বইমেলার শেষদিনে পৌরসভার চুক্তিভিত্তিক সাফাইকর্মী’রা জানালেন, বইমেলা শেষে আবার অন্য কোন মেলায় কিংবা অন্য কোথাও তাঁদের কাজ খুঁজতে হবে। কিন্তু পরেরবার তাঁরা পৌরসভার কর্তাদের বলবেন খানিক মজুরি বাড়াতে। কিন্তু এঁদের কথা মানবে কে? সরকারতো সব ব্যাপারেই বলেন বিরোধীরা উস্কিয়েছে এঁদের। আর গিল্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন রাজনীতি করা চলবে না বইমেলা নিয়ে অথবা বইমেলা প্রাঙ্গণের ভেতরে। আর বেশি কিছু করলে, সামনেই উত্তর বিধাননগর থানার পুলিশবাবু’রা আছেন, আশা করা যায় সবটা সামলে নেবেন। এইরকম কয়েকশো উদাহরণ বইমেলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে সাজানো রয়েছে। ... ...
বিহারে "জন সুরাজ"-এর প্রবর্তক প্রশান্ত কিশোর বিশ্বাস করেন ক্রান্তিকারী গণতান্ত্রিক বা রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে কোনো বিকাশ হওয়া সম্ভব নয়। বৈপ্লবিক আন্দোলন একটি তেজ হাতিয়ার যা দিয়ে একটি মহীরুহ কেটে ফেলা যায়, মানে ক্ষমতাসীন শাসককে ক্ষমতাচ্যূত করা যায় কিন্তু আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো ‘নতুন ব্যবস্থা’ {System} বানানো সম্ভব নয় {যার দ্বারা দেশে, সমাজে দীর্ঘমেয়াদী পজিটিভ আউটকাম আসতে পারে}। ... ...
মানুষ কিন্তু নির্বাচন পছন্দ করে। কেন জানি মানুষের ধারণা যে ভোট দিতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই যে একদলের নির্বাচন হচ্ছে, মানুষের এইটা নিয়ে কোন আগ্রহই থাকবে না, এমন হওয়ার কথা না? কিন্তু তা হচ্ছে না! আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক প্রজ্ঞাই বলেন আর যাই বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়ে এই নির্বাচন জমিয়ে দিয়েছে। শহরের মানুষ কিছু নাক উঁচু ভাব দেখাচ্ছে, ম্যালা তত্ত্ব কপাচাচ্ছে ( যেমন আমি নিজেই!) কিন্তু গ্রামের মানুষ, যেখানে সবচেয়ে বেশি ভোটার, তারা সবাই ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছে। যারা ভাবছেন যে ভোটার শূন্য নির্বাচন হতে যাচ্ছে তারা সম্ভবত ধোঁকা খেতে যাচ্ছেন। কালকে বিপুল পরিমাণ মানুষ ভোট দিবে এইটা আমি এখনই বলে দিতে পারছি। কারণ আমি সাধারণ মানুষের এই নির্বাচন নিয়ে যে উচ্ছ্বাস তা দেখেছি। মিথ্যা বলব না, এইটা আমাকে বিরক্ত করেছে। সব ফেলে এই নির্বাচনের জন্য এত আগ্রহ? ... ...
এপাং ওপাং ঝপাং ... ...
বেঙ্গালুরু আর মুম্বাইতে ইণ্ডিয়া জোট গঠনের মধ্য দিয়ে তাহলে নতুন কী হোলো যাতে বেশ কিছু বামপন্থী সমর্থক দলগুলির ওপর রেগে গেলেন ? কারণ একটাই, সেখানে মমতা বন্দোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের অংশগ্রহণ।তাঁদের আবেগকে সম্মান জানিয়েও বলতে হয় এ তাঁদের রাজনৈতিক ভুল। ... ...
সাইদি ওয়াজে জান্নাতের টিকেট বিক্রি করত! আর আমার দেশের সাদাসিধে মানুষ এমন মানুষের কথায় নাচত! সাইদির জেল হাওয়ার পরে মানুষ সাইদিকে চাঁদে দেখতে পাইছে বলে দাবী করছে। দেশ জুড়ে হাঙ্গামা হয়েছে, মানুষ মারা গেছে! গতকাল ঢাকায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে, আর সাইদির ভক্তকুল বলা শুরু করেছে সাইদির মৃত্যুতেই এই ভূমিকম্প! এই শ্রেণীর সমর্থক থাকলে লাগে কিছু আর? যাই হোক, ওয়াজের ওই সব দিনে সাইদি নিজেকে হয়ত ঈশ্বরের কাছাকাছি কিছু একটা মনে করত। একবার ইরাকে আমেরিকা আক্রমণের পরে কক্সবাজারে এক ওয়াজে তিনি বলে বসেন আমেরিকান বা ব্রিটিশ, যাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিশোধ নিতে হবে! এই ওয়াজের ক্যাসেট ইংল্যান্ডের চ্যানেল ফোরের হাতে পরে। এমন লোক কীভাবে ইংল্যান্ডের ভিসা পায় বলে প্রশ্ন তুলে চ্যানেল ফোর! ফলাফল সাইদির বিলেত সফর বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে অবশ্য সাইদির আমেরিকার ভিসা বন্ধ হয়। নাইন ইলিভেনের পরে আমেরিকা সারা দুনিয়ায় নানা জনের উপরে নিষেধাজ্ঞা দেয়, বাংলাদেশ থেকে একমাত্র সাইদির নাম ছিল সেই তালিকায়। ... ...
আই-আই-পি-এস (International Institute for Population Sciences) এর ডিরেক্টর, কে এস জেমস-কে সরানো হয়েছে। সরকারী প্রেস রিলিজ এখনো আসেনি তবে এই দ্য ওয়ায়ারের সূত্র অনুযায়ী IIPS-এর সার্ভের ফলাফল বড়কর্তাদের পছন্দ হয়নি। অতএব, বেণীর সঙ্গে মাথা। অবশ্য পছন্দ হওয়ার কথাও না। সারা বছর ফাঁকি দিয়ে কার আর অ্যানুয়াল পরীক্ষার মার্কশীট পছন্দ হয়? কারুর না। তা ছাড়া, সরকারের গগনচুম্বী সমস্ত দাবীর বেশীর ভাগের সাথেই যে বাস্তবের আকাশ-জমিন ফারাক, সে ঐ NFHS-5 এর ডেটা একটু খুলে দেখলেই দিব্যি বোঝা যায়। ... ...
পঞ্চায়েতী ব্যবস্থার সঙ্গে গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক অস্তিত্ব জড়িত। অথচ ক্রমেই তা হয়ে যাচ্ছে দূরতর এক মরীচিকা যাতে সাধারণ মানুষের মতদানের অধিকার সংকুচিত হয়েই চলেছে। আগের আমলে দলীয় আমলাতন্ত্র যা ক্ষতি করেছে তাকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলছে বর্তমান আমলের ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্র। শুধু দুর্নীতি নয়, প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিত পঞ্চায়েতের আদর্শকে প্রতিষ্ঠা যা কখনোই পূর্ণতার মুখ দেখে নি। ... ...
ট্রাইবাল টেনেন্সি অ্যাক্টগুলো মেয়েদের উত্তরাধিকার আর বহির্বিবাহ দুইয়ের ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের সাতশো খানা ট্রাইবের সাতশো আলাদা আলাদা বৈবাহিক আর উত্তরাধিকার আইন আছে। অনেক আইনই নথিবদ্ধ নয়। কিছু আইন ব্রিটিশরা লিখিত আকারে আনে।ইউনিফর্মিটি আনার জন্য প্রথম কাজ হবে সাতশোখানা আইন স্টাডি করা। ... ...
ট্রাইবাল স্টেটাস নিয়ে একটা বড় আর একটা ছোটখাটো সংঘাত দেশে চলছে। সমস্যাটা হল ট্রাইবালের সংজ্ঞা নির্ধারণে। ট্রাইবাল স্টেটাস শুধু চাকরি আর উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষণ নয় সেখানে জমির অধিকারের প্রসঙ্গও আসে ... ...
এখানেই শেষ নয়। প্রচুর প্রাইভেট কোম্পানি আছে যেখানে কর্মীদের বসেরা 'বাপের চাকরে'র মতো করে ট্রিট করে। প্রচুর কোম্পানিতে লোকজনকে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চলে। এটা বিশেষ করে ঘটে একজন জুনিয়র এমপ্লয়ির সাথে। একটি কল সেন্টারের কথা শুনেছিলাম যেখানে জুনিয়র বা সদ্য জয়েন করা কর্মীরা সময়মতো পৌঁছেও কোন এক রহস্যময় কারণে কিছুতেই যথাসময়ে লগইন করতে পারতেন না। ফলে, সিস্টেমে সর্বদাই তাদেরকে দেখানো হতো লেট হিসেবে। এইভাবে সারাদিন কাজ করেও তারা দিনের শেষে বাড়ি ফিরতেন অর্ধেক কাজের স্যালারি নিয়ে। ... ...
সেঙ্গোল যতখানি রাজতন্ত্রের প্রতীক, ততখানিই ব্রাহ্মণ্যবাদের। যে ব্রাহ্মণ্যবাদকে নেহরু বাতিল করেছিলেন, মোদি এখন তাকেই সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করছেন। ... ...
প্রতিবছর দেশপ্রেমের নূতন নূতন পরীক্ষা এসে হাজির হচ্ছে। নামমাহাত্ম্য, দেশভক্তি, আবেগ, ইতিহাস আর প্রযুক্তির এক জোরদার ককটেল এখন তৈরি হচ্ছে। ... ...
নেহরুর ভারত ভাবনার মধ্যে আমাদের বেঁচে ওঠার সঞ্জীবনমন্ত্র নিহিত আছে যদিও আজ তা সর্বাপেক্ষা আক্রান্ত, আজাদীর এই অমৃতকালেই আরো বেশি করে যেন বা। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পণ্ডিত নেহরুকে পেয়েছিলাম। নেহেরু সংবিধানের অবজেকটিভ রেজোলিউশন উপস্থাপন করেছিলেন কনস্টিটিউশনাল অ্যাসেম্বলির কাছে। হিন্দুত্ববাদীদের মিথ্যা ট্রোলগুলি, হোয়াটস অ্যাপের মিথ্যাগুলিকে একটু অনুসন্ধান করলেই মিথ্যের বেসাতিটা ধরা পড়ে। ভারত ভাবনার মূল রূপকার পণ্ডিত নেহরু এদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য। ... ...
জনমত সম্পূর্ণ রূপে কংগ্রেসের পক্ষে গেছে, তবে কয়েকটা বিষয় নিয়ে তাদের সতর্ক হতে হবে। কারণ কিছু অঞ্চলে বিজেপির সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপের প্রতি মানুষের সমর্থন ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়েছে। ... ...
এ যুদ্ধ ভারত সরকার শুধু দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে করেছে এমনটা নয়। দেশি-বিদেশি বৃহৎ পুঁজির গোষ্ঠীগুলির স্বার্থে জল-জঙ্গল-জমিন লুটতে আদিবাসী অঞ্চলগুলিতে কেবল বোমা-বারুদ এর ধোঁয়া উড়াচ্ছে এমনটাও নয়। ভারত সরকার আক্রমনকারী বিদেশী সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীগুলির মদতপুষ্ট এদেশের টাটা, বিড়লা – আম্বানি, আদানি, মতন বৃহৎ পুঁজিপতি’দের হাতে দেশের অস্ত্র ভান্ডার গুলিও একে একে তুলে দিয়েছে। ... ...
স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করলে কোর্টে নোটিশ টানিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক - বিয়ের একমাস আগে থেকে। বর বা বৌয়ের অন্য কোনো বৌ বা বর থাকলে তারা যাতে এসে অবজেকশন দিতে পারে। কিন্তু এই নোটিশ বোর্ডের তথ্য নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লোকেরা কী করে? হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের বিয়ে হচ্ছে কিনা খুঁজে বের করে! তারপর? ... ...