এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশু টক(৩)

    raatri
    অন্যান্য | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৩৯২৬৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 179.237.31.253 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২০440854
  • name: byaang mail: country:

    IP Address : 132.167.208.222 (*) Date:26 Nov 2014 -- 02:16 PM

    পুজোর হপ্তা দুয়েক আগে একদিন ব্যাঙাচির স্কুল ডায়রিতে অঙ্কের টিচারের কমেন্ট এল, Reading Hardy Boys in Algebra Class!!!!! আমাকে মন্তব্যটি দেখে সই করে পাঠাতে হবে।
    ব্যাঙাচির দিকে কটমট করে তাকানোয় কাঁচুমাঁচু উত্তর পাওয়া গেল "আমার পাশের ছেলে বইটা খুলে রেখেছিল ডেস্কের উপর, আমার একবার চোখ পড়ে গেছিল।" (বলে রাখা ভালো এর আগে অনেকবার হার্ডি বয়েজ কিনতে চেয়েছে সে, আমি তিন-চারটের বেশি কিনে দিই নি)
    তারপর সন্ধ্যে হতে তার প্রিয় বন্ধুর মায়ের ফোন এল। আমাকে জিগালেন ছেলের বন্ধুর মা, "তুঝে পাতা হ্যায় কেয়া আজ স্কুল মে মৈত্রেয়কো থাপ্পড় পড়া?" জানা গেল অংকের টিচার ক্লাস ফাইভের কোনো এক সেকশনের ক্লাস টিচার। তিনি লাস্ট পিরিয়ডে ওনার ক্লাস ফাইভের একটি ছেলেকে ব্যাঙাচিদের ক্লাসে পাঠান, সে এসে বলে, "ম্যাম হ্যাজ আস্কড মৈত্রেয় টু মীট ম্যাম অ্যাট ক্লাস ফাইভ, অমুক সেকশন উইথ হিজ স্কুল ডায়রি। রাইট নাও।" ব্যাঙাচি ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস ফাইভে গেলে উনি ক্লাস ফাইভের ছেলেদের সামনে সিক্সের দাদাকে একটি থাপ্পড় লাগিয়ে বলেন যে উনি আশা করেন এরপর থেকে আর ক্লাস সিক্সে বা ফাইভে কেউই ক্লাসে বসে গল্পের বই পড়বে না। এরপরে বন্ধুর মা বলেন, "আভি সুন, মেরা বেটা বোল রহা হ্যায়, মৈত্রেয়কো তো হর হাল পে হার্ডী বয়েজ সিরিজ খতম করনা হ্যায়। বেহতর হোগা আগর মৈত্রেয়কো ঘর মেঁ হি ফুল সিরিজ মিল যায়ে ।"
    আপডেটিত হয়ে ব্যাঙাচিকে বলা হল "বেশ হয়েছে, থাপ্পড় খেয়েছিস, কেউ ক্লাসে বসে গল্পের বই পড়ে? জানিস না এতে টিচারকে অপমান করা হয়? টিচার খুব ভালো যে মোটে একটা থাপ্পড় পড়েছে, আমি হলে ঠাস ঠাস ঠাস গোটা কতক লাগিয়ে দিতাম, একটায় থামতাম না। আর তোর যদি হার্ডি বয়েজ পড়ার এতই শখ তাহলে কোলকাতায় ঠামির বাড়ি গিয়ে বাবার হার্ডি বয়েজগুলো পড়িস না কেন?"
    উত্তর এল "ওগুলো সব পুরনো হার্ডি বয়েজ। অল নিউ হার্ডি বয়েজ নয়। বাবার হার্ডি বয়েজগুলো খুব বোরিং।"
    যাই হোক ফ্লিপকার্ট আর অ্যামাজনে অর্ডার করে আরো পাঁচটা অল নিউ হার্ডি বয়েজ বই আনিয়ে দেওয়া হল। ঘরে শান্তি নেমে এল।
    পুজোর পর স্কুল খুললে পেরেন্ট টিচার মিটিংয়ে ঢুকতে যাব, এমন সময়ে তাদের সেকশনের ফার্স্ট বয় এসে বলল "আন্টি মৈত্রেয় আজ হিস্ট্রি ক্লাসে বসে গল্পের বই পড়ছিল। হিস্ট্রি টিচার ওকে চক ছুঁড়ে মেরেছে, ও টের পায় নি এত এনগ্রসড হয়ে ছিল। ও ভেবেছে ওর গায়ে এমনি একটা কিছু এসে পড়েছে, জাস্ট লাইক দ্যাট, ও তখন ওর জুতো দিয়ে যেটা এসে পড়েছে সেটাকে পিষে গুঁড়ো করে দিয়েছে। টিচার ওর উপর খুব রেগে গেছে।"
    এই অব্দি শুনেই তো আমি ঢোঁক গিলতে আরম্ভ করেছি। ততক্ষণে আরো দুই-তিনজন বন্ধু এসে ভারি উত্তেজিত হয়ে মৈত্রেয়র কীর্তি বর্ণনা করতে শুরু করেছে। এদিকে আমি ভেবেই পাচ্ছি না, কোত্থেকে সে গল্পের বই পাচ্ছে, আমি তো বাড়ি থেকে স্কুলে গল্পের বই নিয়ে যেতে চাইলে রাজি হই না। বন্ধুদের যত জিগাই, ওকে কে এত গল্পের বই সাপ্লাই দিচ্ছে, "সাম বয়, উই ডোন্ট নো হিজ নেম আন্টি"র বেশি আর জানা যাচ্ছে না। আশপাশে দাঁড়ানো দুইতিনজন বন্ধুর মা সব শুনে সাবধান করে, "প্লিজ টক টু হিম, ইউ নেভার নো, টুডে ইট ইজ হার্ডি বয়েজ অর সাম রাবিশ, টুমরো মে বি সামথিং এলস।"
    আমি অপমানে জর্জরিত হয়ে তাকে ধরে ঝাঁকুনি দিলে সে প্রবল ঘাড় নেড়ে অস্বীকার করছে, কিছুতেই কোন ছেলে বই দিচ্ছে নাম বলছে না।
    তারপরে তার টিচারদের সঙ্গে দেখা করে জানলাম। আটটা সেকশনের চারশো ছেলের মধ্যে কোনো একটি ছেলে আছে, যার নাম নাকি টিচাররাও বার করতে পারছেন না। সেই ছেলে ক্লাসে বসে তার বিজনেস এম্পায়ার চালাচ্ছে। সে রোজ স্কুলে আসার সময়ে দুটি করে হার্ডি বয়েজ নিয়ে আসে। দিনে সে চারজনের বেশি কাস্টমারকে অ্যাটেন্ড করে না। চার পিরিয়ড ধরে এক একটি বই রাখতে দেওয়ার ভাড়া হল পঞ্চাশ টাকা। তাই দিনে উনি মোট দুশোটাকা উপার্জন করেন। ছেলেরা বইয়ের রেট, মেয়াদকাল সব বলছে, কিন্তু ব্যবসায়ীটির নাম কেউ বলছে না।

    আমি তো সব শুনে হি হি করে হেসে ফেলি। অজানা অচেনা ক্লাস সিক্সের ছাত্রের প্রতি শ্রদ্ধায় ঘাড় নুইয়ে আসে। নিজের ছেলের বাবাকে, দিদিমাকে, ঠাকুমাকে সব্বাইকে জানাই। ছেলে কারুর কাছেই মুখ খোলে না। বলে "না, এরকম কিছুই হয় না।"
    এদিকে আমারও সন্দেহ বাড়ে। ছেলের হাতে তো টাকা দেওয়া হয় না, রোজ পঞ্চাশ টাকা করে কোত্থেকে পায়? তবে? কিছুদিন পরে কাঁদো কাঁদো মুখে বাড়ি ফেরেন। "অভ্যুমামার দেওয়া পেনটা তুমি আজ থেকে বাড়িতেই রেখে দিও। ওটা নিয়ে আর স্কুলে যাব না। বাড়ির হোম-ওয়ার্ক করব।"
    ফস। আমারও দিমাগের বাতি জ্বলে ওঠে। রোজ রোজ যে বিভিন্ন পেন, পেনসিলবক্স ইত্যাদি হাওয়া হয়ে যায়, সেগুলো তাহলে এই খাতে যাচ্ছে। ক্যাশ না পেলে কাইন্ড। বার্টার ব্যব্স্থা চালু করেছে। সেই ব্যবসায়ী নিশ্চয়ই এবার অভ্যুমামার দেওয়া পেনে নজর দিয়ে বসেছে।
    গত সপ্তাহে ভূগোল খাতার পিছনের পাতায় এক হিসেব দেখতে পাওয়া যায় এরকম -
    Mon - 15
    Tue - 35
    Wed - 25
    Thu 25
    Fri Absent
    যথাক্রমে এক পিরিয়ড, তিন পিরিয়ড ও দুই পিরিয়ড বই কাছে রাখার হিসেব নিশ্চয়ই। হিসেব দেখিয়ে জিগালে "আমি জানি না, কেন লিখেছি"র বেশি আর কিছু জানা যায় না। কিন্তু আবারও প্রশ্ন হল এ তো পেনের হিসেব নয়, নির্ঘাত টাকারই হিসেব। তাহলে কোত্থেকে টাকা পাচ্ছে?

    আপনারাও একটু ভাবুন, আমাকে সাহায্য করুন। বাড়ির জিনিস বেচে দিয়ে আসছে এমন প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে?

    কোনো ডেট তো নেই। হয়তো কয়েক মাস আগে লিখেছে, আমি তো রোজ সব খাতার পিছনের পাতা পড়তাম না এতদিন।

    হায়, এতদিন আমার স্থির বিশ্বাস ছিল, আমার মায়ের মত অত সরল এবং বোকা আর কেউ হয় না। হাজার গোয়েন্দাগিরি করেও আমার নাগাল পায় নি কক্ষনো। এখন নিশ্চয়ই আমার ছেলে তার মায়ের সম্বন্ধে এমন কথা ভাবে।
  • Abhyu | 179.237.31.253 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২৮440855
  • name: T mail: country:

    IP Address : 24.139.128.15 (*) Date:26 Nov 2014 -- 04:56 PM

    ব্যাঙদির ছেলের নাম মৈত্রেয়! আমার মেয়ের নাম মৈত্রেয়ী। ডাকনাম ঘোতন। সে যাক, ইশকুলে গল্পের বই পড়া শুনে মনে পড়ে গেল। আমরাও এরকম কত্তুম। ভুগোল বইয়ের মলাটের ভেতর ফেলুদা ইত্যাদি। একদিন ধরা পড়ে যেতে প্রথমে বেশটি করে কান মলে তারপর জিজ্ঞাসা করে, বল হতভাগা, ভূপ্রাকৃতিক ভাবে ভারতকে ক ভাগে ভাগ করা যায়? এর উত্তর বুঝলেন, ওই সাত না আট হবে। চোদ্দও হতে পারে। তো, আমি কিছুই বলতে পারছি না। কান ওদিকে আরো জোরে টানছে। শেষে থাকতে না পেরে হেব্বি চেঁচিয়ে বললাম, কী আশ্চর্য! পাঁচভাগে ভাগ করা যায় তো!
    - বটে! পাঁচ ভাগে! কি কি শুনি। এই আশিষ তোর স্কেলটা দে তো!
    - উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম...আর আর মধ্য।
    ব্যাস...ঠাস ঠাস করে স্কেলের বাড়ি। সঙ্গে অপমান। গার্জেন কল। হ্যাঁ, আপনার ছেলে ক্লাসে গল্পের বই পড়ে। অমনোযোগী। মিচকে। ইত্যাদি ইত্যাদি।
    রিকশা করে ফেরার সময় বাবা আর হাসি চেপে রাখতে পারছিল না। তবে স্যার গুলো আমায় খুব ভালোবাসত।
  • | 183.17.193.253 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:২৮440856
  • গরমকালের ঘটনা। গাছে গাছে পাতা,ঝলমলে রোদ- আর রাস্তাভর্তি হার্লে। গমগমিয়ে মোটর সাইকেল চলছে, অধিকাংশ আরোহীর পিছনে স্বল্প বসনা সুন্দরীরা বসে আছেন। হঠাৎ বিশেষ কিছু একটা দেখে আমি চালককে বল্লাম,দেখলে- চালক আবার কি কি কোথায় কোথায় বলে উৎসাহ প্রকাশ করামাত্র পেছন থেকে অ্যান্টেনা খাড়া করে উনিও কিকি কোথায় কোথায় বলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তো আমি খুব স্বাভাবিক গলায় বল্লাম দ্বিচক্রযান- উনি ও বলে চলমান মোটর সাইকেল দেখে চুপ করে গেলেন। ভাবলাম, এইতো সুযোগ, একটু বাংলা ঠুসে দি।

    বাবা,মোটর সাইকেলকে বাংলায় কী বলে বলো তো?

    গম্ভীর গলায় উত্তর এলোঃ দিক্রিনী চক্রবর্তী।
  • Abhyu | 179.237.46.178 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:৩৮440857
  • :)) উজান খুবই বুদ্ধিমান।
    আর ব্যাঙদির আসল টেনশনটা হল "এখন নিশ্চয়ই আমার ছেলে তার মায়ের সম্বন্ধে এমন কথা ভাবে।"
  • | 183.17.193.253 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৫৩440858
  • লং উইকেন্ডের বাজার। সকাল থেকে সিএনেন চলছে। ডারেন উইলসনের ঠান্ডা মাথার ইন্টারভিউ দেখে উত্তেজনাও আছে। টিভি বন্ধ করতে বলা খুব একটাএকটা পছন্দ হয় নি। খেতে বসেও ফার্গুসনের কথাই হচ্ছে। ছেলে বলছে,আমি হুঁ হা করে যাচ্ছি।
    কি রকম করলে আর ছেলেটাকে মরতে হতো না এই নিয়েও সুচিন্তিত মতামত দিচ্ছে- আমি চুপ করে আছি দেখে বুঝেছে যে মা এখন এই আলোচনা চালাতে চাইছে না।
    নিজেও চুপ করে খাচ্ছিলো, হঠাৎ আরেকটা কথা মনে পড়ে যাওয়ার খুব উত্তেজিত ভাবে বল্লো, মা ও ও কিন্তু দায়িত্যের মতই লম্বা!
    আমি বল্লাম সেটা আবার কোন জিনিস? আমাকে বাংলার মাস্টারমশাই এর ভঙ্গীতে বিজ্ঞের মত বল্লো,আরে দায়িত্য,দায়িত্য মানে যাকে ইংরেজিতে বলে জায়েন্ট।
    জানো না (উত্তেজিত ভঙ্গীতে)?
    একটা বাংলা শব্দ তার দুটো ইংরেজি - জায়েন্ট আবার রেসপন্সিবিলিটিও - রিয়েলি উইয়ার্ড। বলে আবার খাওয়ায় মন দিলোঃ(
  • aranya | 154.160.130.93 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:১৯440859
  • আমি মৈত্রেয় আর উজান-কে অ্যাডপ্ট করতে চাই। দূর্দান্ত দুই ছেলে, জাস্ট টু গুড
  • byaang | 132.178.198.37 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৮:৪৮440860
  • অরণ্যদা, কাল ইতিহাস খাতায় এটা দেখতে পেলাম। ম্যানেজারদের নামদুটো একটু লক্ষ্য করবেন। গুরুতে এটা দিতে পারি কিনা জিগানোয় বলেছে, "ওকে, দিতে পার, কেউ যেন স্টেডিয়ামের নাম দেখে না হাসে। এটা পারসোনাল স্টেডিয়াম। এখন হয়তো নেই, কিন্তু কোনোদিনও হতেও তো পারে। তোমার বন্ধুরা কেউ যদি টীম সিলেকশন নিয়ে কোনো কিছু জানায়, আমাকে বোলো মনে করে।"
    http://postimg.org/image/muvgzwwp3/

    জানি না ছবিটা ঠিকমত এল কিনা।
  • byaang | 132.178.198.37 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৮:৪৯440861
  • Arpan | 125.118.20.194 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:১১440862
  • দিব্যি টিম হয়েছে। আগুয়েরো আর হামেশকে একটু বাজিয়ে দেখা হবে না?
  • 4z | 194.144.92.186 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:১৩440864
  • মেসিকে স্টার্টিং ইলেভেনে রেখে কোস্তাকে সাবস্টিটিউট রাখলে কেমন হয়?
  • aranya | 154.160.130.94 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:১৭440865
  • :-)
    মৈত্রেয়-কে বল, ওকে আমি প্রথমে প্লেয়ার হিসাবে টিমে দেখতে চাই, তারপর ম্যানেজার
  • byaang | 132.178.198.37 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:২৮440866
  • ঃ-)অরণ্যদা।
    অর্পন আর ফোজ্জি, বলে দেব তাকে। আমি কাল একটু বকুনিও খেয়েছি। এই লিস্টির মোটে চারজনকে আমি চিনি বলে - মেসি, দ্রোগবা, রোনাল্ডো (এটা আবার শিওর নই বুড়ো রোনাল্ডো না কচি রোনাল্ডো) আর মরিনহো।
    ওজিলকে চিনি না জেনে মর্মাহত হয়েছে, বলেছে "তুমি আমার মা, এটা কাউকে বোলো না।"
  • Arpan | 125.118.20.194 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৩৪440867
  • আর পুওল বেচারা রিটায়ার করে গেছে, ওর জায়গায় আমার রেকো হল হামেলস বা কোম্পানি। দ্বিতীয়জন আমার বেশি ফেবারিট।
  • + | 213.110.243.21 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৪৩440868
  • @ব্যাঙদি, টিম দেখে হেব্বি আনন্দ পেয়েছি। ভালো টিম ভালো পুয়োলের জায়গায় হামেলস।

    @অপ্পণদা, এ বোধহয় আমার দলের সাপোর্টার হতে পারে, এই ফর্মের জেরার্ড-স্টার্লিং কে টিমে রেখেছে
  • Tim | 105.59.87.146 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৪৯440869
  • দিব্য টিম হয়েছে। বুড়োদের অত ইসে কোরোনি, বুড়ো ডিফেন্ডার থাকলে খেলায় বেশি গোল হয়। ;-)
  • byaang | 132.178.198.37 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৫৮440870
  • আমি যেহেতু খেলোয়াড়গুলোকে চিনি না, তাই তাদের নিয়ে মাথাব্যথা নেই। আমি মজা পেয়েছি বাকি সব জিনিসগুলো দেখে। জার্সির রং, বলের নাম, ম্যাস্কট, স্পনসর এইসব। কতটা নষ্ট করার মত সময় থাকলে এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়!
  • Arpan | 125.118.20.194 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৫৯440871
  • হে হে, উনি আমাদের সাপোর্টার। তবে হতে পারে লিভারপুল সেকন্ড ক্লাব।
  • Arpan | 125.118.20.194 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১০:০১440872
  • নষ্ট করার মত সময়! এসব তো আমরাও করিছি এককালে!! সে না হয় ফিফা ১৪ আর ইন্টারনেট সেযুগে ছিল না। আর ক্লাসে বসে খাতায় ফুটবল খেলতে গিয়ে কানমলা আর বাইরে রোদে দাঁড়িয়ে থাকা।
  • + | 213.110.243.21 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১০:০২440873
  • নষ্ট!! হেব্বি অপত্তি। এখনো ফিফাতে এসব করে থাকি আমি। সিরিয়াসলি খেলা নিয়ে ভাবে, ভালো লাগছে। খেলুক ভালো করে। ব্যাঙ্গালুরু এফসি তো আছেই।
  • d | 144.159.168.72 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১০:৫৫440876
  • গান্ধীকে 'শিশুটক'এর টইতে দেখে দৌড়ে ঢুকলাম।

    উজান আর মৈত্রেয়কে হাই ফাইভ।
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১১:১৭440877
  • এই বাজারে মেসিকে ফার্স্ট ইলেভেনে না রাখা বেশ সাহসী স্টেপ।

    একটা ছোট টেকনিকাল ভুল। টিম ফর্মেশান সবসময় দশ জনের হয়। গোলকীপার কে হিসাবে রাখা হয় না।
  • de | 24.139.119.172 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১১:১৯440878
  • :))))))
  • Tim | 188.91.253.22 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১১:২০440879
  • সময় নষ্ট??!!
    ফিনাইল আর ডেটল দিয়ে ঘরমোছার থেকে অনেক ভালো কাজ এগুলো
  • b | 135.20.82.164 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১১:২৯440880
  • byaang

    IP Address : 132.178.198.37 (*)

    ক্ক দিলাম।

    অমি তো এই বয়সে খাতার পিছনে রেলস্টেশনের স্কিমাটিক ডায়াগ্রাম আঁকতাম। সে সব রেল স্টেশন টাইমটেবিলে খুঁজে পাওয়া যাবে না অবিশ্যি। কোথায় সিগনাল বসবে, কোথায় কেবিন, কোথায় লোকো শেড, সেখান থেকে কি ভাবে লাইন বেরিয়ে প্লাটফর্মে পৌঁছবে ইত্যাদি।

    এ সব না করে ফুটবল টিম! সময় নষ্ট ছাড়া আর কি বলব!
  • Arpan | 125.118.12.168 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:২০440881
  • বাড়িতে গেস্ট এসেছে। সমবয়সীটিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাড়ি চেনানোর পালা চলছে। একসময় কানে এল - এটা আমাদের মাস্টার বেডরুম, এখানে বাড়ির মাস্টার থাকে তো, তাই।
  • ব্যাঙাচির হয়ে | 138.192.7.51 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:১৭440882
  • name: byaang mail: country:

    IP Address : 132.178.251.59 (*) Date:30 Jan 2015 -- 09:48 PM

    আমাদের কালকের যাতায়াত কীরকম হবে সেটাই বরং লিখে দিই। তারপর বেঁচে থাকলে আবার এখানে লিখব।

    লেখা শুরুর আগে বলে রাখি। আজ বেলা এগারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা অব্দি আমি আর ব্যাঙাচি শুধু হেঁটেছি, একবারও বসি নি। জানি বিশ্বাস করবে না কেউ, তাই বলে সত্যের অপলাপ তো আর করা যায় না। পা এত চিবুচ্ছে এখন বলার কথা না।

    যাই হোক এবার কালকের কথা শুনুন।
    যাত্রা শুরু সকাল আটটায়। বানেরঘাটা রোডে আইআইএম থেকে দুইকিলোমিটার দূরে আমাদের বাড়ি থেকে।
    গন্তব্য আইআইএসসি , কুড়ি কিলোমিটার দূরে।

    আইআইএসসি থেকে পরবর্তী গন্তব্য ব্যাঙাচির ইস্কুল। আইআইএসসি থেকে ১০ কিমিদূরে।

    ব্যাঙাচির ইস্কুল থেকে পরবর্তী গন্তব্য আইআইএম, ব্যাঙাচির ইস্কুল থেকে দশ কিমি দূরে।

    সেখান থেকে গন্তব্য বাইশ কিমি দূরে হোয়াইট্ফিল্ডের এক মল। সেখান থেকে বেরোনোর কথা রাত পৌনে একটায়।
    আবার ফিরে আসা হবে চব্বিশ কিমি দূরে, এই বাড়িতে।

    পুরো যাতায়াতটাই করা হবে অটোয়।

    রাত পৌনে একটায় আমি আর ব্যাঙাচি অটোয় ফিরব শুনে বিভীষণ ব্যাগড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিল হোয়াইট্ফিল্ডে খুব মাগিং হয় বলে। এবং অটোড্রাইভাররা নাকি মাগারদের সাহায্য করে, বাধা না দিয়ে। সেই কথা শুনে ব্যাঙাচি হ্যা হ্যা করে হেসে উড়িয়ে দিয়েছে, "মা যা সাংঘাতিক, মা নিজেই মাগারদের সারাদিনের আরনিংস মাগিং করে নিতে পারে। আর অটোড্রাইভারও মায়ের ফ্যান হয়ে গিয়ে মায়ের টীম জয়েন করে নিতে পারে" বলে।
  • Abhyu | 85.137.12.52 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২০:৫৪440883
  • আমার ভাইপো (সাড়ে চার বছর, আমেরিকান)
  • raatri | 120.224.203.77 | ১৪ মার্চ ২০১৫ ১৫:০৩440884
  • ২৫।২।২০১৫

    পুত্রের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে আর পাল্লা দিয়ে তার শরীর ও বেগড়বাই করছে।কি করে যে সে যাচ্ছে আর লিখছে, সেই জানে।আজ শেষ পরীক্ষা।সকাল থেকে বাথরুমে যাচ্ছে আর আসছে, বা বলা ভালো সেখানেই থাকছে।আমার মাথায় বাজ।তার বাবাকে ফোনিয়ে ওসুধ খাওয়ানো হল,তাতে ও কাজ হচ্ছিলো না প্রথম দিকে; যাই হোক,শেষমেশ একটু ধরল,কোনোরকমে নিয়ে স্কুলে গেলাম।
    তাকে স্কুলে ঢুকিয়ে সাড়ে তিন ঘন্টা স্কুলের আশেপাশেই ঘুরে বেড়ালাম,মনে হচ্ছে এই বুঝি স্কুল থেকে ফোন আসে।দুটো পেপার পরীক্ষা,সুদ্ধু লিকুইড খেয়ে।টিফিনে চার-পাঁচটা বিস্কিট দিয়েছি শুধু।মাঝের সময়টুকুতে কি হল কে জানে!!
    ছুটির সময় দুরুদুরু বক্ষে নিতে গেছি।দেখি, ক্লান্ত মুখে এক গাল হাসি,যাকে পাচ্ছে চেঁচিয়ে বলছে "Happy C.I.D.! Happy C.I.D.!"শুধু সে নয়,সব বাচ্চার মুখেই এক বুলি।কিন্তু C.I.D. টা কি বস্তু? উত্তর এলো- Children's Independence Day।
  • Arpan | 125.118.214.9 | ১৮ মার্চ ২০১৫ ২১:৩০440885
  • পরীক্ষার সিজন চলছে।

    আজ মেয়ের সিভিক পরীক্ষা ছিল। পেপারে কোশ্চেন এসেছে ওয়েস্ট বেঙ্গলে কী কী ইন্ডাস্ট্রি আছে। আমাদের উদ্বিগ্ন মুখের দিকে তাকিয়ে সে আশ্বস্ত করল অ্যান্সারটা জুট আর সিল্ক হবে।
  • S | 139.115.2.207 | ১৯ মার্চ ২০১৫ ০০:৫০440887
  • ওয়েস্ট বেঙ্গলে কী কী ইন্ডাস্ট্রি আছে বলতেই কেন জানিনা তেলেভাজার কথা মনে পরলো।

    Children's Independence Day ব্যাপক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন