এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ক্ষমা করিনি

    Ishan
    অন্যান্য | ২৯ জুলাই ২০০৯ | ৯৪৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 173.26.17.106 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ০৩:৩৬415041
  • অন্য একটা টইয়ে ন্যাড়াদার এই লেখাটা পড়ে জিনিসটা মাথায় এলো:

    "ক্লাস টেনে আমাদের ভূগোলের টিচার মাজিবাবুকে জিগেস করা হয়েছিল মেঘ আকাশে ভাসে কি করে, মাধ্যাকর্ষণে নেবে আসে না কেন। চাবুকের মতন উত্তর দিয়েছিলেন যে মেঘেরা গ্‌র্‌যাভিটেশনাল ফিল্ডের বাইরে থাকে বলে ওদের কিছু হয়না।"

    এইরকম কিছু জিনিস থাকলে জমিয়ে লিখুন। যাকে অনেক কষ্ট করে ক্ষমা করে দিতে পেরেছেন, তার কথাও লেখা যেতে পারে, কিন্তু যাকে সহজেই ক্ষমা করে ফেলেছেন, তার কথা লিখবেন না। :)
  • papiya | 74.192.194.238 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ০৪:০৭415124
  • আবাপ তে এম্নি কি একটা আছে না?
  • vikram | 83.147.169.96 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ০৫:৫১415135
  • হুঁ, ইন\জিনিয়ারিং ক্লাসে পড়ানো হলো মাটি নাকি যন্ত্রকে ওপরে ঠেলে, জল খেয়ে ফুলে এগুলি হয়। কেউ বাওয়াল করতে বললো স্যার তাহলে নিউটনের ততীয় গতিসূত্র কি হবে? চাবুকের মতো জবাব এলো মাটির নিচে আবার নিউটন কিসের?

    আরও ভালো শিলিগুড়িতে একটি ছেলেকে ইংরাজি স্যার বানান কেটে অ্যান ইউনিভার্সিটি লিখতে বলেছে। তার বাবা চিঠি দিয়েছে। স্যার তখন বলেছেন এখন তো তুমি ছোটো আছো তাই অ্যান লিখবে। বড়ো হলে ঐ বাবার কথামতো আ লিখো।

    বিক্তম
  • Abhyu | 128.192.7.51 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ০৫:৫৮415146
  • ক্লাস সিক্সে খুব দরদ দিয়ে (অনেক বান্ধবী অ্যাডমায়ারার ছিল) গাইতে গিয়েছিলাম "আমরা নুতন যৌবনেরই দূত" - এক দাদা (বছর পঁচিশ বয়স তো হবেই) ডবল দাদরা বাজিয়ে দিল, বলতে গেলাম এটা ষষ্ঠী তাল (২/৪ ছন্দ) তো সে যুক্তি দেখালো দাদরাও তো ৬ মাত্রা (যদিও ৩/৩) আর গান যেহেতু তাল কমপ্লীট করেই শেষ হবে, তাই কোনো প্রবলেম নেই।
  • Abhyu | 97.81.83.200 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ০৭:৩৪415157
  • নরেন্দ্রপুরের বিখ্যাত গবা মহারাজ। ওটা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ বলে বাড়ি যেতে হলে গেট পাস লাগে, আর গবা কাউকেই সেটা দিতে চায় না।

    আবাসিক ছাত্র: মহারাজ, বাড়ি যাব, গেটপাস?
    গবা: কেন? বাড়ি কেন?
    ছাত্র: মহারাজ, দিদির বিয়ে।
    গবা: না না, ও সব দিদি-ফিদির বিয়েতে বাড়ি যাওয়া চলবে না। কেবলমাত্র নিকট-আত্মীয়ের বিয়েতে যেতে পারবি।
    ছেলেটা তো হাঁ। তবু মরীয়া হয়ে জিজ্ঞেস করল "মহারাজ দিদিও নিকট-আত্মীয় নয়? তাহলে নিকট-আত্মীয় কে?"
    গবার পরিষ্কার উত্তর: এই যেমন বাবা, মা...
  • Ishan | 173.26.17.106 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ০৭:৫৮415168
  • আচ্ছা, ফান্ডাটা খুলেই বলি। বিক্রম আর অভ্যু বা বাকি সকলেই একটু বড়ো করে লেখো। ক্যাজুয়ালিই, কিন্তু একটু ভেবেচিন্তে। গপ্পো মতো করে। উদ্দেশ্যটা হল জনতা একটু জমিয়ে লিখলে পুরো সুতোটাই ছাপা গুরুতে তুলে দেওয়া যাবে।

    তা বলে আবার ভেবেচিন্তে গম্ভীর করে লিখুনি যেন। ছাপা যারা পড়বে তারা তো আর গুরুর টই পড়তে পারেনা। তাদের একটু টইয়ের ফ্লেভার দেওয়াটাই উদ্দেশ্য। ফলে ফ্লেভারটা যেন একই থাকে। এবং খিল্লি যেমন চলছে চলুক। শুধু একটু গপ্পো করে লেখা ভালো।

    আর কোনো গপ্পো যদি ছাপার মতো না হয়, তাহলে, সেটা মেনশন করে দিও। মেনশন না করলে সব গপ্পই ছাপার জন্য বিবেচিত হবে। :)
  • quark | 202.141.148.99 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১০:২৬415179
  • ইস্কুলের কেলাসে মাধ্যাকর্ষণ পড়ানো হচ্ছে।

    মাস্টারমশাই: অ্যাই দ্যাকো পেন, সাড়ি দিলাম, পড়ি গ্যালো। অ্যাঅ্যাই বই, সাড়ি দিলাম পড়ি গ্যালো। অ্যাই হ'ল গে মাধ্যাকর্ষণ।

    রতন: সার, অ্যাই দ্যাকেন, চড়ুইপাকি, সাড়ি দিলাম, উড়ি গ্যালো ....

    যার কাছ থেকে শোনা, তিনি দেখলে রয়্যালটি চেয়ে নেবেন।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১০:৩১415190
  • এটার টাইটেল তাইলে "ক্ষমা করিনি' হল কোন দু:খে?
  • quark | 202.141.148.99 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১০:৩৩415201
  • জানতাম, কেউ না কেউ ক্ষমা কত্তে পারবে না!
  • d | 144.160.5.25 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১০:৪০415042
  • কিন্তু টইটার নাম "ক্ষমা করিনি' কেন? আমি যদি সব্বাইকে সব্বদা ক্ষমা করে দিয়ে থাকি ...... তাইলে তো এই টইতে আমি কোন ছাপই রাখতে পারব না! আমার মত মহৎ উদারহৃদয়ের জন্য তাহলে কোনই জায়গা নেই?

  • nyara | 64.105.168.210 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১০:৫৩415053
  • ঈশানের বার খেয়ে লোকে সব গুহ্য কথা উজাড় করে দিয়ে দেখবে ঢাউস পুজোসংখ্যা 'গুরুচন্ডালি' সবাইকার হাতে হাতে। তারপরে খবর আসবে এ বারাসাত লোকালে ধাঁতানি খেয়েছে, তাকে ভুগোল টিচারের নাতি এসে চমকে গেছে, সে গড়িয়াহাটে বাজার করতে গিয়ে অল্প আহত। তখন সবাই সমস্বরে ঈশানকে 'ক্ষমা করিনি' বলে অভিসম্পাত দেবে।

    ভুয়োদর্শী সম্পাদক।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১০:৫৫415064
  • ভূগোল! ভূগোল!

    মাজিস্যার বাংলাও পড়াতেন নাকি?
  • nyara | 64.105.168.210 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১১:০১415075
  • অন আ সেগেন থট, এটা অর্পণের থ্রেড হতে পারে। '(কোন বানান ভুল, টাইপো) ক্ষমা করিনি'।
  • san | 121.50.4.34 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১১:১৫415086
  • খোরাকের সঙ্গে ক্ষমাটমার সম্পর্ক কি ?????
  • san | 121.50.4.34 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১১:১৬415097
  • স্কুল ও কলেজের খোরাকেরা বললেই তো হয় !
  • lcm | 69.236.165.8 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১১:১৮415108
  • সুযোগই তো হল না।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১১:৪৫415119
  • একই প্রশ্ন আমারও। টইয়ের নামের সাথে কার্যকারণের কোন মিল পাচ্ছি না।
  • rokeyaa | 203.110.240.21 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ১৪:১৭415122
  • যদুপুরে সক্কলেই টিউশনি পড়ায়। তো, আম্মো পড়াতাম। জনৈকা ছাত্রী, ক্লাস টেনের টেস্টের পর, একটা অবজেক্টিভ সলভ করতে গিয়ে বল্লো, দাদা, প্রমাণ করতে হবে ট্যান থিটা, কিন্তু থিটা তো আসছে না!
    দুঢোক জল খেলাম, তার্পর দেখি সে ভূল কিছু বলেনি, সত্যিই সে ট্যান পর্যন্ত প্রমাণ করতে পেরেছে, লাস্টের আগের লাইনে একটা সাইন থিটা বাই কস থিটা এসেছিলো, সেখানেই তো থিটা কেটে গেছে!
    এইরকম ভূলে ভরা একটা প্রমাণ করতে দেওয়ার জন্য ক্ষমা করা যায় এবিটিয়ে টেস্ট পেপার কে?
  • Abhyu | 97.81.83.200 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ২১:০৫415123
  • না হে ঈশানদা, গবার গল্প যেন ছাপিয়ো নি। ওগুলোতে নরেন্দ্রপুরের কপিরাইট আছে।

    তবে নীচের গল্পটা ছাপাই যায়।

    আই এস আইয়ের এক জনতা নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট উইনিভার্সিটিতে পি হেইচ ডি করত। ধরা যাক তার নাম এস। ওদের ডিপার্টমেন্টে নামকরা এক প্রফেসার এসেছেন। এস তার সঙ্গে আলাপ করতে মরীয়া। কিন্তু চান্স পাচ্ছে না। শেষে বুদ্ধি করে ওনার ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখল যদি কথা বলার মত কোনো টপিক পাওয়া যায়। ওনার সিভি খুলেই দেখল
    "J. Roy." আর সঙ্গে সঙ্গে এসের মাথায় বিদ্যুৎ ঝিলিক দিয়ে গেল।

    পরের মুহূর্তে এস প্রফেসারের ঘরের দরজায় নক করল।

    প্রফেসার: কাম ইন।

    এস: আই অ্যাম এস। নাইস টু মীট ইউ (এক সেকেণ্ড অপেক্ষা করে) সো, ইউ প্রোব্যাবলি নো দ্যাট ইয়োর কো-অথর J. Roy হ্যাস পাস্‌ড অ্যাওয়ে।

    (অধ্যাপক যোগব্রত রায় সত্যিই তার কদিন আগে মারা গেছেন। খুব নাম করা প্রফেসার ছিলেন। )

    প্রফেসার: হু??

    এস: ইয়োর কো-অথার J. Roy

    রো : আই হ্যাভ নেভার ওয়ার্কড উইথ J. Roy

    এস: ওপেন ইয়োর সিভি অ্যাণ্ড আই উইল শো ইউ।

    স্তব্ধবিস্ময়ে হতবাক প্রফেসর এসের সামনে নিজের(!) সিভি খুলে দেখতে গেলেন। দেখা গেল ওটা ছিল J. Roy. Sosc. (Journal of Royal Statistical Society)

  • Tim | 71.62.2.93 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ২১:৩০415125
  • রোকেয়াকে দাদা বল্লো?!!
    এরপরেও ক্ষমা করা যায়? ;-)))
  • Bratin | 117.194.99.161 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ২১:৩৫415126
  • abhyu র গল্প টা just too much, infact three much ও বলা যায় :-))
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ২২:৪৪415127
  • হা:হা:হা:হা: অভ্যুর গপ্পোগুলো ফাটাফাটি। আরো লেখ রে
  • ranjan roy | 122.168.5.240 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ২৩:২৪415128
  • জেনারেশান গ্যাপ??
    সবাই নরেন্দ্রপুরের গবা মহারাজ মানে হালিশহরের তরুণকান্তি দে কে নিয়ে খিল্লি করছে! আমি একটু ব্যথা পেলাম।
    ছেলেটি বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনে আমার এক ক্লাস নীচে ভর্তি হল। একটু মোঙ্গোল ধাঁচের চেহারা। কোরাধুতি আর ফুলশার্ট পরে ক'দিন ক্লাসে যাওয়ায় নাম হল ""মদন কান্তি", তারপর মদ্‌না।
    কিন্তু গোলপানা মুখ, গোলভুঁড়ি(ঐ বয়সেই)-- তাই নাম পড়ল ""গোলবাবু''। ঐ নামটা স্কুল পাশকরা অব্দি টিঁকে ছিল।
    একবার গরমের দুপুরে মুখ হাঁ অবস্থায় এমন ঘুমুলো যে ওর মুখে, পেটে ব্রাশ দিয়ে রং করে, দু'পায়ের ফাঁকে একটা জলের কুঁজো, আর ফুলঝাড়ু রেখেদেয়া হল। কিন্তু ও কিছ্‌ছু টের পেল না।
    তবে মাঝে মধ্যে খোরাক হলেও বেশ লাভেবল্‌ বালক ছিল। আশ্রম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আমাদের গেরিলা যুদ্ধে কখনও পঞ্চম বাহিনীর কাজ করেনি। ঐ বয়সে বৈরাগ্যের কোন চিহ্ন দেখিনি। কেন যে মরতে মহারাজ হতে গেল কে জানে?
    আজ ওকে নতুন প্রজন্মের হাতে খোরাক দেখে কোথায় একটু ব্যথা- ব্যথা লাগছে।
  • ranjuan roy | 122.168.5.240 | ২৯ জুলাই ২০০৯ ২৩:৪১415129
  • ক্ষমা করিনি!
    ---------------
    এটা গড়িয়ার দীনবন্ধুএন্ড্রুজ কলেজের গপ্পো।
    দুপুরে কলেজের ""পোঁদে-গরম'' ঠেকে( অর্থাৎ চাটাইয়ের বেড়া দেয়া চায়ের দোকানে রোদেপোড়া একফালি কাঠের বেঞ্চিতে) বসে দেবু জানালো-- আজ হেভি কেস। কলেজের জুনিয়র টাইপিস্ট ল্যাংড়া সন্তোষ আর থাকতে- না-পেরে থার্ড ইয়ারের দোলাকে একটা লাভ লেটার হাতে গুঁজে দিয়েছে। দোলা সেটা নোটিস বোর্ডে সেঁটে দিয়েছে। ব্যস্‌, সন্তোষ ১৫দিন ছুটিতে আছে। কলেজের গভর্নিং বডি শুনছি ওকে শো'কজ করবে।
    প্রথমে সবাই খ্যা-খ্যা করে হাসলাম।
    তারপর আমার মাথায় রাগ চড়াৎ করে উঠলো।
    দুজনের সঙ্গে গিয়ে মেয়েটিকে বল্লাম-- ল্যাংড়া সন্তোষ জুনিয়র ক্লার্ক না হয়ে যদি ফিয়েট থেকে নামা বড়লোকের ছেলে হত, তাহলেও কি ওর চিঠিটা অমনি করে বোর্ডে লাগাতেন?
    মেয়েটি গোল চোখ করে আমাকেদেখে বল্লো--আপনি কি জানেন সন্তোষ বিবাহিত?
    -- তো? আপনাকে চিঠিই তো দিয়েছে, অসম্মান করেছে কি?
    মেয়েটি জবাব না দিয়ে মুখ বেঁকিয়ে চলে গেল।
    দেবু পরে বল্লো- তুই প্রেমের শ্রেণীচরিত্র বুঝিস না। দোলার চোখে এটা আস্পদ্দা, কাজেই অসম্মান।
  • Abhyu | 128.192.7.51 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ০০:৫৯415130
  • আমি ই-মেলে পেয়েছিলাম এটা। সত্যি মিথ্যা জানি না। কাজেই ছাপানো ঠিক না।

    ভি বালসারা বাজাতে এসেছেন। বাজানোর পর প্রিন্সিপাল মহারাজ (সত্যদা) ভোট অফ থ্যাংক্স দিতে উঠেছেন । আবেগে প্রায় চোখ বুজে গেছে -
    "সত্যি অসাধারণ বাজালেন উনি। আমাদের সারা জীবন মনে থাকবে। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি ঈশ্বর ওঁকে নিজ ধামে ডেকে নিন ..."

  • Abhyu | 128.192.7.51 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ০১:০৬415131
  • রঞ্জনদা,
    সত্যদা তরুণদা (গবা)কে নিয়ে অনেক গল্প আছে। তার অনেকগুলো সত্যি (ঐ ফোটো তোলার গল্পটা তো আমাদের চোখের সামনে হয়েছিল) কিন্তু এটাও ঠিক যে ছেলেরা ওঁদের খুব ভালো বাসে। ওঁরা না থাকলে আমার মতো অনেকের কাছে নরেন্দ্রপুরের আকর্ষণ খুব কমে যাবে। আমরা যখন ক্লাস টুয়েলভে পড়ি তখন সত্যদা নরেন্দ্রপুর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন (ফিরবেন কি না ঠিক ছিল না) - তাতে সবার কতটা খারাপ লেগেছিল সেটা আমার নিজের চোখে দ্যাখা।
  • Abhyu | 128.192.7.51 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ০১:০৯415132
  • আচ্ছা লোকাল ট্রেনের খোরাকরাও তো এই থ্রেডে আসতে পারে, ঈশান্দা?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ০৩:০৩415133
  • লোকজন তো পুরো টই হাইজ্যাক করে নিল। :(

    শুধু লোকাল ট্রেন কেন, যা খুশি আসতে পারে। টই য়ের নাম ছিল "ক্ষমা করিনি'। তার সঙ্গে যা যায় তাই লেখো। এর বেশি আর বলতে পারুম না। :)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ০৩:১১415134
  • খোরাকি গপ্পের জন্য গপ্পোগাছা টইটা তুলে দিলাম। এখানে শুধু যাদের ক্ষমা করতে পারা যায়নি তাদের কথা। যাদের ক্ষমা করা গেছে, তারা গপ্পোগাছায় যাক। :)
  • h | 203.99.212.224 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ০৮:৩৮415136
  • চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফিরছি। উত্তরকাশী থেকে। হরেক রকম বাজে জিনিস পত্র বোঝাই কোটি কোটি ব্যাগ ও একটি হোল্ডল। তখনো তোষক, কম্বল, স্টোভ, বাসন কোসন, রুম হিটার এগুলো ফেলে বা দিয়ে আসা যায় এই পশ্চিমী কুশিক্ষাটি হয় নি অথবা বলা যায়, পিতামহীর সাংসারিক যত্নের আদর্শ তখনো প্রচুর সাংকৃত্যায়ন এবং মহর্ষি দেবেন্দ্রকৃত ভ্রমণাদর্শদ্বয় মিলায়ে মিশায়ে চরৈবতি সঙ্কেÄও অক্ষুণ্ন। বুকের বাঁদিক কিঞ্চিত শূন্যতায় ভরে রয়েছে। যে বাচ্চাগুলো কোলে পিঠে উঠে অংক করে তারা স্কুলে আসার আগেই পালাতে চাই, কিন্তু তবু শেষ রক্ষা হল না, দুই ভাই বোন, মহেশ আর দুর্গা, প্রায় ১৪ কিলোমিটার হেঁটে ইশকুলে আসে মানেরি নদী পেরিয়ে, তারা দেখে ফেল্লো, আমি বাসের অপেক্ষায়, রাস্তার পাশে। বেশি কিছু বল্লো না, ছুট্টে এসে হাত ধরলো, তার পরে আবার চলে গেলো। কিছুই বল্লো না। জেনে গেছিল বোধ হয় আগে থেকে।
    বাস এসে গেছে। হৈ হৈ ব্যাপার। বন্ধুরা সাহায্য করছে বিভিন্ন বোঁচকা ছাদে তুলে দিতে, কনডাকটার মাল তুলতে সময় লাগবে বুঝে হিসি করতে চলে গেলো, চা খেয়ে ফিরবে। কয়েকটি বিশুদ্ধ গাড়োয়ালি খিস্তি শোনা গেল দেরীর জন্য, কিন্তু বেশি নয়। তো চল্লাম। তিহরী হয়ে হরিদ্বার। বাসেই আলাপ রিষড়ার একটা দলের সঙ্গে , তারা গঙ্গোত্রী থেকে ফিরছে। চা সিগারেট, যৌবন ও বাংলা ভাষা। এই চারটি কারণে জমতে লাগলো দশ কিলোমিটারেরো কম। ফিরে তাকাচ্ছি না, ভাগীরথীর দিকে, তাহলে বর্ষার আওয়াজটা মনে পড়বে, পিয়ালিদির গানের আওআজ ও মনে পড়তে পারে, আর যে আওয়াজ গুলোর কোনো মানে নেই, সেই অল্পবয়স্ক হাসি গুলো র আর দৌড়োদৌড়ি গুলোর মনে পড়ার সম্ভাবনা যে একেবারে নেই তা নয়। সাঙ্কৃত্যায়ন বা মহর্ষি কেউ একটা বলেছেন, পিছনে না ফিরে তাকাতে। তো হরিদ্বারে হোটেলে মাল পত্র রেখে, হর কি পিয়ারী যাওয়া হয়েছে। সন্ধে বেলায়, লোকে ছোটো ছোটো কাগজের বা পাতার নৌকো ভাসায় , হাল্কা প্রদীপ বা ছোটো মোম জ্বালিয়ে দেয় তার উপরে। গঙ্গা মন্দিরের ভিড়াক্কার আরতিতে এই ভাবেই আলো জ্বালিয়ে শামিল হন ভক্ত রা কিম্বা অবিশ্বাসী একলারা। কারণ আলোর সঙ্গে, বিশেষত: নদীতে আলোর প্রতিবিম্বের সঙ্গে বিরোধিতা করার কোনো মানে হয় না। শৈশব বলে রেখেছে, যে দেবতা অগ্নিতে, বনৌষধিতে।

    কতগুলো বাচ্চা ছেলে মেয়ে প্রদীপ হাতে নিয়ে ঘুরছে। একটাকা দিলে বিক্রি করবে, আরো চার আনা দিলে তোমার হয়ে ভাসিয়ে দেবে। সঙ্গীহীন চলছক্তিহীন তীর্থ যাত্রীদের পূন্যার্জনে এরাই ভরসা। রিষড়ার একজন আবার ফোটোগ্রাফার। আরেকজন ফুটবল কোটায় চাগরি করে, অ্যালুমুনিয়ামের কোম্পানীতে। আরেকজন কি যেন করে মনে নেই, তবে তার দাদা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে, ডি বা ঐরূপ কোনো কোম্পানী তে কাজ পেয়েছে। বাড়িতে এলে মাঝে মাঝে তার সুটকেসে বন্দুক বা হোয়াইট সুগারের প্যাকেট দেখতে পাওয়া যায়। তখনো, শহর কে, মহানগরকে সম্ভবত গতি কে ভালো বাসতে শিখি নি, তাই ভালো করে শোনা হল না, অদ্ভুত লাগলো, তবে বিশদের প্রয়োজন আছে বলে মনে হল না। তার চেয়ে ক্যামেরা হাতে শিল্পি র সঙ্গে জমছে বেশি, ছবি যারা আঁকেনা, তাদের বেসিক প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে ভদ্রলোক ক্লান্ত হচ্ছেন, ছেলে বলাই ভালো। হাতে ক্যামেরা থাকলে লোকে ফ্রেম দেখতে পায়, তো উনিও পেলেন। দুটো বাচ্চা মেয়ে, দুটোর হাতেই প্রদীপ বসানো পাতার ডোঙা। শিল্পীর ছবি তোলার শখ। প্রথমে দুটো বাচ্চাকে দাঁড় করালেন, মন্দিরের দিকে পেছন ফিরিয়ে, বড় আরতির আলো ও দেখা যাবে। তার পরে একটু বেঁকিয়ে দাঁড় করালেন, ঘাটের দিকটা থেকে জলে আলোর খেলা গুলো ও ধরা পড়া দরকার। কিন্তু শাটার টেপার ঠিক আগে, নেহাৎ ই শিল্পের প্রয়োজনে, অমানবিক কিছু না, কালো মেয়ে টাকে ফ্রেম থেকে সরিয়ে দিয়ে ফরসা মেয়েটার ছবি তুল্লেন। হাতে দেওয়া পয়সা ছুঁড়ে দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেল অচেনা ক্ষুদে কৃষ্ণকলি। সম্ভবত বর্ষার বঙ্গীয় দুপুর আর কবির অভাব তার আর কোনদিন ই ঘোচে নি। আমিও আর ক্ষমা করি নি, শিল্প কে। ঐ মুহুর্ত টুকু। আর কিছু না। আগে পরে না।আর শিল্পীর সম্পর্কে অভিযোগেরো বয়স হল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন