রক্তিমের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পরে নতুন সম্পর্কে টুপুর। ক্লান্ত মালবিকা কৃত্রিম দাম্পত্য সম্পর্কে। তবু জীবন চলতেই থাকে। ... ...
কোভিডে মৃত অদিতি শিবরামণ। দেবরূপ তার ভার নিয়ে চলে এসেছে দিল্লিতে সুনন্দিতার বাড়িতে পিজি হিসেবে।কাজ করছে দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ ফেলো হয়ে।বিষয় ভাইরাস। সুনন্দিতার শাশুড়ি আর্মেনিয়ান আমেলিয়া মেহতা। স্বামী পরমপ্রতাপ মেহতা।মেয়ে নিকি। দেবরূপ এ বাড়িতে আগন্তুক কিন্ত অনাহুত নয়। ... ...
জন্মদিনের সকাল যেমন হয়, এ লেখাও তেমন। যার পরতে পরতে মায়া, প্রেম, আলোহাওয়া এবং সদ্য ফেলে আসা স্মৃতি খেলা করে। ... ...
নতুন এ রচনা। গন্ধ নিয়ে। গন্ধ মানে সৌরভ, গন্ধ মানে পারিফিউম, গন্ধ মানে কলকাতায় দিনমানে চলা কর্পোরেশনের জঞ্জাল ফেলার গাড়ি, গন্ধ মানে শেষযাত্রার অগুরু, গন্ধ মানে ধুপ-ধূনো, গন্ধ মানে মায়ের খোলা চুল। এমন কতো কিছুই। আপনাদের উৎসাহ পেলে ভরসা বাড়বে। ... ...
আজ শালপ্রাংশু, অনতিমন্দ্র কণ্ঠস্বরের বহুমুখী প্রতিভাধর মানুষটির ১০৩ তম জন্মদিবস। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দুঃসময়ে ওঁর তিনটি ছবির কথা আজ বেশি করে মনে পড়ছে যেগুলিকে ওর নাগরিক ট্রিলজি বলেন অনেকে। এই তিনটি ছবির মধ্যে অন্তত দুটির বিষয় বিপুল কর্মহীনতা আর অন্তত দুটি ছবিতে মধ্যবিত্তের আদর্শচ্যুতি। কিন্তু সেটা নিছক ঈশপ ফেবলসের নীতিকথা নয়, এই আদর্শচ্যুতির পেছনে যে সামাজিক পটভূমিকার চাপ যা মনুষ্যত্বকে বিকিকিনির হাটে চাপিয়েছে তা সত্যজিত বড় নিষ্ঠুরভাবে উপস্থাপিত করার সাহস দেখিয়েছিলেন। ... ...
মেট্রো স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার পথে অটোটা ঠিক পাঁচবার বাঁক নেয় – অমিত হিসেব করে দেখেছে। সুধীন সমাদ্দারের বাড়ি ঠিক তিন নম্বর বাঁকের মুখে। সুধীন সমাদ্দারকে অমিত চেনে না। কিন্তু রোজই দেখে তাকে তাঁর বাড়ির বারান্দায় বসে লিখতে। সুধীন সমাদ্দার ছোট ছোট কবিতা লেখেন আর লিখে বাড়ির দরজা বা বাইরের দেওয়ালে আটকে দেন। তলায় সই – সুধীন সমাদ্দার। ... ...
দেবরূপ, সুনন্দিতা, নিকি ও আমেলিয়া... চার ভিন্ন গ্রহের ভিন্ন মানুষ ... ...
এ এক অসম্ভব ছবি আলো, আঁধার, গাঢ় রঙ ধরা থাকে – ধরা আছে রোজ সামনেই চোখ খুললে কেবল চোখের পাতার কোণা থেকে তুলে নেওয়া হায়াসিন্থের পরাগ আমিই শুধু ছুঁতে পারি সেই তারার অতলে ঢুকলে ... ...
কেরালার কোভিড পরিস্থিতি ও অনিল থমাস ... ...
এ যুদ্ধ ভারত সরকার শুধু দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে করেছে এমনটা নয়। দেশি-বিদেশি বৃহৎ পুঁজির গোষ্ঠীগুলির স্বার্থে জল-জঙ্গল-জমিন লুটতে আদিবাসী অঞ্চলগুলিতে কেবল বোমা-বারুদ এর ধোঁয়া উড়াচ্ছে এমনটাও নয়। ভারত সরকার আক্রমনকারী বিদেশী সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীগুলির মদতপুষ্ট এদেশের টাটা, বিড়লা – আম্বানি, আদানি, মতন বৃহৎ পুঁজিপতি’দের হাতে দেশের অস্ত্র ভান্ডার গুলিও একে একে তুলে দিয়েছে। ... ...
বাবা কুঞ্জন আর মা থাইথারা মানি সাধ করে নয়, জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবেই আদরের ছোটো মেয়েটির জন্মের পর নাম রেখেছিলেন দাক্ষায়ণী অর্থাৎ দক্ষের কন্যা দুর্গা। এই শ্রুতিমধুর নামটি যুগ যুগ ধরে কোচিন-ত্রিবাঙ্কুরের জাতে-বর্ণে শতধা বিভক্ত সমাজে কেবল উঁচু বর্ণের সম্পত্তি হয়েই রয়ে গেছিল! উচ্চবর্ণের জন্য নির্দিষ্ট নাম নিজের সন্তানকে দেওয়ার সাহসই পুলায়াদের হয়নি কখনো। প্রতিবাদী নামটিকে আক্ষরিক অর্থে সার্থক করে তোলার জন্যই যেন জন্ম হয়েছিল দাক্ষায়ণীর। ... ...
করোনার দুই ঢেউএর অন্তর্বর্তী সময়। মালবিকা আর ত্রিদিবের জীবন.... ... ...
অদিতি ঘুরে ফিরে আসে চেতনায়। দেবরূপ আমেলিয়ার কাছে গিয়ে বসে। ল্যাবে যায়। অথচ অবশ হয়ে থাকে তার স্নায়ু। কোভিডের ভ্যারিয়ান্টস নিয়ে তার কাজ। ... ...
এই জীবনের আসা যাওয়ার পথের ধারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতনামা কিছু মানুষের সঙ্গে সামান্য সময়ের জন্য সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে । তাঁদের কাউকে চিনেছি কেবল কাজের সূত্রে , ঘটনাচক্রে হয়েছি সম্মুখীন। কোন ভালোলাগার মানুষকে পেয়েছি মুখোমুখি, নিতান্ত কপালগুণে । তাঁদের কথা নিয়েই শুরু করছি ' কিছুক্ষণ' পর্যায়ের কিছু লেখা । দেব আনন্দের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ঝরিয়া ( সে আমলে বিহার,আজকের ঝাড়খণ্ড)শহরের বিহার টকিজ সিনেমায় ; তৎকালীন বিহার প্রদেশের একমাত্র শীততাপ নিয়ন্ত্রিত চিত্রগৃহ। ছবির নাম সি আই ডি। একা সিনেমা দেখার স্বাধীনতা পেতে অনেক দেরি কিন্তু হোলি হ্যায় এই আওয়াজ তুলে পাড়ার বড়োদের সঙ্গে কিছু বালকের দলে আমিও ভিড়ে গেছি; টিকিটের লাইন হলের পেছন দিকে একটা লম্বা খাঁচায় , সেখানে গরমে ঘামে জামা ভিজে যায় । সে যাবত বাবা মায়ের সঙ্গে একটি মাত্র হিন্দি সিনেমা দেখে জেনেছি রাজ কাপুর নামক ভদ্রলোক জাপানি জুতো এবং ইংরিজি প্যান্ট পরেন – ছবির নাম শ্রী ৪২০। এবার রুপোলী পরদায় আমার সামনে আবির্ভূত হলেন দেব আনন্দ - ‘আঁখো হি আঁখো মে ইশারা হো গয়া ‘ সে ইশারা তিনি অভিনেত্রী শাকিলাকে করছিলেন কিন্তু সেই সঙ্গে আমার মন জয় করে নিলেন। ... ...
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। কাজ ছাড়া 'কাজের মেয়ে'। ... ...
হ্যারি বেলাফন্টেদের কাছে সময় হার মানে...সবসময়!! ..আর জিতে যায় ক্লান্ত ক্লান্তিহীন মানুষের নিয়ত ভেসে চলার গান!! ... ...
নতুন এ রচনা। গন্ধ নিয়ে। গন্ধ মানে সৌরভ, গন্ধ মানে পারিফিউম, গন্ধ মানে কলকাতায় দিনমানে চলা কর্পোরেশনের জঞ্জাল ফেলার গাড়ি, গন্ধ মানে শেষযাত্রার অগুরু, গন্ধ মানে ধুপ-ধূনো, গন্ধ মানে মায়ের খোলা চুল। এমন কতো কিছুই। আপনাদের উৎসাহ পেলে ভরসা বাড়বে। ... ...