এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ঈশ্বর-কণিকা ও তারপর ...

    quark
    অন্যান্য | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ | ৯২৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • quark | 202.141.148.99 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১৫:০৫428735
  • যখন দুটো লেড আয়ন কোলাইড করবে, তখন আসলে কলিশন হবে ওদের মধ্যের প্রোটন নিউট্রন গুলোর মধ্যে।

    দুভাবে এই শক্তি জোগানো যায়। এক গোটা জিনিসটাকে উত্তপ্ত ক'রে। অ্যাক্সিলারেটরের ভাষায় এনার্জিটাকে খুব বাড়িয়ে দিয়ে। এতে কী হ'বে? দুটো নিউক্লিয়াস (বা আয়ন) আপেক্ষিক (রিলেটিভিস্টিক) গতিতে চলতে চলতে লেংথ কনট্র্যাকশন হবে, গোল বলের মত নিউক্লিয়াস শেষে চ্যাপ্টা থালার মত হয়ে যাবে। এই অবস্থায় যখন ধাক্কা লাগবে তখন দুপক্ষের বেশ কিছু প্রোটন নিউট্রন পরস্পরের সংগে ধাক্কাধাক্কি ক'রে ভেঙেচুরে কোয়ার্ক বেরিয়ে আসবে। বাকি অংশটা যে বেগে এসেছিল সেই বেগেই দুদিকে সরে যাবে। মধ্যে পড়ে থাকবে শুধু কোয়ার্ক আর গ্লুয়ন। একে বলে ব্যারিয়ন ফ্রি কোয়ার্ক গ্লুয়ন প্লাজমা।

    আমি কী ধান ভানতে শিবের গীত গাইছি?
  • dipu | 61.12.12.83 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১৫:০৭428736
  • না। চলুক।
  • quark | 202.141.148.99 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১৫:৩২428737
  • বেশ!

    আরেকটা উপায় আছে কোয়ার্ককে বন্ধনমুক্ত করার। সেটা অনেকটা এইরকম: একটা বেলুনকে জোরে চেপে ধরে চাপ বাড়াতে থাকলে একসময় বেলুনটা ফেটে ভেতরের হাওয়া বেরিয়ে যাবে। সেই রকম কলিশনের পরে যদি দুটো নিউক্লিয়াসই থেমে যায় (স্টপিং) তাহলে ওরা মিলেমিশে ঘনত্ব খুব বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে কোয়ার্করা বেরিয়ে আসে।

    এই জিনিসটা ঘটে নিউট্রন স্টার এর মধ্যে।

    এই যে সাধারণ নিউক্লিয় পদার্থ (নিউট্রন, প্রোটন) থেকে মুক্ত (ডিকনফাইন্ড) কোয়ার্ক পদার্থে যাওআ (বা উল্টোদিকে ফিরে আসা), এটা একটা ফেজ ট্রানজিশন। ধরা যাক একটা গ্রাফ পেপারে দুটো অ্যাক্সিস আছে। এক্স অ্যাক্সিসটা হ'ল ব্যারিয়ন ডেনসিটি আর ওয়াই অ্যাক্সিসটা হ'ল টেম্পারেচার (এখানে অ্যাক্সিলারেটরের এনার্জি)। তাহলে এই ফেজ ডায়াগ্রামটা আঁকা যেতে পারে। ওয়াই অ্যাক্সিস এর ওপরে বেশ উঁচুতে একটা বিন্দু, আর এক্স অ্যাক্সিস এর বেশ ডানদিকে আর একটা বিন্দু, এদেরকে একটা উল্টানো প্যারাবোলা দিয়ে জুড়ে দিয়ে যেটা পাওয়া যাবে সেটাই মোটামুটি ফেজ ডায়াগ্রাম। দে্‌টা একস্ট্রিম হ'ল, হাই টেম্পারেচার লো বা জিরো ডেন্সিটি (এইটা হ'ল বিগ ব্যাং বা স্মল ব্যাং এর ক্ষেত্রে), আর লো টেম্পারেচার হাই ডেনসিটি (নিউট্রন স্টার)।
  • quark | 202.141.148.99 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১৫:৫১428738
  • এইবারে আসল মজার কথাটা। কোয়ার্করা তো বেশিক্ষণ আলাদা থাকবে না, তারা নিলেমিশে সেই ব্যারিয়ন আর মেসন তৈরী ক'রে ফেলবে আর ডিটেক্টর ধরবে সেই ব্যারিয়ন, মেসনদেরই। তাহলে বোঝা যাবে কেমন ক'রে কী কোয়ার্করা সত্যি ডিকনফাইন্ড হয়েছিল কিনা? সত্যিই কোয়ার্ক-গ্লুয়ন-প্লাজমা তৈরী হয়েছিল কিনা? উপায় আছে, তবে প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ। অর্থাৎ যে ব্যারিয়ন ও মেসনেরা ডিটেক্টরে এসে পৌঁছচ্ছে, তারা যদি ডিকনফাইন্ড থেকে কনফাইন্ড হওয়া কোয়ার্ক থেকে তৈরী হয়, তবে তাদের বেশ কিছু আচরণে তা বোঝা যাবে। আরো উপায় হ'ল কলিশনে যে ম্যাটার তৈরী হ'ল তার ডেনসিটি মাপা, তা যদি সাধারণ নিউক্লিও ম্যাটার ডেনসিটি থেকে অনেক বেশি হয়, তবে পরোক্ষে বলা যায়, ওখানে শুধু নিউট্রন, প্রোটন ছিল না, ছিল অন্য কিছু।

    কিন্তু এসব কথা LHC তে কেন? ঐ যে বল্লাম ২০০০ সালে জন্ম হয়েছিল RHIC এর। এতদিনে এটা বোঝা গেছে যে RHIC এর এনার্জিতেই QGP তৈরি হয়ে গেছে। তবে সেটা ছিল অত্যন্ত অল্পসময়ের যে্‌ন্‌য় স্থায়ী। LHC তে সেটাই অনেঅটা দীর্ঘসময় স্থায়ী হবে, আর তাতে আরো ভালো ক'রে বোঝা যাবে পদার্থের ঐ নতুন অবস্থার ধর্ম।
  • quark | 202.141.148.99 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১৬:১২428739
  • কিন্তু এত গেল, হেভি আয়ন ফিজিক্স, কিউজিপি এটা সেটা। হিগস্‌ কৈ?

    হ্যাঁ LHC তে যে চারটে এক্সপেরিমেন্ট চলছে তার তিনটে (CMS, ATLAS আর LHCb) খুঁজবে হিগস্‌ আর শুধু ALICE রয়েছে হেভি আয়ন ফিজিক্স এর জন্য। হিগস্‌ কী এবং কেন বলতে অনেক গল্প বলতে হবে।

    হিগস তৈরী হতে পারে মূলত: দু ভাবে - গ্লুয়ন ফিউশন অর্থাৎ দুটি গ্লুয়ন মিশে গিয়ে, আর ভেক্টর বোসন ফিউশন অর্থাৎ দুটি W বা Z বোসন মিশে গিয়ে। এরপর ঐ হিগস্‌ আবার ভেঙে যাবে অনেকরকম ভাবে। দুটো ভেক্টর বোসনে, বা দুটো টপ বা অ্যান্টি টপ কোয়ার্কে, বা বটম অ্যান্টিবটম কোয়ার্কে, বা দুটো ফোটনে বা দুটো গ্লুয়নে। এই দুটো পার্টিকল আবার ভেঙে যাবে অনেকগুলো পার্টিকলে যারা তৈরী করবে পার্টিকল জেট। ডিটেক্টরগুলো ধরবে সেই জেটদের।

    এত এনার্জি কেন? W আর Z দুজনের ভরই অত্যন্ত বেশি। তাই তাদের ফিউশন করাতে গেলে এনার্জি তো বেশি লাগবেই।
  • vikram | 193.120.76.238 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১৬:৩৫428740
  • আরেকটু পয়েন করে ল্যাখেন।

    এক কাজ করেন না, জিনিস পত্র ভেঙে কি করে অণু পরমাণু, তারপর পাটকেল এসব পওয়া গেল, কি করে বোঝা গেল এরা আছে, কি কি মেপে পাওয়া গেল, কি কি কষে পাওয়া গেল, কে কি করে, এইটা একটু ল্যাখেন না। বড়ো করে। তাইলে বেশ হয়।
  • Manish | 117.241.228.15 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ১৮:৩২428741
  • সবাইকে যে সব টইএ ঢুকতে নেই এ কথাটা আমি এখন বুঝতে পারছি। এই টইয়ের কিছু পোস্ট পড়ার পর আমার প্রচন্ড দাঁত ব্যাথা শুরু হয়েছে । যাই ডাক্তার দেখিয়ে আসি।
  • Binary | 148.141.31.2 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ২০:১৬428742
  • বিক্রমের পোষ্টের পরে,

    কোয়ান্টাম স্পিন আর ক্লাসিকাল স্পিন নিয়ে বলার আগে বলা উচিত, ক্লাসিকাল আর কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মুল পার্থক্য। আগে বলা হত দুটো সম্পূর্ন আলাদা পদার্থ বিজ্ঞান। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, মূল হচ্ছে কোয়ান্টাম আর ক্লসিকাল হচ্ছে তার বিশ্‌ঙ্খল (ক্যাওটিক) বিস্তার। নিউটনিয়ান মেকানিক্সে বলা হয় (হত), বস্তুর দুই অবস্থা। ১) গতিশীল অবস্থা ২) স্থীর অবস্থা (০ কাইনেটি এনার্জি)। এখন স্থীর অবস্থা-কে ক্লাসিকাল মেকানিক্সে ০ কাইনেটিক এনার্জি বলা হলেও, কোয়ান্টামে, সাব-অয়াটমিক পার্টিকল লেবেলে, ০ এনার্জি বলে কোনো অবস্থা হয় না। কনিকার পরিমাপ জোগ্য ন্যুনতম এনার্জি কে এনার্জি-র কোয়ান্টা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। আর এনার্জি পরিবর্তন-ও কোয়ান্টা গুনিতক-এ। ক্লাসিকাল মেকানিক্সের মত লিনিয়ার পরিবর্তনশীল নয়। আমি কালকে ব্‌ত্তের উদাহরন দিয়েছিলাম এই কারণে, যে, ব্‌ত্তের পরিধি-ও কোয়ান্টাম লেবেল, সরল রেখা। আবার ক্লাসিকাল মেকানিক্সে যে ০ কাইনেটিক এনার্জি, স্থীর বস্তু বলা হচ্ছে, সেটা ব্‌হত্তর ফ্রেম-ওফ-রেফারেন্সে ০ এনার্জি নয়।

    এখন কোয়ান্টাম লেবেলে কনিকা যখন অ্যাবসিলিউট স্থীর বলে কোনো অবস্থান নেই, সেখানেই আসে কনিকার অব্‌স্থানের প্রোবাবিলিটির কথা। ক্লাসিকাল মেকানিক্সে এই প্রোবাবিলিটির কোনো ব্যাপার নেই। দুটি পারস্পরিক ভ্যারিয়েবল, যেমন অবস্থান এবং ভরবেগ (মোমেন্টাম), স্থীর ভাবে নির্নয় করা সম্ভব নয়। প্রোবাবিলিটি-র সাহায্যে আনুমানিক অবস্থান নির্নয় করতে হয়। এটাই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মুল কথা। এইসব জটিল প্রোবাবিলিটি-র অঙ্ক কষতে গিয়ে (একই সঙ্গে একাধিক ভেরিয়েবল প্রেডিকশন) কত্‌ক গুলো স্বত:সিদ্ধ-র সাহায্য নিতে হয়, উদাহরন 'হাইজেন বার্গ আন্সার্টেনিটি প্রিন্সিপল' বা 'পৌলি'স এক্সক্লুশন'।

    কোয়ান্টাম আর ক্লাসিকাল -এ পার্থক্য মুলত: ৪ টি ১) কোয়ান্টা (ন্যুনতম পরিমাপ জোগ্য ধর্ম, যেমন ভরবেগ) এবং তার মাল্টিপল ২) কনিকা-তরঙ্গ মতবাদ ৩) আনসার্টেনিটি ৪) কোয়ান্টাম দ্বীত্ববাদ।

    আরেক্টু পরে লিখছি।

  • vikram | 193.120.76.238 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ২০:৩৪428743
  • ফুট কাটচি।

    কোয়ান্টাম অবধি না গিয়েও,বস্তুর শক্তি স্থিতিশক্তি হিসাবে চিহ্নিত করা যায়। এমনকি যদি দুটি অনুর মধ্যে যে বল কাজ করে, সেই দরুন সেগুলি কম্পমান হয়, তাহলেও তার গতিশক্তি সরল দোল গতি বা সাধারন দোল গতি (পিরিয়ডিক মোশান, অ্যানহারমনিক মোশান) এসবের মাধ্যমে কষা যায়। যেটা যায় না, সেটা হলো এই সব ঘটনাই এমন ভাবে কষা অয় যেখানে শক্তির রূপান্তর হচ্ছে না, অর্থাৎ কনজার্ভেটিভ সিস্টেম। যেই মোহূর্তে কোনও ঘটনায় শক্তির রূপান্তর হয়, সেখানে আমাদের তাপ এর সাহায্য নিয়ে থার্মোডাইনামিক্স কষতে হয়। তাই, যে কোনও স্থিতিস্থাপক পদার্থের ক্ষেত্রে আমাদের থার্মোডাইনামিক্সের সায়ায্য নিতে হয়, যথা ইয়ংস মডিউলাস। অ্যাবসলিউট স্থির অবস্থান নিউটনেও নেই, এমনকি ঘুরন্ত রেফারেন্স ফ্রেমে নিউটনের সূত্র খাটে না। তাহলে সেটাও বাদ গেলো।
    সব শেষে, হাইজেনবার্গের যে কথা, - সেটা কি শুধুই এই, যে আলো পড়ে ফিরে আসতে আসতে মালটা নড়ে যেতে পারে?

    কথা হলো, কোন অবস্থায় আর এই নর্মাল নিয়ম ফিয়ম খাটে না। ডবোল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে কেউ একটু বিষদে লিখুন, আমরা বুঝি।

    দ্বিত্বাদ কিন্তু যে কোনও ডেটা তেই। যে কোনও গ্রাফের ফ্রিকুয়েন্সি জানলে ঠিক কোন সময়ে হয়েছে জানা অসম্ভব। আবার একটা জিনিস একটা সিংগিল সময়ে পিন পয়েন্ট করলে তার সঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সি কত, সেটা জানা অসম্ভব। এইটা কিন্তু হাইজেনবার্গের জন্য নয়। এটা লসাগু র অংক। একটা পয়েন্টের মধ্যে দিয়ে যে কোনও গ্রাফ ই ফিট করা যায়, তাই যা ইচ্ছা উত্তর বেরুতে পারে, সেই কারণে।

    তাহলে, ঐ এইচ বলে কনস্টান্ট টাই কি যত নষ্টের গোড়া?

    মোদ্দা কথা, কোথায় গিয়ে আর আমাদের নর্মাল নিয়ম খাটবে না? এমনিতেই নির্ঘাত তাই হচ্ছে কিন্তু সেটা এত ছোট যে আমরা বুঝছি না, তাই কি? তাহলে খুব ছোট জিনিসে এইসব এফেক্ট এত বড়ো হয়ে যায় কেন?
  • SB | 114.31.249.105 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ২০:৪০428745
  • এটা বেশ ইন্টারেস্টিং হচ্ছে।

    বিটিডাব্লিউ, কোয়ার্কের একটা মন্তব্যে বেশ মজা লাগল, উনি বললেন, এই কোয়ার্ক ব্যপারটা বেশ গোলমেলে :)
  • Binary | 148.141.31.2 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ২১:৪৮428746
  • তুমি দুটো অনুর বল সম্বন্ধে বললে, সেটা বা তার পরে থার্মোডাইনামিক্স নিয়ে যেটা বললে, সেটা-ও ক্লাসিকাল পদার্থ বিদ্যার অন্তর্গত কোয়ান্টাম মেকামিক্সে, অনু একটি এনটিটি, যা কোয়ান্টাম লেবেলের উপরে

    একটা উদাহরণ দেই ম্যাক্সোয়েলের ক্লাসিকাল তড়িচ্চুম্বক তত্ব বলে, দুটি বিপরীত আয়নিত বস্তু পরস্পরের কাছে এলে শক্তি রঅয় করে, স্পাইরাল মোশনে একে অপরের সঙ্গে কোলাইড করবে তো, এই থিওরিতে, অনুর গঠন বা অনুর স্থীতিশীলতা সম্ভব-ই নয় যেখানে ইলেকট্রন, হাইজেনবার্গ আনসার্টেনিটি মেনে, নিউক্লিয়াসে চারিধারে মেঘের আকারে অবস্থান করে আর নিউক্লিয়াস আর ইলেকটনের মধ্যে ন্যুনতম একটা শক্তি স্তর থাকে ঠিক এইখানেই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জন্ম

  • vikram | 193.120.76.238 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ২২:০৫428747
  • কেং করে জন্ম? কি করে বোঝা গেল যে যা আছে তা দিয়ে হচ্ছে না?

  • bitoshok | 128.101.220.108 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ২২:৪৭428748
  • একটা চার্জড পার্টিকল যদি অ্যাকসিলারেটিং মোশন থাকে তাহলে রেডিয়েট করে শক্তিক্ষয় করবে -- এটা ক্লাসিকাল ইলেক্ট্রোডাইনামিক্সের থেকেই গণনা করা যায়। তো এই ক্লাসিকাল ব্যাখ্যা মেনে নিলে পরমাণুর স্টেবিলিটি বা বর্ণালি ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। তো বোর সাহেব বললেন পরমাণুর মধ্যে ইলেক্ট্রনের মোশন গুলো যেকোন কক্ষপথে হবে না, নির্দিষ্ট কক্ষপথে হবে। এখানে বোর সাহেব কোয়ান্টাইজ করলেন ইলেক্ট্রনের অরবাইটাল মোশন।
    বোরের থিওরি থেকে হাইড্রোজেনের বর্নালি সম্পর্কে সেই সময় যা জানা ছিলো তার ব্যাখ্যা তো পাওয়া গেলই, পরে আরো নতুন তথ্য পাওয়া গেলে সেগুলো-ও দেখা গেলে থিওরির সাথে মিলে যাচ্ছে।
  • bitoshok | 128.101.220.108 | ০১ এপ্রিল ২০১০ ২৩:৩০428749
  • ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট :



  • Binary | 148.141.31.1 | ০২ এপ্রিল ২০১০ ০০:১৫428750
  • খুব সোজা কথায়, ক্লাসিকাল মেকানিক্সের সীমানা পরমানু/অনু পর্য্যন্ত, তারপরে, প্রথম লেবেল প্রোটন/নিউট্রন দ্বিতীয় লেবেলে ইলেক্ট্রন/কোয়ার্ক/লেপ্টন/ফোটন/গ্লুয়ন/W Z বোসন, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্তর্গত।

    এখন, পদার্থের অনেক ব্‌হৎ ধর্ম, স্থীতিস্থাপকতা/চৌম্বকিয়/আলোক সংবেদন্‌শীলতা সরাসরি কোয়ান্টাম পদার্থ বিদ্যার সঙ্গে জড়িত। কোয়ান্টাম মেকানিক্স আর ক্লাসিকাল একটা সীমায় মিলিত হয়, সেটাকে বলা হয় 'করস্পোনডেন্স লিমিট'। দ্‌ষ্টি আর অনুভব গ্রাহ্য ব্‌হৎ বস্তুর ক্ষেত্রে, কোয়ান্টাম সঙ্খ্যা বড় হওয়ার কারণে ক্লাসিকাল মেকানিক্স, আনেকটা বিশ্‌ঙ্খল বিস্তার, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের।

    কোয়ান্টাম মেকানিক্সে, কনিকার পরিমাপ (ভর/ঘুর্নন/শক্তি) নির্নয় হয় ভেক্টর স্পেসে, মানে পরিমাপের কাঠামোটাই পরিবর্তনশীল।

    যাগ্গে, আর কিছু লিখুম না....
  • dri | 117.194.230.46 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ০২:৪২428751
  • এইটা আরেকটু পরিষ্কার করে আলোচনা করা যাবে কি? আমি কোয়ার্ক, বীতশোক, বাইনারী, ট্যান, দে ও অন্যান্যদের অনুরোধ করছি। এইখানে আমি বিক্রমের সাথে একমত, আমরা যারা এই বিষয়টা কখনো ফর্মালি পড়িনি, পপুলার লিটারেচারে বিষয়টা সবসময়ই একটা ফিরিস্তি বা লিস্টের মত করে প্রেজেন্ট করা পেয়েছি। অমুক অমুক হল ফের্মিয়ন, অমুক অমুক হল বোসন। অমুকের চার্জ এত, মাস এত, স্পিন এত। কিন্তু আমি ব্যাপারটাকে একটু অন্য পার্স্পেকটিভ থেকে পেতে চাই।

    যেমন ধরুন, ইলেকট্রন প্রোটন। মানুষ জানল কিকরে অ্যাটমের এই মডেল? রাদারফোর্ডস এক্সপেরিমেন্ট থেকে। আমার প্যারালাল প্রশ্ন হল, মানুষ কিকরে প্রথম বুঝতে পারল, বা গেস করল যে ইলেকট্রন প্রোটনকেও ভাঙ্গা যায়? এটা কি কোন ম্যাথামেটিকাল ইকুয়েশানের (ডিরাক ইকুয়েশান জাতীয়) ভিত্তিতে হয়েছিল? নাকি কোন বেসিক এক্সপেরিমেন্ট?

    কোয়ার্ক যে আছে, কোন সহজ এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে সেটা ধরা যায় কি? এই এক্সপেরিমেন্ট কি খুব ব্যয়সাধ্য, নাকি সহজেই করা যায়? পারলে এই ধরণের এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে একটু লিখুন না। এই ধরণের এক্সপেরিমেন্টগুলোর রিপিটেবিলিটি কেমন?
  • keu na | 131.95.30.135 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ০৬:৫৪428752
  • ইলেকট্রনকে কিন্তু ভাঙা যায় না, মানে এখনো অবধি ভাঙা যায় নি। নতুন থিওরি মানে স্ট্রিং থিওরি বলে এদেরও স্ট্রাকচার আছে, এরা আদতে কম্পনশীল স্ট্রিং। এনার্জী স্কেলে আরো অনেক অনেক অনেক না চড়লে সে বোঝা যাবে না।

    প্রোটনকে নিউট্রনকে ভাঙা যায়, স্ক্যাটারিং এক্সপেরিমেন্ট দেখেই তো প্রথমে ধারনাটা এলো যে এরা কম্পোজিট, ভিতরে ফান্ডামেনটাল বিল্ডিং ব্লক।
  • bitoshok | 69.180.128.132 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ১১:১৯428753
  • পার্টিকল প্রপার্টি মাপার তিনটে উপায় আছে

    ১) থ্রু স্ক্যাটারিং
    ২) ডিকে মোড দেখা
    ৩) বাউন্ড স্টেট স্টাডি

    কোয়ার্কের অস্তিত্ব গবষণাগারে বোঝা যায় ১৯৭৩ সালে। প্রোটন-প্রোটন স্ক্যাটারিং এক্সপেরিমেন্ট থেকে। ইন স্পিরিট, এটা রাদারফোর্ড স্ক্যাটারিং মতই। কিন্তু, 'কোয়ার্ক মডেল'এর ধারণা পার্টিকল ফিজিক্সে আসে তারও আগে -- ষাটের দশকে। স্রেফ 'ছকবাজি' করে। 'ছকবাজির' প্রথম সফল প্রয়োগ করেন দিমিত্রি মেন্ডেলিভ। ১৮৬৯ সালে। মৌলদের পিরিয়ডিক টেবলে। পার্টিকল ফিজিক্সে 'মেন্ডেলিভিয়ান' আইডিয়া নিয়ে আসেন স্বতন্ত্র ভাবে মুরে গেলম্যান ও নি'ম্যান। ১৯৬১ সালে। এই টেবল গুলো অবশ্য মেন্ডেলিভের মত নয়, একেবারেই আলাদা। ষড়ভুজাকৃতি আকারের। গেলম্যান এর নাম দিয়েছিলেন 'এইটফোল্ড ওয়ে' -- বৌদ্ধ দের 'অষ্টমার্গে' অনুপ্রাণিত হয়ে। উনি দেখালেন সেই সময় যতগুলি মেসন ও ব্যারিয়নের অস্তিত্ব জানা ছিল, সবগুলো-ই এই ছকে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে। মেন্ডেলিভের টেবলের মত এখানেও মিসিং এলিমেন্ট ছিলো - যা পরে আবিস্কার হবে। ১৯৬৪ সালে গেলম্যান ও জ্যুইগ আরো একধাপ এগিয়ে প্রস্তাব করলেন মেসন ও ব্যারিয়নের এই প্যাটার্ণ খুব ন্যাচারালি আসবে যদি ধরা হয়

    ১) হ্যাড্রনেরা ( মেসন ও ব্যারিয়ন) কম্পোজিট পার্টিকল।
    ২) মেসন গুলো একটি কোয়ার্ক ও একটি অ্যান্টিকোয়ার্ক দিয়ে তৈরি
    ৩) ব্যারিয়নগুলো তিনটে কোয়ার্ক দিয়ে তৈরি।

    গেলম্যান তিনরকম 'ফ্লেবারের' (এর সাথে গন্ধের কোন সম্পর্ক নেই) কোয়ার্কের অস্তিত্ব অনুমান করেছিলেন - আপ, ডাউন, স্ট্রেন্‌জ। এখন জনতা আরো তিন রকমের কথা জানে -- চার্ম, টপ, বটম বা বিউটি।
  • bitoshok | 69.180.128.132 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ১১:৪৬428754
  • একটা কারেকশন করে রাখি।

    প্রোটন প্রোটন স্ক্যাটারিং নয়। ওটা হবে প্রোটন টার্গেটে স্ক্যাটারিং। ১৯৭৩ সালে স্ট্যানফোর্ড লিনিয়ার অ্যাক্সিলারেটর (SLAC)। ইন স্পিরিট বলা হয়েছে এই অর্থে যে রাদারফোর্ড স্ক্যাটারিং-এর মত এখানেও প্রোটনের সাব-স্ট্রাকচার না ধরে নিলে রেজাল্ট ব্যাখ্যা করা যাবে না।
  • Sibu | 70.7.134.145 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ১৬:২৪428756
  • এবারে এই তিনটে উপায় একটু বুঝিয়ে দাও। তবে খুব কঠিন হলে অন্য কথা।
  • keu na | 131.95.30.135 | ০৪ এপ্রিল ২০১০ ০৪:৩৩428757
  • তিন নম্বর উপায়টা নিয়ে আমার দুই বন্ধু তাঙ্কিÄক আর গণনার কাজ করে। আমি নাদান বান্দা জিগাইলাম কী করে কী হয়। তারা কইলো তারা মেসনের মাস স্পেকট্রা বার করে। মেসন হোলো কোয়ার্ক অ্যান্টি-কোয়ার্কের বাউন্ড স্টেট। তারা টু-বডি রিলেটিভিসটিক সমীকরণ নিয়ে সেটাকে সমাধান করে। পোটেনশিয়ালের যেসব মডেল জানা আছে সেগুলো থেকে পোটেনশিয়াল ফাংশান নেয়। তারপরে নিউমেরিকাল সলুশন বার করে বিভিন্ন স্টেটের এনারজী প্রেডিকট করে। আর মিলিয়ে দেখে তাদের প্রেডিকটেড স্পেকট্রা আর যেগুলো কিনা এক্সপেরিমেন্টে পাওয়া যায় সেগুলো কতটা কাছাকাছি। কয়েকটা প্যারামিটার আছে ম্যানিপুলেট করা যায়। যদি প্রেডিকটেড এনারজী এক্সপেরিমেন্টে পাওয়া এনারজীর কাছাকাছি হয় তাহলে বোঝা গেল যে ঐ যে ধরে নেওয়া হয়েছিলো দু'খানা কোয়ার্ক ওভাবে লিনিয়ার ধরনের পোটেনশিয়াল দিয়ে আটকানো আর খুব কাছাকাছি থাকলে কুলম্ব টাইপের পোটেনশিয়াল দিয়ে আটকানো, সেই মডেল কাজের মডেল। রিলেটিভিসটিক সমীকরণে মাত্র তিনখান পারামিটার দিয়েই হয়ে যায়, স্পিন-স্পিন স্পিন-অর্বিট এসব পোটেনশিয়াল ইন-বিল্ট! তবে সমীকরণের চেহারা দেখে দৌড় দিতে ইচ্ছা করে, এত বড়! তবে কিনা দুনিয়ায় তো নানাকিসিমের লোক, কিছু লোক এত জটিল জিনিসও করে!
    সংক্ষেপে এই নাকি বাউন্ড স্টেট স্টাডি!
    আমি কিসুই যদি বুইলাম না, তবু কইয়া দিলাম।

  • bitoshok | 69.180.128.132 | ০৪ এপ্রিল ২০১০ ২২:২১428758
  • পার্টিকল ফিজিক্সের গোড়ার কথা বুঝতে গেলে প্রথমে এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করা জরুরি যে প্রকৃতির রাজ্যে অদ্ভুত কিছু শৃঙ্খলা (সিমেট্রি) আছে। এই শৃঙ্খলার স্বরুপ বুঝতে পারলে, অব্যর্থ কিছু নিয়ম পাওয়া যায় যেগুলি ব্যবহার করে অ্যাকচুয়াল ডায়নামিক্স না জেনেও
    অনেক কিছুই বলা যায়। উদাহরণ দেই। খোকাখুকী বয়সে সবাই শেখে যে কোন আইসোলেটেড সিস্টেমের শক্তি, ভরবেগ সংরক্ষিত হয়। শুধু এই টুকু জেনেই পরীক্ষায় অনেক অঙ্ক কষে ফেলা যায়। কিন্তু শক্তি, ভরবেগ কেন সংরক্ষিত হয়? হয়, তার
    কারণ আপনি যে স্পেস-টাইমে আছেন সেটা সমসত্ব (হোমোজিনিয়াস)। হোমোজিনিয়াস স্পেস-টাইমে, যেকোন স্পেসিয়াল এবং টেম্পোরাল ট্রান্সলেশনের পরিপ্রেক্ষিতে ফিজিক্সের নিয়ম কানুনের কোন বদল হবে না। পাতি বাংলায় বলতে গেলে,
    আপনি একটা এক্সপেরিমেন্ট কলকাতায় করছেন কি কামচাটকায়, ২০১০ সালে কিংবা ২০৫০ সালে - তাতে কিচ্ছু যাবে আসবে না।

    এখানে যেই সিমেট্রির কথা বলা হচ্ছে সেটা স্পেস-টাইমের সিমেট্রি। এছাড়াও অজস্র সিমেট্রি থাকতে পারে যেগুলি পার্টিকলের নিজস্ব (ইন্টারন্যাল) সিমেট্রি। এখন এই ইন্টরন্যাল সিমেট্রি আছে কিনা বুঝবো কি করে? ওয়েল, যদি সিমেট্রি থাকে তাহলে সেটা
    সিস্টেমের ডায়নামিক্সে আভাস পাওয়া যাবে। গেলম্যান যে ক্লাসিফিকেশন করছিলেন, সেটা এই ধরণের একটি সিমেট্রির ইঙ্গিত দেয়। সিমেট্রি একজ্যক্ট হতে পারে বা অ্যাপ্রোক্সিমেট। এমনকি সিমেট্রি কখনও ভেঙেও যেতে পারে। প্রতি ক্ষেত্রেই তার কিছু মেজারেবল
    কনসেকোয়েন্স থাকবে। পুরো পার্টিকল ফিজিক্সের বনিয়াদ দাঁড়িয়ে আছে এই সিমেট্রির ধারণার উপর।

    স্ক্যাটারিং আর ডিকে নিয়ে পরে লিখছি
  • bitoshok | 69.180.128.132 | ০৪ এপ্রিল ২০১০ ২২:২৪428759
  • স্ক্যাটারিং
    ---------------------
    ধরা যাক আপনি প্রোটনের সাব-স্ট্রাকচার দেখতে চান| কি করবেন? আচ্ছা সহজ কারে বলি। দেখা মানে কি? আমরা চারপশের জিনিস দেখি কিভাবে? এই মুহুর্তে যেই বস্তুটি আপনি দেখছেন তার থেকে
    আলো (অর্থাৎ অজস্র ফোটন কণিকা) গিয়ে আপনার চোখে (ডিটেক্টর) গিয়ে একটা ইনভারটেড ইমেজ তৈরি করে আর মস্তিস্ক সেই সিগন্যাল প্রসেস করে যে পার্সেপশন তৈরি করে তাকে বলছি দেখা। এবার যদি
    আপনি খুব ছোট কিছু একটা জিনিস দেখতে চান তাহলে কি করবেন? লেন্স কিনবেন? লেন্স কিনতে পারেন তবে খুব বেশি দূর যেতে পারবেন না। তার থেকে সহজ উপায় হচ্ছে ফোটনের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বদলে
    দিয়ে দেখা। কতটা বদলাবেন? আপনি যেই সাইজের বস্তু স্পষ্ট করে দেখতে চাইছেন, ফোটনের তরঙ্গদৈর্ঘা হতে হবে সেই মাপের। সুতরাং, ছোট বস্তু -- ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ফোটন -- উচ্চ শক্তির ফোটন।
    (শক্তির পরিমাপ তরঙ্গদৈর্ঘের ব্যস্তানুপাতিক| প্রোটনের স্ট্রাকচার দেখতে চাইলেও তাই করা হবে। ফোটেনর বদলে অন্য কোনো কণাও ব্যবহার করা যেতে পারে| কিন্তু শর্ত ঐ - ডি-ব্রগলি ওয়েভলেংথ
    যেই প্রত্যাশিত রিজলভিং পাওয়ারের সাথে তুল্য-মুল্য হতে হবে।

    এবার ধরা যাক, দুটি বিন্দুসম (স্ট্রাকচারলেস) কণা যেমন ইলেক্ট্রন-পজিট্রন একটা অন্যটার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হলো। কি ঘটবে? যদি এনার্জি কম থাকে তাহলে কোয়ান্টাম লেভেলে যা ঘটবে তা হল
    ইলেক্ট্রন + পজিট্রন -- ভার্চুয়াল ফোটন -- ইলেক্ট্রন + পজিট্রন। এবার এনার্জি যত বাড়াবেন ভার্চুয়াল ফোটন ভ্যাকুয়াম থেকে আরো অনেক রকমের পার্টিকল তুলে আনবে। যেমন
    ইলেক্ট্রন + পজিট্রন -- ভার্চুয়াল ফোটন -- কোয়ার্ক + অ্যান্টিকোয়ার্ক|। অর্থাৎ, বেশি এনার্জি মানে আরো ছোটো স্কেলের কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের সন্ধান পাওয়া।

  • dri | 117.194.238.40 | ০৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:৫৩428760
  • ভালো হচ্ছে, ভালো হচ্ছে।

    স্পেস টাইম সিমেট্রি জলের মত পরিষ্কার। ইন্টার্নাল সিমেট্রির একটা ইন্টিউটিভ উদাহরণ দেওয়া যাবে কি? আর অ্যাপ্রক্সিমেট সিমেট্রির একটা এগ্‌জাম্পল দিলেও খুব ভালো হয় যদি না খুব উইয়ার্ড কিছু হয়।

    ফোটন দিয়ে দেখা, ডি ব্রগলি ওয়েভলেংথ জলের মত পরিষ্কার। কিন্তু হাই এনার্জিতে ইলেক্ট্রন তুলে পজিট্রনের দিকে ছুঁড়ে মারলে কোয়ার্ক আর অ্যান্টিকোয়ার্ক হয়ে যাবে এটা একটু পি সি সরকারের ম্যাজিকের মত লাগল।

    চলুক। আস্তে আস্তে হলেই ভালো। অ্যাবসর্ব করার টাইম পাওয়া যায়।
  • quark | 202.141.148.99 | ০৬ এপ্রিল ২০১০ ১৫:৫৬428761
  • হাই এনার্জিতে ইলেক্ট্রন তুলে পজিট্রনের দিকে ছুঁড়ে মারলে কোয়ার্ক আর অ্যান্টি কোয়ার্ক হয়ে যাবে এটা একটু পি সি সরকারের ম্যাজিকের মত লাগল - বীতশোকের আগের পোস্টের শেষ অংশ্‌টা খেয়াল করুন। ইলেক্ট্রন আর পজিট্রন - দুটো উল্টো চার্জ একসাথে এলে অ্যানিহিলেট (annihilate) করবে - পড়ে রইবে শুধুই এনার্জী। সেই এনার্জী থেকে যখন আবার পার্টিকল তৈরী হবে তখন সে জানে না যে সে এসেছিল ইলেক্ট্রন আর পজিট্রন থেকে, সে শুধু জানে যে কতটা এনার্জী আছে। সেই এনার্জী যদি কম হয়, তবে আবার ঐ ইলেক্ট্রন+পজিট্রনই তৈরী হবে, আর বেশি হ'লে, কোয়ার্ক+অ্যান্টিকোয়ার্ক, মায় Z বোসন পর্যন্ত্য।
  • keu na | 131.95.30.135 | ০৬ এপ্রিল ২০১০ ১৮:২২428762
  • শুধু চার্জ উলটো হলেই হবে না, অ্যানিহিলেশনের জন্য একটা আরেকটার অ্যান্টিপারটিকল হতে হবে। ইলেকট্রন হলো পজিট্রনের অ্যান্টিপার্টিকল। এরা যখন একে অপরের সাথে ধাক্কা খায় তখন পুরো ম্যাস রূপান্তরিত হয় শক্তিতে, আইনস্টাইনের শক্তি বস্তু তূল্যমূল্য তঙ্কÄ অনুসারে। সেই যে বিখ্যাত E=mc^2। ধরুন ঝটাঝট ঝটাঝট কয়েক মিলিয়ন ইলেকট্রন-পজিট্রনে ধাক্কাধাক্কি করে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল, পড়ে রইলো শক্তি। এই যে শক্তি ছাড়া পেলো তা থেকে আবার তৈরী হয় ম্যাসওয়ালা কণারা, এইসব কণারা ভারী থেকে হালকা যা খুশী হতে পারে, যদি অ্যাভেলেবল শক্তি এদের তূল্যভরের চেয়ে বেশী হয়, সেই ভরের কণিকা তৈরী হতে কোনো বাধা নেই যদিও নানারকম কনজারভেশন ল মেনেটেনেই আসতে হবে কণাদের। তবে শেষে ছিলো রুমাল হয়ে গেল বেড়াল, ছিলো ইলেকট্রন-পজিট্রন, হয়ে গেল চারমোনিয়াম! :-)
  • dri | 117.194.234.64 | ০৭ এপ্রিল ২০১০ ০০:৩৩428763
  • অনেক প্রশ্ন।

    এনার্জি যদি বেশী হয় তাহলে কোয়ার্ক আর অ্যান্টিকোয়ার্ক হবে। এ কথাটা কি গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়? ঐ পরিমাণ এনার্জি তো ইলেকট্রন আর পজিট্রনের ধাক্কায় এইমাত্র হল। তাহলে ফের ইলেকট্রন আর পজিট্রন নয় কেন? আর এই ইলেকট্রন + পজিট্রন = কোয়ার্ক + অ্যান্টিকোয়ার্ক, এটা কি ১০০ টা কলিশানের ১০০ টাতেই হবে, নাকি একটা প্রবাবিলিস্টিক ব্যাপার? শুধু হাই এনার্জিই যদি কোয়ার্ক আর অ্যান্টিকোয়ার্কের মূল কথা হয় (অর্থাৎ এনার্জিটা কিভাবে হল সেটা যদি ম্যাটার না হয়), তাহলে অন্য কোন ভাবে হাই এনার্জি যেখানে হয়, সেখানে কি এটা হতে পারে? যেমন আকাশে যখন বিদ্যুৎ চমকায় তখনও খুব অল্প সময়ের জন্য খুব হাই এনার্জি হয়। তখনও কি কোয়ার্ক + অ্যান্টিকোয়ার্ক হতে পারে? কিংবা আয়নোস্ফিয়ারে? আর এই কোয়ার্ক + অ্যান্টিকোয়ার্ক কনফিগারেশান এটা কতটা দীর্ঘস্থায়ী? এটাও কি সঙ্গে সঙ্গেই আবার এনার্জি হয়ে যায়? ইলেকট্রন পজিট্রনের কলিশানগুলো কি পার্ফেক্টলি ইলাস্টিক হয়? মানে মোমেন্টাম এবং এনার্জি দুইই কনজার্ভড হয়? (মোমেন্টামে বোধ হয় রিলেটিভিস্টিক মাস বসাতে হয়?)

    অ্যান্টিপার্টিক্‌লগুলো বানায় কিকরে? আমি মেটাল হীট করে ইলেকট্রন পেতে পারি। একটা হাইড্রোজেন মলিকিউল গরম করে প্রোটন পেতে পারি। পজিট্রন, অ্যান্টিপ্রোটন এগুলো সিন্থেসাইজ করার কৌশল কি?
  • keu na | 131.95.30.135 | ০৭ এপ্রিল ২০১০ ০২:১৯428764
  • অ্যান্টিপ্রোটন পাওয়া বেশ টিকরমবাজির ব্যাপার। প্রথমে হাই এনার্জি প্রোটন বীম ছুটিয়ে দেয় কোনো স্লো টার্গেটে, এবারে কলিশনে শক্তি ছাড়া পেলে প্রচুর নানাবিধ কণিকা তৈরী হয়, সেগুলির মধ্যে থাকে কিছু অ্যান্টিপ্রোটনও। এবারে স্টোরেজ রিং এ সেগুলিকে নেওয়া হয়, সময়কালে সব আনস্টেবল কণিকা ডিকে করে যায়, পড়ে থাকে শুধু অ্যান্টিপ্রোটন আর ইলেকট্রন, এরা নানারকম সিমেট্রি টিমেটরি আর নিত্যতা সূত্রের জন্য ডিকে করতে পারে না। তারপরে নানা কায়দায় অ্যান্টিপ্রোটন ছেঁকে রেখে ইলেকটরনেদের ভাগানো হয়। পুরো পরকিয়ার বারে বারে পুনরাবৃত্তি করে তারপরে কিছু অ্যান্টিপ্রোটন জমা হয়। রাই কুড়িয়ে বেল এর চেয়েও কঠিন কাজ।
    তুলনায় পজিট্রন পাওয়া সোজা, রেডিও-অ্যাকটিভ এলিমেন্ট দের মধ্যে যারা পজিট্রন নি:সরণ করে, তাদের কাছ থেকেই পজিট্রন মেলে। শুধু জমাতে হয় স্টোরেজ রিং এ।
  • Sibu | 216.239.45.4 | ০৭ এপ্রিল ২০১০ ০২:২৭428765
  • 'পরকিয়ার' পুনরাবৃত্তি বেশ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার :)।
  • keu na | 131.95.30.135 | ০৭ এপ্রিল ২০১০ ০২:৩৬428767
  • আরে টাইপো কান্ডে বেশ মজা হোলো তো। :-)
    পরকিয়া না, প্রক্রিয়া হবে। তবে যা জটিল ব্যাপার, পরকিয়া বললেও দোষ হয় না ।:-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন