এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ক্ষমা করিনি

    Ishan
    অন্যান্য | ২৯ জুলাই ২০০৯ | ৯৪৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dipu | 207.179.11.216 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ০৯:১২415137
  • দারুণ লাগল
  • Abhyu | 97.81.83.200 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ০৯:৩৭415138
  • মানুষকে ভাল্লুক ভাবাও ক্ষমা করা যায় না, কিন্তু সে তো লেখা হয়ে গেছে। ভারি সুন্দর ছিল সে লেখাটাও।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ০৯:৪৫415139
  • হনুর গপ্পোটা ব্যাপক। তবে খুব দু:খী দু:খী। :(

    অভ্যুর ভালুক হোক হোক।
  • h | 206.195.19.50 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ০৯:৪৯415140
  • ঐ গপ্পটা কোন টই তে লিখেছিলাম কারো মনে আছে?
  • Ishan | 173.26.17.106 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১০:০৩415141
  • সরি ওটা হনুর। সেইটা কোথায় আছে?

    ওদিকে আমি একটা লোককে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছিনা। অমিত ডাট।
  • pi | 128.231.22.89 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১০:১২415143
  • কালপুরুষের চল্লিশ মিনিট দেখার পর ঠিক করে উঠতে পারছিলুম না কাকে ক্ষমা না করাটা সবচে অ্যাপ্রোপ্রিয়েট।
    তারপর ঠান্ডা মাথায় ভাবনাচিন্তা করলুম। না:, বুদ্ধবাবুকে তাও ক্ষমা ঘেন্না করে দেওয়া যায়। কিন্তু যে আমাকে এই সিনেমাটি রেফার করেছিল, আর এই আমি , যে প্রথম দশ মিনিট দেখার পর ও বন্ধ করে দ্যায়নি, এই দুজন ই ক্ষমার অযোগ্য।
  • dipu | 207.179.11.216 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১০:১৬415144
  • রিতুপন্নোর খেলা দেখতে দেখতে আমারও ঠিক এরকম মনে হচ্ছিল। তারপর ভেবে দেখলুম সিনেমাটা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মহৌষধের কাজ করবে। ক্ষমা করে দিলুম।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১০:১৭415145
  • উঁহু, সবার উপরে "রবিবারের বিকেলবেলা'। পরিচালনায় অমিত ডাট। যেটা আমি এখন বসে বসে দেখছি। শেষ না দেখে ছাড়বোনা।
  • r | 125.18.104.1 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১২:৫৯415147
  • "কাহিনী"- পরিচালনা মলয় ভট্টাচার্য। সিফোঁর প্রিয় সিনেমা। প্রায়শ্চিত্ত করতে ভদ্রলোক পরে "তিন এক্কে তিন" বানিয়েছিলেন। প্রথম সিনেমার জন্য সরকার কি একটা পুরষ্কার দেয়- সিনেমা সে বছর সেই পুরষ্কারটাও পেয়েছিল।

    হোস্টেলের টিভি রুমে গোটা কুড়ি পঁচিশ ছেলেমেয়ে দেখতে বসেছি। জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত সিনেমা বলে কথা! আমি শুধু দেখছি আর দেখছি। তখন আমরা ফেলিনি-বার্তোলুচ্চি-ত্রুফো করে বেড়াই। আমাদের ভয় কাহারে! দেখেই যাচ্ছি। যেন ফার্মার লাস্ট থিওরেম, যেন জয়েসের ফিনিগান্স ওয়েক, যেন স্পিভাকের একটি গোদা প্রবন্ধ। বাঙ্গালের গোঁ, আজ কোনো ছাড়ান নাই।

    আধ ঘন্টা বাদে একটু নি:শ্বাস ফেলার জন্য ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি একটি ছেলে মেঝেতে শুয়ে কাগজ পড়ছে, দুজন গুছিয়ে ক্যারম খেলছে। আমার ভাবী বউ ফ্যালফেলিয়ে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে না টি ভির দিকে বুঝতে পারলাম না। আর কেউ নেই।

    সিনেমা শেষ হল। আমি আমার দ্বিতীয় নি:শ্বাস ছাড়লাম। পুরো রুম ফাঁকা।

    সেদিন অনেকেই অনেককে ক্ষমা করতে পারে নি।
  • dipu | 207.179.11.216 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১৩:১০415148
  • হিহিহিহি
  • d | 144.160.5.25 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১৩:২২415149
  • কোন্নগর মিউনিসিপালিটি ২-৩ মাসে একবার করে জলের ট্যাঙ্ক ধুয়ে জলে ক্লোরিন দিত। তো সেই সময় একদিন দিনে ৪ বারের বদলে মাত্র একবার কলে জল আসত। সবাই জল ধরেটরে রাখত আর সক্কাল সক্কাল চানটান করে নিত। এমনই একদিনে মেজমামা এসেছেন কুচবিহার থেকে। এইসব জলের ঝামেলা ওঁর অজ্ঞাত ....... বেলা দশটার সময় ধীরেসুস্থে চান করতে গিয়ে দেখেন চান করার মত জল নাই। অগত্যা তিরিক্ষি মেজাজে বাড়ীর সামনের কলে গেলেন চান করতে। একে তো বাইরে গিয়ে চান , তায় আবার টিউবওয়েল পাম্প করে করে ......... মেজমামার আবার ঠান্ডা মাথার কোন দুর্নাম কস্মিনকালেও ছিল না। এমতাবস্থায় এক প্রতিবেশী প্রৌঢ়, মহা বাক্যবাগীশ, বড়ী থেকে বেরোলেন পাড়ার হালহকিকত দেখতে। তো, এঁকে দেখলে চ্যাংড়া পোলাপান টুকটাক এগলি সেগলি দিয়ে কেটে পড়ে। আজ বেরিয়েই মেজমামাকে দেখে ইনি মহাখুশী হয়ে এগিয়ে এলেন।
    - "কি সুভাষ, কবে আইস?'
    - "এই তো কাল বিকেলে'
    ইতিমধ্যে মেজমামা প্রাণপণে গায়েমাথায় জল ঢেলে সবেগে গাত্রমার্জনা শুরু করেছেন। শিকার ফসকাতে পারে এই সম্ভাবনায় প্রতিবেশী আরও একটু কাছে এগিয়ে এসে
    - "তা, চান করতাস?'
    ইতিমধ্যে মেজমামার হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি ছোট বালতিটা তুলে নিয়ে
    - "না: মশারি টাঙাচ্ছি' বলেই হনহনিয়ে বাড়ী।

    ইনি মেজমামাকে সারাজীবনেও ক্ষমা করতে পারেন নি।

  • b | 203.199.255.110 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১৩:৩৯415150
  • বিয়ের পর পর দিয়ে পিসেমশাই কলকাতা গেছেন নতুন বৌ নিয়ে। তখন পিসির হয়ত ১৬-১৭ বছর বয়স, বড় হয়েছেন ছাপড়ায়, আর শ্বশুরবাড়ি পাটনার গর্দানিবাগে। কলকাতা শহরের চালচলন একেবারেই অচেনা। যা হোক, পিসেমশাইয়ের খুড়িমা বললেন যা বৌ রে লইয়া পার্ক থিক্যা ঘুইরগা আয়। পিসেমশাই বাধ্য ছেলের মত ঢাকুরিয়া লেকের ধারে পিসিকে বসিয়ে বাদাম ভাজা কিনে দিলেন। তারপর দূরে কিছু বন্ধু দেখে তাদের সাথে গল্প করতে লাগলেন। ঘন্টা তিনেক পরে বাড়ি ফিরতেই খুড়িমা আর্তনাদ করে উঠলেন, অ মানিক, বউরে কোথায় থুইয়া আইলি? অ্যাঁ, বউ? তাই তো? পিসেমশাই, তেনার খুড়তুতো ভাই ছুটতে ছুটতে লেকের ধারে গিয়ে দেখেন পিসি তখনও সেখানেই বসে আছেন। কাঠের পুতুলের মত।

    পিসি কোনদিন ক্ষমা করেন নি।
  • r | 125.18.104.1 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১৪:২১415151
  • সেবার আপিসের কাজে তিনদিনের জন্য লন্ডনে। শহরের শেষপ্রান্তে লুইশ্যামের মত একটি ঢপ পাড়ায় ব্রেড এন্ড ব্রেকফাস্টে আছি। ঘরগুলো খুপরির মত। যদিও দেওয়ালগুলো হয় খুনখারাবি লাল, ডগ্‌মগে গোলাপী নয় কট্‌কটে হলুদ। বুঝলাম ব্রিটিশজাতের রং নিয়ে কুন্ঠাটা এনারা কাটিয়ে উঠেছেন। টয়লেটটাও খুপরি কিন্তু বেশ থিম ধরে সাজিয়েছেন। সাদা, নীল, আর সবুজে সমুদ্রের থিমটা বেশ খুলেছে। প্রথম দুদিন মিটিঙে-হোটেলে-অফিসেই কেটেছে। যখন ভোরবেলা বেরিয়েছি তখন কাউকে দেখতেও পাই নি। তৃতীয়দিন দুপুরে হিথরো থেকে ফ্লাইট। ক্যাব বুক করা হয়ে গেছে। গল্প শুরু তখন থেকে।

    সেদিন রৌদ্রোঙ্কÄল দিন। মৃদুমন্দ হাওয়া। দাড়ি কামিয়ে চান করে ফিটফাট হয়ে গেছি। যাবার আগে, মানে বেরোবার আগে ইয়ে করার জন্য টয়লেটে ঢুকেছি। আলতো একটা সুগন্ধ ভাসছে, পিছনের কাচ দিয়ে একফালি রোদ এসে পায়ে চুমু খাচ্ছে, সামনে সারে সারে গহীন সমুদ্রের ছবি, তাকে রাখা ঝিনুক, প্রবাল, খেলনা ডলফিন। জাস্ট সাহেবের বাড়ি বলে চেঁচিয়ে "অমল ধবল পালে" গাইতে পারছি না। গাড়ি আসতে তখনও পাঁচ সাত মিনিট বাকি। ফ্লাশ করলাম। কে জানত আজ একটি খুদে সাবমেরিনের সাথে আমার মোকাবিলা! উনি একটু ডুবে আবার পুটুৎ করে নাক তুললেন। আবার ঝকাং কল্‌ কল্‌ কল্‌! ঘূর্ণায়মান জল স্থিতি পেলেই নাক উঁচিয়ে সেলাম ঠোকেন ক্ষুদ্র সাবমেরিন। এরকম পাঁচবার। সাবমেরিন না আত্মা! সাহেবদের টয়লেটে বালতিও থাকে না যে বালতি বালতি জল ঢেলে মাল ভাগাব। ক্যাব আসতে তিন মিনিট! শেষ উপায় কমোডের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি উন্নতশির ঝাড়ু, একটি সুঠাম ও সুদৃঢ় ডান্ডাসমেত। ইংরেজের টয়লেটে ডিভাইড এন্ড রুল/ফ্লাশ পলিসির মোক্ষম প্রয়োগ। ভাআআআঙো, বন্দী ইসে হোক উধাও। কিন্তু বাঙালী ভুলে গেছে এ মাল কমোডে গেড়ে বসা আত্মা। ম্লেচ্ছ ঝাড়ু দিয়ে ও জিনিষের উচ্ছেদ হয় না। ক্যাবের এক মিনিট বাকি! উনি মিট্‌মিটিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে গান গাইছেন- তুমি খুশি থাকো/ আমার পানে চেয়ে চেয়ে খুশি থাকো। তখন একটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে হল। উচ্ছেদ না হয় নাই হল, অন্তত: পুনর্বাসন দেওয়া যাক। কমোড ধোয়ার বোতল উপুড় করে ঢালি- ফেনায় কমোড ভরিছে! ব্যাটাচ্ছেলে যাবি না তো, ফেনায় দম আটকে মর্‌! ক্রিং ক্রিং কলিং বেল- দরজায় ক্যাব।

    কে কাকে ক্ষমা করে নি আপনারাই বুঝে নিন।
  • quark | 202.141.148.99 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১৪:২৪415153
  • সব্বাই কত ভালো। গল্পের শেষে লিখে দিচ্ছে কে কাকে ক্ষমা করে নি, যদি বুইতে না পারে!
  • dipu | 207.179.11.216 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১৪:২৪415152
  • :-)))))))))
  • h | 206.195.19.49 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১৫:৩৫415154
  • খুঁতখুঁতে অথচ প্রকাশযোগ্য মেটেরিয়ালের খোঁজে অধৈর্য্য সম্পাদক কে নিজে থেকে সাহায্য করতে এই যে র এর এগিয়ে আসা, কে বলে শিভালরি মৃত, সে পাকা ডুবুরী :-)
  • r | 125.18.104.1 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১৫:৪৩415155
  • :-)

    পাক্কা বিটলসভক্তরা "ক্ষুদ্র"স্থলে "ইয়েলো" বসিয়ে নিতে পারেন। ;-)
  • dipu | 207.179.11.216 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১৫:৪৬415156
  • আগেরদিন রাত্তিরে পোচুর ভ্যানিলা বিস্কুট খেলে অমোন হয়।
  • r | 125.18.104.1 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ১৫:৪৯415158
  • লেনন খেতেন। হয় তো।

    As we live a life of ease
    Every one of us has all we need,(has all we need)
    Sky blue, and sea green,(sky of blue and sea of green)
    And a yellow(and a yellow) submarine.(submarine) ( Hahaha! )
  • Samik | 219.64.11.35 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ২১:৪২415159
  • কেলাস নাইন। অঙ্কের স্যার কী কারণে ইংরেজির ক্লাস নিতে এসেছেন। বোধ হয় বাবু-স্যার সেদিন আসেননি বলে। কী একটা প্যারা পড়তে গিয়ে তিনি বললেন "অ্যাব্‌ল'। able

    আমি ছোটোবেলায় এব্‌লকে অ্যাব্‌ল বলায় বাবার কাছে প্রচুর ঝাড় খেয়ে মনে রাখতে শিখেছিলাম যে এ বি এল ই এব্‌ল হয়। বিনীতভাবে স্যারকে ভুল ধরিয়ে দিতে গেলাম। ব্যস্‌, আগুনে ঘি পড়ল। "তুই কি বলতে চাস, আমি ইংরেজি জানি না? আমি ভুল বলছি?' কোনওভাবে সেটা কাটানো গেল।

    পরদিন অঙ্কের ক্লাসে এসে, "আমি কাল ফাদারকেও জিজ্ঞেস করলাম। বাড়ি গিয়ে ডিকশনারি দেখলাম। এ বি এল ই অ্যাব্‌লই হয়। ফাদারও তাই বল্লেন। আর বললেন, কৃষ্ণেন্দু হলে কখনো এইভাবে আপনার মুখের ওপর কথা বলত না।'

    কাকে যে ক্ষমা করব না, কৃষ্ণেন্দু, না ফাদার, না অঙ্কের স্যার, না ডিকশনারি, তখন মাথা চুলকেও বুঝতে পারি নি।
  • Abhyu | 128.192.7.51 | ৩০ জুলাই ২০০৯ ২৩:২১415160
  • আই এস আইতে আমাদের সাথে পড়ত এক সাহিত্যিক। অঙ্ক করাতে যে তার খুব উৎসাহ ছিল সেকথা বললে, ইয়ে মানে, ব্যাকপেপারের লিস্টিটা ডীন্‌স অফিসে টানা
    দু মাস টাঙানো থাকতো? সে যাই হোক, সে ছিল সাহিত্যিক। সে ছিল কবি। ঘর ভর্তি ছিল লিটিল ম্যাগাজিন।

    আর তার দু ঘর পাশেই থাকত ওমেশ শরাফ। বাঙালী নয়, কিন্তু ক্লাস ফোর থেকে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনে পড়েছে। ফলে কথা শুনলে কিছু বোঝা
    যায় না, কিন্তু বাংলা পড়তে অসুবিধে হয়, এই আর কি।

    রাত ৯টা। সবে কলির সন্ধ্যে। কবির ঘরে অনেকে খুচরো আড্ডা দিচ্ছে। ওমেশ কি কারণে হঠাৎ কবির লেখা কবিতা পড়তে আরম্ভ করল। দিব্বি হচ্ছিল -
    এমন সময় সবাই বিষম খেল - কবিতায় ছিল "গাঢ় চুম্বন' - বেচারি হস্টেলের ভোকাবুলারি থেকে বেজায়গায় একটা চন্দ্রবিন্দু লাগিয়ে দিয়েছিল।

    না, কবি তাকে মোটেও ক্ষমা করে নি।
  • kc | 91.140.207.12 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ০০:১৭415161
  • ৯২-৯৩ সালের দিকের কথা। তার আশেপাশের সময়ে যারা যদুপুরের নাথুদার ক্যান্টিন আর সাইন্স ক্লাব এর ঘোরাফেরা করত, মানে যারা SFI করত তারা নিশ্চয়ই মাল্লা (নাম পরিবর্তিত) কে চিনবে। তার গল্পের কোনো শেষ নেই।
    তো, মাল্লা শিয়ালদা থেকে কোনোকাজ করে হোষ্টেলে ফিরছিল, কি খেয়াল হল ঐ ডাঁই করে রাখা চাড্ডিগুলোকে দর করতে লাগল, পকেটে পাঁচটাকা। তিনটের দাম রফা হল আঠারো টাকা। দরদাম হয়ে গেলে নিতেই হবে, নয়তো ঝামেলা হবে, কাটানোর কোনো উপায় নেই। মাল্লা শেষ অবধি মরিয়া হয়ে বলল, পাঁচ টাকায় দিতে হলে দাও। দোকানি গম্ভীর হয়ে মাল্লার হাতে একটা রুমাল দিয়ে বলল, তোমাকে জাঙ্গিয়া পরতে হবেনা, এই রুমাল দিয়ে বেঁধে রাখ।
    মাল্লা ক্ষমা করেনি শিয়ালদাকে, আর কোনো দিন যায়নি।

  • pi | 128.231.22.89 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১০:০৯415162
  • নাম পরিবর্তন করলেও নামে চিনবে ! :o
    কি স্বনামধন্য ব্যক্তি রে ভাই ! :)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১১:০৯415163
  • স্মোকিং ব্যানের টইয়ে এই দুর্দিনের একমাত্র সুখটাকে যারা খানখান করতে চাইছে তাদের ক্ষমা করা যায় কি? ভাবছি।
  • I | 59.93.197.255 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১২:১৫415164
  • ক্ষমা করিনি। ইংরেজকে। প্রকৃত প্রস্তাবে ইংরেজের বাথরুম সভ্যতাকে। প্রশ্নই ওঠে না ক্ষমা করবার। গায়ে এখনো মাস্টারদা, ক্ষুদিরামের রক্ত।
    দুবারই বাথরুম-ঘটিত কেলেঙ্কারি। প্রথমটি লন্ডনে (জায়গার নাম মনে নেই)। MRCP পার্ট টু-য়ের পরীক্ষা চলছে। ভালো পরীক্ষা দিচ্ছি, তাই আয়েস করে বাথরুম থেকে ঘুরে আসার ইচ্ছে হল। সেখানে আবার ইনভিজিলেটর দেহরক্ষী/রক্ষিণী, সঙ্গে করে পৌঁছে দিয়ে আসে-ভেতরে যদিও ঢোকেনা। আমার কপালে ছিলেন এক স্বর্ণকেশী, ছোটখাটো,petit
    হল থেকে বেরিয়ে দেখা গেল, পুং-ও স্ত্রী-দুটি ওয়াশরুমই অকুপায়েড। কতকটা সেকারণে, কতকটা চোখের কোণ দিয়ে এক ঝলক আমার ফিজিক দর্শনকরত: স্বর্ণ আমায় ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ব্যক্তিদের বাথরুমে ঢুকিয়ে দিলেন। ছোট্ট কাজ, সময় লাগেনি। কিন্তু তারপরেই মহাঝঞ্ঝাট। স্বাভাবিক বাথরুমের মত সে নয়, তার ফ্লাশের নব খুঁজে পাই না, শুধু হাতের কাছে একাধিক দড়ি ঝুলতে থাকে, ঝুলতেই থাকে। তার একটা যদি আলো জ্বালানোর, অন্যটা কাঙ্খিত ফ্লাশের তবে? অনেক তাক-টাক করে একটাকে বাছাই করা গেল। এবার, দড়ি ধরে মারো ....
    না, জলস্তম্ভ উছলিয়া উঠিল না। উল্টে প্রবল পিঁ পিঁ শব্দ, দুজন মুশকো গুঁফো লালমুখো সিকিউরিটির দৌড়ে আসা..... হায়, সেটি বিপদসংকেত- ঘোষক রজ্জু, আমি যার ছলনায় ভুলেছি। স্বর্ণ -সে কি অন্তর্যামী-দিব্যি মিষ্টি হেসে সিকিউরিটিগণকে ফেরত পাঠালেন। যে, এখানে এখনো বিপদ ঘটে নি, ঘটতে পারত যদিও। আহা, পরদেশী আঁখিয়ার সেই উপচে -পরা হাসি !

    (এর সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত যদিও, তবু ছাপতে দিতে পারি-একটাই শর্তে : বাড়ির মালকিন যেন এ লেখা না পড়েন।)
  • I | 59.93.197.255 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৩:০৫415165
  • অন্যটি বার্নলে-তে। ল্যাঙ্কাশায়ারের ছোট্ট শহর। হাসপাতালের কোন এক কনসালট্যান্টের সঙ্গে দেখা করতে গেছি। তো, তাঁর আসতে বহুত দেরী। সেক্রেটারী খুকীটির সঙ্গে কথাবার্তা সেরে সামনের বেঞ্চে বসে আছি ও ঈষৎ আড়চোখে মাঝেমধ্যেই তার স্কার্টের ঝুলের পরিমাপ নিচ্ছি। এমতাবস্থায় বেরসিকা প্রকৃতি ডাকলেন-এবারো ছোট ডাক। কিন্তু ছোট-ই হোক আর বড়, প্রকৃতি দ্যাট ইজ নেচারকে কে কবে অগ্রাহ্যি করতে পেরেছে?
    সেক্রেটারি দেখিয়ে দিলেন ওয়াশরুম। দরজা বন্ধ করে-করতে গিয়েই কেমন একটা খটকামত লাগছিল-কাজ সারা হল। এখন বেরোতে হবে আর -এবারেই বিষম বিপৎপাত। দরজার যে শান্ত ছিটকিনিটি আমি পরম যত্নে তার নিজস্ব গর্তে ঢুকিয়েছি, সেটি একটি সোজা সরল স্টীলের দন্ড; তার , হায়, কোনো সাইডবার নেই!! হাজার টানাটানি করলেও সে খোলে না। গা দিয়ে দরদর করে ঘাম ছুটছে, যদিও মাসটি তখন নভেম্বর (যাঁরা সন্দেহবাতিকগ্রস্ত, তাঁরা অনুরূপ পরিবেশে নিজেদের রেখে দেখতে পারেন, পরীক্ষা প্রার্থনীয়)। চেঁচিয়ে ডাকলেও কেউ শুনতে পাবে না, আর ডাকাটাই বা কী লজ্জা, কী লজ্জা !!!!
    কিন্তু আজো আকাশে চন্দ্র-সূর্য ও বাজারে ধনেপাতা ওঠে, এমন কি বললে বিশ্বাস করবেন না, তেমন করে ডাকলে পরে বিপদে মধুসূদন পর্যন্ত সাড়া দেন। সেই বেহুলাবাসরেও তাই অবশেষে একটি ক্ষুদ্র স্কাইলাইট নজরে আসে। এবং কমোডের ওপর আঙুলের ডগায় ভর করে উঠে দাঁড়ালে ও কিছু বাড়তি কসরৎ করলে সেটি অ্যাক্সেসিবল পর্যন্ত হয়। আর তা-ই যদি হয়, তাহলে তার ফাঁক দিয়ে আমার ৫৫ কিলোগ্রামী শরীরটিকে বের করে ফেলা কী আর এমন কষ্টসাধ্য কাজ, বেশ খানিকটা নুনছাল উঠে যাওয়ার ডেবিটটুকু মাথায় রেখেও-জয় করবার জন্য কি নেই গোটা দুনিয়া? শুধু এদিক-ওদিক দেখে কাজ সারতে হবে, কেউ যেন দেখে না ফেলে।
    আসে, তেমনি সুযোগও আসে। আমিও বেরিয়ে আসি সেই অন্ধকূপ থেকে, একটা বিশাল লাফ দিতে হয় তার জন্য,ডান গোড়ালিটা কিছুটা মচকে মতনও যায় যেন। কিন্তু এহ বাহ্য। এতক্ষণ শুণ্যতায় ছেয়ে থাকা এই ফ্রেমে শাটারটি টিপবার ঠিক মোক্ষমমুহূর্তে অবির্ভূত হন একটি persona-non-grata, একজন মিস বিপুলা বসু, জনৈকা মেমনার্স। মুখেচোখে যৎপরোনাস্তি গাম্ভীর্য ও সান্ত্রীভাব ফুটিয়ে তুলে তিনি প্রশ্ন করেন : মহোদয়, আমি জানিতে পারি কি, আপনি অকস্মাৎ ঐ কক্ষের উচ্চগবাক্ষপথ হইতে কেন এবং কীরূপে নি:সৃত হইলেন? বিশেষত: যখন কক্ষ হইতে বাহির হইবার অন্য সভ্যবিধিসম্মত পথ আছিল?

    আমি আমতা-আমতা করে উত্তর দিই। সত্যি কথাই বলি। মুখ দেখে বুঝি , বিপুলা সেকথা একফোঁটাও বিশ্বাস করেন নি।

    কিন্তু, তাতে কী বা আসে যায়? এই তো, আমি এখনো বেঁচে আছি। ইংরেজের হাজতবাস না করেই বেঁচে আছি।
  • dipu | 207.179.11.216 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৩:১০415166
  • খি খি খি খি
  • h | 206.195.19.49 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৩:৫৩415167
  • সভ্যতার দরজা ব্যবহার না করার এই কলোনীয় প্রতিজ্ঞা র জন্য পোতিটি দেশবাসীর বুক ইন্দো র জন্য গব্বে ফুলে যাওয়া উচিত। কিন্তু আমি একাধারে স্থুলকায় ও প্রতিষ্ঠিত অ্যাঙলোফিল। বিলিতি বাথরুমে বিপদে পড়লে, কায়া ও জেন্ডার নিরপেক্ষে আমারে যে বিংশ শতকীয় আন্তর্জাতিক সলিডারিটির উপরে ভরসা করে হাঁকা হাঁকি শুরু করতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। পরাধীনতার স্মৃতি ও দুর্ভাগ্য শ্রমিক শ্রেণী কে বিশেষত: একটু খাতে পিতে শ্রমিক শ্রেণীকে এখনো আন্তর্জাতিক সলিডারিটি তে ভরসা জোগায়। না জোগালে কেবলি ইয়েলো সাবমেরিন।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ৩১ জুলাই ২০০৯ ১৩:৫৮415169
  • :-))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন