এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • র‌্যাগিং নয়, র‌্যাগিং এর শাস্তি বিষয়ক দু চার কথা আমরা জানি (বা জানি না)

    pinaki
    অন্যান্য | ১০ এপ্রিল ২০০৯ | ৯১৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 12.217.30.133 | ১২ এপ্রিল ২০০৯ ০৮:৪২413146
  • এইখানে আমার চাট্টি কথা আছে। স্পেসিফিক কোনো কেস নিয়ে নয়। আর্যর কথা মতো ইন জেনারাল। :)

    এখানে পুরোটাতেই সম্ভবত: দুটো আলাদা প্লেন থেকে কথা হচ্ছে। সে জন্য ভুল বোঝাবুঝির একটা অবকাশ থেকেই যাচ্ছে। আমার দিক থেকে সেটা আমি ক্লিয়ার করে নিই।

    রাঘবন কমিটির লিস্টিতে যে র‌্যাগিং গুলির কথা আছে, বা রঞ্জনদার বর্ণনার র‌্যাগিং, এগুলি সবকটাই, বা বৃহদংশই, আমাদের সময়, অন্তত: শিবপুরে, ব্যাপকভাবে চালু ছিল। যাদবপুর নিয়ে আমার ফান্ডা কম, কিন্তু অবস্থাটা খুব আলাদা ছিল বলে মনে হয়না।

    কিন্তু আজকের পরিস্থিতি, খুব পরিষ্কারভাবেই সেটা নয়। শিবপুরে এ জাতীয় জিনিস হয়না। আমি যদ্দুর জানি। যাদবপুরেও, আমার ধারণা, কমই হয়। (এটা যেহেতু সেকেন্ড হ্যান্ড জানা, ভুল জানতে পারি, ভুল হলে, নতুন কেউ শুধরে দিলে ভালো হয়)।

    তো, এইটা হল বাস্তব পরিস্থিতি। আমার জ্ঞানের পরিধিতে। আই রিপিট, রঞ্জনদা, যে জাতীয় র‌্যাগিং, রোখার কথা বলছেন, সেগুলো শিবপুর-যাদবপুরে প্রায় হয়ইনা। এখন যেগুলো হয়, তার বেশিরভাগই, ঐ রাঘবন কমিটির লিস্টিতে আসবে না। এইটুকু মাথায় রেখে বাকি কথাগুলো বললে সুবিধে হয়।

    এখন সময় নেই, আমি স্পেসিফিক উদাহরণ পরে দেব।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ১২ এপ্রিল ২০০৯ ০৮:৪৪413147
  • হ্যাঁ, সব জায়গার এক অবস্থা নয়। ধরুন, দুর্গাপুর-টুরে, বা দূরের পলিটেকনিক কলেজগুলোতে আজও এ জিনিস হয়। সেটা বলতে ভুলে গেছি।
  • a | 122.163.112.172 | ১২ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:৪০413148
  • এই তো, রাঘবন সাহেব প্রথম ক্লজ টাই মোক্ষম লিকেছেন। আমার মতে এটাই হল সব সমস্যার গোড়া, মানে ঐ সিনিয়রদের স্যার বলতে বাধ্য করা। এই মনোভাব থেকেই সিনিয়রদের মানসিক হীনমন্যতার প্রকাশ পাওয়া যায়। আর সেটাই সব র‌্যাগিং এর মূল কারণ।
    শালা, সিনিয়র মানে তো এক কি দু বছরের বড় এক ছোকরা, অনেক ক্ষেত্রে সমবয়সী, তাকে স্যার বলতে হবে কেনো? এই জিনিসটা যদি ফার্স্ট ইয়ারের মাথায় ঢোকে তাহলেই কেল্লা ফতে।
    রন্‌জনদা সঠিক। এই উপায়ে শিবপুরে র‌্যাগিং অনেক কমে গেছে। এখন চলে খালি "রাজনৈতিক র‌্যাগিং", ২ন্ড ইয়ারে উঠে সাহেবপাড়ায় এলে(মামুর জন্যে জানালুম)।
    মূলকথা ফার্স্ট ইয়ারকে আরো সচেতন আর resourceful হতে হবে, বিশেষত আজকের মোবাইল যুগে হোস্টেলে সিনিয়র ঢুকলেই সেটা খবর হয়ে যাওয়া উচিত।
  • ranjan roy | 122.168.73.17 | ১২ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৪২413149
  • a কে দুইহাত তুলে সাপোর্টালাম।
    ঈশান এর স্পষ্ট বক্তব্যের সমর্থনে আমার এই দুই পয়সা।
    আরে, এটাইতো ব্যাপার। সর্বভারতীয় স্তরে র‌্যাগিং অমানবিক পর্যায়ে গেছে। ছেলেগুলোর জীবনহানি ও শারীরিক পঙ্গুত্বের সম্ভাবনা বাড়ছে। যারা কাল ডাক্তার হয়ে লোকের প্রাণ বাঁচাবে তারা আজ ছাত্রাবস্থায় মেরে চোখ নষ্ট, কানের পর্দা ফাটানো এগুলো নিয়ে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নয়। কর্তৃপক্ষ দেয়ালে বা নোটিসবোর্ডে সুপ্রীমকোর্টের ভয়ে কিছু সুভাষিতাবলী লিখে দিয়েই খালাস। দরকার নতুন ছেলেগুলোর সঙ্গে সঙ্গে থাকা, তাদের সাহস জোগানো।
    দুই, গুরুর পাতায় কোন পোলেমিক হলেই সেটা সর্বভারতীয় পরিপ্রেক্ষিত থেকে সরে গিয়ে মমতা-বুদ্ধ, নকশাল-সিপিএম গোবর ছোঁড়াছুঁড়িতে আটকে যায় কেন?
    অবশ্যই বঙ্গে গো-বলয়ের মত র‌্যাগিং আজকে হয় না। কাজেই চায়ের কাপে তুফান কেন?
    রঙ্গন যেমন বিরক্ত হয়ে বলেছে যে এই ক'বছরে আমরা সবাই সবাইয়ের রাজনৈতিক প্রেফারেন্স জানি। কাজেই প্রেডিক্টেবল তীর ছোঁড়াছুঁড়িতে কি লাভ?
    নকশাল-জমানার একটা কবিতার লাইন কোট করছি:
    "" কে যে আগে প্রেম দিয়েছে, কে দিয়েছে দেহ?
    তাই নিয়ে আজ সতীপাড়ায় এ ওকে সন্দেহ।'' :)))))
  • Z | 117.194.196.14 | ১২ এপ্রিল ২০০৯ ১২:০৫413150
  • র‌্যাগিং এর টই যখনই ভেসে ওঠে পোচ্চুর লেখা হয়। :)
  • rokeyaa | 203.110.246.230 | ১২ এপ্রিল ২০০৯ ২০:০২413151
  • ধুর শালা। ঝাঁট জ্বলে গ্যালো। ঐ মালটাকে সাসপেন্ড করা নিয়ে আমার যাবতীয় বক্তব্য উইথড্র করে নিলাম। ঐ ছেলেটির বিরুদ্ধে এটাই প্রথম র‌্যাগিং-এর অভিযোগ নয়। যা করেছে অথরিটি, ঠিক করেছে।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ০৮:২৮413152
  • রঞ্জনদাকে আরও দু-চার কথা:

    হ্যাঁ। রাজনৈতিক প্রেফারেন্স অনুযায়ী তীর ছোঁড়াছুঁড়িটা অনেক সময়ই বিরক্তিকর হয়ে যায়। আরও বিরক্তিকর লাগে, যখন দলীয় রাজনৈতিক প্রেফারেন্স প্রকাশ করার কোনো অভিপ্রায় না থাকা সত্বেও কোনো কোনো ইস্যুতে দলীয় আনুগত্যের নিরিখেই শুধু মাপা হয়। আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক প্রেফারেন্স কখনও গোপন রেখেছি বলে মনে হয়না। সেই জন্যই, যখন স্পষ্ট করে বলি, যে, কোনো একটি নির্দিষ্ট ইস্যুতে দলীয় রাজনীতিতে কোনো পক্ষ না নিয়েই একটা কথা বলছি, তখন, সেই দাবীটা একটু মর্যাদা দাবী করে বলেই মনে হয়। সেটা যখন দেওয়া হয়না, দলীয় রাজনীতির অনুষঙ্গে আমার বক্তব্যকে চাঁদমারি বানানোর চেষ্টা করা হয়, তখন, সেই রাজনীতির বিরোধিতা করতেই হবে। কারণ সেটাই আমার রাজনীতি। দলীয় না হয়েও।

    কথাটা একটু ব্যাখ্যার দাবী রাখে। ছোটো করে করি। র‌্যাগিংকে, আমি ব্যক্তিগতভাবে, বিচ্ছিন্ন কোনো সমস্যা বলে মনে করিনা। এটা একটা বৃহত্তর সেটের অঙ্গ, যার নাম মব মেন্টালিটি। অন্য কোনো নামেও ডাকা যেতে পারে হয়তো, কিন্তু আপাতত: মব মেন্টালিটিই বলি। সারা ভারতবর্ষ সম্পর্কে আমার বিশেষ ধারণা নাই। বাংলা সম্পর্কে যেটুকু জানি, তাতে, এই মব মেন্টালিটির প্রকাশ অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি। চোর-ডাকাতের পাবলিক লিঞ্চিং এর সময় দেখেছি। অ্যাক্সিডেন্টের পর বাসের আধমরা ড্রাইভারকে পিটনি দিয়ে পুরো মেরে ফেলার সময় দেখেছি। র‌্যাগিং এর ক্ষেত্রে দেখেছি। আমার পুরো কৈশোর এবং যৌবনকাল জুড়ে গোটা বেড়ে ওঠার সময়কাল জুড়ে আমি পশ্চিমবঙ্গকে দেখেছি, এবং একটুও বাড়িয়ে বলছিনা, আমার চোখে, আশি এবং নব্বই, এই দু দশকের বঙ্গের ইতিহাস মূলত: মব মেন্টালিটির বেড়ে ওঠার ইতিহাস। এখানে, যার পিছনে মবের জোর আছে, সে হল দাদা। এবং যে যেখানে দাদা, বাকিদের সে পিটনি দিয়ে ঠান্ডা রাখে। সব সময় এই পিটুনি যে খুব মোটা দাগের হয় তা নয়। মোটা হলে চোখে পড়ে। সূক্ষ্ম হলে পড়েনা। কিন্তু কেসটা একই। মব দাদা নির্মান করে। বা দাদা মবকে ক্ষেপায়। আর এই মব, বা তার দাদার পায়ে আত্মসমর্পণ করাই হল ইন্ডিভিজুয়ালের একমাত্র কর্তব্য। যা না করলে, লিঞ্চিং। গণক্যালানি।

    এটা রাজনৈতিক কথা। কিন্তু দলীয় রাজনীতির কথা নয়। মব যে সদা সর্বদা দলীয় রাজনীতির ছাতায় থাকবে তার কোনো মানেই নেই। আর মবই যে রাজনীতির একমাত্র ফর্ম তাও নয়। কিন্তু সব মিলিয়ে জিনিসটা আছে। রাজনৈতিক ভাবে আছে। যেমন, এলাকায় যার জোর আছে, সেই পার্টি ঠিক করবে, এলাকর স্কুলে শিক্ষক কে হবে (এটা এস এস সির আগেকার কথা)। অরাজনৈতিকভাবেও আছে। যেমন, পাড়ার শনিপুজোয় চাঁদা দিতেই হবে। বা কলেজে শিক্ষকের বাজার করে দিতে হবে। বা হস্টেলে সিনিয়ারকে ভক্তিভরে প্রণাম করতে হবে।

    সব সময়ে এগুলো যে ভায়োলেন্টভাবে হয়, তা নয়। বরং ফিজিকাল ভায়োলেন্সটা এখন কমেই এসেছে। দাদার কাছে ইন্ডিভিজুয়ালকে নতজানু করবার অনেক রকম সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পদ্ধতি বেরিয়েছে, যেগুলো সমাজের নানা অংশে খুব কায়দা করে প্রয়োগ করা হয়। এবং হচ্ছে।

    তা, র‌্যাগিং নিয়ে আমার বক্তব্য ছিল এটাই। স্রেফ ফিজিকালি ছাত্রদের যে ঠ্যাঙানো হচ্ছে, এটা, অন্তত: কলকাতা শহরে আর বিশেষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সেটা ঘটনা। কিন্তু তা বলে কি দাদাগিরি, গা-জোয়ারি, জোটবদ্ধ দঙ্গলের কাছে জোর করে নতজানু হওয়া কমে গেছে? একদম না। বরং পদ্ধতিটা অনেক সূক্ষ্ম হয়েছে। যেটার মোকাবিলা, ঐ রাঘবন কমিটি আর পুলিশ দিয়ে করা যাবেনা। বন্দুক দিয়ে যেমন মশা মারা যায়না।

    তো, এইটা হল পয়েন্ট নং এক। এর সঙ্গে আরও একটা ব্যাপারও আছে। সেটাও রাজনৈতিক। কিন্তু দলীয় রাজনৈতিক না। আবারও। কথাটা খুব সিম্পল। এই সূক্ষ্ম এবং খুচরো র‌্যাগিং এর জবাব যাঁরা গণক্যালানি বা পুলিশ পিটনি দিয়ে দিতে চান, আমার মতে, তাঁরা, পুরো পদ্ধতিটার বিরোধিতা একেবারেই করছেন না। বরং মব মেন্টালিটির জবাবে তাঁরা আরেকটা মব মেন্টালিটি নিয়ে আসছেন। যেখানে একদল দাদার মহড়া নেবে আরেকদল দাদা। তারা পিটবে। "ভয়' দেখাবে। দাবড়ে সবাইকে পাইকিরি রেটে "শুভ কাজে' বাধ্য করবে। দাঁতের বদলে দাঁত হবে। মাথার জবাবে মাথা।

    আমি যেহেতু সমস্ত মব মেন্টালিটিরই বিরোধী, এটারও বিরোধিতা আমাকে করতেই হবে। সেটাই আমার রাজনীতি। দলীয় না হয়েও।

    পু: এই স্পেসিফিক কেসে, যদুপুরের কর্তৃপক্ষ, কি আশ্চর্য, এই মব মেন্টালিটির পরিচয় দেননি। সেজন্য তাঁদের ধন্যবাদ।
  • sibu | 71.106.244.161 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:০০413153
  • এবারে যখন র‌্যাগিং নিয়ে ঝগড়া একটু কমে এসেছে, তখন কটা কথা বলে নি। এই কথাগুলো হয়তো ব্যাখ্যা করতে পারবে কেন আমি র‌্যাগ করলে অত্যন্ত কঠিন শাস্তির পক্ষে, এবং কোন রকম নরম মনোভাব নেবার বিপক্ষে।

    কর্পোরেট দুনিয়ায় সফল হতে হলে খানিকটা সাইকোপ্যাথ হওয়ার প্রয়োজন করে। এই যেমন আমাদের ওয়াল স্ট্রীটের ব্যাঙ্কারদের দিকে দেখুন। এদের মতে ক্রিমিনাল কাজ-কম্ম যা এনারা করেছেন তার জন্য তাদের কোন রকম শাস্তি পাওনা হয় না। এনারা মনে করেন পারফরম্যান্স যাই হোক, বোনাস তাদের পাওনা। দেশের এবং পৃথিবীর ইকনমি ধ্বসিয়ে দিয়ে, এবং বহু দুর্বল গরীব মানুষকে শেষ করে দিয়ে এনাদের কোন অনুশোচনা নেই। এদের নীতিজ্ঞান এতই কম, এবং সমাজের কাছে প্রশ্রয় পাবার এমনই বদভ্যাস, যে এদের কোন রকম শাসন করার চেষ্টা করলে এঁরা হুমকি ছাড়েন যে দেখে নেবেন এঁদের ছাড়া কেমন করে ব্যাঙ্কিং সেক্টর রিকভার করে। সব ধরনের ম্যাঞ্জারি চাকরিতেই এই ট্রেটগুলো অল্প-বিস্তর কাজে লাগে।

    আমি এই র‌্যাগিং ব্যাপারটাকে কর্পোরেট দুনিয়ায় ম্যাঞ্জার হবার জন্য সাইকোপ্যাথ হবার ট্রেনিং বলে মনে করি। দেখুন এই ছেলেগুলি ভবিষ্যতে ম্যাঞ্জার হবে (মানে বেশীর ভাগই)। এদের চাকরির অঙ্গ হবে নিরীহ অসহায় সাবর্ডিনেটকে দাবড়ে কাজ করানো। সুযোগ নেবার ব্যাপারে কোন নৈতিক আপত্তি থাকলে এদের নিজেদের উন্নতির পথে কাঁটা পড়বে। আইন বাঁচিয়ে, বা আইন-রক্ষকদের হাত করে, বা স্রেফ গায়ের জোরে আইন ভেঙ্গে নিজের উন্নতি করতে হবে, তাতে দেশের বা ইকনমির বা নিজের কোম্পানীর যাই হোক। র‌্যাগিং হল এই মানসিকতা মাথায় ঢুকিয়ে দেবার একটি অস্ত্র। জুনিয়র শেখে ওপরওয়ালার সামনে মাথা ঝোঁকাতে শেখ। সিনিয়র শেখে, যারা অসহায় তাদের অস্তিত্বের একটাই অর্থ - তোমাকে আনন্দ জোগানো। তার জন্য যদি দু'চারজন আহত হয় কি অপমানিত হয়, তাতে কিছু যায় আসে না। আর আইন-ফাইন আবার কি? ইউনিয়ন তো আছেই আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য।

    সেই জন্যই বলছিলাম, র‌্যাগিং ব্যাপারটাকে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখা সমাজের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর।
  • sibu | 71.106.244.161 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:২৩413154
  • মামু কলকেতা শহরে ফিজিক্যাল র‌্যাগিং খুঁজে পায় না। কেউ কেউ বধূহত্যাও খুঁজে পায় না। মামু খারাপ জিনিষ দেখবে না ;)।
  • h | 203.99.212.224 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:৪৬413156
  • কিন্তু শিবুদা, আপনি ফার্স্ট ইয়ারের পাল্টা কেলানির পক্ষে কিনা বললেন না, আমার কেমন বহুত একলা লাগছে :-)

  • sibu | 71.106.244.161 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:৪৮413157
  • ফার্স্ট ইয়ার ক্যালালে উদ্বাহু সমর্থন।
  • h | 203.99.212.224 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ০৯:৫৪413158
  • ফার্স্ট ইয়ারের পাল্টা ক্যালানি সম্পর্কে ইশানের মেন দুইটা আপত্তি, সকলে মিলে একটা রোগা মত সেকেন বা থার্ড ইয়ারকে ধরে ক্যালানো র মধ্যে আবার প্রতিবাদ কোথায় সেটা তো মব মেন্টালিটি দ্বিতীয়ত: ভায়োলেন্স দিয়ে ভায়োলেন্সের মোকাবিলা কচু হয়।
    এই গুলো ইমপ্লিমেন্টেশন প্রবলেম, সকলে মিলে রোগাদের না কেলিয়ে, ক্যারাটে শিখে একজন গিয়ে ষন্ডা মত কাউকে কেলালেই হল। এই গুলোর জন্য র‌্যাগিং বিরোধী কমিটির নেতৃঙ্কÄ আছেন। তবে তার আগে কমিটির ইলেকশনে পাই কে হারাতেই হবে, নইলে ক্যালাতে দেবে না, এমনকি কারো একটা ছোটো স্টিচ পড়লে হয়তো অনশন শুরু করে দেবে। প্রচন্ড চাপ হয়ে যাবে :-)
  • arjo | 24.42.203.194 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১০:০৭413159
  • একটাই সমস্যা সেকেন্ড ইয়ারে সেই দাদা হয়ে ফার্স্ট ইয়ারকে কেলাবে। সে ততক্ষণ কেলাতেই থাকবে যতক্ষণ না কেউ তার থেকেও বেশি ভালো ক্যারাটে শেখে। তার্মানে প্রতি বছর অন্তত একজন খুব ভালো ক্যারাটে জানা ছেলে থাকতে হবে। সেকেন্ড ইয়ারের ছেলের সাথে ফার্স্ট ইয়ারের ছেলের ডুয়েল হবে। সেকেন্ড ইয়ার জিতলে র‌্যাগিং য়ে ভরিয়ে দেবে আর ফার্স্ট ইয়ার জিতলে নো র‌্যাগিং। কলেজে কলেজে ক্যারাটে কোঠা শুরু হবে। এর একটাই সমস্যা তাহল দিকে দিকে ইউনিফর্মলি ভালো ক্যারাটে শেখার স্কুল তৈরী করা। ;)
  • sibu | 71.106.244.161 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১০:০৯413160
  • কিন্তু ফার্স্ট ইয়ার ক্যালালে আমরা নৈতিক সমর্থন দেব। সেকেন্ড ইয়ার সে কোত্থেকে পাবে?
  • a x | 99.152.72.73 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১০:১১413161
  • এইজন্যই আমি ঠিক করে রেখেছি মেয়েকে নাচ গান শেখার আগে ক্যারাটে শেখাবো। অবশ্য কোলকাতার পাব্লিক বাসে ক্যারাটে প্রয়োগ একটু চাপ হয়ে যাবে।
  • h | 203.99.212.224 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১০:১৭413162
  • এই জন্যেই তো রাজনৈতিক তাত্বিক দিকটা ফ্যালনা নয়। সেকেন্ড ইয়ারে উঠলেই সুদু ত্রিপিটক আলাউড। বা ধর সংগঠনের সেকেন্ড ইয়ার সাব কমিটি টা পাই কে দায়িঙ্কÄ দিতে হবে।
  • sibu | 71.106.244.161 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১০:১৯413163
  • ফার্স্ট ইয়ার ক্যারাটে, সেকেন্ড ইয়ার ত্রিপিটক। কেমন শাওলিন-শাওলিন শোনাচ্ছে না?
  • arjo | 24.42.203.194 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১০:২১413164
  • অক্ষ কোনো খবরই রাখে না। জিত কোন্ডো শেখাতে হবে।


  • sibu | 71.106.244.161 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৩০413165
  • ঐ হল। জিত কোন্ডা, গোল কোন্ডা, ক্যারাটে, জুজুৎসু, আড়াই প্যাঁচের জিলিপি।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৩৩413167
  • শিবুদা। তোমার সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা চালাতে আমি জাস্ট কোনো আগ্রহ পাচ্ছিনা।

    ধন্যবাদ।
  • sibu | 71.106.244.161 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১০:৩৫413168
  • ধুস্‌স্‌স্‌স্‌। আরো তো লোকজন থ্রেডে আছে, না কি।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১১:১৯413169
  • শিবুদার বক্তব্য নিয়ে কিছু কনফিউশন রইল।

    ১) ম্যাঞ্জার হয়ে লোক ছাঁটাই সিস্টেমের কারণে করতে হয়। সেটা কেউ প্রচুর বিবেকের তাড়না নিয়ে করে (যেমন bb) আবার কেউ তা না নিয়েই করে। তাতে নীট ফল অর্থাৎ ছাঁটাই কিছু কমে বাড়ে না। সিস্টেমেরও কিছু যায় আসে না। যখন এতো র‌্যাগিং এর প্রকোপ ছিল না, তখনও পুঁজি বানানোর প্রক্রিয়াটা অমানবিক ছিল, আজও আছে এবং তখনও কিছু লোক তাতে অংশ নিয়েছিল আজও নেয়।

    ২) র‌্যাগিং ইন্ডিভিজুয়ালের ক্রিমিনাল মাইন্ডেডনেস থেকে লোকে করে না। লোককে দাবড়ে কাজ করানোর মানসিকতা থেকেও কেউ করে না। যারা র‌্যাগিং সবচেয়ে বেশী করে তারা অধিকাংশই পরে সাধারণ চাকরিই করবে। ম্যাঞ্জার ফ্যাঞ্জার হবে না। কারণ JU বা BE কলেজের র‌্যাগিং নামমাত্র। তার চেয়ে অনেক বেশী হয় পলিটেকনিকগুলোতে। এরা মোটেই ঐসব এলিট ফেলিট কিছু নয়। বরং এলিট জায়গায় আমি বলব "ইন্টেলিজেন্ট" খোরাক করার প্রবণতা বেশী, স্মার্টনেস ঝালানোর প্রবণতা বেশী, ব্রুটাল মারধোরের তুলনায়। একটু রিমোট জায়গায় উল্টোটা। এবং সেটা একটা মব মেন্টালিটিই। র‌্যাগিং কখনো ওয়ান টু ওয়ান হয় না। আমি জলু-র র‌্যাগিং ও দেখেছি। একদল সিনিয়ার একসাথে বেরোতো। তারপর জুনিয়রদের ন্যাংটো করে দৌড় করানো থেকে শুরু করে মারধোর, ড্রিল করানো -এসবই হত। আবার একই ভাবে JU এর হস্টেলে, যেখানে গ্রাম মফ:স্বল থেকে আসা নন-এলিটরাই মূলত: থাকে, সেখানে ফিজিক্যাল র‌্যাগিং বেশী হয় এবং তারাই বেশী করে (বা বলা ভালো বেশী এনজয় করে) যারা এমনিতে খুব বেশী মেশে না, নিজের ক্লাসেও যাদের সেরকম কিছু say নেই। এদের কাছে ঐটা হল আপারহ্যান্ড নেওয়ার বা নিজেদের কর্ণারড হয়ে থাকা জীবনের একমাত্র আউটলেট। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে, যেখানে কলকাতা থেকে আসা এলিট ডে স্কলার বেশী, সেখানে মৌখিক খোরাক করার প্রবণতাই বেশী দেখা যায়। আমরা যখন ১৯৯৫ এ প্রথম ইউনিয়নের অ্যান্টি র‌্যাগিং টীম বানাই, আমরা দেখেছি সবচেয়ে ভোকাল এবং ক্লাসে যাদের say সবচেয়ে বেশী, তাদের আমরা অনেক সহজে র‌্যাগিং থেকে নিরস্ত করতে পেরেছি। পুরো আটকাতে পারি নি, কিন্তু তারা যখন র‌্যাগিং করত কখনই আমাদের মনে হত না যে তাদের জীবনে সেটার কোনো লঙ লাস্টিং ইমপ্যাক্ট আছে বলে। (ব্যাতিক্রম আছে যদিও)। তারা ওগুলোকে মুহুর্তের খোরাক হিসেবেই দেখত। একই সাথে আমরা যখন হোস্টেলে র‌্যাগিং আটকাতে গেছি, আমাদের অনেক বেশী বেগ পেতে হয়েছে সেইসব নন-এলিটদের কাছ থেকে যাদের জীবনে র‌্যাগিং একটা গভীর তৃপ্তির বিষয় ছিল।

    ৩) র‌্যাগিং যদি কর্পোরেট বস বানানোর ট্রেনিং হয় তাহলে এই সিস্টেমই সেটার বিরুদ্ধে কারেক্টিভ মেজার নেবে কেন? সিস্টেমের তো আরো আরো বেশী অমানবিক বস দরকার।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১১:২৪413170
  • ৪) আর ম্যাঞ্জারগিরি মানে হল ইন্ডিভিজুয়ালের দ্বারা কালেক্টিভের র‌্যাগিং। কলেজে যেটা হয় সেটা কালেক্টিভ দ্বারা ইন্ডিভিজুয়ালের। দুটো কি মৌলিকভাবে আলাদা নয়? দ্বিতীয়টা কি অনেক বেশী মেলে না গনধোলাইএর মানসিকতার সাথে?
  • sibu | 71.106.244.161 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১১:৩৫413171
  • ১। সিস্টেম ছাঁটাই করে এই যুক্তি একেবারেই অচল। যারা ডিসিশন একজিকিউট করে তাদের সহযোগিতা ছাড়া সিস্টেম চলে না। সিস্টেম ছাঁটাই ইত্যাদি এত সহজে করতে পারত না যদি জানত যাদের ওপরে এটা ইমপ্লিমেন্টেশনের দায়িত্ব তারা এটা রেসিস্ট করবে কোন একটা লেভেলে। আমি অবশ্যই এ কথা বলতে চাইছি না যে সব ম্যানেজারই স্যাডিস্ট। কিন্তু একটা সাধারণ ঐক্যমত্য আছেই যে ছাঁটাই বা অন্যান্য অত্যাচার মোটের ওপর ভাল এবং তার হিউম্যান কস্ট ওভারলুক করা চলে।

    ২। র‌্যাগিং শুধু শারীরিক ব্যাপার নয়। মূল কথা হল আর একজন মানুষ যার ওপর আমার কর্তৃত্ব আছে তাকে আমার আমোদের জন্য হেনস্থা করা মুমকিন। পিনাকী যে কথাটা বললেন - র‌্যাগিং শুধু ক্ষণিকের আমোদ, সেটা আমার মতকেই সমর্থন করে। ফার্স্ট ইয়ারের যে ছাত্রের ওপর আমার ক্ষমতা আছে তাকে আমি আমার ক্ষুদ্রতম আমোদের স্বার্থেও ব্যবহার করতে পারি। ব্যাপারটাকে এইভাবে ভাবুন - একজন মিলিয়ন ডলারের জন্য একটা খুন করছে, অন্যজন চারানা পয়সার জন্য। দুজনেই সাইকোপ্যাথ, কিন্তু ডিগ্রীর একটা ফারাক আছেই।

    ৩। সিস্টেম তো হোমোজেনাস নয়। সিস্টেম যদি হোমোজেনাস হত তো সিস্টেমের মধ্যে মার্কেট রেগুলেশনের দাবী উঠতো না। অর্থাৎ সিস্টেমের মধ্যে থাকা কোন কোন মানুষও দেখতে পায় এই ধরনের সাইকোপ্যাথ বসেদের হাতে সিস্টেমের ভবিষ্যৎ খুব সুরক্ষিত নয়। তাছাড়া হিউম্যান রাইটের দিক থেকেও একটা অংশ এই র‌্যাগিং-এর বিরোধীতা করে।
  • sibu | 71.106.244.161 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১১:৩৭413172
  • ৪। ম্যাঞ্জারগিরি কালেকটিভের (বসেদের) সঙ্গে কালেকটিভের (সাবর্ডিনেটদের) সংঘর্ষ। র‌্যাগিং-ও তাই।
  • r | 125.18.104.1 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১৩:২৬413173
  • অপরাধ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিয়ে দু এক কথা যা বলার ছিল:

    এই তর্ক সবসময়ই একটি প্রশ্নে এসে থিতু হয়: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অপরাধকে কমায়, নাকি কমায় না? এ যুগে সেকুলার মানুষজন মোটের উপর এইরকম কনসিকোয়েনশিয়ালিস্ট নৈতিকতাই মেনে চলেন- ফলেন পরিচিয়তে। ধরা যাক দেখানো গেল, এর ফলে অপরাধ কমায়। তখন কি করবেন? উদাহরণ দিই। সৌদি আরবে চুরিডাকাতি হয় না। নিজে থেকে দেখেছি। দুটো কারণ- এক, ইসলামে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার অবিচ্ছেদ্য পবিত্র অধিকার, কাজেই একধরনের সামাজিক চাপ আছে। কিন্তু এই দেশের এক বিপুল সংখ্যক লোক বহিরাগত দরিদ্র, ভারত, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া থেকে আসা অশিক্ষিত মানুষ। তাঁদের বেঁচে থাকার মানও মোটেও উন্নত নয়। এবং তাঁরা সৌদিসমাজের অংশও নন, যেহেতু সৌদিসমাজ খুবই এক্সক্লুসিভিস্ট। তাঁরা করেন না কেন? একুশে আইন- ধরা পড়লে হাত পা কাটা যেতে পারে। তাহলে কি এই ধরনের আইনকে সমর্থন করব? করব না, কিন্তু তখন কনসিকোয়েনশিয়ালিস্ট নৈতিকতা থেকে সরে এসে আমাদের ঠিক তার উল্টোদিকে দাঁড়াতে হবে- ফল যাই হোক না কেন, মানুষের প্রাণ পবিত্র, বা এইধরনের যুক্তি। অর্থাৎ, শুধু ফল নয়, পথটাও জরুরী। বা ডিঅন্টোলজিকাল নৈতিকতায়, পথটাই জরুরী, যেমন গান্ধী বলেছিলেন। সেকুলার দর্শনে এই দুই ধরনের নৈতিকতাকে প্রায়ই গুলিয়ে ফেলা হয়।

    কিছু তর্কের ক্ষেত্রে এই কার্য-কারণ সম্পর্ক আমার কাছে তাই নন-স্টার্টার মনে হয়।
  • h | 203.99.212.224 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:০০413174
  • র ত্রিপিটক পড়ে গোপন কোন হ্যান্ডি গোমুখের সন্ধান পেয়েছে, যে কোন আলোচনা তথা ভাটে, বালতি করে ঠান্ডা জল ঢেলে দিচ্ছে। ঘুমন্ত বাঙালী কে জাগানোর একি সেকেন্ড ইয়ার সুলভ প্রয়াস।
  • r | 125.18.104.1 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:২৫413175
  • স্বপন যদি মধুর এমন হোক সে মিছে কল্পনা/ জাগায়ো না তারে জাগায়ো না। ;-)
  • h | 203.99.212.224 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ১৪:২৭413176
  • :-)))))))))))))))
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৩ এপ্রিল ২০০৯ ২১:৪২413178
  • র এর সঙ্গে ২০০% একমত। প্রশ্নটা নৈতিকতার। রাজনীতির। ম্যানেজারিয়াল এফেক্টিভনেসের নয়। নইলে শেষ বিচারে হিটলারি এফেক্টিভনেসের পুজো করতে হয়। বা কর্পোরেট এফিসিয়েন্সির।

    পিনাকির সঙ্গেও একমত। র‌্যাগিং ম্যানেজার তৈরির সিস্টেম-স্বীকৃত পদ্ধতি হলে, সারা পৃথিবীতে কলেজ জীবনে র‌্যাগড-হওয়া ম্যানেজারদের কদর ভীষণ বেড়ে যেত। তৃতীয় বিশ্বের র‌্যাগিং-খাওয়া লোকজনই বিশ্বের সব কিছু ম্যানেজ করত। আমেরিকার বিজনেস ইশকুল গুলোতে র‌্যাগিং চালু করা হত কর্পোরেট স্পনসরশিপে। আমেরিকা থেকে র‌্যাগড হতে ছেলেপুলে আসত তৃতীয় বিশ্বের কলেজগুলোতে। ইত্যাদি।

    তা যখন হয়না, তখন ...

    হনুর সঙ্গে স্বভাবত:ই দ্বিমত। ক্যালানি দিয়ে ভায়োলেন্স রোখার কথা থিয়োরিটিকালি মেনে নিলে, নিজের আত্মরক্ষার দায়িত্ব ছেলেপুলের নিজেরই মেনে নিতে হয়। সেক্ষেত্রে জুডো-ফুডো শেখানোর কি দরকার? আরও সোজা উপায় আছে। ছেলেপুলের হাতে-হাতে বন্দুক তুলে দিলেই হয়। সমস্যা কিছু নেই, বাপ-মা নিজের ছেলেমেয়ের জন্য ঐটুকু করতে পারবে। শুধু গান ক®¾ট্রাল আইনটা একটু হাল্কা করতে হবে। আর কিছু না। আশা করি তাতে কোনো আপত্তি থাকবেনা। :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন