"হোয়াট কাইন্ড অফ ড্রামা ইস দিস?" "আরে বাবা বেশিক্ষণ না,” খোঁচা বলল, “এ ড্রামা চলবে খুব বেশি হলে এক থেকে দেড় ঘন্টা।" "কী করতে চাইছিস?” “মেয়ে পাচারের বিজনেস শুরু করেছি। তোকেই ফার্স্ট পাচার করব।” হাত বাড়িয়ে খোঁচার মাথায় চটাস করে মারল স্বর্ণালী। “মারছিস কেন? ভাল লোকের কাছেই বেচব তোকে। ভেরি রিচ, তোকে সোনায় মুড়ে রাখবে।” এবার স্বর্ণালী খোঁচার চুল ধরে জোর টান দিল একটা। “এমন করলে কিন্তু কোনও গরীব লোকের কাছে বেচে দেব, তাতে যা লস হয় হবে,” বলল খোঁচা। অভিষেক হেসে উঠল। "খোঁচা থাম... ভয় পাস না সোনা," বলল তৃষা। ... ...
"চার জন আলাদা হয়ে খুঁজতে হবে, এক সাথে না," খোঁচা বলল। বলে একটু সরে দাঁড়াল, দোকানে আসা এক ভদ্রলোককে জায়গা করে দিতে। বছর ৫৫-র ভদ্রলোকের গায়ে ব্রাইট নীল রঙের শার্ট আর ফেডেড জিন্স, স্পোর্টস জুতোটা বেশ নামী কোম্পানির। পান কিনে ভদ্রলোক দোকান থেকে বেরিয়ে গেলেন। "সেই লোকটা," অভিষেক ফিসফিস করে বলল। "কোন লোকটা?" তিন জন প্রায় এক সঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম। "আন্টির সঙ্গে যে লোকটা কথা বলছিল।" "তুই সিওর?" বলল তৃষা। "তাই তো মনে হচ্ছে, এই রকম ব্লু শার্টই ছিল ওনার গায়ে, প্যান্টটাও তো সে রকমই।" ভদ্রলোক হেঁটে যাচ্ছেন সামনে। একটা তিন তলা সাদা বাড়ির গায়ে একটা গ্যারাজ, সেখানেই ঢুকে গেলেন। ... ...
"কী বুঝলি?" বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য না করেই জিজ্ঞেস করল অভিষেক। ফোন থেকে চোখ না তুলে সারাক্ষণ কী করে থাকে ছেলেটা! "বোঝাবুঝির ব্যাপার নেই," বলল তৃষা, "দেখতে হবে সোনা নিজে কী চাইছে।” "কী চাইছে মানে?" আমি বুঝলাম না। খোঁচা বলল, "ও চাইছে কাকিমা প্রেম করছেন কি না সেটা যেন আমরা জানার চেষ্টা করি।" "আমরা কী করে জানব? স্বর্ণালী নিজেই জানে না।" আমি বললাম। তৃষা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, তার আগেই স্বর্ণালীর মোবাইল বেজে উঠল। আন্টি ফোন করছেন।তৃষা ফোনটা নিয়ে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল। "নির্ঘাত দেরি করে ফিরবেন, ওইখানে যাবেন,” বিরক্তির সঙ্গে বললাম। খোঁচা বলল, "তোর তাতে কী প্রবলেম?" আমি রেগে গেলাম। "আমার কী প্রবলেম মানে? আমি স্বর্ণালীর প্রবলেমকে আমি নিজের প্রবলেম বলে মনে করছি, তাই আমার গায়ে লাগছে।" ... ...
মে মাসের শেষের দিকে ইয়াশ নামক সাইক্লোন আসবে শোনা যাচ্ছে।ট্রপিক্যাল ডিস্টার্ব্যান্স। কিন্ত আরো বড় ডিস্টার্ব্যান্স আছে। আড়ালে আবডালে নয়। প্রকাশ্যে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট আসছে। ভোট এলেই সুনন্দিতার ভীষণ টেনশন হতে থাকে। ইতিমধ্যেই ইলেকশন কেন্দ্র করে শীতলকুচিতে ফায়ারিং ও হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে। দিনহাটা থেকে শীতলকুচি আর কতটুকু দূর। ... ...
শারদ পূজায় জ্যান্ত প্রতিমার মজা আছে - কিন্তু প্রেস্টিজ পাংচারের ভয়ও থাকে... ... ...
মেঘলা মেদুর দিনে এক ব্যাংবাজির গল্প হয়ে যাক। ... ...
এই হাই রেস্ট্রিকটিভ ট্রিপল লকডাউন মোড চালু হবার আগেই অনিলের জীবনে তিনটি বেদনাবৃত্তান্ত ঘটে গেছে। অদিতির মৃত্যু। জনাথন চলে গেছেন। মারা গেছেন ফাদার ম্যাথ্যু। যিনি সুখে দুঃখে এই পরিবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অনিলের সুস্থতা উপলক্ষ্যে, হোম কোয়ারানটাইন থেকে মুক্তি উপলক্ষ্যে যে ছোট্ট গ্যাদারিং হয়েছিল, ফাদার ম্যাথ্যু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ... ...
মহাভারত মহাসাগর ছেঁচে বিভিন্ন মনিমুক্তো তুলে আনার প্রয়াস৷ বিভিন্ন চেনা, অচেনা গল্পের সমাহার এই ধারাবাহিকে৷ ক্রিটিকাল থেকে ভালগেট, সব গল্পই উঠে এসেছে৷ ... ...
সবকিছু ঘুরেফিরে যে কেন একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতেই ফিরে আসে ! কোভিড হানা দেবার আগে কে কবে এসব ভেবেছিল! সে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে। ত্রিদিবের বাড়ি আসার কথা দুদিন পরে। কী অগাধ আরামের মেজাজ সারাবাড়ি জুড়ে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্বাভাবিক হয়েছে ত্রিদিবের। তবে সিডেটিভ চলছে।ঘুমোচ্ছেন। ... ...
সোনার মুখে প্রশ্রয়ের মৃদু হাসি, অস্ফুট স্বরে বললেন, “পাগল, সত্যি সত্যিই আমার এ ছেলেটার মাথায় পোকা আছে!” ... ...
আজকের বাংলার পরিস্থিতিতে এ গল্পটা মনে পড়ল। ... ...
নাগরনো কারাজাখের যুদ্ধে যে আর্মেনিয়ানরা পালিয়ে এসে শরণার্থী হয়ে রাজধানীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বারো ঘন্টা শিফ্টে কাজ করে তাদের ভারতীয় রান্না করা খাবার, পিওর ইন্ডিয়ান ফুড সরবরাহ করছে পারভেজ আর তার পরিবার। ... ...
আরো একবার ঝড় এলে হুগলি নদী নোণাজলে ডুবে যাবে। ফ্লাড শেল্টার তৈরি হতে শুরু হয়েছে আবার। এই মানুনগুলির অভ্যেস হয়ে গেছে বাড়িঘর ডুবে গেলে শেল্টারে চলে যাওয়া। পরিবার, গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি সব কিছু নিয়ে উঠে যাবে। কিছু মরবে। কিছু টিকটিক করে বাঁচবে। রূপম একটা ঝাঁকুনি দেয় ওকে। ... ...
মডার্ণা ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে, তা কোভিডের সমস্ত ভ্যারিয়ান্টসকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম হয়েছে। ... ...
ভারি আশ্চর্য একটা কাঁথা বানাচ্ছে করুণা। এটা অর্ডারের কাঁথা। হরপ্রীত অর্ডার দিয়েছে। অমৃতসরে পাঠাবে সে। সবুজ সুতোতে খুদে খুদে ফোঁড়। নানারকমের সবুজ। কাঁচা হলুদ সবুজ। কচি কলাপাতা সবুজ। শ্যাওলা সবুজ। টিয়া সবুজ। সমুদ্র সবুজ।ঢেউ খেলানো শস্য ক্ষেত। যেন হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আর শস্য ক্ষেত ঘিরে সারি সারি মাথা। পাগড়ি আছে। পাগড়ি নেই। কাঁথাতে ইতিহাস আঁকা হচ্ছে অন্নদাতাদের। ... ...
তাঁর মা , ঠাকুমাদের সময় তাঁরা কী করতেন কে জানে? অনায়াসে যৌবন থেকে প্রৌঢ়ত্বে চলে যেতেন কী তাঁরা? বাড়ির লোক কিছু টের পেতো না। মালবিকা কখনো খেয়াল করেননি।তাঁরা কী অবহেলায় হটফ্লাশেজ, ইচিং, ত্বক কুঁচকে যাওয়া , মুড ফ্লাকচুয়েশন, হরমোনাল ডিসঅর্ডার সহ্য করে মুখ বুঁজের সংসার করে যেতেন।কিংবা হয়তো আদৌ খুব সহজে হত না। ভুগতেন।আর সহ্য করে যেতে হবে, এর অন্যথা নেই ভেবে সহ্য করতেন। খিটমিট করতেন, কথায় কথায় কান্না।বা রাগ। ... ...
অস্থিরতা এবং অস্বস্তি ।দুটো মিলে পেটের মধ্যে একটা ট্রাবল দিচ্ছিল। শরীরে বেশি ঘাম। পোস্ট কোভিড সিম্পটমস ফিরে আসছে যেন। নার্ভ আর ডাইরেক্ট সিস্টেমের ওপর কোভিড জোরে আঘাত দেয়। বিরক্ত হলে, অতিরিক্ত স্ট্রেইন হলে নার্ভ দুর্বল বোধ করে।অসুস্থ বোধ করে। দিল্লিতে শীতকালে বেশ কমে গেছিল এই সমস্যাগুলো।বৃষ্টি আসছে । বাবু দেখলো হলুদ রঙের বাড়িটা।মাধবীলতার ঝাড় সমেত আশেপাশে বহুতলগুলির মধ্যে মরুদ্যানের মত জেগে আছে। ... ...
বিচ। বলেই নিজেকে কন্ট্রোল করলো টুপুর। বিচ একটা সেক্সিস্ট গাল।মেয়েছেলে শব্দটাও।সে নিজে অনায়াসে দুটো শব্দ ব্যবহার করছে ! করে। মায়ের বন্ধুদের বিচ বলেছে কতসময়ে। হুড়মুড় করে একরাশ কালো মেঘ এসে পড়েছে আকাশে। ... ...
একটা বিপদ থেকে বেরিয়ে মানুষ ঝট করে দ্বিতীয়বার বিপদের কথা ভাবে না। তখন মাস্ক পরছে না অনেকেই।পরলেও থুৎনির নিচে।সোশ্যাল গ্যাদারিংএর মা বাবা নেই আর।জমকালো বিয়েবাড়ি। শ্রাদ্ধ।অন্নপ্রাশন। অসংযত মেলামেশা। ... ...