আমরা সবাই – মানে ছ’জনই - তো পরীক্ষা আর রেজাল্টের মাঝখানে ঝুলে আছি। আমাদেরই এক জন যে আরও একটা ব্যাপারে দিল্লি আর কলকাতার মাঝে ঝুলে আছে তা আর কে জানত। আর সেই ঝুলে থাকা মানে টেনিদার ভাষায় ‘পুঁদিচ্চেরি’ – মানে ব্যাপার অত্যন্ত সাংঘাতিক । অফিসের একজন বলেই ফেললেন যে এটা একেবারেই ‘অবিশ্বাস্য’। একেবারে জীবন আর মৃত্যুর ব্যাপার, ‘লাভ’ আর লোকসানের ব্যাপার। ... ...
এই ঘটনা শুরু আরও কয়েকদিন আগে থেকে। বাংলাদেশ থেকে নতুন দুইজন এসেছেন আমাদের কোম্পানিতে। তারা যে এজেন্টের মাধ্যমে এসেছেন আমি সেই একই এজেন্টের মাধ্যমে এসেছি। আমাকে বলা হল আমি যেন এই দুইজনকে আমাদের সাথে রাখি, খাওয়া দাওয়া আমাদের সাথে করাই। আমার সঙ্গী রাজি ছিল না। আমার মনে হল আমরা যখন প্রথম আসছিলাম তখন আমরা নানাজনকে বলছিলাম যে তাদের সাথে যেন আমাদের রাখে, এক সাথে খাওয়া দাওয়া রান্নাবান্না করে খাব। কেউ রাজি হয়নি। তখন আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমি সেই কথা চিন্তা করে বললাম, ঠিক আছে, উনারা থাকুক আমাদের সাথেই। ... ...
ভালো লাগবে না এরকম কবিতা সবাই লিখতে পারে না ... ...
দেবরূপ দিল্লিতে। কৃষক আন্দোলন ও কোভিডকালে। ... ...
বিদেশের প্রভাব ! অ্যাঁ ! ... ...
যুদ্ধ বা সামাজিক পরিবর্তন কি শিল্পকে পালটায়, না শিল্পীকে পালটায়? নাকি কোনো কিছুই পালটায় না, সবই সাময়িক? ... ...
আমাদের প্রথম চিন্তাই, আরে ওরা বাংলা বলবে? কী আশ্চর্য! 'আমনে আমাত্তে বেশি বুঝেন' আমাকে বুঝাল আরে আমরা হিন্দি পারি, এইটা আমদের একটা কৃতিত্ব না? ওরা একটা ভাষা জানে বা ইংরেজি সহ দুইটা জানে, আমরা ইংরেজি সহ তিনটা জানি, এইটা ভাল না? অবশ্যই ভাল! এর চেয়ে ভাল উত্তর আর কী হতে পারে? ... ...
"অমরত্বের প্রত্যাশা নেই , নেই কোনো দাবী-দাওয়া , এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া..." রাস্তায় চলতে চলতে অবচেতনে মনে আসছিল ভ্যান গঘের জীবন, জানি না কেন 'জাতিস্মর' গানটাই ভেসে উঠছিল তার সঙ্গে। ১৮৫৩ থেকে ১৮৯০ - একটা লোকের মাত্র ৩৭ বছরের জীবন,যে হঠাৎ তার ২৭ বছর বয়সে আবিষ্কার করে ফেললো যে সে শিল্পী হতে চায়, চিত্রশিল্পী; আর ঠিক পরের দশটা বছর সেই চিত্রশিল্পই তার নশ্বর জীবনকে এনে দিল অমরত্ব! মিউজিয়ামের চারতলায় ধাপে ধাপে হলঘরের মত স্টুডিও-তে যত্ন করে সাজিয়ে রাখা ছবির সম্ভার, অধিকাংশ-ই ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের, তবে বেশ কিছু ছবি আছে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত মুহুর্তের আর মানুষের যেমন পল গগ্যাঁ, বার্নার্ড, কোনিং প্রমুখের। ... ...
খাবার আসতে দেরী আছে বলে উইলিয়ামকে গণার চপের গল্প শোনানো গেল। মেমারী স্টেশন বাজারে পুরানো দিনে নীরেন ময়রার দোকানের পাশে বিকেলে গণা এক ট্রে ভেজিটেবল চপ বিক্রী করত। সেই ট্রে খালি হতে আধ ঘন্টা আর প্রচুর খদ্দের ফিরেও যেত। কিন্তু গণা কোনদিন এক ট্রের বেশী চপ বানালো না! যত সহজে লিখলাম উইলিয়ামকে ভেজিটেবল চপ বোঝানো তত সহজ ছিল না। চপের ইংরাজি কি?? সে বোঝাতে গিয়ে যা সময় লাগল তাতে ধাড়ি ছাগলের মাংস কড়াইয়ে সিদ্ধ হয়ে যাবে! এবং সেই ততক্ষণ বাদেই সেই মেয়ে এই কারী এনে দিল! এক চামচ খেয়ে উইলিয়ামকে বললাম, নারকেলের দুধ আর কাজু মেশালেই কি আর থাই রান্না হয়! এর থেকে নিমোর তাপস, লাল্টু বা মুকুল অনেক ভালো রান্না করে! উইলিয়াম জানতে চাইল মুকুল কি কোন বড় শেফ? তাকে জানালাম মুকুলের গল্প করতে গেলে রাত কাবার হয়ে যাবে, এখন খিদের মুখে সেসব হবে না। তবে এটা জেনে যাও মদের চাট বানাতে মুকুলের ধারেপাশে কেউ আসবে নে! ... ...
উত্তম পুরুষে উপস্থিত করা নিচের বিবরণটা ২০০১ সালের মে মাসে হিমালয় পর্বতমালা'র বহু উঁচুতে এক তীর্থকেন্দ্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতাকে ঘিরে। ছোট বোন মালবিকা'র (সেনগুপ্ত) এই অভিজ্ঞতার কাহিনী তার মুখে শুনে তারই নিজের জবানীতে এই বিবরণী প্রস্তুত করে উপস্থিত করছি আমি, তার বড় ভাই সুভাষ চন্দ্র গাঙ্গুলী। সুদূর অতীত থেকে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার কাজে স্ব-নিয়োজিত শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর এক জনের জীবনদায়ী দরদের এই কাহিনী অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার উপযুক্ত বলে মনে হয়েছে, যদিও এমন এক নাড়িয়ে দেওয়া অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে ভাষার সীমাবদ্ধতা পুরোপুরি এড়ান সম্ভব নয়। এমন কারও কারও মনে হতেই পারে যে এই গোত্রের কাহিনী প্রায়ই ভুলে যাওয়া এমন এক বার্তা/বাণী বহন করছে যা উচ্চনিনাদে স্ব-ঘোষিত ভাবে জনতার মঙ্গলের জন্য নিবেদিত দল /সংগঠন ইত্যাদির মধ্যকার চালু পারস্পরিক বিতর্ক-তথা-বিবাদ-বিসম্বাদের আওতার বাইরে। ... ...
জাহার সমালোচকরা তার কাজের পেছনে ‘বিমূর্ততা, বিনির্মাণবাদ, প্যারোমেত্রিকতা’ এসব অস্বচ্ছ লেবেল লাগিয়ে দিয়েছেন। হ্যাঁ, সব সময় সোজা লাইন থেকে ঘুরে গেছেন তিনি। জাহা গ্লাস, স্টিল ও কংক্রিট নিয়ে অনেক কিছু কল্পণা করেছেন যা পদার্থবিদ্যার সূত্রকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ২০১২ এর অলিম্পিকের জন্য নির্মিত লন্ডন অ্যাকোয়াটিক সেন্টার, আর চায়নার গুয়াংঝু অপেরা হাউজের একটি ভাসমান বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এর পর্যবেক্ষকদের একটি স্থায়ী চলন ও গতির অভিজ্ঞতা উপহার দিতে সক্ষম হয়। জাহা হাদিদ তার স্টাইল নিয়ে নিজেই বলেনঃ “৯০ ডিগ্রি পেতে হবে এমন চিন্তা থাকে না আমাদের মাথায়। বরং, আমরা শুরুতে একটি কর্ণকে নিয়ে ভাবি। কারণ কর্ণ বা ডায়াগনাল একটি বিস্ফোরণের ধারণা নিয়ে আসে যা কিনা স্পেস বা শূন্যকে কাটাকাটি করে একটা রিফর্ম বা সংস্কারের রূপ দেবে।“ ... ...
...অভাবকে যারা বড়ো করে দেখে, তারা কোনদিন বড়ো হতে পারে না। ... ...
স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করলে কোর্টে নোটিশ টানিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক - বিয়ের একমাস আগে থেকে। বর বা বৌয়ের অন্য কোনো বৌ বা বর থাকলে তারা যাতে এসে অবজেকশন দিতে পারে। কিন্তু এই নোটিশ বোর্ডের তথ্য নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লোকেরা কী করে? হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের বিয়ে হচ্ছে কিনা খুঁজে বের করে! তারপর? ... ...
দেবরূপ এখন দিল্লিতে। সুনন্দিতার বাড়িতে পিজি। চলছে কৃষক আন্দোলন। আমেলিয়া আর নিকি। দুই ভিন্ন বয়সী অসুস্থ নারী। কো মর্বিডিটি, দেবরূপ আর মেহতা হাউস। ... ...
নতুন এ রচনা। গন্ধ নিয়ে। গন্ধ মানে সৌরভ, গন্ধ মানে পারিফিউম, গন্ধ মানে কলকাতায় দিনমানে চলা কর্পোরেশনের জঞ্জাল ফেলার গাড়ি, গন্ধ মানে শেষযাত্রার অগুরু, গন্ধ মানে ধুপ-ধূনো, গন্ধ মানে মায়ের খোলা চুল। এমন কতো কিছুই। আপনাদের উৎসাহ পেলে ভরসা বাড়বে। ... ...
জীবন যেরকম ... ...
হারিয়ে যাওয়ার আগে ... ...