পঞ্চায়েতী ব্যবস্থার সঙ্গে গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক অস্তিত্ব জড়িত। অথচ ক্রমেই তা হয়ে যাচ্ছে দূরতর এক মরীচিকা যাতে সাধারণ মানুষের মতদানের অধিকার সংকুচিত হয়েই চলেছে। আগের আমলে দলীয় আমলাতন্ত্র যা ক্ষতি করেছে তাকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলছে বর্তমান আমলের ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্র। শুধু দুর্নীতি নয়, প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিত পঞ্চায়েতের আদর্শকে প্রতিষ্ঠা যা কখনোই পূর্ণতার মুখ দেখে নি। ... ...
ট্রাইবাল টেনেন্সি অ্যাক্টগুলো মেয়েদের উত্তরাধিকার আর বহির্বিবাহ দুইয়ের ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের সাতশো খানা ট্রাইবের সাতশো আলাদা আলাদা বৈবাহিক আর উত্তরাধিকার আইন আছে। অনেক আইনই নথিবদ্ধ নয়। কিছু আইন ব্রিটিশরা লিখিত আকারে আনে।ইউনিফর্মিটি আনার জন্য প্রথম কাজ হবে সাতশোখানা আইন স্টাডি করা। ... ...
ট্রাইবাল স্টেটাস নিয়ে একটা বড় আর একটা ছোটখাটো সংঘাত দেশে চলছে। সমস্যাটা হল ট্রাইবালের সংজ্ঞা নির্ধারণে। ট্রাইবাল স্টেটাস শুধু চাকরি আর উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষণ নয় সেখানে জমির অধিকারের প্রসঙ্গও আসে ... ...
এখানেই শেষ নয়। প্রচুর প্রাইভেট কোম্পানি আছে যেখানে কর্মীদের বসেরা 'বাপের চাকরে'র মতো করে ট্রিট করে। প্রচুর কোম্পানিতে লোকজনকে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চলে। এটা বিশেষ করে ঘটে একজন জুনিয়র এমপ্লয়ির সাথে। একটি কল সেন্টারের কথা শুনেছিলাম যেখানে জুনিয়র বা সদ্য জয়েন করা কর্মীরা সময়মতো পৌঁছেও কোন এক রহস্যময় কারণে কিছুতেই যথাসময়ে লগইন করতে পারতেন না। ফলে, সিস্টেমে সর্বদাই তাদেরকে দেখানো হতো লেট হিসেবে। এইভাবে সারাদিন কাজ করেও তারা দিনের শেষে বাড়ি ফিরতেন অর্ধেক কাজের স্যালারি নিয়ে। ... ...
সেঙ্গোল যতখানি রাজতন্ত্রের প্রতীক, ততখানিই ব্রাহ্মণ্যবাদের। যে ব্রাহ্মণ্যবাদকে নেহরু বাতিল করেছিলেন, মোদি এখন তাকেই সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করছেন। ... ...
প্রতিবছর দেশপ্রেমের নূতন নূতন পরীক্ষা এসে হাজির হচ্ছে। নামমাহাত্ম্য, দেশভক্তি, আবেগ, ইতিহাস আর প্রযুক্তির এক জোরদার ককটেল এখন তৈরি হচ্ছে। ... ...
নেহরুর ভারত ভাবনার মধ্যে আমাদের বেঁচে ওঠার সঞ্জীবনমন্ত্র নিহিত আছে যদিও আজ তা সর্বাপেক্ষা আক্রান্ত, আজাদীর এই অমৃতকালেই আরো বেশি করে যেন বা। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পণ্ডিত নেহরুকে পেয়েছিলাম। নেহেরু সংবিধানের অবজেকটিভ রেজোলিউশন উপস্থাপন করেছিলেন কনস্টিটিউশনাল অ্যাসেম্বলির কাছে। হিন্দুত্ববাদীদের মিথ্যা ট্রোলগুলি, হোয়াটস অ্যাপের মিথ্যাগুলিকে একটু অনুসন্ধান করলেই মিথ্যের বেসাতিটা ধরা পড়ে। ভারত ভাবনার মূল রূপকার পণ্ডিত নেহরু এদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য। ... ...
জনমত সম্পূর্ণ রূপে কংগ্রেসের পক্ষে গেছে, তবে কয়েকটা বিষয় নিয়ে তাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ কিছু অঞ্চলে বিজেপির সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপের প্রতি মানুষের সমর্থন ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়েছে। ... ...
এ যুদ্ধ ভারত সরকার শুধু দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে করেছে এমনটা নয়। দেশি-বিদেশি বৃহৎ পুঁজির গোষ্ঠীগুলির স্বার্থে জল-জঙ্গল-জমিন লুটতে আদিবাসী অঞ্চলগুলিতে কেবল বোমা-বারুদ এর ধোঁয়া উড়াচ্ছে এমনটাও নয়। ভারত সরকার আক্রমনকারী বিদেশী সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীগুলির মদতপুষ্ট এদেশের টাটা, বিড়লা – আম্বানি, আদানি, মতন বৃহৎ পুঁজিপতি’দের হাতে দেশের অস্ত্র ভান্ডার গুলিও একে একে তুলে দিয়েছে। ... ...
স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করলে কোর্টে নোটিশ টানিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক - বিয়ের একমাস আগে থেকে। বর বা বৌয়ের অন্য কোনো বৌ বা বর থাকলে তারা যাতে এসে অবজেকশন দিতে পারে। কিন্তু এই নোটিশ বোর্ডের তথ্য নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লোকেরা কী করে? হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের বিয়ে হচ্ছে কিনা খুঁজে বের করে! তারপর? ... ...
আমরা সবাই কেমন আছি ... ...
কর্ণাটক বিশেষ করে এর পশ্চিম অংশকে হিন্দুত্বের ল্যাবরোটরি বলা হয়। হিজাব এবং হালালের পর এই ল্যাবের নূতন পরীক্ষার বিষয় কাস্ট ও সংরক্ষণ। ... ...
এক রাজা। বোম্বাগড়ের। যিনি একাই ছাপ্পান্ন। সর্বত্র বিরাজমান, কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছবির ফ্রেমে আমসত্ত্বভাজা হয়ে নিজেই ঝুলে থাকেন। বলিউডে তাঁর ছবি দেখা যায়, উত্তরাখণ্ডের গুহাতেও। মোনাকো থেকে রোমানিয়া, ইন্টারনেট থেকে টিভিতে সর্বত্র তাঁর ছবি আছে, কিন্তু সামনাসামনি কোনো সাংবাদিক তাঁকে চোখে দেখেননি। তিনি এমন স্টেশনে চা বেচেছেন, যা আর খুঁজে পাওয়া যায়না, এমন ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন, যার খোঁজ করতে গেলে আদালত জরিমানা করে। তাঁকে নিয়ে কটু কথা বললে বিবিসিকেও ঠুসে দেওয়া হয়, তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার মারলে পুলিশ ধরে। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই দেশদ্রোহ। কারণ তিনিই দেশ। তিনিই পরমাত্মা। তিনিই পরমেশ্বর। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে নিয়েই লিখেছিলেন, "আমরা বেগুনভাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে"। আজ রাজা আছেন, নিরবধিকাল থাকবেন, রোজ সকালে উঠে নমন করবেন। ... ...
বেশি ভ্যান্তারা করে লাভ নেই। মহারাষ্ট্র থেকে দিল্লি, বিহার থেকে বাংলা, উহাদের ছক একটাই, এবং সেটা খুব পরিষ্কার। সিবিআই-ইডি-গ্রেপ্তার দিয়ে আঞ্চলিক বিরোধী সরকারগুলোকে নড়বড়ে করে দাও। চাপে রাখো। সত্যিই দুর্নীতি থাকলে তো সোনায় সোহাগা, নইলে বানিয়ে নাও। তারপর, চাপে থাকতে-থাকতেই খেলে দাও দাঙ্গার তাস। একে হিটলারি মতে বলা হত ব্লিৎসক্রিগ। ঝটিকা আক্রমণ। নানা জায়গায় ঝড়ের গতিতে শত্রুর সামনের লাইনে ফুটো করে দাও। তারপর সামনে চলো। দেখবে শত্রু নালে-ঝোলে হয়ে পিছনে পড়ে আছে। ... ...