এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ক্ষমা করিনি

    Ishan
    অন্যান্য | ২৯ জুলাই ২০০৯ | ৯৪৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 144.160.5.25 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৪:০৪415170
  • আমি এখনও বিলেত যাইনি। কিন্তু যা বুঝলাম, বিলেতের বাথরুমরা অতি বেয়াড়া টাইপের। ব্যপারটা খেয়াল রাখতে হবে।

    কিন্তু সত্যি বলছি, বাথরুমের স্কাইলাইট দিয়ে কাউকে বেরোতে দেখলে আমি নির্ঘাৎ ভাবতাম কাউকে খুন করে পালাচ্ছে। বাথরুমের ভেতরে নিশ্চিতই কোন ডেডবডি আছে।
  • h | 206.195.19.49 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৪:১৮415171
  • দমুর মনে ব্যাপক কু। একটা লোক দরজা ছাড়া যে কোনো জায়গা দিয়ে বেরোলেই যদি ভাবে সে পলায়নপ্রবৃত্ত এবং হত্যাকারী তাইলে চাপ। যেমন আমার মেজকাকা আর মেজকাকী, বাবাকে আর বড় কাকএ ভয় পেতেন বলে, রেগুলার নাইট শো তে সিনেমা দেখতে যেতেন ও ফিরতেন, জানলা দিয়ে। দুটো শিক আলগা করা ছিল। পাড়ার বিশ্বাসী মেজকাকার অনেক দিনের বন্ধু চোর যতিন কাকু ছাড়া সে কথা কেউ জানত না। গাঁজা চরসের জন্য অল্প কিছু নিয়ে চলে যেত। বেশি কখনো লোভ করে নি।

    এছাড়া ধর কেউ এভারেস্টে উঠলো। বেস ক্যাম্পের পরে কোন দরজা পায় নি। মাঝে মাঝে তুষার ঝড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছে, পাথরের ফাঁকে বসে। টঙে উঠে সবে সে পতাকা হাতে ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, এমন সময়ে দমু এসে বল্লো, এই যে, ক পিস মারলেন, আপনার আই পি দ্যাখান। ভাবা যায় না, এই নিষ্ঠুরতা, সাধে পুনার কেউ কখনো এভারেস্টে ওঠে না।
  • d | 144.160.5.25 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৪:২৮415173
  • *দু তিনমাস
  • d | 144.160.5.25 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৪:২৮415172
  • :)))
    একিরে!! কিচ্ছু জানে না ..... এইতো দু তিনমা আগে একটা মেয়ে এভারেস্টে বেরিয়ে এলো। তাকে নিয়ে ইশকুলে কলেজে ইউনিতে কি মাতামাতি!

    কিন্তু ঐ প্রথম কেসটায় ইন্ডো কি বাথরুম নুংগা রেখেই চলে এসেছিলি? নাকি সেই স্বর্ণকেশীই ফ্ল্যাশটা ..... ?
    :-P
  • h | 206.195.19.58 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৫:৪৬415174
  • খোঁজ নিয়ে দ্যাখো, কিছু এক্সট্রা শেরপা নিয়ে গেছিল, কেলকার ম্যুজিয়ামের হাতির দাঁতের দরজা গুলো টং অব্দি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। জাস্ট অথেন্টিসিটি টা ধরে রাখার জন্য। পপুলার পার্সেপশন নিয়ে ছেলে খেলা করা উচিত না, মাটিতেও না টঙেও না।
  • vikram | 193.120.76.238 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৬:০৮415175
  • অসমাপ্ত অতলান্তিক

    অতলান্তিক মহাসাগরের পাড়ে, সেই একজন, যার নাম কিনা বলা যাবে না, সে শহুরে সভ্যতার সস্তা উত্তেজনা থেকে সুদূরে যাবে বলে জলকেলি অন্তে বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে মদ খাচ্ছিলো। সস্ত্রীক। সবান্ধব। সমুদ্রের ধারে পরপর চারটে বাড়ি - বাইশ, তেইশ, চব্বিশ, পঁচিশ - যার প্রথম তিনটে ভাড়া নেওয়া হয়েছে আর চার নম্বরটা ফাঁকাই পড়ে আছে। একেকটা কামরায় জনা তিনেক শুচ্ছে - ফলে সেই যার নাম বলা একেবারেই বারণ, তারা দুজনে ও এক বান্ধবী, ইনসিডেন্টালি সেই মুহূর্তে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কন্যা, একটি কামরাতেই সপ্তাহান্তের জন্য আবদ্ধ। এদিকে বোতল আসে,যায়, যায়, আসে - এমন এক চক্রবৎ পরিস্থিতিতে সেই বৌ, মনে করি তার নাম বিনীতা, সে আড়াইটে নাগাদ ক্ষান্ত দিয়ে বললো, আমি শুতে গেলাম। শিভালরি, স্ত্রীর মর্য্যাদা ইত্যাদি কারণবশত: স্খলিতপায়ে জ্যোৎস্নাস্নাত পথে তারা বাইশ থেকে চব্বিশ নম্বরের দিকে মহাযাত্রা শুরু করলো। অকুস্থলে দেখা গেলো সদর দরজাটা কেন জানি খোলা, আর ভেতরে কোথাও কোনও মালপত্র নেই। বর বললো বোধ হয় চোর এসেছিলো, কালকে উঠে ব্যবস্থা করছি। বৌ বললো হ্যাঁ তাই হবে। কাল দেখা যাবে। সুতরাং সুষুপ্ত স্ত্রীকে পশমের চাদরে আবৃত করে স্বামী তার ডেরায় পুন:প্রতিষ্ঠিত হলো। পৌনে চারটে নাগাদ বীয়ার ফুরিয়ে যেতে ভাবের ঘরে টান পড়লো, তাছাড়া বিভিন্ন আর্থসামাজিক কারণে তখন মদের দোকানগুলি বন্ধ, সুতরাং উপায়ান্তর না দেখে সকলেই সকলকে শুভরাত্রি করত: অপসারিত হলো। গোপাল চব্বিশ নম্বর বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করে সানন্দে লক্ষ্য করলো যে চোরে মালপত্রগুলি ফিরৎ দিয়ে যথাস্থানেই রেখে গেছে, চিন্তার কোনও কারণই নেই, কিন্তু তার বঁধূ, রাগ করেছে, কথা সে আর কইবে না, করেছে আড়ি, এবং সে ডবোল বেডটি পরি পূর্বক ত্যাগ করে তার পার্শ্বস্থিত সিঙ্গল বেডে থমথমে ও উপুড় অবস্থায় নিদ্রিতা। অত:পর মানভঞ্জন শুরু হলো, বিনীইতা, বিনীঈঈতা, বিনি, গুলুগুলুগুলু, রাগ করে না ইত্যাদি জড়ানো গলায় শোনা যেতে লাগলো এবং কপাল, দাই নেম ইজ গোপাল, এই বাক্যটিকে স্মরণ করে সে সিঙ্গল বেডের মখমলি কম্বলের অভ্যন্তরে প্রবিষ্ট হলো। ভুমন্ত মনুষকে জাগানো মহাপাপ, কিন্তু এই কঠিন বিপদে সিচুয়েশানটা একটু ইমৌশানালি হ্যান্ডেল করার আশু প্রয়োজন, ফলে গোপাল তার নিজের ডিফেন্সে অল্প কিছু বক্তব্য রাখতে গেলো এবং তৎক্ষণাৎ বিনীতা ধনুকের ছিলার ন্যায় ছিটকে উঠে ম্লেচ্ছ, অশ্রুতপূর্ব বদরাগী কন্ঠে প্রতিবাদে গর্জ্জে উঠলো ''ম্যায় বিনীতা নহী হুঁ!'' বোঝা গেলো, এ রাগ এ রাতে পড়ার নয়। আরও বোঝা গেলো যে গোপাল ঐ সিঙ্গল বেডে, মোলায়েম করে বললে, আনওয়েলকাম। দু:খ, হতাশা ও মৃদু বিরক্তির সাথে সে ''ওকে বিনীতা। গুডনাইট। কালকে কথা হবে।'', বলে ডবল বেডে তেরচা করে শুয়ে কোনাকুনিভাবে ডাউন অ্যান্ড আউট হলো। পরদিন সকাল দশটায় ঘরে মহা হুলুস্থুলু। যে যেভাবে পারছে বকা দিচ্ছে। স্ত্রী এসে বলছে মদ্যপ! তোমার লজ্জা নাই? গভীর রাতে বৌকে পঁচিশ নম্বরে ত্যাগ করে যাও - দায়িঙ্কÄজ্ঞানহীন অপদার্থ। বান্ধবী বলছে তুঝকো কল ক্যা হো গয়া থা - পাগল হো গয়া থা ক্যা শরাব পী কে! বাকিরা বলছে পুরো গল্পটা বোধ হয় কোনওদিনই ঠিক জানা যাবে না, তাই না? এইসব।

    পরের কথা:
    তিরস্কৃত গোপালের মনে সংসারের এই জটিলতা অবলোকন করে প্রবল বৈরাগ্য এলো ও সে ঘর সে বেরিয়ে অতলান্তিক মহাসাগরে প্রবেশ করলো। অব্যবহিত পরে একটি ঢেউয়ের ঝাপটায় তার চশমাটি সাগরসলিলে লীন হলো। সেই রাতে, বাইশ থেকে চব্বিশ, সবাই সব ঘরে চাবি বন্ধ করে শুলো, কেননা চশমাহীন জগতে নাকি স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা অতি প্রবল। এই সাবধানতা অবলম্বন করায় আর কিছু ঘটেনি বলেই শোনা যায়। কিন্তু ক্ষমা - কেহই কাউকে করে নি।
  • h | 206.195.19.49 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৭:৪৮415176
  • গুলুগুলুগুলু টা বেস্ট। ব্রিলিয়ান্ট।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৭:৫৫415177
  • পাট্টিকুলারলি ওটাই কেন বেস্ট লাগলো সেটা নিয়ে কোশ্চেন করলে হনু আমারে ক্ষমা করবে না।
  • r | 125.18.104.1 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৮:০৬415178
  • হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা......
  • h | 206.195.19.49 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৮:১০415180
  • এঁড়ে সাহিত্যে বুজলে কমপ্যাসনের চেয়ে বড় কিসু নাই। কমপ্যাসন। বটতলার নারীর গুপ্ত কথার মতই, মাতালের মুক্ত কথা একাধারে কৌতুকী ও মানবিক। অতলান্ত মাতালের সঙ্গে সংবেদনশীলতার প্রতিযোগিতায় কোনো সুস্থ লোকের পেরে ওঠা সম্ভব নয় এটাও জেনে রেখো। তোমার তো এ লাইনে তঙ্কÄ চর্চা ছাড়া গতি নাই। ঈশ্বর যেদিন পোস্নো করবেন, বৎস তুমি কবার মাতাল হইয়াছো, সেদিন যদি বল একদিনো না, তখন ভদ্রলোক যখন খ্যা খ্যা করে হেসে উঠবেন, তখন বুঝবে। ভগবানের ভয় দেখালাম, এহন যদি একটু চেখে দ্যাকো। তুমি আবার যা হয়তো বর্তমান পড়তে আরম্ভ করলে মন দিয়ে।
  • h | 206.195.19.49 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৮:১২415181
  • বা-রা কেন ঘ-দের ক্ষমা করেনি সেই বিষয়ে তোর এস্ট্যাবলিশড এবং ওয়েল রেফার্ড পেপারটা কী এইখানে পাওয়া যাবে, ভিকি?
  • vikram | 193.120.76.238 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৮:২০415182
  • সেইটা সৈকত বাঁড়ুয্যের কাছে। সেটাকে সে অ্যালেজেডলি রো পূর্বক মন্থন করছে।
  • r | 125.18.104.1 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৮:২১415183
  • "বাঙাল"টাই শ্লীল শোনাত।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৮:২৭415184
  • মাতালের কথা উঠলোই যখন তখন এট্টুস আম্মো লিখি -

    নটিংহ্যামে গেছি - ই-সায়েন্সের বাৎসরিক মোচ্ছবে - মানে ইউকে ই-সায়েন্স অল-হ্যাণ্ডস কনফারেন্সে। খাই দাই, মাঝে মাঝে কনফারেন্স হলে বসে ঝিমাই। আর সন্দেবেলা নিউক্যাসলের সব ব্যাটা মিলে সিটি সেন্টারে ঘুরতে যাই, রাতে খেয়ে দেয়ে ফিরি। কনফারেন্স ডিনারের মতন অখাইদ্য কিছু হয় না।

    তো এরকম এক দিন আমরা কয়জনা মিলে গেলুম কি একটা বেশ নামকরা পাব-চেইন আছে - উইদারস্টোনস না কি - ভুলে গেছি - সেখানে। সবাই বীয়ার-খোর, আমি বাদে। কেউ বিটার, কেউ লাগার - এই সব অর্ডার করে। নিক্‌ বলে আমাদের সাথে একজন ছিলো - আমাদের রিসার্চ গ্রুপেরই - পাক্কা জর্ডি, নিউক্যাসল ইউনাইটেড ফ্যান আর বীয়ার-অথরিটি। তাকে আমি জিগ্গেস করলুম - এই যে তোমরা বলো অমুক পাবে বীয়ার ভালো, তমুক পাবে অত ভালো নয় - সবই তো তোমার ওই ফস্টার বা করোনা ইত্যাদি - মানে ব্র্যাণ্ডেড - তো তার আবার ভালো খারাপ কি করে হয়?

    নিক্‌ প্রচুর এন্থু নিয়ে আমাকে বোঝালো - বীয়ার কি করে রাখা হয়, তার সেই আণ্ডারগ্রাউণ্ড ট্যাঙ্ক পরিস্কার করার সাথে বীয়ারের কোয়ালিটি কিভাবে সমানুপাতিক - ইত্যাদি - প্রায় আধ ঘন্টা ধরে। আমি প্রচুর মাথা টাথা নাড়লুম। তাপ্পর কাউন্টারে গিয়ে অর্ডার করলুম একটা বড় কোক আর একটা বাকার্ডি ব্রীজার (অরেঞ্জ)। নিক অসম্ভব হতাশ হয়ে বল্ল - আমি এত জ্ঞান দিলুম, সেটার মানটা রাখলে না? আমি ভালো মানুষের মতন মুখ করে বল্লুম - কি করি বলো, আমার যে পচা বাদামের গন্ধ লাগে।

    এই নিক্‌ মনে হয় আমাকে কোনদিন ক্ষমা করেনি, আর বীয়ার বস্তুটির প্রাণ থাকলে সেও মনে হয় করতো না।
  • r | 125.18.104.1 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৮:২৮415185
  • তবে গু:গু:গু: "কম প্যাসন" না "বেসি প্যাসন" সেটি নিয়ে লেখক এখনও নিস্‌চুপ।
  • tanB | 196.43.68.119 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৯:২৪415186
  • ক্লাশ টুয়েলভ, দুভাই আর দিদি এক ভাড়া করা গুদাম ঘরে থাকি। দরজা জানলার পাশাপাশি অবস্থান।দিনের বেলায় রোদ ও ঢুকতে ভয় পায়। "বিদ্যুত" বাবুর স্থায়িত্তের জন্য বাবা ওখানে পাখা রাখা উপযুক্ত মনে করেনি।এক গ্রীষ্মের দুপুরে গুদামের পাশেই বাবার বন্ধুর দোকানে "বিদ্যুত" সাহেবের অসহনীয় অনুপস্থিতিতে কাগজ পড়ার চেষ্টা করছি, বাবার বন্ধু বল্লেন কী অসহ্য গরম, তার উত্তরে বল্লাম ঠিক বোলেছেন কিন্তু আমরা এসবে অভ্যস্ত হোয়ে গেছি।

    বাবার বন্ধু রেগে গিয়ে বল্লেন খুব বড় হোয়েছ, বাবাকে বলছি।

    বাবাকে বোলেছেন, আমি আজ ও কেও গরম পোড়েছে বোল্লে স্বর্গত ওনাকে স্মরন করি এবং ক্ষমা না
  • h | 206.195.19.59 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৯:৪৫415187
  • ;-) :-)))))))))))))))
  • ranjan roy | 122.168.68.168 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ০১:৪৭415188
  • আমি ক্ষমা করিনি
    --------------------
    ১৯৭৭এ এমার্জেন্সি উঠে গিয়ে ইলেকশান ঘোষিত। ফলে ইউনিভার্সিটির পরীক্ষার স্কেডিউল প্রায় তিন মাস পেছুলো। ইকনমিক্সের এম এ ফাইনালে গাদাগুচ্ছের অপ্‌শনাল পেপার। ফলে শেষ দিনে আমরা সাতজন যখন ম্যাথমেটিক্যাল ইকনমিক্সের পেপার দিচ্ছি তখন কলেজ বিল্ডিং প্রায় খালি, শুনশান। আমার সেতারি-তবলিয়া বন্ধু বাচ্চু( যে কোলকাতা থেকে বোটানি অনার্স করে ছত্তিশগড়ে এসে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েছে এবং থার্ড ইয়ারে এসে ম্যাথসের পেপারে দু'বছর ধরে হাবুডুবু খেয়ে আমার ল্যাজ ধরেছে)
    কলেজে ঢোকার মুখে আমাকেআটকে তার প্রেমের সমস্যা শোনাতে লাগলো। আমি ইশারা করছি যে আমার সময় হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও কোশ্চেন পেপার দেয় নি বলে ও চালিয়ে যাচ্ছে। যাকগে, তারপর ছাড়া পেয়ে একবার বাথরুমে ঢুকলাম। খাল্লাস হয়ে বেরুতে গিয়ে দেখি মহা গেরো। দরজা কেমন করে লক হয়ে গেছে। বর্ষায় ফুলে আটকে গেছে। দরজায় লাথি মারছি, চেঁচাচ্ছি। কেউ নেই, বাথরুম আর পরীক্ষার হল বেশ দূরে দূরে। ধারেকাছে কেউ নেই।
    প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে কলেজের রেজিস্টার এবং হেডক্লার্ক গল্পো করতে করতে বাথরুমে এলেন। আমার পরিত্রাহি চীৎকার-- আমাকে বাঁচান!
    ওরা বাইরে থেকে লাথি মেরে দরজা খুল্লেন। আমি দৌড়ে পরীক্ষার হলে। একঘন্টা হয়ে গেছে, আমাকে ঢুকতে দেয়া হবে না। রেজিস্টারকে সাক্ষী ধরে প্রিন্সিপালের থেকে স্পেশাল পারমিশন নিয়ে হলে বসলাম।
    দ্বিভাষী মোটা প্রশ্নপত্র দেখে মাথা ঘুরে গেল। প্রথম পাতায় সোজা প্রোবাবিলিটির প্রশ্ন দুটো চোখে পড়লো না। লার্জ স্যাম্পল এর বড় ক্যালকুলেশনের বড় অংক, পয়সন ডিস্ট্রিবিউশন এইসব হাবিজাবি করে তিনটে প্রশ্ন নামালাম। তরপ্র খাতা কেড়ে নিল। টাইম আপ। দুটো প্রশ্ন তখনো করার ছিলো।৬০ উত্তর দিয়ে ৫৯ পেলাম। অন্য এক পেপার খারাপ গেল। তিন নম্বরের জন্যে প্রথম শ্রেণী মিস করলাম। রিসার্চ করার স্বপ্ন ধুলিসাৎ। গ্রামীন ব্যাংকে জয়েন করলাম। ব্যাংকের সুদের হিসেব এমনিতেই অসহ্য। কলেজের প্রফেসর হওয়া হলনা। সেই মেয়েটিও বিয়ে করতে রাজি হলনা।
    বিকেলে আমার ছড়ানো শুনে বাচ্চু চুপ করে থেকে বল্লো-- এইসব ফ্যাকড়া বোধহয় আমার দোষে হল। আমি সান্ত্বনা দিয়ে বল্লাম-- না, না, কেন মিছিমিছি নিজেকে দোষ দিচ্ছিস? দোষতো দরজাটার, মানে কলেজের ম্যানেজমেন্টের ।
    ও শান্ত হয়ে আবার ওর প্রেমের সমস্যা শোনাতে লাগলো।
    ক্ষমা করিনি দুজনকে।
    বাচ্চুকে, ও নিজেকে।
  • shyamal | 24.117.233.39 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ০৪:৪৩415189
  • কে কাকে ক্ষমা করল অথবা করলনা তা বলছিনা, তবে গল্পটা এই গোত্রের।
    আমরা সাত আট জন মদ্দা নায়াগ্রা ফলস দেখতে গেছি। তা ঘোরা টোরা হল, মেইড অফ দা মিস্ট বোট রাইড নেওয়া হল। তারপর খিদে পেয়েছে। আমাদের একজন আছে, সে পারলে ইন্ডিয়ান খাবার ছাড়া খাবেনা আর তাকে মঙ্গল গ্রহে পাঠালেও দেখা যাবে ঠিক একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরান্ট থেকে মুখে মৌরি আর চিনি দিয়ে বেরোচ্ছে।
    নায়াগ্রা ফলস ঐটুকু শহর, কিন্তু ঠিক রেখা নামক একটি রেস্টুরান্ট পাওয়া গেল। বিকেল তিনটেয় আর কোন খদ্দের নেই কিন্তু বাফে খোলা আছে। পুঁচকে রেস্টুরান্ট, আমরা বসতেই আদ্ধেক ভরে গেল। আমরা খাচ্ছি আর বলছি , শালা গুজু না মাউরা, কি যা তা রান্না করেছে। এটাকে তন্দুরী চিকেন বলে? ভিন্ডির তরকারীটা অখাদ্য। দেখেছিস, গোট মীট বা ল্যাম্ব নেই বাফেতে। শালা কিপটে বাটার চিকেন দিয়ে সেরেছে। এর চেয়ে পিত্‌জা হাটে খেলেও ভাল হত।
    তখন মালিক-কাম-ওয়েটার-কাম-বাসবয় এসে বলল, রসমালাই হ্যায়। আপলোগোঁকো দুঁ?
    আমাদের তপন ( নাম পাল্টানো) সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, নো নো, উই এট সো মাচ। উই আর ফুল। দা ফুড ওয়াজ ডেলিশাস।
    মালিক: লেকিন রসমালাই বাফে মেঁ আতা হ্যায়।
    তপন: ও: তব লাইয়ে লাইয়ে, জরুর লাইয়ে।
    তপনের ১৮০ ডিগ্রি ঘোরা দেখে আমরা হাসি চাপতে পারলামনা।

    পয়সা দিয়ে আমরা বেরোব, তখন মালিক বলে, আপলোগ সব অরিজিনালি কলকাত্তাকা হ্যাঁয়?
    হাঁ , কিঁউ?
    হামলোগ কলকাত্তামেঁ থে, পন্দরা সাল।

    এর থেকে একটা লেসন নিয়েছি, যে কোন অবাঙ্গালি হোক, সে আমেরিকান হলেও, বাংলা জানেনা এটা ধরে নেওয়া বিরাট ভুল।
  • M | 59.93.165.226 | ০১ আগস্ট ২০০৯ ১১:৩১415191
  • উ: কি ভালো টই, আমারতো পাতা ভরে ফেলতে ইচ্ছা করছে, আপাতত: একটাই, তাহলো গালি খেয়ে গালি দিতে গেলে সে পোষ্ট ঝেপে দেওয়া কিছুতেই ক্ষমা করিনি, আর ও পাতার জন্য এ পাতায় রাগ ঝাড়লে আমায় কেউ ক্ষমা না কল্লে আমার কাঁচকলা।
  • anaamik | 59.164.101.53 | ০২ আগস্ট ২০০৯ ১২:৪৮415192
  • ঐশ্বর্যা রাই অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করে ফেলার জন্যে আমরা কয়েকজন সহপাঠী আজো শ্রীধরকে ক্ষমা করি নি।

    ফিন্যান্‌শিয়াল অ্যাকাউন্টিং ক্লাসে রেভিন্যু রেকগ্নিশন নিয়ে আলোচনা ঘুরতে ঘুরতে চলে গিয়েছে প্রফেশ্যনাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে কখন সার্ভিস-টা দেওয়া হয়েছে বলে ধরা হবে সেই তর্কে। এমন সময়ে শ্রীধরের 'প্রশ্ন পেল' । 'Prof, if Ash works in x movies and ... (চোখাচোখি হতে প্রফেসর শ্রীনিভাসন ইঙ্গিতে চুপ থাকতে বললেন) '...and x/2 are completed,hmmm no, she works in 2x movies and x of them are on the floor ...' (প্রায় সমস্ত ক্লাস নড়েচড়ে বসলো) '...no, let's step back. say she works in 4x movies, 2x of which are complete, x of them are on the floor ... blah blah blah (সমস্ত ক্লাস তখন এক মনে সাঙ্ঘাতিক দু:স্বপ্নের লিস্টি বানাচ্ছে - নাগাসাকি, চের্নোবিল, আউশ্‌উইৎজ্‌, নিজের কোম্পানির আই টি প্রজেক্ট ম্যানেজার ... ) প্রায় দেড় মিনিট বাদে শ্রীধর দম নেওয়ার জন্যে একটু থামতেই প্রফেসর শ্রীনিভাসন বললেন - Sridhar, let's say Miss Rai works in N number of movies. What is your question again?

    আর কোশ্চেন? সমস্ত ক্লাস বানভাসি হাসিতে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেলো।

    আমাদের কয়েকজনের ধারণা এই কথোপকথন জানতে পেরেই ঐশ্বর্যা ঝট্‌পট্‌ মিসেস বচ্চন হয়ে গেলো। নইলে ...
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৪ আগস্ট ২০০৯ ০৪:৫৯415193
  • অসীমের মতন স্পোর্টিং প্রেমিক আমি খুব কম দেখেছি। অসম্ভব দ্রুততায় অসীম মেয়েদের প্রেমে পড়ত। শেষ অব্দি একটা প্রেমও স্টার্ট নেয়নি। কিন্তু তাতে ওর প্রেমে পড়া আটকাত না। একতরফা। তাও।

    যেটার কথা আমাদের সবথেকে বেশি মনে আছে সেটা হল চৈতালী বলে একটা মেয়ের প্রেমে অসীম বেশ কিছুদিন হল পড়েছিল। পড়েছিল মানে পড়েই ছিল। আমরা ইউনিভার্সিটিতে ঢুকলেই কম্পালসারিলি অসীমের প্রেমের প্রোগ্রেস রিপোর্ট শুনতাম আর নিজেদের জ্ঞানবুদ্ধি মতন পরামর্শ দিতাম। যেমন, অসীম বলল, 'আজ মাইরি হাউজিং-এ ব্যাডমিন্টন খেলছিল চৈতালী। আমি আর কী করব, ওর ভাইকে ডেকে ধনেশ পাখি দেখালাম"। ধনেশ পাখি? বেহালার হাউজিং-এ? অসীম বলল, "ঐ নামটাই সবথেকে অ্যাপ্রোপ্রিয়েট মনে হল।" একদিন হয়তো বলল, "একটা ছেলে শালা চৈতালীকে ছক করছে। মালটাকে পকেটমার বলে বাস থেকে নাবিয়ে কেলিয়ে দেব?" তো এইরকম চলছে।

    একটা সেমেস্টার পরীক্ষার সকালে দেখি অসীমের মেজাজ বিলা। "কাকা, আজ সব শেষ। সকালে শালা এমনিই মেজাজ খারাপ - সেমেস্টারে ৩২ আস্কিং - বাজার থেকে ফিরছি, চৈতালীর বাপ ধরেছে। রোজই ধরে, আর রোজই এক প্রশ্ন। কি অসীম, বাজার গেছিলে নাকি? বাঁ... দেখছ সক্কালবেলা হাতে থলি, বাজার যাব না তো কি বেশ্যাবাড়ি যাব। তাও চৈতালীর বাপ বলে গম্ভীর হয়ে বললাম, হ্যাঁ বাজার। তখন বলে কেমন বাজার হল? বাজার আবার বালের কেমন হবে? বললাম, ভালোই। মাছ কিনেছো? হ্যাঁ। জিগেস করে, কী মাছ কিনলে। আমার বাঁ... আজ অ্যায়সা মটকা গরম হয়ে গেল, বলে দিয়েছি, তিমিমাছ কিনেছি। সস্তায় দিচ্ছে। তাড়াতাড়ি যান। এখনও আছে।"

    চৈতালী বা তার বাবা কেউই, এভিডেন্টলি, অসীমকে ক্ষমা করেনি।
  • dipu | 59.164.98.242 | ০৪ আগস্ট ২০০৯ ০৬:২৭415194
  • :-))
  • ranjan roy | 122.168.27.112 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ০১:১২415195
  • খ্যা-খ্যা-খ্যা-খ্যা।

    বছর ১৫ আগে একটি জুনিয়র ছেলে আমাকে বল্লো-- আপনি সত্যি দহেজ নেন নি? আরে বিয়েতে কিছু একটা তো নিয়েছিলেন। মেয়ের বাবাকে কি বলেছিলেন?
    --- আমার কিছুই চাইনা। শুধু আপনার মেয়েকে দু'বছরে একবার বাপের বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়ে ডেন্টিং-পেন্টিং, কমপ্লীট overhauling করিয়ে ফেরৎ পাঠাবেন।
    সবাই দাঁত বের করলো।
    কয়েক মাস পর, সেইছেলেটি এসে আমাকে বল্লো-- আমার বাবা আপনাকে বিকেলে চা' খেতে ডেকেছে।
    -- কেন ?
    -- আরে, কাল পাত্রীপক্ষ আমাকে দেখতে এসেছিল।
    আমি আপনার চেলা। গুরুমন্ত্র মনে পড়লো। তো মেয়ের বাপকে বলেদিলাম ,মাঝে মধ্যে মেয়েকে ডেন্টিং-পেন্টিং করে যেন ফেরৎ পাঠান।
    ওরা গোল গোল চোখ করে আমাকেদেখে চলে গেলো।
    বিকেলে বাবা জিগ্যেস করলো--এটা কি হল?
    আমার এক সিনিয়র শিখিয়েছেন।
    --তাঁকে বিকেলের চায়ের নাম করে ডেকে আন।
    আমি রেগেগিয়ে বল্লাম-- আমি কোন মূর্খের গুরু নই। আর ওদের বাড়ি গেলাম না।
    ছেলেটা, ওর বাবা, কেউই আমাকে ক্ষমা করতে পারেনি।
  • rokeyaa | 203.110.246.230 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ০১:৪৩415196
  • ১৪০৮।
    ভূতের সিনিমা বলে লোকে জোর করে দেখালো। ম্যাগো!
    বার্ন আফটার রিডিং।
    এটা থ্রিলার ভেবে নিজেই জোর করে দেখলাম। কিন্তু কমেডি, না সিরিয়াস, নাকি থ্রিলার, নাকি আর্ট ফিলিম, বুঝতে পারলাম না।
    আমাকে ক্ষমা কোরো, হে চলচ্চিত্রেশ্বর!
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ০৭:০৭415197
  • আমার এক বন্ধু, ধরা যাক তার নাম কাল্টু। তিলে খচ্চর বললে ওকে একটু প্রশংসাই করা হয়। সে যাই হোক। আমরা তখন বেশ বড়, মানে মাধ্যমিক হয়ে গেছে। পাড়ায় নতুন প্রতিবেশী এলেন। শোনা গেল কোন এক সাহেবী কোম্পানীতে কাজ করতেন, বেশ সাহেবী হাবভাব আর মেজাজ। রোজ সকালে ওনাদের আহ্লাদী কুকুরকে নিয়ে মর্ণিং ওয়াকে বেরতেন। একদিন নাকি সকালে কাল্টু ওনাদের সাথে আলাপ করতে গিয়েছিল। ভদ্রলোক নাকি মাধ্যমিক, পড়াশোনা ইত্যাদি নিয়ে কাল্টুকে একটু বেশিই চেটে ছিল। সেদিন ঠেকে এসে প্রচণ্ড খিস্তি দিল। আর বললে কাল সকালে পারলে আসিস মজা হবে। এহেন মজা না দেখে ছাড়া যায় না। সকালে উঠে বেরলাম। দেখি কাল্টু একটা সুতো নিয়ে অপেক্ষা করছে। ওদিকে দেখলাম সেই দম্পতি কুকুর নিয়ে আসছেন। কাল্টু ওদের দেখেই দড়িটা হাই ড্রেনে ফেলে আসতে আসতে টানতে টানতে ওনাদের দিকে হাঁটতে লাগল। কাছাকাছি আসতেই হাসিমুখে জিগ্যেস করলে 'কাকু ভালো আছেন?' ভদ্রলোক কিঞ্চিত অবাক হয়ে জিগ্যেস করলেন 'হাই ড্রেনে সুতো ঝুলিয়ে কি করছ'? কাল্টুর অম্লান বদনে উত্তর 'চ্যাং মাছকে মর্ণিং ওয়াক করাচ্ছি'। ভদ্রলোক: 'মানে?'। কাল্টু: 'এই কালই একটা চ্যাং মাছ পুষেছি, সেটাকে একটু মর্ণিং ওয়াকে নিয়ে এসেছি'। না সেই দম্পতি পাড়ার আর সবাইকে ডেকে পাঁঠার ঘুগনি খাওয়ালেও কাল্টুকে খাওয়ান নি। ক্ষমা যে করেন নি বলাই বাহুল্য।
  • shyamal | 24.117.233.39 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ০৯:৩০415198
  • এটা সত্যঘটনা নয়, চুটকি।
    স্বামী স্ত্রী দুজনেই বিপুল-বিপুলা। অতি কষ্টে রিক্সায় উঠছেন আর দুজনে প্রায় আঁটছেন না। পাশ দিয়ে একটা ছেলে যাচ্ছিল ।
    কাকু ভাল আছেন?
    কিরে বিশু কোথায় চললি?
    না এই তো অ্যানুয়ালের রেজাল্ট বেরোল। তাই নিয়ে স্কুল থেকে ফিরছি।
    অ। তা কেমন রেজাল্ট হল?
    মিচকি হেসে বিশু বলল, মোটামুটি।
    অসভ্য , বাঁদর, বড়দের নিয়ে ফাজলামো?
  • ranjan roy | 122.168.16.38 | ০৫ আগস্ট ২০০৯ ২৩:৫৮415199
  • এটা নাকতলার হায়ার সেকন্ডারির দিনের সত্যি ঘটনা।
    আমাদের পাড়ায় এক দারোগাবাবু থাকতেন। ছোটভাইয়ের ফুটবল মাঠের বন্ধু মানিকের বাবা। উনি নন্‌ম্যাট্রিক। চল্লিশের দশকে পুলিশের চাকরিতে ঢুকেছেন। ওনার ইংরেজি নিয়ে একটু কমপ্লেক্স্‌ ছিল।
    অফিস থেকে নতুন নতুন শিখে পাড়ার ছোটদের ঠেকে ঢুকে "" ভাল ছেলে'' তিমিরদাকে জিগ্যেস করতেন-- কও দেহি,
    ঝিরি ঝিরি করিয়া বৃষ্টি পড়িতেছে আর টিপ টিপ করিয়া বৃষ্টি পড়িতেছে-- ইংরেজিতে কি হইব? সাহেবেরা কি কইতো? পারলা না ত'?
    বলা বাহুল্য তিমিরদা রেগে কাঁই।
    সেবার বেলেঘাটা থেকে একটা নতুন ছেলে ঠেকে এসেছে।
    দারোগাবাবু-- কও দেহি, ""মস্‌মস্‌ করা নতুন জুতা'',-- ইংরেজিতে কী অইব?
    তিমিরদা বলার আগেই নতুন ছেলেটা-- তার আগে আপনে কন দেহি মেশোমশায়,
    ""কচ্‌কচ্‌ করা নতুনবাল''-- এইডা সাহেবগোর ভাষায় কী হইবো?
    -- হারামজাদা পোলা! আমার লগে ইয়ার্কি করস্‌?
    -- বারে, আপনে রাগ করেন ক্যান? আমি তো ভাষা জিগাইছি।
    আমরা খুব হাসলাম। কিন্তু সেই নন্‌ ম্যাট্রিক দারোগামেশোর মুখের বেগুনপোড়া চেহারা দেখে আমার বুকের ভেতর--।
    উনি নিশ্চয়ই সেই বখা ছোঁড়াকে ক্ষমা করেন নি।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৬ আগস্ট ২০০৯ ০৩:৩৩415200
  • এটা কমপ্লিটলি অফ-টপিক। ইংরিজি অনুবাদের কথায় মনে পড়ল। রাধাপ্রসাদ গুপ্তকে একজন বলেছিলেন, "বলব কি মশাই, বাঙালীর ছেলে, কলম ধরলেই গলগল করে ইংরিজি বেরোয়। ... ছেলেবেলায় মাস্টারমশাই ট্রান্সলেশন করতে দিয়েছিলেন, সে পড়ে গেল। আমি লিখলাম, "He fell on the ground"। মাস্টারমশাই না কেটে ওপরে সরু নিব দিয়ে লিখলেন, "He measured his length against the ground"।

    কুমারপ্রসাদবাবু এনারই আরেকটা ট্রান্সলেশনের রেফেরেন্স দিয়েছেন রাধাপ্রসাদবাবুর কাছে শুনে, "ছেলেটির বয়ো:ক্রম ষোড়শ বর্ষ" হল "The boy has seen sixteen summers"। কুমারবাবু ভদ্রলোকের উক্তি শেষ করেছেন এই বলে, "সেই থেকে আমার ইডিওমেটিক ইংরিজির দিকে ঝোঁক"।

    জাস্ট ব্রিলিয়ান্ট পুরোন-কলকাত্তাইয়া উইট। যদিও যাঁর সম্বন্ধে লেখা, তিনি জীবিত থাকলে এনাদের কাউকে ক্ষমা করতেন কিনা সন্দেহ।
  • baps | 203.199.41.181 | ০৬ আগস্ট ২০০৯ ১৩:৫৯415202
  • তিমি মাছের গল্প টা ব্যাপক হইছে। হাঁসতে হাঁসতে লুটোপুটি খেলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন