এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ক্ষমা করিনি

    Ishan
    অন্যান্য | ২৯ জুলাই ২০০৯ | ৯৪৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Samik | 122.162.75.240 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:০৫415066
  • আরে এটা আমি খেয়াল করি নি। ও দ, ওটা গোস্ত ছিল (Gosht) একটা h এদিক ওদিক হয়ে গেছিল।
  • G | 136.142.104.70 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:৪৭415067
  • তো, দিলীপ বাজু ভূগোল ক্লাসে উল্টোপাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে মারতেন "দুষ্টু' ছেলে লক্ষ্য করে।
    একদিন: "এই যো সৈকত, বল তো, হোয়াং হো মানে কী?"
    সৈকত উঠে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকাচ্ছে দেখে ভদ্রলোক আত্মপ্রসাদের হাসি হেসে বল্লেন - এটাও জানো না? হোয়াং হো মানে দু:খের নদী।
    সৈকত, মাথা চুলকাতে চুলকাতেই বিস্ফারিত বিস্ময়ে পাল্টা জিগালো: দিলীপদা, আপনি চাইনীজ জানেন?

    দিলীপদা তৎক্ষণাৎ তেড়ে গিয়ে সাঁই সাঁই ফট ফট - সেটা আর যা হোক ক্ষমার প্রকাশ নয়।

  • rimi | 24.42.203.194 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:২১415068
  • দ এর গোভূতের গপ্পো ফাটাফাটি :-)))
  • tatin | 70.177.57.163 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৩২415069
  • তখন কলেজে থার্ড ইয়ার, দুবছর ধরে পরস্মৈপদী টিফিন খেয়ে একটা এস এল আর কিনেছি; কেনার পরের দিন-ই ম্যাসাঞ্জোর যাওয়া। সকালবেলা হাওড়া থেকে বিশ্বভারতী, উঠে মারামারি ক'রে সিট পেলুম, পুরো দলের এক একজন এক এক জায়গায়; এই সময় শুনলুম, যে মামণির ওপর হাফসোল ফেস চলছে, সে পাশের কামরায়; শান্তিনিকেতন ঘুরতে যাচ্ছে, ফলে ভাবলাম ট্রেন ছাড়ইবার আগে একবার মুখদর্শনের পুণ্যার্জন করে আসা যাক। ইদিকে খোরাক হওয়ার ভয়ে নিজের দলের লোকেদের কিছু জানানো যাবেনা, সুতরাং ক্যামেরার ব্যাগটা দিয়ে বহুকষ্টে অর্জিত সিট রেখে দেখা করতে গেলাম। যথারীতি দেখলুম, খবর ভুল, তিনি পাশের কামরায় অধিষ্ঠান করছেন না। ভগ্নহৃদয়ে পুরোন জায়গায় ফিরে এসে দেখি সিটটা গ্যাছে এবং ক্যামেরাসুদ্ধ ব্যাগটাও।

    বিবর্তনবাদ-কে ক্ষমা করিনি।
  • rokeyaa | 203.110.246.230 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৫৯415070
  • গোমাংস বানামটা কিন্তু আমি সব জায়গাতেই ওম্নি ভূতুড়ে দেখেছি, আমার ধারণা ছিলো ওটাই বানাম, দ-দা খিল্লি করেছে :(
  • d | 121.245.14.61 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৩৭415071
  • অ বেথে, ভাগ্যিস তুমি কইলা। (খিক্‌)

    আহা বেথের টীকা লেখায় কিছু মনে কোরো না রোকেয়াবিবি। মাঝে মাঝে বুঝে ফেললে বেথের প্রাণে ভারী ফুত্তি হয় কিনা। ;-)
  • A | 99.183.185.250 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৫০415072
  • :D
  • nitai | 152.2.94.245 | ০৫ নভেম্বর ২০০৯ ০৬:৪৩415073
  • দুজন ব্যাচমেট খুব দুখী । তখন ফার্স্ট ইয়ার। সিগারেট কেনার পর দোকান্দার বলেছিল, পরে চেন্‌জ দেবে। পরের দিন বিকেলবেলা সেই দোকানে শোনা গেল, কিসের টাকা, ফোট। খবর টা আগুনের মত ছড়িয়ে পড়ল। এ শুধু দুজন ছেলে না, গোটা হোস্টেলের অপমান। কি করা যায়! ক দা নামক এক পেয়ারের সিনিয়র পুরো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন, এবং ইতিহসের মোড় , যতবার ক দা কিছু তুললেই যেদিকে বাক নিত, সেদিকেই নিল। ডাইরেক্ট একশান । "আ" কে ক্যলাও। এবং অবশ্যই সম্মিলিত অভিযান করে ক্যালাও, কারন এলাকার সমাজবিরোর্ধীদের সাথে 'আ" এর গোপন আঁতাত। ক দা জানে। আর একবার বলে দেখলে হয় না? না, "আ" দার দোকানের পেছনে গুন্ডা দের ঠেক আছে, "আ" এরকম আগেও করেছে। ক দা বলল। সিগারেটের পর সিগারেট উড়িয়ে ক দা সেই যুদ্ধের পরিকল্পনা আটছেন, আর আমরা কিছু গুণমুগ্‌ধ শ্রোতা চারপাশ ঘিরে। গল্পের মধ্যে ১৯৯৫ সালে রাগিং এ ক দার দাদার হাটুর ওপর প্রেশার দিয়ে লাঠি ভাঙ্গার গল্প, ১৯৯৩ সালে বিহার এর ওপর ট্রেন পাস করর সময় সীট বওয়লি কেন্দ্র করে কিছু সিনিয়রদের রেসিস্তান্স ও বেল্ট যুদ্ধ, ইত্যাদি আমাদেরি ইতিহাসের গৌরবময় কিছু অধ্যায়। ব্যচের ন্যাশনাল লেভেলের জুডো চ্যাম্পিয়ন ছেলেটি কে ডাকা হল। চ্যাম্পিয়ন হলে কি, ক দা তাকেও ট্রেনিং দিতে লাগলেন ফাইনাল আওয়ারের জন্য! এবং তাত্বিক নেতা ক দার সমস্ত শিক্ষার মত পুরোটাই মৌখিক। ক দা জুডো জানেন না । ( ক দা কে নিজের চোখে আমি পরে সমুদ্র তীরে জলে পায়ের পাতা টুকু ডুবিয়ে, হাইদ্রাবাদের সাতার চ্যাম্পিয়ন কে কি করে এফিসিয়েন্টলি বাটার ফ্লায় স্ট্রোক দিতে হয় সে নিয়ে ফান্ডা দিতে দেখেছি, যাস্ট সাতার তা জানেন না বলে জলে নামেন নি) , স্পোর্‌ট্‌স রুম থেকে হকি স্টিক তোলা হল। ডে স্কলার রা ঠিক করল সেই রাত থেকে যাবে। অপর পক্ষের শক্তি আন্দাজ করা হল,সেই বুঝে প্লান হল, আমরা প্রায় পন্‌চাশ জন যাব । কিন্ত স্ট্রাটেজি গুরু ক দা বলে ঊঠলেন 'না প্রথমেই আমরা যাব না। গেটের বাইরে অপেক্ষা করব। রাস্তা ক্রস করে দুজন যাবে আরেক বার টাকা চাইবে, এই সুযোগে দেখে আসবে আরো কজন আছে, তার্পর ফিরে এসে একটা এস্তিমেট দিলেই 'আক্রমণ' । '

    কথামোত ৭ টার সময় গেটের বাইরে ৫০ জন। সামনে সেনাপতি ক দা। দুজ্জন সেফলি রাস্তা ক্রস করল। ওপারেই প্রথ্‌ম দোকান টি 'আ' এর। সময় কেটে যায়। সামনের অটো রিশ্‌কাওয়ালারা জিগেস কর্তে থাকে আমদের গন্তব্য। এতজন লোক কি ব্যপার ? অনেক অনেক সিগারেট-জীবন কেটে গেল, ওরা আর আসে না। বাওয়াল কি শুরু হল, কিন্ত "আ" এর শাকরেড রা কোথায়? কেউ কেউ সাজেস্ট করল, কিডন্যাপ করে নেই নি তো। ঠিক হল, আর না, বন্দরের বন্ধনকাল এবারের মত হল শেষ। যাওয়া যাক। ঠিক তখনি দুজন কে আসতে দেখা য়েল। এক্‌জন বেশ এক্সায়ে্‌টড,আর এক্‌জন মনমরা।
    প্রথম জন:-'আরে সেদিন মাল টার ভাই পো ছিল, আমাদের চিনতে পারেনি, কুলকাল, এখন সব ঠিক হয়ে গেছে, দুটো পান নিলম ,"আ" দার শালা এ চত্বরে ধাবা খুলবে, তারি গপ্পো চলছিল, অমি তো বলছিলাম আমাদের ক্‌ত্‌ত সুবিধে হবে, তাই না ক দা?'

    কিন্ত আমরা (ইনক্লুডিঙ ক দা) প্রথম জনের কথা শুনছিলামি না। আমাদের দৃষ্টি ও আবেগ ঐ দ্বিতীয় জনকে কেন্দ্র করে ছিল। কলেজ জীবনে অনেক ঝড় ঝাপটা, ব্যাক, বিছেদ, ব্যথা আসা তখনো বাকি, কিন্তু সেদিন ঐ দ্বিতীয় জনের নৈরশ্য হতাশা আর য্‌ন্‌ত্‌রনার কাছে সব ফিকে হয়ে রইল। ভ্যাপসা গলায় হাতের মুঠি টা খুলে দুটো কয়েন, আর মুখ নিচু করে দুটো শব্দ খালি- 'দিয়ে দিল'।

    হকি স্টিক গুলো যথাস্থানে রাখতে রাখতে ক দা সেদিন কেমন ঊদাস হয়ে গিয়েছিল । 'আ' কে আমরা কোনদিন ক্ষমা করিনি।
  • M | 59.93.201.45 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৭:৪৮415074
  • আজ আমার ব্রডব্যান্ডে কিছু প্রবলেম আসছিলো,আমার কাছে আলিপুর থেকে দেওয়া S.D.BB Joka-র নাম্বার ছিলো।ওনারাই দিয়ে দিয়েছিলেন, কারন আমায় কোনো দরকারেই ওদের অফিসে দৌড়াতে হতো, আর প্রায়শই গিয়ে দেখতে হতো ভারপ্রাপ্ত লোকটি আসেননি, তাই।আমি ঐ নাম্বারে (নাম ও জানি, কিন্তু বলছি না)ফোন করে খুব ভদ্র ভাবেই বললাম আপনাকে একটু বিরক্ত করছি, মানে... এই অব্ধি শুনেই(তখন দশটা পনেরো থেকে কুড়ি হবে)তিনি আমায় কড়া ভাবে বললেন, এখনতো রাস্তায়, অফিস পৌঁছালে বিরক্ত করবেন। আর বলেই ফোনটা কেটে দিলেন। অফিস আওয়ারসে এই অসভ্যতামি ক্ষমার অযোগ্য।
  • M | 59.93.201.45 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৮:১৪415076
  • লাষ্ট দুমাসে নেটের দুহাজারি বিল দিয়ে ক্ষেপে গিয়ে আলিপুর দৌড়ালাম, এবার ওদের কি একটা অফার রয়েছে,কম্বো অফার, BB আনলিমিটেড,আর একশো কল ফ্রি।ঠিকাছে, কিন্তু গিয়েই কি গেড়ো, আমার ফোনটা সুলভ, মানে ফোন আসে, কিন্তু যায় না, সেটাকেও জেনারেল করতে হবে,নীচে, ব্রডব্যান্ডের জন্য বসা সুন্দরী দিদিরা বলেন, দুটোই একসঙ্গে ঠুকে দিন, আর উপরে, AOTR না কি যেন আছে, তেনারা বলেন দুটো একসঙ্গে হয় না,সেকি কান্ড! একবার উপরে ছুটি , একবার নীচে ছুটি,শেষে বুড়ো হাড় যখন ভাজাভাজা, তখন নীচের দিদিরা বললেন, আপনি কমার্শিয়াল অফিসারের সঙ্গে দেখা করুন, তার আগে ঐ TR নাকি, সেখানকার এক রাগী দিদি বলেছেন, কেউ কিচ্ছু কাজ জানেনা,আপনি যেটা আগে প্রয়োজন তার অ্যাপ্লি দিন, এই বলে তিনি আমার ফোনের অ্যাপ্লি ওয়াপস করালেন,তো কমার্শিয়াল অফিসার দিদি(দিদিতে দিদিতে ছয়লাপ)বললেন, মাছি তাড়িয়ে , আপনি দুটোই চোখ বুঁজে দিয়ে যানতো।তো দিয়েই এলুম, আর লোকেরা বেশ ভালোই বললো কিনা ফোন নং নিয়ে যান, আর আসতে হবেনা।

    পরের মাসে মানে এই ফেবের প্রথমে ফোন মারলুম BB তে, আলিপুরে, বললো হয়ে গেছে, অবিশ্যি আমার মোবাতেও এসেমেস ঢুকে গেছে যে ব্রডব্যান্ড আনলিমিটেড হয়ে গেছে। একটা ল্যাঠা চুকলো। এবার রোজ ই ফোন থেকে ফোন করতে যাই আর একটা কড়া গলা বকে দেয় এই বলে যে আমার ফোন থেকে এই সুবিধা নেই।শেষে দশ তারিখ নাগাত আলিপুরে ফোন করলাম,ভালো লোক, বলে দিলেন আপনার অর্ডার বেরিয়ে গেছে, এখনো হয়নি?আপনি জোকাতে কথা বলুন, একজনের নাম ও বলে দিলেন।আমি তার নাম্বার না পেয়ে জোকাতে ফোনালাম ২৪৫৩১০১৬ এ, ওরা বললো এটা ওদের কাজ নয়,২৪৪৭২১৯৭ এ ফোনাতে সেখান থেকে ঠাকুরপুকুরের নাম্বার২৪৯৭৬০১৫, সেখানে জানালো এটা আমাদের এলাকা নয়, গৌড়নগরে ২৪৯৭৩০১০ তে করুন, গৌড়নগর শুনেই আমার হৃৎকম্প শুরু হলো, এখানে এক জড়দগব লোক আছে,কোনো কাজই করেনা, এর আগে জোকায় গিয়ে খুব ঝগড়া করে এসেছিলাম,ওরা একে হাম্পু দিয়েছিলো, তারপর কাজ হয়েছিলো।ওয়েল! ফোনালাম, ফোন নম্বর টাই নেই বলে, আবার ঠাকুরপুকুরকে, কি নম্বর দিলেন? উত্তর: অ! দাঁড়ান, নেপথ্যে, এই গৌড় নগর কি ৩০১০না ১০৩০? না না, আপনি ১০৩০ তে করুন। যাক, এবার বাজছে। সেই হেঁড়ে গলা, শুনলেই মেজাজ খিঁচড়ে যায়। তাও বললাম, বলে কিনা আমরা কি করবো?আমি বললাম তাহলে নাম্বার দিয়ে ফেলুন,মোটামুটি কলকাতার সব এক্সচেঞ্জেই করা হয়ে গেছে অবিশ্যি। লোকটি একটু দয়া বোধ করলো কিনা কেযানে, বললো বেহালাতে ইন্টারনালে কাল গিয়ে দেখা করুন।

    অবিশ্যি চাদ্দিকে চেঁচানোর চোটে কিনা কেজানে, পদ্দিন যখন যাবো তার আগে ফোনিয়ে মানে আমার ফোন থেকে দেখি অপরদিকে রিং হচ্ছে। আর যেতে হয়নি।ক্ষমা করে দেবো কিনা বুঝতে পারছি না।
  • dukhe | 117.194.244.63 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২১:২৩415077
  • করে দিন, করে দিন । ক্ষমা জমিয়ে রেখে লাভ কী ? খরচা করে ফেলুন । সব এক্সচেঞ্জে ফোন করে জানিয়েও দিন ।
  • pipi | 78.52.227.153 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২১:৩৬415078
  • M, গলার জোর এবং টেংরির জোর - এ দুটো দেশে ভীষণ ভীষন জরুরি যদি সোজা রাস্তায় কাজ ওঠাতে চাও। নইলে ট্যাঁকের জোর।
    অবশ্য কাঠের মিস্ত্রী, কলের মিস্ত্রী, জলের মিস্ত্রী, রংএর মিস্ত্রী, ইলেকটিরির মিস্ত্রী মানে মোদ্দা কথায় মিস্ত্রীকুলের কাউকেই কোন ভাবেই কোন অবস্থাতেই উপরে উল্লিখিত ঐ তিনটি বা তিনশোটি জোর খাটিয়েও কাজ করানো যাবে না। ইহা শাশ্বত। ইহা সত্য। অবশ্য কখনো কখনো বিলিতি বিড়ি, বিদেশী পারফ্যুম অথবা বিলাইতি দারু হাতে গুঁজে দিলে কাজটা হতে পারে বটে তবে ইহা ধ্রুবসত্য নহে প্লাস এর সাথে আপিসের বাবুদের টেবিলের নীচে প্যাকেট পাচারের তুলনা টেনে বিড়ম্বিত, দু:খিত বা বিবেক দংশিত হবার একটা সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে।
  • M | 59.93.166.41 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৪:২৭415079
  • :)
  • siki | 123.242.248.130 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৫:২৮415080
  • কলকাতায় কতো চাপ! বাপ!!
  • Bratin | 122.248.183.1 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৬:৩৪415081
  • চাপ সব জায়গা তেই। শুধু শুধু কলকাতা কে দোষারোপ করা কেন অ্যাঁ ??
  • siki | 123.242.248.130 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৬:৫২415082
  • টেস্ট
  • bb | 117.195.170.72 | ১৩ মার্চ ২০১১ ১৩:৫৩415083
  • হায়েদ্রাবাদে ছোটকরে ভাট হল অনেক জ্ঞানীগুনি জনেরা এলেন।
    লা-জবাব দিল্লীর লেখকের সঙ্গে শুধু ফোনে কথাই হোল চাক্ষুষ দেখা হল না। দেখা হল না KD বা কল্লোলের সঙ্গে, বা খাস হায়েদ্রাবাদী শিবাংশুর সঙ্গে, এরপরেও কি আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারব????
  • sda | 117.194.192.69 | ০৪ মার্চ ২০১২ ২৩:৩৪415084
  • ফোনটা যখন এল , ছেলেটি তখন তার অফিসের টেবিলে ব্যস্ত। একটা ব্রেডবোর্ডে গুচ্ছ ইলেক্ট্রনিক কম্পোনেন্ট গেঁথে অসিলোস্কোপের পর্দায় সবুজ রেখার ওঠানামা পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে মন দিয়ে , কিন্তু কোথায় সেই ম্যাজিক প্যাটার্ন যা তাকে রাতারাতি পৌঁছে দেবে পরবর্তী ইনক্রিমেন্টের দোরগোড়ায় ? সকালে কেনা গোল্ডফ্লেকের প্যাকেট অনেকক্ষণ আগে চলে গেছে ট্র্যাশবিনে , বাইরে শীতের সন্ধে নামছে দ্রুত। ঘড়ি বলছে আর ঘন্টাখানেক কাটিয়ে দিলেই আজকের মত মুক্তি। ছেলেটি যখন এই সিদ্ধান্তে প্রায় পৌঁছেই গেছে যে বইয়ে যা যা পড়ে এসেছে এতদিন সব ভুল, ওসব কিস্যু হয়না, এমন সময় ফোনটা এল। স্ক্রিনে যে নাম্বার ভেসে উঠলো তার মালকিনকে সে আগের রাতে হুইস্কির নেশার ঘোরে ফোন করে স্বকন্ঠে বব মার্লে শুনিয়েছে এবং অ্যাজ এক্ষপেক্টেড পরবর্তী সমস্ত রকম কমুনিকেশনের প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে (The number you are calling is switched off. Please try after some time.)। ছেলেটি কিছু না ভেবেই রিসিভ করে।

    - হ্যাঁ বল, কি খবর?
    - (একটু নীরবতা) না:, কিছু না। সারাদিন কোনো ফোন-টোন করলি না তো, তাই।
    - আর বলিসনা , এক বোকা** সার্কিট নিয়ে ফেঁসে গেছি, সব ক্যালকুলেশন ঠিকঠাক, শুধু একটা পয়েন্টে স্কোয়ার ওয়েভের জায়গায় শ-টুথ বেরোচ্ছে। সারাদিন ঐ নিয়ে বসে আছি।
    - ঠিক আছে । তুই ঐ নিয়েই থাক, আমি এখন অফিস থেকে বেরোচ্ছি তাই ভাবলাম- (একটু থেমে) কাল থেকে তিনদিন থাকবো না। ছোটমাসির বাড়ি যাচ্ছি।
    যাগ্গে, শুধু শুধু ডিস্টার্ব করলাম তোকে, সরি।

    ফোনটা কেটে গেল।
    সমঝদার জনতার জন্য ইশারাই কাফি, কে যেন বলেছিলেন। ছেলেটি তার পরের তিরিশ সেকেন্ডে ক্যালকুলেট করে ফেলে যে এখন স্টার্ট দিলে সে পনেরো মিনিটে পৌঁছোবে সল্টলেকের সেই বাসস্টপে যেখানে নেমে মেয়েটি বাস বদল করে বাড়ি ফেরার সময়, এবং সেক্টর ফাইভের জ্যামের কল্যাণে মেয়েটির একটু লেট হওয়ার প্রচুর সম্ভবনা। কম্পু অফ করে টেকনিশিয়ানদের কিছু কাজ বুঝিয়ে দিয়ে পড়িমরি করে বেরিয়ে অটো ধরে উদ্দিষ্ট বাসস্টপে যখন সে নামে তখন মেয়েটি অপেক্ষা করছে (তার মতে, বাসের জন্য। কিন্তু ছেলেটি বিশ্বাস করে না, বা করতে চায় না।)
    যাই হোক, কিছু পরে , যখন ছেলেটি অপরাধবোধে প্রায় নতজানু এবং মেয়েটি ভাবছে এবারের মতো ক্ষমা করলেও করা যেতে পারে, এমন সময় ছেলেটির দিমাগ কি বাত্তি জ্বলে ওঠে। ব্যাগ হাতড়ে বের করে ডেয়ারি মিল্কের একটা প্যাকেট। দাঁত কেলিয়ে বাড়িয়ে ধরে মেয়েটির দিকে।

    - আমার জন্য ? তুই এনেছিস ? সত্যি? (ছেলেটি গিফট নিতে ও দিতে সমান অপছন্দ করে, মূলত: ল্যাদ।)

    এরপর, হে পাঠক, কি আর বলবো। মিনিট পাঁচেক পর যখন তারা দুজনে একই চকোলেটে পর্যায়ক্রমে কামড় দিতে দিতে হাঁটছে
    রাস্তা ধরে কারণ মেয়েটির মতে একই বাস পরের স্টপেজ থেকেও পাওয়া যায় , তখন ছেলেটির মনে চাগিয়ে ওঠে পারফেকশনিস্ট হওয়ার শখ। সেন্টিমেন্টাল সুড়সুড়ি দেওয়ার দুর্জয় লোভ।
    - জানিস আজ সকাল থেকে কি গাধার খাটনি খাটছি। অফিস যাওয়ার আগে গেলাম পোস্ট অফিসে, বাবার একটা স্পিডপোস্ট পাঠাতে।
    - তাই, তারপর ?
    - ওখানে জানিসই তো কিসব ঝাঁ*র নিয়ম, পঁচিশ টাকার স্পিডপোস্টে পঁচিশ টাকাই দিতে হবে, একশোর খুচরো হবেনা। এদিকে আমার কাছে তো খুচরো নেই।
    - এই রে। তার পর ?

    (ভেতর থেকে কে যেন বলছে - থেমে যা, থেমে যা। কিন্তু অ্যাদ্দুর এগিয়ে কি আর থামা যায় ?)
    - তার পর আর কি , লাইনের পরের লোককে কাউন্টার ছেড়ে দিয়ে খুচরো করতে গেলাম পাশের স্টেশনারি দোকানে।
    - তার পর ?
    - এক প্যাকেট সিগারেট নিলাম, বললো খুচরো হবে না। তাই...
    - আর কি নিলি ?
    - একটা ডেয়ারি মিল্কের প্যাকেট।
    - (কয়েক সেকেন্ডের অসহ্য নীরবতা) ও ঐ জন্য ! তাই বলি, তুই কিনবি চকোলেট
    ? তাও আমার জন্য ? আমার আগেই বোঝা উচিত ছিল!

    পাঠক, মেয়েটি ছেলেটিকে যে ক্ষমা করে নাই সে তো স্বাভাবিকই। কিন্তু ছেলেটিও কি নিজেকে ক্ষমা করতে পেরেছে অসময়ে অকারণে আগ বাড়িয়ে সত্যি কথা বলার জন্য?
  • aka | 75.76.118.96 | ০৫ মার্চ ২০১২ ০২:১৭415085
  • হা: হা: হা:।
  • Tim | 198.82.19.177 | ০৫ মার্চ ২০১২ ২১:১১415087
  • :-))))
  • pi | 72.83.76.34 | ০৫ মার্চ ২০১২ ২১:৩৩415088
  • সদা, :))
  • Du | 117.194.203.8 | ০৫ মার্চ ২০১২ ২১:৩৭415089
  • :D
  • byaang | 122.172.194.216 | ০৫ মার্চ ২০১২ ২২:৪২415090
  • বাবারে সদা, হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল।
  • Tim | 198.82.19.177 | ০৫ মার্চ ২০১২ ২২:৪৭415091
  • সদা দু:খু করিসনে! একটা ডেয়ারি মিল্ক নষ্ট হলো তো কি! বেঁচে থাগলে আবার ডেয়ারি মিল্ক হবে।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৫ মার্চ ২০১২ ২২:৪৮415092
  • :))
  • sda | 117.194.193.252 | ০৫ মার্চ ২০১২ ২২:৫৬415093
  • :)
  • Suvajit | 59.177.196.92 | ০৬ মার্চ ২০১২ ০০:২৫415094
  • সদা :-)
    আজকাল খুব মহাভারত পড়ছি। তো এই জন্যই মহাভারতে কৃষ্ণের উপদেশ,
    সত্যস্য বচনং সাধু ন সত্যাদ্‌বিদ্যতে পরম্‌।
    তত্বেনৈব সুদুর্জ্ঞেয়ং পশ্য সত্যমনুষ্ঠিতম্‌।।
    ভবেৎ সত্যমবক্তব্যং বক্তব্যমনৃতং ভবেৎ।
    যত্রানৃতং ভবেৎ সত্যং সত্যঞ্চাপ্যনৃতং ভবেৎ।।
    বিবাহকালে রতিসম্প্রয়োগে
    প্রানাত্যয়ে সর্বধনাপহারে।
    বিপ্রস্য চার্থে হ্যনৃতং বদেত
    পঞ্চানৃতান্যাহুরপাতকানি।।

    সত্যি বলাই ঠিক কিন্তু যেখানে মিছে কথা বললে লাভ আর সত্যি কথা বললে ক্ষতি সেখানে মিছে কথা বলাই উচিৎ। বিয়েতে, রতির সময়, প্রাণসংশয়ে, সর্বস্বনাশের সম্ভাবনা হলে আর ব্রাহ্মনের উপকার করতে গেলে, এই ৫ অবস্থায় মিছে কথা বললে পাপ হয় না। :-)
  • Abhyu | 78.117.214.27 | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ১১:৪১415095
  • হুম
  • Abhyu | 179.237.31.253 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২৯415096
  • name: ম mail: country:

    IP Address : 183.17.193.253 (*) Date:26 Nov 2014 -- 06:24 PM

    আমার ক্লাসে বই পড়ার গপ্পোটা অতি হৃদয়বিদারক। ক্ষমা করিনি কলামে যাবে।সিক্সে অংক ক্লাশে বইয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে একটা অতি সুভদ্র লেখা (মার্চেন্ট অফ ভেনিস) পড়ছিলাম- অংকের ছবি দি যাহোক অপমান তো করলেনই, বড়দির ঘরেও যেতে হল।
    গার্জেন কল হওয়ায় বাড়ি ফিরে মার কাছে অনেক্গুলো ক্লকওয়াইজ/ অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ কানমলা খেলাম- এত অপমান সয়েও বাজেয়াপ্ত বই ফেরত পেলাম না।

    এদিকে সে বই সোমা তার জন্মদিনে উপহার পেয়েছিলো- বই ফেরত দিতে না পারায়( বাড়িতে বইটা কিনে দিতে বলার সাহস পাইনি, এমনকি পাছে অপরাধ আরো বাড়ে এই ভয়ে ছবিদি বইটা আপন করে নিয়েছেন সেটাও বলিনি।) সোমা আমার এহেন অপরাধে খুব রেগে গিয়ে বাড়িতে এসে জন্মদিনে পাওয়া আম আঁটির ভেঁপু নিয়ে চলে গেলোঃ((

    সেই রাগেই আমার আর ছবিদির ক্লাশে বীজগণিত শেখা হলো না। ওনাকে এখনো বইচুরির কারণে ক্ষমা করিনি।
  • 9 | 109.172.117.250 | ২৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:১২415098
  • তুলে দিলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন