পাড়ায় দোকান NiA’র আর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য UAPA: এমনটাই দীর্ঘদিন ধরে অলিখিত ভাবে চলতে চলতে আজ স্বাভাবিকে পরিণত হয়েছে যেন; দেশের দারিদ্র্যসীমা ও বেকারত্ব যতোই বেড়েছে ততোই মানুষ জলের মত পরিস্কার দেখেছে শাসকদলের আঞ্চলিক নেতৃত্বের ভালোমুখোষের পেছনে লুকানো দুর্নীতিক শ্রেণীচরিত্র। আর সেই দুর্নীতিকে হাত করে কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলির বাড়বাড়ন্ত, বিচারের নামে টালবাহানা; সন্ত্রাস দমনের নামে, প্রতিবাদী শ্রমজীবী মানুষকে হাজত বন্দী করার কৌশলগুলো। যার মধ্যে 'ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’র বহর অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে বর্তমানে দেশের সমস্ত রাজ্যেই। যা খানিক আলাদা ইডি এবং সিবিআই, বাকি দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তুলনায়। কেন্দ্রের আরএসএস বিজেপি সরকার খোলাখুলি ছেড়ে দিয়েছে গরুর মতন এই সংস্থাকে, ঘাস খেতে। এর মধ্যে ... ...
এটা, ওই এলাকায় চালু পদ্ধতি। অর্থাৎ টাকা ধার নিয়ে শোধ দিতে না পারলে সেক্ষেত্রে মেয়েদের নিলামে চড়ানো হয়। তাতে যা দাম উঠবে উঠবে। অন্তত আধডজন জেলায়, এএনআই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিনিসটা চালু। রীতিমতো স্ট্যাম্প পেপার দিয়ে সইসাবুদ করে কর্মটা সমাধা করা হয়, স্থানীয় পঞ্চায়েতের সহযোগিতায়। এটাই একমাত্র পদ্ধতি তা নয়। ঋণ পরিশোধের যেমন নানা উপায় থাকে, এক্ষেত্রেও তাই। কেউ যদি নিজের মেয়েকে বেচতে রাজি না হন, সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের নির্দেশে মেয়ের মাকে ধর্ষণ করা হয়। কতজন করে, সেটা খবরের কাগজের প্রতিবেদনে লেখা নেই। কন্যাসন্তান না থাকলে কি কিস্তি পরিশোধের একমাত্র উপায় ধর্ষণ? সেটাও লেখা নেই। তবে, আন্দাজ করা যায়, তাইই হবে। ... ...
নতুন কেন্দ্রীয় সরকার আসার পর আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বিষয়টা। এখন শিল্প মুনাফা তো নয়ই, বরং ওইটাই দেশপ্রেম। আর কোনো প্রতিযোগিতার লেশমাত্রই নেই। ঠেকনা চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে। ব্যবসার নতুন মডেল হল, শিল্পপতি ব্যাংক থেকে ধার নেবেন। সেই টাকায় শিল্প বানাবেন। তারপর সেই ধারের টাকা ব্যাংক মকুব করে দেব। অর্থাৎ দেশবাসীর টাকায় শিল্প হবে, মুনাফা করবেন শিল্পপতি। কিন্তু সে তো মুনাফা নয়, সেটাই হল দেশপ্রেম। এই নতুন মতাদর্শ এখন বছর দশেক চলছে। ওইটাই এখন ইনথিং। এখন চুপচাপ আস্ত বন্দর আদানির হাতে চলে যায়। কোথাও একটিও বিবাদী কণ্ঠস্বর শোনা যায়না। এখন টাটাকে কে তাড়িয়ে মহা অপরাধ করেছিল, এই নিয়ে তর্জা হয়। কারণ, শিল্পপতিরা মুনাফা নয়, তৈরি করেন কর্মসংস্থান, সমাজসেবার ঠিকাদারি তাঁদের। তাঁরা আমাদের স্বজন। তাই আমাদের কোনো মুক্ত অর্থনীতি নেই, আছে স্বজনপোষিত অর্থনীতি। ক্রোনি ক্যাপিটালিজম। পোষিত পুঁজিবাদ। ঠেকনা দেওয়া পুঁজিবাদ। স্বাধীন, স্বাবলম্বী মুক্তবাজার অর্থনীতি বলে কিছু নেই। স্বাধীন ভারতের উৎপত্তির আগে থেকেই। ভারতবর্ষের পুঁজির ইতিহাস মূলত স্বজনপোষণের ইতিহাস। ... ...
ব্যাপারটা কী ভীষণ বিপজ্জনক, আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের হাত ধরে মেটা, সম্ভবত ৯০% ভারতীয়ের কাছে পৌঁছে গেছে। এবং নিজেদের এরা বাকস্বাধীনতা, এবং সামাজিক ন্যায়ের ধর্মযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করে, যে মতাদর্শে বিশ্বজুড়ে বহু মানুষকে প্রভাবিত করতেও সক্ষম হয়েছে। যেমন, ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে এরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দিয়েছে সামাজিক মাধ্যম থেকে। কিন্তু এখন, এতদিনের সন্দেহের পর, যদি, সত্যিই দেখা যায়, কিছু লোক, স্রেফ রাজনৈতিক কারণে, গোটা সামাজিক মাধ্যম জুড়েই অতিরিক্ত এবং অপার ক্ষমতা পেয়ে চলেছেন, তাহলে প্রায় নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, সামাজিক মাধ্যম ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা নয়, বরং নির্দিষ্ট মতাদর্শের প্রচার ও প্রসারে, এবং বাকিদের কণ্ঠরোধ করতেই ব্যস্ত, আর সমস্ত একনায়কের মতো। ইতিপূর্বের সব একনায়কদের সঙ্গে এদের একটাই তফাত, তা হল, এদের হাতে আছে বিপুল ক্ষমতা, যা রোম থেকে চিলে পর্যন্ত, আজ পর্যন্ত কোনো একনায়ক অর্জন করতে পারেননি। ... ...
সব ব্যাপারে আদালতই শেষ কথা বলবে, এ অতি বিপজ্জনক ব্যাপার। আদালত যখন সমকামিতার পক্ষে রায় দেয়, তখন আমরা নাচি, যখন অযোধ্যা-বিবাদে একরকম করে বিজেপির পক্ষে রায় দেয়, তখন আমরা গেল-গেল রব তুলি, কিন্তু কথা হল, এগুলো আদৌ আদালতের বিচার্য কেন? আইন প্রণয়ন করা, সমাজকে সঠিক (অথবা বেঠিক) পথে চালনা করা, মানুষের বোরখা পরে ঘোরার অধিকার আছে, নাকি ন্যাংটো হয়ে, খুনে মৃত্যুদন্ড থাকবে না নয়, এগুলো দেখা আদৌ আদালতের কাজ নয়। ... ...
পরিস্থিতি অবশ্য এরকমই হবার কথা। নিজের ভাষা, নিজের জাতীয়তাকে রক্ষা করা একটা রাজনৈতিক কাজ, সেটাকে দশকের পর দশক ধরে উপেক্ষা এবং দুচ্ছাই করে যাওয়া হয়েছে। কংগ্রেস দিল্লির ধামা ধরেছে, সিপিএম বামফ্রন্ট সরকারকে চোখের মনির মতো রক্ষা করতে গিয়ে ৭৭এর স্মারকলিপি গিলে ফেলেছে, অশোক মিত্র সরকার ছেড়েছেন, আর তৃণমূল ঠিক কী চায় নিজেই জানে কিনা সন্দেহ। সবার উপরে অবশ্যই বিজেপি, যাদের অ্যাজেন্ডা, বস্তুত, বাংলাভাষী ধর আর বাংলাদেশে পাঠাও। বাংলাদেশী হটাও আর গরু-পাচার বন্ধ কর। অস্যার্থ, গরুরাই এপারে থাকবে, বাংলাভাষীরা সীমানার ওপারে। ... ...
এটা একবারের অভিজ্ঞতা হলে ছুটকো ছাটকা বিষয় বলে উড়িয়ে দেওয়াই যেত। কিন্তু ব্যাপারটা ধারাবাহিক। যখনই শাসক দলের কিছু সমালোচনা করা হয়, সিপিআইএম এর অনলাইন কিছু কর্মী দেখি ঝাঁপিয়ে পড়েন তার বিরুদ্ধে। না, সবাই না, বেশিরভাগও না, দক্ষিণ কলকাতার একটি অংশের কিছু উগ্র কর্মীবৃন্দ। এটা বহু সময় দেখেছি। বগটুইএর ঘটনায় নিজে লিখে দেখেছি। জয় গোস্বামীর 'দগ্ধ' বইটি আমরা প্রকাশ করেছি, তখন দেখেছি। ব্যাপর দেখে মনে হচ্ছিল বগটুই না, পশ্চিমবঙ্গে আলোড়ন ফেলা নিন্দনীয় একটাই ঘটনা ঘটেছে, যার নাম দগ্ধ। এই সব আক্রমণেরই মূল উপজীব্য একটাই। পছন্দমতো কেন প্রতিবাদ হচ্ছেনা। কেন 'শাসক দল' লেখা হচ্ছে। কেন ঘটনা দেখে দুঃখ হচ্ছে, 'প্রতিবাদে গর্জে উঠুন' কেন বলা নেই। সারা জীবনে বহু জিনিসে প্রতিবাদ ইত্যাদি করেছি। কিন্তু এই অদ্ভুত জিনিস কখনও দেখিনি, যে, যাঁরা সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রতিবাদের আহ্বান করছেন, তাঁদেরই কর্মীবাহিনীর একাংশ সেটাকে বানচাল করে দিতে চাইছেন। এই ঔদ্ধত্য, কে কী বলবে, ঠিক করে দেবার মানসিকতা, কোথা থেকে আসে বলা মুশকিল। হয়তো একরকম অন্তর্ঘাতও হতে পারে। আমার জানা নেই। ... ...
পিএফআই যে ঠিক কী 'দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র' করেছে, খবরের কাগজ তন্ন তন্ন করেও খুঁজে পেলামনা। অবশ্য এখন গণতন্ত্রের কারবারই আলাদা। সেই উপকথার গপ্পে ছিল, 'তুই না, তোর বাপ জল ঘুলিয়েছিল', সেখান থেকে একটা জিনিস বোঝা যায়, যে, খুব বদ হলেও, রাজা-বাদশারা ইচ্ছে হলেই কারো মুন্ডু কেটে ফেলতে পারতেননা। অন্তত একটা ফালতু অভিযোগ খাড়া করতে হত। এখন দারুণ গণতন্ত্রে সেই চক্ষুলজ্জাও উঠে গেছে। এমন সব দুর্দান্ত আইন বেরিয়েছে, যাতে, সব গোপন। তদন্ত তো গোপন বটেই, বিচারও চুপি-চুপি, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভিযোগও গোপন। আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার ব্যাপারটা তো ক্রমে উঠেই যেতে চলেছে। খুব ইচ্ছে হলে করতেই পারেন, কেউ আটকাবেনা, কিন্তু আপনি কেন নির্দোষ সেটা বলবেন কীকরে, অভিযোগটাই তো জানা নেই। হয়তো বললেন, আমি তো চুরি করিনি, খুনও করিনি, কিন্তু তদন্তকারীদের খাতায় লেখা আছে, সুপ্রিম কোর্টের দিকে ট্যারা চোখে তাকিয়েছিলেন, ওইটাই অপরাধ। কিন্তু সেটা আপনাকে বলা যাবেনা। সে আপনি জানবেনই কীকরে, আর পাল্টা বলবেনই বা কীকরে। ... ...
দেবীপক্ষে দেবীর কেবল পুজো হয়। দেবীরা বেয়াড়াপনা কেউ সয় না। দেবীর ইচ্ছে অনিচ্ছের তোয়াক্কা করে না। প্রয়োজন হলে বোধনের আগেই বিসর্জন দিয়ে দিতে কসুর করে না। ... ...
বস্ত্র সংগ্রহের জন্য এপ্রিল মাসে আমাদের গৃহে আগত আনা বললেন শীতের জামা কাপড় তিনি চান না । ততদিন তাঁরা এ দেশে থাকবেন না। রোদিকা জিজ্ঞেস করে , ফিরবেন কোথায় ? তিনি বলেছিলেন , দেশে, আমাদের নিজেদের দেশে। ইউক্রেনের বিশ শতাংশ জমি রাশিয়ান দখলে । বাকি অংশে মাঝে মধ্যে মিসাইল বা পেটো পড়ে – এমন কি দূর তেরনোপিল , ব্রিয়ান্সক, সুমিতে। অনেক বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে জানালা নেই। কিন্তু জীবন থেমে থাকে না । কিভের কফি হাউস , লভিভের লাইব্রেরি তাদের দরোজা খুলেছে । দেশের বিশাল অংশ শত্রু সৈন্য মুক্ত। লুহান্সক দনেতস্ক ফেরবার কথা অবশ্যই কেউ মনে আনেন না। দনেতস্কের জনসংখ্যা ১৭ লক্ষ থেকে তিন লক্ষে নেমে এসেছে। ... ...
কিভ নগরীর উত্তর পশ্চিমে একটি শহরতলির নাম ইরপিন । সেখান থেকে আর পাঁচ কিলোমিটার গেলেই বুচা । আমরা জানি ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকে এই অঞ্চলে রাশিয়ান সৈন্যরা নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপরে অকথ্য অত্যাচার, বলাৎকার এবং লুণ্ঠন চালিয়েছে । বুচার রাজপথ ভরে গেছে শবে। মহামান্য লাভরভ বলেছেন ইউক্রেনের মানুষ নিজেদের লোককে মেরে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে । আমাদের সৈন্য ভদ্র শিক্ষিত মার্জিত। রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে এ আরেকটি পশ্চিমি চক্রান্ত।রাশিয়ানরা এই রণক্ষেত্র ত্যাগ করে আজ অনেকটা পুব দিকে চলে গেছে। রেখে গেছে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরবর্তী কালে ইউরোপের মাঝে অনুষ্ঠিত ক্রুরতম ধ্বংস ও হত্যালীলার ইতিহাস। ... ...
বামপন্থী কে? এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে কি বামপন্থী বলা যায়? এই নিয়ে তর্ক হচ্ছিল আমার এক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে। সেই আলোচনার সুত্রে উঠে আসা কিছু ভাবনা একত্র করে লিখে ফেললাম। বলাই বাহুল্য, এই সব প্রশ্নের কোন নিশ্চিত উত্তর নেই। কিন্তু এই ধরণের প্রশ্ন নিয়ে কীভাবে ভাবা যায় তার একটি দিকনির্দেশ আছে। ভাবনা চলতে থাকুক। চরৈবতি! ... ...
কবিতা কৃষ্ণন নাকি টুইটে লিখেছেন, "সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল একনায়কতান্ত্রিক, সংসদীয় গণতন্ত্রের চেয়ে ঢের খারাপ"। আমি টুইটার দেখিনা। হিন্দু তে দেখলাম ( **লিংক লেখার নিচে) । টুইটারের আড়াই লাইনে এইসব তত্ত্ব লেখার কী মানে জানিনা, অবশ্য গোটা পৃথিবীতেই রাজনীতি এখন রেটোরিক সর্বস্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব কিছু দেখিওনা, উত্তরও দিইনা। কিন্তু এইটা কবিতা কৃষ্ণন বলেই লিখতে হচ্ছে, কারণ, "প্রগতিশীল"রা একরকম করে আদর্শ পতাকাবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই কবিতাকে উপস্থাপন করছেন। ফলে তাঁর বক্তব্যের কিছু ওজন আছে। এবং এটা ঠিক প্রেক্ষিতহীনভাবে একটা টুইট তুলে আনা নয়। হিন্দুতে দেখলাম, একই লাইনে কিছু কথাও বলেছেন। যেমন সোভিয়েত মডেলকে বিশ্বের খারাপতম একনায়কতান্ত্রিক মডেল হিসেবে দেখতে হবে। ... ...
এবার রাশিয়ান আক্রমণ প্রকট হলো দূর হতে নিক্ষিপ্ত রকেটের রূপে । তার কতগুলো ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থানে আঘাত হেনেছে তা সঠিক জানা যায় নি । তবে নিরাপদ আস্তানায় বসে ছোঁড়া রাশিয়ান অনেক রকেট বাহী বোমা দেখা দিয়েছে অসামরিক মানুষের ঘরবাড়ির জানলায়, দরোজায়, হাসপাতালে, গোশালায় । প্রতিদিন, প্রতি রাতে সশব্দে সেই সব রকেট নাগরিকের প্রাণ ও শিশুর নিদ্রা হরণ করেছে। যুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কবিহীন কোনো প্রকারের সামরিক গুরুত্ব হতে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন সাধারণ নাগরিকের জীবন এবং জানলা চুরমার দ্বারা সামগ্রিক গণভীতি উৎপাদনে সক্ষম মহামতি পুতিন দেশছাড়া করেছেন বহু মানুষকে। অন্য কোন উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে কিনা সেটা তিনিই জানেন। অধিকন্তু ন দোষায় বিধে রাশিয়ান করদাতার অর্থে কেনা অজস্র লক্ষ্যভ্রষ্ট রকেট আছড়ে পড়েছে যেখানে সেখানে, গোয়ালে, স্কুলের মাঠে , হাইওয়েতে, বনে বাদাড়ে । ... ...
আজকের নিউজ চ্যানেল ঘাটলেই ইরাকের সংঘর্ষের ব্যাপারটা নজরে আসবে। খবরগুলোতে যা বলা হচ্ছে তার সারমর্ম হচ্ছে, প্রভাবশালী শিয়া ক্লেরিক মুকতাদা আল সাদরের রাজনীতি থেকে পদত্যাগের পর তার সমর্থকরা বাগদাদের গ্রিন জোনে, মানে যেখানে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস, পার্লামেন্ট, ডিপ্লোমেটিক ভবন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন আছে সেখানে ঢুকে পড়েছে। বাগদাদ ছাড়াও কারবালা, বসরা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। পুলিস বরাবরের মতই বিক্ষোভ থামাতে ব্যস্ত। ন্যাশনওয়াইড কারফিউ জারি করা হয়েছে। শেষ জানা খবরে ২৩ জন আন্দোলনকারী মারা গেছে। আন্দোলনকারীরা বলছে পার্লামেন্টের ডিজোল্যুশন চান, এই পার্লামেন্ট করাপ্টেড। যাই হোক, আসল পরিস্থিতি কী, কেন এই আন্দোলন, দেশটিতে কী সংকট চলছে তা জানতে একটু পিছিয়ে আপাতত ২০২১ সালের অক্টোবরের ইলেকশনে যেতে হবে। আর তারও কারণ খুঁজলে যেতে হবে সেই ইউএস ইনভ্যাশনে... ... ...
মুসলমান বা অন্য কোনো সম্প্রদায়গত পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি দিয়ে হিন্দুত্ববাদকে পরাস্ত করা যাবে না। কেননা পরিচয়বাদী রাজনীতি একটা আরেকটাকে শক্তিশালী করে। হিন্দুত্ববাদকে পরাস্ত করতে পারে স্রেফ গণতান্ত্রিক রাজনীতি। ... ...
বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি খুব স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়, যে, ধর্ষকরা পরিষ্কারভাবেই দুই গোত্রের। এক দল নির্ভয়াকান্ডের ধর্ষক, বা হায়দ্রাবাদ কান্ডের অভিযুক্ত, যারা নিন্দিত, ধিকৃত, দেশজুড়ে ঘৃণার পাত্র। জেলের কয়েদিরাও তাদের পিটিয়ে দেয়, পুলিশ পারলে এনকাউন্টার করে দেয়। পাবলিক রাস্তায় নামে, পারলে থুথু দেয়, এবং দেশজোড়া উল্লাসের মধ্যে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, খুব এবং ধর্ষণে অভিযুক্তদের। আর আরেকটা গোত্র হল কাঠুয়াকান্ড বা বিলকিস বানোর ধর্ষকরা। তাদের সমর্থনে মিছিল হয়, পারলে বেকসুর খালাসই করে দেওয়া হত। কোনোক্রমে কারাগার অবধি পৌঁছলে সেখান থেকে কায়দা-কানুন করে ফিরিয়ে আনা হয় এবং ফিরলে ফুলমালা দিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। ... ...
স্বাধীনতা উৎসবে দেখলাম অনেক তরুণ উজ্জ্বল মুখ । তারা বাড়ির কাছে না হলেও স্থানীয় স্কুলে জায়গা পেয়েছে। গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হলে পুরো দমে লেখা পড়া শুরু হবে, ইংরেজি শেখানোর স্পেশাল ব্যবস্থা সহ। ইতিমধ্যে কোন কোন স্কুল বা পৌর সভা তাদের নানান ক্যাম্পে নিয়ে গেছে – সমুদ্রের ধারে অথবা বনের ভেতরে সেখানে তারা এ দেশের ছেলে মেয়েদের সঙ্গে মেলা মেশা করার সুযোগ পায় বাধ্য হয় ইংরেজিতে বাক্যালাপ করতে । তারা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। মায়েরা সংসারের । এই কলরব মুখরিত হলঘরে , ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে অনুপস্থিত পুরুষেরা । স্বামী বাবা ভাই কাকা ইউক্রেনের কোথাও অস্ত্র হাতে বনে বাদাড়ে শত্রুর মুখোমুখি হয়েছেন , কেউ ট্যাঙ্ক বা সাঁজোয়া গাড়ি চালাচ্ছেন। নিয়মিত খবর জোটে না। ... ...
প্রশ্ন তুলেছেন মহামতি পুতিন। তাঁর এক সাম্প্রতিক ভাষণে তিনি বলেছেন: জার মহান পিটার যখন উত্তরের যুদ্ধে জয়ী হলেন, তিনি এমন কিছুর অধিকার নেন নি যা অন্যায্য ছিল । সেন্ট পিটারসবুরগ প্রতিষ্ঠার পরে বহু ইউরোপীয় শক্তি মনে করেছিল পিটার সুইডেনের অংশ দখল করেছেন । সেটি অসত্য । এই অঞ্চলে বহু বছর যাবত স্লাভিক মানুষ বসবাস করেছেন। এখন যদি প্রশ্ন ওঠে কেন মহান পিটার নারভা অভিযান করেন ? এর উত্তর সহজ। তিনি তারই দখল নিয়েছেন যা স্লাভিক যা একান্তই রাশিয়ার নিজভূমি ... ...