ওই কোণের ছেলেটাকে দ্যাখ। ঘ্যাম দেখতে। তোকে দেখছে।-উরি শ্লা, এ তো পুরো হট প্রপার্টি রে। কিন্তু কি ব্যপার বলতো, মাল, তুই ছেলে দেখছিস কেন? চেঞ্জ-ফেঞ্জ হয়ে গেলি না কি? আমার চান্স আছে?-বা-আ-ল। তোর জন্য দেখছি বে। না হলে তো সারা জীবন এইরকম আমার রুমমেট হয়ে থাকবি আর আমার সঙ্গে শপিং করে আর সিনেমা দেখে কাটিয়ে দিবি। মাঝখান থেকে আমার আর গার্লফ্রেন্ড জুটবে না। --আচ্ছা, দাঁড়া তোর জন্যও জোটাচ্ছি। ওই সামনের নীল কুর্তি পছন্দ?-ধুস। ওর থেকে তো শালা তুই বেটার। ... ...
আমাদের সংস্থান ভিন্ন। আমাদের আনন্দ আলাদা, অভিমান আলাদা। আমাদের পদশব্দও আলাদা। আমাদের পাপ আলাদা। লকার আলাদা। কোনো কোনো মুহূর্তে বৃত্ত ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। পুকুরের জলে ঢিল ছুঁড়েছিলে, তাই কাটাকুটি খেলা। সন্ধ্যে নামার আগে তেচোখো মাছেরা খলবল করে অখন্ডিত আলোয়। তখন জলতলে ছায়া নামছে বলে কুঁচবক উড়ে যাবে দূর শিরিষের চূড়োয়। একটি বৃত্ত ক্রমশ মিলিয়ে গেল বলে আরেকটি বৃত্তের ঢেউ দিই। এই তো মেলেছে পার্বণ তোমাকে নির্বাসন দিইনি বলে। ঢেউ ঢেউ তরঙ্গ তরঙ্গ ... ...
*সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: বাংলা ব্লগে অনেক সময়ই আমরা যে সব সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করি, তা কখনো কখনো কিম্ভুদ হয়ে দাঁড়ায়। নতুন ব্লগার বা সাধারণের কাছে এসব অপশব্দ পরিচিত নয়। এই চিন্তা থেকে এই নোটে বাংলা ব্লগের কিছু অপশব্দ তর্জমাসহ উপস্থাপন করা হচ্ছে। বলা ভালো, এটি মোটেই কোনো গূঢ় গবেষণাকর্ম নয়। নিছকই ব্লগাড্ডা মাত্র। তবে রীতিমত প্রাপ্তমনস্কদের জন্য লেখা।ভাটিয়া৯ র প্রচলিত অপশব্দ যোগ করে নোটটির শ্রীবৃদ্ধির জন্য জনতার কাছে আবেদন রইল। হ্যাপি ব্লগিং। ... ...
আসুন পাঠক, ব্রায়ান মন্ডলের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই। অবশ্য এই নামে নামের মালিক এখন একটি ফিঁচেল হাসি হাসবেন, একটু যেন গরিমাও হয়ত আপনার চোখে পড়তে পারে। তার আড়ালে একটি ছোট্ট অতীত লুকিয়ে আছে। ষোল বছর আগে ব্রায়ানের বাপ হ্যারি ওরফে হারানের ডাক পড়েছিল ক্যানিং সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলের হেডমাস্টারের কেবিন থেকে। ব্রায়ান চতুর্থ শ্রেণি টপকিয়ে জুনিয়র হাই-তে যাচ্ছে। ক্ষেতে তখন শশা আর বেগুন ঢলে পড়েছে দস্তুর মতো। কোনোক্রমে হাতের কাদা ধুয়ে, হেঁটো ধুতি একটু নামিয়ে টামিয়ে হেডমাস্টুরের কেবি ... ...
একটা প্রাচীন দীঘির পাড়ে জায়গাটা বড়ো বড়ো ঝাঁকড়া গাছে ঘেরা। বালি ফুঁড়ে উঠেছে দীর্ঘশির গাছগাছালি। শিরিষ জাম মুচকুন্দ, এবং ঘন বাঁশঝাড়ে আকীর্ণ। উপকূলীয় বালিয়াড়ির একটা শাখা হিন্টারল্যান্ডের ভেতরে ঢুকে এসেছিল বহু শতক আগে। তখন এই তটরেখা ধরে নদী বহতা ছিল। এখন অনেকটা দক্ষিণ পূর্বে সরে গিয়েছে। রসুলপুরের নদী। সে নদীর কোনো নামগন্ধই আর এখানে পড়ে নেই। রয়ে গিয়েছে হলুদ নোনা বালির ঢিবি এবং উঁচু বাঁধের ওপরে একটি একাকী তিন্তিড়ি বৃক্ষ। নদীতে চলাচলকারী বড়ো বড়ো নৌকার রশি বাঁধার ... ...
পর্ব – দুই সমস্ত রাতের গন্ধে তুমি কি পতঙ্গ রঙ পাও?“ডাচেরা ফুল ভালোবাসে” এই নিয়ে কবিতা হতে পারে, অথচ ডাচেদের নিয়ে কবিতা লেখার তেমন কিছু নেই আপাত দৃষ্টিতে। ওরা আঁকতে পারে, ডাচেদেরও আঁকতে পারি – সেই উইন্ডমিল, কাঠের জুতো, সাদা-নীল ফ্রক পরে হাত ধরে ঘুরতে থাকা তরুণী, যৌবন, কানের পাশ দিয়ে লতিয়ে নামা সোনালী চুল। এ শহরে কেউ নীল সাদা ফ্রক পড়ে না – গ্রীষ্ম পোষাক উড়িয়ে দেয় নয়ত হিম হিম করে আসা কান ঢাকা, খয়েরী ঠোঁটের ওভারকোট মাথায় নীচু করে বাতাস এড়িয়ে চলে। ... ...
প্রতি অমাবস্যায় সনাতনের ঋতুস্রাব হয় এবং দুয়েক দিন আগে পিছে করে সনাতন একসময় পূর্ণচাঁদেও ঋতুমান হয়। এটা সনাতনের সোজাসুজি বিশ্বাস। এর প্রমাণ সম্পর্কে সে সচেতন। সনাতন যদিও কাউকেই এতদিন নিজের এই ব্যাতিক্রমী বৈশিষ্টটি বলেনি, বলাবাহুল্য লোকলাজ ও সংকোচে। এও ঠিক যে, সনাতন এটিকে ব্যাতিক্রম হিসেবে ভাবেনা। রোজ সকালে শুঁটকিপোড়া দিয়ে পান্তাভাত খেয়ে যেভাবে মাতলার পাড় ধরে ধরে এক কুড়ি দু কুড়ি কাঁকড়া ঝাঁকিতে ভরে গঞ্জের হাটে ফড়েকে দিয়ে আসে ... ...
এত প্রশ্ন আমাকে আগে কেউ করেছে কিনা আমার ঠিক মনে পড়ল না। সেই প্রশ্ন কর্তাদের লিষ্টে অন্তর্ভুক্ত আছেঃ১। অ্যালাপ্যাথি ডাক্তার।হোমিওপ্যাথি ডাক্তার নয় কিন্তু – তাদের আবার বিরাট রেঞ্জের প্রশ্ন ক্ষেপণের স্বভাব আছে। আমাদের নিমো বাস স্ট্যান্ডের নারাণ ডাক্তার আমার লাইফ প্রশ্নবাণে যাকে বলে জর্জরিত করে দিয়েছিল একবার। সেবার ডান হাতের তর্জনীর তালুর দিকে একটা কি ফোঁড়ার মতন হল – মাল আর ফাটছে না, এদিকে উইকেট কিপিং করতে গিয়ে দেদার লাগছে। বেশ ভজকট অবস্থা। বাপকে বলতেও পারছি না যে কিপিং করতে অসুব ... ...
আমাদের এক্কাদোক্কা বেলায় সে অর্থে কোনো স্ল্যাং নেই। জাতীয় পতাকা উড়লে যেমন কোন সমস্যা নেই, দারিদ্র নেই। ডগডগে সিঁদুরের ক্যামোফ্লেজে যেমন সম্পর্কের শীতলতা নেই। বিজ্ঞাপনের ঢেউয়ে যেমন ভেসে নেই নিয়োগের লাশ। পাঁচমিশেলি কলোনির খোলা কন্ঠ থাকে। ভাষা থাকে। আর বাবু কলোনির তক্তপোশের খাবলা-খাবলা তোষক ঢাকা রঙিন তাঁতের চাদরে, আর ওপরে ফুলতোলা জয়পুরী বেডশীট। কালেক্ট্রেট-ট্রেজারি-সাড়েদশ পাঁচ, ঝোলভাত-খড়কে কাঠি বিড়ি হুঁকো, ধুতি-পাঞ্জাবী, পাটপাট সফেদ পিতৃতান্ত্রিকতায় আদর্শ মানুষের পাঠক্রম। সেখানে যৌনতা দূরবস্থান ... ...
গত রবিবার সন্ধ্যেবেলা সাগ্নিক মূখার্জী 'প্ররোচিত' 'সাত তলা বাড়ি'-র 'সান্ধ্যসংলাপ' প্রযোজনাটি দেখতে গিয়ে একটা অদ্ভুত অনুভব এসে ধাক্কা দিল। নাটকটি নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার নেই আলাদা করে আমার। দর্শকাসনে বসে থেকে মনের ভেতর স্মিতহাসি নিয়ে একটা নাটক দেখা শেষ করার পর কেমন একটা জ্বোরো আলস্য আসে, কিছু বলার থেকে বিরত থাকতেই ইচ্ছে হয়। সব ভালোলাগার ওপর শব্দের মালিকানা খাটেনা। আমি শুধু একটা ছোট্ট ভাবনাসূত্রের কথা ভাগ করে নি, যা একান্তভাবেই এই নাটকের প্ররোচনায় জন্ম নিয়েছে। নাটকের শেষে 'প্ররোচনা ... ...
১।সেলিব্রিটি পাবলিকদের মাঝে মাঝে সাংবাদিকরা ইন্টারভিউ নেবার সময় গুগলি প্রশ্ন দেবার চেষ্টা করে। তেমনি এক অখাদ্য গুগলি টাইপের প্রশ্ন হল, আপনি জীবনে সবচেয়ে বড় কমপ্লিমেন্ট কি পেয়েছেন এবং কার কাছ থেকে। বলাই বাহুল্য আমি বিখ্যাত কেউ নেই, তাই আমাকে এই প্রশ্ন কেউ করে নি। কিন্তু আমি নিজে নিজেকে অনেক করেছি সেই জিজ্ঞাসা।প্রচন্ড ভেবে ভেবে দেখা গেল - লাইফে কমপ্লিমেন্ট পাবার মতন তেমন কিছু তো করি নি! অবশ্য ক্লাস সেভেন থেকে প্রায় টুয়েলভ পর্যন্ত কার্তিক, চঞ্চল সহ অনেক জনতাকে দায়িত্ব নিয়ে ইংরাজ ... ...
ভাই মর্কট, এমন সঙ্কটের সময়ে তোমায় ছাড়া আর কাকেই বা চিঠি লিখি বলো ! আমার এখন ক্ষুব্বিপদ ! মহামারি অবস্থা যাকে বলে । যেদিন টিভিতে বলেছে মাধমিকের রেজাল্ট বেরোবে এই সপ্তাহের শেষের দিকে, সেদিন থেকেই ঘরের পরিবেশ কেমনধারা হাউমাউ হয়ে উঠেছে। সবার আচার-আচরণ খুব সন্দেহজনক । কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করছি মা রোজ আমায় দেখিয়ে দেখিয়ে খুন্তি-শিল-নোড়া সব পরিষ্কার করছে আর যত্ন করে সাজিয়ে রাখছে। সেই যে আলুজেঠু, যিনি এককালে নামকরা তন্ত্রসাধক ছিলেন, তাঁর আবার এখন শুনি শবসাধনা করে পিশাচসিদ্ধ হওয়ার শখ জেগেছে। ... ...
সবার জন্য স্বাস্থ্য - একটি আন্দোলন, আন্দোলকেদের কথায় একটি স্বপ্ন যা সত্যি করা যায়। ঠিক এই নামেই আজ ওয়েস্ট বেঙ্গল ভলান্টারি হেলথ এসোসিয়েশন কেন্দ্রে ডঃ পুণ্যব্রত গুণের সম্পাদনায় প্রকাশিত হল একটি বই - সবার জন্য স্বাস্থ্য। গুরুচণ্ডা৯ এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য কমিটির যৌথ প্রয়াসে। একগুচ্ছ লেখা রয়েছে নিবেদিতপ্রাণ স্বাস্থ্যকর্মীদের। বইপ্রকাশের সঙ্গে কনভেনশন। সেখানে লেখকদের সঙ্গে উপস্থিত প্রত্যন্ত গ্রামের ডেলিগেটরা। হাতে হাত বেঁধে থাকা এইসব মানুষগুলির কথায় বাস্তব হয়ে উঠে আসে এমন এক দেশের কথা ... ...
শনিবার। হাফ ছুটি। কালবৈশাখীর মেঘ আকাশছেয়ে কালো করে এসেছে। দূর থেকে একটার পর একটা গাছের মাথা নাড়াতে নাড়াতে ঝড়টা এগিয়ে আসছে। শুকনো পাতা, বাঁদর লাঠি, তুলোর বীজ, আমের কুশীতে বাগান , উঠোন ভরে ফেলেছে । এমন একটা দুপুরের পু..রোটাই এক্কেবারে আমার। কোনো 'করতে হবে'র ভাগীদার নেই। স্কুলের যতো হোমটাস্ক থাক পড়ে, কাল তো ছুটি। আঃ, এইবেলা একটা গল্পের বই নিয়ে শুয়ে পড়া যাক, কিম্বা হাঁ করে বসে থাকলেও কারোর কিচ্ছু বলার নেই। এমনিতেই আমি 'বড়ো হাঁ-করা' মেয়ে। ... ...
"নাচতে না জানলে তো উঠান ব্যাঁকাই বলবে।" "না,না। তা নয়। কিন্তু এইসব টুলস ফুলস গুলো ভালো হলে রাঁধবার যে আনন্দ সেটা আরো জমে", আমি রমাকে বলি,"দ্যাখো না, ভালো সবজি বা মাছ হলে রান্না এম্নিতেই খুলে যায় । তারপর বাসোন কোসোন ছুরি কাঁচি - এগুলোও ঠিক হলে মজাটাই ইয়ে হয়"। রমার কোনো উৎসাহ নেই রান্নায়। একবার বলেছিল "এ সব ফালতু কথা, তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি। মনে নেই?" আমি তাও তর্ক করি"আরে, পেইন্টিংএও তো দরকার ভালো তুলি,ভালো রং, ঠিক ঠাক ক্যানভাস।"রমা মনে করিয়ে দেয় "আর এটাও তুমি বলেছিলে, আমার ... ...
কেমন লাগে ? এইবার ? পই পই করে বলেছিলুম , "ওরে ,আমায় জ্বালাসনি , আমায় জ্বালাসনি। রেগে গেলে কিন্তু আমি বাপের কুপুত্তুর।" তা না, তেনারা নাকি আমায় টেষ্ট করে দেখবেন , আমি তাঁদের গাইদের গর্ভিনী করবার উপযুক্ত কি না !! হুঁঃ !! কী আমার বীরপুরুষ এলেন রে ! এই যে আমি এত্তগুলো লোককে জখম করলুম, মেরে ফেললুম, এবার হোলো তো প্রমান, আমি কেমন ইয়ে ষাঁড়? - তাতে কি হয়েছে ? তাতে কি হয়েছে ?? 'বৃষের খোঁচায় মরিনা আমরা , ঐতিহ্য নিয়ে ঘর করি।' তোকে আমরা 'বৃষসম্রাট' উপাধি দেব। ... ...
“আপনি কি স্বাধীনতা কী বুঝেন?” ভদ্রলোক আমার চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটি করলেন। আমি বললাম, “বুঝব না কেন? স্বাধীনতা হচ্ছে নিজের মত থাকার বা কিছু করতে পারার সুযোগ।” ভদ্রলোক সামান্য হেসে ফেললেন। তিনি তার মুখভর্তি খোঁচা খোঁচা কাঁচাপাকা দাড়ি হালকা চুলকাতে চুলকাতে বললেন, “আপনার স্বাধীনতা সম্পর্কে প্রাইমারী লেভেলের জ্ঞাণও নাই। কিন্তু আমি এতে অবাক হই নাই। এখনকার মানুষদের স্বাধীনতা নিয়ে জ্ঞাণ থাকবে না এটা স্বাভাবিক। খুব স্বাভাবিক। আপনারা হাজার হাজার মেকী স্বাধীনতা দেখে বড় হয়েছেন। হাজার ... ...
"মানুষ যে মাটিকে কাঁদাল | লুট করে মাটির জীবন | সে মাটি শুভেচ্ছা পাঠাল | ঘাসের সবুজে প্রাণপণ" - কবীর সুমন | টি এস এলিয়ট এপ্রিলকে বলেছিলেন ক্রুয়েলেস্ট মান্থ,আর নাসার সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বলছে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাস হল 'হটেস্ট মান্থ এভার', অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত উষ্ণতম মাস। এরকম একটি ঘটনায় চমকে গেছেন তাবৎ বিজ্ঞানীকুল। জার্মান আবহাওয়াবিদ স্টেফান রাহমস্টর্ফ বলেছেন এইমুহূর্তে আমরা সকলেই রয়েছ ... ...
মিছিমিছি খেলা বোধহয় আমাদের সবারই ছিল। ছোটবেলায়।এই যেমন দরজার কড়া আর হুড়োকোতে টিউবওয়েলের মত ঘ্টাং ঘটাঁ করে জল বের করে কলসীতে জল ভরা, সেই কলসী কাঁখে নিয়ে, কত উঃ আঃ করে চলাফেরা করে রান্নাঘরে এনে তার থেকে গড়িয়ে বাড়ির সবাইকে জল দেওয়া, প্লাস্টিকের সবুজ স্টোভটাতে চা বসানো, প্লাস্টিকের লাল কাপ প্লেটে সবাইকে সেই চা দেওয়া, মা, বাবা , দাদা। ঠাকুমা, পিসি, মাসি, কাকা , মামারা এলে আবার প্লেট শর্ট পড়লে মেল থেকে কেনা কাঠের কাপের সেটটাও উদ্বোধন ক'রে ফেলা। সকালে আপিস যাবার অগে রান্না ... ...
প্রথমেই ডিসক্লেমার দিয়ে নিই, কারণ এটা যদিও আমার ব্লগে তুলছি, কিন্তু লেখাটা আমার নয়। আমার বন্ধু, চা বাগানের অ্যাকটিভিস্ট, শমীক চক্রবর্তীর। ওর ফেসবুক ওয়াল থেকে ওর অনুমতিসহ লেখাটা হুবহু তুলে দিচ্ছি, কারণ আমার মনে হয় লেখাটা চা বাগানের এখনকার সমস্যাকে বোঝার জন্য খুব জরুরী একটা লেখা। আমি নিজে এর আগে কখনো ব্লগে লিখিনি, তাই এইভাবে অন্যের লেখা তুলে দেওয়াটা ব্লগ-সংস্কৃতির সঙ্গে হয়তো ঠিক যায় না, কিন্তু বিষয়টার গুরুত্বের কারণে সে নিয়ে বেশী ভাবলাম না। *********************************************** ... ...