এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এটম বোমা বিষ্ফোরণ-কমিউনিস্ট পার্টীর রিএকশন

    tatin
    অন্যান্য | ১১ এপ্রিল ২০১০ | ৬০৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 70.177.57.60 | ১১ এপ্রিল ২০১০ ১০:১৪449975
  • বেসিক্যালি ব্যাপারটা নিয়ে জানতে ইচ্ছুক হয়ে নেট ঘাঁটছিলাম- হিরোশিমার ইমিডিয়েট রিয়েকশন হিসেবে খুব কমই তথ্য পাচ্ছি- কিন্তু যা পাচ্ছি তা ভয়ংকর:

    TheCommunistpositionontheBombwasacontinuaitonofthisattitude.In1945, afterthedroppingoftheBombonHiroshima, theysupportedtheuseofthisweaponofmassdestruction.TheDailyWorkerhasthedubious‘honour’ofbeingtheonlyBritishnewspapereditoriallytocallfortheemploymentofthenewweapononasubstantialscale.Theythought, ‘Itwillenormouslyincreasethestrengthofthethreegreatpowersinrelationtoallothercountries.’[1]Probably, thisstatementwasthefirstexpositionofatomicdiplomacy.OnAugust14, 1945, theirfrontpageheadlineread:Japsstilltryingtohaggle.InthearticletheydenouncedtheJapanesefortheirdelayinacceptingtheAlliedarmisticetermsandcriticizedtheAlliedPowersforallowingtheJapanesetoprocrastinate:‘TherewasnoofficialhintofthelengthofdelaythattheJapanesearetobeallowedbeforethefullforceofAlliedpower–includingtheatombomb–isloosedagainstthem, inablowintendedtobefinal’.

    OtherCommunistpapersabroadtookasimilarline.L’Humanité, theorganoftheFrenchCP, said,

    ‘TheatomicbombdroppedonHiroshimaseemstohavecausedconsiderabledestruction, Americanreportssuggestnothinglessthanthedisappearancefromthefaceoftheearthofatownof300,000inhabitants.Theeffectsofthediscoveryisconsiderable.Nevertheless, theVaticanhasbeenpleasedtodisapproveofit! Maywebepermittedtoexpressoursurprise, becausewhentheNazishadtheprivilegeofwagingtotalwarwithtotalcruelty, theHolySeewasnotequallyindignant.’

    TheItalianCommunistpaper, L’Unitaobserved.

    ‘ThenewsthatanatomicbombwasdroppedbytheAmericanAirForcehasmadeanenormousimpressionthroughoutthewholeworld, andhasbeenreceivedonallsideswithasenseofpanicandcondemnation.Thisshows, itseemstous, acuriouspsychologicalperversionandadoctrinaireobediencetoaformofabstracthumanitarianism.’[3]

    AmongthoseguiltyofwhatL’Unitacalls‘anabstracthumanitarianism’wasAlbertEinstein, thescientist, whosepioneerworkinnuclearphysicsmadenuclearenergy–andtheBomb–apossibility.Hewasheart-broken, atthenews.HehadrepeatedlypleadedwiththeAmericanGovernmentnottodroptheatomicbombonacity.WhenEinsteinsawthefruitofhislife-timesworkintheruinsofHiroshima, hesaid, ‘IfIhadonlyknown, Iwouldhavebeenalocksmith.’

    http://www.marxists.org/history/etol/writers/challinor/1960/xx/zigzag.htm

    অবশ্য পরবর্তিকালে পজিশন পালটায়- মলোটভ যখন উপলব্ধি করেন বোমাটা আসলে সোভিয়েতের দিকেই ছোঁড়া

    http://www.pbs.org/wgbh/amex/bomb/filmmore/reference/interview/zubok1.html
  • tatin | 70.177.57.60 | ১১ এপ্রিল ২০১০ ১০:১৬450033
  • তবে এসবই তথ্যবিকৃতি হতে পারে- ৪৫-এর অগস্ট মাসে কমিউনিস্ট পার্টিগুলির বোমা নিয়ে বক্তব্য কেউ বিশদে জানালে বাধিত থাকবো।

    তবে উইকি বলছে বোম পড়ার দুদিন বাদে ৯-ই অগস্ট রাশিয়া জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে

    ** আর একটা গল্প শুনেছিলাম যে হিরোশিমা বিষ্ফোরণের পর ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির লোকজন মনুমেন্টের নীচে জনযুদ্ধের বিজয় উদ্‌যাপন করেন- এটাও অবশ্য গল্পকথা হতে পারে, কোনও লিংক পেলাম না**
  • kallol | 124.124.93.202 | ১১ এপ্রিল ২০১০ ১১:০৭450044
  • কমিউনিষ্টরা আবার কবে পারমানবিক বোমার বিপক্ষে?
    সোভিয়েৎ রাশিয়া, চীন নইলে এতো এতো বোম বানালো কেন।
    হ্যাঁ, বোম কার হাতে তাই নিয়ে চাপ আছে কমিউনিষ্টদের। ২য় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার হাতে বোম। ভালো বোম। জাপানে ফেলেছে - আরো ভালো। ফ্যাসীবাদ বিরোধী বোম।

    ঠান্ডা যুদ্ধের আমলে।
    সোভিয়েৎ চীনের হাতে বোম। প্রলেতারিয়েৎ বোম। ভালো বোম।
    আমেরিকা/বৃটেন/ফ্রান্সের হাতে বোম। সাম্রাজ্যবাদী বোম। খারাপ বোম।

    ঠান্ডাযুদ্ধোত্তর যুগে।
    ভারতের হাতে বোম। ইয়ে, মানে, ঠিকই আছে।
    পাকিস্তানের হাতে বোম - চুপ।
    ইরান বা উত্তর কোরীয়ার হাতে (হতে পারে) বোম। চুপ। কিন্তু মনে মনে খুশী।
    আমেরিকা/বৃটেন/ফ্রান্সের হাতে বোম। সাম্রাজ্যবাদী বোম। খারাপ বোম।

  • pi | 72.83.210.50 | ১১ এপ্রিল ২০১০ ১৪:১৯450055
  • এরকম প্রতিক্রিয়া তো অনেক বার ই হয়েছে মনে হয়।
    অন্তত ৯/১১ এর পরের উল্লাস নিজের কানে শোনা। বেশ কিছু কমিউনিস্টের কথায়, লেখায়। শুধু কম্যুনিস্ট ক্যানো, প্যালেস্তানীয় সহ পৃথিবীর আরো অনেক জায়গার মানুষের অনুরূপ প্রতিক্রিয়ার কথাও তখন খবরে বেরিয়েছে।

    ২৬/১১ র পর তাজের কিছু বাসিন্দার মৃত্যু নিয়েও শুনেছি। সব ক্ষেত্রে উল্লাস প্রকাশ না হোক, একটা ঔদাসিন্য দেখেছি।

    সেভাবে দেখতে গেলে, এটা তো খালি কম্যুনিস্টদের ব্যাপার না, যেখানেই একটা পক্ষ নিয়ে নি, একটা 'আমরা' 'ওরার' গল্প চলে আসে, 'ওদের' মৃত্যুতে একধরণের উল্লাস বা উদাসীনতা থাকে তো। কখনো তার বহি:প্রকাশ আছে, কখনো চাপা।
    আর এই 'ওরা' টা কখনো জাতিগত, কখনো বিশেষ মতাদর্শের ব্যক্তি বিশেষ ও হতে পারেন। এই তো কদিন আগেই জ্যোতি বসুর মৃত্যুতে উল্লাসপ্রকাশ নিয়ে এতো তক্কাতক্কি হয়ে গ্যালো, এখানেই।

    সাঁই হত্যাকাণ্ড নিয়ে উল্লসিত হওয়া ও কি এক ই রকম না কিছুটা ? হ্যাঁ, তারা হয়ত ঘৃণ্য অপরাধী ও আইনের চোখে পার পেয়ে যাওয়া।
    তবে কারুর মৃত্যুতে কেউ উল্লসিত হচ্ছে মানে সেখানে কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো জাস্টিফিকেশন দিয়েই হচ্ছে।
    ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে সেটা স্পষ্ট। এই হিরোশিমার বেলায় সেটা করা হয়েছে জাতিগত একটা ক্ষোভের জায়গা থেকে, নাৎসী হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধের কোনো একরকম জাস্টিফিকেশন হিসেবে।
    ৯/১১ র সময় আমেরিকার যাবৎ ভুলভাল কাজের ফল হিসেবে।

    বা, ঔদাসিন্য। আঅমরা কেউ সুনীতা মণ্ডল নিয়ে উদাসীন তো ওরাতাপসী মালিক নিয়ে।
    ওরা লালমোহন টুডুকে নিয়ে তো আমরা পুলিশের চর বলে নিহত কোনো সিপিএম কর্মী কে নিয়ে।

    আর যুদ্ধ হলে আর তাতে পক্ষ নিলে তো এটা খুব বেশি করে ই আসবে। বিশেষ করে উল্লসিত হবার জায়গাটা।
    এখন যেমন, এই অপারেশন গ্রীন হান্ট ই ধরা যাক না। এই যে রাষ্ট্র বনাম মাওবাদীদের যুদ্ধ। তাতে যদি পক্ষ নিতে হয়, তাহলে অভিষেকের মৃত্যুতে আনন্দ পেতে হয় অথবা অন্য পক্ষে গেলে সি আর পি এফ জওয়ানের মৃত্যুতে। যুদ্ধে এগুলো একরকমের জয় তো বটে আর জয় আনন্দের। পক্ষ নিলে তাই আনদ পাওয়াটাও স্বাভাবিক, অনেকেই তো পাই ও। নয় কি ?
  • pi | 72.83.210.50 | ১১ এপ্রিল ২০১০ ১৪:৫৩450066
  • আরো একটা প্রশ্ন অনেকদিন ধরে ঘুরঘুর করছে। করেই ফেলি।
    অনেককেই দেখেছি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। কোনো নৃশংস খুনী, যার অপরাধ হয়তো সংশয়াতীত ভাবে প্রমাণিত, তার ক্ষেত্রেও। সে নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই। আমিও বিরোধী। কনফ্যুশন অন্যত্র। এনাদের মধ্যে অনেকেই বিপ্লবে আস্থা রাখেন, আজ হোক কি সামনের জন্মে। শ্রেণী শত্রু খতমে বিশ্বাস করেন। এটা ক্যামনে হয় ? সেটা ও কি একরকমের মৃত্যুদণ্ড ই হইলো না ?
    নাকি, ব্যাপারটা মৃত্যুদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আপত্তিকর নয়, বিচারব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি। তাই যে বিচারব্যবস্থায় আমি আস্থা রাখি , তাতে কেউ শ্রেণীশত্রু নির্ধারিত হলে, তার জন্য খতমের নিদান ঠিক আছে ?

  • kallol | 115.242.151.145 | ১১ এপ্রিল ২০১০ ২২:২০450077
  • মৃত্যুদন্ডের বিরোধী অথচ সশস্ত্র বিপ্লবে বিশ্বাসী, খুব অল্পই হয়তো আছে। আমার জানা কেউ নেই।
    তাদের দিক থেকে যুক্তি এরকম হতে পারে - সশস্ত্র লড়াইয়ে শ্রেণীশত্রু খতম তো যুদ্ধে মারা যাওয়া। সে তো মৃত্যুদন্ড নয়।
    কিন্তু গণ-আদালতে বিচার করে মৃত্যুদন্ড সে তো বুর্জোয়া আদালতের মতই। কেউ তাতে আপত্তি না করলে সেটা দ্বিচারিতা।
  • pi | 72.83.210.50 | ১১ এপ্রিল ২০১০ ২২:৩৫450088
  • কল্লোলদা, প্রচুর প্রচুর আছেন :)

  • aka | 24.42.203.194 | ১২ এপ্রিল ২০১০ ০২:২৫450099
  • ক্ষী ক্ষাণ্ড! এই প্রশ্নটাই আমার কদিন আগে পেয়েছিল। কিন্তু আমি আবার নিজের মনে মনে একটা উত্তরও ভেবেছি।

    কোন এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এই বিশ্বাসে যে মানুষটি অসংশোধনযোগ্য (জেনিটিকালি ভুলভাল?) এবারে এই ব্যাখাটি দক্ষিণপন্থী। কারণ বামপন্থীরা মনে করে সবই এই বুর্জোয়া পরিবেশের ফলে শ্রেণী বৈষম্যের ফলে, লোকটির অপরাধও তাই। তাই তারা মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে।

    কিন্তু ওদিকে শ্রেণীসংগ্রাম হল হোলি ওয়ার, শাস্তি নয়। এক সিস্টেম থেকে উন্নততর গণতন্ত্রে (ডিক্টেটরশিপ অফ প্রোলেতারিয়েত কি করে গণতন্ত্র হয় তা অবিশ্যি জানি না) যাওয়ার পথে সমস্ত বাধাকে দুরে সরানোর জন্য খুন। এইসব আর কি। খুনে আপত্তি নয়, কি কারণে খুন তাই নিয়ে আপত্তি।
  • kallol | 115.242.163.182 | ১২ এপ্রিল ২০১০ ০৭:৪৭450110
  • কমিউনিষ্টরা অপরাধ ও অপরাধী সম্পর্কে যে সমাজতাঙ্কিÄক ব্যাখ্যাতেই বিশ্বাস করুক না কেন - মৃত্যুদন্ডের ব্যাপারে খুবই রক্ষণশীল। সমস্ত কমিউনিষ্ট পার্টি পরিচালিত সরকার মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন এবং নিয়মিত তা ব্যবহৃত হয়।
    কাজেই বামপন্থী মানেই মৃত্যুদন্ড বিরোধী এমনটা নয় বোধহয়।
  • aka | 24.42.203.194 | ১২ এপ্রিল ২০১০ ০৮:০৪449976
  • কমিউনিস্ট সরকার হলে তখন মৃত্যুদণ্ডের ব্যাখ্যা হল - যেকোন মূল্যে কমরেডের স্বার্থ রক্ষার জন্য এবং প্রতি বিপ্লব রুখতে কমিউনিস্ট আইন। মানলে ভাল, নইলে শ্রেনী বিরোধী কার্যকলাপে প্রথমে গৃহবন্দী, তারপর জেলে বন্দী, তারওপরে সাতদিনের ফাঁসি। স্টালিন এস্টাইল হলে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১২ এপ্রিল ২০১০ ১১:৫৩449987
  • বিবর্তন একটা অনেক লম্বা প্রসেস। আশি-নব্বই বছর তার সামনে কিসুই নয়।
  • Diganta | 216.52.28.200 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৩:২০449998
  • মৃত্যুদণ্ড বিরোধিতার অন্য গ্রাউণ্ড আছে। মানে আজকে যাকে অপরাধী মনে করা হচ্ছে কাল যদি আরো সাক্ষ্যপ্রমাণ এসে যাওয়ায় প্রমাণিত হয় সে আসলেই দোষি ছিল না তাহলে কি হবে? আমেরিকা, ব্রিটেনে এরকম ঘটনা অনেকগুলো ঘটেছে। আগে যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাদের কেসগুলো ডি-এন-এ টেস্ট করে নতুন করে "ভুল বিচার" বলে প্রমাণিত হয়েছে। সমস্যা এটাতেই ...
  • ranjan roy | 122.168.217.162 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৬:২০450009
  • অ্যাটমিক বোমা প্রসঙ্গে:
    যদ্দূর মনে পড়ছে ১৯৬৪ কি ৬৬ সালে ব্ল্যাংকি ঠিক করে দিও) চীন প্রথম পারমাণবিক বোমা ফাটায়।
    তখন পার্কসার্কাস ময়দানে দূর্গাপূজোর প্যান্ডালের পাশে প্রতিবছরের মত ন্যাশনাল বুক এজেন্সির বইয়ের স্টলে স্থানীয় কমিউনিস্টরা ডিউটি/আড্ডা দিতেন।
    ন'কাকা বাড়িতে খেতে এসে আহ্লাদের সঙ্গে জানালেন যে রীতিমত সেলিব্রেট করা হয়েছে।( মানে চা-সিঙারা আর কি!) কাছেই পার্টি কমিউন। কাকাবাবু( মুজফ্‌ফর আহমেদ) এসে গেলেন। অন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এর পজিটিভ এফেক্ট, অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদী শিবিরের ব্ল্যাকমেইলিং এর কাউন্টার, ইত্যাদি নিয়ে নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন।
    মৃত্যুদন্ড প্রসঙ্গে:
    এর সমর্থনের পেছনে ক্যামন যেন আদিম " দাঁতের বদলে দাঁত, চোখের বদলে চোখ" গোছের প্রতিহিংসার দর্শন কাজ করে। তুমি অমুক বা তুসুক বা এতগুলোর প্রাণ নিয়েছ--- তোমার বাঁচার অধিকার নেই।
    ১৯৬৮তে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে সিপিএম-নকশাল ছাত্রদের সংযুক্ত প্রদর্শন চলছে।
    এস এফ আই য়ের নীলিমাদি শ্লোগান দিচ্ছেন( আমি মুগ্‌ধচোখে দেখছি)--- এই অত্যাচারের জবাব চাই।
    মলয়ের সঙ্গে নকশালগোষ্ঠী বলছে--- জবাব নয়, বদলা চাই।
    তারপরেই-" খুন কা বদলা খুন হ্যায়, মার কা বদলা মার হ্যায়'। একেবারে ভবিষ্যতের "এনকাউন্টর ফিলজফির" উপযুক্ত স্লোগান।
    আইনি মৃত্যুদন্ড মানে ব্যক্তির প্রতি রাষ্ট্রের প্রতিহিংসা।
    আবার আজকে পুলিশের সাজানো অকাট্য প্রমাণ কালকে ফেক প্রমাণিত হচ্ছে।
    আবার ইন্দিরা গান্ধী হত্যা মামলায় দু-একজন এমন লোককে প্রাণদন্ড দেয়া হয়েছে যে সুপ্রীম কোর্ট আইনি সাক্ষ্য এর জন্যে অপর্যাপ্ত মেনে নিয়েও ""জনভাবনা'' কে দেখে প্রাণদন্ড বহাল রাখলেন!
    পার্লিয়ামেন্ট হামলার ব্যাপারটা দেখুন। যারা হামলা করেছিল সবাই মৃত। রাষ্ট্রকে নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে নাগরিকদের বোঝাতে হবে ""অ্যাল ইজ ওয়েল''। উর্দূর অধ্যাপক গিলানি সমেত ক'জন স্কেপগোট খাড়া করা হল।লোয়ার কোর্ট প্রায় সবাইকে মৃত্যুদন্ড দিল।
    কিছু চ্যানেল ঐ ঘটনার কাল্পনিক নাটকীয় স্কিট দেখিয়ে দেখিয়ে জনমানসে হাওয়া তৈরি করল।
    হাইকোর্ট কজনকে খালাস করল। আফসান গুরুকে মৃত্যুদন্ড দিল।

    আমরা কেন ঐ ঘৃণিত লোকটিকে সমাজের বাইরে (যাবজ্জীবন কারাদন্ড, চোদ্দোবছর নয়,) অক্ষম করে রেখে নিশ্চিন্ত হতে পারি না?
  • pi | 137.187.177.247 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৬:২১450020
  • পরে নির্দোষ প্রমাণ হওয়া, সংশোধনের সম্ভাবনা, এই সব যুক্তি তো শ্রেণীশত্রুর বেলাতেও প্রযোজ্য হতে পারে !
  • pinaki | 67.43.241.179 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৬:৩৫450028
  • মৃত্যুদন্ডের বিরোধিতা করলে প্রমাণ থাকা না থাকা নিরপেক্ষভাবে করতে হবে। প্রমাণ ব্যাপারটাকে ইনক্লুড করলেই নৈতিকতার যুক্তিটা লঘু হয়ে যায়। পারলে 'দ্য লাইফ অফ ডেভিড গেল' সিনেমাটা দেখুন আর তার ক্রিটিকগুলো পড়ুন। ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে। ঐ সিনেমাটা মৃত্যুদন্ডের বিরোধিতা করেছে ঐ প্রমাণের যুক্তিতে। আর সেইজন্যে দুনিয়াজোড়া ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বিরোধী অ্যাকটিভিস্টদের বক্তব্য হল সিনেমাটা মৃত্যুদন্ড বিরোধী লড়াইকে শক্তিশালী করতে গিয়ে আসলে দুর্বল করে দিয়েছে।

    খুব সুন্দর সিনেমা। দেখতে পারেন।
  • pi | 137.187.177.247 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৬:৫৯450029
  • এই তো পিনাকীদাকে পাওয়া গেছে। তুমি কি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী ?
  • pinaki | 67.43.241.179 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৭:৫৪450030
  • হ্যাঁ।
  • byaang | 122.172.104.115 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৭:৫৯450032
  • হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা
  • pi | 137.187.177.247 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৭:৫৯450031
  • শ্রেণীশত্রু খতম করা নিয়ে কি মত ?
  • pinaki | 67.43.241.179 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৮:১৬450034
  • শ্রেণীশত্রু হলেই তাকে খতম করতে হবে - এরকমভাবে মনে হয় মাওবাদীরাও ভাবে না। যে যুক্তিতে CRPF/ইনফর্মার মারাকে সমর্থন করা হচ্ছে সেটা হল যুদ্ধের যুক্তি। অর্থাৎ ঘুরেফিরে আত্মরক্ষার যুক্তি। মানে যেহেতু এটা যুদ্ধ, তাই ওদের না মারলে ওরা আমায় মারবে। নিজেকে বাঁচানোর জন্যে তাই ওদের মারছি। এটা আর মৃত্যুদন্দ এক জিনিস নয়। দুটোকে গুলিয়ে ফেললে মুশকিল আছে।
  • byaang | 122.172.104.115 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৮:১৮450035
  • সরি সরি, চন্দ্রবিন্দু গুলো মিস করেছি।
  • PT | 203.110.246.230 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৮:২৬450036
  • বিশাল কোন তাত্বিক আলোচনা না করেও শুধুমাত্র একটি technical কারণেই মৃত্যুদন্ডের বিরোধীতা করা যায়। সেটা Diganta লিখেছেন (03:20 AM)। ভুল বিচারের জন্য মৃত্যুদন্ড হয়েছিল সেটা পরে প্রমাণ হলে (যেটা অনেক ক্ষেত্রেই হয়) মৃত মানুষটি ন্যায় বিচার পাবে কি করে?
  • pinaki | 67.43.241.179 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৮:৩০450037
  • PT, এই যুক্তিটার অসুবিধে হল, যদি বিচার ঠিক হয়, তাহলে মৃত্যুদন্ড ঠিক - এই ব্যাপারটা করোলারি হিসেবে জাস্টিফায়েড হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে তাহলে আর নৈতিক কারণে মৃত্যুদন্ডের বিরোধিতা করার কোনো গুরুত্ব থাকে না।
  • pi | 137.187.177.247 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৮:৩৩450038
  • মানে, ইনফর্মার ছাড়া শ্রেণীশত্রু নেই ? সব শ্রেণীশত্রু খতম করাই আত্মরক্ষার্থে ?
  • pinaki | 67.43.241.179 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৮:৪২450039
  • না, যুদ্ধে আক্রমণ, আত্মরক্ষা - দুই-ই থাকে তো।
  • pi | 137.187.177.247 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৮:৪৫450040
  • আক্রমণ করে শ্রেণীশত্রু খতম নিয়ে কি মত ?
  • byaang | 122.172.104.115 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৮:৫০450041
  • পিনাকীকে দেখছি আজকাল রাগালেও, রাগতে চায় না।
  • anirban | 98.212.200.154 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৮:৫১450042
  • গণ-আদালত বসিয়ে বিচার করে মৃত্যুদন্ড দিলে? পিনাকীদা?
  • PT | 203.110.246.230 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৯:০৫450043
  • আমি আইনের ব্যাপার জানিনা - কিন্তু এই মুহূর্তের বিচারের রায়টই চিরসত্য এবং তা কোনদিনই ভুল প্রমাণিত হবেনা এরকম কোন অবস্থান বোধহয় আইন নেয় না। আর মৃত্যুদন্ডের রায় অনেক সময়েই বিজ্ঞানের অগ্রগতির ওপরে নির্ভর করে। যেমন DNA পরীক্ষা আবিষ্কৃত হওয়ার পরে তার আগের অনেক সিদ্ধান্তকেই হয়ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
  • aka | 24.42.203.194 | ১৩ এপ্রিল ২০১০ ০৯:০৬450045
  • ১। লাইফ অফ ডেভিড গেইল দেখেছি খুব ভালো সিনেমা। কি টুইস্ট সিনেমাটায়। টানটান ছবি পুরো।

    ২। মৃত্যুদন্ড নীতিগতভাবে মেনে নিলে তবেই না তার টেকনিকাল দিক। আর এই টেকনিকাল প্রবলেমটা যেকোন শাস্তির ক্ষেত্রেই খাটে। সেদিনই শুনলাম কে যেন একটা ত্রিশ বছর জেল খাটার পরে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। তার এখন বয়স ৭০ না কত যেন একটা। এবারে এসব ক্ষেত্রে কি করা হবে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন