট নাম জিজ্ঞেস করা দিয়ে ৫ মিনিট বাদে ছেলেটিকে কাঁদিয়ে দেওয়া গেল। হোস্টেলের আর একটি ঘরে একটি কেমিক্যালের ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কিচ্ছু করা হয় নি। কেবল ঘরে একটা হাল্কা নীল আলো জ্বালিয়ে রেখে সবাই কাগজে আগুন লাগিয়ে হেরোইন নেওয়ার অভিনয় করেছে। ছেলেটি ভয়ে তার পরের দিন হোস্টেল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কিছুটা সাইকলজিক্যাল ইমব্যালান্স-ও তৈরী হয়েছিল। কিভাবে এগুলোকে এক মাপকাঠিতে রেখে বিচার করবেন? এরপর তো রইলোই শারীরিক নির্যাতন। তারও প্রচুর মাত্রাভেদ আছে। সমস্যা আছে ব্যাপারটার। তবে মিনিমাম কিছু একটা বের করা গেলে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সেটা একাডেমিক সাসপেন্‌শনই হতে হবে - এটায় আপত্তি আছে।
  • bb | 117.195.161.184 | ১০ এপ্রিল ২০০৯ ২১:৩৪413112
  • Pinaki এ বড় অদ্ভুত সময়। একদল দামড়া আর একটি ছেলে psychological ragging করবে, কিন্তু তাদের শাস্তি দেওয়া যাবেনা? suspension হচ্ছে সবচেয়ে কাজের, কারণ তাতে USA তে যেতে অসুবিধা হয়। যারা MNC থেকে sponshorship নেয়না তারাই পরে USA তে পড়তে যায় আর ভারতবর্ষের মানবিধাকার দলিত হচ্ছে বলে উদবিগ্ন হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন