সেঙ্গোল যতখানি রাজতন্ত্রের প্রতীক, ততখানিই ব্রাহ্মণ্যবাদের। যে ব্রাহ্মণ্যবাদকে নেহরু বাতিল করেছিলেন, মোদি এখন তাকেই সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করছেন। ... ...
প্রতিবছর দেশপ্রেমের নূতন নূতন পরীক্ষা এসে হাজির হচ্ছে। নামমাহাত্ম্য, দেশভক্তি, আবেগ, ইতিহাস আর প্রযুক্তির এক জোরদার ককটেল এখন তৈরি হচ্ছে। ... ...
এমনকি যা পরিস্থিতি আসছে তাতে ভবিষ্যতে প্রচণ্ড গরমে একেবারে হতদরিদ্র মানুষেরও সাময়িকভাবে আশ্রয় নেবার জন্য কিছু কিছু এয়ারকন্ডিশনড জায়গার ব্যবস্থা করতে হলেও আশ্চর্য হব না। তো, এই সময়ে লোকজনকে এসি ব্যবহারের এবং এসি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে উস্কোনো একটি অত্যন্ত বড় অসভ্যতা ছাড়া আর কিছু নয়..... ... ...
নেহরুর ভারত ভাবনার মধ্যে আমাদের বেঁচে ওঠার সঞ্জীবনমন্ত্র নিহিত আছে যদিও আজ তা সর্বাপেক্ষা আক্রান্ত, আজাদীর এই অমৃতকালেই আরো বেশি করে যেন বা। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পণ্ডিত নেহরুকে পেয়েছিলাম। নেহেরু সংবিধানের অবজেকটিভ রেজোলিউশন উপস্থাপন করেছিলেন কনস্টিটিউশনাল অ্যাসেম্বলির কাছে। হিন্দুত্ববাদীদের মিথ্যা ট্রোলগুলি, হোয়াটস অ্যাপের মিথ্যাগুলিকে একটু অনুসন্ধান করলেই মিথ্যের বেসাতিটা ধরা পড়ে। ভারত ভাবনার মূল রূপকার পণ্ডিত নেহরু এদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য। ... ...
নতুন এ রচনা। গন্ধ নিয়ে। গন্ধ মানে সৌরভ, গন্ধ মানে পারিফিউম, গন্ধ মানে কলকাতায় দিনমানে চলা কর্পোরেশনের জঞ্জাল ফেলার গাড়ি, গন্ধ মানে শেষযাত্রার অগুরু, গন্ধ মানে ধুপ-ধূনো, গন্ধ মানে মায়ের খোলা চুল। এমন কতো কিছুই। আপনাদের উৎসাহ পেলে ভরসা বাড়বে। ... ...
যে কোন নাটকের গোড়ায় পাত্র পাত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় , তারপরে ঘটনার ঘন ঘটা - রাইজিং অ্যাকশন! সেটির পরিণতি ক্লাইম্যাক্সে ; অতঃপর ফলিং অ্যাকশন । বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা থেকে স্বচ্ছন্দে বলতে পারি নাট্য শাস্ত্রীদের এই বিন্যাসের সঙ্গে ফুটবল খেলাটা হুবহু মিলে যায় । তফাত এই যে সবটাই মঞ্চে বা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় না । পাত্রদের নাম ধাম , প্রতি সপ্তাহের বেতন কত তা আমরা জানি । তাদের ভূমিকা এই নাটিকার ক্লাইম্যাক্স পর্বে , মানে মাঠের ভেতরে। খেলা শুরুর আগে মঞ্চের চারপাশে যা চলতে থাকে সেটা রাইজিং অ্যাকশন, সেটা আমার কাছে আসল খেলার চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়! ম্যাচের কয়েকদিন আগে থেকেই শহরের পথঘাট ভরে যায় - নানান দেশের পতাকা, মুখে রং, মাথায় বিচিত্র টুপি , ক্লাউনের সাজ সজ্জা , ফুটপাথে ম্যাপ ও ছবি আঁকা, নানান গান ( একবার লন্সে ইউরো ২০১৬ তে ক্রোয়েশিয়া আর পর্তুগালের ফ্যানরা রাস্তার ওপরে লোক সঙ্গীতের চাপান উতর বসিয়ে দিয়েছিলেন – এ যতো গায় অন্যে গায় তার শত গুণ । কারো ভাষা অবিশ্যি কেউ বোঝে না )। স্লোগানে স্লোগানে অলি গলি গুলজার। সারা ইউরোপে উজ্জ্বল গ্রীষ্মের দিনে অজস্র হাসি খুশি মানুষের মেলা বসে যায় – ফুটবল শুধু একটা বাহানা! ... ...
সন্ধ্যে হয়ে এসেছিল। বইটি রেখে দিয়ে বিছানা থেকে উঠে পড়ে দীপ। আলনা থেকে শার্টটা গায়ে গলিয়ে বোতাম লাগাচ্ছিল - একটু বাইরে বেরিয়ে আসা দরকার, মাথাটা জ্যাম হয়ে আছে। ঘর থেকে বেরুনোর আগে বইটির দিকে হঠাৎ চোখ পড়তেই চমকে উঠে সে! বিমূর্ত প্রচ্ছদটিতে একটি ছবি ভেসে উঠেছে, একটি মেয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দীপের দিকে, আর তার মুখটা আগের থেকেও রক্তশূন্য! ... ...
আরেকবার রিলকে ... ...
পয়সা চাই। পাশের বাড়ির দাদা শ্রমজীবী ইনডিস্ট্রিয়াল কো অপারেটিভ সোসাইটির কর্মচারী। ওখানে হ্যান্ড ওয়াশ, স্যানিটাইজার, ফিনাইল, ডিটারজেন্ট, সাবান এমনকী আচার, বড়ি সব মেলে।ওখানে একটা কাজ চাই। মানি ফ্যাক্ট্রিতে কাজ করতে পারে, সেলসে কাজ করতে পারে, হোম ডেলিভারির কাজও করতে পারে। যে করে হোক কাজ চাই। হাতে টাকা থাকা দরকার। যে টাকার জোরে তার শাশুড়ি কাউকে তোয়াক্কা করে না। ডাল ভাতের টাকা ব্যাঙ্কে মজুত আছে। ... ...
মজার গল্প শুনেন। তখন নিয়ম করে ইফতার খেতে যাই। ভলেন্টারি মসজিদে গেছি ইফতার খেতে। এইটা একটু দূরের একটা মসজিদ। একটু নিরিবিলি। বাস থেকে নেমে একটু হাঁটলেই মসজিদ। একটু বলতে এক দেড়শ মিটার হবে হয়ত। আমার সাথে আরও দুইজন। এই সময় বাঘের মত একটা কুকুর কই থেকে জানি এসে হাজির। আমি ঠিক কুকুরপ্রেমি টাইপ মানুষ না। দেশি কুকুরকে মাঝে মধ্যে ঘাড় গলা হাতায় দিছি, ওরা আরামে শুয়ে পড়ছে। কুকুর প্রেম বলতে আমার এই পর্যন্তই। আর যা আছে খিঁচে দৌড় দেওয়ার স্মৃতি। আমি আগে পিছনে একটা কিংবা এক পাল এমন গল্প বহু আছে। কিংবা এক পাল আমাকে ঘিরে ধরেছে আমি কানের হেডফোনের সাউন্ড পুরো বাড়িয়ে দিয়ে গুটি গুটি পায়ে ওদেরকে পার হচ্ছি, আমার যুক্তি হচ্ছে ওদের চিৎকার না শুনলে আমি ভয় পাব না আর ভয় না পেলে আমি দৌড় দিব না, আর আমি দৌড় না দিলে ওরাও চিৎকার করেই থেমে যাবে। রাত বাজে সাড়ে তিনটা না চারটা, আমার বুদ্ধি কাজে লাগছিল, আমি কোন বিপদ ছাড়াই পার হতে পেরেছিলাম। ... ...
গত শতাব্দীর প্রথম দশকে ১৯০৯ সালে আমেরিকা আসেন। এর ষোলো বছর আগে বিবেকানন্দ শিকাগো এসেছেন, এর তিন বছর পরে রবীন্দ্রনাথের ইলিনয়-তে আরবানা-শ্যাম্পেন এ প্রথমবার আমেরিকা আসবেন - তখনও তিনি নোবেল প্রাইজ পান নি, তেমন নামডাকও হয় নি। তারও দুবছর বাদে শুরু হবে ইউরোপে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এমন এক সময়ে, আজ থেকে প্রায় ১০৮ বছর আগে মেদিনীপুরের তমলুকের উনিশ বছরের ছেলে কিভাবে আনডকুমেন্টেড লেবার হিসেবে আমেরিকা এলেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় পড়াশোনা করতে শুরু করলেন, ইংরেজিতে লেখালেখি শুরু করলেন, ইস্ট-কোস্টে বাসা বাঁধলেন, আমেরিকার শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্যের পুরস্কার পেলেন, আগাগোড়া লেখালেখিকে সম্বল করে জীবিকা চালিয়ে গেলেন এবং ১৯৩৬ সালে আত্মহত্যা করে মারা গেলেন - সেই কাহিনী ... ...
কিরণজিৎ কাউর। টিকরি প্রটেস্ট সাইটের উজ্জ্বল মুখ। জসবীর কাউর।চুয়াত্তর বছর বয়স। গাজিপুর থেকে এসেছেন। বলছেন, আমরা মাঠে কাজ করি। গুরমিত, অমরদীপ, সুরজিৎ, জসবন্ত। সুঠাম নারী সব। রোদে পোড়া ত্বক। এই চেহারার একটা খেটে খাওয়া আভিজাত্য থাকে। এই মেয়েরা কৃষক হিসেবে তাঁদের পরিচিতি চান। বিন্দু আমিনি লড়ছেন দলিত মেয়েদের অধিকার নিয়ে। তিনিও এসেছেন। হরশরণ কাউর আইআইটি থেকে পাশ করা এনজিনিয়র। তিনি ছুটে এসেছেন দুবাই থেকে। ... ...
বহুকাল পর রিলকের সঙ্গ ... ...
তামাম বাংলা-বাঙালি তথা ভারতীয় উপমহাদেশের মনের জমিতে ক্রিকেট খেলাটিকে যিনি প্রথম রোপণ করেছিলেন সেই সারদারঞ্জন রায়ের আজ ১৬৫তম জন্মদিন। আজ সারাদিন কাজী নজরুলের জন্মতিথিতে তো সব্বাই তাঁকে স্মরণ করেছেন নানা ভাবে। আমি বরং "ভারতীয় ক্রিকেটের W. G GRACE". তথা ক্রিকেটার-অধ্যাপক-সংগঠক সারদারঞ্জন রায়কে আজ স্মরণ করি। 'ক্রিকেটপাগল' বাঙালিকে যিনি 'পাগল' হতে শিখিয়েছিলেন এই আই পি এলের ভরা মরশুমে বরং বিস্মৃতির ধুলোয় আবছা হয়ে যাওয়া সেই সারদারঞ্জনের কৃতি জীবন আর অনন্য উদ্যোগগুলিকে আরেকবার ফিরে দেখি আজ। ... ...
আই মিন দি এনটায়ার প্রসেস। হাউ দ্য ভাইরাস ওয়ার্কস। নাক, মুখ দিয়ে ঢুকে পড়ে। শরীর কিছু বোঝে না। সেল গুলোকে জড়িয়ে ধরে। তারপর সেগুলো ডেস্ট্রয় হতে থাকে। লাইক লাভ। সো ডেসট্রাকটিভ। অ্যান্ড স্টিল ইউ ক্যাননট গেট আউট অব ইট। অ্যান্ড ইউ ডোন্নো হাউ ইট এন্টারস ইউ। প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। টেগোর সেইড। দ্য ট্র্যাপ অব লাভ। তাই না স্যর? ... ...
জীবনের নানা দিক নানা পথ ... ...
টুপুর একটু আশ্চর্য হল। এরকম জাজমেন্টাল কথা সে ঈশানের কাছ থেকে আশা করে না। কেমন একটা ডমিনেটিং টোন। তবে কী সব পুরুষের মধ্যেই একটা ডমিনেশনের টেনডেন্সি থাকে? অধিকারবোধ? টুপুর জানে এই অধিকারবোধ প্রেম নয়। আগে হলে বা রক্তিমের সঙ্গে হলে গালিগালাজ হয়ে যেত একচোট। ইদানীং ও অনেক শান্ত। ঝট করে রিঅ্যাক্ট করে না। অন্ধকারের অনেক সুবিধে। ভ্রূ কুঁচকানো দেখা যায় না। ... ...